অতিমারির জেরে দীর্ঘদিন ধরে ঘরবন্দি হয়ে পড়েছে শিশুরা। বদ্ধ ঘরে একঘেঁয়েমি কাটাতে কখনও ই-লার্নিং, আবার কখনও মোবাইল ফোনে ভিডিয়ো গেম কিংবা টিভি দেখেই সময় কাটাচ্ছে খুদেদের দল। বাইরে গিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে মিলেমিশে খেলার সুযোগ কার্যত নৈব নৈব চ। কিন্তু, ধীরে ধীরে সকলেই ছন্দে ফিরছেন। আনলকের ফলে ধীরে ধীরে বাচ্চারা বাইরে বেরোনোর সুযোগ পাচ্ছে। এটা খুবই ভালো যে শিশুরা আবার স্বাভাবিক জীবনধারায় ফিরতে পারছে, যা তাদের বড় হয়ে ওঠার পথকে প্রসারিত করবে। তবে, করোনা আবহে শুধু শিশুদের খেয়াল রাখলে চলবে না, অন্যান্য প্রাণঘাতী রোগের বিষয়েও সতর্ক থাকতে হবে অভিভাবকদের।
বাচ্চাদের বাইরে বেরনো মানেই তারা বাইরের খাবার খাবে। ফলে তাদের খাবার বা জলবাহিত অসুখের ঝুঁকি রয়েছে। যেমন জন্ডিসের ঝুঁকি রয়েছে, যা হেপাটাইটাস এ ভাইরাসের কারণে হয়। আর এ নিয়ে সতর্ক থাকা জরুরি।
দেখুন ভিডিয়ো:
লিভারে সংক্রমণের জেরে হয় হেপাটাইটাস এ। হেপাটাইটিস এ ভাইরাস ওয়ানের জেরে এই সংক্রমণ হয়। এর জেরে হাল্কা থেকে গুরুতর অসুস্থ হতে পারে। এমনকী, কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস পর্যন্ত এই সংক্রমণ থাকতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, প্রতি বছর বিশ্বে ১০ কোটিরও মানুষ হেপাটাইটিস এ-তে সংক্রমিত হন। যদিও এ ধরনের লিভার সংক্রমণ শিশুদের ক্ষেত্রে হাল্কা বা স্বাভাবিক হয়, তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে মারাত্মক হতে পারে। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে এই সংক্রমণের উপসর্গ মারাত্মক হতে পারে। তাদের মধ্যে ৭০ শতাংশেরও বেশি ক্ষেত্রে ঘটে।
হেপাটাইটিস এ সংক্রমণ দীর্ঘস্থায়ী হয় না। এই সংক্রমণের প্রভাব মারাত্মক হতে পুারে কিছু ক্ষেত্রে, যদি পরীক্ষা না করানো হয়। কিছু ক্ষত্রে এর ফলে অ্যাকিউট লিভার ফেলিওরের মতো ঘটনা ঘটতে পারে, এমনকী, মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। বিশ্বব্যাপী, বিশেষত অস্বাস্থ্যকর এলাকায় এ ধরনের সংক্রমণ ঘটার সম্ভাবনা বেশি থাকে। সেজন্য, স্বাস্থ্যকর এলাকায় থাকার জন্য যেসব শিশুরা অতীতে এই ভাইরাসের সংস্পর্শে আসেনি, তারা শৈশবে এই সংক্রমণ এড়াতে পারে। বয়:সন্ধিকালে তাদের গুরুতর সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে।
জল ও খাবার থেকেই হেপাটাইটিস এ ছড়ায়। প্রাথমিকভাবে এক ব্যক্তির দেহ থেকে অন্য ব্যক্তির দেহে সংক্রমিত হয়। দূষিত জল খেলে বা অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে এই ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
সকল সংক্রমিত ব্যক্তির শরীরে উপসর্গ থাকে না। সংক্রমিত হওয়ার দুই থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে উপসর্গ দেখা যায়।
মনে রাখবেন, যাঁরা সংক্রমিত হন, তাঁদের শরীর সব উপসর্গ দেখা যায় না। কিছু ক্ষেত্রে ছয় মাসের মতো থাকে উপসর্গ।
হ্যাঁ, হেপাটাইটিস এ সংক্রমণ রোখা যায়। হেপাটাইটিস এ রোখার সহজ উপায়গুলি হল …
2.শৌচাগার ব্যবহারের পর, বাচ্চাদের ন্যাপি বদলের পর, রান্না করার আগে এবং খাওয়ার আগে জল ও সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
হেপাটাইটিস এ-র কোনও নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। তাই সাবধানতা অবলম্বন করেই এর থেকে রেহাই পাওয়া যায়। তবে, টিকা অনেকটা প্রতিরোধ করতে পারে।
কখন হেপাটাইটিস এ ভ্যাকসিন নেওয়া যেতে পারে?
এক বছর বা তার বেশি বয়সী শিশুদের হেপাটাইটিস এ ভ্যাকসিন দেওয়া যেতে পারে। তাই, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইন্ডিয়ান অ্যাকাডেমি অফ পেডিয়াট্রিকস সকল বাচ্চাদের জন্য এই ভ্যাকসিন নেওয়ারক পরামর্শ করে।
আরও তথ্যের জন্য শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
হেপাটাইটিস এ নিয়ে সচেতনতার পাশাপাশি সন্তানদের সুরক্ষিত রাখতে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত অভিভাবকদের। ‘Zindagi unlocks’ , একটা সম্মিলিত সচেতনতা, যা সঠিক দিশা দেখায়, সতর্কতা ও টিকাকরণের মতো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ, যা শিশুদের সুস্থ ও রোগমুক্ত রাখে।
References:
Disclaimer: Issued in the public interest by GlaxoSmithKline Pharmaceuticals Limited. Dr. Annie Besant Road, Worli, Mumbai 400 030, India. Information appearing in this material is for general awareness only. Nothing contained in this material constitutes medical advice. Please consult your physician for medical queries, if any, or any questions or concerns you may have regarding your condition. Please consult your Pediatrician for the complete list of Vaccine-preventable diseases and the complete vaccination schedule for each disease. Please report adverse events with any GSK product to the company at india.pharmacovigilance@gsk.com.
This article has been produced on behalf of GSK by Times Internet’s Spotlight team.
NP-IN-HAV-PINF-210009, DOP OCT 2021