In this Article
যদি আপনার কাঁধটিকে সাদা আঁশের ন্যায় স্তরে পূর্ণ থাকার একটি প্রিয় স্থান বলে মনে হয়, তবে হয়তো আপনার মাথার ত্বক শুষ্ক, যার ফলে আঁশের ন্যায় স্তর এবং খুশকি হয়। খুশকি প্রকাশ্যে দেখা গেলে মানুষ বিব্রত বোধ করতে পারেন এবং একই সাথে খুশকি এবং গর্ভাবস্থার মোকাবিলা করা কঠিন প্রমাণিত হতে পারে। এই অবস্থার কারণগুলি এবং এটির প্রতিকারগুলি খুঁজে বের করা হল গর্ভাবস্থায় খুশকি পরিচালনার মূল চাবিকাঠি।
গর্ভাবস্থায় খুশকি হওয়া কি স্বাভাবিক?
খুশকি মাথার ত্বকের সাথে সম্পর্কিত সমস্যা যার ফলে আঁশের ন্যায় স্তর সৃষ্টি হয় এবং চুলকানি হয়। যদিও এটি অযথাযথ স্বাস্থ্যবিধির ফলাফল নাও হতে পারে, কিন্তু বেশিরভাগ লোকেরা এমনটিই ভাবেন। নতুন কোষগুলির জন্য পথ তৈরির জন্য মৃত ত্বকের কোষগুলিকে সরিয়ে দেওয়ার এই প্রক্রিয়াটি প্রাকৃতিক একটি প্রক্রিয়া এবং এটি আমাদের সারাজীবন ধরেই ঘটে। প্রক্রিয়াটি দ্রুততর হলে কেবল তখনই মাথার ত্বক আঁশের ন্যায় স্তর দিয়ে ঢেকে যায়, যা আমরা খুশকি হিসাবে জানি। চিকিৎসকেরা প্রায়শই তাদের গর্ভবতী রোগীদের কাছ থেকে এই প্রশ্নের মুখোমুখি হন যে “গর্ভাবস্থা থেকে কি খুশকি হতে পারে?” এবং উত্তরটি সহজ গর্ভাবস্থায় খুশকি হওয়া বেশ সাধারণ এবং আপনি নিরুদ্বেগে থাকতে পারেন কারণ আপনি একাই কেবল এই সমস্যায় ভোগেন না। আপনার যদি এই সমস্যাটি আগে না হয়ে থাকে তবে এই সময়ে আপনার যে হরমোনগুলি কাজ করছে তা এটির একটি প্রধান কারণ হতে পারে।
গর্ভবতী অবস্থায় খুশকির কারণ কী কী?
ত্বকের মৃত কোষগুলির অত্যধিক বৃদ্ধি হলে খুশকি হয় এবং এটি অনেক কারণে ঘটতে পারে, সেগুলির মধ্যে অনেকগুলিই আপনার বর্তমান গর্ভবতী অবস্থার সাথে সংযুক্ত নাও হতে পারে। প্রায়শই এটি হরমোনের পরিবর্তনগুলির জন্য হয়। আসুন আমরা এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করি:
১. বেশি পরিমাণে তেল উৎপাদন
গর্ভাবস্থায়, হরমোনের পরিবর্তনগুলি ঘটা বেশ স্বাভাবিক এবং তা আপনার ত্বককে একাধিক উপায়ে প্রভাবিত করে। এই মাসগুলিতে, আপনার ত্বক আরও বেশি তৈলাক্ত হয়ে উঠবে যার ফলস্বরূপ আরও বেশি হারে নতুন কোষের উৎপাদন করবে। এর ফলে মৃত ত্বকের কোষগুলি দ্রুত জমে যায়, যার কারণে মাথার ত্বকে আঁশের ন্যায় স্তরে ভরে যায়।
২. শ্যাম্পু, তেল এবং কন্ডিশনারগুলির প্রতি সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি পাওয়া
গর্ভাবস্থায় খুশকি দেখা দেওয়ার প্রধান অবদানকারী হ‘ল চুলের তেল, শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনারের মতো চুলের যত্নের পণ্যগুলি। গর্ভাবস্থায়, আপনার শরীর রাসায়নিক এবং অ্যাডিটিভ বা এর সহযোগী উপাদানগুলির প্রতি অতি সংবেদনশীল হয়ে ওঠে এবং ত্বকের কোষগুলির অচিরাচরিতভাবে আঁশের ন্যায় স্তরে গঠিত হওয়া কেবল আপনার ত্বক থেকে প্রতিরক্ষামূলক প্রতিক্রিয়ার ফলস্বরূপ ঘটে। যদিও আপনার ত্বক এই পণ্যগুলিতে অভ্যস্ত এবং আপনি গর্ভাবস্থায় ব্র্যান্ডটি পরিবর্তন করেননি, কিন্তু এটি কেবল আপনার মাথার ত্বক ভিন্নভাবে প্রতিক্রিয়া দেখানোর জন্য হয়েছে যার ফলে আঁশের ন্যায় স্তর সৃষ্টি হয়েছে।
৩. দেহের অত্যধিক প্রতিক্রিয়া
আমাদের দেহের ত্বক হল সর্বদা বিভিন্ন অণুজীবের বাসস্থান। কেবল গর্ভাবস্থার সময়েই শরীর সংবেদনশীল হয়ে যায় এবং এই ব্যাকটিরিয়াগুলিকে এলিয়েন বা বহিরাগত হিসাবে দেখে। এটি শরীরকে এই অণুজীবগুলির কবল থেকে মুক্ত রাখার চেষ্টা করে যার ফল হল চুলকানি বা মাথার ত্বকে আঁশের ন্যায় স্তর সৃষ্টি হওয়া।
গর্ভাবস্থার খুশকির জন্য ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা
গর্ভাবস্থায় খুশকির প্রকোপ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব, যদিও আপনি সঠিক সমাধানটি খুঁজে পাওয়ার আগে কয়েকটি পরীক্ষামূলক পদ্ধতি করতে হতে পারে। প্রয়োজনে আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন ওষুধ প্রয়োগ ছাড়াও, হালকা খুশকির সমস্যার ক্ষেত্রে শ্যাম্পুগুলি প্রায়শই ভালো কাজ করে। তবে, যেহেতু ওষুধগুলি ব্যবহারকারীর উপর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে, তাই নিজে নিজেই ওষুধ নির্ধারিত করার পরিবর্তে আপনার ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করে নেওয়া ভাল। বিভিন্ন ধরণের টপিকাল ক্রীম, জেল এবং স্প্রে উপলভ্য রয়েছে যা এই বিরক্তিকর অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে পারে। এগুলিকে কেবলমাত্র চিকিৎসকের সাথে পরামর্শের পরই নেওয়া উচিত এবং ডোজ এবং চিকিৎসার সময়কালে কঠোর মনোযোগ দেওয়া উচিত।
মেডিকেটেড বা ওষুধযুক্ত খুশকি শ্যাম্পু ব্যবহার করা কি নিরাপদ?
যদি রোজকার শ্যাম্পুগুলি আপনার খুশকির অবস্থার চিকিৎসা করতে অক্ষম হয় তবে ওষুধের দোকানগুলিতে যে খুশকির শ্যাম্পুগুলি পাওয়া যায় সেগুলি একটি ভাল বিকল্প হওয়া উচিত। মনে রাখবেন যে সমস্ত খুশকির শ্যাম্পুগুলিই আলাদা প্রকৃতির হয়ে থাকে এবং আপনার যেটি উপযুক্ত সেটি খুঁজে পেতে বেশ কিছুটা পরীক্ষার প্রয়োজন আছে। কোনও ধরণের জ্বালা হলে যেমন চোখে চুলকানি, জ্বলন বা কিছু ফোটার অনুভূতি বা লালভাব দেখা দিলে, এর ব্যবহার বন্ধ করুন এবং এটি সম্পর্কে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।
১. কেটোকোনাজোল শ্যাম্পু
কেটোকোনাজোল একটি অ্যান্টিফাঙ্গাল এজেন্ট যা যখন অন্যান্য শ্যাম্পুগুলি অকার্যকর প্রমাণিত হয় তখন কাজ করে। এটি ওভার–দ্য–কাউন্টার রূপে অর্থাৎ ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়াই কেনা যাবে বা আপনার ডাক্তারকে আপনাকে একটি প্রেসক্রিপশন লিখে দিতে বলুন।
২. পাইরিথিওন জিঙ্ক শ্যাম্পু
এর মধ্যে রয়েছে জিঙ্ক পাইরিথিওন যা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্যযুক্ত। এই শ্যাম্পুটি আপনার মাথার খুশকি এবং সেবোরহিক ডার্মাটাইটিসের কারণে ঘটে থাকা মাথার ছত্রাককে হ্রাস করতে পারে।
৩. সেলেনিয়াম সালফাইড শ্যাম্পু
এই শ্যাম্পুগুলি ত্বকের কোষগুলির মরে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়। এগুলি রাসায়নিকভাবে রঙিন করা চুলকে বিবর্ণ করতে পারে, কেবল নির্দেশ অনুযায়ী এগুলি ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া, শ্যাম্পু করার পরে চুল অবশ্যই ভালোভাবে ধুয়ে ফেলবেন।
৪. আলকাতরা–ভিত্তিক শ্যাম্পু
এটি আপনার মাথার ত্বকের কোষের মরে যাওয়া এবং আঁশের ন্যায় স্তর সৃষ্টি হওয়ার প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়। কয়লার আলকাতরা হল কয়লা উৎপাদনের একটি উপজাত দ্রব্য যা খুশকি, সেবোরহিক ডার্মাটাইটিস এবং সোরিয়াসিসের মত পরিস্থিতিতে কার্যকর।
গর্ভাবস্থায় আপনি কীভাবে প্রাকৃতিকভাবে খুশকির চিকিৎসা করতে পারেন?
সময়ের সাথে–পরীক্ষিত নিম্নলিখিত প্রতিকারগুলি গর্ভাবস্থায় মাথায় খুশকি এবং আঁশের ন্যায় স্তর সৃষ্টি হওয়ার সাথে সম্পর্কিত সমস্যার ক্ষেত্রে জীবনদায়ী বলে প্রমাণিত হয়েছে। আপনার নিজের ক্ষেত্রে এগুলির কার্যকারিতা অনুসন্ধান করে দেখুন।
১. অ্যাপেল সীডার ভিনিগার
খুশকিতে আক্রান্তদের জন্য মাথার ত্বকের পরিশোধন চিকিৎসা হিসাবে ব্যবহৃত, অ্যাপেল সীডার ভিনিগার একটি মাথার ত্বকের পরিস্কারক হিসাবে জনপ্রিয়তার তালিকাগুলিতে দ্রুত উপরে উঠছে। এতে আশ্চর্যজনক অ্যান্টি–ব্যাকটেরিয়াল বা ব্যাকটেরিয়া বিরোধী এবং অ্যান্টি–ইনফ্লেমেটরি বা প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা খুশকি সৃষ্টিকারী ছত্রাককে অপসারিত করে মাথার ত্বককে পরিষ্কার রাখে। আপনি অ্যাপেল সীডার ভিনিগার দ্বিগুণ পরিমাণ জলের সাথে মিশিয়ে মাথার ত্বকে সারারাত লাগিয়ে রাখতে পারেন। সকালে এটি ধুয়ে পরিষ্কার করুন এবং সেরা ফলাফল পান।
২. ঘৃতকুমারী (অ্যালো ভেরা)
গর্ভাবস্থায় আপনার খুশকির সমস্যা অ্যালোভেরা ব্যবহার করে সহজেই সমাধান করা যেতে পারে। এর প্রাকৃতিক অ্যান্টি–ফাঙ্গাল বা ছত্রাক বিরোধী বৈশিষ্ট্যগুলি মাথার খুশকি সৃষ্টিকারী ঈস্ট এবং ছত্রাকগুলি অপসারণে সহায়তা করে। এটি মাথার ত্বককে শীতল করে এবং এটিকে ময়েশ্চারাইজ বা আদ্র করে, এইভাবে এটি আপনার ত্বকের মৃত কোষগুলি অপসারিত করে দেয়। অ্যালোভেরায় বেশ কয়েকটি ক্লিনজিং এনজাইম বা পরিষ্কারক উৎসেচক রয়েছে যা মাথার ত্বকের খুশকি এবং মৃত ত্বকের কোষগুলি অপসারণ করার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী। এটি একক প্রাকৃতিক ওষুধ হিসাবে বা অন্য কোনও প্রাকৃতিক প্রতিকারের সাথে ব্যবহার করে বিরক্তিকর আঁশের ন্যায় স্তরগুলি দূর করা যেতে পারে। সেরা প্রভাবের জন্য খাঁটি অ্যালোভেরা সরাসরি মাথার ত্বকে মালিশ করা যায়।
৩. রসুন এবং আরগান তেল
রসুন মাথার ত্বকে রক্ত প্রবাহ বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করে এবং আমাদের চুলে জমে থাকা ধূলিকণা, ঝুলকালি এবং অন্যান্য অশুদ্ধি দূর করে। মাথার ত্বককে উদ্দীপিত করার জন্য এটি সরাসরি মাথার ত্বকে ঘষা যেতে পারে। আরগান তেলে সূক্ষ্ম করে কাটা রসুন ডুবিয়ে দিন এবং এটি একটি পাত্রে সংরক্ষণ করুন।এই তেল আপনার চুলে এবং চুলের গোড়াগুলিতে রসুনের ভালো প্রভাবকে পৌঁছে দিয়ে এটিকে কার্যকরভাবে কাজ করতে সহায়তা করে।
৪. নারকেল তেল
এটি গর্ভবতী মহিলাদের খুশকি আটকানোর জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত এবং নিরাপদ পদ্ধতি। খুশকির বিরুদ্ধে এটির লড়াইয়ের ক্ষমতা সুপরিচিত এবং যেহেতু এটিতে কোনও ক্ষতিকারক রাসায়নিক নেই, তাই এটি কোনও উদ্বেগ ছাড়াই নিরাপদে ব্যবহার করা যেতে পারে। আপনি নারকেল তেল গরম করতে পারেন এবং এটি একটি তুলোর বল দিয়ে মাথার ত্বকে লাগান এবং প্রয়োগের এক ঘন্টা পরে ধুয়ে ফেলতে পারেন।
৫. সামুদ্রিক নুন
একটি তেল মিশ্রিত শ্যাম্পুতে খাঁটি সমুদ্রের নুন দুই থেকে তিন টেবিল চামচ যোগ করুন এবং এটি দিয়ে আলতো করে মাথার ত্বক থেকে আঁশের ন্যায় স্তরগুলিকে তুলে ফেলুন। আঁশের স্তরগুলিকে তুলে দেওয়ার পরে একটি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এই চিকিৎসা পদ্ধতি শুষ্ক ত্বকের চিকিৎসা করতে সহায়তা করবে যা খুশকি হওয়ার একটি কারণ।
গর্ভবতী অবস্থায় খুশকি হওয়া প্রতিরোধের জন্য পরামর্শ
যেহেতু প্রতিরোধ চিকিৎসার চেয়ে সবসময়ই ভাল, তাই প্রথমেই খুশকি রোধে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নিলে এবং পরে এটির চিকিৎসা করার ঝামেলা এড়ালে কেমন হয়। আপনার গর্ভাবস্থা খুশকি মুক্ত রাখা নিশ্চিত করার জন্য এখানে কয়েকটি দরকারী পরামর্শ রয়েছে:
-
স্ট্রেস সামলান
গর্ভাবস্থা একটি কঠিন সময় এবং এই সময় নানা রকম চাপ বা স্ট্রেস সৃষ্টি হতে পারে। আপনার ত্বকের এই অবস্থাটি বিভিন্ন স্ট্রেসের ফলস্বরূপ হতে পারে এবং তাই এই সময়ে খুশকি মুক্ত থাকার মূল চাবিকাঠি হল এটির মোকাবিলা করা।
-
ডায়েট ঠিক রাখুন
ভিটামিন বি এবং জিংকের অন্তর্ভুক্তি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, কারণ এটি কেবল ত্বকের কোষকে পুনরুজ্জীবিতই করে না, এটি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায় এবং আপনার দেহে অনুকূল বিপাক বজায় রাখে। কলা, ডিমের কুসুম, মাশরুম এবং ফুলকপি আপনার ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করলে এগুলির ভালো গুণগুলি আপনি পেয়ে যাবেন।
-
চুলের যত্ন
আপনার চুল এবং মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখতে একটি প্রস্তাবিত অ্যান্টি–ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। বাইরে ঘোরাঘুরি করার পরে চুল ধুয়ে ফেলুন এবং শ্যাম্পু দিয়ে আপনার চুল কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে প্রচুর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন, যাতে কোনও রকম শ্যাম্পুর অবশেষ মাথার ত্বকে লেগে না থাকে সে দিকে সতর্ক থাকুন। আপনার চুল ধোয়ার পরে অবশ্যই সঠিকভাবে শুকিয়ে নিন, কারণ আর্দ্রতা থেকে ত্বকের অন্যান্য জ্বালাও তৈরি হতে পারে।
চুলের যত্ন নেওয়া আমাদের দৈনিক ভিত্তিতে পরিচর্যার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে ওঠা উচিত এবং গর্ভাবস্থায় এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। মাথার ত্বক এবং চুল পরিষ্কার রাখা, সঠিক ডায়েট বজায় রাখা এবং স্ট্রেসের বা মানসিক চাপের মাত্রা ন্যূনতম রাখা খুশকির নিরাময়ে সহায়ক প্রমাণিত হতে পারে।