গর্ভাবস্থা নিজেই একটি অভিজ্ঞতা, যেটিতে একজন মহিলার অনেক রকমের শারীরিক ও মানসিক (জন্মোত্তর শরীরের পরিবর্তন) হয় এবং এই পরিবর্তনগুলি প্রতিটি মহিলার জন্য আলাদা।
একটি নতুন জীবনের জন্ম দেওয়া একটি বিশেষ ঘটনা হলেও, এটি একটি মানসিক এবং শারীরিকভাবে ক্লান্তিকর প্রক্রিয়া। ডেলিভারির সময় ও পরে পর্যাপ্ত যত্নের প্রয়োজন, কারণ শরীরের বেশিরভাগ পরিবর্তন হরমোনের মাত্রা কমবেশী হওয়ার কারণে ঘটে। এই সম্পর্কে জ্ঞান এবং সচেতনতা নারীকে সন্তানের জন্মের জন্য এবং একই সাথে সম্পর্কিত পরিবর্তনগুলির জন্য পর্যাপ্তরূপে প্রস্তুত হতে সহায়তা করতে পারে।
গর্ভাবস্থার পরে সাধারণ শারীরিক পরিবর্তন
প্রসবের পর নারী শরীরের কিছু পরিবর্তন নিম্নে দেওয়া হল, যার মধ্যে রয়েছে শারীরিক ও জীবনধারার পরিবর্তন, যেগুলিকে পর্যাপ্ত বোঝাপড়া, গ্রহণযোগ্যতা এবং ধৈর্যের সাথে ভালভাবে মোকাবিলা করা যেতে পারে।
1. চুলের পরিবর্তন
প্রসবের পরে হঠাৎ চুল পড়া বেশ সাধারণ এবং এই পর্যায়টি এক বছরের কাছাকাছি সময় ধরে চলতে পারে। এটা হয় কারণ প্রসবের পর ইস্ট্রোজেনের মাত্রা হঠাৎ করে কম হয়ে যায় যেটি গর্ভাবস্থায় বেশি থাকে এবং এই মাত্রাটি ধীরে ধীরে সময়ের সাথে স্বাভাবিক হয়ে যায় এবং চুলের বৃদ্ধির হার প্রাক–গর্ভাবস্থার সময়ের মতো স্বাভাবিক হয়ে যায়। এই পরিবর্তনগুলি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক এবং এই সম্পর্কে সতর্ক হওয়ার মতো কিছুই নেই। এছাড়া মুখের এবং শরীরের বাড়তি চোখে পড়ার মতো চুলও গর্ভাবস্থার পরে চলে যাবে। শিশু জন্মের পরের প্রথম 3-4 মাস চুল সবচেয়ে বেশী পড়ে, তারপর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে যায়।
2. স্তনের পরিবর্তন
মায়ের স্তন থেকে তৈরি প্রথম দুধটিকে ‘কোলোস্ট্রাম‘ বলা হয় – এই দুধটি পুষ্টি সমৃদ্ধ, ক্রিমের মতো এবং অ্যান্টিবডিতে ভরপুর। এই ‘কোলোস্ট্রাম‘ শিশুর জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি প্রতিরক্ষা সিস্টেমকে শক্তিশালী করে এবং সন্তানকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। কোলোস্ট্রামটি খুব অল্প পরিমাণে উপস্থিত থাকে এবং এই সময়ে, স্তনবৃন্তগুলি ফুলে ওঠে, ব্যথা থাকে এবং অত্যন্ত নমনীয় হয়ে থাকে, তাই সম্ভবত স্তন্যপান করানো অস্বস্তিকর হতে পারে। একবার দুধ উৎপাদন শুরু করলে, ব্যথা এবং ফোলা হ্রাস পাবে এবং বুকের দুধ খাওয়ানোতে কষ্ট হবে না। অনেক ক্ষেত্রে স্তন ঝুলে পড়তে দেখা যায় এবং কিছু ক্ষেত্রে, মায়েদের দুধ খাওয়ানো বন্ধ করার পরেও কয়েক সপ্তাহ ধরে দুধ লিক করতে দেখা দেয়, এগুলি সব স্বাভাবিক।
3. যোনির গঠনের পরিবর্তন
গর্ভাবস্থায় পেলেভিক মেঝে অনেকটা প্রসারিত হওয়ার কারণে, যোনি পেশীগুলি আলগা হয়ে যায় এবং এই এলাকাটি প্রসারিত বলে মনে হতে পারে। এটি পুরোপুরি আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারে না কারণ মূত্রাশয়, মলদ্বার এবং জরায়ু প্রসব শ্রমের পরে নীচে নেমে যায়। এটি ঠিক হতে কয়েক সপ্তাহ লাগে। ‘কেগেল‘ ব্যায়াম আপনার শিশুর জন্মের পরে শরীরের পরিবর্তনগুলি থেকে দ্রুত পূর্বাবস্থায় ফেরার প্রক্রিয়াতে সহায়তা করে।
4. শরীরের ওজন
প্রসবের পরে যখন শরীরের আকার পরিবর্তন হয়, গর্ভাবস্থায় প্রাপ্ত অতিরিক্ত ওজন যা সাধারণত 11 কিলোগ্রাম হয়ে থাকে, ধীরে ধীরে কমে যায়। কোষে ধরে রাখা অতিরিক্ত জলের সাথে গর্ভাবস্থায় ধরে রাখা অতিরিক্ত জল শরীর বের করে দেয়। প্রাথমিকভাবে, মায়ের অস্বাভাবিক ঘন ঘন প্রস্রাব এবং খুব বেশী ঘাম হয়। গর্ভাবস্থার প্রথম সপ্তাহেই বেশিরভাগ ওজন কমে যায়, যেহেতু অ্যামনিওটিক তরল, প্ল্যাসেন্টা এবং শিশুর ওজন অনুপস্থিত থাকে। গর্ভাবস্থার পরে অবিরতভাবে এবং ধীরে ধীরে ওজন হ্রাস হয়।
5. ত্বকের পরিবর্তন
পিতা–মাতা হলে, আপনার জীবনধারায় পরিবর্তন প্রচুর আসতে পারে। মা হওয়ার নতুন দায়িত্বের জন্য আসা চাপ এবং ক্লান্তি কেবল আপনার স্বাস্থ্যকেই নয় আপনার ত্বকেও প্রভাবিত করতে পারে। হরমোনের কমবেশী হওয়া এই অপ্রত্যাশিত ব্যাপারগুলিকে বাড়ায়। পরিষ্কার এবং উক্ক্বল ত্বকের মহিলারা প্রসবের পরের মাসগুলিতে ত্বকে অনেক বেশি ভাঙ্গন অনুভব করতে পারে। অন্যদিকে, গর্ভাবস্থায় সমস্যাযুক্ত ত্বকের মহিলারা জন্ম দেওয়ার পরে ত্বকে উন্নতি লক্ষ্য করতে পারে। বেশিরভাগ মহিলারা ‘ক্লোয়াজমা ফ্যাসিই‘ বা ‘মেলাজমা‘ এর অভিযোগ করেন – যেটি হল ত্বকের কালো দাগ বা গাঢ় রঙের অঞ্চল (ঠোঁট, নাক, গাল এবং কপালের প্রান্ত বরাবর)। এই গাঢ় রঙের অঞ্চল হালকা হয়ে যায় যদি মায়েরা সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে তার ত্বকের সুরক্ষা নিশ্চিত করে। প্রসারণ চিহ্ন গর্ভাবস্থায় অবশ্যাম্ভাবী এবং বিশেষ তেল ও লোশন ব্যবহার দ্বারা এটির প্রতিকার করা যেতে পারে। প্রসারণ চিহ্নও সময়ের সাথে সাথে বিবর্ণ হয়ে যায়।
6. পেট অঞ্চলের পরিবর্তন
প্রসবের পর, জরায়ু আংশিকভাবে সংকুচিত এবং অপেক্ষাকৃত ভারী (প্রায় এক কিলোগ্রাম ওজনের) থাকে এবং তলপেটের কাছে একটি ছোট বৃত্তাকার গোলার মতো অনুভূত হয়। প্রায় 6 সপ্তাহ সময়ে, এটির ওজন শুধুমাত্র এক আউন্স বা দুই আউন্স হয়ে যাবে এবং আর সুস্পষ্ট হবে না। লিনিয়া নিগ্রা বা কুশ্রী গাঢ় রেখা যা গর্ভধারণের সময় বেশিরভাগ মহিলাদের পেটের উপর তৈরি হয়, তা কয়েক মাসেই উধাও হয়ে যায়।
যাইহোক, পেটের উপর গর্ভাবস্থার প্রসারণ চিহ্ন দীর্ঘ সময়ের জন্য অব্যাহত থাকে। যখনই পেটের আকার ভীষণভাবে পরিবর্তিত হয় (তীব্রভাবে বা সময়ের সাথে সাথে) তখন প্রসারণ চিহ্নগুলির বিকাশ হয়। এগুলি গর্ভাবস্থার সময় উজ্জ্বল লাল থাকে, যা অবশেষে রূপালী রঙ এবং চকচকে চিহ্নতে পরিণত হয়। সাধারণত, বেশিরভাগ মহিলাদের প্রসবের পর পেটে কিছু চর্বি অবশিষ্ট থেকে যায়। পেটের মৌলিক ব্যায়ামগুলি আপনাকে একটি ক্ষীণতর আকৃতি ফিরে পেতে সাহায্য করতে পারে।
প্রসবের ঠিক পর, সংকোচনের কারণে জরায়ু কুঁচকে যায়। ক্রমাগত সংকোচনের ফলে গর্ভের ভেতরের প্রাচীর থেকে প্ল্যাসেন্টার বিচ্ছেদ সহজতর হয়। প্ল্যাসেন্টার প্রসবের পর, জরায়ুর সংকোচনের কারণে রক্তের নালীগুলিকে সংকুচিত হয় যাতে রক্তপাতের সম্ভাবনা হ্রাস পায় এবং প্লাসেন্টা যে জায়গায় পূর্বে সংযুক্ত ছিল সেই জায়গাটিকে সীল করে দেয়। এগুলির কারণে আপনি যে ব্যাথা অনুভব করেন তা “পরের যন্ত্রণা” নামে পরিচিত।
প্রসবের সাথে সাথে, জরায়ুর সর্বাধিক উচ্চতা ধীরে ধীরে হ্রাস পায়, যা বাইরে থেকে স্পর্শ করে বোঝা যায়। প্রথম কয়েক দিনে, এটি নাভি পর্যন্ত পরিব্যাপ্ত থাকে। প্রায় এক সপ্তাহের মধ্যে, জরায়ুর ওজন প্রায় এক পাউন্ড হয়ে যায় – অর্থাৎ প্রসব পরবর্তী ওজনের প্রায় অর্ধেক। প্রায় দুই সপ্তাহে, এটি সম্পূর্ণরূপে পেলভিসের মধ্যে অবস্থিত হয়, প্রায় এগারো আউন্স ওজনের হয়। এটি শীঘ্রই তার অ–গর্ভবতী আকার এবং ওজনে ফিরে যায় যা হল প্রায় সাড়ে তিন আউন্স। এটি গর্ভাধান অভিযোজন নামে পরিচিত।
7. প্রস্রাব এবং অন্ত্রের সমস্যা
মূত্রাশয়ের পেশীগুলি অত্যধিক প্রসারিত হওয়ার কারণে, নতুন মা সাধারণত ইনকন্টিনেন্স (স্বেচ্ছাপূর্বক নয় এমন ভাবে প্রস্রাব করা) অনুভব করে এবং মূত্রপথের পেশীগুলি আরও শক্তিশালী হওয়ার সাথে সাথেই এটি হ্রাস পায়। কিছু মা ‘হেমোরয়েডস (মলের রক্ত), অস্বস্তিকর আন্ত্রিক আন্দোলন বা কোষ্ঠকাঠিন্য অনুভব করতে পারে, কারণ আপনার অন্ত্রের মাধ্যমে চলমান খাবার প্রসবের সময় ধীর হয়ে যেতে পারে। জীবনধারায় পরিবর্তন – প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং যথেষ্ট ঘুমের সাথে স্বাস্থ্যকর ডায়েট গ্রহণ করলে নতুন মায়েদের এই সমস্যাগুলি মোকাবিলা করতে সহায়তা করে।
8. যৌন তাড়না
প্রসবের পর বাবা–মা উভয়ের জন্য একটি সমস্যাকারী পরিবর্তন হল ঘনিষ্টতা বা যৌন সম্পর্কের প্রতি মায়ের ইচ্ছা কমে যাওয়া। ভুল ধারনাকে দূরে রেখে, এটি ভালভাবে ডকুমেন্ট করা হয়েছে যে নতুন মায়েদের মধ্যে সবসময় যৌন তাড়না কমে যায় – প্রধান অপরাধী হচ্ছে ‘ইস্ট্রোজেন‘ বা মহিলা হরমোন। ইস্ট্রোজেন, যা মূলত এলএইচ হরমোন (লিউটিনাইজিং হরমোন) এবং এফএসএইচ হরমোন (ফলিকল স্টিমুলেটিং হরমোন) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, যৌন ড্রাইভ বজায় রাখে। এটি ধীরে ধীরে গর্ভাবস্থায় বৃদ্ধি পায় এবং প্রসবের পর হঠাৎ কমে যায়। এই মাত্রাগুলি ধীরে ধীরে সময়ের সাথে স্বাভাবিক হয় এবং এর জন্য চিন্তা করার খুব বেশি দরকার হয় না। এছাড়াও যৌনাঙ্গ অঞ্চলের ব্যথা এবং মূলত শিশুটির স্থায়ী দায়িত্বের সাথে সময় পরিচালনা করার অক্ষমতা এবং মানসিক চাপের কারণে যৌন তাড়না হ্রাস পায়।
9. বিষণ্ণতা
শিশুর জন্মের পরে বিষণ্নতা একটি প্রায়ই হওয়া, কিন্তু অবমূল্যায়িত এবং কম আলোচিত সমস্যা। এটি মোটামুটি সাধারণ এবং এর জন্য একাধিক কারণ রয়েছে:
- হরমোন মাত্রার কমবেশী হওয়া: ঠিক পিএমএস (প্রাক–মাসিক সিন্ড্রোম)-এর মতো, নারীরা প্রায়শই প্রসবের সময় ও পরে অনেকগুলি হরমোনগত পরিবর্তন অনুভব করে, যা বিষণ্ণতা সৃষ্টি করতে পারে।
- জীবনধারায় পরিবর্তন: সন্তানের জন্মের পরে, বেশিরভাগ মহিলারা নিজেদের এবং তাদের সঙ্গীদের পর্যাপ্ত সময় দিতে পারে না, যা অসন্তোষ ও বিষণ্নতার অনুভব তৈরি করে।
- বিশ্রামের অভাব: বর্ধিত দায়িত্ব অবসর এবং বিশ্রামের জন্য প্রয়োজনীয় সময় থেকে মহিলাদের বঞ্চিত করে।
- গর্ভাবস্থার পরে ব্যথা: এটি সাধারণ ব্যাপার যে মহিলারা সন্তানের জন্মের পরেও ব্যথা অনুভব করতে থাকেন, যা বেশ বিরক্তিকর হতে পারে।
জন্মোত্তর বিষণ্নতা মূলত রূপান্তরের একটি সময়। মায়েদের নিশ্চিত করতে হবে যে তারা নিজেদেরকে সময় দেবেন এবং তাদের পরিবারকে নিশ্চিত করতে হবে যে নতুন মা তার প্রয়োজনীয় সমস্ত সহায়তা পায়।
10. পিঠে ব্যাথা
গর্ভাবস্থায় অনেক দিন ধরে পেটের এবং পিঠের পেশীগুলিতে অস্বাভাবিক ও অত্যধিক চাপ পড়ে। প্রসারিত পেটের পেশীর তাদের স্বাভাবিক আকার আয়তন ফিরে পেতে একটি সময় লাগে। পিঠের পেশীগুলিতে শিশুর অতিরিক্ত ওজন বহন করার জন্য চাপ পড়ে ও ব্যথা সৃষ্টি করে এবং এটি ততদিন পর্যন্ত থাকে যতদিন না পেশীগুলি তাদের স্বাভাবিক আকার ফিরে পায়। একটি বেঠিক ভঙ্গি ব্যথা বাড়াতে এবং এটিকে আরও খারাপ করতে পারে।
11. পরের যন্ত্রণা
সন্তানের জন্মের পরে জরায়ু সংকুচিত হয় এবং তার মূল আকারে ফিরে যায়। এই মাঝে মাঝে হঠাত করে হওয়া সংকোচন ব্যথা খুব বাড়িয়ে দেয় যাকে বলে – পরের যন্ত্রণা। এগুলি প্রসব শ্রমের সংকোচনের মতো একই রকমের বা বরং হালকা এবং বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় আরো ঘন ঘন হয়। এর কারণ হল বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় অক্সিটোসিন মুক্তি পায়, যা জরায়ুর সংকোচনের কারণ হয়।
12. অস্বাভাবিক রক্তপাত
জন্ম দেওয়ার পরে যোনি থেকে লোচিয়া বা অস্বাভাবিক তরল ক্ষরণ হল একটি সাধারণ লক্ষণ। লোচিয়াতে রক্ত, ব্যাকটেরিয়া এবং জরায়ুর আস্তরণের টিস্যু থাকে। এটিতে প্রাথমিকভাবে রক্ত থাকতে পারে এবং মাসিক রক্তের অনুরূপ পুরু হতে পারে। যত দিন যায়, স্রাবের পরিমাণ হ্রাস পায় এবং স্রাবের রঙ হালকা হয়ে যায় এবং প্রায় দুই থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়। চার থেকে ছয় সপ্তাহের পরেও অন্তর্বর্তী স্পটিং বা ‘শো‘ কিছুদিন চলতে পারে।
উপসংহার
নারী সাধারণত জন্ম দেওয়ার পরে কিছু শারীরিক পরিবর্তন অনুভব করে, যা ধৈর্য ধরে সমাধান না করলে, বিরক্তিকর হতে পারে। চুল, ত্বক, শরীরের ওজন, স্তন, যৌনাঙ্গ, পেট এবং পরিবর্তিত প্রস্রাব এবং মলত্যাগের অভ্যাসে পরিবর্তনগুলি দেখা যেতে পারে। এটি জানা গুরুত্বপূর্ণ যে এই পরিবর্তনগুলি শারীরবৃত্তীয় (প্রাকৃতিক) এবং এটি চার থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যেতে বাধ্য, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোনও সক্রিয় হস্তক্ষেপ বা চিকিৎসা সহায়তা ছাড়াই। একটি সুষম, পুষ্টিকর খাদ্য এবং যোগব্যায়াম বা অ্যারোবিক্স দিয়ে নিয়মিত মাঝারি ব্যায়াম সহ সুস্থ জীবনধারা সাধারণত শিশুর জন্মের পরে এই শরীরের পরিবর্তনগুলি মোকাবেলা করতে সহায়তা করতে পারে।