বুকের দুধ খাওয়ানোর পর্ব শুরুর সময় থেকে বাচ্চাদের একবার শক্ত খাবারের সাথে পরিচয় করানোর জন্য মায়েরা প্রায়ই আগ্রহ প্রকাশ করেন। তবে খাদ্য পছন্দের বিস্তর বিভিন্নতার মধ্যে বেশীর ভাগ খাদ্যই আপনার বাচ্চা একটু বড় হলেই খাওয়ানো যেতে পারে। যাইহোক একটি চার মাসের বাচ্চাকে কলার মন্ড খাওয়ানো বেশ উপকারী বলেই জানা যায়।
কলা পছন্দের সময় এটি দেখে নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে,সেটি যেন তাজা ও পাকা হয়।সেইসব কলাই বেছে নিন যেগুলির বাইরের খোসাটি কোনরকম দাগ ছাড়াই মসৃন এবং সম্পূর্ণ হলুদ বর্ণের হয়।সবুজ বা কাঁচাকলা হলে সেগুলিকে সঠিকভাবে পাকাতে হবে,যে কলাগুলির বাইরের খোসাটিতে কালো দাগ হতে শুরু করে বুঝতে হবে সেগুলির পাকার সময় পেরিয়ে গেছে।
কলার মন্ডের জন্য একটি মসৃন ও নরম মিশ্রণ তৈরি করা অত্যন্ত জরুরী যাতে বাচ্চারা সেটি সহজেই গ্রহণ করতে পারে।এটি তৈরির জন্য পাকা ও পুষ্টিকর কলা নেওয়া অপরিহার্য।এগুলি ভালভাবে চটকে নিতে হবে এবং তার ফলে এগুলির প্রাকৃতিক স্বাদ আরো বেশি মাত্রায় পাওয়া যাবে।
জলের সাথে সামান্য ভিনিগার মেশান এবং তাতে কলাটিকে ধুয়ে নিন। এইটি সমস্ত ব্যাকটেরিয়া দূর করে।এরপর ঠান্ডা জলে ধুয়ে নিয়ে কলাটিকে শুকনো করুন, তারপর তার খোসা ছাড়িয়ে ফেলুন।কলাটিকে ছোটো ছোটো টুকরো করে কাটুন এবং শেষ অংশটুকু বাদ দিন।
কলার মন্ড তৈরির জন্য একটি ব্লেন্ডার ব্যবহার করা সবচেয়ে ভাল,যাতে মন্ডটির গাঢ়ত্ব সঠিক রূপে হয়।লক্ষ্য করবেন মন্ডটি ধীরে ধীরে সামান্য বেগুনী–বাদামী রঙ হতে শুরু করবে।আবার আপনি মন্ডটিকে পাতলা করার জন্য পুনরায় তাতে জল মেশাতে পারেন।অন্য বিকল্প হল আপনি জলের পরিবর্তে কলার মন্ডটিতে বুকের দুধ অথবা কৌটোর দুধও মেশাতে পারেন।
যদিও কলার মন্ডটির নিজস্ব স্বাদই খুব ভাল তবুও এটির সাথে আপনি অন্য খাদ্য উপকরণ যোগ করতে পারেন যা এর স্বাদের মাত্রা আরো বাড়িয়ে তুলবে।সেরা বিকল্প হিসেবে কলার মন্ডটির সাথে ফলের মধ্যে পিচ, চেরি,অথবা আবার দইও মেশাতে পারেন।
অবশিষ্ট যে কোন মন্ড বা পিউরিকে একটি পরিস্কার স্বাস্থ্যকর জীবণুমুক্ত পাত্রে ভর্তি করে ঢেলে সেটিকে ফ্রিজের ভিতরে রেখে দিতে পারেন তিনদিনের জন্য।এইভাবে মন্ড বা পিউরিটি আগের মতই ততটাই ভাল থাকবে,যা আপনি আপনার বাচ্চাকে খাওয়াতে পারবেন।
নতুন খাবারের সাথে পরিচয় ঘটা সব সময়ই আকর্ষণীয় হয়।বিশেষত যখন বাচ্চার সাথে নতুন ধরণের বিভিন্ন খাবারের পরিচয় করানোর সময় হয় কলার মন্ডটি বা পিউরিটি কিছুটা নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।যদি কোন কারণে আপনি আপনার বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় অন্য কোন নতুন খাবারের সাথে পরিচয় করাতে চান তবে তার আগে একবার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিন,তিনি জানিয়ে দিতে পারেন এ ব্যাপারে আপনার বাচ্চার সম্ভাব্য এলার্জির কোন লক্ষণ আছে কিনা।