অর্থ সহযোগে 150 টি হিন্দু শিশু পুত্রের নাম

অর্থ সহযোগে 150 টি হিন্দু শিশু পুত্রের নাম

হিন্দুত্ব হল ধর্মের থেকেও বেশি জীবনধারার একটি উপায়।সারা বিশ্বের লোক এর নীতি,সংস্কৃতি,দর্শন অনুসরণ করে থাকেন এবং তাদের জীবনযাত্রার মধ্যে এর অর্থ এবং রীতি নীতি,প্রথাগুলিকে অন্তর্ভূক্ত করে তাদের জীবনকে সমৃদ্ধ করে তোলেন।উজ্জ্বল দিকটি হল,এটি আবার মা-বাবাদের আদরের সন্তানের জন্য সুন্দর এবং অনন্য নামগুলি যৌতুকরূপে তুলে দেয়।যদি আপনি আপনার শিশু পুত্রের জন্য একটি হিন্দু নামের খোঁজ করে থাকেন অথবা এরকম কোনও ধারণার জন্য চিন্তা-ভাবনা করে থাকেন,সেক্ষেত্রে ফাস্টক্রাই আপনাকে সম্পূর্ণ সাহায্য করে।

হিন্দু শিশু পুত্রের অনন্য নামগুলি যেগুলি স্পষ্টতই স্বতন্ত্র

এখানে আপনার জন্য শিশু পুত্রের ভারতীয় হিন্দু অনন্য নামগুলির একটি তালিকা প্রকাশ করা হল।এই নিবন্ধে আমরা আবার কিছু অপ্রচলিত শিশুপুত্রের নাম এবং আরও কিছু বিষয়ে প্রবেশ করব,কিন্তু এখনকার জন্য এদিকে দৃষ্টি দিন এবং বিস্মিত হন।

নাম অর্থ
আদ্বান
সূর্য/যা জীবনকে আলোকিত করে।
আহন ভোর বা ঊষালগ্ন
আকভ আকার বা গঠণ
আকিল চালাক/চতুর/বুদ্ধিমান
আনন
বাইরের বা বাহ্যিক ভাবমূর্তি/শারীরিক চেহারা
আনভ
মানবিক/যে সকলেরর প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করে
অভীক
যাকে সবাই ভালবাসে/যে ভয় পায় না
অনিশ অদ্বিতীয়/সর্বশ্রেষ্ট
অপূর্ব
ব্যাতিক্রমী/অনন্য/অপ্রচলিত
অর্চিশ আলোর রশ্মি/আশা
অর্থ মানে/অর্থপূর্ণ
অধীর শক্তি/ব্জ্র/চাঁদ
ভদ্রক সুন্দর/সাহসী
ভবতু ভগবানের স্তব
বিপুল প্রচুর/অনেক/ঢের/প্রতুল
বিনয়
নম্র/ভদ্র/যার কোনো অহং নেই
চয়ন
কিছু সংগ্রহ করার কাজ (এছাড়াও জনপ্রিয় প্রচলন হল ‘চাঁদ’)
চৈতন্য
শক্তি/জীবনীশক্তি(এর উৎপত্তির পিছনে যে সন্ধানটি পাওয়া যায় তা হল প্রাচীন বৈষ্ণব সাধু যিনি পরিচিত ছিলেন চৈতন্য মহাপ্রভু নামে তাঁর নামানুসারে)
চৈত্য
যিনি প্রত্যক্ষ করতে সক্ষম এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন
চিতিন
বুদ্ধিমান(এটি আবার এমন একটি শব্দ যেটি শুনতে মধুর লাগে)
চিত্বন
ধ্যান করা/চিন্তা করা/ভাবা/মনস্থ করা
দেবজ
দেবতার থেকে জন্ম/দেবতাদের থেকে দেওয়া
দেবক
ঐশ্বরীক/পবিত্র/ধার্মিক/বিশুদ্ধ
দীপ্ত
যার ভাবমূর্তি ঈশ্বরের বা ঐশ্বরিক কবির চেহারার সাদৃশ্যের সমতুল্য।
ধনবীন
ভগবান শিবের অন্য নাম / ভিন্নমতে ভগবান রামের অপর নাম
ধীর
ধৈর্য্য/যিনি কঠিন সময়েও শান্ত থাকেন
ধিরা
ভয়শূণ্য/যার সাহস সীমাহীন
ধৃষ্ট
ভয়হীন/ যিনি সাহসী এবং সপ্রতিভ
ধৃষ্ণু
এটি একটি ঐতিহ্যগত নাম যার অনুবাদ হল “মনুর পুত্র”
দ্রাভীন
প্রাচুর্য/শক্তি/পরাক্রম/ধন সম্পদ
দলজিৎ
যে অন্য সকলের উপর জয়লাভ করতে পারে
দেবরত আধ্যাত্মিকভাবে ইচ্ছুক
ধনরাজ ধন সম্পত্তির শাসক
দয়াংশ
যে দয়া প্রদর্শন করে/ক্ষমাকারী
দ্রাব্য তরল(জলের মত)
দিবনেশ সূর্য
দিব্যান্ত সুন্দর ব্যক্তি/সুপুরুষ
এধাস সুখ/আনন্দ/ইতিবাচক
এহন
আশা করা হয়(আপনি যদি ভবিষ্যতের জন্য আপনার সন্তানের থেকে কিছু আশা করে থাকেন,এই নামটি চয়ন করতে পারেন)
এরিশ
যার অনুবাদ হল “আনন্দময়” যার অর্থ জীবনের ছোটখাটো জিনিসগুলিকে আনন্দের সাথে উপভোগ করা এবং সেই মুহূর্তটির মধ্যে যতটা সম্ভব জীবনকে উপভোগ করা
একদক
অবিকল/একই রকম দেখতে(যেমন যমজ)
এষণা
আকাঙ্খা/কামনা/উদ্দেশ্য/লক্ষ্য
গলভ
ঋষি/আবলুস কাঠ/শক্তিশালী/পদ্ম গাছের ছাল
গমন
কোথাও যাত্রা করা/কোনওকিছুর অভীষ্ট সিদ্ধির প্রক্রিয়া‍য় যাওয়া
গৌশিক
ভগবান গৌতম বুদ্ধকে সম্বোধন করার একটি অন্যতম বিরল নাম
হৃষিকেশ
ভগবান শিবের অপর আরেক নাম
হরিন
এটি মূলত শিশু পুত্রের একটি কল্পিত নাম যা অনুবাদ করলে হয় “শুদ্ধ” অথবা “পরিষ্কার”
হরিশ্ব
বহু শতাব্দী আগে সন্ধান করে জানা যায়,এটি ভগবান শিবের অন্যতম একটি বিরল নাম
হৃদয়
মন বা অন্তর(লাজুক,সৃজনশীল এবং ইতিবাচক শক্তির সাথে উদ্বেল হওয়া শিশু পুত্রদের জন্য এই নামটি মানানসই)
ঈরিশ পৃথিবীর দেবতা

শিশুপুত্রদের আধুনিক এবং অত্যাধুনিক হিন্দু নামের তালিকা

প্রত্যেকেই ধ্রুপদী নামগুলি পছন্দ করেন,তবে আধুনিক মা-বাবারা হালে চলা সর্বাধুনিক নামের ধারাগুলির সাথে এগিয়ে চলতেই এখন বেশি পছন্দ করে থাকেন।শিশুদের জন্য এখনকার জনপ্রিয় চটুকে নামগুলি শুনতে কোনও অংশেই ঐতিহ্যবাহী লাগে না এবং এমনকি সেগুলি হয়ত আপনাকে বিস্মিতও করে তুলতে পারে।এখানে নবজাত শিশু পুত্রের 100 টি নামের তালিকা দেওয়া হল যেগুলি প্রকৃতই আদর্শ এবং আধুনিক।

নাম অর্থ
অশ্বিন
সূর্য এবং সঞ্জনার যমজ পুত্রের নাম দ্বারা উৎসাহিত, নামটি ঘোড়সওয়ারের নাম থেকে অনূদিত
আয়ুস্মান
যিনি দীর্ঘায়ূ এবং সফল ব্যাক্তি
আরভ
যিনি বুধধিমত্তার দ্বারা উদ্বেলিত
অভিমন্যু মর্যাদা / আবেগ /বীরত্ব
অর্ণব
যিনি প্রকৃতির পাঁচটি উপাদানের যথা অপ, অগ্নি, ক্ষিতি, মরূৎ এবং ব্যোম এর প্রতিনিধিত্ব করেন
অনিরুদ্ধ
যিনি সহজেই যেকোন সমস্যা অতিক্রম করেন বা যাকে থামানো যায় না
অনুরাগ
পুংবাচক শব্দ যা প্রেম এর অন্যরূপ হিসাবে ব্যবহৃত হয়
ভাবিন
সাধারণ মানুষ/যিনি জীবিত আছেন
বিদ্যুৎ
বজ্র্য/যিনি জ্ঞানের আলোকে আলোকিত হয়েছেন/যিনি জ্ঞানের অধিকারী
ভার্গব
ধর্নুধর/যার ধারণা আছে/প্রভাশালী
ভাস্কর
নায়ক/স্বর্ণ নির্মিত/উজ্জ্বল সূর্য
বরেন
লাস্য/ভগবান ইন্দ্রের একটি জনপ্রিয় নাম
বর্তন
যে অঞ্চলে একবার বার্লি ফসলটি হয়
বাহুবলী
অনুবাদে হয় ‘জৈন তির্থঙ্কর’
চরণ চরণযুগল
চতুর বিদগ্ধ / মেধা
চেরান কেরলের রাজা
চিন্যাইয়ান রাজকুমার
দেবাশীষ ঈশ্বরের আর্শীবাদ ধন্য
দিপেশ আলোর দেবতা
দিগন্ত চক্রবাল/অসীম/অশেষ
দেবেশ দেবতাদের দেবতা
ঈশ্বর ভগবান
ইলগান জ্যোতির্ময় চক্র
ইশর আশীর্বাদ/সমৃদ্ধি সম্পন্ন
অরমান
দেবতার একজন বন্ধু / দেবতার মিত্র
ইকাম
একটি শিশুর মধ্যে দুই ব্যাক্তির আলোকের উদ্ভাস
এডি ভেষজ / ঔষধি উদ্ভিদ
এলাঙ্গ রাজকুমার / রাজার পুত্র
একতান দৃষ্টি নিবদ্ধ
ফণীন্দ্র ভগবান শিবের অপর নাম
ফলগু প্রিয়/স্নেহসঞ্চারক
ফণীশ্বর সর্পদের দেবতা
গণপতি ভগবান গণেশ
গড়াল যাকে সবাই ভালোবাসে
গুপিল গুপ্ত
জ্ঞানদেব বিদ্যার দেবতা
গদাধর ভগবান বিষ্ণুর এক নাম
হেমন্ত শীতের আগের ঋতু
হেমদেব সম্পদের দেবতা
হেমেন্দ্র সোনার দেবতা
হরিরাজ সিংহদের পরিচালক
হর্শিল সুখী
হরগোপাল ভগবান শ্রীকৃষ্ণ
হৃদয় প্রেম/ভালোবাসা
হিতেশ
যে সকলের মঙ্গলের কামনা করে
হিমেশ পৃথিবীর দেবতা
হিমাঘ্ন সূর্য
ইরানা সাহসের দেবতা
ইলাকিয়েন
সাহিত্যিক প্রতিভা আছে যার
ইলান্থিরিয়ান
তারুণ্য/তেজোময়/জীবনীশক্তি
ইসাইকো গানের পরিচালক
ইনিয়ান ভাল স্বভাবের
জ্বলন্ত প্রভা বা ঔজ্জ্বল্য
জ্যোতির্ধর
যে আগুনকে পরিচালনা করে
জিনিয়া যে কথা রেখে কাজ করে
জীবজ
জীবনীশক্তির সাথে উদ্বেল/জীবন্ত
জাভীন দ্রুততর/শীঘ্র/চটজলদি
জয়ন্ত জয়/বিজয়ী
জগদীশ্বর
মহাবিশ্বের দেবতা/বিশ্ব সংসারের দেবতা
কুথান শৈল্পিক প্রতিভা
কর্নাম জনপ্রিয়/বিখ্যাত
কীথন ঐশ্বরীক গুঞ্জনধ্বনি
কেশব
ভগবান বিষ্ণুর আরেক নাম
কবিশ গণেশের আরেক নাম
লক্ষ্য উদ্দেশ্য/লক্ষ্যবস্তু
লেখ লেখা/নথিপত্র
লোহেন্দ্র ত্রিভুবনের দেবতা
লোকাজিত গ্রহজয়ী
লালমণি চুনি
লভ্যম সূর্য
লুহিত
অরুণাচল প্রদেশের একটি নদী
লোহিত মঙ্গল গ্রহ
মহম্মদ
সন্ত/ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক
মান্নানেউ পালন বা উদযাপন
মূর্তি
প্রতিমা/পথিকৃৎ/যাকে দেখা হয়
মেহিথ
ধনাত্মক/যে সব সময়ে হাঁসে বা সদা হাস্যময়
মাতঙ্গ
মুনি/ললিতা দেবীর আরাধনা করে যে
মৌলিক দামি/দুর্লভ
নচিকেত কৌতুহল উদ্রেককারী
নিয়াথ ব্যবহার/পরিচালনা
নীল নীল রং
নীর্ধর জলের শাসনকর্তা
নির্ময়
শুদ্ধ/পরিষ্কার/মঙ্গল কামনা
নিহিত ঈশ্বরের উপহার
নিরাঙ্কার গঠন বিহীন
নিবোধ জ্ঞান/তথ্য
নীহাল নতুন/আসল
নলেশ ফুলের দেবতা
নরুন
যে মনুষ্য জাতিকে পরিচালনা করে
অর্মান সমুদ্র পুত্র
ওরিয়ন অগ্নিশিখার পুত্র
অপ্পিলা আসল/একটি মাত্র
ওহা ধ্যানমগ্ন/সত্য জানে যে
অভিয়ান শিল্পী/স্বজ্ঞাত/সৃষ্টিশীল
প্রবস্থিক সবদিকে দক্ষ
ঋজু সোজা/স্থিরীকৃত/সিধা
ঋজুল অকপট/সৎ
ঋথুল
যে সত্যি কথা বলে বা সত্যবাদী
স্বপ্নিল স্বপ্নে আসে যে

আপনার শিশু পুত্রের জন্য সবচেয়ে সেরা হিন্দু নামটি চয়ন করার পরামর্শগুলি

আপনার শিশু পুত্রের জন্য সবচেয়ে সেরা হিন্দু নামটি চয়ন করার পরামর্শগুলি

শিশু পুত্রের জন্য একটি হিন্দু নাম চয়ন করা মোটেই কোনও সহজ কাজ নয় যেহেতু আপনার কাছে নামের অসংখ্য বিকল্পগুলি রয়েছে।আর একটা নাম হল এমন একটা শব্দ যেটি তার বাকি থাকা সমগ্র জীবনটির সাথে জুড়ে থাকে।মা-বাবারা তাদেরসন্তানেরনামকরণকেএকটিআনন্দদায়কএবংশুভঅনুষ্ঠানবলেমনেকরেন,যাতাদেরসংস্কৃতিএবংধর্মের শিকড়ের সাথেগভীরভাবে আবদ্ধ।

এখানে আপনার জন্য কয়েকটি পরমর্শ রইল যেগুলি আপনার কাজে আসতে পারে আপনার বাচ্চাকে কোন নামটি দিতে চান সে ব্যাপারে অথবা কীভাবে তার নামকরণ করবেন তার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেঃ

1. আপনার দৃষ্টিভঙ্গীর প্রতিফলন

বাচ্চার সাথে যে নামটি সারাজীবন সংলগ্ন থাকে,দিনের শেষ পর্যন্ত সেটি একটি অর্থবহ হওয়া উচিত,আপনার জীবন চিত্রের পথে এবং কীভাবে আপনি ভবিষ্যৎ দেখেন,তার সবের সাথে।এমন একটি নাম খোঁজার চেষ্টা করুন যেটি এই আবেগ অনুভূতির সাথে অথবা দৃষ্টিভঙ্গীর সাথে মিলে যায়।শিশুরা তাদের মা-বাবার জীবনে একটি অর্থ নিয়ে আসে এবং প্রদত্ত নামগুলি এমনভাবে গঠণ করা উচিত যা তাদের দর্শন এবং আকাঙ্খাকে বাস্তবে পরিণত করার ক্ষেত্রে যথাযোগ্য হয়ে ওঠে।

2. নামের আদ্যক্ষরগুলি পরীক্ষা

এই কৌশলটি কেবলমাত্র হিন্দু নামের ক্ষেত্রেই নয়,আপনার চিন্তা করা যেকোনও নামের জন্যই এটি প্রযোজ্য।উদাহরণ হিসাবে বলা যাক,যদি আপনার বাচ্চার পুরো নাম আর্য মণ্ডল হয়ে থাকে-এর আদ্যক্ষরগুলি উচ্চারণ করে বানান করুন এবং দেখুন কীরকম শব্দ আসে।এ ক্ষেত্রে এটি হল “আ” . “ম” ‌এবার এই দুটি অক্ষর একসাথে জুড়ে দিলে দাঁড়ায় “আম” অর্থাৎ একটা ফলের নাম।এবং এক্ষেত্রে স্কুলে এটা নিয়ে তার সাথে মজা করার সম্ভাবনা থাকতে পারে।যখনই কোনও নাম বাছবেন,দেখবেন যে সেই নামের পদবীর সাথে এবং নামের আদ্যক্ষর যোগ করে যে শব্দটি তৈরী হবে সেটি যেন কোনও ভবেই মজার বা অদ্ভূত শুনতে না লাগে।যা পরবর্তীতে বাচ্চার সাময়িক হলেও অসুবিধার সৃষ্টি করতে পারে।

3. সংখ্যাতত্ত্বের ব্যবহার

আপনি মনে মনে সংখ্যাতত্ত্বের দ্বারা বাচ্চার নাম চয়ন করতে পারেন।এটি এভাবে করা যেতে পারে যখন আপনি একটি পয়মন্ত সংখ্যা তুলে নেবেন সেই সংখ্যার সাথে মিলে যাওয়া নামটিই আপনার বাচ্চার নাম হয়ে উঠতে পারে।

4. এটিকে স্মরণীয় করুন

নামটি এমন হওয়া উচিত যাতে সহজে মনে রাখা যায় এবং স্মরণীয় হয়।আপনার বাচ্চাকে এমন একটি নাম দিন যেটি বেশ ছোট হবে এবং যখন সেটি জোরের সাথে উচ্চারণ করা হবে তখন যেন সেটি বেশ নজর কাড়া এবং আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে এবং শুনতে এতটাই ভাল লাগে যে,তা শুনে যেন মনে হয়-এটি বেশ ভাল পছন্দ করা হয়েছে।নামটি পৌরাণিক কাহিনী ভিত্তিক কোনও চরিত্রগত হতে পারে,যা তাদের জীবন পথে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে অথবা প্রকৃতির কোনও উপাদানকে উপস্থাপন করতে পারে।এটি আবার দর্শনের সাথে কোনও মানুষের আবেগেরও প্রতিনিধিত্ব করতে পারে।যদিও এ ব্যাপারে অন্বেষণ করার মত অনেকগুলি ক্ষেত্র রয়েছে তবে সবচেয়ে বড় বিষয়টি হল,যদি আপনার মনোনীত নামটি বেশ বড় এবং উচ্চারণ করার ক্ষেত্রে খুব কঠিণ হয়ে থাকে-সেটি হবে ভীষণ খারাপ ধারণা।নামটিকে যথা সম্ভব সুন্দর এবং সংক্ষিপ্ত রাখুন।

5. কোনও দেবতার নামানুসারে নাম রাখুন

আপনি যদি বাচাকে ঐশ্বরিক স্পর্শ দিতে চান,সেক্ষেত্রে কোনও ভগবানের নামানুসারে তার নামকরণ করতে পারেন।হিন্দু ধর্মে প্রায়ই বিশ্বাস করা হয় যে,ভগবানের নামানুসারে বাচ্চার নামকরণ করা হলে সে ঈশ্বরের আশীর্বাদ লাভ করে থাকে যা ভবিষ্যতে প্রকাশ পায়।

6. নাম নির্বাচনের ক্ষেত্রে রাশিচক্রের চিহ্ন এবং সময় ধরে চিন্তা করুন

আপনি যদি জ্যোতিষ শাস্ত্রের ধারণাটিকে বিশ্বাস করেন,তবে রাশিচক্রের চিহ্নগুলি এবং জন্ম সময় অনুযায়ী নামকরণ করলে তা ফলদায়ক হতে পারে।

7. ঐতিহ্য অনুসারী হন

যদিও আমরা বুঝলাম যে একটি আধুনিক এবং দৃষ্টি আকর্ষণকারী নাম অন্যান্যদের প্রভাবিত করে তবে অনেক সময় দেখা যায় যে ধ্রুপদী নামগুলি সবকিছুকে ছাপিয়ে যায়।আপনি হয়ত চাইবেন আপনার ছেলের নামটি বেশ বড় হবে কিন্তু যেটি মনে রাখতে সুবিধা হবে,অনন্য এবং পড়ার যোগ্য হবে-এমন নাম তবে কেন নয়?

যখন আপনি একটা নাম পছন্দ করেন, তখন চিন্তা করার ব্যাপারে যত্নশীল হন এবং চিন্তা করুন।

আবেগের উপর ভর করে কখনও আপনার সন্তানের নাম রাখবেন না এবং আপনার বিকল্পগুলি স্থির করার ক্ষেত্রে ভাল ভাবে চিন্তা করে মাথা ঘামান।কারণ তাদের নামকরণ করার পর একবার সেটি কাগজে কলমে করা হয়ে গেলে তখন আপনি তা ঝোঁকের বশে কিম্বা সেকেন্ডের মধ্যেই আর পরিবর্তন করতে পারবেন না।সুতরাং সাবধানে চিন্তা ভাবনা করুন,এ ব্যাপারে স্থির সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আপনার পরিজন বর্গের সাথে অথবা বন্ধুবান্ধবের সাথে বসে আলোচনা করুন।