যেসকল মহিলা গর্ভধারণ করতে সমস্যায় পড়েন তারা হয়ত এটি মনে করতে পারেন যে এর সম্ভাব্য কারণগুলি হয়ত অনেক ধরনের হয়ে থাকে।গর্ভবতী হতে না পারার অনেকগুলি কারণের মধ্যে একটি হতে পারে ফ্যালোপিয়ান টিউবগুলিতে ব্লকেজ বা বাধা যা টিউবাল ফ্যাক্টর ইনফার্টিলিটি বা বন্ধ্যাত্ব হিসাবে পরিচিত।ফ্যালোপিয়ান টিউবগুলির একটি বাধা শুক্রাণুটিকে ডিম্বাণুতে পৌঁছতে বাধা দেয় অথবা আবার কোনও কোনও ক্ষেত্রে নিষিক্ত ডিম্বাণুটিকে প্রতিস্থাপনের জন্য জরায়ুতে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রতিরোধ করতে পারে।
ফ্যালোপিয়ানের টিউবের ব্লকেজ বিভিন্ন কারণের জন্য হয়ে থাকতে পারে।আর এর কারণ নির্ধারণের জন্য ডাক্তাররা সাধারণত হিস্টারোস্যালপিঙ্গোগ্রাম বা এইচ এস জি টেস্ট নামক একটি ডায়গোনস্টিক পরীক্ষা করানোর সুপারিশ করেন।ফ্যালোপিয়ান টিউবগুলি কনজাসটেড বা ঘিঞ্জি হয়ে গেছে কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য এইচএসজি টেস্টের সাথে সার্ভিক্সের মধ্যে আয়োডিন–ভিত্তিক একটি রঞ্জক ইনজেকশন যুক্ত এবং জরায়ুটি পরীক্ষা করার জন্য একটি এক্স-রে নেওয়াও জড়িত থাকে।যদি কোনও মহিলার দুই বা তার বেশি গর্ভপাত হয়ে থাকে, তবে সেক্ষেত্রে তার জরায়ুতে ফাইব্রয়েড বা পলিপের মতো কোনও কাঠামোগত সমস্যা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য তাকে এইচএসজি টেস্টটি করাতে হতে পারে।
গর্ভধারণের চেষ্টা করছেন এমন দম্পতিরা হয়ত প্রায়শই একথা জিজ্ঞাসা করতে পারেন “একটি এইচএসজি টেস্ট কি“।এইচএসজি বা হিস্টারোস্যালপিঙ্গোগ্রাম হল একটি রেডিওলজিকাল পদ্ধতি যা একটি এক্স–রে করার মাধ্যমে পরিচালনা করা হয় মহিলাদের উর্বরতা নির্ধারণের জন্য।এইচএসজি টেস্টে ব্যবহার করা হয় একটা রেডিও–ওপেক কন্সট্রাস্টিং ডাই বা রঞ্জক যা সার্ভিক্সের মধ্যে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে প্রবেশ করানো হয় একটি পাতলা ক্যাথিটারের সাহায্যে, যা জরায়ু এবং ফ্যালোপিয়ান টিউবগুলির চিত্র নিতে সক্ষম হয়।যদি রঞ্জকটি টিউবগুলি এবং জরায়ুর মধ্য দিয়ে নিরবিচ্ছিন্নভাবে প্রবাহিত হয় তবে তা কোনও ব্লকেজ না থাকাকে বোঝায়।কিন্তু রঞ্জকটি যদি কোনও জায়গায় থেমে যায়, তবে এটি টিউবাল ব্লকেজের ইঙ্গিত দিতে পারে।
কোনও দম্পতি যদি গর্ভধারণ করতে অক্ষম বা ব্যর্থ হয়ে থাকেন, তবে তাদের বন্ধ্যাত্বের কারণ নিরূপণের জন্য একটি এইচএসজি টেস্ট করানো হয়ে থাকে।আবার কোনও মহিলার যদি মিসক্যারেজ বা গর্ভপাতের মত দুঃসহ ঘটনাগুলি বেশ কয়েকবার হয়ে থাকে, তখনও একটি এইচএসজি টেস্ট করানো হয় জরায়ুর আকারটি পরীক্ষা করার জন্য কারণ যেহেতু একটি অসমাঙ্গ জরায়ুর আকারও বারবার গর্ভপাতের কারণ হতে পারে।জরায়ুর শারীরিক অসঙ্গতিগুলি জেনেটিক বা অর্জিত হতে পারে।একইভাবে, পলিপ এবং ফাইব্রয়েডের মত সমস্যাগুলি যদি জরায়ুতে থাকে, তা গর্ভধারণকে জটিল করে তুলতে পারে।
ফ্যালোপিয়ান টিউবের মধ্যে কোনও ব্লকেজ আছে কিনা সেটিও এই পরীক্ষাটির দ্বারা নির্ধারণ করা হয়।ফ্যালোপিয়ান টিউবগুলিতে বাধার সাধারণ কারণগুলির মধ্যে কয়েকটি হতে পারে শল্য চিকিৎসা, পূর্বের শ্রোণী সংক্রমণ বা এন্ডোমেট্রিওসিস থেকে ক্ষতচিহ্ন যুক্ত টিস্যু বা কলাগুলি।
যদি কোনও মহিলার টিউবাল সার্জারি হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে এইচএসজি টেস্টটি অস্ত্রপচারটি সফলভাবে হয়েছে কিনা তা প্রতিপাদন করতে সাহায্য করবে এবং টিউবাল লাইগেশনের ক্ষেত্রে(ফ্যালোপিয়ান টিউবগুলি সিল বা বন্ধ করার সাথে সম্পর্কিত একটি গর্ভনিরোধক শল্যচিকিৎসার পদ্ধতি) চিকিৎসক এইচএসজি টেস্টের মাধ্যমে সনাক্ত করতে পারেন যে ফ্যালোপিয়ান টিউবগুলি বিপরীতমুখী ভাবে পুনরায় খোলা সম্ভব কিনা।
টেষ্টটি করার প্রস্তুতির সময় আপনাকে নিম্নলিখিত পয়েন্টগুলো মাথায় রাখতে হবে।
1. ডাক্তারবাবু আপনার এইচএসজি টেস্টটি করবেন আপনার পিরিয়ড শেষ হওয়ার পর কিন্ত ওভ্যুলেশন শুরু হওয়ার আগের মধ্যবর্তী সময়টিতে।পরীক্ষাটি এরকম ভাবে করা হয় সাধারণত যে সময় আপনার গর্ভ সঞ্চারের সম্ভবনা হ্রাস পেতে থাকে।
2. তবে এই টেস্টটির কোন সময় করা হবে তার শিডিউল ঠিক করার জন্য আপনার ডাক্তারবাবুই হলেন সেরা মানুষ যিনি এই বিষয়ে আপনাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবেন।তবে আদর্শগতভাবে সাধারণত তিনি আপনার ঋতুচক্রের দশম থেকে দ্বাদশ দিনের মধ্যে এই পরীক্ষাটি করার নির্দেশ দিয়ে থাকবেন।
3. এই টেস্টটির জন্য কোনোরকম চেতনানাশকের প্রয়োজন হয় না।
4. আপনাকে টেস্টের আগের দিনের রাত্রিটিতে উপবাস করে থাকতে হবে না, কিন্তু পরীক্ষার পূর্বে আপনার মুত্রাশয়টিকে পুরো খালি করে রাখতে হবে।
5. আপনাকে টেস্টের আগে আপনার শরীরে থাকা সমস্ত ধাতব পদার্থ যেমন অলঙ্কার ইত্যাদি খুলে রাখতে হবে কারণ ধাতব পদার্থ এক্স–রে কে প্রভাবিত করে।
6. টেস্টের দিনটিতে ডাক্তারবাবু আপনাকে একটি পেনকিলার ওষুধ দিতে পারেন আপনার অস্বস্তি কমাবার জন্য।
7. কোনও কোনও ডাক্তারবাবু আবার অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খেতে দেন কোনোরকম সংক্রমণের সম্ভবনা এড়াবার জন্য।
8. যদি আপনার অয়োডিনে অ্যালার্জি, যেকোনো এসটিডি জাতীয় রোগ, কিম্বা শ্রোণীর সংক্রমণ, অ্যাজমা, কোনওরকম রক্তক্ষরণ জনিত সমস্যা, অথবা বর্তমানে আপনার যদি কো্নও বিশেষ ওষুধ চলতে থাকে তাহলে সেগুলি অতি অবশ্যই টেস্টের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আপনার ডাক্তারবাবুকে জানাবেন।
9. আপনি আপনার ডাক্তারবাবুর সাথে আলোচনা করে নেবেন যদি আপনার কিডনি বা বৃক্কের কোনো সমস্যা থাকে বা আপনি ডায়াবেটিক হয়ে থাকেন সেই ব্যাপারে।
এইচএসজি টেস্টের প্রক্রিয়াটি নিম্নলিখিত ধাপ অনুযায়ী করা হয়ে থাকতে পারেঃ
1. একটা গাউন পরানোর পর আপনাকে স্টিরাপযুক্ত টেবিলে শুয়ে পরতে হবে।যেখানে স্টিরাপযুক্ত টেবিল নেই সেখানে আপনার হাঁটু দুটো ভাঁজ করে পায়ের পাতা টেবিলের ওপর রেখে শুতে হবে এমনভাবে যাতে দুটি পায়ের মধ্যে যথেষ্ট ফাঁক থাকে।
2.ডাক্তারবাবু স্পেকুলাম নামক একটি ধাতব যন্ত্র আপনার যোনির মধ্যে প্রবেশ করিয়ে আপনার সার্ভিক্সের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করবেন।কোনও কোনও মহিলা এই সময় তীব্র অস্বস্তি অনুভব করেন।
3.এরপর ডাক্তারবাবু একটা এক্স–রে মেশিন আপনার তলপেটের কাছে নিয়ে আসবেন।
4.আপনার সার্ভিক্স অঞ্চলটিকে পরিষ্কার করার জন্য সোয়াব প্রবেশ করানো হবে।
5.এটি করার পর ক্যানুলা নামক একটি সরু টিউব বা নল সার্ভিকাল ওপেনিং দিয়ে প্রবেশ করানো হবে।
6.তারপর ওই নলটির ভিতর দিয়ে আয়োডিন–বেসড রঞ্জক বা ডাই ধীরে ধীরে ইনজেক্ট করা হবে।যখন রঞ্জকটি আপনার শরীরে প্রবেশ করবে আপনার তখন গরম লাগার অনুভূতি সৃষ্টি হবে।
7. যদি কোনোরকম ব্লকেজ বা বাধা না থাকে রঞ্জকটি আপনার জরায়ুর মধ্য দিয়ে সঞ্চালিত হয়ে আপনার ফ্যালোপিয়ান টিউবে পৌঁছাবে এবং শেষ পর্যন্ত সেটা তলপেটের গহ্বরে গিয়ে পড়বে।
8.যদি আপনার টিউবে কনজেশন থাকে তাহলে আপনি ব্যাথা অনুভব করবেন আর সেটা যদি হয়ে থাকে তবে সঙ্গে সঙ্গে আপনি তা ডাক্তার বাবুকে জানাবেন।
9.আপনার শরীরের ভিতরে যখন ডাই বা রঞ্জকটি থাকবে তখন ডাক্তারবাবু এক্স–রে ছবি তুলবেন।তিনি আপনাকে পাশ ফিরে শুতে বলতে পারেন যাতে তিনি একটি তির্যক এক্স–রে ভিউ পান।
10.যখন ডাক্তার বাবুর তাঁর প্রয়োজনীয় ছবিগুলো নেওয়া হয়ে যাবে, তখন যন্ত্রটিকে আপনার যোনির ভিতর থেকে বের করা হবে।তারপর আপনি বাড়ি চলে যাবার অনুমতি পাবেন।
11. এইচএসজি টেস্টটি করতে সাধারণত আধ ঘন্টার মত সময় লাগে।
যেসকল মহিলার এইচএসজি টেস্ট করা হয় তারা এইচএসজি টেস্টের পরবর্তীতে কি হতে পারে সে বিষয়ে চিন্তিত থাকেন।
কোনও কোনও মহিলার সামান্য থেকে মাঝারি মানের ক্র্যাম্পের বা খিঁচুনির সমস্যা দেখা দিতে পারে।পরীক্ষাটি সম্পন্ন হওয়ার অনেকক্ষণ পরেও যদি যন্ত্রণা বজায় থাকে কিম্বা যদি দেহের তাপমাত্রা বেড়ে যায় তাহলে চিকিৎসাগত হস্তক্ষেপ প্রয়োজন, আর যদি জ্বর আসে সেটি সংক্রমণের লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত হয়।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে মহিলাদের মধ্যে স্পটিং বা রক্তের দাগ দেখা দেয় অথবা বমি বমি ভাব দেখা যায়।তবে সাধারণত বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মহিলারা তাদের দৈনন্দিন স্বভাবিক কাজকর্মের সাথে যুক্ত হতে পারেন টেস্টটি করানোর পরেই।অনেক ডাক্তারবাবু যেদিন টেস্ট করা হয় তারপর থেকে দুদিন পর্যন্ত সঙ্গম না করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
বেশিরভাগ মহিলাই এইচএসজি পরীক্ষাটি সহ্য করার সময় কোনও মারাত্মক ব্যথা অনুভব করেন না।তবুও, প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই তাদের অভিজ্ঞতা পৃথক পৃথক হতে পারে।কিছু মহিলার সার্ভিক্সে ক্যাথেটার প্রবেশ কানোর সময় হয়ত কিছুটা অস্বস্তি বোধ হতে পারে। তবে অনেক মহিলাই আবার সামান্য থেকে মাঝারি ক্র্যাম্পের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন।ডাই বা রঞ্জকটি শরীরের ভেতর দিয়ে যাওয়ার পরে আপনি এক ধরনের গরম বোধ অনুভব করতে পারেন।
যদি ফ্যালোপিয়ান টিউবে কোনো ব্লকেজ থাকে তাহলে প্রবেশিত রঞ্জকটি টিউবের মধ্যে মুক্ত ভাবে চলাচল করতে বাধা পায় ফলে চাপ প্রয়োগ করে এবং তার জন্য যন্ত্রণা আর অস্বস্তি সৃষ্টি হয়।
এইচএসজি টেস্ট চলাকালীন আপনি যদি তীব্র যন্ত্রণা অনুভব করেন তাহলে দ্রুত ডাক্তারবাবুকে জানান।তিনি আপনার সমস্যাটি জানার পর আপনার উদ্বেগ হ্রাস করতে ব্যাথা দূর করার জন্য সাহায্য করতে পারবেন।যাইহোক, যেকোনো ক্ষেত্রেই কিন্তু ব্যাথাটি কয়েক মিনিটের বেশি স্থায়ী হওয়া উচিত নয়।বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, টেস্টটির ব্যাপারে উদ্বেগ এবং ভয় প্রকৃত অস্বস্তির চেয়েও যন্ত্রণাটিকে অনেক গুণ বাড়িয়ে তুলতে পারে।আইবোপ্রুফেনের মত পেনকিলার বা ব্যথানাশক ওষুধগুলি যন্ত্রণা লাঘব করতে সহায়তা করতে পারে।
এইচএসজি টেস্টটি মূলত একটি নিরাপদ প্রক্রিয়া। তবুও, এই পরীক্ষার বেশ কিছু সম্ভাব্য ঝুঁকি এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে, যেগুলি নীচে তালিকাভুক্ত করা হলঃ
এক্স–রে এর ছবি থেকে, রেডিওলজিস্ট বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করেন যে জরায়ুর মধ্যে কোনও অস্বাভাবিকতা অথবা ডাইলেশন এবং ব্লকেজের মত টিউবাল ডিফেক্টগুলি আছে কিনা।এক্স–রে তে যদি জরায়ুর আকার স্বাভাবিক দেখা যায় এবং প্রবেশিত রঞ্জকটি ফ্যালোপিয়ান টিউবের মধ্য দিয়ে অবাধে প্রবাহিত হয়, তবে সেক্ষেত্রে টেস্টের ফলাফলটি স্বাভাবিক বলে মনে করা হয়।তবে সেটি তাই বলে এই ইঙ্গিত দেয় না যে প্রজনন ক্ষমতাটিও স্বাভাবিক।এর সোজা অর্থ হল এই যে, বন্ধ্যাত্বের কারণটি নির্ধারণ করা যায় নি।হরমোনীয় কারণে যদি বন্ধ্যাত্ব হয়ে থাকে তবে তা এইচএসজি টেস্টের দ্বারা নির্ধারিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
যদি ডাই বা রঞ্জকটি ফ্যালোপিয়ান টিউবের মধ্য দিয়ে অবাধে যাতায়াত করতে ব্যর্থ হয়, তবে এটি একটি সমস্যাকে ইঙ্গিত করে।সমস্যার ক্ষেত্রটি ধরা পড়ে গেলে, এটি ভবিষ্যতে আইভিএফ অথবা ল্যাপারোস্কোপির ন্যায় পুনর্গঠনমূলক প্রক্রিয়াগুলির মতো চিকিৎসার আরও কিছু কোর্স নির্ধারণের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্যভাবে সহায়তা করে।
এইচএসজি টেস্ট করানোর পর আমি কি গর্ভবতী হতে পারি?- সম্ভবত এই প্রশ্নটিই সবার আগে উঠে আসে।এর সহজ উত্তরটি হল, এইচএসজি টেস্ট করানোর পর গর্ভধারণ করা মূলত নির্ভর করে বন্ধ্যাত্বের কারণের ওপর।তবে এ সংক্রান্ত গবেষণাগুলি ইঙ্গিত দেয় যে এইচএসজি টেস্ট করানোর পরে মহিলাদের গর্ভাবস্থার হার একটি স্বল্প শতাংশের মহিলাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে 2 থেকে 3 গুণ বৃদ্ধি পায়।সম্ভবত ডাই বা রঞ্জকের চলাচলটি একটি এন্ডোমেট্রিওসিস ক্ষত–এর মতো একটা সামাণ্য ব্লকেজকে স্থানচ্যুত করে সম্ভাব্য গর্ভাবস্থার জন্য ফ্যালোপিয়ান টিউবটিকে পরিষ্কার করে।
গর্ভধারণের জন্য সংগ্রাম করে চলা দম্পতিদের জন্য বন্ধ্যেত্বের সঠিক কারণ নির্ধারণ করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।এক্ষেত্রে এইচএসজি টেস্টটি হল একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।এই টেস্টের বিষয়ে কিছুটা নার্ভাস বোধ করাটা বেশ স্বাভাবিক।নিজেকে শান্ত করার জন্য আপনি গভীর শ্বাস গ্রহণের দ্বারা নিজেকে শিথিল করার চেষ্টা করতে পারেন। তদতিরিক্ত, প্রক্রিয়াটি সম্পাদন করতে খুব বেশি সময় লাগে না এবং কোনও অস্বস্তিও হয় না যদি সাধারণভাবে স্বল্প মেয়াদে অভিজ্ঞতাটি হয়ে থাকে।