গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস হল অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণময় অধ্যায়।আপনি জানেন যে আপনি গর্ভবতী কিন্তু আপনার চারপাশের বিশ্বে দৃশ্যত আপনি সেটা নন বলেই মনে হয়।আপনি ক্যালেন্ডারের দিকে তাকিয়ে দিন গুণতে থাকেন,আপনি আপনার খাদ্যাভ্যাসের দিকে সতর্ক দৃষ্টি বজায় রাখেন এবং নিজের মধ্যে বিস্তৃত হতে দেখেন ক্রমশ বেড়ে ওঠা শারীরিক পরিবর্তন-গুলি এবং এগুলি ছাড়াও আপনি অনুভব করতে শুরু করেন আপনার দেহের অভ্যন্তরে আরেকটি প্রাণের অস্তিত্বকে।মনোযোগ দিন! এই সময়েই গর্ভাবস্থায় ভ্রূণের বৃদ্ধির সাথে সাথে গর্ভপাতের মত ও অন্যান্য আরও নানা জটিল সমস্যার ঝুঁকির সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পায়।গর্ভস্থ ভ্রূণ তার প্রাথমিক অবস্থা থেকে ক্রমশ পরিবর্তিত হয়ে আরও উন্নত ভ্রূণে পরিণত হয় এবং আপনি সেই সময়ে কিছু আন্দোলন অনুভব করতে পারেন।শরীরের বিভিন্ন অংশের বিকাশ হতে শুরু হয় এবং যৌনাঙ্গ-গুলিরও পরিবর্তন ঘটতে থাকে।
আপনার গর্ভাবস্থার তৃতীয় মাসে আপনি আপনার দেহে নিম্নলিখিত পরিবর্তন এবং লক্ষণ-গুলিকে লক্ষ্য করতে পারবেন।
গর্ভাবস্থার তৃতীয় মাসে গা গোলানো ও বমির মাত্রা শীর্ষে পৌঁছায় এবং বেশীর ভাগ গর্ভবতী মহিলারাই প্রথম ত্রৈমাসিকের শেষের দিক থেকে এই সকল উপসর্গ-গুলি কাটিয়ে বেড়িয়ে আসে।
গর্ভাবস্থা হরমোনের কারণে আপনি ক্লান্তি ও তন্দ্রাচ্ছন্ন বোধ করতে পারেন।ভ্রূণে অত্যাবশ্যক পুষ্টি সরোবরাহের কারণে শরীরে অতিরিক্ত রক্তের প্রয়োজন হয়,তার ফলে শরীরে রক্ত চাপ ও রক্ত শর্করার মাত্রায় প্রভাব পড়ে।
যেহেতু এই সময়ে শরীর গর্ভাবস্থাকালীন হরমোন hCG উৎপন্ন করে,রক্তের পরিমাণে ঢেউ আসে যা মূত্রাশয়কে চাপ দেয়।বৃদ্ধিপ্রাপ্ত জরায়ুও মূত্রাশয়ের উপর চাপ সৃষ্টি করে এবং তার ফলে প্রায়ই ঘন ঘন মূত্র ত্যাগের ইচ্ছে প্রকাশ পেতে থাকে।
উচ্চ প্রোজেস্টেরণ মাত্রা হজম প্রক্রিয়ার মাত্রাকে ধীর গিতি সম্পন্ন করে তোলে।
উচ্চ ইস্ট্রোজেনের মাত্রার কারণে সার্ভিক্স এবং যোনির দেওয়ালে প্রসারণ ঘটায় যার ফল-স্বরূপ ঘোলাটে সাদা রঙের মিউকাস ভ্যাজিনা থেকে নির্গত হয় যা কোনও রকম সংক্রমণকে যনির অভ্যন্তরে প্রবেশের ক্ষেত্রে বাঁধার সৃষ্টি করে।
এই অবস্থায় রাত্রি বালায় পায়ে তীব্র যন্ত্রণা করা বা খিল ধরে যাওয়া সাধারণ একটা ব্যাপার হতে পারে।এই অস্বস্তি কাটিয়ে ওঠার জন্য আপনার খাদ্য তালিকায় পটাশিয়াম এবং আয়রণের সংযজন এবং কিছু সাধারণ যগ-ব্যায়াম করার প্রয়োজন হতে পারে।
হরমোনের মাত্রা পরিবর্তনের ফলে,জরায়ুর প্রসারণ এবং লিগামেন্ট এবং টেন্ডনের কারণে পিঠে এবং তলপেটে যন্ত্রণা হয়ে থাকে।আপনার ডাক্তারবাবুর সাথে পূর্বে পরামর্শ করে কিছুটা কম প্রভাব যুক্ত ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন।
হরমোনের পরিবর্তন আপনার শরীরের মধ্যে একটা মানসিক ভাবে রোলকোস্টারের যাত্রার কারণ হয়ে উঠতে পারে এবং আপনি নিজের মধ্যে দুঃখজনিত আবেগ ও খুব কম গতিতে খুশি এবং আনন্দিত হতে পারার অনুভূতি উপলব্ধি করতে পারেন।
হরমোনের মাত্রার পরিবর্তনের ফলে মাড়ি থেকে রক্তপাত এবং প্রদাহও ঘটে থাকে।
ক্রমবর্ধমান জরায়ুর প্রসারণের ফলে পেটের উপরে চাপ পড়ে যার ফলে বিপাকীয় ক্রিয়ার গতি কিছুটা ধীর হয়ে যায়।পেটের উপরে চাপ বাড়ার কারণে অ্যাসিড বা অম্বল বাড়তে থাকে এবং তা ক্রমশ উপরের দিকে উঠতে থাকে যে কারণে গলা-বুক জ্বালা করতে থাকে। নিয়মিত একই সময়ে এবং কম পরিমাণে খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
জরায়ু প্রসারিত হওয়ার ফলে এটি রক্তবাহী নালীকে সংকুচিত করে এবং রক্ত সঞ্চালনের গতিকে কমিয়ে দেয়।এর ফলে আপনার পায়ের শিরা ফুলে ওঠে।আপনার বেড়ে ওঠা ওজনও সংবহন তন্ত্রের উপর ওতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে,সেটিও ভেরিকোস ভেইন্সের বা স্থায়ী ভাবে ফুলে ওঠা শিরার অন্যতম একটা কারণ।
রক্তের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার ফলে নাকের রেখা বরাবর শুষ্কতা বেড়ে যায় সেই কারণে নাসিকা অঞ্চলে ফুলে ওঠে এবং প্রদাহ হতে দেখা যায় যা নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ হয়ে ওঠে।
এই সময়ে কিছু মায়েদের মধ্যে এটা ভীষণ সাধারণ ভাবেই আশা করা যায় যে কিছু খাবারের প্রতি তাদের লালসা প্রবল হয়ে ওঠে অথবা কিছু খাবারের প্রতি এমনকি সেই সকল খাবারের গন্ধের প্রতিও তাদের অনিহা ক্রমশ বাড়তে থাকে।
এই সকল উপসর্গ-গুলি নিয়ে ভয় পাওয়ার বিশেষ কিছু নেই যেহেতু এগুলি সবই প্রাকৃতিক পদ্ধতিরই অংশ বিশেষ।
তিন মাসের গর্ভাবস্থায় পেটটি সামান্য বেড়ে উঠতে দেখা যায় যেহেতু এই সময়ে আপনার জরায়ুটি বেড়ে ওঠে আঙ্গুর ফলের আয়তনের মত।জরায়ুটি তলপেট অঞ্চলে কিছুটা উপরের দিকে ফুলে ওঠে এবং পেলভিক অঞ্চলকে ঢেকে রাখে।এই পর্যায়ে আপনি অবশ্যই স্পষ্টভাবে উপলব্ধি করতে পারবেন আপনার শারীরিক এবং মানসিক পরিবর্তন গুলিকে।
আপনার স্তন কোমল হতে থাকে যেহেতু আপনার শরীর প্রস্তুত হতে থাকে এই সময় থেকেই আপনার সন্তাঙ্কে স্তন পান করানোর জন্য।স্তনের আকার বেড়ে ওঠে এবং অ্যারিওলা অঞ্চলটি আরো বড়ো ও কালচে হয়ে উঠতে থাকে।
আপনি আপনার স্তন এবং পেটের মধ্যে এই স্ট্রেচ মার্ক বা প্রাসারিত চিহ্ণ-গুলিকে লক্ষ্য করতে পারবেন যেহেতু আপনার ত্বকের নীচের স্তরের কলা গুলি সামান্য ফেটে যায় তার ফলে মূল ত্বকে এই গুলো দেখা যায়।
প্ল্যাসেন্টার দ্বারা মেলানোসাইট স্টিমুলেটিং হরমোন উৎপন্ন হওয়ার ফলে স্তন-বৃন্ত গুলি কালচে হয়ে যায় এবং এছাড়াও একটা ঘন কালচে রেখা দেখতে পাওয়া যায় তলপেটের মাঝ বরাবর থেকে আপনার পিউবিক হাড় পর্যন্ত।
এই ত্রৈমাসিকে মেজাজের অস্থিরতা ও অবসাদ হওয়াটা খুবই সাধারণ ব্যাপার।আপনার দেহটি বড় হতে থাকে এবং আপনার এই বৃহৎ আয়তনের সচেতনতা আরও বেশি করে বাড়তে থাকে।
আপনি দেখবেন যে আপনার ঘুমের প্যার্টানের বৈচিত্র এসেছে এবং আপনি নিজে থেকেই মাঝরাতে ঘুম থেকে উঠে পড়েছেন।এর জন্য দায়ী হল আপনার হরমোনের পরিবর্তন।
বেশিরভাগ মহিলাই প্রথম ত্রৈমাসিকে যথেষ্ট পরিমাণে উত্তেজনা এবং রোমান্স অনুভব করেন,যাইহোক কামশক্তি কমে যায় বা রতিক্রিয়ায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন শেষের দিকে।এটা হয়ে থাকে হরমোনের পরিবর্তন অথবা শরীরের পরিবর্তনের জন্য।
গর্ভধারণের 3 মাসে আপনার সন্তানটি কি রকম হতে পারে?যদিও কোনো রকম আন্দোলন অনুভব করার ক্ষেত্রে এটি একটু বেশীই তাড়াতাড়ি সময় কিন্তু আপনি আপনার গর্ভের মধ্যে তিনমাসের সন্তানের উপস্থিতি অনুভব করতে পারবেন।আপনার ভিতরে কি ঘটে চলেছে তা জানার জন্য আপনি আগ্রহী ও কৌতুহলী হয়ে ওঠেন।আরো বেশী কল্পনা করার জন্য পড়ুন।
তিন মাসের মধ্যে,আপনার সন্তান হয়ে উঠবে প্রায় 3.5 ইঞ্চি লম্বা এবং তার ওজন হবে প্রায় মোটামুটি 1.5 আউন্সের মত- যার আকার হয় একটা পাকা লেবু বা কিশমিশের মত।জরায়ুর মধ্যে ভ্রূণটি স্থাপিত হয়ে যায় এবং এর পাশাপাশি তার অঙ্গ-গুলিও ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকে।
দেহের অংশ | বিকাশের পর্যায় |
মাথা | মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য মাথার আয়তন দেহের থেকে সামান্য বড় হয়। |
ত্বক | ত্বক স্বচ্ছ হয় শিরাগুলী দৃশ্যমান হয় এর ভিতর দিয়ে।শিশুর আঙ্গুলের ছাপ দেখতে পাওয়া যায়। |
নেত্রপল্লব | চোখের পাতা গুলি গঠিত হতে থাকে যা সমগ্র চোখকে ঢেকে দেয়। |
মুখ | শিশুটির জিভ এবং ল্যারিংক্স বিকাশ লাভ করতে থাকে।চোয়াল এবং উপরের ঠোট গঠিত হয়ে যায়। |
বুড়ো আঙ্গুল | শিশুটি বুড়ো আঙ্গুল চুষতে থাকে এবং হেঁচকি তুলতে থাকে। |
হৃদপিন্ড | হৃদপিন্ড বিকশিত হয়ে যায়,হৃদস্পন্দন শোনা যায় বৈদ্যুতিন যন্ত্র ব্যবহার করে। |
অস্থিপেশী কঙ্কালতন্ত্র | হাড় এবং পেশী গঠিত হয়ে যায় |
সঞ্চালন | আপনার শিশুটি পদাধাত করতে পারে, বিস্তৃত হতে পারে,নড়াচড়া বা পাশ ফিরতে পারে,যেহেতু জরায়ু তখনো পর্যন্ত পেলভিসের ওপরে অবস্থান করে তাই আপনি এই সঞ্চালন গুলি অনুভব করতে পারেন না। |
অস্থিমজ্জা | স্বত রক্তকণিকার উৎ পাদন শুরু হয়ে যায় যা আপনার বাচ্চাকে সুস্থ রাখে। |
অন্ত্র | পাচনে সহায়তার জন্য সঙ্কুচিত এবং প্রসারিত হতে থাকে |
অগ্ন্যাশয় | কাজ শুরু করে, ইনসুলিন ক্ষরণ করতে শুরু করে |
বৃক্ক | মুত্র রেচন করে মত্রাশয়ে পাঠায় |
অন্যান্য অংশ | নখর যুক্ত হাতের এবং পায়ের আঙ্গুল সুগঠিত হয়ে যায়।স্ক্যান এ কান এবং নাক স্পষ্টভাবে দেখা যায়।ঘাড়, হেয়ার ফলিকল এবং স্তনবৃন্ত তৈরী হতে থাকে। |
তৃতীয় মাসে যা যা করলে সুস্থ থাকবেন প্রসবের সময় পর্যন্ত।
আপনার ভাল খাবার ইচ্ছা হবে।আপনা 3য় মাসে গর্ভাবস্থায় আপনাকে একটা সম্পুর্ণ, স্বাস্থ্যকর এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ খাবার যাতে ফল, সবজি,দুগ্ধজাত খাদ্য,মাংস,বাদাম দানাশস্য,ভাত ইত্যাদি পরিমাণ মত থাকবে।
অবসাদ খুব স্বাভাবিক ব্যাপার,আপনি অবশ্যই বিশ্রাম নেবেন যখনই আপনআর শরীর ভাল লাগবে না। কয়েকটি মাতৃত্বকালীন বালিশ ব্যবহার করুন আরাম পাবার জন্য।
ফোলিক অ্যাসিড নিন প্রসবের সমস্যা এড়াতে এবং অন্যান্য ভিটামিন যা ডাক্তারবাবু আপনাকে দেবেন তা খেতে থাকুন
এই সময়ে আপনার সংক্রমণ ঘটার প্রবণতা বেশী থাকে।তাই আপনি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন এবং পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন রান্না থেকে বাগান সবসময়।আপনার যোনি অঞ্চল পরিষ্কার এবং শুকনো রাখুন।
আপনি দাঁতের ডাক্তারের সাথে কথা বলুন যেহেতু এই সময় হরমোনাল পরিবর্তন এর জন্য মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়তে পারে।
শিশু জন্মের শিক্ষার জন্য নাম নথিভূক্ত করান জানতে পারবেন কীভাবে অবসাদ,হতাশা অন্যান্য বিষয় গুলোকে এড়াতে পারবেন।
এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়,নিশ্চিত করুন আপনি আপনার সাথী আপনার বন্ধুবান্ধব এবং অন্যান্য আত্মীয় স্বজনদের যথেষ্ট কথাবার্তা বলছেন সমস্যা বা আপনার আশঙ্কা নিয়ে।আপনার প্রিয় মানুষরা আপনাকে আত্মবিশ্বাস দেবে যাতে আপনি অবসাদে না ভোগেন।
অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে মদ্যপান ও সিগারেট খাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হল আপনাকে কারণ এটা আপনার গর্ভস্থ শিশুর ক্ষতি করে এমনকি গর্ভপাত পর্যন্ত ঘটাতে পারে।
চা এবং কফির মত গরম পানীয় খাবার পরিমাণ কমান যেহেতু এগুলো গর্ভপাতের সম্ভবনা বাড়ায় এবং এর ফলে কম ওজন যুক্ত শিশুর জন্মায়।
হাঁটা,সাঁতার কাটা ইত্যাদির মত সহজ শরীর চর্চ্চা করুন। তবে খেলাধূলা করবেন না এতে পড়ে যাবার সম্ভবনা থকে এবং সন্ধিতে চাপ পড়তে পারে।
বিভিন্ন ধরণের কাজের মধ্যে থাকুন এতে আপনার মন সেই কাজেই নিবেশিত থাকবে। উল বোনা,ছবি আঁকা প্রভৃতি আপনার চাপ কমাতে সাহায্য করবে।
কিছু ব্যায়াম যা আপনাকে স্বছন্দে রাখতে সাহায্য করবে আপনার গর্ভাবস্থার তৃতীয় মাসে।
এখানে একটি সতর্কতার তালিকা রইল যেগুলো 3য় মাসে করা উচিত হবে না।
আপনার ডাক্তারবাবু আপনার নিম্নলিখিত বিষয়গুলো চেক করবেন।
যে সকল পরীক্ষা গুলি আপনার তিন মাসের গর্ভাবস্থায় করতে হবে সেগুলি নিম্ন রুপ
1.মুত্র পরীক্ষা
শর্করা এবং প্রোটিনের মাত্রার সাথে সাথে সংক্রমণ হয়েছে কিনা জানতে এটি করা হয়।
2.রক্ত পরীক্ষা
রক্ত নমুনার সাহায্যে আপনার ব্লাডগ্রুপ,Rh ফ্যাকটার, এবং অ্যানিমিয়া আছে কিনা জানা যায়।
3.ফ্লুয়িড রিটেনসান টেষ্ট
যদি আপনার বাহু বা পা ফুলে যায় তাহলে এটা করা হয়।
4.প্রথম ত্রৈমাসিকের স্ক্রিনিং টেষ্ট
ভ্রুণের কোনোরকম ঝুঁকি আছে কিনা সাথে সাথে জন্মের সময় এবং জেনেটিক সমস্যা আছে কিনা তা জানতে স্ক্রিনিং করা হয়।
5.মায়ের সিরাম(রক্তের)পরীক্ষা
দুটি পরীক্ষা করা হয় একটি হল প্রেগনেন্সি-অ্যাসোসিয়েটেড প্লাজমা প্রোটিন স্ক্রিনিং(PAPP-A) এবং হিউম্যান ক্রনিং গোনাডোট্রপিন(hCG)।
6.ক্রনিক ভিল্লাস স্যাম্পেলিং(CVS)
এটা করা হয় গর্ভাবস্থার 11তম সপ্তাহে ডাউন সিন্ডোম বা অন্য ক্রোমোজোমাল সমস্যা আছে কিনা তা জানা যায়।
নুচাল ট্রন্সলুয়েন্সি (NT) হল গর্ভাবস্থার 11 সপ্তাহে কৃত স্ক্যান যেখানে অ্যামনিওটিক ফ্লুয়িডের মাত্রা,জরায়ুতে অমরার অবস্থান,এবং ভ্রুণের কোনো অস্বভাবিকতা আছে কিনা দেখা হয়।
স্পাইনা বাইফিডা বা নিউর্যাল টিউবের ত্রুটি ধরা পড়ে প্রথম ত্রৈমাসিকে এবং আরও ভালভাবে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে আলট্রাসাউন্ড স্ক্যান এর সাহায্যে।
যেহেতু আপনার গর্ভস্থ শিশুটি খুবই ছোট তাই আপনার ওজন মোটামুটি 1 কেজি – 2 কেজি বেড়ে যায় প্রথম ত্রৈমাসিকের শেষের দিকে।কিছু মহিলার আবার ওজন হ্রাস পায় খাদ্যে অরুচি এবং মর্নিং সিকনেস এর জন্য।
শিশুটির জননাঙ্গ তখন বিকাশশীল, তাই শিশুটির লিঙ্গ নির্ধারন করা কষ্টসাধ্য।75% সঠিক বলা যায় যখন আলট্রাসাউন্ড গর্ভকালের 11-14 সপ্তাহের মধ্যে করা হয়।
যারা বাবা হতে চলেছেন তাদের কিছু দায়িত্ব থাকে যখন তাদের স্ত্রী গর্ভবতী থাকেন। এখানে কয়েকটি প্রয়োজনীয় পরামর্শ রইল যাতে তারা আদর্শ স্বামী হইয়ে উঠতে পারেন।
গর্ভাবস্থার তৃতীয় মাসটি খুবই কঠিন সময়। আপনার খুব একটা বমি বমি ভাব দেখা যাবে না বা বমি হবে না তবে আপনাকে প্রায়ঃশই ডাক্তারবাবুর কাছে যেতে হবে।কিন্তু এটা খুব উত্তেজনাময় পর্যায় এবং আপনি স্বাভাবিক ভাবেই হারাতে চাইবেন না ছোট্ট স্ফীতি,উজ্জ্বল চোখ, এবং চকচকে ত্বক।প্রস্তুত হন আনুষ্ঠানিক ভাবে সুখবরটি ঘোষণা করার জন্য।