গর্ভাবস্থায় কিউয়ি ফল সেবন

গর্ভাবস্থায় কিউয়ি ফল সেবন

গর্ভাবস্থার সাথে সাথে বেশ কিছু খাদ্যের প্রতি তীব্র খাদ্য বাসনাও তার অনুষঙ্গী হয়ে আসে।এটি কেবলই একটি সাধারণ ও স্বাভাবিক ব্যাপার কারণ এই সময় অন্তঃসত্ত্বা মায়ের নিজের পাশাপাশি তার গর্ভস্থ শিশুটির জন্যও খাবারের প্রয়োজন।বেশ কিছু নির্দিষ্ট খাদ্য আবার ভ্রূণের বিকাশের জন্যও ভাল।যদিও হবু মায়ের মধ্যে বিভিন্ন খাদ্যের প্রতি তাদের খাদ্য বাসনা প্রবল হয়ে উঠতে পারে,বিশেষ করে মিষ্টি জাতীয় খাদ্যগুলির আকাঙ্খা তাদের মধ্যে বেশ বেড়ে উঠতে দেখা যায়,তবুও সবসময়ই তাদের চকোলেট বা অন্য কোনও মিষ্টি জাতীয় খাবারগুলিকে বেছে নেওয়ার বদলে বরং যেকোনও একটি ফলের টুকরোকেই বেছে নিয়ে তাদের বাসনা চরিতার্থ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

গর্ভবতী মহিলারা কি কিউয়ি খেতে পারেন?আপনি যদি সতেজ রসাল কিউয়ির প্রতি অত্যন্ত প্রলুব্ধ হয়ে ওঠেন,তবে এই সুস্বাদু ফলটির রসস্বাদনের ইচ্ছেটিকে আপনি চরিতার্থ করতে পারেন কিনা তা জানতে আমাদের নিবন্ধটিতে একবার চোখ বুলিয়ে নিন।

গর্ভাবস্থায় কিউয়ি খাওয়া কি নিরাপদ?

কিউয়ি বা চাইনীজ গুজবেরী হল একটি রসাল সবুজ ফল বিশেষ যা অত্যন্ত সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি আবার গর্ভবতী মহিলাদের জন্য অপর্যাপ্ত স্বাস্থ্য উপকারিতাতেও সমৃদ্ধ!

কম মাত্রায় শর্করা ও ফ্যাট এবং উচ্চ ভিটামিন C-এ সমৃদ্ধ কিউয়ি হল গর্ভাবস্থায় সেবনের জন্য একদম আদর্শ একটি ফল।এছাড়াও আবার এর মধ্যে কোনও কোলেস্টেরল থাকে না।এটিকে এড়িয়ে চলার আপনার একমাত্র কারণ হতে পারে যদি আপনি গ্যাসট্রাইটিস বা বংশ পরম্পরায় প্রাপ্ত অ্যালার্জির প্রতি সংবেদনশীল হয়ে থাকেন।প্রতিদিন 2-3 টি করে কিউয়ি ফল সেবন করা একদম নিরাপদ বলে বিবেচিত।

কিউয়ি ফলের পুষ্টি উপাদানগুলি

এই বিশেষ ফলটি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিকর উপাদানে পরিপূর্ণঃ যেমনভিটামিন K,ভিটামিন C,ভিটামিন E.পটাসিয়াম,ফোলেট,খাদ্যগত তন্তু,কপার,কোলাইন,ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাস।এই ফলটি আবার ভিটামিন C এর প্রাত্যহিক প্রস্তাবিত ডোজের 140% এরও বেশি সরবরাহ করে থাকে।

কিউয়ি ফলের পুষ্টি উপাদানগুলি

একটি মাঝারি মাপের কিউয়ির মধ্যে উপস্থিত পুষ্টিকর উপাদানগুলি

ক্যালোরি 42
প্রোটিন 0.8 গ্রাম
মোট ফ্যাট 0.4 গ্রাম
ফাইবার বা তন্তু 2.1 গ্রাম
ভিটামিন A 3 মাইক্রোগ্রাম
আয়রণ 0.2 মিলিগ্রাম
পটাসিয়াম 252 মিলিগ্রাম
ফোলেট 17 মাইক্রোগ্রাম
ভিটামিন C 64 মিলিগ্রাম

গর্ভবতী মহিলাদের কিউয়ি ফল সেবন করার স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলি

কিউয়ির কিছু স্বাস্থ্য সুবিধাগুলি নিম্নে তালিকাবদ্ধ করা হলঃ

1. ফোলেট

ভ্রূণের জ্ঞানীয় বিকাশের ক্ষেত্রে ফোলিক অ্যাসিড একটি অখণ্ড ভূমিকা পালন করে।এটি অনাগত শিশুর মস্তিষ্কের পাশাপাশি স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশে সাহায্য করার সাথে শিশুর স্নায়বিক ত্রুটিও প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে।এটি কোষের গঠণ এবং রক্ষা করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান।এটি আবার শিশুর মূখ্য অঙ্গাণুগুলির বিকাশের ক্ষেত্রেও অবদান রাখে।স্পাইনা বিফিডার মত জন্মগত অক্ষমতাগুলি প্রতিরোধেও ফোলেট মূখ্য ভূমিকা পালন করে।এটি হল এমন একটি চিকিৎসাজনিত অবস্থা যেখানে পিঠের শিরদাঁড়া বা মেরুদণ্ডটি পূর্ণরূপে বিকশিত হয় না।গর্ভধারণের প্রাথমিক পর্যায়গুলিতে কিউয়ি সেবন করলে তা আবার গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনাকেও হ্রাস করবে।

2. ভিটামিন C

নিউরোট্রান্সমিটার গঠণের জন্য ভিটামিন C গুরুত্বপূর্ণ,যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতার জন্য খুবই জরুরি।অ্যান্টঅক্সিডেন্ট পূর্ণ খাদ্যগুলি গর্ভবতী মায়েদের মুক্ত মৌলগুলির ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে রক্ষা করে।শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি করা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তোলার ক্ষেত্রে এটি দুর্দান্ত।

3. প্রাকৃতিক শর্করা

অন্যান্য সকল ফলের মতই কিউয়িতেও প্রাকৃতিক শর্করা থাকে যা আপনার মিষ্টির প্রতি তীব্র বাসনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।গ্লাইসেমিয়া সূচকটি নিম্ন মাত্রায় থাকার কারণে এটি ইনসুলিনের মাত্রাকে হঠাৎ করে খুব একটা বাড়িয়ে তোলার দিকে পরিচালিত করে না।আবার গর্ভাবস্থায় মহিলাদের মধ্যে গর্ভাবস্থাকালীন ডায়াবেটিস হওয়া বেশ সাধারণ হওয়ার কারণে রক্ত শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য এটি অপরিহার্য।

4. হজম শক্তির উন্নতিসাধন করে

গর্ভাবস্থায় হয়ে থাকা একটি স্বাভাবিক ঘটনা হল কোষ্ঠকাঠিণ্য।ডায়রিয়া,পেট ফাঁপা,বমি বমি ভাব,পেটের অস্বস্তি,পেট ব্যথা এবং গ্যাসট্রাইটিসের মত সমস্যাগুলির প্রতিরোধে সহায়তার জন্য আপনার ডায়েটে প্রোবায়োটিকগুলি অন্তর্ভূক্ত করা প্রয়োজন।কিউয়ি খাদ্যগত তন্তুতে ভরপুর,যা অন্ত্রকে স্বাস্থ্যকর রাখে।ফাইবার বা তন্তু সমৃদ্ধ কিম্বা আঁশবহুল খাদ্যগুলি হল প্রাকৃতিক রেচক বিশেষ যা হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।

5. আয়রণ

রক্তে হিমোগ্লোবিনের অভাবের কারণে গর্ভবতী মহিলারা প্রায়শই আয়রণ ঘাটতিজনিত অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতায় ভুগে থাকেন।দেহে আয়রণ কমে যাওয়ার আরও অন্যান্য উপসর্গগুলির মধ্যে রয়েছে ফ্যাকাসে বা বিবর্ণ ত্বক,ক্ষুধামান্দ্য এবং বমি বমি ভাব।লোহিত রক্ত কণিকা উৎপাদনের জন্য আয়রণের প্রয়োজন।এটি আবার কোষের মধ্যে অক্সিজেন বহন করে এবং শক্তি উৎপাদনের জন্যও অপরিহার্য।প্রতি সেবনের মাধ্যমে কিউয়ি প্রায় 4% মত আয়রণ সরবরাহ করেএটি আবার আয়রণ শোষণেও সহায়তা করার মাধ্যমে অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা প্রতিরোধে সাহায্য করে থাকে।

6. ক্যালসিয়াম

শিশুর হাড়,মাংসপেশী,দাঁত এবং হৃদযন্ত্রের বিকাশের জন্য ক্যালসিয়াম অপরিহার্য।কিউয়ি ফলের মধ্যে প্রায় 5.5% মত ক্যালসিয়াম থাকে,যদি আপনার দুগ্ধজাত পণ্যগুলি সেবনের পরিমাণ নিম্ন মাত্রার হয়ে থাকে কিম্বা আপনি যদি ল্যাকটোজ অসহিষ্ণু হয়ে থাকেন,সেক্ষেত্রে আপনার ডায়েটে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ কিউয়ি অন্তর্ভূক্ত করার পরামর্শই দেওয়া হয়।এই চমৎকার কিউয়ির মধ্যে আবার ম্যাগনেসিয়ামও থাকে,যা ক্যালসিয়াম শোষণে উন্নতি ঘটায়।

7.ভিটামিন এবং খনিজের সমৃদ্ধ উৎস

ভিটামিন C-এ সমৃদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি কিউয়ির মধ্যে আবার বিশাল পরিমাণে ভিটামিন E রয়েছে,যা আপনার এবং আপনার শিশুর কোষগুলিকে ক্ষতি হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।এটি আবার ত্বকের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি ঘটায়।

8. রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তোলে

কিউয়ির মধ্যে উপস্থিত কপার শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে এবং তার সাথে আবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও শক্তিশালী করে তোলে।

9. হরমোনের ভারসাম্য

গর্ভাবস্থায় হরমোনগুলি আপনার মধ্যে বেশ কিছু ক্ষয়ক্ষতি করে তোলার কারণে আপনি হয়ত হতাশায় ভুগতে পারেন,ক্লান্তি অনুভব করতে পারেন কিম্বা ভীষণ মানসিক চাপ অনুভব করতে পারেন।কিউয়ির একটি পরিবেশনই আপনার দেহে হরমোনের ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করতে পারে যা যেকোনও রকম মেজাজের দোলাচলগুলি হওয়ার ক্ষেত্রে তা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে।

10. কম ক্যালোরি

কিউয়িতে খুব কম ক্যালোরি থাকে এবং এটি হল একটি প্রাকৃতিক মিষ্টির বিকল্প,যা কোনওরকম অতিরিক্ত পাউণ্ড দেহের মধ্যে সঞ্চিত বা পুঞ্জীভূত করা ছাড়াই আপনার ক্ষুধা এবং মিষ্টি খাওয়ার বাসনাকে চরিতার্থ করে মনকে পরিতৃপ্ত করে।

কীভাবে কিউয়ি ফলটিকে সেবন করবেন

কীভাবে কিউয়ি ফলটিকে সেবন করবেন

নানা ভাবে কিউয়ি খাওয়া যেতে পারে,যেমনঃ

  • ফলটিকে কেটে ফালি করুন,এবার চামচ দিয়ে ফলটির পাতলা চামড়া থেকে তার ভিতরের শাঁষটিকে তুলে নিয়ে এর স্বাদ আস্বাদন করুন।
  • আরও অন্যান্য ফলের সাথে এটিকেও আপনার ফ্রুট স্যালাডের সাথে অন্তর্ভূক্ত করুন।
  • দই,লস্যি অথবা নানা রকম স্মুদির সাথে যোগ করুন।
  • এটিকে পাতলা পাতলা স্লাইস করে কেটে নিয়ে কিম্বা এর মধ্যস্থ শাঁসটিকে বের করে নিয়ে হিমায়িত করুন এবং ছোট ছোট পপসিক্যলে রূপান্তরিত করুন।

গর্ভাবস্থায় কিউয়ি ফলটি খাওয়ার সাথে জড়িত ঝুঁকিগুলি

কিউয়িতে অ্যালার্জি হওয়াটা প্রায় অস্বাভাবিকতবে কারুর কারুর মধ্যে আবার এটি থেকে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে অথবা এটি সেবন করার পর হয়ত কিছু নেতিবাচক প্রভাবও তাদের মধ্যে দেখা দিতে পারে।তাই আপনার প্রতিদিনের খাদ্য পরিকল্পনার সাথে কিউয়ি অন্তর্ভূক্ত করার আগে আপনার ডাক্তারবাবুর সাথে আলোচনা করে তাঁর পরামর্শ গ্রহণ করার পরামর্শই আপনাকে দেওয়া হচ্ছে।গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে কিউয়ির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলির মধ্যে রয়েছেঃ

  • মুখে অ্যালার্জিঃ অতিরিক্ত পরিমাণে কিউয়ি সেবন করার ফলে মুখের মধ্যে একটি চুলকানি বা রণন অনুভূতি হয়ে থাকতে পারে,যার ফলে ঠোঁট এবং জিভ ফুলে যেতে পারে।কিছু ক্ষেত্রে এটি আবার অ্যাস্থেমা,র‍্যাশ এবং আমবাতকেও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
  • ত্বকের রোগঃ বেশি মাত্রায় কিউয়ি সেবন করলে তা আবার গায়ে ছুলি,দীর্ঘস্থায়ী আমবাত ও ছুলি,ডার্মাটাইটিস অথবা এমনকি আবার ছোঁয়াচে ডার্মাটাইটিসেরও কারণ হতে পারে।আপনি যদি অ্যালার্জিপ্রবণ হয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে এগুলি হওয়ার ঝুঁকি আরও তীব্র হয়ে ওঠে।
  • হজমের সমস্যাঃ বেশ কিছু ক্ষেত্রে আবার অতিরিক্ত পরিমাণে কিউয়ি খাওয়ার ফলে ডায়রিয়া,বমি এবং বমি বমি ভাব হতে পারে।
  • ল্যাটেক্স বা তরুক্ষীরজনিত অ্যালার্জিঃ যে সকল ব্যক্তি তরুক্ষীরজনিত অ্যালার্জিপ্রবণ হয়ে থাকেন তাদের কিউয়ি সেবনেও অ্যালার্জি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।এই সব ক্ষেত্রে কিউয়ি সেবন করা থেকে দূরে থাকার পরামর্শই দেওয়া হয়।
  • অগ্ন্যাশয়ের ক্ষতি করেঃ কিউয়ি হল ভিটামিন C,ভিটামিন E,সেরোটোনিন এবং পটাসিয়ামের সমৃদ্ধ উৎস।যখন এটি প্রচুর পরিমাণে গ্রহণ করা হয়,এটি রক্তের মধ্যে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা পরিবর্তন করতে পারে এবং তা দীর্ঘমেয়াদে অগ্ন্যাশয়ের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।
  • পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াঃ কিউয়ির মধ্যে ছত্রাক বিরোধী বৈশিষ্ট্যগুলি রয়েছে এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধের সাথে মিলিত হলে এটি একটি অ্যাডিটিভ প্রভাব তৈরী করতে পারে।আপনি যদি অ্যান্টিকোয়াগুলেটস, হেপারিন, অ্যাসপিরিন, ননস্টেরয়েডাল, অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি বা প্রদাহ বিরোধী কিম্বা অ্যান্টিপ্লেটলেট ওষুধগুলি গ্রহণ করেন তবে কিউয়ি ফল সেবন করার আগে একবার আপনার ডাক্তারবাবুর সাথে আলোচনার দ্বারা পরামর্শ নিয়ে নিন।

গর্ভাবস্থায় আপনার কতগুলি কিউয়ি খাওয়া উচিত?

আদর্শগতভাবে,একজন হবু মায়ের একদিনে 1 কাপ মত কুঁচানো ফল খাওয়া উচিত অথবা একটা বড় মাপের ফলের এক টুকরো।একটি স্বাস্থ্যকর এবং নিরাপদ গর্ভাবস্থার জন্য,আপনি প্রতিদিন 2-3 টি কিউয়ি সেবন করতে পারেন।যদি কোনও ক্ষেত্রে আপনি গ্যাসট্রাইটিস,অ্যালার্জি অথবা কোনওরকম হজমের সমস্যায় ভুগে থাকেন,সেক্ষেত্রে আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কিউয়ি ফলটিকে অন্তর্ভূক্ত করার আগে আপনার ডাক্তারবাবুর পরামর্শ নিয়ে নিন।আপনার মধ্যে যদি অ্যাসিডিটির ধাঁচ থাকে কিম্বা কোনওরকম র‍্যাশ বা অ্যালার্জিপ্রবণ হয়ে থাকেন,সেক্ষেত্রে কিউয়ি সেবন করলে তা আপনার মধ্যে অ্যাসিডিক প্রতিক্রিয়াটিকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং আপনার মুখ,ঠোঁট এবং জিভ ফুলে যাওয়ারও কারণ হয়ে উঠতে পারে।

গর্ভাবস্থায় আপনার দেহ অত্যন্ত দুর্বল এবং সংবেদনশীল হয়ে ওঠার কারণহেতু এই সময় আপনার খাদ্য তালিকার দিকে লক্ষ্য রাখাটা অত্যন্ত জরুরি।কিউয়ি আপনার দেহে এমন কিছু বিশেষ পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করতে সহায়তা করে যা আবার আপনার গর্ভস্থ ভ্রূণের বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে।তবে সেগুলিকেও সংযমের সাথে পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত যেহেতু কোনও কিছুই অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল নয়।