আপনার ডাক্তার দ্বারা আপনার গর্ভাবস্থা নিশ্চিত করার সাথে সাথেই আপনাকে একটি থাইরয়েড পরীক্ষা করানোর কথা বলা হবে।আপনি যদি সন্তানধারণের পরিকল্পনা করে থাকেন সেক্ষত্রেও আপনি এই পরীক্ষাটি করিয়ে নিতে পারেন।যদিও গর্ভাবস্থায় থাইরয়েড হওয়া একটা সাধারণ ব্যাপার,তবে সেক্ষত্রে গর্ভাবস্থার আরও অন্যান্য স্বাভাবিক উপসর্গগুলির সাথে এটির মিল থাকার কারণে সেটি সনাক্ত করার ক্ষেত্রে বিভ্রান্তি দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে।ওজন লাভ,ক্লান্তিবোধ,মেজাজী অথবা ভুলো মনা হয়ে ওঠা এবং এমনকি ফুলে যাওয়ার মত কিছু উপসর্গগুলি গর্ভাবস্থা এবং থাইরয়েডের ক্ষেত্রে সাধারণ শর্ত।
H আকৃতির থাইরয়েড গ্রন্থিটি আমাদের গলার সামনে,স্বরযন্ত্রের ঠিক নিচে অবস্থিত প্রায় 2 ইঞ্চি মত লম্বা এবং প্রায় ওজন-হীন হয়ে থাকে(এক আউন্সেরও কম)।এটি অন্তঃক্ষরা তন্ত্রের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ গঠণ করে,যা আপনার দেহে হরমোন উৎপাদনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।থাইরয়েড গ্রন্থিটি দুটি মূখ্য হরমোন T3 এবং T4 উৎপাদন করে।আপনার থাইরয়েড দ্বারা ক্ষরিত হরমোনগুলি আপনার দেহের বিপাক এবং ওজন বৃদ্ধি,মস্তিষ্কের বিকাশ,শ্বাসকার্য,দেহের তাপমাত্রা এবং কোলেস্টেরলের মাত্রার মত শরীরের অন্যান্য মূখ্য কাজগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে।গর্ভাবস্থায় থাইরয়ডের মাত্রা নিরীক্ষণ করা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি ভ্রূণের উপর একটি বলার মত প্রভাব ফেলতে পারে যার মধ্যে শিশুর স্নায়বিক বৌদ্ধিক ক্ষমতাও অন্তর্ভূক্ত।
গর্ভাবস্থায় থাইরয়েডের সমস্যা দেখা দেওয়া একটা সাধারণ ব্যাপার,বিশেষ করে যখন কোনও মহিলা তার গর্ভধারণের মূখ্য সময়ে থাকেন,তবে যদি এটা সঠিক সময়ে নির্ধারণ না করা হয়,এর প্রভাব কিন্তু গর্ভাবস্থার পরবর্তীতেও প্রসারিত হতে পারে।যদিও হাইপারথাইরয়েডিজম রক্তে হরমোনগুলির উচ্চ মাত্রার কারণে হয়,তবে আবার হাইপোথাইরয়েডিজম রক্তে থাইরয়েড হরমোনগুলির মত্রা কমে যাওয়ার কারণেও হয়ে থাকে।
গর্ভাবস্থায়,আপনার থাইরয়েডের মাত্রা বৃদ্ধির জন্য মূলত দুটি হরমোন-ইস্ট্রোজেন এবং হিউম্যান কোরিওনিক গোনাডোট্রপিন(hCG) দায়ী।যখন আপনি গর্ভবতী হন এই থাইরয়েড হরমোনগুলি আপনার স্বাস্থ্য এবং আপনার বাচ্চার মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশ-উভয় ক্ষেত্রেই মূখ্য ভূমিকা গ্রহণ করে।
অমরা hCG তৈরী করে,যা TSH এর অনুরূপ এবং আরও হরমোন সৃষ্টি করার জন্য থাইরয়েডকে উদ্দীপ্ত করে।ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ফলে তা থাইরয়েড বাইন্ডিং গ্লোবিউলিন উৎপন্ন করে,যেটি হল রক্তের মধ্যে থাইরয়েড হরমোনের গমনে সহায়তাকারী একটি প্রোটিন।প্রথম ত্রৈমাসিকে,আপনার গর্ভস্থ শিশুর থাইরয়েড হরমোনের চাহিদাটির কারণে সে আপনার উপর নির্ভর করে,যা অমরার মধ্য দিয়ে আসে।আর এটি চলতে থাকে 12 সপ্তাহ না হওয়া পর্যন্ত,যার পর থেকে শিশুর থাইরয়েড গ্রন্থিটি নিজে থেকেই কাজ করতে শুরু করবে।
থাইরয়েড থেকে গর্ভাবস্থায় হয়ে থাকা কোনওরকম সমস্যা নির্ধারণের ক্ষেত্রে থাইরয়েড ক্রিয়ার পরীক্ষাটি পরিচালনা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ,তবে হরমোনের এই সকল পরিবর্তনগুলি সনাক্ত করা নাও সম্ভব হয়ে উঠতে পারে এবং এর জন্য সকল পরীক্ষাগুলি পরিচালনা করা সত্ত্বেও হয়ত সেগুলি ব্যাখ্যা করা কঠিণ হয়ে উঠতে পারে।গর্ভাবস্থায় থাইরয়েডটি আকারে বেড়ে যেতে পারে,তবে পরীক্ষায় দেখা যেতে পারার মত সেটি যথেষ্টও নয়।থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি,অবসাদ,ক্লান্তি এবং থাইরয়েডের আকার বেড়ে যাওয়ার মত পারস্পরিক লক্ষণগুলির কারণে গর্ভাবস্থায় থাইরয়েড সম্পর্কিত সমস্যাগুলি নির্ণয় করা মুশকিল হতে পারে।
যখন একটি অতি সক্রিয় অঙ্গাণু খুব বেশি পরিমাণে থাইরয়েড হরমোন উৎপন্ন করে,তখন সেই অবস্থাটি হাইপারথাইরয়েডিজম হিসেবে পরিচিত।
হাইপারথাইরয়েডিজম সাধারণত গ্রেভ বর্ণিত ব্যাধির কারণে হয়ে থাকে যা হল একটি স্ব-প্রতিরোধী অনাক্রম্য তন্ত্রের বিশৃঙ্খলাজনিত ব্যাধি,যার ফলে অনাক্রম্য তন্ত্রটি কোষ এবং অঙ্গাণুগুলিকে রক্ষা করার বদলে তাদের আক্রমণ করে থাকে।অ্যাডিনোমাস কলার বিষক্রিয়ার ফলে থাইরয়েড গ্রন্থিতে যে কলাগুলি উৎপন্ন হয়,তা থেকে ক্ষরিত হরমোনগুলি শরীরে রাসায়নিক সমতা বিঘ্নিত করে।
যে সকল মহিলাদের মধ্যে গর্ভ ধারণের পূর্বে হাইপারথাইরয়েডিজম রোগটি ধরা পড়ে থাকে কিম্বা এই রোগটির কোনও পারিবারিক ইতিহাস তাদের মধ্যে থেকে থাকে, সেক্ষেত্রে গর্ভধারণের সময় তাদের মধ্যে এই অবস্থাটি হয়ে থাকার সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে।
হাইপারথাইরয়েডিজমের মারাত্মক উপসর্গগুলি হল ক্লান্তি,অবসাদ,বমি বমি ভাব,বমি করা,দ্রুত হৃদস্পন্দন,ক্ষুধার পরিবর্তন,থাইরয়েডের মাত্রা এবং আকার বেড়ে যাওয়া।কেউ কেউ আবার তাদের মধ্যে খিদের পরিবর্তনগুলি এবং তাপমাত্রা সহন ক্ষমতার হ্রাস লক্ষ্য করতে পারেন।
হাইপারথাইরয়েডিজম নির্ণয়ের জন্য তিনটি বড় ধরণের পরীক্ষা পরিচালনা করার দ্বারা একজন গর্ভবতী মহিলার মধ্যে এই অবস্থাটি নির্ণয় করা সম্ভবঃ
রক্তের মধ্যে সামাণ্য পরিমাণে TSH সনাক্তকরণে সক্ষম এবং চূড়ান্ত সংবেদনশীল হিসাবে এই পরীক্ষাটি পরিচিত।TSH পরীক্ষাটি হল থাইরয়েড ক্রিয়া পরিমাপের জন্য পরিচালিত সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পরীক্ষাগুলির মধ্যে একটি অন্যতম পরীক্ষা।
TSH পরীক্ষাটিতে যদি মাত্রাগুলি খুব কম দেখায় সেক্ষেত্রে T3 এবং T4 পরীক্ষাগুলি পরিচালনা করা বাধ্যতামূলক হয়ে ওঠে।যদি মুক্ত T4(থাইরয়েড হরমোনের এই অংশটি থাইরয়েড বাইন্ডিং প্রোটিনের সাথে যুক্ত থাকে না) স্তরগুলি উচ্চ মাত্রায় পাওয়া যায়,সেক্ষেত্রে এই রোগটি নির্ণয়ের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে যায়।
এই পরীক্ষাটি পরিচালনা করা হয় সেই সকল মহিলার উপর যারা রেডিওঅ্যাক্টিভ বা তেজস্ক্রিয় চিকিৎসার অধীনে থেকে থাকেন অথবা যাদের মধ্যে গ্রেভ নির্ধারিত ব্যাধি সনাক্ত করা গেছে।এই পরীক্ষাটি গর্ভবতী মহিলার দেহে TSI অ্যান্টিবডিগুলির উপস্থিতি নিশ্চিত করে।
হালকা হাইপারথাইরয়েডিজমে যেখানে,TSH এর মাত্রা কম হয় কিন্তু মুক্ত T4 স্বাভাবিক মাত্রায় থাকে,সেক্ষেত্রে চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না।গুরুতর থাইরয়েড ব্যাধির ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থার প্রথম ত্রৈমাসিকের সময়,ডাক্তারবাবু প্রেসক্রিপশনে কম মাত্রায় প্রপিলিথিউরাসিল(PTU) লিখে দিয়ে থাকেন।এরপর প্রয়োজন হলে প্রথম ত্রৈমাসিকের পরে অ্যান্টি-থাইরয়েড ওষুধ,মিথাইম্যাজোল ডাক্তারবাবুর দ্বারা দেওয়া হয়ে থাকে।কিছু বিরল ক্ষেত্রে,রোগীর যদি ওষুধে কোনও অভিব্যক্তি প্রকাশ না হয়,থাইরয়েডের একটা অংশ বাদ দেওয়ার জন্য অস্ত্রপচারের প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে।শিশুর থাইরয়েড গ্রন্থির ক্ষতি করে দিতে পারার কারণে রেডিওঅ্যাক্টিভ আয়োডিন চিকিৎসা সাধারণত গর্ভবতী মহিলাদের জন্য সুপারিশ করা হয় না।
মা- হাইপারথাইরয়েডিজমের কারণে মায়ের মধ্যে প্রিক্ল্যাম্পসিয়া,অকাল প্রসব,গর্ভপাত হয়ে থাকে এবং হাইপারথাইরয়েডলক্ষণগুলিরহঠাৎঅবনতি হতে থাকে।
শিশু- একটি নবজাত দ্রুত হৃদস্পন্দন ভোগ করতে পারে,যার ফলে তার হার্ট ফেল,কম ওজন লাভ,জন্মের সময় নিম্ন মানের ওজন,খিটখিটে স্বভাব দেখা দেয় এবং বর্ধিত থাইরয়েড শ্বাস-প্রশ্বাস কষ্টের কারণ হয়ে ওঠে।
থাইরক্সিন, থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি, যা কম সক্রিয় থাইরয়েড গ্রন্থির কারণে ঘটে,হাইপোথাইরয়েডিজম হিসাবে পরিচিত।
রক্তে থাইরয়েড হরমোন কম মাত্রায় থাকার কারণে এই অবস্থাটি হয়ে থাকে,যেখানে থাইরয়েড গ্রন্থি অপর্যাপ্তভাবে কাজ করে থাকে।এর অন্যান্য কারণগুলি হল থাইরয়েড অপসারণ, এন্ডেমিক গাইটার, আয়োডিনের অভাব, বিকিরণ থেরাপি এবং পিটুইটারি গ্রন্থি সম্পর্কিত রোগগুলি।এছাড়াও গর্ভাবস্থায় আবার হাশিমাতোর নির্ণীত ব্যাধির কারণেও হাইপারথাইরয়েডিজম হয়ে থাকে,যা থাইরয়েড প্রদাহের একটি রূপ।
যে সকল মহিলাদের পরিবারে হাইপারথাইরয়েডিজমের পূর্ব ইতিহাস রয়েছে অথবা যাদের মধ্যে আগে এই অবস্থাটি নির্ণীত হয়েছে,তাদের ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থাতে এটি বিকাশ পাওয়ার মত ঝুঁকির সম্ভাবনা থাকে।
হাইপারথাইরয়েডিজমের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত সাধারণ লক্ষণগুলি হল-মুখ ফুলে যাওয়া, ক্লান্তি, ঠাণ্ডায় অসহিষ্ণুতা,ওজন লাভ,একাগ্রতার মাত্রা হ্রাস পাওয়া,ত্বকের টান কিম্বা প্রসারণ এবং পেট সংক্রান্ত অস্বস্তি।T4 এর নিম্ন মাত্রা এবং TSH এর উচ্চ মাত্রাও হাইপারথাইরয়েডিজমের ইঙ্গিত দিয়ে থাকে।
আপনার মধ্যে যদি উপরে উল্লিখিত কোনও উপসর্গ দেখা দেয়,আপনার ডাক্তারবাবু সেটি পরীক্ষা করবেন এবং হাইপারথাইরয়েডিজম হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করে নির্ধারণের জন্য একটি T4 এবং TSH পরিচালনা করার কথা বলবেন।
গর্ভাবস্থায়,হাইপারথাইরয়েডিজমের চিকিৎসা করা হয় একটি সিন্থেটিক থাইরয়েড হরমোন,থাইরক্সিন শুরু করার দ্বারা।থাইরক্সিন মা এবং সন্তানের জন্য উপকারি এবং নিরাপদও বটে।যে সকল মহিলার মধ্যে গর্ভবস্থার পূর্বেই এই অবস্থাটি বিকাশ পেয়ে থাকে,তাদের থাইরয়েডের কার্যকারিতে বজায় রাখার জন্য ডাক্তারের সাথে কথা বলার পর তাদের ডোজের মাত্রা বাড়িয়ে দেওয়া উচিত।
হাইপারথাইরয়েডিজমের কারণে প্রিক্ল্যাম্পসিয়া,অ্যানিমিয়া,মৃত সন্তানের জন্ম,গর্ভপাত এবং এমনকি কিছু বিরল ক্ষেত্রে কঞ্জেস্টিভ হার্ট ফেলিয়রও হয়ে থাকে।শিশুর মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্রের বৃদ্ধি এবং বিকাশের ক্ষেত্রে থাইরয়েড হরমোনগুলি গুরুত্বপূর্ণ। হাইপারথাইরয়েডিজম এই অঞ্চলটিকে প্রভাবিত করতে পারে,বিশেষ করে যদি সেটি প্রথম ত্রৈমাসিকে হয়ে থাকে।
আজ্ঞে হ্যাঁ,গর্ভাবস্থায় থাইরয়েডের ওষুধ খাওয়া একদম নিরাপদ।আসলে,গর্ভাবস্থায় হাইপোথাইরয়েডকে দেহের মধ্যে বহন করা অথবা সেটিকে চিকিৎসা না করে ফেলে রাখা গর্ভাবস্থার ক্ষেত্রে নিরাপদ নয়।খুব কাছ থেকে সেটি নিরীক্ষণ করা উচিত এবং এর ওষুধগুলি গ্রহণ করা উচিত।লেভোথাইরাক্সিন হল থাইরয়েড হরমোনের একটি সিন্থেটিক রূপ যা শিশুর জন্য নিরাপদ এবং এই অবস্থার চিকিৎসার জন্য সাধারণত ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
মা এবং সন্তানের স্বাস্থ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার প্রয়োজনে গর্ভাবস্থায় দেহে উচ্চ মাত্রায় পুষ্টির চাহিদা হয়ে থাকে।এই সময়ে ডাক্তারবাবু হবু মাকে একটি সুষম আহার গ্রহণ করার এবং প্রসবোত্তর ভিটামিন এবং আয়োডিন ভিত্তিক খনিজের পরিপূরকগুলি থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুলি আহরণের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
হাইপোথাইরয়েডিজমে আক্রান্ত গর্ভবতী মহিলাদের প্রতিদিনের খাবারের মাধ্যমে আয়োডিনের প্রস্তাবিত ডোজ পাওয়া অবশ্যই নিশ্চিত করা উচিত এবং সাধারণ লবণের জায়গায় আয়োডিনযুক্ত লবণে পরিবর্তন করা হল এটি করার এক উপায়।সবুজ শাক-সবজি যেমন পালং শাক, মেথি শাক এবং লেটুস পাতার মতো শাকগুলি খেলে তা ম্যাগনেসিয়াম সরবরাহ করে যা থাইরয়েডের ক্রিয়ার জন্য জরুরী।ব্লুবেরি এবং স্ট্রবেরিগুলির মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুলি উপস্থিত থাকায় সেগুলি অনাক্রম্যতার জন্য দুর্দান্ত।তাই সেগুলিকে আপনার ডায়েটের একটি অংশ করে তোলা নিশ্চিত করুন।ডিম, আখরোট, মাশরুম এবং সালমনের মতো মাছগুলিকে আপনার ডায়েটে অন্তর্ভূক্ত করুন,কারণ এগুলিতে রয়েছে ওমেগা 3 ফ্যাটি অ্যাসিডগুলি এবং সেলেনিয়াম,যা প্রাকৃতিক উপায়ে হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে।ভিটামিন B-6 গর্ভাবস্থার জন্য বিশেষভাবে উপকারী।
আপনার থাইরয়েড আপনার দেহের প্রতিটি কোষকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং এর উপস্থিতি ছাড়া দেহ ধীর-সম্পন্ন হয়ে পড়ে আর তার পরিণতিতে ক্লান্তি,ওজন লাভ,চুল ঝড়ে যাওয়া এবং আরও অনেক কিছু হারাতে হতে পারে।এখানে বলা হল কীভাবে আপনি আপনার দেহ এবং সন্তানের উপর প্রভাব পড়া থেকে থাইরয়েড এবং গর্ভাবস্থার জটিলতাগুলি প্রতিরোধ করতে পারেনঃ
গর্ভাবস্থায় হাইপার এবং হাইপোথাইরয়েডিজমের লক্ষণগুলির পর্যালোচনা করা গুরুত্বপূর্ণ, যার জন্য TSH এর মাত্রা বারংবার পরীক্ষা করানোর প্রয়োজন হয়।যদি আপনি এর কোনও লক্ষণ দেখতে পান আপনার ডাক্তারবাবুর সাথে কথা বলুন যাতে সতর্কতাগুলি অবলম্বন করা যেতে পারে।আপনার থাইরয়েডের মাত্রা পরীক্ষা করার দ্বারা আপনি নিরাপদ এবং ঝঞ্ঝাট মুক্ত গর্ভাবস্থার পথে এগিয়ে যেতে পারেন।