গর্ভাবস্থায় বমির জন্য 15 টি সেরা ঘরোয়া প্রতিকার

গর্ভাবস্থায় বমির জন্য 15 টি সেরা ঘরোয়া প্রতিকার

গর্ভাবস্থা হল একটি আশীর্বাদস্বরূপ যা একজন নারীকে পরিপূর্ণ করে তোলে।আপনার মধ্যে যে নতুন জীবনটিকে গড়ে তুলছেন সেটি হল একটি ক্ষমতায়নের জ্ঞান,কিন্তু তবুও একটি নম্র অভিজ্ঞতা।তবে,এটি আবার যুক্ত হয় অসংখ্য বহু চ্যালেঞ্জের সাথে যা একজন মা নয় মাসের ধরে সহ্য করে চলেন।বহু সমস্যার মধ্যে একটি হল মা হয়ে ওঠার সময় গা গুলানো ও বমি করার সাথে মোকাবিলা করে চলা।এই উপসর্গগুলি সাধারণত দেখা দেয় গর্ভাবস্থার প্রথম মাসে এবং সেটি চলতে থাকে পরবর্তী প্রায় তিন মাস পর্যন্ত।এটি খুবই সাধারণ এবং গর্ভধারণের পর প্রতি 2 জন মহিলার মধ্যে 1 জন এটি অনুভব করে থাকেন।

গর্ভাবস্থায় বমি বন্ধ করার 15 টি কার্যকর ঘরোয়া প্রতিকার

গর্ভাবস্থায় বমি বন্ধ করার 15 টি কার্যকর ঘরোয়া প্রতিকার

মাতৃত্বের নতুন এবং উত্তেজনাপূর্ণময় যাত্রা শুরুর জন্য কি একেবারে প্রস্তুত?কিন্তু এই গৌরবময় 9 মাসের সাথে যুক্ত সকল কষ্ট সম্পর্কে ধৈর্যশীল এবং সচেতন হন। হরমোনের খামখেয়ালীপনা,মেজাজের দোলাচল এবং মর্নিং ব্লুজ আপনার স্বাভাবিক রুটিনের উপর বিপর্যয় সৃষ্টি করবে।দেহের মধ্যে হরমোনের নানাবিধ পরিবর্তনের কারণে গর্ভাবস্থায় আপনার পেটটি অদ্ভুত আচরণ করতে শুরু করে,সেই সকল খাদ্য যেগুলি একসময় আপনার সবচেয়ে প্রিয় ছিল,এখন সেগুলিই আপনার দেখে গা গুলাবে এবং বমি বমি লাগবে।এবং প্রতিদিন বারে বারে বমি করা গর্ভাবস্থার প্রথম কয়েক মাসের জন্য জীবনের একটা অংশ হয়ে উঠবে।

গর্ভাবস্থায় মর্নিং সিকনেসের জন্য কিছু সময়-পরীক্ষিত ঘরোয়া প্রতিকার নীচে উল্লিখিত হল:

1. জল

প্রাকৃতিক আকারে জল কেবল অপরিবর্তনীয়।আপনি যদি বারে বারে বমি করে থাকেন তবে সেক্ষেত্রে আপনার শরীরে প্রয়োজনীয় লবণ এবং খনিজগুলিকে ধরে রাখার জন্য প্রচুর পরিমাণে জল পান করার চেষ্টা করুন।

আপনার যা করা প্রয়োজন

নিজেকে হাইড্রেট বা জলয়োজিত রাখতে এবং তার সাথে আবার হজম প্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটাতে সারা দিনে অন্ততপক্ষে 8 গ্লাস জল অবশ্যই পান করুন।এছাড়াও গা গুলিয়ে বমি বমি ভাব এবং বমির ধাঁচ কাটাতে আপনি আবার কিছু বরফের টুকরোকে চোষাও পছন্দ করতে পারেন।

2. আদা

গর্ভাবস্থায় বমির জন্য অন্যতম একটি অত্যন্ত কার্যকর প্রতিকার হল আদা।আদার স্বাদ এবং গন্ধ আপনার গা গুলিয়ে বমি বমি ভাব এবং বমি করার ধাঁচকে হ্রাস করতে সাহায্য করে।আদা হজমের উন্নতি ঘটায় এবং পাকস্থলিতে অ্যাসিডি হ্রাস করে।বমি করা দূর করতে এটিকে বিভিন্ন উপায়ে গ্রহণ করা যেতে পারে।

আপনার যা করা প্রয়োজন

  • ভোরবেলায় আদা চা পান করুন।এক কাপ জল ফুটিয়ে নিয়ে তার মধ্যে এক চা-চামচ থেঁতো করে নেওয়া আদা যোগ করে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিয়ে এরপর সেটিকে ছেঁকে নেওয়ার পর তার সাথে এক চা-চামচ মধু যোগ করার মাধ্যমে আপনি এটিকে তৈরী করতে পারেন।
  • আদা ক্যান্ডি হল আপনাকে ভালো অনুভূতি বোধ করানোর অন্য আরেকটি উপায়।
  • এসব ছাড়াও আপনি আবার কয়েক কুঁচি কাঁচা আদাও খেতে পারেন অথবা দিনের যেকোনও সময়ে আদা দেওয়া কুকিজগুলিকে জলখাবার হিসেবেও খেতে পারেন।

3. মেন্থল

এটি অত্যন্ত কার্যকর একটি ঔষধি যা পেটের উপর একটি শান্ত প্রভাব ফেলে।সর্বোত্তম ফল লাভের জন্য মেন্থলকে যেকোনও আকারেই খাওয়া যেতে পারে।

আপনার যা করা প্রয়োজন

  • ফুটন্ত জলের সাথে শুকনো মেন্থল এবং মধু যোগ করে আপনি মেন্থল চা প্রস্তুত করতে পারেন।গা গুলিয়ে বমি বমি ভাব থেকে মুক্তি পেতে এই মিশ্রণটিকে আপনি ভোরবেলায় পান করুন।
  • আপনার বমি বমি ভাব হলে একটি রুমালের উপর কয়েক ফোঁটা মেন্থল অপরিহার্য তেলটিকে ছিঁটিয়ে নিয়ে সেটিকে নাকের কাছে রেখে তার ঘ্রাণ গ্রহণ করুন।
  • মেন্থল পাতাগুলিকে শুধুশুধুই চিবিয়ে নিতে পারেন।
  • আবার মেন্থল ক্যান্ডিগুলিও সমভাবে কার্যকর।

4. কমলা লেবু

কমলা লেবুর মধ্যে রয়েছে সাইট্রিক অ্যাসিড যার সুগন্ধের ঘ্রাণ নেওয়া মাত্রই আপনার গা গুলিয়ে বমি বমি ভাব হওয়া থেকে স্বস্তি পেতে সহায়তা করে।এছাড়াও গর্ভাবস্থায় কমলা লেবুগুলিকে গর্ভবতী মহিলাদের দ্বারা অত্যন্ত আকাঙ্খিত ফল হিসেবেও বিবেচনা করা হয়ে থাকে।

আপনার যা করা প্রয়োজন

বমি বমি ভাব কমানোর জন্য আপনি কেবল কমলা লেবুর সতেজতার ঘ্রাণ নিতে পারেন অথবা তাজা কমলা লেবুর রস পান করতে পারেন।

5. দারুচিনি

ভারতীয় পরিবারগুলিতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত এই মশলাটি,গর্ভাবস্থায় মর্নিং সিকনেসের উপশমে অত্যন্ত কার্যকর হিসেবে বিবেচিত।

আপনার যা করা প্রয়োজন

এক কাপ জলের মধ্যে 1 ইঞ্চি মাপের দারুচিনির একটি টুকরো নিয়ে সেটিকে ফুটিয়ে নিন এবং 10 মিনিটের জন্য আঁচ কমিয়ে রেখে দিন।এরপর সেটিকে ঠাণ্ডা হতে দিন এবং এর সাথে এক চা-চামচ মধু যোগ করে আপনার দারুচিনির চা প্রস্তুত করে নিন।এবার যখনই আপনার বমি বমি ভাব লাগবে এই দারুচিনি চা পান করুন।এটি আবার হজমেরও উন্নতি ঘটায়।

6. লেবু

এই সাইট্রাস ফলের দুর্দান্ত স্বাদের কারণে লেবু গর্ভবতী মহিলাদের বমিভাব থেকে তাৎক্ষণিকভাবে মুক্তি দেয়।এছাড়াও লেবু আবার খনিজগুলির দ্বারাও সমৃদ্ধ যা আপনার সামগ্রিক বিকাশের উন্নতিতে সহায়তা করে।

আপনার যা করা প্রয়োজন

এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ জলের মধ্যে অর্ধেক লেবুর রসকে নিংড়ে নিয়ে তার সাথে এক চা-চামচ মধু যোগ করুন এবং এই রসটিকে প্রতিদিন সকালে পান করুন। উল্টোভাবে,আপনি আবার তৎক্ষণাৎ স্বস্তির জন্য একটি রুমালের মধ্যে লেবুর অপরিহার্য তেলের কয়েক ফোঁটা ছিঁটিয়ে নিয়ে সেটির ঘ্রাণ নিতেও পারেন।

7. অ্যাপেল সীডার ভিনিগার

অ্যাপেল সীডার ভিনেগার অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যযুক্ত এবং প্রয়োজনীয় অ্যাসিড সমৃদ্ধ। এটি পেটে অ্যাসিডটিকে নিষ্ক্রিয় করে এবং আপনার দেহের pH  বজায় রাখে, ফলে গা গুলানো এবং বমিভাবের অনুভূতি বন্ধ করে।গর্ভবতী মহিলাদের মধ্যে তীব্র বমি বমি ভাব ও বমি হওয়ার মত সমস্যা নিরাময়ের জন্য অ্যাপেল সীডার ভিনেগারকে সেরা বিবেচনা করা হয়ে থাকে।

আপনার যা করা প্রয়োজন

ঈষদুষ্ণ জলের সাথে এক চা-চামচ অ্যাপেল সীডার ভিনিগার এবং মধু মিশিয়ে নিয়ে সেই মিশ্রণটিকে আপনি ভোরবেলায় গ্রহণ করতে পারেন।এছাড়াও আপনি দিনের বেলাতেও এই ভিনিগারটি অল্প পরিমাণে খেতে পারেন।

8. লবঙ্গ

লবঙ্গের সহজাত বৈশিষ্ট্যের জন্য, এটি ডায়েরিয়া,হজমের সমস্যা,বমি বমি ভাব ইত্যাদি থেকে গর্ভবতী মহিলাদের মুক্তি দেয়।

আপনার যা করা প্রয়োজন

যখন আপনি বমি বমি ভাব অনুভব করবেন তখন আপনি কয়েকটি লবঙ্গ চিবোবেন।অন্যথায় আপনি 2-3টি লবঙ্গ গরম জলে বা চায়ে ফেলে দিয়ে সেটি পান করতে পারেন এর ফলে আপনি তাৎক্ষণিকভাবে মর্নিং সিকনেস থেকে রেহাই পাবেন।

9. দই

বমি এবং বমি বমি ভাব কমাবার জন্য দইয়ের এক অদ্ভূত ক্ষমতা আছে।এটি প্রোবায়োটিক এ পরিপূর্ণ,যেটি হল ভাল ব্যক্টেরিয়া যা পরিপাকে সহাযতা করে,এটি বমির ভাব কমাতে সাহায্য করে থাকে।

আপনার যা করা প্রয়োজন

আপনি এক বাটি করে দই নিয়ে সারা দিনে একবার বা দুইবার খান।পূর্ণ পরিতৃপ্তির জন্য এর সুগন্ধ ও স্বাদ বাড়াতে এর সাথে তাজা স্ট্রবেরী অথবা কোনো তাজা ফল যোগ করুন।

10. কিউই

অতীব গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন এবং খনিজ লবণের শক্তিঘর হিসাবে পরিচিত কিউই ফলটি হল ফোলেট, পটাসিয়াম,ভিটামিন C এবং E এর প্রাকৃতিক পৌষ্টিক উপাদানের সমৃদ্ধ উৎস।এটিতে প্রচুর পরিমাণে জল থাকে যা আপনাকে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে এমনকি যখন আপনি সারাদিনে কয়েকবার বমি করে ফেলেন তখনও।

আপনার যা করা প্রয়োজন

আপনি আপনার ফলের স্যালাডের সাথে এটিকে খেতে পারেন অথবা এক কাপ জল এবং কলার সাথে এটিকে ব্লেন্ড করে নিয়ে সেটির উপর কিছুটা মধু ছড়িয়ে নিয়ে একটি সতেজকারক কিউই পানীয় প্রস্তুত করে নিয়ে সেটিকেও পান করতে পারেন।

11. আমন্ড বাদাম

আমন্ডে আছে উচ্চ প্রোটিনজাত উপাদান এবং এগুলি হল গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিকর উপাদানের সমৃদ্ধ উৎস।এটি হজমে সাহায্য করে এবং গর্ভাবস্থায় মর্নিং সিকিনেস থেকে স্বস্তি সরবরাহের জন্যও এগুলি আবার বিবেচিত।

আপনার যা করা প্রয়োজন

মর্নিং সিকনেসকে এড়িয়ে চলার জন্য আপনি দিনের বেলায় জলখাবার হিসেবে 2-3 টি আমন্ড বাদাম খেতে পারেন অথবা আবার আপনি ভিজিয়ে রাখা 10-12 টি বাদাম রাত্রে শুতে যাওয়ার আগেও খেতে পারেন।

12. গন্ধসার তৈলগুলির দ্বারা অ্যারোমাথেরাপি

এটি গা গুলিয়ে বমি বমি ভাবানুভূতিটি থেকে যথেষ্ট স্বস্তি দিতে সহায়তা করবে।

আপনার যা করা প্রয়োজন

একটি রুমালের উপর আপনি কয়েক ফোঁটা অপরিহার্য ল্যাভেন্ডার তেলের সহিত মেন্থল অপরিহার্য তেল ছিঁটিয়ে নিতে পারেন এবং তার ভাপটিকে শ্বাস নিতে পারেন একটি আরামদায়ক প্রভাবের জন্য।ল্যাভেন্ডার অপরিহার্য তেলটি ইন্দ্রিয়কে শান্ত এবং প্রশমিত করার জন্য পরিচিত।এছাড়াও আবার আপনি কয়েক ফোঁটা লেমনগ্রাস এসেনশিয়াল তেল অথবা অরেঞ্জ এসেনশিয়াল তেল একটি রুমালের উপর ছিঁটিয়ে নিয়ে সেটির শ্বাসও গ্রহণ করতে পারেন।

13. মৌরি বীজ

মৌরি বীজের সুগন্ধ বেশ আরামদায়ক ও সতেজকর এবং মর্নিং সিকনেসকে দূরে ঠেলে রাখতে বীজগুলি নিজেও দুর্দান্ত।

আপনার যা করা প্রয়োজন

যখন আপনি গা গুলিয়ে বমি বমি ভাব অনুভব করবেন তৎক্ষণাৎ স্বস্তি পেতে আপনি কিছু মৌরি দানা চিবিয়ে নিতে পারেন।এছাড়াও আপনি মৌরির চা বানাতে পারেন।এক কাপ জলের মধ্যে কিছুটা মৌরি দানা নিয়ে সেটিকে ফুটিয়ে নেওয়ার পর 10 মিনিটের জন্য আঁচ কম করে রেখে দিন।এবার সেই মিশ্রিত পানীয়টিকে ছেঁকে নিয়ে তার সাথে এক চা-চামচ মধু যোগ করুন।আপনার মর্নিং সিকিনেসকে হ্রাস করতে এই চা ভোরবেলায় পান করুন।

14. জিরে বীজ

গা গুলানো বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়ার ক্ষেত্রে অন্য একটি কার্যকর প্রতিকার হল জিরে বীজ।

আপনার যা করা প্রয়োজন

জলের সাথে কিছুটা জিরে বীজ যোগ করে ফুটিয়ে নিয়ে কয়েক মিনিটের জন্য আঁচ কম করে বসিয়ে রাখুন।এবার সেটিকে ছেঁকে নিয়ে দিনে 2-3 বার পান করুন মর্নিং সিকনেস এবং গা গুলিয়ে বমি বমি ভাবকে সমূলে উৎপাটন করতে সহায়তার জন্য।

15. অ্যাকুপ্রেশার

মর্নিং সিকনেসকে দমন করার একটি কার্যকর এবং প্রাকৃতিক উপায় হল অ্যাকুপ্রেশার।

আপনার যা করা প্রয়োজন

আপনি দু’হাতের কবজিতেই অ্যাকুপ্রেশার রিস্টব্যান্ড পরিধান করতে পারেন।যখনই আপনি বমি বমি ভাব অনুভব করবেন,শুধু আপনার কবজিতে রিস্ট ব্যান্ডে উপস্থিত বোতামটিকে 1 সেকেন্ডের ব্যবধান করে 20 বার চেপে ধরুন।গা গুলিয়ে বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়া থেকে ভালবোধ করতে, উভয় কবজিতেই অনুরূপ পদ্ধতি অনুসরন করুন।

বিকল্পরূপে,আপনি এমনকি আবার চাপ-বিন্দুগুলিতে মালিশও করতে পারেন।

  • কবজির উপরে তিনটি আঙুলকে রাখুন এবং আপনার বুড়ো আঙুলটিকে কবজির উপরে তর্জনীটির নিচে রাখুন।
  • এবার এই বিন্দুতে কয়েক মিনিটের জন্য বৃত্তীয় গতিতে দৃঢ়ভাবে মালিশ করুন।
  • মর্নিং সিকিনেস এবং গা গুলিয়ে বমি বমি ভাব থেকে উপশমের জন্য অপর কবজিটিতেও এই একই পদ্ধতিটির পুনরাবৃত্তি করুন।

গর্ভাবস্থায় বমি বমি ভাব এবং বমির জন্য এই দ্রুত এবং সহজ ঘরোয়া প্রতিকারগুলি মর্নিং সিকনেস থেকে এক ব্যাপক পরিসরে স্বস্তি আনতে পারে।কিন্তু যদি কোনও ক্ষেত্রে বমি হওয়াটি চূড়ান্ত আকার নেয়,এবং যা কিছুই আপনি খান বা পান করেন তার সবটাই উগ্রে ফেলেন তবে সেটি খাদ্যজনিত অ্যালার্জি অথবা সংক্রমণের কারণে হয়ে থাকতে পারে।সুতরাং,এর যথাযথ ওষুধের জন্য একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া সবচেয়ে ভাল।গর্ভবতী মহিলারা যে ভুলটি প্রায়শই করে ফেলেন তা হল তারা নিজেরাই চিকিৎসকের ভূমিকাটি গ্রহণ করে ফেলেন।এটি করা থেকে বিরত থাকুন,আপনার গর্ভস্থ ভ্রূণটি এই সকল ওষুধে ভাল প্রতিক্রিয়া হয়ত না জানাতে পারে।মারাত্মক ক্ষেত্রে,স্ব-নির্ধারিত ওষুধ গ্রহণের ফলস্বরূপ এমনকি গর্ভপাতের মত ঘটনা অথবা আপনার সন্তানের দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতিসাধন পর্যন্ত হতে পারে।

মর্নিং সিকনেস বেশীরভাগ গর্ভবতী মহিলারাই কেবল তাদের প্রথম ত্রৈমাসিকেই অনুভব করে থাকেন।তবে কিছু ক্ষেত্রে,এটি সমগ্র গর্ভাবস্থা জুড়েই অনুভূত হতে পারে।উপরে উল্লিখিত প্রাকৃতিক প্রতিকারগুলি গর্ভাবস্থায় আপনাকে নিশ্চিত ভাবে আরও শক্তিশালী এবং ভাল অনুভব করাবে।