প্রসাধন না করলে আপনার কি নিজেকে অসম্পূর্ণ বলে মনে হয়? আপনার যদি প্রসাধন করার অভ্যাস থাকে এবং কোনও একদিন আপনি যদি সেটা ছাড়াই বাইরে বের হন, সেক্ষেত্রে আপনার বন্ধু–বান্ধবরা হয়ত আপনাকে একথা বলতে পারেন যে, আপনাকে যেন কেমন একটা লাগছে।আমরা সকলেই আমাদের কাছে থাকা অমূল্য মেক–আপ বা প্রসাধনী কিটটিকে ভীষণ ভালবাসি, তাই না? কিন্তু কোনও মহিলা যখন গর্ভবতী হন, তিনি তার প্রসাধনী সামগ্রীগুলি ব্যবহারের ব্যাপারে একটু সংশয় বোধ করেন।আপনিও যদি গর্ভবতী হয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে আপনিও নিশ্চই আপনার প্রসাধন সামগ্রীগুলি ব্যবহারের পূর্বে সে ব্যাপারে দু‘বার চিন্তা করবেন।তবে কোনও অন্তিম সিদ্ধান্তে আসার আগে, গর্ভাবস্থায় এটি ব্যবহার করা নিরাপদ কিনা তার সন্ধান করুন এবং আপনি যদি সেটা ব্যবহার করতে চান তবে কোন পণ্যগুলিকে আপনার বেছে নেওয়া উচিত সে সম্পর্কে আরও জানতে পড়ুন।
ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণে প্রসাধনী সামগ্রী রয়েছে, কিন্তু আপনি যখন গর্ভবতী হয়ে থাকেন, আপনি একথা জানেন না যে আপনার গর্ভের মধ্যে ছোট্টটিকে বেড়ে তোলার সময় আপনার ব্যবহারের পক্ষে ঠিক কোন প্রসাধনী পণ্যগুলি ব্যবহার করাটা নিরাপদ।এখানে এমনই কিছু জিনিস তালিকাবদ্ধ করা হল যেগুলি গর্ভাবস্থায় ব্যবহারের জন্য যেকোনও প্রসাধনী সামগ্রীকে বেছে নেওয়ার আগে আপনার সে ব্যাপারে সচেতন হওয়া উচিত বলে মানা হয়।
গর্ভাবস্থায় ত্বকের কোনওরকম সমস্যা এড়াতে যেকোনও প্রসাধনী পণ্য ক্রয় করার পূর্বে সতর্কতার সাথে এই বিষয়গুলি বিবেচনা করুন।
মহিলাদের তাদের গর্ভাবস্থায় বিশেষভাবে যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন।বিষাক্ত রাসায়নিকগুলি গর্ভধারণের সময় বা প্রজনন স্বাস্থ্যের উপর উল্লেখযোগ্য ভাবে প্রভাব ফেলতে পারে।গর্ভাবস্থায় যেকোনও প্রসাধনী সামগ্রী ক্রয় করার আগে গর্ভবতী মায়েদের সেগুলির মধ্যে ‘BPA মুক্ত‘,’সুগন্ধি মুক্ত‘, ‘DEA ছাড়া‘, ‘প্যারাবেন মুক্ত‘ ‘কোনওরকম ফ্যাথালেট ছাড়া‘-এর মত বিষয়গুলি সন্ধান করা উচিত।জৈব প্রসাধনীগুলির দিকে যান, সেগুলি আপনার পক্ষে ভাল হওয়া উচিত তবে আপনার মধ্যে যদি অ্যালার্জি বা কোনও খাদ্যে অসহিষ্ণুতা বা সহ্য না হওয়ার মত ব্যাপারগুলি থাকে, তবে সেক্ষেত্রে আপনি প্রসাধনীগুলির উপর মুদ্রিত করা তার উপাদানগুলির পুরো তালিকাটি পরীক্ষা করতে পারেন।আর আপনি যদি কোনও সুযোগ পান তবে আপনি আবার উদ্ভিজ্জ, জৈব পণ্য যেগুলি গ্লুটেন মুক্ত, সেগুলিও ব্যবহার করে দেখতে পারেন।পণ্যগুলির মধ্যে থাকা রাসায়নিকগুলির ব্যাপারে যদি আপনি অনিশ্চিত হন তবে সে ব্যাপারে কিছুটা গবেষণা করুন এবং এগুলির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলির ব্যাপারে অবগত হওয়ার জন্য আপনার চর্মরোগ বিশেষজ্ঞকে দিয়ে একবার পরীক্ষা করিয়ে নিন।
গর্ভাবস্থাতেও যদি আপনি প্রসাধন ছাড়া বেরতে না পারেন, তবে সেক্ষেত্রে এমন পণ্যগুলি ক্রয় করা নিশ্চিত করুন যেগুলি আপনার এবং আপনার গর্ভস্থ শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ।সর্বদা আপনার সন্তানের স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার কথাটা মাথায় রাখবেন।এখানে বলা হল, গর্ভাবস্থায় কীভাবে আপনি নিরাপদ প্রসাধনীগুলিকে বেছে নেবেনঃ
সাধারণত সব মহিলাই লিপস্টিক লাগাতে ভীষণ পছন্দ করেন, কিন্তু কোনওকিছু খাওয়া বা পান করার সময় সেটা যদি আপনার দেহের ভিতরে প্রবেশ করে যায় তখন তা আপনার শিশুর জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক হয়ে উঠতে পারে।
লেড বা সীসা, রেটানিল প্যালমিটেট, টোকোফেরাইল অ্যাসিটেট ইত্যাদির মত বিষাক্ত উপাদান যুক্ত লিপস্টিকগুলি আপনার এড়িয়ে চলা উচিত কারণ সেগুলি গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য ঝুঁকি তৈরী করতে পারে। পিগমেন্টিং বা রঞ্জনকারী রাসায়নিক বা কালারেন্টগুলিও সমান ক্ষতিকারক।
গর্ভবতী মহিলারা মৌ–মোম, শিয়া বাটার, তিল তেল, আমন্ড তেল, রোজ অয়েল বা গোলাপ তেল, জোজোবা তেল, আরগান তেল, মধু, কোকোয়া বাটার এবং এমনকি বিশুদ্ধ মাখন বা ঘি– এর মত কিছু প্রাকৃতিক উপাদান দ্বারা প্রস্তুত জৈব লিপস্টিকগুলি ব্যবহার করার চেষ্টা করতে পারেন।এগুলি দীর্ঘদিন ধরে চলে এবং আপনার গর্ভস্থ শিশুর স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও কোনওরকম সংশয় বা ঝুঁকি সৃষ্টি করে না।
গর্ভাবস্থায় আপনার ত্বককে আদ্র এবং স্বাস্থ্যকর রাখার জন্য আপনার একটা ভাল ফেস ক্রীমের প্রয়োজন হবে।কিন্তু গর্ভদশায় আপনার ত্বকে বহুবিধ পরিবর্তন হতে থাকার কারণে তার উপযোগী সঠিক ক্রীমটি খুঁজে পাওয়া আপনার পক্ষে মুশকিল হয়ে উঠতে পারে।ক্রীমে থাকা রাসায়নিকগুলি এই সময় ত্বকের পক্ষে বেশ কড়া হয় এবং তা বাচ্চার বিকাশে প্রভাব ফেলতে পারে।
ত্বক–সুরক্ষা বা স্কিন–কেয়ার পণ্যগুলির মধ্যে থাকা রেটিনয়েডস এবং স্যালিসিলিক অ্যাসিডের মত কঠোর উপাদানগুলি ত্বকে শোষিত হওয়ার পরে রক্ত প্রবাহে প্রবেশ করতে পারে।সুতরাং এজাতীয় পণ্যগুলি এড়িয়ে চলুন।প্যারাবেন এবং সোডিয়াম লরিল সালফেটের মত অন্যান্য রাসায়নিকগুলিও এড়িয়ে চলা উচিত।
গাঢ় ঘনত্বের সাথে একটা ফেস ক্রীম যা কোনওরকম ড্যালা হয়ে থাকা কিম্বা দাগ হওয়া ছাড়াই সহজে মিশে যায়– গর্ভবতী মহিলার বেছে নেওয়া উচিত।যদিও কোনওরকম ক্ষতিকারক কড়া রাসায়নিক ছাড়া খুব কমই ওভার দ্য কাউন্টার ফেস ক্রীম রয়েছে, তবুও আপনি অর্গানিক বা জৈব ফেস–ক্রীমগুলি কেনার কথা বিবেচনা করতে পারেন অথবা আপনার উপযুক্ত ফেস ক্রীম বেছে আপনার চর্ম–বিশেষজ্ঞের সাহায্য ও মতামত নিন।
ফাউন্ডেশন সাধারণত ব্যবহার করা হয় অসম বা খসখসে ত্বকে উপস্থিত ট্যান পড়া, বলিরেখা, ছোপ দাগগুলি চাপা দেওয়া বা লুকানোর কাজে।গর্ভাবস্থায় ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা আপনার মধ্যে বেড়ে যেতে পারে, আর তার জন্য আপনি যদি একান্তই কোনও ফাউন্ডেশন ব্যবহার করতে চান, তবে একটা ভাল মানের ফাউন্ডেশনের জন্য বিনিয়োগ করুন।
রেটিনয়েড এবং বিটা হাইড্রক্সি অ্যাসিডের মত ক্ষতিকারক উপাদান সমন্বিত যেকোনও ফাউন্ডেশই আপনার এড়িয়ে চলা উচিত।
গর্ভবতী মহিলাদের এমন কোনও ফাউন্ডেশন ব্যবহার করা উচিত যা ত্বকে প্রাকৃতিক স্পর্শ দেয়।এর গঠণটি না খুব জলজলে না খুব ক্রীমি হওয়া উচিত, এবং সেটি আপনার ত্বকের উপর বেশ কিছুটা বেশি সময় ধরে স্থায়ী হওয়া প্রয়োজন যাতে আপনাকে কয়েক ঘন্টা অন্তর অন্তর ফাউন্ডেশনটিকে পুনরায় লাগাতে না হয়।কিছু ব্র্যান্ডের স্কিন টোনের ক্ষেত্রে স্বল্প পরিসরে কিছু জৈব ফাউন্ডেশন রয়েছে।আপনি এগুলি একবার পরীক্ষা করে দেখতে পারেন, তার মধ্যে যেটি আপনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে সহনশীল হবে সেটিকেই উপযুক্ত হিসেবে বেছে নিতে পারেন।
ত্বকের অসম্পূর্ণতা বা ত্রুটি ঢাকতে মহিলারা কনসিলার ব্যবহার করে থাকেন।ত্বকের ওপর একটা মৃদু আভা আনার জন্য ফাউন্ডেশনের সাথে গুলি ব্যবহার করা হয়।
কনসিলারগুলির মধ্যে একটা নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে রঙ মেশানো থাকে।পলি ইথাইলিন(PEGs) এবং প্যারাবেন সমন্বিত যেকোনও কিছুই ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন কারণ এগুলি ব্রেস্ট বা স্তন ক্যান্সারের সাথে যুক্ত।
আপনার এমন একটি কনসিলার ব্যবহার করা উচিত যা প্রয়োগ করা সুবিধাজনক, আপনার ত্বককে শুষ্ক করে না, সহজে মিশে যায় এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়।গর্ভাবস্থায় প্রাকৃতিক উপাদানগুলি দ্বারা প্রস্তুত কনসিলারগুলি ব্যবহার করাই আপনার পক্ষে সবচেয়ে ভাল।
গর্ভাবস্থায় আপনার নেইল–পলিশ পরা কি উচিত? ভারতীয় সংস্কৃতিতে, বিশেষত গর্ভাবস্থায় ব্যবহারের ক্ষেত্রে নেইল পলিশ একটা কূট বা কৌশলী প্রসাধন হয়ে উঠতে পারে কারণ আমরা খাবার খাওয়ার জন্য সাধারণত আমাদের হাতই ব্যবহার করি।গর্ভাবস্থায় নেইল পলিশ পরার আগে আপনার আবশ্যিকভাবেই যা কিছু বিবেচনা করা উচিত–এখানে দেওয়া হল।
নেইল পলিশে টলুইন নামে একটি যৌগ থাকে।যদি গর্ভবতী মহিলার দ্বারা এটি শ্বাস নেওয়া হয় তবে তা ভ্রূণের মধ্যে নানা ধরণের ত্রূটি ক্রমশ বাড়িয়ে তুলতে পারে।এই রাসায়নিক যৌগটির কারণে আবার ত্বক এবং চোখে জ্বালা গা গুলানো বমি বমি ভাব এবং মাথা ঘোরার মত সমস্যাগুলি দেখা দিতে পারে।এছাড়াও এর মধ্যে আরও অনেক বিষাক্ত উপাদান থাকে যেগুলি গর্ভস্থ শিশুর বৃদ্ধির প্রতিবন্ধক হয়ে উঠতে পারে। অতএব, গর্ভাবস্থায় এটি এড়িয়ে চলাই সবচেয়ে ভাল।
আপনার এই সময় একটু ভাল মানের নেইল পলিশ বেছে নেওয়া উচিত যা সহজে সস্তায় মেলে না অথবা কড়া রাসায়নিক গন্ধ বিহীন।সবসময় তুলনামূলক কম বিপজ্জনক রাসায়নিকযুক্ত পণ্যগুলি ক্রয় করাই উচিত।
ব্লাশ এবং আই–শ্যাডোগুলির মধ্যেও প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক উপাদান থাকে যেগুলি গর্ভাবস্থায় আপনার ত্বকের পক্ষে ক্ষতিকারক হতে পারে।শুকনো/পাউডার জাতীয় ব্লাশ এবং আই–শ্যাডোগুলি আবার আপনার পেটেও ঢুকে যেতে পারে যা আপনার নিজের এবং আপনার গর্ভস্থ শিশুর কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।যাইহোক, তবে এক্ষেত্রে ব্লাশের কিছু বিকল্পও রয়েছে।এখানে দেওয়া হল গর্ভাবস্থায় ব্লাশ এবং আই–শ্যাডো লাগানোর জন্য সেগুলি কেনার সময় আপনার কি কি বিষয়ে খোঁজ করা উচিত।
ব্লাশ এবং আই–শ্যাডোগুলির মধ্যে থাকা প্যারাবেন এবং সোডিয়াম সালফেট যদি আপনার রক্ত প্রবাহের মধ্যে প্রবেশ করে তবে তা কিন্তু আপনার গর্ভস্থ শিশুর ক্ষতি করতে পারে।সুতরাং সেটি কেনার আগে তার উপকরণগুলি দেখে নিন।
আপনার পছন্দের প্যালেটে রাখার জন্য সুগন্ধ ছাড়া, প্যারাবেন মুক্ত এবং BPA হীন ব্লাশ এবং আই–শ্যাডোগুলিকে বেছে নেওয়া উচিত।অনেকগুলি জৈব কসমেটিক বা প্রসাধনী ব্র্যান্ডগুলি জৈবিক ব্লাশও তৈরী করে যেগুলি ব্যবহারের কথা আপনি ভাবতে পারেন।
ফেস পাউডারগুলি হল রঞ্জক যুক্ত স্বচ্ছ পাউডার বিশেষ, যা সাধারণত ত্বকের ওপর ফাউন্ডেশন সেট করার জন্য মহিলারা ব্যবহার করে থাকেন।এগুলিও বেছে নেওয়া যেতে পারে তবে আপনার এবং আপনার গর্ভস্থ শিশুর স্বাস্থ্যজনিত সমস্যাগুলি এড়াতে বুদ্ধিমানের মত বিচক্ষণতার সাথে সেটি ব্যবহার করা উচিত।
অনেক ফেস পাউডারের মধ্যেই রেটিনয়েডস, টেট্রাসাইক্লিন এবং হাইড্রোকুইনোন থাকে।গর্ভাবস্থায় এজাতীয় পণ্যগুলি পুরোপুরি এড়িয়ে চলা উচিত।
কর্নস্টার্চ হল ফেস পাউডারের একটা দুর্দান্ত বিকল্প।এটি মুখের ওপরের যেকোনও তেল বা ঘাম শুষে নেয় এবং ফাউন্ডেশনকে সেট করতেও সাহায্য করে।
কাজল সাধারণত চোখের সৌন্দর্যকে আরও সুস্পষ্ট রূপে ফুটিয়ে তোলার জন্য ব্যবহার করা হয়।এটি চোখে টান পড়া রোধ করে এবং এর মধ্যে আদ্রতা ধরে রাখে।কাজল বরাবরই ভারতীয় সংস্কৃতির একটা অঙ্গ।কাজল পেন্সিল বাজারে সহজলভ্য হওয়ার আগে, কর্পূর, ক্যাস্টার অয়েল এবং আমন্ড তেলের মত সাধারণ কিছু উপকরণ দিয়ে বাড়িতেই সেটি প্রস্তুত করা হত।যদি বাজার চলতি কোনও কাজল পেন্সিল আপনার ক্ষেত্রে সেরকম ক্রিয়াশীল না হয়ে থাকে, তাহলে আপনি আপনার নিজের জন্য কাজল তৈরী করে নেওয়ার জন্য এই বিকল্পটি প্রয়োগ করতে পারেন।
দোকান থেকে কেনা কাজলের মধ্যেও কিন্তু বিভিন্ন ধরণের বিষাক্ত রাসায়নিক থাকে যা দীর্ঘমেয়াদী মারাত্মক সমস্যার কারণ হয়ে উঠতে পারে।সুতরাং রাসায়নিক রয়েছে এমন ধরণের কাজলগুলি এড়িয়ে চলুন।
ক্যাস্টার অয়েল এবং আমন্ড অয়েলের মত পুরোপুরি জৈব উপাদান দ্বারা নির্মিত কাজল, চোখের পক্ষে স্বাস্থ্যকর এবং আপনার এবং আপনার গর্ভস্থ শিশুর জন্যও সম্পূর্ণরূপে নিরাপদ, আর এর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই।
আপনি যদি গর্ভাবস্থায় আপনার এবং আপনার গর্ভস্থ শিশুর সাথে কোনওরকম অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটুক–এমনটি না চান, তাহলে আপনি এই সময় মেক–আপ বা প্রসাধনী সামগ্রীগুলি ব্যবহার করা পুরোপুরি এড়িয়ে চলতে পারেন।কিন্তু তাই বলে এর অর্থ এই নয় যে আপনাকে ভাল দেখাবে না, সেক্ষেত্রে এই সময়কালে আপনাকে মনোমুগ্ধকারী ও অপূর্ব দেখাবারও আরও অন্যান্য অনেক উপায় আছে।
মেক–আপ বা প্রসাধনী সামগ্রীগুলি হয়ত আপনার চেহারায় নতুনত্ব আনতে পারে কিন্তু কোনওরকম প্রসাধনী ছাড়াও আপনাকে একইরকমভাবে চমৎকার দেখাতে পারে। গর্ভাবস্থায় আপনার মধ্যে হয়ত কিছু ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে, তবে তার সাথে আবার আপনার গর্ভাস্থাকালীন ঔজ্জ্বল্যও ফুটে উঠবে।অতএব, আপনি ব্লাশ, ফাউন্ডেশন, কনসিলার এবং কাজলের ক্ষেত্রে একটি বড় ‘না‘ বলতেই পারেন এবং জেনে রাখুন, তা সত্ত্বেও কিন্তু আপনাকে সুন্দর দেখতে লাগবে! এখানে এমন কয়েকটি টিপস দেওয়া হল যেগুলি কোনওরকম প্রসাধনীর চিহ্ন ছাড়াই আপনাকে অপূর্ব দেখাতে সহায়তা করতে পারে।
প্রতিটি মহিলারই একটা আলাদা সৌন্দর্য আছে, আর এটা কোনও প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহারের ফল নয় যা আপনাকে সবচেয়ে সেরা দেখতে করে তোলে, এটা আপনার আভ্যন্তরীণ সৌন্দর্য যা আপনাকে আপনার মত গড়ে তোলে।অনেক বিউটি প্রোডাক্টস বা প্রসাধনী সামগ্রীগুলিই আপনার সন্তানের জন্য ক্ষতিকারক হয়ে উঠতে পারে, সুতরাং গর্ভাবস্থায় সেগুলির ব্যবহার এড়িয়ে চলাই সবচেয়ে ভাল।তবে আপনি যদি প্রসাধনী ব্যবহার ছাড়া কোনওভাবেই বেরোতে না পারেন, সেক্ষেত্রে জৈব পণ্যগুলির খোঁজ করুন আর নিরাপদ থাকুন।