In this Article
- ফুল–টার্ম বা পূর্ণ–মেয়াদী গর্ভাবস্থা কি?
- গর্ভাবস্থার বিভিন্ন মেয়াদগুলি কি?
- গর্ভদশার 39 তম সপ্তাহটিকে কেন পূর্ণ মেয়াদী বা ফুল–টার্ম গর্ভাবস্থা হিসেবে বিবেচনা করা হয়?
- পূর্ণ–মেয়াদী গর্ভাবস্থায় শিশুর বিকাশ
- গর্ভদশার 39-40 সপ্তাহে মায়ের দেহে পরিবর্তন
- যত দীর্ঘ সম্ভব গর্ভের মধ্যে শিশুর অবস্থান করাটা কি ঠিক?
- কি হবে আমার যদি আর্লি টাইম বা শীঘ্র–মেয়াদী গর্ভাবস্থা হয়ে থাকে?
- পোস্ট টার্ম বা পিছিয়ে যাওয়া গর্ভাবস্থার ঝুঁকিগুলি কি?
যেকোনও পরিবারের ক্ষেত্রেই গর্ভাবস্থা হল একটি উত্তেজনাপূর্ণময় মুহুর্তের পাশাপাশি উদ্বেগজনক সময়।মায়ের সুরক্ষা এবং শিশুর সুস্বাস্থ্যের চূড়ান্ত অগ্রাধিকার প্রত্যেকের কাছেই কাম্য।বেশিরভাগ মায়েরাই একটি সুস্থ এবং স্বাভিক প্রসবের অভিজ্ঞতা অর্জন করার প্রত্যাশা করেন, তবে এর অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল, গর্ভাবস্থাটি যাতে তার পূর্ণ মেয়াদে পৌঁছায় সেটি নিশ্চিত করা।পূর্ণ–মেয়াদী গর্ভাবস্থাকে ঘিরে অনেক ঘটনা এবং এমনকি অতিকথনও রয়েছে আর তাই প্রতিটি গর্ভবতী মহিলা এবং যারা গর্ভবতী হতে চান তাদের প্রত্যেকেরই উচিত এগুলি সম্পর্কে জানা, যাতে সে ব্যাপারে প্রস্তুত হওয়া যায়।
ফুল–টার্ম বা পূর্ণ–মেয়াদী গর্ভাবস্থা কি?
একটি পূর্ণ মেয়াদী গর্ভাবস্থা হল যখন সেটি গর্ভদশার 39 সপ্তাহ পূর্ণ হয়।চিকিৎসাগত জরুরী পরিস্থিতিতে ডাক্তাররা হয়ত নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই প্রসব ক্রিয়াটি করানোকে বেছে নিতে পারেন, তবে স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে আপনি 39 সপ্তাহের গর্ভবতী হওয়ার পর প্রসব করলে তা সাধারণত সবচেয়ে ভাল ব্যাপার হয়ে থাকে।কয়েক বছর আগে পর্যন্ত, 37 সপ্তাহ পূর্ণ হলে একটি গর্ভাবস্থাকে পূর্ণ মেয়াদী গর্ভাবস্থা হিসেবে বিবেচনা করা হত, তবে এসিওজি বা আমেরিকান কলেজ অব অবস্টেট্রিশিয়ানস এবং গাইনোকোলজিস্টদের সর্বশেষ নির্দেশ অনুসারে 2013 সালে তাদের পর্যালোচনা গবেষণার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে , গর্ভাবস্থার পূর্ণ–মেয়াদ বলতে তা গর্ভদশার 39 সপ্তাহেই সবচেয়ে ভাল।
গর্ভাবস্থার বিভিন্ন মেয়াদগুলি কি?
গর্ভকালীন দশাটি স্থায়ী হওয়ার সময়কালের উপর নির্ভর করে গর্ভাবস্থার মেয়াদগুলিকে নিম্নলিখিত হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা যেতে পারেঃ
-
আর্লি টার্ম বা শীঘ্র মেয়াদী
এটি গর্ভদশার বয়সের হিসেবে উল্লেখ করা হয় এবং তা 37 সপ্তাহ 0 দিন থেকে 38 সপ্তাহ 0 দিনের মধ্যে থাকে।
-
ফুল–টার্ম বা পূর্ণ মেয়াদী
যে গর্ভাবস্থা 39 সপ্তাহ 0 দিন থেকে 40 সপ্তাহ 6 দিনের মধ্যে স্থায়ী হয়, তা পূর্ণ–মেয়াদী গর্ভাবস্থাকালীন সপ্তাহ হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে।
-
লেট টার্ম বা বিলম্বিত মেয়াদী
গর্ভকালীন সময়কালটি 41 সপ্তাহ 0 দিন থেকে 41 সপ্তাহ 6 দিনের মধ্যে স্থায়ী হলে।
-
পোস্ট টার্ম বা পিছিয়ে যাওয়া গর্ভাবস্থা
এটি হল এমন একটি গর্ভাবস্থা যা 42 সপ্তাহ 0 দিন বা তারও বেশি সময় অবধি স্থায়ী হয়।
গর্ভদশার 39 সপ্তাহে, শিশুটি স্বাভাবিক বৃদ্ধি অর্জন করবে এবং গর্ভদশাটিকে একটি পূর্ণ–মেয়াদী গর্ভাবস্থায় পরিণত করবে আর এটি হল প্রসবের সর্বোত্তম সময়।
গর্ভদশার 39 তম সপ্তাহটিকে কেন পূর্ণ মেয়াদী বা ফুল–টার্ম গর্ভাবস্থা হিসেবে বিবেচনা করা হয়?
এটি ছিল বহু গবেষণা সমীক্ষার একটি ফলাফল যেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা পূর্বে প্রস্তাবিত 37 সপ্তাহের বিপরীতে, গর্ভদশার 39 সপ্তাহকেই পূর্ণ–মেয়াদী–গর্ভাবস্থা হিসাবে বিবেচনা করেছিলেন।আর এক্ষেত্রে দেখা গিয়েছিল গর্ভদশার 37 সপ্তাহে জন্মানো শিশুদের তুলনায় 39 সপ্তাহের পূর্ণ মেয়াদে জন্মানো শিশুদের, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যায় তুলনামূলকভাবে কম ভুগতে।গর্ভদশার 39 সপ্তাহে জন্মানো শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছিল, তাদের আরও বেশি উন্নত ব্রেন, লিভার এবং ফুসফুস তৈরী হতে যেহেতু গর্ভদশায় এইসকল অঙ্গাণুগুলি বিকাশ পেতে আরও বেশি সময় পেয়েছিল।এই সকল শিশুরা আবার একটি স্বাস্থ্যকর ওজনের সাথে জন্ম লাভ করেছিল এবং জন্মের সময় বেশ ভালভাবে স্তন্যপান করতে এবং গিলতেও সক্ষম হয়েছিল।তাই তখন থেকেই গর্ভদশার 39 তম সপ্তাহটিকেই পূর্ণ মেয়াদী বা ফুল–টার্ম গর্ভাবস্থা হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে আসছে।
পূর্ণ–মেয়াদী গর্ভাবস্থায় শিশুর বিকাশ
গর্ভদশার 37 সপ্তাহের শুরু থেকে মায়ের গর্ভের মধ্যে কোনও শিশুর শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ–প্রত্যঙ্গগুলি পূর্ণ বৃদ্ধি অর্জনের জন্য পরিণত হতে শুরু করে।।পাচনতন্ত্রে মেকোনিয়াম গড়ে ওঠা শুরু হয় পরবর্তীতে যা শিশুর জন্মের পর দেখা দেওয়া প্রথম মলে রূপান্তরিত হয়।
বাচ্চার মাথাটি মায়ের শ্রোণির দিকে অগ্রসর হতে শুরু করে।চিকিৎসাগত পরিভাষায় এই অবস্থানটি ‘এনগেজড‘ হিসেবে পরিচিত।কয়েকটি ক্ষেত্রে, এই অবস্থানটি কেবল শ্রমের পরেই ঘটে থাকে।এই সময় পর্যন্ত গর্ভের ভিতরে শিশুটি ল্যানুগো (শিশুর হেয়ার ফলিক্যল দ্বারা উৎপাদিত প্রথম চুল বা লোম) দ্বারা আবৃত থাকে, কিন্তু 39 সপ্তাহে বা গর্ভাবস্থাটি যখন তার পূর্ণ মেয়াদে পৌঁছায় এগুলির সমস্তই চলে যায়। তথাপি কিছু শিশুর ক্ষেত্রে তাদের জন্মের পরেও এর কয়েকটি রেখা থেকে যেতে পারে।জন্মের সময় শিশুর যৌনাঙ্গটি ফোলাভাব দেখায়, আর এটা হয়ে থাকে মায়ের দেহে হরমোনের মাত্রা পরিবর্তন হওয়ার কারণে তবে শীঘ্রই সেটি তার স্বাভাবিক আকার অর্জন করে।
গর্ভদশার 39-40 সপ্তাহে মায়ের দেহে পরিবর্তন
কোনও গর্ভদশা যখন তার 39 তম সপ্তাহে পৌঁছায়, জরায়ুর মাংসপেশীতে টান লাগতে শুরু করে এবং আপনি হয়ত আবার শ্রমের মিথ্যে মিথ্যে কিছু ইঙ্গিতও অনুভব করতে পারেন।এই অবস্থাটা আবার ‘ব্র্যাক্সটন হিক্স‘ নামেও পরিচিত।আপনি যা কিছু পরিবর্তনই অনুভব করবেন, অবিলম্বে আপনার ডাক্তারবাবুকে জ্ঞাপন করান।
পেলভিক বা শ্রোণী অঞ্চলে শিশুটি অগ্রসর হতে শুরু করে এবং তার ফলে সেই অঞ্চলে একটি অস্বস্তি সৃষ্টি হয়, আর এটি হওয়ার সময় আপনি ঐ অঞ্চলে তীক্ষ্ণ ছুরিকাঘাতের মতো সংবেদন অনুভব করতে পারেন।খোঁচা লাগার মত এই অনুভূতিটি সাধারণত শিশুর মাথা ঘুরানোর ফলে হয়ে থাকে।
সাদা শ্লেষ্মা রূপে হয়ে থাকা যোনি স্রাবের মধ্যে এই পর্যায়ে আবার মাঝেমধ্যে অল্পস্বল্প রক্তের দাগও দেখা দিতে পারে।
যত দীর্ঘ সম্ভব গর্ভের মধ্যে শিশুর অবস্থান করাটা কি ঠিক?
কথাতেই যেমন রয়েছে, কোনও কিছুরই বাড়াবাড়ি ভাল নয়, সেই একই ধারণাটি গর্ভাবস্থার পূর্ণ মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ার পরেও গর্ভের মধ্যে শিশুর অবস্থানের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।এই সময়কালটি এক সপ্তাহ বাড়তে পারে, কিন্তু তাই বলে তারও পরে–অবশ্যই না।ফুল– টার্ম বা পূর্ণ মেয়াদেই শিশুদের জন্মগ্রহণ করাটা উচিত, এর আগে বা পরে যেকোনও কিছুই অবশ্যই স্বাস্থ্যকর নয় এবং কিছুক্ষেত্রে এটি আবার শিশুর জীবনকেও বিপন্ন করতে পারে।
কি হবে আমার যদি আর্লি টাইম বা শীঘ্র–মেয়াদী গর্ভাবস্থা হয়ে থাকে?
শীঘ্র–মেয়াদী গর্ভাবস্থায় শিশু সাধারণত গর্ভদশার পূর্ণ মেয়াদে পৌঁছানোর পূর্বে 37 সপ্তাহে জন্মগ্রহণ করে থাকে।গবেষণা সমীক্ষায় দেখা গেছে যে শীঘ্র মেয়াদে জন্মগ্রহণ করা শিশুরা শারীরবৃত্তীয়ভাবে অপরিণত হতে পারে।আবার আর্লি টার্ম বা শীঘ্র মেয়াদে জন্মগ্রহণ করা শিশুদের অনেক রোগ–ব্যাধির ঝুঁকিতে থাকতেও দেখা গেছে, বিশেষ করে, শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা বা হাঁপানির মতো রোগ প্রতিরোধ সম্পর্কিত ব্যাধিগুলির সাথে।আবার গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ব্যাধিগুলিতে পূর্ণ–মেয়াদে জন্মলাভ করা শিশুদের চেয়ে শীঘ্র মেয়াদে জন্মগ্রহণ করা শিশুদের বেশি যুক্ত থাকতেও দেখা গেছে।
লেট টার্ম বা বিলম্বিত মেয়াদী গর্ভাবস্থা থাকাটা কি ঝুঁকিপূর্ণ?
লেট টার্ম বা বিলম্বিত মেয়াদী গর্ভাবস্থা থাকাটা মা এবং শিশু উভয়ের জন্যই ঝুঁকিবহুল হতে পারে।শিশুদের মধ্যে এটি শ্বাস–প্রশ্বাসের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, বৃদ্ধি হঠাৎ থেমে যেতে পারে, হৃদস্পন্দন ধীর গতিতে হওয়ার সাথে আরও অন্যান্য সমস্যাগুলি যুক্ত হতে পারে।অ্যামনিওটিক তরল কমে যেতে শুরু করে যার অর্থ এটি শিশুর জন্য আরও মারাত্মক হতে পারে।কিছুক্ষেত্রে মৃত সন্তানের জন্মের মতও দুঃসহ ঘটনা ঘটতে পারে।এছাড়াও পূর্ণ মেয়াদ অতিক্রম করে বিলম্বিত সময়কাল হওয়ার কারণে শিশুটি ভারী হয়ে ওঠায় প্রসব প্রক্রিয়ার সময় জটিলতা দেখা দিতে পারে এবং তার পরিণামস্বরূপ অস্ত্রপচারের দিকেও যেতে হতে পারে।
পোস্ট টার্ম বা পিছিয়ে যাওয়া গর্ভাবস্থার ঝুঁকিগুলি কি?
পোস্ট টার্ম গর্ভাবস্থা হল এমন এক অবস্থা যেখানে, 42 সপ্তাহ পেরিয়ে যাওয়ার পরেও প্রসব ক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়ে ওঠে না, অর্থাৎ চিকিৎসাগত দিক থেকে গ্রহণযোগ্য 39 সপ্তাহের পূর্ণ–মেয়াদী গর্ভাবস্থার সময়কালটি অতিক্রম করে ফেলারও পরে।একটি পোস্ট টার্ম গর্ভাবস্থার অর্থ হতে পারে মা এবং শিশু উভয়ের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেই জটিলতা গড়ে ওঠা।
এএএফপি বা আমেরিকান একাডেমি, পোস্ট টার্ম গর্ভাবস্থার সাথে শিশুর সম্পর্ক থাকার অসংখ্য ঝুঁকি তালিকাভুক্ত করেছে যেগুলির মধ্যে অন্তর্ভূক্ত রয়েছেঃ
- শিশু অতিরিক্ত ওজনের হয়ে উঠতে পারেঃ পোস্ট টার্মে শিশুদের ওজন 8 পাউন্ডেরও বেশি হওয়ার প্রবণতা থাকে।চিকিৎসাগত পরিভাষায় এই অবস্থাটি ফিটাল ম্যাক্রোসোমিয়া নামে পরিচিত যা ভবিষ্যতে স্থূলতা এবং ডায়াবেটিসের দিকে পরিচালিত করতে পারে। অতিরিক্ত ওজনের বাচ্চারা আবার মায়ের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও ঝুঁকিপূর্ণ কারণ হয়ে উঠতে পারে, যেহেতু অতিরিক্ত ওজনের সাথে তাদের দেহের বর্ধিত আকারটি প্রসবের সময় জরায়ু ফেটে যাওয়ার কারণ হয়ে উঠতে পারে এবং ফলস্বরূপ যৌনাঙ্গ পথটি বিদীর্ণও হয়ে যেতে পারে।আর তার মানে হল প্রচুর রক্তপাতও হবে।
- শিশুর কাছে কম অক্সিজেন পৌঁছাতে পারেঃ গর্ভাবস্থা তার পূর্ণ–মেয়াদে পৌঁছানোর পরে, প্লাসেন্টা যা শিশুকে অক্সিজেন এবং পুষ্টি সরবরাহ করে তার সর্বাধিক আকার অর্জন করতে পারে এবং তার পর থেকে তার কাজ করার ক্ষমতা স্বাভাবিকভাবে হ্রাস পায়।এর অর্থ হল শিশুটি পর্যাপ্ত অক্সিজেন না পাওয়ার ঝুঁকিতে থাকে যার ফলে সেরিব্রাল পালসির ন্যায় মারাত্মক জন্মগত ব্যাধিগুলিও দেখা দিতে পারে।
- মেকোনিয়াম অ্যাসপিরেশনঃ পোস্ট টার্ম প্রেগনেন্সির কারণে এমন একটি অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে যা মেকোনিয়াম অ্যাসপিরেশন নামে পরিচিত, যেখানে শিশু প্রশ্বাসের মাধ্যমে অ্যামনিওটিক তরল গ্রহণ করে ফেলে যার ফলে অক্সিজেনের অভাব হয় এবং শিশুর মধ্যে ফুসফুসের ব্যাধি গড়ে ওঠে।
মায়েদের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য জটিলতাগুলি দেখা দিতে পারে যেমন সংক্রমণ, প্রসবোত্তর হ্যামারেজ বা রক্তক্ষরণ, সিজারিয়ান বা শল্যচিকিৎসার পথে যেতে বাধ্য হওয়া এবং এমনকি পেরিনিয়ামের আঘাতের মতো সমস্যাগুলিও দেখা দিতে পারে।
উপসংহারঃ চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনওরকম জটিলতা না থাকলে, ফুল টার্ম বা পূর্ণ মেয়াদী গর্ভাবস্থার পথে হাঁটাই সবচেয়ে ভাল, কারণ এটি মা এবং সন্তান উভয়েরই সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে।