বাচ্চাদের জন্য আউটডোর গেমগুলির 10 টি আশ্চর্যজনক উপকারিতা

বাচ্চাদের জন্য আউটডোর গেমগুলির 10 টি আশ্চর্যজনক উপকারিতা

এখনকার দিনে, যত সময় যাচ্ছে বাচ্চাদের মধ্যে ক্রমশ ততই আরও বেশি বেশি সময় ধরে ঘরের ভিতরেই থেকে অতিবাহিত করার প্রবণতা দেখা দিচ্ছে।বেশিরভাগ বাচ্চারাই এখন টেলিভিশন, স্মার্টফোন এবং অন্যান্য গ্যাজেটের সাথে আঠার মত লেগে থাকে।কিন্তু অনন্ত সময় ধরে একনাগাড়ে টিভিতে কার্টুন দেখা কিম্বা ফোন ব্যবহার করা তাদের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।খাটের উপর আলুর মত হয়ে বসে থাকাটাও আবার বাচ্চাদের মধ্যে স্থূলতার কারণ হয়ে উঠতে পারে।আবার অন্যদিকে, আউডডোর গেমগুলি খেললে তা শিশুদের শারিরীক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে পারে।বহিরাঙ্গনের খেলাগুলির মধ্যে নিজেদের উন্মুক্ত করলে তা তাদের ব্যক্তিত্বের আকার দেয় এবং প্রয়োজনীয় সামাজিক দক্ষতাগুলি গড়ে তুলতে ও উন্নত সহায়তা করে।তাদের জীবন দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করার এটি একটি দুর্দান্ত উপায়।আউটডোর গেমগুলি খেললে তা আপনার বাচ্চাদের কি কি ভালো করতে পারে তা জনতে হলে আরও পড়ুন।

বাচ্চাদের জন্য আউটডোর গেমগুলি খেলার উপকারিতাগুলি

আউটডোর গেমগুলি খেলার উপকারিতাগুলি সব বয়সের বাচ্চাদের জন্যই অঢেল।বহিরাঙ্গন ক্রিয়াকলাপগুলির বেশ কিছু উপকারিতা নিম্নে তালিকাবদ্ধ করা হলঃ

1.এটি তাদের নতুন নতুন জিনিস শেখার সুযোগ করে দেয়

শিশুদের শিখন ক্ষমতাটিকে বাড়িয়ে তোলার এক চমৎকার উপায় হয়ে উঠতে পারে তাদের আউটডোর গেমগুলি খেলানো।এগুলির দ্বারা তারা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা এবং দক্ষতাগুলি শিখতে ও অর্জন করতে পারে।তাদের মধ্যে সমস্যা সমাধানের মনোভাবটি বিকাশ পেতে পারে, প্রকৃতি অণ্বেষণ করতে পারে, নতুন নতুন তথ্য অর্জন করতে পারে এবং বিজ্ঞানের মৌলিক বোঝাপড়া করতে পারে।তার উপর আবার শিশুরা যখন বহিরাঙ্গনে কিছু শেখে, তারা তখন সেই শিখন প্রক্রিয়াটিকে তাদের শ্রেণীকক্ষে করা উচিত এমন একঘেয়েমি এবং বিরক্তিকর ক্রিয়াকলাপ না ভেবে সেটিকে একটি চলমান এবং মজাদার ক্রিয়াকলাপ মনে করে।

2. এটি তাদের শারিরীক বিকাশে সহায়তা করে

ঘরের বাইরে খেলাধূলা করলে তা বাচ্চাদের রাখে সক্রিয় এবং তাদের শারিরীক সক্ষমতা এবং ফিটনেসকে বাড়িয়ে তোলে।আউটডোর গেমগুলি খেললে তা আবার তাদের পেশী এবং হাড়কেও শক্তিশালী করে তুলতে সহায়তা করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে এবং তাদের মধ্যে ডায়াবেটিস, হৃদযন্ত্রের সমস্যা এবং স্থূলতার মত বহু রোগের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে।খোলামেলা বিশুদ্ধ বাতাস এবং সূর্যরশ্মির তলায় থাকতে পারার কারণে, সেগুলি তাদেরকে প্রাকৃতিকভাবেই ভিটামিন D সরবরাহ করে।দীর্ঘ সময় ব্যাপী ইলেকট্রনিক গ্যাজেটগুলি নিয়ে নাড়াচাড়া করার ফলে সেগুলির সংস্পর্শে থাকায়, তা বাচ্চাদের দৃষ্টিশক্তির ক্ষতি করতে পারে, কিন্তু ঘরের বাইরে খেলাধূলা করলে তা তাদের দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটাতে পারে।

3.এটি তাদের মধ্যে সৃজনশীলতাকে বাড়িয়ে তোলে

আউটডোর গেমগুলির সাথে লিপ্ত হলে তা বাচ্চাদের আরও সৃজনশীল করে তুলতে এবং তাদের কল্পনা শক্তি ও দক্ষতাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে।ছোটবড় গাছ, মহীরুহ দ্বারা পরিমণ্ডিত খোলামেলা জায়গায় উন্মুক্ত হতে পারার দরুণ, সে সমস্ত কিছু এবং চারপাশের আরও অন্যান্য বস্তুগুলি বাচ্চার কল্পনা শক্তিকে উদ্দীপ্ত করে এবং তাদের সৃজনশীলতার দিকটিতে নাড়া দিতে পারে।

4.এটি তাদের সামাজিক দক্ষতাগুলি অর্জনে সহায়তা করে থাকে

যে সকল বাচ্চারা ঘরের বাইরে সময় কাটায় এবং অন্যদের সাথে খেলাধূলা করে, তাদের মধ্যে ঘরের মধ্যে বিচ্ছন্ন হয়ে থাকা ও সর্বদা নিজেকে বাকি সকলের থেকে গুটিয়ে রাখা বাচ্চাদের তুলনায় তাদের নিজেদের মতই অন্য সকল মিশুকে বাচ্চাদের সাথে বেশ কার্যকরভাবে মেশার ও খেলাধূলা করার প্রবণতা দেখা যায়।আপনার বাচ্চা যদি ঘরের মধ্যেই তার বেশি সময় কাটায় এবং নিজের জগতের মধ্যেই নিজেকে আবদ্ধ করে রাখে, সেক্ষেত্রে আপনার উচিৎ হল তাকে বাইরে বের করার জন্য জোর করা এবং অন্যান্য শিশুদের সাথে খেলতে উৎসাহিত করত।যখন বাচ্চারা নতুন বন্ধু পাতায়, তখন তারা বড়দের নির্দেশ ও তাদের উপর বড়দের নজর ছাড়াই খেলায় মেতে ওঠে অথবা তারা পরস্পর পরস্পরের সাথে সাধারণ কিছু বাক্যালাপ করে মাত্র, আর এভাবে তাদের বন্ধুত্ব অর্জন করে এবং কোনওকিছু উপলব্ধি করা ছাড়াই তাদের সামাজিক এবং যোগাযোগ দক্ষতাগুলি অর্জন করে ও সেগুলিকে উন্নত করে।আর এই দক্ষতা তাদের ভবিষ্যতেও সহায়তা করবে।

5.এটি তাদের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব বিকাশ করতেও সহায়তা করে

যে সকল বাচ্চারা বাড়ির বাইরে খেলতে পাওয়ার সুযোগ পায়, তাদের মধ্যে জীবনের ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব গড়ে ওঠার প্রবণতা থাকে এবং তাদের মধ্যে একটা শান্ত ও হাসিখুসি প্রাণচ্ছ্বল স্বভাব থাকে।আর তাছাড়াও আউটডোর গেমগুলি তাদের শক্তিকে একটি অর্থপূর্ণ উপায়ে নির্দিষ্ট গতিপথে চালিত করার একটা দুর্দান্ত সুযোগ এনে দেয়।

6.এটি ব্যাক্তিত্বের বিকাশে সহায়তা করে

বাড়ির বাইরে গিয়ে সবার সাথে খেললে তা বাচ্চার মধ্যে তার ব্যক্তিত্বকে গড়ে তুলতে সাহায্য করে।তারা স্বাবলম্বী, স্বাধীন ও আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠতে শেখে।তারা জরুরিকালীন অবস্থা, নানা বাধাবিঘ্ন ইত্যাদির সাথে মোকাবিলা করতে শেখে বড়দের তত্ত্বাবধান ছাড়াই।এটি তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তোলে এবং পরবর্তীকালে জীবনের নানাবিধ পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাদের পারদর্শী করে তোলে।বহিরাঙ্গনের খেলাধূলাগুলি আবার তাদের মধ্যে শৃঙ্খলাবোধ, খেলাধূলায় পারদর্শীতা এবং নেতৃত্ব দানের মত গুণগুলির উন্নতি ঘটায়যার সবগুলিই পরবর্তী জীবনের জন্য ভীষণভাবে কার্যকরী।

7. এটি বাচ্চাদের মনোযোগ বিস্তারে উন্নতি ঘটাতে সহায়তা করে

আউটডোর গেমগুলি খেললে তা আবার বাচ্চাদের মধ্যে মনযোগের পরিসরটির উন্নতি ঘটাতে পারে।আউটডোর গেমগুলি খেলার মাধ্যমে আপনার বাচ্চার মধ্যে তার একাগ্রতা এবং পর্যবেক্ষণমূলক ও যুক্তি দক্ষতার উন্নতি ঘটবে।ADHD(অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপারঅ্যাকটিভিটি ডিসঅর্ডার)-এর মত সমস্যা যুক্ত শিশুরাও আবার বহিরাঙ্গন ক্রীড়াগুলি থেকে উপকার পেতে পারেএটি তাদেরও মনযোগের পরিসরটির উন্নতি ঘটাতে পারে।

8.এটি তাদের অঙ্গ সঞ্চালন দক্ষতাকে শক্তিশালী করে তোলে

আউটডোর গেমগুলির সাথে নিযুক্ত থাকলে, তা বাচ্চাদের মধ্যে সার্বিক এবং সূক্ষ্ম সঞ্চালন দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করতে পারে।আউটডোর গেমগুলি খেলার মাধ্যমে তারা আরও ভাল তৎপরতা, সংযোগ স্থাপন করা এবং সামঞ্জস্য বজায় রাখার ক্ষমতা অর্জন করে।

9.এটি প্রকৃতির প্রতি তাদের ভালবাসাকে আরও বাড়িয়ে তোলে

যে সকল বাচ্চারা বাড়ির বাইরে যথেষ্ট সময় ব্যয় করে তারা প্রকৃতির সাথে আজীবন বন্ধন প্রতিষ্ঠায় আরও বেশি অনুরক্ত হয়ে উঠতে পারে।

10.এটি তাদের মধ্যে একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার অভ্যাস গড়ে তুলতে সহায়তা করে

যে সকল শিশুরা আউটডোর গেমগুলির সাথে ফলপ্রসূভাবে জড়িত ও যুক্ত থাকে তাদের যৌবনের পরে সুস্থসুভারসাম্যযুক্ত এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার মধ্যে কাটানোর সম্ভাবনা বেশি হয়ে থাকে।তাদের মধ্যে সঠিক এবং সুসিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা থাকে।তারা নিজেদেরকে চ্যালেঞ্জ করতে শেখে এবং তাদের সীমাবদ্ধতাগুলিকে পিছনে ঠেলে দিয়ে ঝুঁকির বিষয়গুলি ভাল বুঝতে পারে।

বাড়ির বাইরে খেলাধূলা করার ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা আছে কি?

কোনো কিছুরই বেশি বাড়াবাড়ি ভাল নয়।সেই মত অতিরিক্ত পরিমাণে বাইরে খেলাধূলা করাটাও মোটেই ভাল ধারণা নয়।বাইরে খেলাধূলা করার কয়েকটি অসুবিধাগুলি হল নিম্নরূপঃ

  • যে সকল বাচ্চা অতিরিক্ত পরিমাণে বাইরের খেলাধূলায় মত্ত থাকে তারা তাদের পঠণপাঠণকে অবহেলা করে।তাই তাদের পড়াশুনাতে যথেষ্ট সময় দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
  • বাইরে খেলার প্রতি ভালবাসার জন্য এই সময়ে বাচ্চারা অতি পরিশ্রান্ত হয়ে পড়ে।দীর্ঘক্ষণ বাইরে খেলাধূলা করলে সেটি শরীরের উপর চাপ সৃষ্টি করে।
  • বেশিরভাগ সময়ে বাচ্চারা বাইরে খেলাধূলা করে থাকে বড়দের কোনো রকম তত্ত্বাবধান ছাড়াই এর ফলে তাদের সুরক্ষার বিষয়টি বিঘ্নিত হয়ে পড়ে আর খেলার সময় আঘাত লাগতে পারে।
  • অভিভাবকদের উচিত বাইরের খেলাধূলায় যেন সব ধরণের খেলা অন্তর্ভূক্ত হয় সে বিষয়ে নজর দেওয়া।

বাচ্চাদের বাইরে খেলবার জন্য কীভাবে উৎসাহিত করবেন

বাইরে খেলা ধূলার ব্যাপারটি যদি মজাদার করে তোলা যায় তাহলে সেগুলি শিশুদের বাইরের খেলাধূলাতে উৎসাহিত করে তুলবে।আপনি আপনার বাচ্চার প্রিয় খেলনাগুলি যেমন মডেলিং ক্লে, রেসিং কার, বল ইত্যাদি নিয়ে যান।সেগুলো নিয়ে উল্লাস প্রকাশ করুন আর সেগুলি দিয়ে অন্যরকম ভাবে খেলতে থাকুন।আপনার ছোট্টটিকে বাইরে খেলার ব্যাপারে উৎসাহিত করার কয়েকটি টিপস এখানে দেওয়া হল।

1.উদাহরণ দিয়ে দেখানছোটদের বাইরে খেলার জন্য উৎসাহ দেওয়ার সব থেকে ভাল উপায় হল তাদের সাথে বাইরে খেলুন।আপনি একটি বার্ড ফিডার বানাতে পারেন বা বাইরের দেওয়াল রঙ করার মত আকর্ষণীয় কাজের সূচনা করতে পারেন।যখন আপনার সন্তান আপনাকে একটি মজাদার কাজে লিপ্ত হতে দেখবে তখন সে হয়ত আপনার কাজে হাত লাগাতে চাইবে আর আপনার সাথে আনন্দে মেতে উঠবে।

2.গাড়ি ড্রাইভ না করে হেঁটেই কাছের বাজারে বা পার্কে যানহ্যাঁ, এই বিষয়টিও আপনার বাচ্চাকে বাইরে খেলতে উৎসাহিত করবে।আপনার ছোট্টটিকে সঙ্গে করে নিয়ে যান আর মুক্ত প্রকৃতির অবলোকন করান এবং পার্কে অন্যান্য বাচ্চাদের খেলা করা দেখান।অন্য বাচ্চাদের খেলতে দেখে আপনার সন্তানটিও কৌতুহলী হয়ে উঠবে এবং হয়ত সে তাদের সাথে খেলায় যোগদান করতেও পারে।লাইব্রেরীতে যাওয়ার পথে সে বিভিন্ন বস্তুগুলিকে নজর করবে এবং এলাকার ল্যাণ্ডমার্কগুলিকে রপ্ত করে নেবে এবং আপনাকে সে প্রশ্নও করতে পারে।আপনাকে তার এই জ্ঞানভান্ডারকে পূর্ণ করার সুযোগ নিতে হবে।

3.আপনার ছোট্টটিকে বাইরে বেড়াতে নিয়ে যানসমুদ্রের বিচ পরিদর্শনের মত পরিকল্পনা আপনি করতে পারেন।একটি উদ্ভিদ উদ্যানে ভ্রমণ বা একবার ফার্ম হাউসে ঘুরে আসা আপনার সন্তানের কৌতুহল বাড়িয়ে তুলবে।গুপ্তধন খুঁজে বার করা কিম্বা তার যাত্রাপথে কোনো বাধা অতিক্রম করার মত বিষয়গুলি এর মধ্যে রাখতে পারেন এবং পরে সেগুলির জন্য তাকে পুরস্কৃত করতে পারেন।আপনার সন্তাঙ্কে ভ্রমণে নিয়ে যান, ক্যাম্পে নিয়ে যান বা নৌকাবিহার করালেও বাইরের জগত ও খেলাধূলার প্রতি তার আগ্রহ বাড়বে।

4.বাইরের খেলাধূলাকে কখনই পড়াশোনা বা একাডেমিকের অন্তর্ভূক্ত করবেন নাখেয়াল রাখুন আপনার বাচ্চা যেন মজা পায় যখন সে বাইরে থাকে।আপনি তাকে নতুন জিনিস শেখাতে পারেন কিন্তু কখনই সেটাকে তার পড়াশোনার অভিজ্ঞতার মধ্যে আনবেন না।তাকে তার মত বাড়তে দিন, তাকে তার মত খেলতে দিন। প্রাথমিক ভাবে পার্কে যাবার সময় বা প্রকৃতি পর্যবেক্ষণের সময় আপনি তাকে সঙ্গ দিন কিন্তু তাকে নিজেকেই অন্বেষণ করতে দিন। তাকে নজরদারীর মধ্যে রাখুন তবে সব বিষয়ে মাথা ঘামানো থেকে বিরত থাকুন কিন্তু তাকে নিয়ন্ত্রণ করুন।তখনই সাহায্য করুন যখন সে চাইবে।

বাইরে খেলাধূলা করার উপকারীতাগুলি অবশ্যই তার অসুবিধাগুলিকে পরাভূত করবে।চেষ্টা করুন একটি ক্রীড়া সহায়ক পরিমন্ডল আহ্বান করতে যা আপনার সন্তানকে বাইরে খেলার ব্যাপারে উৎসাহিত করবে।বাইরে খেলাধূলা বাচ্চাদের চারপাশের পরিবেশের অভিজ্ঞতা বৃদ্ধির সুযোগ বাড়িয়ে তাদের চেতনা গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।আপনার শিশুটিকে শিশুই থাকতে দিনতাকে দৌড়াতে, লাফাতে, গাছে উঠতে, রেস করতে, এবং মজা করতে দিন।

বাইরের খেলাধূলা একটি শিশুর মনঃসংযোগ, পর্যবেক্ষণ এবং সার্বিক অঙ্গ সঞ্চালনের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।এই দক্ষতাগুলির সাথে সাথে যেন অন্যান্য দক্ষতাগুলির সমবিকাশ ঘটে, যেগুলি আপনার সন্তানের সারা জীবন প্রয়োজন হবে, সেই বিষয়টি আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে।ইনটেলিকিটএর গ্রাহক হন, এটি হল বাচ্চাদের একটি অ্যাক্টিভিটি বক্স যেটি মাসিক চাঁদার ভিত্তিতে গ্রাহক হওয়া যায়।এই কিটটি একই সঙ্গে শিক্ষণীয় এবং মজাদার, যেটি আপনার সন্তানকে আরও বেশি বুদ্ধিদীপ্ত করে ও তার মস্তিষ্ককে আরও বেশি ক্ষুরধার করে তোলে সার্বিক বিকাশের সাথে সাথে বিভিন্ন মিথস্ক্রিয় কার্যক্রমের মাধ্যমে।স্বচ্ছন্দে গ্রাহক হন, আপনার সন্তানের বয়সে প্রবেশ করুন আর প্রতি মাসে একটি করে কিট আপনার দোরগোড়ায় হাজির হয়ে যাবে!