ভ্যাজাইন্যাল রিং – জন্ম নিয়ন্ত্রণের একটি উপায়

ভ্যাজাইন্যাল রিং – জন্ম নিয়ন্ত্রণের একটি উপায়

অনেক বছর ধরেই জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধ এবং ডিভাইস গুলো বাজারে বিক্রি হচ্ছে।সময়ের সাথে সাথে এদের উন্নতি ঘটছে বিজ্ঞানের অগ্রগতির জন্য এগুলো আরো বেশী কার্যকর হয়ে উঠেছে জন্মনিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে। সাম্প্রতিক সময়ে মহিলাদের জন্য জন্মনিয়ন্ত্রক যে ডিভাইস টি আবিষ্কার হয়েছে তা হল ভ্যাজাইন্যাল রিং। এটাতে মনযোগ কারার মত প্রচন্ড আকর্ষন রয়েছে।এই ডিভাইস টি যোনিতে গর্ভনিরোধক হরমোন ক্ষরণ করে এবং অকাল গর্ভধারণ রোধ করে। এই প্রবন্ধে ভ্যাজাইন্যাল রিং ব্যবহারের বিভিন্ন দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করা হল।

ভ্যাজাইন্যাল রিং কি?

ভ্যাজাইন্যাল রিং নামটি থকে বোঝা যাচ্ছে যে এটা হল গোলাকার একটা রিং এর মত বস্তু যা যোনি তে লাগানো হয়।এটা তৈরী হয় নরম প্লাস্টিক দিয়ে যার ওপর হরমোণের প্রলেপ দেওয়া হয় যা মহিলাদের গর্ভধারন হওয়া থেকে রক্ষা করে।।এই সহজ গর্ভনিরোধক-টি বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পওয়া যায় এবং পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র থেকে পাওয়া যায়।

এটা কীভাবে কাজ করে?

ভ্যাজাইন্যাল রিং কাজ করে নিষেকে বাধা প্রদানের মাধ্যমে।রিং টাতে দুটি হরমোন,ইস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টিন এর প্রলেপ দেওয়া থাকে যা যোনির মধ্যে বসানো হয়।

  • এই দুট হরমোন যোনির অন্তঃগাত্র দিয়ে শোষিত হয়ে জনন তন্ত্রে পৌঁছায় এবং তিন ভাবে কাজ করে।
  • গর্ভনিরোধক পিল বা বড়ির মত এই হরমোন গুলো ওভ্যুলেশানে বাধা দেয়,বা ডিম্বাণু উৎপাদনে বাধা দেয়।
  • এটা সারভিক্সের মিউকাস স্তরের পুরুত্ব বৃধি করে এবং শুক্রাণুর জরায়ুতে প্রবেশ রোধ করে।এটা জরায়ুর এন্ডোমেট্রিয়াল স্তরকে পাতলা করে।জরায়ুর এই স্তর মোটা হলে নিষিক্ত ডিম্বাণুটি এতে আটকে থেকে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়।স্তরের পুরুত্ব হ্রাস করে এটা নিশ্চিত করে যে নিষিক্ত জাইগোট যেন সেখানে প্রতিস্থাপিত না হতে পারে এবং পরবর্তি ক্ষেত্রে তা বাড়তে না পারে।

ব্যবহারের গাইডলাইন

ঋতুস্রাব চলাকালীন সময় ছাড়া যেকোনো সময়ে এটা ব্যবহার করা যায়।এটার মানে হল মাসের মধ্যে তিন সপ্তাহ ভ্যাজাইন্যাল রিং পরে থকতে হবে এবং এক সপ্তাহ খোলা রাখতে হবে ঋতুস্রাবের জন্য।একটি ঋতুচক্র সম্পন্ন হয়ে গেলে নতুন রিং পরতে হবে অকাল গর্ভসঞ্চার আটকানোর জন্য।

1.কীভাবে প্রবেশ করাবেন90

ভ্যাজাইন্যাল রিং প্রবেশ করানো এবং এটা কাজ110 করানো খুব সহজ। কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে রিংটা ঢোকাবার আগে আপনার হাত দুটো স্যানিটাইজার দিয়ে ধুয়ে জীবাণুমুক্ত করুন এবং দেখে নিন রিংটা ব্যবহার যোগ্য সময় সীমার মধ্যে আছে কিনা।জীবাণুমুক্ত প্যাকেট টা খুলুন এবং রিং টাকে চেপে ধরে ছোট করুন যাতে দুটো ধার একসাথে লেগে যায় এইভাবে এটাকে যোনিতে প্রবেশ করান এবং প্রবেশ করানোর পর ছেড়ে দিন যাতে সেটা আবার গোলাকার আকার ধারণ করে।

2.কীভাবে বের করবেন?

রিং টা বের করার জন্য আপনার জীবাণু মুক্ত হাতটা যোনির মধ্যে প্রবেশ করান এবং আস্তে আস্তে রিং টাকে ধরে বাইরের দিকে টানুন। বের করে নিয়ে এসে আসল প্যাকিং জিনিস দিয়ে প্যাক করুন এবং শৌচ বর্জ্যের সাথে ফেলে দিন।মুত্র দিয়ে ধোবার পরামর্শ দেওয়া হয় না।

3.যদি আপনি পিরিয়ড চান তাহলে ভ্যাজাইন্যাল রিং কীভাবে ব্যবহার করবেন?

ভ্যাজাইন্যাল রিং ঋতুচক্রকে নিয়ন্ত্রন করার কাজেও ব্যবহার করা যেতে পারে গর্ভনিরোধক পিল এর মত।পিরিয়ড পেতে হলে রিংটি তিন সপ্তাহের জন্য লাগান এবং খুলুন ঠিক সেই ভাবে যে ভাবে আপনি রিং লাগিয়ে ছিলেন। আপনার পিরিয়্ড শুরু হবে ওটা খুলে নেবার পর থেকেই।সাধারণত পিরিয়ড হয়ে গেলে আবার নতুন রিং লাগাতে হয়। নতুন রিং ঢোকানোর সময় সামান্য রক্তপাত হয় তবে সেটা কোন ব্যপার নয়। যখন স্যানিটারি প্যাড বা ট্যাম্পুন ব্যবহার করছেন তখন ওটা রেখে দিতে পারেন। তবে কখনই মেন্সট্রুয়াল কাপ ব্যবহার করবেন না সেটা রিং এর অবস্থান সরিয়ে দিতে পারে।

4.কীভাবে ভ্যাজাইন্যাল রিং ব্যবহার করে পিরিয়ড এড়াবেন

ভ্যাজাইন্যাল রিং আপনাকে ঋতুচক্রের পরিবর্তন বা নতুন করে শুরু হবার সুযোগ দেয়।পদ্ধতিটা খুব সহজ এবং আপনি আপনার ডাক্তারের সাথে এই ব্যাপারে আলোচনা করে নেবেন।যদি আপনি পিরিয়ড না চান তাহলে রিং টা টানা চার সপ্তাহ পড়ুন তিন সপ্তাহের বদলে। চতুর্থ সপ্তাহে এটাকে বদলে নতুন রিং পড়ুন ঠিক সেই বারে যেই বারে আপনি রিং টা প্রথমে পড়েছিলেন।মাঝার স্পটিং বা সামান্য রক্তপাত হতে পারে যখন আপনি নতুন রিং টা পড়বেন পিরিয়ড এড়াবার জন্য,যদিও এর কোন ক্ষতিকারক প্রভাব আছে কিনা এখন পর্যন্ত প্রমান হয়নি।

জন্ম নিয়ন্ত্রক রিং কতটা কার্যকরি

এটা হল অন্যতম কার্যকরি গর্ভনিরোধক পদ্ধতি যার কার্যকারীতার হার 91%. সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল এটা খুব দ্রুত রক্ষণাবেক্ষণ করা যায় লাগানোর এবং খোলার সময়।

কীভাবে রিং টা সবথেকে ভাল কাজ করবে

সব থেকে ভাল কাজ পাওয়ার জন্য ভ্যাজাইন্যাল রিং ব্যবহারে সময় কয়েকটি ব্যাপার মাথায় রাখতে হবে সে গুলো নিচে বলা হল।

  • আপনি অবশ্যই তিন সপ্তাহ পরে থাকা এবং এক সপ্তাহ খুলে রাখা নিয়মটা মেনে চলবেন যাতে রিং এর জন্ম নিয়ন্ত্রকের কার্যকর ভূমিকা সব থেকে ভাল প্রকাশ পাবে।
  • সপ্তাহের একই দিনে (বারে) রিং পড়ুন এবং খুলুন। যেমন যদি আপনি সোমবার রিং লাগিয়ে থাকেন তাহলে তিন সপ্তাহ পর রিং খুলুন ওই সোম বারেই।এর ফলে চক্রটি ঠিকঠাক পরিচালিত হবে।
  • হাত জীবণুমুক্ত করেই এটা লাগান বা খুলুন নাহলে যোনিতে সংক্রমণ হয়ে যেতে পারে।
  • যদিও যোনির ঠিক কোন জায়গায় এটা লাগাতে হবে তার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই, তবুও যতটা সম্ভব ভেতরের দিকে লাগালে হড়কে বেরিয়ে আসার সম্ভবনা কমে যায়।

কারা গর্ভনিরোধক রিং ব্যবহার করেন

সমস্ত জাতি এবং বয়সের মহিলারা এটা ব্যবহার করতে পারেন। চিকিৎসা সংক্রান্ত অসুবিধা না থাকলে যে কোন মহিলা কনোরকম অসুবিধা ছাড়াই এটা ব্যবহার করতে পারেন। যারা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন তারা সন্তান প্রসবের পর 21তম দিন থেকে এটার ব্যবহার শুরু করতে পারেন।তবে রিংটা মায়ের দুধ এর পরিমাণ কমিয়ে দেয় তাই প্রসবের পর থেকে ছয় মাস পর্যন্ত যেই সময়টা শিশুর একান্ত দুধ খাওয়ার সময় সেইটুকু সময় রিং ব্যবহার না করাই ভাল।গর্ভপাত বা গর্ভস্রাব হবার পরপরই এটা ব্যবহার করা যায়।

কারা গর্ভনিরোধক রিং ব্যবহার করবেন না

যদিও প্রায় সকল মহিলারা ভ্যাজাইন্যাল রিং ব্যবহার করতে পারেন তবুও যে সকল মহিলাদের নিচের সমস্যা গুলো আছে তাদের ভ্যাজাইন্যাল রিং না পড়াই ভাল।

  • হৃদপিন্ডের সমস্যা
  • শিরা বা ধমনিতে রক্ত জমে যাওয়া (ব্লাড-ক্লট)
  • ধূমপান করার অভ্যাস, অথবা যাদের বয়স 35 পেরিয়ে গেছে।
  • স্তন ক্যান্সার
  • ডায়াবেটিস
  • স্থূলতা
  • যোনি খুব ছোট বা খুব বড় যাতে রিংটা লাগানো যাবে না।

ভ্যাজাইন্যাল রিং ব্যবহারের সুবিধাগুলি

গর্ভনিরোধণ ছাড়াও ভ্যাজাইন্যাল রিং আরো কয়েকভাবে উপকার করে থাকে যেমন-

  • ঋতুস্রাবের সময় খিঁচুনি কমায় এবং ঋতুস্রাবপূর্ব সমস্যা (প্রি-মেন্সট্রুয়াল সিন্ড্রোম) কমায়
  • ঋতুস্রাবে রক্তক্ষরন কমায়
  • কোনো মারাত্মক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয় না
  • ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়

এটা লাগানো খুব সহজ এবং প্রতিদিনের যত্ন নেবার কোনো ঝামেলা নেই। এটা যৌন আনন্দ উপভোগে কোনোরকম ব্যাঘাত ঘটায় না,তাই এটি খুব জনপ্রিয় গর্ভনিরোধক।

ভ্যাজাইন্যাল রিং ব্যবহারের ঝুঁকি এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

যেহেতু রিং হল হরমোনাল জন্ম নিয়ন্ত্রক পদ্ধতি তাই গর্ভনিরোধক পিল এর মত এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে।কিছু পার্শ্ব প্রতক্রিয়া নিচে দেওয়া হল।

  • বমি বমি ভাব
  • স্তনের নমনীয়তা
  • মেজাজের পরিবর্তন
  • যোনির নিঃসরণ
  • মাথা ধরা
  • স্থূলতা বা ওজন বৃদ্ধি

কিছু কিছু ঝুঁকি দেখা যায় যেমন শিরা বা ধমনিতে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়া এবং স্তন ক্যান্সারের সম্ভবনা সামান্য বেড়ে যায়।

ভ্যাজাইন্যাল রিং খুলতে ভুলে গেলে কি হবে ?

কখনো কখনো আপনি রিং খুলতে ভুলে যেতে পারেন,এই সময়ে আপনি অসুরক্ষিত হয়ে পরেন,যেহেতু হরমোন গুলোর আয়ু শেষ হয়েছে।যাইহোক মনে পরার সাথে সাথে রিংটা খুলে ফেলুন।যদি তিন সপ্তাহের পর থেকে সাত দিনের মধ্যে খুলে ফেলেন তাহলে ঋতুচক্রের জন্য 7 দিনের বিরতি দিয়ে নতুন ভ্যাজাইন্যাল রিং লাগান। যদি তিন সপ্তাহের পরে এক সপ্তাহের বেশী সময় পারিয়ে যায় রিংটা খুলতে তাহলে খোলার সাথে সাথে নতুন রিং পরে ফেলুন।পিরিয়ড চলাকালীন যদি রিং খুলতে ভুলে যান এবং তখন যৌনসঙ্গম করেন তাহলে অবশ্যই আপৎকালীন গর্ভনিরোধক ব্যবহার করতে হবে অকাল গর্ভধারণ রোধ করতে।অতিরিক্ত গর্ভনিরোধক ব্যবহার করতে ভুলবেন না পরের এক সপ্তাহ যৌনসঙ্গম করার সময়।

কি হবে যখন নিজে থেকেই ভ্যাজাইন্যাল রিং বেরিয়ে আসে

অনেক সময় রিংটা আপনা থকে খুলে যায় এবং বেরিয়ে আসে সঙ্গম করার সময়ে বা অন্য সময় যদি এটা ঠিকমত লাগানো না হয়।লাগানোর পর কখন খুলে গেছে এবং কতক্ষণ বাইরে ছিল তার ওপর নির্ভর করে,যাইহোক নিচের পদক্ষেপগুলো নিতে পারেন।

  • যদি রিংটা বাইরে বেরিয়ে আসার পর থেকে বাইরে 3 ঘন্টার বেশী না থাকে তাহলে সেটাকে ঠান্ডা অথবা সামান্য গরম জল দিয়ে ধুয়ে আবার ওটা লাগিয়ে দিন।
  • যদি খুলে যাবার পর থেকে 3 ঘন্টার বেশীক্ষন বাইরে থাকে এবং সেটা যদি লাগানোর প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহে ঘটে তবে সেটাকে ঠান্ডা বা হালকা গরম জলে ধুয়ে আবার লাগিয়ে নিন। অতিরিক্ত সাবধানতা হিসাবে আপনি গর্ভনিরোধক পিল ব্যবহার করুন সাত দিনের জন্য। যদি রিংটা আচমকা খুলে যায় যৌনসঙ্গম করার সময় তাহলে আপৎকালীন গর্ভনিরোধক পিল খান গর্ভসঞ্চার আটকাতে।
  • রিংটা লাগানোর তিন সপ্তাহের পর যদি সেটা খুলে গিয়ে 3 ঘন্টার বেশী বাইরে থাকে তাহলে রিং ছাড়াই থাকুন ঋতুচক্রটি সম্পুর্ন হওয়া পর্যন্ত অথবা ঋতুস্রাব এড়াতে নতুন রিং লাগান।

যৌন সংক্রামক ব্যাধি (STD) থেকে ভ্যাজাইন্যাল রিং কি সুরক্ষা দেয়

ভ্যাজাইন্যাল রিং যৌন সংক্রামক ব্যাধি থেকে সুরক্ষা প্রদান করে না। যদি এই ধরণের কোন সম্ভবনা থাকে তাহলে কন্ডোম ব্যবহার করবেন।

অন্যান্য ওষুধ এবং ভ্যাজাইন্যাল রিং

নিম্নলিখিত কিছু ওষুধের সাথে ভ্যাজাইন্যাল রিং এর বিক্রিয়া হয় এবং এর ফলে রিং এর কার্যক্ষমতা কিছুটা কমে যায়।আপনি আপনার ডাক্তারবাবুর সাথে কথা বলে নিচের ওষুধ গুলো খবেন যখন আপনি ভ্যাজাইন্যাল রিং ব্যবহার করছেন।

  • নানা অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ(রিফ্যামপিসিন,রিফ্যামেট,রিফ্যামপিন)
  • HIV এর ওষুধ
  • গ্রিসিওফ্লুভিন জাতীয় ছত্রাকনাশক
  • কিছু মৃগীরোগের ওষুধ
  • জনের ওর্ট

সাধারণ প্রশ্নাবলী

1.কখন ভ্যাজাইন্যাল রিং কাজ শুরু করে?

এটা প্রতিস্থাপন করার এক সপ্তাহ পর থেকে কাজ শুরু করে। যদি আপনি এটা ঋতুচক্রের প্রথম দিনেই লাগান তাহলে যেদিন লাগিয়েছেন সেদিন থেকেই এটা কাজ শুরু করে। অন্য কোনোদিন যদি এটা লাগানো হয় তবে অতিরিক্ত গর্ভনিরোধক পরবর্তী 7 দিনের জন্য ব্যবহার করুন।

2.সন্তান প্রসবের কতদিন পর থেকে আমি ভ্যাজাইন্যাল রিং ব্যবহার করতে পারি?

আপনার সন্তান প্রসবের 21 দিন পর আপনি ভ্যাজাইন্যাল রিং ব্যবহার করতে পারবেন। যদিও এই সময় আপনার বাচ্চাকে আপনি বুকের দুধ খাওয়াবেন, তাই ভ্যাজাইন্যাল রিংটি আপনাকে ছয় মাস পর ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়,যেহেতু রিং এর হরমোন স্তন দুগ্ধের পরিমান কমিয়ে দেয়।

3.গর্ভপাত বা গর্ভস্রাবের কতদিন পর থেকে ভ্যাজাইন্যাল রিং ব্যবহার করা যায়?

গর্ভপাত বা গর্ভস্রাবের ঠিক পরেই আপনি এটা আপনি ব্যবহার করতে পারেন।

4.বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় আমি কি ভ্যাজাইন্যাল রিং ব্যবহার করতে পারি?

যদিও এটা ক্ষতিকারক নয় ভ্যাজাইন্যাল রিং ব্যবহার করা যখন আপনি বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়াবেন।রিংটি স্তন দুগ্ধের পরিমান কমিয়ে দেয়। তাই পরামর্শ দেওয়া হয় প্রসবের ছয় মাস পর থেকে এটা ব্যবহার করার জন্য।

তাই প্রশ্নাতীত ভাবে বলা যায় যে ভ্যাজাইন্যাল রিং হল অত্যন্ত কার্যকর একটা গর্ভনিরোধক উপকরণ যখন এটিকে অধ্যাবসায় এবং সঠিক যত্নের সাথে ব্যবহার করা হয়। আপনি আপনার স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে আলোচনা করুন ভ্যাজাইন্যালরিং এর সম্বন্ধে আরো বেশী কিছু জানতে, এবং এটা ব্যবহার শুরু করুন অকাল গর্ভাবস্থা রোধ করতে।