In this Article
আপনার বাড়ির 18 মাস বয়সের টডলারের শুধুমাত্র দুধ এর সঙ্গে বিস্কুট আর এলোমেলো কিছু খাবার তার প্রিয় জলখাবারের চাহিদা মেটাতে পারে না।সে বেড়ে উঠছে আর তাই তার স্বাদ এবং পছন্দ পরিবর্তিত হয়ে চলেছে।তাইজন্য তার খাবারে সামান্য বৈচিত্র্য তার পুষ্টির চাহিদা মেটাবার সাথে সাথে খাবারের প্রতি তার আকর্ষণকেও বাড়িয়ে তোলে।
18 মাস বয়সী শিশুর পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা
মধ্যাহ্ন ভোজের দারুন দারুন ধারণা আপনার 18 বছর বয়সীকে আকৃষ্ট করে তুলবে।এখানে রইল কয়েকটি পুষ্টিকর পদার্থ যা তাদের জরুরী।
- আয়রণ বা লোহাঃ তার বৃদ্ধির সময়কালে আয়রণ যুক্ত খাবার অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।আপনি নিশ্চিত করুন আপনার সন্তানের প্রতিদিনের খাবারে যেন ব্রকোলি বা পালং শাকের মত উপকরণ থাকে।
- ফ্যাট বা স্নেহ পদার্থঃ আগের মত আপনার সন্তানের খিদে থাকবে না।তবে এটা দেখা গুরুত্বপূর্ণ যেন তার প্রতিদিনের খাবারে সঠিক পরিমাণে ফ্যাট বা স্নেহ পদার্থ থাকে।নারকেল বা স্নেহ পদার্থ পূর্ণ ফলের সাথে মাখন তার ফ্যাট এর চাহিদা পূরণের একটা ভাল উপায়।
- দানাশস্য বা হোল গ্রেইন্সঃ হোল গ্রেইন্স বা দানাশস্য গ্রহণের উপকারীতা সঙ্গে সঙ্গে বোঝা যায় না,এটি সময়ের সাথে সাথে আভ্যন্তরীন ভাবে কাজ করে। খুব সাধারণ কিছু অভ্যাস যেমন সাদা রুটির বদলে হোল গ্রেইন্সের রুটি আপনার সন্তানের জন্যে অনেক বেশী স্বাস্থ্যকর।
- মাংসজাত উপাদানঃ আপনার বাড়ন্ত শিশু পছন্দ করতে পারে মাংস,তার সাথে সাথে তার পাচন তন্ত্রও শক্তিশালী হয়ে উঠবে।বলাবাহুল্য যে নির্দিষ্ট পরিমাণ মাংস ডিমের সাথে তার প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করবে।
- লেগুউম বা শিম্বিজাতীয় খাদ্যঃ বহু পরিবার শিম্বি জাতীয় খাবার তাদের দৈনিক খাবারের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করে থাকেন আবার কেউ কেউ বাদাম ব্যবহার করে থাকেন মাঝে মাঝে।যদি আপনার বাচ্চার বাদামে অ্যালার্জি থাকে তাহলে আপনি মটরশুঁটি বা শণবীজ বা শণ দিতে পারেন তাকে।
- দুগ্ধজাত উপাদানঃ শিশুর জীবনের প্রথমদিকের বছর গুলোতে দুধ অত্যন্ত জরুরি মৌলিক খাদ্য উপাদান।যদিও ক্রীম যুক্ত দুধ খাবার পরামর্শ দেওয়া হয় এর সাথে সহযোগী হিসাবে বিভিন্ন দুগ্ধজাত দ্রব্য যেমন কটেজ চীজ,দই তার স্বাস্থ্যের সমৃদ্ধি ঘটাবে।
- শাক সবজিঃ পরবর্তী দীর্ঘকালীন সময়ে কীভাবে শাকসবজির বৈচিত্র্য আনা যায় তা নিয়ে অভিভাবকদের চিন্তার শেষ থাকে না।কাঁচা স্যালাডের সাথে শাকপাতার সামঞ্জস্য বজায় রেখে আপনি এগুলে মিশিয়ে আপনি নানাবিধ পদ তৈরী করে আপনার সন্তানের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে পারেন।
- ফলঃ আপনার শিশুর জলখাবারে তাজা ফল রাখুন যা নিশ্চিত করে যে তার শরীরে সঠিক পরিমাণে পুষ্টিপদার্থ প্রাপ্ত হয়েছে।তাদের ড্রাই ফ্রুট থেকে দূরে সরিয়ে রাখবেন না যেহেতু এগুলির আলাদা একটা ভুমিকা রয়েছে পুষ্টিতে তাই এই সব কিছু দিয়েই আপনার বাচ্চার পুষ্টি সম্পুর্ণ করুন।
একটা বাচ্চার তার 18 মাস বয়সে কতটা খাবারের প্রয়োজন?
আগে যে পরিমাণ খাবার খেত তার থেকে আপনার টডলার বা টলটলায়মান এখন কিছুটা কম খাবে।তাইজন্য তার দৈনিক ক্যালোরির চাহিদা পূরণ অত্যন্ত জরূরী,এই বয়সের একজনের মোটামুটি 1.2কিলো ক্যালরি চাহিদা মেটানোর জন্য পরিমাণ মত খাবার খেতে হবে।
আঠারো মাস বয়সী শিশুর জন্য সবচেয়ে সেরা খাবার গুলি
আপনার টলটলায়মানকে কি ধরণের খাবার দেবেন তার সঠিক পরিকল্পনা করতে গিয়ে আপনি সমস্যায় পরবেন,দেখা যাবে তার নৈশভোজটি তার পুষ্টির চাহিদা ঠিক মত পূরণ করতে পারল না।এখনে রইল কয়েকটি খাবার যা আপনি তার খাবারে অন্তর্ভূক্ত করতে পারেন।
1. দুধ
যদি এখন আপনার বাচ্চা বুকের দুধ খায় তাহলে এটা দারুণ ব্যাপার এটাকে আপনি একবারে পূর্ণ দুধ খাওয়া তে পরিবর্তিত করতে পারেন।পুষ্টির চাহিদা মেটানোর সাথে সাথে আপনার বাচ্চার অভ্যাস করাতে সাহায্য করে কীভাবে দুধ বা জল বোতলের পরিবর্তে কাপ থেকে চুমুক দিয়ে খেতে হয়।
2. ফল
ফলের জুস করে দেবেন না কারণ এতে ফলের তন্তু থকে না যার উপকারীতা থেকে আপনার সন্তান বঞ্চিত হয়।নানা ধরনের ফল মিশিয়ে দিন যাতে স্বাদের একটা সামঞ্জস্য থাকে।
3. শাকসবজি
নানা ধরণের রান্না করা যায় এমনকি যে সবজিটি ভাল লাগে না তা দিয়েও মজাদার খাবার বানানো যায়।কাঁচা রঙিন সবজি ছোটো ছোটো করে কেটে আঙ্গুলে ধরার উপযোগী খাবার বানানো যেতে পারে।
4. মাংস এবং বাদাম
এই সংমিশ্রণটি ভয় উদ্রেক করে যে এটা হল “প্রোটিনের” মুষ্টিযোগ।মুরগির মাংস বা মাছ তার সাথে সোয়াবড়ি,বিনস, কাজুবাদাম ইত্যাদি প্রোটিনের ভাল উৎস। আপনাকে প্রতিদিন এটা করতে হবে না।সপ্তাহে একদিন অন্তর এই খাদ্যপ্রণালী অনুযায়ী খাবার দিলেই আপনি যে সুফল পেতে চাইছেন তা পেয়ে যাবেন।যাইহোক আপনি যদি কোনরকম খাদ্য অ্যালার্জি লক্ষ্য করেন মাংস এবং বাদাম একসাথে দেবার জন্যে তাহলে তা খেতে দেওয়া বন্ধ করে দেবেন।
5. রুটি
যতটা সম্ভব আপনি আপনার সন্তান কে সাদা রুটি দেওয়া এড়িয়ে চলুন।হোল হুয়িট ব্রেড বা গমের রুটি দিইয়ে তৈরি স্যান্ডউইচ আপনার বাচ্চাকে দিন।শস্যের প্রয়োজন মেটাতে আপনি শুকনো করা ভাঙানো দানা শস্যও দিতে পারেন।
6. মাখন
যখন আপনি স্যান্ডউইচ বানাবেন তখন খেয়াল রাখবেন যেন প্রচুর পরিমাণে মাখন রুটিতে লাগান হয়।এমনকি যখন পরোটা বা খিচুড়ি বানাবেন আপনি ভাল পরিমাণ একদলা ঘি অবশ্যই দেবেন।এই সমস্ত ছোট পদক্ষেপগুলো আপনার সন্তানের শরীরে ফ্যাটের চাহিদা পূরণ করবে এবং তাকে স্বাস্থ্যবান রাখবে।
7. গুড়
বাজারে প্রাপ্ত প্রক্রিয়াজাত এবং পরিমার্জিত চিনির বদলে যুগ যুগ ধরে চলে আসা গুড় ব্যবহার করুন।এটা যে শুধু বেশী মাত্রায় প্রাকৃতিক এবং স্বাস্থ্যকর তাই নয় এইটি মিষ্টির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।
8. চীজ
যদিও আপনার সন্তান নিয়মিত দুধ পান করে তা সত্ত্বেও তার সহায়ক হিসাবে দুগ্ধজাত উপাদান দেওয়া দরকার।বিভিন্ন ধরণের চীজ এর সাথে লসসি প্রোবায়োটিকের সহ অন্যান্য পুষ্টিকর পদার্থের যোগান দেয় যা সাধারণ সমগ্র দুধ(হোল মিল্ক)অনেক সময় দিতে পারে না।
9. স্যালাড এর মিশ্রণ
কাঁচা স্যালাড অথবা অন্যান্য সবজি দিয়ে সুস্বাদু স্যালাড অথবা বেকড রন্ধন প্রণালীতে খাবার তৈরী করুন যা আপনার ডায়েট পরিকল্পনাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
10. জল
আপনি কখনই আগে থেকে চিন্তা করবেন না যে আপনার সন্তান যথেষ্ট পরিমাণে জলপান করছে,জুস এবং তরল খাবার কখনই সাধারণ ভাল পরিমাণে জল পানের বিকল্প হতে পারে না।যদি তার জলপান পরিমাণ মত না হয় তাহলে আপনার বাচ্চাটি পাচনের সমস্যায় বা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যায় পড়তে পারে।
18 মাস বয়সী শিশুর খাবারের চার্ট / খাদ্য পরিকল্পনা
এটা একটা খাদ্য তালিকা যার মধ্যে সাধারণ কয়েকটি ভোজনকালের খাবারের কথা বলা হল যা আপনাকে নিজের মত করে সপ্তাহের খাদ্য তালিকা বানাতে সাহায্য করবে।
-
বার প্রাতঃরাশ জলখাবর মধ্যাহ্নভোজ বিকালের খাবার নৈশভোজ সোমবার ইডলি চাটনি কলার টুকরো সবজি খিচুড়ি এবং দই এক গ্লাস দুধ পনীরের পরোটা মঙ্গলবার উপমা কমলালেবুর কোয়া মটরশুটি ফুলকপির কারী দিয়ে ভাত এক গ্লাস দুধের সাথে আমন্ড আলু মশলা ধোসা বুধবার মটরশুটি মাখন এবং জেলী স্যান্ডউইচ
পেয়ারার টুকরো মুসুর ডালের খিচুড়ি কমলালেবু সবজি খিচুড়ি এবং দই বৃহস্পতিবার ওটসের মন্ড এবং আপেলের টুকরো কিউয়ি ফলের টুকরো রুটি ডাল এবং ক্ষীর সয়াবিনের কাটলেট সেমুই শুক্রবার প্যান কেক এবং মিল্ক শেক স্ট্রবেরীর টুকরো মেথি শাকের পরোটা ছোটো পিৎজা রুটি এবং মটর পনীর শনিবার বেসনের পরোটা তরমুজের টুকরো মশলা ঢ্যাঁড়শ, ভাত,ডাল,স্যালাড সবেদা মিল্কশেক রুটি এবং মুরগির মাংসের কারী রবিবার ডিম বা পনীর ভূর্জি সান্ডউইচ পেঁপের টুকরো পালংশাক, মুগ ডালের খিচুড়ি এক গ্লাস দুধ আমন্ডের সাথে কলার ধোসা
18 মাস বয়সী শিশুর জন্য খাবারের রেসিপি
নতুন নতুন ব্রেকফাস্টের ধারণাগুলি বা ডিনারের নতুন পরিকল্পনাগুলি সহজেই নিয়ে আসতে পারেন, যদি আপনার কাছে কিছু রেসিপি থাকে তবে আপনি সরাসরি তার নিষ্পত্তি শুরু করতে পারেন সঠিক উপায়ে।
1. সয়া কাটলেট
সয়া বড়িগুলির ভালো গুণ গুলিকে একসাথেই নিয়ে আসতে পারেন সেগুলি দিয়েই সুস্বাদু কাটলেট তৈরী করার সাথে।
উপকরণঃ
- পিঁয়াজ
- তেল
- ধনে
- মরিচ
- নুন
- চাট মশলা
- গরম মশলা
- সেদ্ধ করে চটকানো আলু
- সয়াবিন ডালের পেষ্ট
কীভাবে প্রস্তুত করবেন
- একটা বড়ো বাটি নিন এবং তার মধ্যে সয়ার পেষ্ট,আলু,মশলা,ধনে এবং কিছু নুন নিয়ে মিশিয়ে নিন।পুনরায় আলুগুলিকে চটকে সব কিছু একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
- এবার,ঐ মিশ্রণের কিছুটা করে অংশ নিয়ে রোল করে বলের আকার করুন এবং হাতের চেটোয় চাপ দিয়ে সেগুলিকে কাটলেটের আকারে গড়ে তুলুন।যদি সেগুলি আলগা হয়ে যায়,তবে ফ্রিজের মধ্যে 30 মিনিটের জন্য রেখে দিন।
- এরপর কড়াইয়ে তেল গরম করে মাঝারি আঁচে কাটলেটগুলির উভয় দিকই হালকা করে ভেজে নিন।
- এর সাথে কিছু টমেটোর চাটনি যোগ করে পরিবেশন করুন।
2. ব্যাসনের পরোটা
এই রেসিপির বহুমূখতার জন্য এটি বড় এবং বাচ্চা উভয়ের কাছেই একই ভাবে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।
উপকরণঃ
- তেল
- গাজর
- ক্যাপসিকাম
- পিঁয়াজ
- ধনে
- নুন
- জল
- ব্যাসন
কীভাবে প্রস্তুত করবেন
- ধনে এবং কুঁচানো সবজি গুলির সাথে নুন এবং ব্যাসন মেশান।ব্যাটার তৈরী করার জন্য এর ঘনত্বের সাথে সামঞ্জস্য রেখে জল মেশান।
- চাটুর মধ্যে সামান্য তেল ছিটিয়ে নিয়ে তার মাঝ বরাবর জায়গায় ব্যাটারটিকে ঢেলে দিন।এক সময়ে এটা বুদবুদ কাটতে শুরু করবে, এরপর নরম হয়ে ফুলে উঠলে টোকা মেরে দেখে নিন এবং একইভাবে উলটো দিকটিও ভালোভাবে রান্না হতে দিন।
- আপনার টলমল করা শিশুটির জন্য পরোটার ছোট টুকরোর সাথে দই অথবা কেচাপ ব্যবহার করুন।
3. কলার ধোসা
এই রেসিপিটির শিরোনাম পড়ে আমরাও ঠিক ততটাই অবাক হয়ে উঠেছিলাম যতটা আপনি হয়েছেন। কিন্তু আমরা একবার এর স্বাদ নিয়ে দেখেছি সেখান থেকে আর ফিরে যাওয়া যায় না।
উপকরণঃ
- ঘি
- কলা
- ধোসার ব্যাটার
কীভাবে প্রস্তুত করবেন
- বড় একটা বাটি নিন তার মধ্যে কলার টুকরো গুলিকে নিয়ে ভালো করে চটকে নিন।এবার সেগুলিকে ধোসার ব্যাটারের সাথে সঠিক ভাবে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
- একটা চাটুর উপর ঘিয়ের প্রলেপ দিন এবং তার উপর এই ব্যাটারটির এক কাপ ঢেলে দিন,যখন এটি করবেন যেন মাঝারি আঁচ করা থাকে।
- যখন এটিকে চাটুর উপরে ছড়িয়ে দেবেন, আরও সামান্য কিছু ঘি এর ধার গুলিতে দিয়ে দিন।
- টোকা মেরে চারিধারে দেখে নিন এবং উভয়দিকই ভালোভাবে রান্না করুন।একটা উত্তেজনা পূর্ণময় স্বাদ আনার জন্য এর সাথে মধু যোগ করুন।
4.ওট ও আপেলের পোরিজ বা জাউ
জলখাবারের এই রেসিপিটি সমগ্র পরিবারের জন্য একবারেই তৈরী করা যেতে পারে।
উপকরণঃ
- গুড় অথবা মধু
- আপেল
- কাজু
- আখরোট
- কিশমিশ
- ভিজানো আমণ্ড
- দুধ
- দ্রুত তৈরী করার মত ওটস
কীভাবে প্রস্তুত করবেন
- একটা বড় কড়াইয়ের মধ্যে দুধ এবং ওটসকে একসাথে গরম করে কয়েক মিনিটের জন্য সেগুলিকে ভালোভাবে রান্না করুন।
- অন্যান্য বাদামের সাথে আমণ্ডের খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে সেগুলিকে কিশমিশ এবং গুড়ের সাথে মিশিয়ে ঐ মিশ্রণের সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।অনবরত নাড়তে থাকুন।
- যেই মুহূর্তে সেটি ঘন হতে শুরু করবে,আগুনটি নিভিয়ে দিন।পরিবেশনের আগে সেটিকে আপেলের টুকরো এবং নানা ধরণের কিছু বাদাম দিয়ে সাজিয়ে নিন।
5. মুগ পালং এর খিচুড়ি
এটি হল এমন একটি জনপ্রিয় সুবিধাজনক খাদ্য যার মধ্যে একাধিক পুষ্টিগুণ একসাথে একত্রিত অবস্থায় থাকে।
উপকরণঃ
- ঘি
- হলুদ
- মরিচ
- গোটা জিরে
- রসুন
- পালং শাক
- চাল
- মুগ ডাল
কীভাবে প্রস্তুত করবেন
- একটা প্রেসার কুকারের মধ্যে ঘি নিয়ে গরম করে তার মধ্যে গোটা জিরের সাথে রসুন এবং পালং শাক যোগ করুন।এরপর এর সাথে মশলাগুলি যোগ করে প্রেসারে এক সাথে সাঁতলান।
- এরপর কুকারের মধ্যে ধুয়ে রাখা এবং ভিজানো ডাল গুলিকে দিন ও তার সাথে হলুদ যোগ করুন,এই ভাবে অনুসরণ করে চাল ধুয়ে ভিজিয়ে নিন এবং ওইগুলির সাথে মিশিয়ে দিন।
- এর সাথে আরও একটু বেশী জল দিয়ে 5 টা সিটি পড়া পর্যন্ত রান্না করুন। সঠিকভাবে সেগুলিকে পিষে চটকে নিন এবং পরিবেশনের আগে তার উপর কিছুটা ঘি ছড়িয়ে দিন।
খাওয়ানোর পরামর্শ
আপনার খাওয়ানোর সময়টাকে আরও ভালো করে তোলার জন্য এখানে কিছু পরামর্শ দেওয়া হল।
- এমন কিছু উদাহরণ দিন যাতে আপনার বাচ্চা সেগুলি অনুসরণ করতে পারে।
- নজরে পড়ার মত আকর্ষণীয় কিছু কাঁটা চামচ,ছুরি,চামচ ব্যবহার করুন।
- যে খাবারগুলি আপনার বাচ্চা খেতে অপছন্দ করে সেগুলির বদলে তার পছন্দেরগুলিই তাকে দিন।
- খাবার খাওয়ার সাথে সাথে আপনার বাচ্চাকে খেলতেও দিন।
- এই বয়স থেকেই তাকে টেবিলে খাবার খাওয়ার দিকে নজর করান।
- তার খাবারের মধ্যে অতিরিক্ত মিষ্টি এবং ভাজা খাবারগুলিকে সংযুক্ত করা থেকে এড়িয়ে চলুন।
- ব্যবধানের ভিত্তিতে অল্প অল্প খাবারের উপর অবলম্বন করুন।
- আপনার বাচ্চাকে দেওয়া খাবারের বিভিন্নতার মাত্রা বাড়িয়ে দিন।
- যতটা পারেন তাদের জুস দেওয়া কমিয়ে দিন।
- আপনার সোনাকে খাবারগুলিকে সঠিকভাবে চিবোতে শেখান।
এই বয়সের জন্য একেবারে উপযুক্ত হিসেবে চিহ্ণিত উপরে উল্লিখিত খাবারের রেসিপি এবং খাদ্য তালিকার সাথে সাথে আপনি একটা ভালো উত্তরও পেয়ে যাবেন আপনার পরিচিত প্রশ্নের, যে আমার 18 মাস বয়সী শিশুর খাবারে তাকে কি কি খাবার দেওয়া যায়।আপনার পছন্দমত করে তাদের পরিবর্তন করুন এবং সারা মাস জুড়ে আপনার সন্তানের আচরণগুলিকে নজরবন্দী করে রাখুন।