শিশুদের মলে রক্ত-কারণগুলি এবং প্রতিকারসমূহ

শিশুদের মলে রক্ত-কারণগুলি এবং প্রতিকারসমূহ

শিশুরা নিজেরাই নিজেদেরকে আঘাত করে চলে এবং সমগ্র শৈশবকাল ধরে অসুস্থ হয়ে পড়ে।এটি হল বৃদ্ধি-চক্রের একটি অতি সাধারণ ঘটনা।কিন্তু কিছু ঘটনা যেগুলি আর স্বাভাবিক থাকে না,একজন বাবা-মা হিসেবে আপনার হৃদয়ের বিপদ সংকেত ঘন্টাটিকে বাজিয়ে তুলতে পারে।আপনার সন্তানের মলে রক্ত সেগুলির মধ্যে একটি।যদিও সেটি আভ্যন্তরীণ কোনও আঘাত বা এধরনের কোনও গুরুতর কারণে হয়েছে এমন চিন্তা তৎক্ষণাৎ আপনার মধ্যে নিয়ে আসতে পারে,কিন্তু সমস্যাটি সবসময় ততটা গুরুতর নাও হতে পারে।সুতরাং,কি কারণে মলে রক্ত দেখা যায় সেই কারণটিকেই প্রথমে জানা জরুরী।

একটি শিশুর রক্তযুক্ত মলের কারণ কি?

একটি শিশুর রক্তযুক্ত মলের কারণ কি?

শিশুদের রক্তযুক্ত মলের কিছু কারণ এখানে দেওয়া হলঃ

1. হিরসস্প্রং’র রোগ

এটি সাধারণত নবজাতকদের মধ্যে উপস্থিত থাকে এবং তাদের জন্মের পর কয়েক দিন পর্যন্ত এটি তাদের মধ্যে দেখতে পাওয়া যায়।এটি হল এমন একটি মারাত্মক অবস্থা যেখানে শিশুর দেহের অন্ত্রে স্নায়ু কোষগুলির সংখা কমে যায় অথবা সম্পূর্ণরূপে অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ে।এর ফলে কোনও প্রকার অন্ত্র আলোড়ন বা মল ত্যাগ প্রক্রিয়া ব্যহত হয়ে পড়ে,সেই কারণে পেট ফুলে থাকে এবং বাচ্চা বমি করে।এক্ষেত্রে বাচ্চার মলের মধ্যে রক্তের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।

2. রক্তের ব্যাধি

মলে রক্তের উপস্থিতি শুধুমাত্র মলদ্বারের সমস্যার কারণেই নাও হয়ে থাকতে পারে এটি কিন্তু রক্তের নিজস্ব সমস্যাও হতে পারে।রক্তে বর্তমান যেকোনও ব্যাধি যা রক্ত জমাট বাঁধার সাথে সম্পর্কিত অথবা রক্তবাহগুলির গঠণে যেকোনও অস্বাভাবিকতা খুব ভালভাবেই এই দৃশ্যকল্পের ফলস্বরূপ দেখা দিতে পারে এবং সেই কারণে মলদ্বার থেকে রক্তপাত হতে থাকে।যখন এই ধরণের অবস্থা সৃষ্টি হয়,সারা দেহে তখন এটি ফুসকুড়ি অথবা সাধারণ ব্রণরূপেও নিজেকে প্রকাশ করে তোলে।

3. মিকেলের ডাইভার্টিকুলাম

একটি অদ্ভুত অঙ্গ-বিকৃতির নামের কারণের জন্য এটি হয়ে থাকে,যা হল একটি জন্মগত ত্রুটি।এটি হয়ে থাকে জন্মের পর যখন আম্বিলিক্যাল কর্ড বা নাড়ি কেটে দেওয়া হয়।এক্ষেত্রে,নাড়ির একটি টুকরো পিছনের দিকে থেকে যেতে পারে এবং যা শিশুর ক্ষুদ্রান্ত্রের নিম্নাংশে যুক্ত হয়ে থাকে।এই আম্বেলিকা কর্ড বা নাড়িতে পাচক কোষ থাকে যা অ্যাসিড ক্ষরণ শুরু করে।অন্ত্রে এই অ্যাসিডের উপস্থিতি পেটে প্রদাহ এবং আলসার হওয়ার কারণ,যার ফলে আবার মলদ্বারের পথ দিয়ে রক্তপাত হয়ে থাকে।

4. জুভেনাইল বা অল্পবয়সীদের পলিপস

এই অবস্থাটি বাচ্চাদের ঠিক 2 বছর থেকে 10 পর্যন্ত বয়সের মধ্যেই বেশী দেখতে পাওয়া যায়।এই পলিপসগুলি ছোট আকৃতির হয়ে থাকে যেগুলি মলাশয়ের আভ্যন্তরীণ স্তরের উপর বৃদ্ধি পায়।প্রাথমিক নজরে সেগুলিকে ক্যান্সারজনিত বলে মনে হতে পারে কিন্তু অবশ্যম্ভাবীরূপে সেটি নাও হতে পারে।সাধারণত মলগুলি গমন করার ফলে পলিপসগুলি ফেটে যায় যার ফলে রক্তপাত হয় যার কোনও ব্যথা হয় না।

5. ডায়রিয়ার সাথে সংক্রমণ

এটি খাদ্য বিষক্রিয়ার একটি নিকৃষ্ট রূপ,এটি বড়দের পাশাপাশি শিশুরাও ভোগ করে থাকে।বাইরের যেকোনও ধরনের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া,পরজীবি,অথবা এমনকি ভাইরাস দ্বারা কলুষিত খাদ্যগুলি গ্রহণ করার ফলে সেগুলি পরিপাক নালীর অভ্যন্তরে প্রবেশের পথ খুঁজে পায় এবং সেটিকে সংক্রমিত করে।ফলে এর থেকে হওয়া ডায়রিয়ার কারণে মলদ্বারের মধ্যে রক্তের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।

6. স্তন পান করালে

হ্যাঁ, স্তন পান করানোরফলেমলের মধ্যেরক্তেরউপস্থিতিদেখাদিতেপারে।তবেএক্ষেত্রে রক্ত ​​শিশুরকারণেনয়, এটিমায়েরকারণে দেখা দিতে পারে।সাধারণতএই সময়মায়েদেরশুকনোফাটাস্তনবৃন্তথাকে।যখন তারাবাচ্চাদেরকে খাওয়ান,তখনশিশুরাফাটলের প্রান্ত বরাবরচুষতেপারে, যার ফলে এটি থেকে ধীরে ধীরে রক্ত ক্ষরণ হতে থাকে যেগুলি শিশুরা গ্রাস করে ফেলে।সেটি যদিও কেবলমাত্র কয়েক ফোঁটাই হতে পারে কিন্তু বাচ্চার মলের মধ্যে সেটি বেশ যথেষ্ট পরিমাণেই দেখা যায়।

7. শিশুদের মলে ইরিটেবল বাউল সিন্ড্রোম ব্লাড বা জ্বলনময় বাউল সিন্ড্রোম রক্ত-কারণ এবং সমাধান সমূহ

IBS হিসেবে সুপরিচিত এই রোগটিতে বহু শিশু এবং কিছু সংখ্যক প্রাপ্ত বয়স্করাও ভুগে থাকেন।এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে অন্ত্র আলোড়ন বা মল ত্যাগ অনিয়মিত ধারায় হয়ে থাকে,যার পরিণামে কোষ্ঠকাঠিন্যের সাথে ডায়রিয়াও হয়ে থাকে।এই একনাগাড়ে ডায়রিয়ার উপস্থিতি এবং মল পাস করানোর জন্য অন্ত্রের পেশীগুলির তীব্র জোরাল আন্দোলন রক্ত কোষগুলিকে ফাটিয়ে দিতে পারে,যার ফলে মলদ্বারের মধ্যে রক্তক্ষরণ হতে থাকে।

8. ক্রোন’র রোগ

এটি বড় ধরণের একটি সংক্রমণ যা পাচন তন্ত্রের আস্তরণের আভ্যন্তরীণ অংশকে আক্রমণ করে।এছাড়াও এটি আবার কোলাইটিসের একটি রূপ হিসেবেও অভিহিত।এই সংক্রমণের ফলে অন্ত্রের মধ্যে আলসার হয়ে থাকে যা তীব্র প্রদাহের কারণ।এই আলসারগুলিই আবার মল পাস করার সময় ফেটে যেতে পারে এবং তার পরিণামে ডায়রিয়ার পাশাপাশি মলদ্বার থেকে রক্ত পড়তে থাকে।

9. দুধ বা সয়া অসহিষ্ণুতাবোধ

দুধ ভিত্তিক পণ্যগুলির প্রতি বিশেষ সংবেদনশীলতা থাকা, বিশেষত গরুর দুধ থেকে প্রাপ্ত পণ্যগুলি গ্রহণের ফলস্বরূপ মলে রক্ত দেখা দিতে পারে।যখন গরুর দুধ বা সয়া দুধের সাথে মিশ্রিত করে শিশুর সাথে একটি সূত্রের প্রচলন করা হয়, তখন শিশুর মধ্যে এক ধরণের সংক্রমণ-ভিত্তিক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।ফলস্বরূপ শিশুর বমি, ডায়রিয়া হয়ে থাকে এবং তার সাথে রক্তাক্ত মলও দেখা যায়।গরুর দুধ মা পান করার ফলেও স্তন্যপান করানোর মাধ্যমে সেটি শিশুর কাছে চলে যেতে পারে।

10. পায়ুতে কেটে যাওয়া

অনেক সময় মল পাস করার সময় মলদ্বারের আভ্যন্তরীণ আস্তরণের এই ফাটল অথবা কাটা ক্ষতগুলি অথবা এমনকি পায়ুর চারপাশের অঞ্চল থেকেও রক্ত ঝরতে থাকে।কোষ্ঠকাঠিন্য এবং বলপূর্বক মল ত্যাগের একটি সাধারণ পরিণতি হল বাচ্চা প্রতি সময়েই মল ত্যাগের সময় প্রবল বেগ দেয়,এটি মলদ্বারের উপর বেশ চাপ সৃষ্টি করে,যার ফলে সেখানে ফাটল সৃষ্টি হয়,সেই কারণে প্রতিবার বেগ দেওয়ার সময়েই মলদ্বার থেকে উজ্জ্বল রক্তপাত হতে থাকে।

শিশুদের রক্তযুক্ত মলের চিকিৎসা কীভাবে করা যায়?

বেশীরভাগ শিশুর মধ্যেই রক্তযুক্ত মল সাধারণত ডায়রিয়ার ফলে হয়ে থাকে যা ব্যাকটেরিয়া এবং পরজীবীর দ্বারা দূষিত খাদ্য খাওয়ার পরে ঘটে।কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগে থাকা শিশুর মধ্যে সাধারণত মল ত্যাগের সময় মলদ্বারে ফাটলের সৃষ্টি হয়ে রক্তপাতের আশঙ্কা থাকে।সাধারণ ক্ষেত্রে এরকম পরিস্থিতির যত্ন নেওয়া যেতে পারে তরল গ্রহণের পরিমাণ বাড়ানোর মাধ্যমে অথবা লুব্রিকেন্টগুলি বা পিচ্ছিলকারক পদার্থগুলির ব্যবহারের মাধ্যমে,যা মলকে নরম করে তোলে এবং পরিপাক নালীকে প্রভাবিত করা ব্যতীত সহজেই মল অপসারিত করতে পারে।

যদি রক্তপাতের উৎস দেহ মধ্যস্থ পাচন তন্ত্রের অভ্যন্তরে হয়ে থাকে,তবে সেক্ষেত্রে একজন চিকিৎসক সেটিকে একবার পর্যবেক্ষণ করর জন্য এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা চালানোর জন্য এন্ডোস্কপি করানো মনোনীত করতে পারেন।সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য প্রভাবিত ঐ নির্দিষ্ট অঞ্চলে এন্ডোস্কোপের মাধ্যমে ওষুধকে সরাসরি পরিচালনা করা যেতে পারে।লেজার,হিটার অথবা ইলেক্ট্রিক কোয়াগুলেশন টেকনিকে বা বৈদ্যুতিক জমাট কৌশল ব্যবহারের মাধ্যমে আভ্যন্তরীন যে অঞ্চল থেকে রক্ত ক্ষরণ হয়ে থাকে,সেখান থেকে রক্ত বাহির হওয়াকে নিয়ন্ত্রণ করতে চিকিৎসা করা যেতে পারে।সব থেকে খারাপ পরিস্থিতিতে,শল্য চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।পলিপগুলি সাধারণত এন্ডোস্কোপ ব্যবহারের মাধ্যমে অপসারিত করে অনাক্রমক ভাবে সারিয়ে তোলা হয়।

এ ধরনের চিকিৎসায় সাধারণত ওষুধ অনুসরণ কর হয়ে থাকে রক্তপাতের প্রাদুর্ভাবের পুনরাবৃত্তি প্রতিরোধের জন্য।এই ধরনের ওষুধগুলি ব্যবহারের ফলে সেগুলি মলকে নরম করে তুলতে পারে অথবা অন্ত্র আন্দোলনকে সহজ করে তুলতে সাহায্য করতে পারে,পাশাপাশি সংক্রমণ,আলসার ইত্যাদির মত নানা প্রতিকূল পরিস্থিতির প্রতি সংগ্রামত্মক ভূমিকা পালন করে।

বাড়িতে রক্তযুক্ত মলের চিকিৎসার পরামর্শ

আপনি যদি রক্তযুক্ত মলের ঘরোয়া প্রতিকারের খোঁজ করে থাকেন,তবে এখানে তার কিছু পরামর্শ দেওয়া হলঃ

  • রক্তযুক্ত মল হওয়া থেকে স্বস্তি পাওয়ার দ্রুততম এবং সহজসাধ্য উপায় হল গরম জলে স্নান করা।একটি গামলায় হালক গরম জল পূর্ণ করে সেটির অভ্যন্তরে আপনার বাচ্চাকে এমন ভাবে বসিয়ে দিন যাতে তার শরীরের নিম্নভাগ জলের নীচে সম্পূর্ণরূপে নিমজ্জিত থাকে। স্নানের জলের সাথে সামান্য অ্যান্টিসেপ্টিক দ্রবণ যোগ করলে তা বহিরাগত যেকোনও ব্যাকটেরিয়াকে অপসারিত করতে সাহায্য করার সাথে অনবরত হয়ে চলা রক্তযুক্ত মলের যন্ত্রণা থেকে প্রয়োজনীয় অনেকটা স্বস্তি নিয়ে আসে।
  • যদি কোষ্ঠকাঠিন্য এবং বলপূর্বক মল ত্যাগের ফলে মলদ্বার কেটে এবং চিড়ে গিয়ে থাকে তবে মলদ্বারের চারপাশের অঞ্চলে একটি আইস বা বরফের প্যাক ব্যবহারের সুপারিশ করা হয়। 5-10 মিনিটের জন্য এই প্যাকটি ব্যবহারের ফলে তা যন্ত্রণা থেকে দ্রুত মুক্তি আনতে পারে।
  • স্বাভাবিক দৈনন্দিন স্নানের সময়,পায়ু এলাকা পরিষ্কার করার সময় অতিরিক্ত যত্ন নিন।আরও অধিকতর সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে,একটি স্পঞ্জের টুকরো ব্যবহার করে সম্পূর্ণ অঞ্চলটিকে ধীরে ধীরে ভালভাবে পরিষ্কার করা এবং কোনও অবশিষ্ট থেকে মুক্ত রাখা নিশ্চিত করুন।
  • যতক্ষণ না মল থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হয়,আপনার বাচ্চার জন্য ডায়পার ব্যবহার এড়িয়ে চলা সবচেয়ে ভাল।মলদ্বারের চারপাশে রক্তযুক্ত মল লেগে থাকা জায়গাটিকে অস্বাস্থ্যকর এবং সংক্রমণ প্রবণ করে তোলে।যদি ডায়পারগুলির একান্তই প্রয়োজন পড়ে,তবে মল ত্যাগের পরমুহূর্তে তৎক্ষণাৎ সেগুলি পালটে দেওয়ার ব্যাপারটিকে নিশ্চিত করুন।
  • পর্যাপ্ত জল পান করার চরম গুরুত্ব রয়েছে।ভোরবেলায় এক গ্লাস জল পান এবং সারাদিন ধরে ভাল পরিমাণে জল গ্রহণ মল নরম করার পথকে বহুদূর অগ্রসর করে।
  • ফাইবার বা তন্তুযুক্ত ডায়েট চয়নের মাধ্যমে অন্ত্রের আন্দোলনকে উন্নত করে তোলা যায়।এগুলি মলের সুগঠণে সাহায্য করে,যেগুলিকে সহজেই বহিষ্কার করা যায়।ভাল মল মলদ্বারে চিড়ে যাওয়াকে বাঁধা দেয় এবং তার সাথে কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসা করতেও সাহায্য করে থাকে।

কখন একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন?

কখন একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন?

যদি ঘরোয়া প্রতিকার কজ না করে,তবে রক্তযুক্ত মলের মত সমস্যার চিকিৎসার জন্য ডাক্তারী পরামর্শ নেওয়া সবচেয়ে ভাল।যদি আপনি নিম্নলিখিত লক্ষণগুলিকে লক্ষ্য করে থাকেন তবে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

  • পায়ু অঞ্চল শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হলে
  • পেটে প্রচণ্ড যন্ত্রণা এবং রক্তযুক্ত বমি করতে থাকলে
  • প্রচুর রক্তের সাথে ক্রমাগত কালো মল
  • বাচ্চা যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং জ্বর থাকে

আপনার সন্তানের মলে রক্ত দেখতে পাওয়া ভয়ের কিন্তু বিরল নয়।এর সাধারণ কারণগুলির মধ্যে অন্তর্ভূক্ত হল অনুপযুক্ত ডায়েট এবং বাহ্যিক সংক্রমণ।সঠিক সময়ে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে,আপনার সন্তান যেকোনও সময়ের মধ্যেই তার স্বাভাবিক রুটিন ফিরে পেতে পারে।