In this Article
গর্ভাবস্থার ঠিক প্রথম দিন থেকেই ভ্রূণ বৃদ্ধি পায়।শিশুর আনুমানিক ওজন এবং দৈর্ঘ্য নির্ধারণে সহায়তার জন্য গর্ভাবস্থায় নিয়মিত বিরতিতে আল্ট্রাসাউন্ড স্ক্যানগুলি করানো হয়ে থাকে।গর্ভে ভ্রূণের বৃদ্ধি আবার আকস্মিকভাবে তার আকারকেও বাড়িয়ে তোলে।
ভ্রূণের ওজনের চার্ট
নিম্নের সারণীতে প্রতি সপ্তাহের ভিত্তিতে ভ্রূণের ওজনের গড় বৃদ্ধি দেখানো হল। সংখ্যাগুলিকেবলগড় হিসাব অনুযায়ী,এবংভ্রূণেরপ্রকৃতওজনএবংদৈর্ঘ্যউল্লেখযোগ্যভাবেপরিবর্তিতহতেপারে।এটি একটি সাধারণ নির্দেশিকা এবং এই সারণীতে দেখা ওজনের সাথে আপনার বাচ্চার ওজন একদম নিখুঁতভাবে নাও মিলতে পারে।তবে সেটি চিন্তার কোনও কারণ হওয়া উচিত নয়।
গর্ভাবস্থার সপ্তাহ | গড় ওজন(গ্রামে) |
8 সপ্তাহ | 1 গ্রাম |
9 সপ্তাহ | 2 গ্রাম |
10 সপ্তাহ | 4 গ্রাম |
11 সপ্তাহ | 7 গ্রাম |
12 সপ্তাহ | 14 গ্রাম |
13 সপ্তাহ | 23 গ্রাম |
14 সপ্তাহ | 43 গ্রাম |
15 সপ্তাহ | 70 গ্রাম |
16 সপ্তাহ | 100 গ্রাম |
17 সপ্তাহ | 140 গ্রাম |
18 সপ্তাহ | 190 গ্রাম |
19 সপ্তাহ | 240 গ্রাম |
20 সপ্তাহ | 300 গ্রাম |
21 সপ্তাহ | 360 গ্রাম |
22 সপ্তাহ | 430 গ্রাম |
23 সপ্তাহ | 501 গ্রাম |
24 সপ্তাহ | 600 গ্রাম |
25 সপ্তাহ | 660 গ্রাম |
26 সপ্তাহ | 760 গ্রাম |
27 সপ্তাহ | 875 গ্রাম |
28 সপ্তাহ | 1 কিগ্রা |
29 সপ্তাহ | 1.2 কিগ্রা |
30 সপ্তাহ | 1.3 কিগ্রা |
31 সপ্তাহ | 1.5 কিগ্রা |
32 সপ্তাহ | 1.7 কিগ্রা |
33 সপ্তাহ | 1.9 কিগ্রা |
34 সপ্তাহ | 2.1 কিগ্রা |
35 সপ্তাহ | 2.4 কিগ্রা |
36 সপ্তাহ | 2.6 কিগ্রা |
37 সপ্তাহ | 2.9 কিগ্রা |
38 সপ্তাহ | 3.1 কিগ্রা |
39 সপ্তাহ | 3.3 কিগ্রা |
40 সপ্তাহ | 3.5 কিগ্রা |
ভ্রূণের দৈর্ঘ্য চার্ট
ওজনের পাশাপাশি ডাক্তারবাবু ভ্রূণের দৈর্ঘ্যের পরিমাপেরও একটি নথি রাখেন।এই সারণীটি হল প্রতি সপ্তাহের ভিত্তিতে ভ্রূণের দৈর্ঘ্যের একটা মোটামুটি নথি।ভ্রূণের দৈর্ঘ্যটি মাথার তালু থেকে নীচ অবধি পরিমাপ করা হয়,এর কারণ হল সে যেই অবস্থানে থাকবে অর্থাৎ তার পা গুলি ধড়ের প্রেক্ষিতে বাঁকানো থাকে যার ফলে তার মাথা থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত দৈর্ঘ্য পরিমাপ করা কঠিন হয়ে ওঠে।বিংশতম সপ্তাহ থেকে ভ্রূণের দৈর্ঘ্য তার মাথার তালু থেকে পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত হিসেবে গণনা করা হবে।
গর্ভাবস্থার সপ্তাহ | গড় দৈর্ঘ্য(সেন্টিমিটারে) |
8 সপ্তাহ | 1.6 সেমি. |
9 সপ্তাহ | 2.3 সেমি. |
10 সপ্তাহ | 3.1 সেমি. |
11 সপ্তাহ | 4.1 সেমি. |
12 সপ্তাহ | 5.4 সেমি. |
13 সপ্তাহ | 7.4 সেমি. |
14 সপ্তাহ | 8.7 সেমি. |
15 সপ্তাহ | 10.1 সেমি. |
16 সপ্তাহ | 11.6 সেমি. |
17 সপ্তাহ | 13 সেমি. |
18 সপ্তাহ | 14.2 সেমি. |
19 সপ্তাহ | 15.3 সেমি. |
20 সপ্তাহ | 25.6 সেমি. |
21 সপ্তাহ | 26.7 সেমি. |
22 সপ্তাহ | 27.8 সেমি. |
23 সপ্তাহ | 28.9 সেমি. |
24 সপ্তাহ | 30 সেমি. |
25 সপ্তাহ | 34.6 সেমি. |
26 সপ্তাহ | 35.6 সেমি. |
27 সপ্তাহ | 36.6 সেমি. |
28 সপ্তাহ | 37. সেমি. |
29 সপ্তাহ | 38.6 সেমি. |
30 সপ্তাহ | 39.9 সেমি. |
31 সপ্তাহ | 41.1 সেমি. |
32 সপ্তাহ | 42.4 সেমি. |
33 সপ্তাহ | 43.7 সেমি. |
34 সপ্তাহ | 45 সেমি. |
35 সপ্তাহ | 46.2 সেমি. |
36 সপ্তাহ | 47.4 সেমি. |
37 সপ্তাহ | 48.6 সেমি. |
38 সপ্তাহ | 49.8 সেমি. |
39 সপ্তাহ | 50.7 সেমি. |
40 সপ্তাহ | 51.2 সেমি. |
ভ্রূণের আল্ট্রাসোনিক পরিমাপক মান
গর্ভকালীন বয়সের সারণীটি বায়োমেট্রিক পরিমাপ নির্ধারণে এবং ভ্রূণেরে বৃদ্ধি স্বাভাবিক আছে কিনা তা নির্ধারণের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে।যদি হবু মা তার গর্ভধারণের পূর্বে শেষ বারের মত হওয়া মাসিকের তারিখটি জানাতে সক্ষম হয়ে থাকেন তবে এটি EDC এর আরও ভাল অনুমান দেয়,যা হল সন্তান প্রসবের আনুমানিক তারিখ(এটি আবার প্রসবের প্রত্যাশিত তারিখ হিসেবেও পরিচিত)।এক্ষেত্রে 5 দিন যোগ বা বিয়োগ করে নিয়ে EDC অনুমান করা যেতে পারে।
গর্ভকালীন বয়স গণনা করার জন্য আল্ট্রাসাউন্ড স্ক্যানগুলির ব্যবহার পদ্ধতিটি শিশুর স্বাভাবিকভবে বৃদ্ধি পাওয়া এবং ভ্রূণের ওজন চার্টের ধারণা অনুসারে করা হয়ে থাকে।কোনও শর্ত যদি ভ্রূণের বৃদ্ধি পরিবর্তন করে তবে এটির অনুমানটিও কম নির্ভরযোগ্য হয়ে পড়বে।এই আল্ট্রাসাউন্ড পদ্ধতিটির দ্বারা ভ্রূণের সংখ্যা এবং ভ্রূণীয় কাঠামোগুলি পরিমাপ করা যায়,তবে সেগুলির মধ্যে কেবল কয়েকটি মাত্র নির্ভরযোগ্য এবং সহজে পুনরাবৃত্তি করা যায়।ভ্রূণের আল্ট্রাসাউন্ড পরিমাপকগুলি বিভিন্ন ভ্রূণের গ্রাফ এবং ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে পরিচালিত করা হয়।
ভ্রূণের ওজন গণনার ক্যালকুলেটর
ভ্রূণের ওজন গণনার ক্যালকুলেটরটি প্রসবের সময় আপনাকে ভ্রূণের ওজনের শতকরার পাশাপাশি আনুমানিক ভ্রূণের ওজন গণনাতেও সহায়তা করে।এক্ষেত্রে আপনার যে ব্যাপারগুলিতে প্রবেশ অথবা পরিমাপ করা প্রয়োজন সেগুলি হল গর্ভকালীন বয়স,বাইপারিয়েটাল ব্যাস, হিউমারাস, মাথার পরিধি, ফিমারের দৈর্ঘ্য এবং পেটের পরিধি। এরপর ক্যালকুলেটরটি প্রতিটি ক্ষেত্রের শতকরা গণনা করে এবং এর পাশাপাশি প্রসবের সময় ভ্রূণের ওজনটি কত হতে পারে তার একটি আনুমানিক গণনা করে।
মনে করুন,যদি 30 তম সপ্তাহে ভ্রূণটি ওজনের 60 শতাংশে থাকে,তার অর্থ হল এই যে 60% ভ্রূণের ওজন 30 তম সপ্তাহে একটি শিশুর ওজনের সমান অথবা তার থেকে কম।অর্থাৎ তার মানে দাঁড়ায় 40% ভ্রূণের ওজন 30 তম সপ্তাহে শিশুর ওজনের চেয়ে বেশি হয়ে থাকে।
গর্ভাবস্থার শেষের দিকে ভ্রূণের ওজন অনুমান করার জন্য একটি আল্ট্রাসাউন্ড স্ক্যান বেছে নেওয়া হল একটি সাধারণ প্রথা।এই পদ্ধতির নির্ভুলতার হার খুবই কম এবং গণনা করা ওজন মা এবং ডাক্তাররা যেভাবে প্রসবের অভিজ্ঞতা অনুধাবন করতে পারে তার ভিত্তিতে পরিবর্তিত হতে পারে।অতএব,এই পদ্ধতিটি নিয়ে চিকিৎসা মহলে প্রশ্ন আছে,এবং সেরকম চিকিৎসাগত শর্ত না থাকা পর্যন্ত এটির সুপারিশ করা হয় না।
ভ্রূণের ওজন গণনার ক্যালকুলেটরটি ওয়ারসফ, শেপার্ড, হ্যাডলক, ক্যাম্পবেল ইত্যাদির মতো অনেক সূত্র ব্যবহার করে আল্ট্রাসাউন্ড ডেটা অনুযায়ী প্রসবের সময় ভ্রূণের ওজনের পাশাপাশি ভ্রূণের আনুমানিক ওজনও গণনা করে।
এক্ষেত্রে সাধারণত চারটি মৌলিক স্থিতিমাপ ব্যবহার করে গণনা করা হয়,যেগুলি হল মাথার পরিধি(HC),বাইপারিয়েটালব্যাস(BPD),পেটেরপরিধি(AC) এবংফিমারেরদৈর্ঘ্য(FL)।
ভ্রূণের গণনাকৃত ওজনগুলি গড় ওজনের সাথে 16% যোগ অথবা বিয়োগ করে গণনা করা হয়ে থাকতে পারে।প্রকৃত ওজনটি হয় 16% এর থেকে বেশি অথবা কম হতে পারে।
প্রায় 68% বাচ্চারাই 1 টি স্ট্যান্ডার্ড বিচ্যুতির (এসডি)পরিসরের মধ্যে থাকবে এবং 2 টি SD প্রকৃত ওজনের প্রায় 95% এর পরিবেষ্টনে থাকা উচিত।তবে প্রায় 5% শিশুর হয় উচ্চতর অথবা 2.5% এর থেকে কম হবে,এই প্রকারে এটি ভ্রূণের ওজনের একটি ভুল ক্যালকুলেটর তৈরী করে।
ভ্রূণের শতকরা বৃদ্ধির ক্যালকুলেটর
গড় মানের তুলনায় শিশুটি কতটা বড় অথবা ছোট সেটি ভ্রূণের শতকরা বৃদ্ধির ক্যালকুলেটরটি গণনা করে।যদি শিশুটি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে 40 শতাংশের মধ্যে থাকে,তার অর্থ হল শিশুটি তার একই বয়সের 40% শিশুর চেয়ে বড় এবং সেই একই বয়সের 60% শিশুদের চেয়ে ছোট । 50 হল গড় মান এবং 50 এর নিচে থাকার অর্থ হল শিশুটির বৃদ্ধি গড় মানের থেকে নিচে রয়েছে।আর এই মান 50 এর উপরে হওয়ার অর্থ হল শিশুটির বৃদ্ধির হার গড় মানের থেকে বেশি।
যে ভ্রূণের বৃদ্ধির পরিমাপটি 10-90 শতাংশের মধ্যে থাকে তার বৃদ্ধি স্বাভাবিক হারের মধ্যেই রয়েছে বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।
গর্ভাশয়ে ভ্রূণের বৃদ্ধি অনুসরণ এবং গণনা করার জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন পরিভাষাগুলি আরও ভালোভাবে বোঝার জন্য নিম্নে সংক্ষেপে উল্লিখিত হলঃ
1. ক্রাউন-রাম্প দৈর্ঘ্য
ভ্রূণের ক্রাউন-রম্প দৈর্ঘ্যটি হল এমন একটি পরিমাপক যা ভ্রূণের তারিখ এবং ভ্রূণের গড় দৈর্ঘ্য গণনা করে।এটি 3-5 দিনের মধ্যে একটা যোগ বা বিয়োগ করে নির্ভুলভাবে পরিমাপ করা যেতে পারে।প্রত্যঙ্গ এবং কুসুম থলি এই গণনার বহির্ভূত।এই ক্রাউন-র্যাম্প দৈর্ঘ্যটি আবার গর্ভকালের বয়স গণনায় ব্যবহৃত হতে পারে যাতে আপনার ডাক্তারবাবু আপনার প্রসব তারিখের গণনা করতে পারেন।
2. বাইপারিয়েটাল ব্যাস এবং মাথার পরিধি
BPD বা বাইপারিয়েটাল ব্যাস হল বিস্তৃত অংশে মাথার তীর্যক প্রস্থ।এই পরিমাপটি একেবারে পৃথক প্রকৃতির হওয়ায় এটি সাধারণত বিপরীত দিকের হাড়ের উপর একটি মূখ্য প্রান্ত থেকে অন্য মূখ্য প্রান্ত পর্যন্ত করা হয়ে থাকে।এই পরিমাপে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি নেই কারণ মাথার ডিম্বাকার আকৃতিটি ভুল হওয়ার জন্য খুব বেশি জায়গা ছেড়ে যায় না।যা এই প্রক্রিয়াটিকে বার বার ব্যবহার করার জন্য সহজ করে তোলে।মাথার আকারটি নির্ধারিত হয় ব্রেনের বৃদ্ধির দ্বারা এবং সেক্ষেত্রে ব্রেনের বিকাশের অন্যান্য দিকগুলি হিসাব করে না।
3. ফিমার এবং হিউমেরাসের দৈর্ঘ্য
ফিমারের দৈর্ঘ্য পদ্ধতিটিও নির্ভরযোগ্য এবং এটির পুনরাবৃত্তি করা যেতে পারে।কঙ্কাল ডিসপ্লেসিয়াসের এটিকে প্রভাবিত করার প্রবণতা থাকে কিন্তু সেটি খুবই বিরল পরিস্থিতি।এই পরিমাপটি মাথার পরিমাপকে নিশ্চিত করে এবং সবচেয়ে ভাল পরিমাপটি পাওয়া যেতে পারে 14 সপ্তাহ পর।গর্ভকালের বয়স গণনার ক্ষেত্রে নূন্যতম 2 অথবা কখনও কখনও এমনকি আবার 4-5 টি পরিমাপ করার প্রয়োজন হতে পারে।
4. ভ্রূণের ওজন গণনা
এক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের কম্পিউটার সফটওয়ার এবং চার্ট রয়েছে যেগুলি ডাক্তারবাবুকে ভ্রূণের ওজন গণনার পাশাপাশি পেটের পরিধি,বাইপারিয়েটাল ব্যাস,ফিমারের দৈর্ঘ্য ইত্যাদির মত পরিমাপগুলিতে সহায়তা করে।
5. পেটের পরিধি
এটি হল এমন একটি পরিমাপ যেটি গর্ভাবস্থার দ্বিতীয়ার্ধে করা হয় এবং ভ্রূণের বৃদ্ধি পরিমাপের জন্য ব্যবহৃত হয়।এটি একটি আনুমানিক পদ্ধতি এবং ভ্রূণের বৃদ্ধির অনুপাত স্বাভাবিক আছে কিনা তা দেখার জন্য এটি ব্যবহৃত হয়।এটি লিভার এবং পেটের স্তরের সাথে নাড়ি অঞ্চলে বাম পোর্টাল শিরার পরিমাপ করা হয়।
6. গর্ভকালীন থলি
এটি প্রারম্ভিক গর্ভাবস্থায় তিনটি মাত্রায় পরিমাপ করা হয়ে থাকে।”গড় স্যাক ব্যাসরেখা” হল গর্ভকালের বয়স গণনার জন্য ব্যবহৃত একটি চলতি ধরণ।এই পদ্ধতিটি গর্ভাবস্থার পঞ্চম এবং অষ্টম সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োগ করা যেতে পারে এবং এক্ষেত্রে 3 দিন মত যোগ বা বিয়োগ করার মধ্যে যথার্থতা রয়েছে।
গর্ভকালীন থলিটি ভ্রূণের চারিদিকে ঘিরে থাকে এবং প্রথমদিকের আলট্রাসাউন্ড স্ক্যানগুলিতে সেটি দেখতে পাওয়া যায়।থলিটি ভ্রূণের পাশাপাশি অ্যামনিওটিক তরলকে ঘিরে রাখে।এটি ডাক্তারবাবুকে গর্ভাবস্থাকালীন সপ্তাহের সংখ্যাকে(5 দিনের সীমারেখাকে যোগ অথবা বিয়োগ সহ)গণনা করতে সহায়তা করে থাকে।
7. কুসুম থলি
এটি একটি ঝিল্লিময় থলি এবং ভ্রূণের সহিত সংযুক্ত থাকে।এই থলিটিকে ভ্রূণ এবং গর্ভকালীন থলির মাঝে চিহ্নিত করা যেতে পারে।এটি রক্ত সংবহনের আগে ভ্রূণের পুষ্টি সরবরাহ করে এবং ভ্রূণকে প্রয়োজনীয় পরিপোষণ যোগান দেওয়ার জন্য অমরা বিকাশলাভ করে।
8. ভ্রূণের মেরু
এটি কোষের একটি ভর এবং ভ্রূণের স্পষ্টভাবে প্রতিয়মান হওয়ার আগেই সেটি দেখা যেতে পারে।এটি বৃদ্ধিরহারপ্রতিদিনপ্রায়1 মিমি মত হয়এবংসেটি গর্ভকালীনবয়সেরষষ্ঠসপ্তাহেশুরুহয়ে থাকে।এটি প্রারম্ভিক গর্ভাবস্থার তারিখ এবং গর্ভাবস্থাকালীন সপ্তাহ গণনার ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গর্ভকালের বয়স গণনা করা হয়ে থাকে BPD,ফিমারের দৈর্ঘ্য, মাথার পরিধি এবং পেটের পরিধি পরিমাপ পদ্ধতি ব্যবহারের দ্বারা।তারা কীভাবে একে অপরের সাথে একত্রিত তা দেখা তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়।আধুনিক আল্ট্রাসাউন্ড মেশিনগুলিতে একটি কম্পিউটার বায়োমেট্রিক অ্যানালিসিস প্রোগ্রাম রয়েছে যা আনুমানিক নির্ধারিত তারিখ গণনা করে।
গর্ভাবস্থার প্রথম ত্রৈমাসিকের পর আপনার ডাক্তারবাবু হয়ত গর্ভকালের বয়সের একটি মাল্টিপ্যারামিটার মূল্যায়ন করতে পারেন।এর প্রাথমিকগুলি হল বাইপারিয়েটাল ব্যাসরেখা এবং ফিমারের দৈর্ঘ্য।এর সাথে আবার অন্যান্য পরিমাপগুলি যেমন অক্সিপিটোফ্রন্টাল ব্যাসরেখা,মাথার পরিধি অথবা হিউমেরাসের দৈর্ঘ্যও বিবেচিত।
গর্ভকালের বয়স গণনার জন্য প্রারম্ভিক পরিমাপগুলি সাধারণত একটি স্পষ্ট মূল্যায়ন হিসেবে করা হয়ে থাকে।20 সপ্তাহ পরে এই পরিমাপগুলির ক্ষেত্রে নির্ভুলতাটি আরও বশি প্রকট হয়।ভ্রূণের আল্ট্রাসাউন্ড পরিমাপের ক্ষেত্রে যদি সেটির মান কোনও সময় প্রমাণ পরিমাপের সহিত না মেলে তবে ডাক্তারবাবু এ ব্যাপারে আরও মূল্যায়ন করতে পারেন।গর্ভকালীন আনুমানিক বয়স পেতে সকল পরিমাপের মানের একটা গড় হিসেবের জন্য এটি করা হয়ে থাকে।
বিধিবদ্ধ সতর্কতা
এগুলি হল ইউনাইটেড কিংডম বা যুক্তরাজ্যের নির্দেশিকা ব্যবহার করে ওজন এবং দৈর্ঘ্যের আন্তর্জাতিক মান।যেকোনও ভারতীয় শিশুর গড় ওজন এবং দৈর্ঘ্য আন্তর্জাতিক মানের থেকে পৃথক হতে পারে।
ভ্রূণের বৃদ্ধি চার্টটি গর্ভাবস্থার অগ্রগতি এবং শিশুর বৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক।গর্ভাবস্থার নিয়মিত পরিমাপগুলির সময় কোনওরকম ব্যতিক্রম দেখা দিলে সেক্ষেত্রে কোনওরকম হস্তক্ষেপের প্রয়োজন আছে কিনা তা দেখার জন্য বিষয়টি ডাক্তারের নজরে আনা প্রয়োজন।ভ্রূণের বৃদ্ধির চার্টগুলি সঠিকভাবে ট্র্যাক করা নিশ্চিত করতে গর্ভাবস্থায় প্রয়োজনীয় সকল বাধ্যতামূলক পরীক্ষা নিরীক্ষা এবং স্ক্যানগুলি যথপোযুক্ত সময়ে করানোর পরামর্শই আপনাকে দেওয়া হয়।