আমাদের বেশীরভাগ ঐতিহ্যগত খাবার গুলিই ভারতীয় খাবারের রেসিপ গুলির চারপাশেই ঘুরে ফিরে আসবে।এমনকি যদিও আমাদের স্বাদ সম্পূর্ণরূপে বৈচিত্রময়,এগুলি খুব দ্রুত শিশুদের জন্য পুনরাবৃত্তি হতে পারে,কিছু বিভিন্ন ধরণের স্ন্যাক্স জাতীয় জলখাবার পছন্দ মত বেছে নেওয়ার জন্য অথবা বিভিন্ন ধরনের রন্ধন প্রণালী গুলির সমন্বয় তৈরী করার জন্য কীভাবে আপনি একটা খাদ্য চার্ট তৈরী করতে পারেন যেটিতে অসাধারণ সমস্ত রেসিপি গুলি আছে।
সকল খাদ্য পরিকল্পনা দুপুরে মধ্যাহ্নভোজের ধারণা থেকে আপনার বাচ্চার সন্ধ্যেবেলার ছোট ছোট জলখাবার পর্যন্ত প্রয়োজন হবে সঠিকভাবে একসাথে যৌথ ভাবে কাজ করার সর্বোপরি একটা সুষম পুষ্টি সুনিশ্চিতের জন্য।
শিশুদের জন্য তাদের কার্বোহাইড্রেট হল সবকিছু যা তাদের প্রয়োজনীয় শক্তির মাত্রাকে উচ্চ করে রাখে,যা খেলে বরাবারের জন্য এবং যেকোনো কাজ যা সে করতে চায় সেগুলি করার জন্য শক্তি যোগায়।
শিশুদের বৃদ্ধি প্রকৃতভাবে প্রোটিনের উপর উচ্চ মাত্রায় নির্ভর করে,এমনকি যদিও প্রোটিনের প্রতিদিনের প্রয়োজনীয়তা ততটা বেশী নাও হতে পারে যতটা আপনি মনে করেন।আপনার নিজের পরিবারের খাবারের উপর ভিত্তি করে প্রোটিন গ্রহণ প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী নিয়ন্ত্রিত করতে হবে।
শিশুদের মধ্যে অ্যানিমিয়া নজিরহীন নয় এবং এটি তাদের বিকাশে অসংখ্য উপায়ে গুরুতরভাবে প্রভাব ফেলতে পারে।খাদ্যের মধ্যে বিভিন্ন ভাবে আয়রণকে অন্তর্ভূক্ত করাকে উচ্চ মাত্রায় সুপারিশ করা হয় যেহেতু শিশুরা এই বয়সে আর বুকের দুধ নাও খেতে পারে।
জনপ্রিয় মতামতের বিপরীতে,কোনওরকম সমস্যা ধরা পরার পরে ডাক্তারেরা মাল্টিভিটামিনের সুপারিশ করেন না।শিশুর যেকোনও ধরণের অভাবের সম্মুখীন হওয়ার ঝুঁকি থাকতে পারে,সেগুলির ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য সাধারণত এটি প্রাকনিরপেক্ষ পরিমাপক হিসেবে নির্ধারিত হয়।
অতিরিক্ত সোডিয়াম জীবনের পরবর্তী পর্যায়ে হৃদপিণ্ড-জনিত সমস্যা ঘটাতে পারে,যখন এটির অনুপস্থিতি আবার বিকাশের সমস্যার কারণ হয়ে ওঠে।
শক্তি এবং পুষ্টি একই পয়সার দুটি পিঠ হতে পারে,কিন্তু এই দুটোই শরীর দ্বারা উৎপন্ন হয় ভিন্ন উপায়ে।একটা পুষ্টিকর ডায়েট আবশ্যকভাবেই শক্তি উৎপাদন করবে তার কোনো মানে নেই, যেটা প্রয়োজন তা হল সঠিক ট্র্যাকে ক্যালোরি গ্রহণ।
বাচ্চার ফাইবারের ঘাটতি হওয়া হল অন্যতম একটি দুর্লভ ব্যাপার কারণ সেগুলি প্রচলিত বিভিন্ন খাদ্য পদের মধ্যেই থাকে। প্রতিদিন কাঁচা সবজি ও ফল ধারাবাহিকভাবে খেলে আপনার ফাইবার খাওয়াটা আরও বেশী ভালো হবে।
বচ্চাদেরকে সারাদিন ধরে সময়মত পর্যাপ্ত জল খাওয়ার উপদেশ পুনরায় দেওয়া হয়।নিজেকে কেবলমাত্র হাইড্রেট রাখার সর্বোচ্চে পৌঁছানোর নির্দিষ্ট ট্র্যাকে ধরে রাখা হারানো এবং তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলির অভিজ্ঞতা লাভ করা বেশ সহজ। সকলেরই প্রতি দিন 8 গ্লাস করে জল খাওয়া আবশ্যক।
1.5 বছরের লক্ষ্য চিহ্ন অতিক্রম করার সাথেই বেশীর ভাগ শিশুরই ক্রিয়াকলাপ ক্রমশ বাড়তে শুরু করে।এই কারণে তাদের ক্যালোরির প্রয়োজনীয়তা স্বাভাবিকভাবেই 1.2-1.4 কিলোক্যালোরির মধ্যে(1200-1400 ক্যালোরি)হয়ে থাকে,যা তাদের শারীরিক গঠণ এবং বিপাকীয় ক্রিয়ার উপর ভালোভাবে নির্ভর করে।
এখানে 19 মাস বয়সী শিশুর কিছু জলখাবারের উল্লেখ করা হল যেগুলি আপনি তাকে দেওয়ার চেষ্টা করতে পারেন।
যে সকল পরিবার এগিয়ে চলার পথে তাদের সন্তানদের মাংস দেওয়া পছন্দ করেন, তাদের এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ন যে,মাংস গুলি কিনতে হবে তাজা এবং জৈব এবং তার পাশাপাশি সেগুলি সঠিক পদ্ধতিতে প্রস্তুত হওয়াও প্রয়োজন।বড় টুকরোর তুলনায় তাদের ছোট ছোট টুকরো খেতে দিতে হবে।
প্রতিদিন এক গ্লাস করে দুধ একবার করে দিলেই তা যথেষ্ট পরিমাণে পুষ্টি সরবরাহ করে।যদি আপনার বাচ্চা সকালবেলায় কিম্বা সন্ধ্যেবেলায় দুধ পান করে,তবে তার সাথে কিছু পরিমাণে বাদামের সংযোজন সেটিকে আরও বলদায়ক করে তোলে এবং যা উচ্চ পুষ্টির মাত্রা নিয়ন্ত্রণের ভালো উপায়।
মাঝে মধ্যে কিউয়ি এবং ড্রাগন ফ্রুট দেওয়ার পাশাপাশি আপেল এবং কলার মত সাধারণ ফল গুলিও বেশ কার্যকরী।সেগুলিকে জুস করে খাওয়ার পরিবর্তে সরাসরিই সেগুলিকে খাওয়া ভালো।
দই এবং বাটার মিল্ক একইসাথে সুষম পুষ্টি এবং উন্নত স্বাস্থ্য বজায় রাখে।এক্ষেত্রে চীজ স্যান্ডুইচ দারুণ একটা পছন্দ হতে পারে।
বাদামকে দুধের সাথে বা অন্যান্য পণ্যের সাথে মিশিয়ে অথবা সরাসরিভাবেই সেগুলিকে আপনার ছোট্ট সোনাকে দিতে পারেন,বাদামে ওমেগা 3 অ্যাসিড থেকে ফ্যাট -যা আপনার সোনা মাণিকের জন্য বেশ উপকারী সেই সকল প্রচুর পুষ্টি অন্তর্ভূক্ত থাকে।
সেই সকল মাছ গুলি থেকে দূরে থাকুন যেগুলিতে উচ্চ মাত্রায় মারকারি থাকে তার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সেল-ফিস গুলিও খেতে দেওয়া থেকে বিরত থাকুন,যেগুলি এলার্জি প্রতিক্রিয়া ভীষণ ভাবে ঘটাতে পারে,তাই আপনার বাচ্চাকে সামুদ্রিক খাবার গুলি দেওয়ার আগে এই সকল বিষয় গুলি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন।
যদি আপনার সন্তান রুটি বা ঐ ধরণের খাবার গুলির খুব বেশী ভক্ত না হয়ে থাকে আপনি তবে তাকে ব্রাউন রাইস অথবা এমনকি মিলেটের মত দানাশস্য গুলিকেও খাওয়াতে পারেন।এই হোল গ্রেইন বা সম্পূর্ণ শস্যের খাবার গুলি শরীরের জন্য ভীষণ ভালো এবং ভালো পরিমাণে প্রোটিন সরবরাহ করে।
অমলেট তৈরী করে সেটি স্যান্ডুইচের সাথে পরিবেশন করুন।কম সেদ্ধ করা ডিমের পরিবর্তে তাদের সম্পূর্ণ রূপে সেদ্ধ করা ডিমই খেতে দিন।আপনি নিজেও অনেক ধরণের ডিম তৈরীর রেসিপির আইডিয়া করতে পারেন যেগুলি সম্ভাব্য সর্বোত্তম পুষ্টি এবং শক্তি সরবরাহ করতে পারে।
সূর্যমুখী তেল প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য পরামর্শ দেওয়া হয় না, সেই কারণে আপনার পরিবারে আপনি এটির ব্যবহার যথা সম্ভব কম করতে পারেন।সঠিক পরিমাণে স্বাস্থ্যকর কিছু তেল ব্যবহার করা ভালো হতে পারে যাতে আপনার বাচ্চা সেটির থেকে ভালোভাবে তার স্বাস্থ্যকর উপকারিতা গুলি গ্রহণ করতে পারে।
সমগ্র ভারতীয় রন্ধন প্রণালীতেই বিভিন্ন ধরণের খাদ্য পদ প্রস্তুতিতে প্রাথমিক ভাবে বিভিন্ন ধরণের সবজির ব্যবহারের পুনরাবৃত্তি ঘটে।এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, কিছু কিছু সবজি স্যালাড হিসেবে কাঁচাই ব্যবহার করা যেতে পারে,তাদের রোজের স্বাদে অতিরিক্ত মাত্রা সংযোজনের জন্য।
দিন | প্রাতঃরাশ | জলখাবার | মধ্যাহ্নভোজ | জলখাবার | নৈশভোজ |
সোমবার | উপমা | তরমুজের টুকরো | লেবু ভাত এবং সাম্বার | এক গ্লাস দুধ এবং সবজির কাটলেট | সেমুইয়ের পায়েস |
মঙ্গলবার | পোহা এবং কমলা লেবুর রস | মিষ্টি পেঁপের কাথ্ব | ছোলে ভাত এবং সবজির স্যালাড | লসসি | গমের পাস্তা এবং স্যুপ |
বুধবার | সেমুই | কলার টুকরো | খিচুড়ি এবং দই | স্যালাডের সাথে কুমড়োর কাথ্ব | রুটি এবং পালং পনীর |
বৃহস্পতিবার | আলুর পরোটা এবং দই | মিল্ক শেক | ঘি দিয়ে রুটি এবং বীনসের তরকারী | স্ট্রবেরির মিষ্টি কাথ্ব | সবজি পোলাও |
শুক্রবার | মশলা ধোসা | স্ট্রবেরির কুঁচি | ব্রাউন রাইস এবং ডাল | দুধ এবং কর্নফ্লেক্স | রুটি এবং লাউ |
শনিবার | কলা ওটমিল | আপেলের টুকরো | নানান সবজির মিশ্রণ এবং ফল | ডায়জেস্টিভ গ্রেইন বিস্কুট এবং দুধ | লাল ভাত এবং ডাল |
রবিবার | ভেজ স্যান্ডুইচ এবং জুস | আঙুর | সবজির পোলাও এবং বীনসের তরকারি | মধুর সাথে পোরিজ বা জাউ | মেথি পরোটা এবং সবুজ চাটনি |
এখানে কিছু মজাদার খাবারের রেসিপি উল্লেখ করা হল যেগুলি খাবার শেষে আপনার ছোট্ট সোনা খাবার দেখেই তার ঠোঁট চেপে রাখার অভ্যাসটি ছেড়ে দিতে পারে।
এই দুটি উপকরণের অপরিহার্য পুষ্টির সম্পূর্ণটাই এই সুস্বাদু পরোটায় সম্পূর্ণ রূপে জুড়ে থাকে।
উপকরণ
কীভাবে বানাবেন
যখন আপনার বাচ্চা প্রচণ্ড ক্ষুধার্ত হয়ে ওঠে এবং আপনার হাতে খাবার বানানোর জন্য কোনও সময় না থাকে তখন এই ধোসাই আপনার ভীষণ ভালো এক বন্ধু হয়ে ওঠে।
উপকরণ
কীভাবে বানাবেন
সুজি কেবলমাত্র স্বাস্থের উপকারিতাই সরবরাহ করে না কিন্তু টোস্ট কিছুটা ক্রাঞ্চি ও কুড়মুড়ে হয় যা এর স্বাদকে স্বাভাবিকভাবেই আরও বাড়িয়ে তোলে।
উপকরণ
প্যানকেক খুব ভালো একটা পুষ্টিকর জলখাবার হয়ে উঠতে পারে যদি আপনি এর সাথে একটা মিষ্টি কাথ্ব জুড়ে দেন।
উপকরণ
এই অসাধারণ রেসিপি আক্ষরিকভাবেই আপনার হাতে জাদু এনে দেয় আপনার ছোট্ট সোনার খাবার তৈরীর ক্ষেত্রে।
উপকরণ
বিভিন্ন ধরণের জলখাবারের ধারণা প্রস্তুতির পাশাপাশি তাদের সেগুলি খাওয়ানোর বদলে চেষ্টা করুন কিছু গুরুত্বপূর্ন পরামর্শ মেনে চলতে আপনার অভিজ্ঞতাটিকে সহজতর করে তোলার জন্য।
এমন একটি কার্যকরী খাবার পরিকল্পনা একত্রিত করুন যা আপনার বাচ্চার শরীরে কাজ করার পাশাপাশি তার প্রয়োজনীয় সকল পুষ্টি সরবরাহ করে যা আপনার বুকের একটা বড় চাপ কমাতে পারে।এটা সবচেয়ে ভালো হয় নৈশভোজের ধারণা গুলির সাথে আনা ,যা প্রস্তুত করা সহজ,অপেক্ষাকৃত জটিল পদ গুলি করতে পারেন সপ্তাহান্তে অথবা ছুটির দিন গুলি উদযাপনের জন্য।