একটি মহিলার জীবনে সবচেয়ে সন্তোষজনক ও আনন্দময় অনুভূতি হল একটি সন্তানের জন্মদান করা।যখন কিছু মহিলা সহজেই গর্ভবতী হয়ে ওঠেন তখন আবার অন্য কিছু মহিলার ক্ষেত্রে গর্ভধারণের জন্য অপেক্ষা করতে হয় কিছুটা দীর্ঘ সময়।যাইহোক, যদি আপনি ও আপনার স্বামী সিদ্ধান্ত নেন অভিভাবকত্বে নিমজ্জিত হওয়ার, এবং সেটি খুব দ্রুত ঘটাতে চান, তবে এই নিবন্ধ আপনাকে সাহায্য করতে পারে।আমরা আলোচনা করব বিভিন্ন ঘরোয়া প্রতিকার ব্যবস্থার পরিমাপক গুলি সম্পর্কে যেগুলি আপনাকে সাহায্য করতে পারে গর্ভবতী হতে এবং সেই সঙ্গে পূরণ করুন আপনার অভিভাবক হওয়ার স্বপ্ন।যদিও এখানে ঘরোয়া প্রতিকার গুলিতে গর্ভধারণের কোনো পূর্ণ প্রমান নেই, তবে বলা যায় নিম্নলিখিত উপায় গুলি আপনার গর্ভধারণকে তরান্বিত করতে সাহায্য করতে পারে।
দ্রুত গর্ভধারণের জন্য 15 টি প্রাকৃতিক উপায়
যখন আপনি গর্ভধারণের জন্য চেষ্টা করেন সেক্ষেত্রে এমন অনেকগুলি বিষয় আছে যে ক্ষেত্রে যত্ন নেওয়া প্রয়োজন, যেমন আপনার ওভুলেশন, আপনার সঙ্গীর শুক্রাণুর মান এবং আপনার জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাস।যদি আপনি গর্ভধারণের জন্য চেষ্টা করেন, নিম্নলিখিত প্রাকৃতিক উপায় গুলি আপনার জন্য সাহায্যকারী হয়ে উঠতে পারে।
1.খেজুর
খেজুর হল ভিটামিন A, B, E, আয়রন এবং অন্যান্য অপরিহার্য খনিজের সমৃদ্ধ উৎস। খেজুর পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ শক্তির আধার যা আপনাকে সাহায্য করতে পারে গর্ভধারণের ক্ষেত্রে এবং এমনকি গর্ভাবস্থা চলাকালীন সময়েও। 10-12 টি খেজুর (বীজছাড়া) দুই চামচ ধনে মূলের সাথে পিষে নিন। আপনি আবার এক কাপ গরুর দুধের সাথে এই পেস্টটি মিশিয়ে ফুটিয়ে নিতে পারেন।আপনার প্রজনন ক্ষমতা বিকাশের জন্য এই মিশ্রণটি গ্রহণ করতে পারেন আপনার মাসিক শেষ হওয়ার পর থেকে এক সপ্তাহের জন্য।
2.বেদানা
পেলভিক অঞ্চলে রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধির জন্য বেদানা ভীষণ ভাবে কার্যকরি।বলা বাহুল্য এগুলি স্ত্রী প্রজনন ক্ষমতা বাড়ায় এবং জরায়ুর আস্তরণের পুরুত্ব বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, যা গর্ভপাতের সম্ভাবনা কমায়।সমান পরিমাণে বেদানা গাছের ছাল এবং বীজ নিয়ে গুঁড়ো করে পাউডার বানান।এরপর কিছু সপ্তাহের জন্য ½ চা চামচ করে এই পাউডার খাওয়া শুরু করুন।
3.ম্যাকরুট
পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রে বন্ধাত্ব্য চিকিৎসার জন্য ম্যাকরুট অত্যন্ত উপকারী।এই মূল শরীরে হরমোন মাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য ভীষণ কার্যকরী, যা প্রজননের বিকাশ ঘটায়। আপনি ½ চা চামচ ম্যাকরুট পাউডার এক কাপ গরম জল বা দুধের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।আপনি এই ম্যাকরুট পাউডারটি কয়েক মাস ধরে খেতে পারেন কিন্তু একবার গর্ভবতী হয়ে পড়লে সেটি এড়িয়ে চলুন।
4.ভিটামিন D
আপনার শরীরে ভিটামিন D এর অভাব বন্ধাত্ব্য এবং গর্ভপাত ঘটাতে পারে।অতএব আপনার শরীরে ভিটামিন D এর প্রয়োজনীয়তা বাড়িয়ে তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।অনেক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে যে ভিটামিন D এর অভাবে মহিলাদের প্রজননে প্রতিকূল প্রভাব পড়ে।ভিটামিন D পাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় হল 10 মিনিটের জন্য ভোরের সূর্যরশ্মি পোহানো অথবা আপনি ভিটামিন D সমৃদ্ধ খাবারও খেতে পারেন যেমন ডিমের কুসুম এবং চিজ।
5.দারুচিনি
এই বিস্ময়কর মশলাটি মহিলাদের ডিম্বাশয়ের কার্যকারীতাকে আরো ভালো ভাবে হতে সাহায্য করে এবং এটি বন্ধাত্ব্য নিবারনে সাহায্য করে।এটি পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম অথবা PCOS,যেটি মহিলাদের বন্ধাত্ব্যের অন্যতম মূখ্য কারণ—এর চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।আপনি এক চা চামচ দারুচিনি পাউডার এক কাপ গরম জলের সাথে যোগ করে পান করতে পারেন পাঁচমাসের জন্য।
6.বটগাছের মূল
বটগাছের মূল গর্ভধারণের জন্য অন্যতম কার্যকরি ঘরোয়া প্রতিকার রূপে ব্যবহার হয়। আপনি বটগাছের মূলের পাউডার গরম দুধের সাথে আপনার পিরিয়ড শেষ হওয়ার পরে টানা তিন দিন পর পর খেতে পারেন।দুমাসের জন্য এই পদ্ধতিটি অনুসরণ করলেই আপনি এর ফলাফল লক্ষ্য করতে পারবেন।
7.রসুন
গর্ভধারণের জন্য আরেকটি অন্যতম কার্যকরি প্রাকৃতিক উপায় হল রসুন খাওয়া।মহিলাদের প্রজননের উন্নয়নের জন্য রসুন পরিচিতি আছে।আপনি 4-5 কোয়া রসুন নিতে পারেন এবং এগুলি চিবিয়ে খান।রসুনের কোয়াগুলি চিবিয়ে খাওয়ার পর এক গ্লাস গরম দুধ খান।এই রুটিনটি শীতকালে নিয়মিত অনুসরণ করুন আপনার গর্ভাবস্থার উন্নতি ঘটাতে।
8.ফটকিরি
দ্রুত গর্ভধারণের ক্ষেত্রে ফটকিরি অন্যতম একটি ঘরোয়া প্রতিকার রূপে কাজ করে।যদি আপনার নিয়মিত মাসিক হয় কিন্তু আপনি গর্ভধারণ করতে সমস্যার সম্মুখীন হন,সেক্ষেত্রে ফটকিরি আপনার প্রতিকার হতে পারে।আপনি ছোট একটু করো ফটকিরি নিতে পারেন এবং সেটি তুলো দিয়ে ঢেকে দিন।রাত্রি বেলায় সেটিকে আপনার যোনির ভিতরে প্রবেশ করান।তুলোটি পরিষ্কার ভাবে(তুলোর উপরে কোনো রকম দুধেল স্তর ছাড়া) বেড়িয়ে আসা পর্যন্ত এই রুটিন মেনে চলুন।এই সাদা আস্তরণটির অনুপস্থিতি হল গর্ভধারণের জন্য প্রস্তুতির সংকেত।
9.জায়ফল
মহিলাদের প্রজননের জন্য এই মশলাটির অভূতপূর্ব উপকারিতা আছে।আপনার গর্ভধারণের সম্ভাবনা বৃদ্ধির জন্য আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় জায়ফলের সংযোজন করতে পারেন।আপনি সমান পরিমাণে জায়ফল পাউডার এবং চিনির পাউডার(প্রতিটি মোটামুটি 3 গ্রামের মত) নিতে পারেন এবং আপনার মাসিক চলাকালীন সময়ে এক কাপ দুধের(বিশেষত গরুর দুধ) সাথে সেটি খেতে পারেন।
10.সৈন্ধবলবণ
গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়াবার জন্য আপনি সৈন্ধব লবণ ব্যবহার করতে পারেন।মহিলাদের বন্ধাত্ব্য মোকাবিলায় সৈন্ধব লবণ অত্যন্ত কার্যকরি।আপনি এক চামচ ভর্তি করে এই সৈন্ধব লবণ নিতে পারেন এবং সেটিকে 750 মিলিলিটার জলের মধ্যে ভিজিয়ে রাখুন।এই জলটিকে অনেক ভোরে (সূর্যদয়ের পূর্বে)পান করুন। 3-6 মাসের জন্য এই নিয়ম মেনে চলুন ফলাফল দেখতে পাবেন।
11.সরষেবাটা
এই সাধারণ ও সহজ ঘরোয়া প্রতিকার ব্যবহারের দ্বারা আপনি আপনার গর্ভধারণের সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তুলতে পারেন।আপনার মাসিক চক্রের 4 দিন পর থেকে আপনার দৈনিক খাদ্য তালিকায় কার্যকরি ভাবে সরষে বাটার সংযোজন করতে পারেন।মহিলাদের প্রজনন বৃদ্ধিতে সরষে বাটা ভীষণ ভাবে কার্যকরি কিন্তু কখনই সেটি অতিরিক্ত মাত্রায় ব্যবহার করবেন না।
12.পুদিনা
পুদিনা পাতা ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন ক্ষেত্রে শারীরিক অসুস্থতার চিকিৎসায়।পবিত্র পুদিনা পাতা গ্রহণ আবার মহিলাদের বন্ধাত্ব্য নিবারণে কার্যকরি ভূমিকাও প্রমাণ করে।আপনার গর্ভধারণের সম্ভাবনার উন্নতি ঘটাতে নিয়মিত কয়েকটি করে (তিন থেকে চারটি )পুদিনা পাতা চিবাতে পারেন এক গ্লাস দুধের সাথে।অন্যথায়, প্রজনন বৃদ্ধিতে পুদিনার বীজ খাওয়া যেতে পারে।
13.মৌরি এবং গোলাপের পাপড়ি
আপনার গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়াবার জন্য যদি আপনি এর উপযোগী যোগা বা অন্যান্য ব্যায়ামগুলি অনুসরণ না করতে পারেন,তবে আপনার প্রজনন বৃদ্ধির জন্য আপনি মৌরি এবং গোলাপের পাপড়ি খেতে পারেন।10 গ্রাম মৌরির সাথে 50 গ্রাম গোলাপ জ্যাম মিশিয়ে সেই মিশ্রণটি প্রতি রাতে গরম দুধের (গরুর দুধ) সাথে খান।
14.বেরি
বেরি অত্যন্ত উপকারী সেই সকল মহিলাদের জন্য যারা হরমোনের ভারসাম্যের অসামঞ্জস্যতার সাথে লড়াই করে চলেছেন।হরমোনের ভারসাম্যের অসামঞ্জস্যতার কারণে দেহে প্রোল্যাকটিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায় যা বন্ধাত্ব্য ঘটায়।এক্ষেত্রে বেরির জন্য খরচ করার অর্থ হয়ে উঠতে পারে শরীরে PCOS এর বিরোধিতা করে ওভুলেশনের উন্নতিকরণে সাহায্য করা ।এক চামচ শুকনো বেরি নিয়ে সেটিকে দশ মিনিটের জন্য ফুটন্ত জলে দিয়ে রাখুন।আপনার প্রজননের বিকাশের জন্য এই চা টি কয়েক সপ্তাহ ধরে দিনে একবার করে পান করুন।
15.মৌরি এবং মাখন
অতিরিক্ত ওজনের অথবা ভারী মহিলাদের প্রজননের বিকাশে এই সমন্বয়টি একদম আদর্শ।আপনি মৌরি গুঁড়ো (প্রায় 6 গ্রাম মত) নিতে পারেন সেটিকে দুইভাগ খাঁটি মাখনের সাথে মিশিয়ে সেই মিশ্রনটিকে খেতে পারেন তিন থেকে চার মাসের জন্য।
উপরে উল্লিখিত সকল ঘরোয়া প্রতিকার পদ্ধতিগুলি কার্যকরি হয় আপনার গর্ভধারণের সম্ভাবনা বিকাশের ক্ষেত্রে।অনিয়মিত পিরিয়ড হওয়ার সাথে গর্ভবতী হওয়ার জন্য আপনি এই ঘরোয়া প্রতিকার পদ্ধতিগুলি প্রয়োগ করতে পারেন।যাইহোক, এটি পরামর্শ দেওয়া হয় যে,আপনার প্রজনন বৃদ্ধির জন্য এই সকল ঘরোয়া প্রতিকারগুলি প্রয়োগের পূর্বে আপনার ডাক্তারবাবুর সাথে একবার আলোচনা করে নিন।
মনে রাখার কিছু অতিরিক্ত পরামর্শ
উপরিল্লিখিত প্রাকৃতিক প্রতিকার গুলি ছাড়াও নিম্নোলিখিত পরামর্শগুলি ও আপনার গর্ভধারণে সাহায্য করতে পারে।
1.আপনার ক্যাফিন গ্রহণ সীমিত করুন
বেশী মাত্রায় ক্যাফিন গ্রহণ রক্তে আয়রনের শোষণে বাধা দেয়, এবং এটি ডিহাইড্রেশনেরও কারণ হয়ে দাড়ায়। এইসব বিষয়গুলি এক সাথে মহিলাদের বন্ধাত্ব্যের সমস্যার কারণ হয়ে ওঠে।এটি সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে এবং গর্ভপাত অথবা অকাল প্রসবের মত ঝুঁকিও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
2.চিনি এড়িয়ে চলুন
চিনি হল কার্বোহাইড্রেটের একটি অন্যতম মারাত্মক রূপ।প্রয়োজনের অতিরিক্ত চিনি খেলে শরীরে ইনসুলিনের মাত্রায় বিঘ্ন ঘটায়। উচ্চ কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা কমায় যা সমস্যার কারণ হয়ে ওঠে যদি আপনি গর্ভধারণের চেষ্টা করেন সেক্ষেত্রে। ফলের প্রাকৃতিক মিষ্টত্বকে পরিবর্তন করুন চিনির স্বাস্থ্যকর বিকল্প রূপে।
3.পর্যাপ্ত জলপান করুন
আপনি যদি একটি সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করেন তবে আপনার পর্যাপ্ত জলপান করা উচিত।জল কেবল জরায়ুকেই স্বাস্থ্যকর রাখে না,এটি সার্ভিক্যাল মিউকাসের পরিমাণ বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।শুক্রাণু আরো ভালোভাবে পুরু সার্ভাইক্যাল মিউকাসের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে আপনাকে গর্ভধারণে সাহায্য করে।
4.সুস্থ এবং স্বাস্থ্যকর থাকুন
প্রতিদিন ব্যায়াম করা অত্যন্ত জরুরী। যদি আপনি স্থূলকায় বা অতিরিক্ত ওজনের অধিকারী হন তবে আপনার গর্ভধারণের সম্ভাবনা বিকাশের ক্ষেত্রে আপনার ওজন কিছুটা কমানো ভালো পরামর্শ হতে পারে।যাইহোক, যদি আপনি স্বল্প ওজনের অধিকারী হন তবে সেক্ষেত্রে আপনার ওভুলেশনের সাথে সমস্যা দেখা দিতে পারে।সুস্থ এবং স্বাস্থ্যকর শরীর বজায় রাখুন যেহেতু এটি আপনার গর্ভধারণের সম্ভাবনার বিকাশ ঘটায়।
5.ভালোভাবে ঘুমান
আপনার অন্তর্দেশীয় অঙ্গ সমূহের কার্যকারীতা সঠিকভাবে বজায় রাখতে ভালো ভাবে ঘুমানো অত্যন্ত জরুরী। অনিদ্রা অথবা অনিয়মিত ঘুমের অভ্যাস আপনার হরমোনের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।হরমোনের ভারসাম্য ব্যাহত হওয়ায় তা গর্ভধারণের ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
6.মানসিক চাপ দূরে ঠেলে রাখুন
মানসিক চাপ নানান শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি করে এবং গর্ভধারণের সময়ে সমস্যার সৃষ্টি হওয়া হল সেগুলির মধ্যে অন্যতম একটি। মানসিক চাপের মাত্রা বৃদ্ধি হরমোনের উপরে প্রভাব ফেলতে পারে যা ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু মুক্ত হওয়ার জন্য দায়ী।অতএব, মানসিক চাপ ওভুলেশনকে পিছিয়ে দিতে পারে অথবা সর্বোপরি কোনওরকম ওভুলেশন নাও ঘটাতে পারে।
7.ধূমপান ত্যাগ করুন
যে সকল মহিলা ধূম্রপান করেন তারা তুলনামূলকভাবে যে সকল মহিলা ধূম্রপান করেন না তাদের থেকে বেশী সময় নেন গর্ভধারণের ক্ষেত্রে।সেরকমই একজন গর্ভবতী মহিলা যখন ধূমপান করেন তখন সেক্ষেত্রে তার সন্তান প্রসবের সময় জেনেটিক অস্বাভাবিকতার দারুণ ঝুঁকি থেকে যায়।
8.মদ্যপান করবেন না
মদ্যপান কারণ হয়ে উঠতে পারে অনিয়মিত মাসিক চক্রের,ওভুলেশনেও সমস্যা সৃষ্টি করে এবং শরীরে হরমোনের মাত্রা ব্যাহত করে।এই সকল বিষয়গুলিই ভীষণভাবে সমস্যার সৃষ্টি করে যখন আপনি গর্ভধারণের পরিকল্পনা করেন।
আপনি যদি গর্ভবতী হতে চান তবে সেক্ষেত্রে উপরে উল্লিখিত পরামর্শগুলি আপনার উপকারে আসতে পারে।যাইহোক, এটি সব সময়েই সুপারিশ করা হয় যে আপনার খাদ্য তালিকায় বা জীবনযাত্রার মানে কোনওরকম পরিবর্তন আনার আগে আপনার ডাক্তারবাবুর পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।