In this Article
- প্রসবোত্তর এডিমা কি?
- প্রসবোত্তর ফুলে যাওয়া/এডিমার কারণসমূহ
- গর্ভাবস্থা পর্যায়ের পরবর্তীতে ফুলে যাওয়ার লক্ষণগুলি
- এই ফুলে যাওয়াগুলো কি নিজে থেকেই চলে যাবে?
- গর্ভাবস্থা পর্যায়ের পরবর্তীতে এডিমার চিকিৎসা কি?
- গর্ভাবস্থা পর্যায়ের পরবর্তীতে ফুলে যাওয়া হ্রাস করতে আপনি কি করতে পারেন?
- জন্ম দানের পর কীভাবে অস্ত্রপচারের ক্ষত ফুলে যাওয়ার সাথে মোকাবিলা করা যায়
- প্রসবোত্তর এডিমা সম্পর্কে আপনার কখন চিন্তা করা উচিত?
- গর্ভাবস্থা পর্যায়ের পরবর্তীতে এডিমা কীভাবে প্রতিরোধ করা যেতে পারে
- প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী
গর্ভাবস্থায় মহিলারা বহু শারীরিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করেন।আপনি হয়ত অপেক্ষা করে আছেন শুধুমাত্র এটিকে ভালভাবে সম্পন্ন করার জন্য যাতে আপনি আপনার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা পুনরায় ফিরে পেতে পারেন।অনেকেই এটি ভাবেন যে একবার এই পর্যায়টি সম্পূর্ণ হয়ে গেলেই,সব কিছুই আবার আগের জায়গায় ফিরে আসবে,কিন্তু সেটি সত্য নয়-এমনকি সন্তানের জন্মদান করার পরেও আপনি নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকতে পারেন,সেগুলির মধ্যে একটি হতে পারে প্রসবোত্তর এডিমা।
প্রসবোত্তর এডিমা কি?
প্রসবোত্তর এডিমা হল এমন একটি শর্ত যেটি মহিলারা ভোগ করে থাকেন গর্ভাবস্থার পর্যায়টির ঠিক পরবর্তিতে।এই অবস্থার কারণে মুখ,গোড়ালি এবং পেট ফুলে ওঠে।এটি আবার হাত এবং পায়ের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।এই ফুলোভাবটি মাঝেমধ্যে যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠতে পারে যা পরিস্থিতিটিকে নিরানন্দদায়ক করে তোলে।
প্রসবোত্তর ফুলে যাওয়া/এডিমার কারণসমূহ
গর্ভবতী মহিলাদের মধ্যে প্রসবোত্তর এডিমা হওয়ার বেশ কয়েকটি কারণ আছেঃ
1. হরমোন
প্রোজেস্টেরণ হল এমন এক ধরনের হরমোন যা গর্ভাবস্থায় প্রচুর পরিমাণে উৎপাদিত হয়।আর এটির কারণেই শরীর সোডিয়াম এবং জল ধরে রাখতে পারে,যার ফলে শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলে যায়।
2. IV তরল
প্রসবের সময় ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করতে IV তরল ব্যবহৃত হয়ে থাকে।তবে,এটির ফলে আবার প্রদাহও সৃষ্টি হতে পারে-এটি সম্ভবত হয়ে থাকে সিজার পদ্ধতিতে জন্মদানের পর।
3. হাইপোপ্রোটেইনিমিয়া এবং অ্যানিমিয়া
হাইপোপ্রোটেইনিমিয়া হল এমন এক শর্ত যা দেহে প্রোটিনের স্বাভাবিক মাত্রার থেকেও কম মাত্রায় প্রোটিনের উপস্থিতি দ্বারা চিহ্ণিত করা হয়।আর যখন কোনও মানুষের দেহে লোহিত রক্ত কণিকার ঘাটতি হয়ে থাকে,সেটিকে বলা হয় অ্যানিমিয়া।যদি একজন মা প্রসবের পর এই দুটির যেকোনও একটি অথবা উভয় ব্যাধির কবলেই পড়েন,তিনি তবে প্রসবোত্তর এডিমাতেও ভুগতে পারেন।
4. উচ্চ রক্ত-চাপ বা হাইপার টেনশন
কিছু চিকিৎসাজনিত অবস্থা যেমন দীর্ঘমেয়াদী হাইপার টেনশন এবং গর্ভাবস্থা-প্ররোচিত উচ্চ রক্ত-চাপের পাশাপাশি হাইপোথাইরয়েড রেনাল ব্যাধিগুলিও প্রসবোত্তর এডিমার বা ফুলে যাওয়ার কারণ হয়ে থাকতে পারে।
গর্ভাবস্থা পর্যায়ের পরবর্তীতে ফুলে যাওয়ার লক্ষণগুলি
প্রসবোত্তর এডিমার কয়েকটি লক্ষণ হলঃ
- হাত এবং পায়ের পাতা ফুলে ওঠা
- ওজন বৃদ্ধি
- গোড়ালী ফুলে যাওয়া
- ফুলো ফুলো ত্বক
এই ফুলে যাওয়াগুলো কি নিজে থেকেই চলে যাবে?
গর্ভবস্থার পরবর্তীতে,যদি আপনার বাহু,পায়ের পাতা এবং শরীরের অন্যান্য অংশ ফুলে যেতে লক্ষ্য করেন,আতঙ্কিত হবেন না কারণ এগুলি নিজে থেকেই চলে যাবে।খুব বেশি,এটি যেতে দু সপ্তাহ মত সময় নিতে পারে।শিশুকে জন্ম দানের পর দেহের মধ্যে তরল থেকে যাওয়ার কারণে অধিকাংশ মহিলাদের মধ্যেই এই ফুলে যাওয়ার ব্যাপারটি ঘটে থাকে।
গর্ভাবস্থা পর্যায়ের পরবর্তীতে এডিমার চিকিৎসা কি?
গর্ভাবস্থা পর্যায়ের পরবর্তীতে এডিমা খুব সাধারণ একটি ব্যাপার এবং সাধারণত এটির জন্য বিশেষ কোনও চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না।এক্ষেত্রে এমন কিছু সাধারণ চিকিৎসা রয়েছে যেগুলি আপনি ফুলে যাওয়া এবং ব্যথা কমাবার জন্য বাড়িতেই প্রয়োগ করার চেষ্টা করতে পারেন।তবে,পরিস্থিতিটি যদি খারাপের দিকে যেতে থাকে,আপনার একজন ডাক্তারের সাথে এ ব্যাপারে আলোচনা করা প্রয়োজন কারণ এটি অন্য কোনও স্বাস্থ্যগত সমস্যার সংকেতও হতে পারে।
গর্ভাবস্থা পর্যায়ের পরবর্তীতে ফুলে যাওয়া হ্রাস করতে আপনি কি করতে পারেন?
গর্ভাবস্থা পর্যায়ের পরবর্তীতে ফুলে যাওয়া পায়ের পাতার জন্য কিছু ঘরোয়া প্রতিকার নিম্নে তালিকাবদ্ধ করা হলঃ
1. মালিশ
নিজেকে একটি আরামদায়ক মালিশ দিন কারণ এটি রক্ত প্রবাহের উন্নতি ঘটায় এবং ব্যথা প্রশমিত করে।
2. ব্যায়াম
আপনার গর্ভাবস্থার পূর্ববর্তী আকৃতি ফিরে পাওয়ার এবং তার সাথে ফুলে যাওয়া হ্রাস করারও একটি দুর্দান্ত উপায় হল ব্যায়াম করা।
3. প্রচুর পরিমাণ জল পান
জল দেহ থেকে অতিরিক্ত তরল পদার্থকে বাহির করে দিতে সাহায্য করে থাকে,যা ফুলে যাওয়াকে হ্রাস করে।বহু মানুষ মনে করেন যে,আপনি যদি অতিরিক্ত জল পান করেন তবে দেহের মধ্যেও আরও বেশি তরল জমে উঠবে।তবে এটি মোটেই সঠিক নয়।
4. ফল খান
ফলে রয়েছে প্রদাহ বিরোধী গুণাবলী,সুতরাং সেগুলি প্রচুর পরিমাণে খেলে দেহের বিপাক বাড়াতে এবং নিরাময়ের গতি বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করবে।
5. প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান
দেহে কম প্রোটিন শরীর ফুলে যাওয়ার কারণ,সুতরাং আপনার খাদ্য তালিকায় প্রোটিন যুক্ত খাবার সংযুক্ত করা হিতকর।
6. প্রক্রিয়াজাত এবং ফাস্ট ফুডগুলিকে দূরে রাখুন
প্রক্রিয়াজাত এবং ফাস্ট ফুডগুলিকে এড়িয়ে চলুন যেহেতু এগুলিতে উচ্চ মাত্রায় সোডিয়াম থাকে যা দেহে তরল ধরে রাখার দিকে পরিচালিত করে।
7. আপনার হাত এবং পায়ের পাতাগুলিকে উঁচু করে রাখুন
রক্ত সঞ্চালনার উন্নতি ঘটাতে নিয়মিত ভাবে আপনার হাত এবং পায়ের পাতাগুলিকে উপরের দিকে উঁচু করে রাখুন।পরিশেষে এটি আপনার দেহের ফুলে যাওয়াকেও হ্রাস করবে।
8. অনড় বা নিশ্চল অবস্থানে থাকা এড়িয়ে চলুন
রক্ত সঞ্চালনার ক্ষেত্রে দেহের সঞ্চালনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার।সঠিক পরিমাণে পর্যাপ্ত সময়ের জন্য সঠিক পদ্ধতিতে বসা এবং উঠে দাঁড়ানো ফুলে যাওয়াকে হ্রাস করতে এবং ভালভাবে রক্ত প্রবাহে সহায়তা করে।
9. ভাল ভাবে বিশ্রাম নিন
যখন আপনার শরীর ফুলে যায় এবং যদি আপনি তার জন্য যন্ত্রণা অনুভব করেন,নিজের উপর জোর প্রয়োগ করে কিছু করা এড়িয়ে চলুন।এগুলি খুব বেশি হতে থাকলে শরীরকে বিশ্রাম দিন।
10. পায়ের পাতা ভিজান
গরম জলে সামুদ্রিক লবণ কিম্বা বাথ সল্ট মিশিয়ে আপনার পায়ের পাতাগুলিকে তার মধ্যে ভিজিয়ে রাখলে অথবা সেটি দিয়ে স্নান করলে তা আপনার ফোলা কমাতে এবং যন্ত্রনায় উপশম আনতে সহায়তা করবে।
11. ভোরবেলায় যোগা করুন
যোগা হল মানসিক চাপ এবং যন্ত্রণার অন্য আরেকটি উপশমকারী।এটি আরও ভাল রক্ত সঞ্চালনায় সাহায্য করে এবং শরীরের ফুলে যাওয়াকে কম মাত্রায় পরিচালিত করে।
12. ভেষজ চা
কফি এবং অন্যান্য ক্যাফিন জাতীয় পণ্যগুলি ডিহাইড্রেশনকে বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং বেশি মাত্রায় তরল ধরে রাখার জন্য দেহকে প্ররোচিত করতে পারে।প্রসবোত্তর এডিমা থেকে পুনরুদ্ধারে এটি কেবল বিলম্ব ঘটাবে।পরিবর্তে,ড্যানডেলিয়নের মত ভেষজ চায়ের দ্বারা ঐ পানীয়গুলি প্রতিস্থাপন করুন ফুলে যাওয়ার বিরুদ্ধে লড়তে এবং দেহে তরল ধারণকে প্রতিরোধ করতে।
13. রিফ্লেক্সোলজি
এটি পেশিগুলির যন্ত্রনাকে প্রশমিত করার একটি দুর্দান্ত উপায়।রিফ্লেক্সোলজি পায়ের পাতা ফুলে যাওয়ার সাথে যন্ত্রণার প্রশমনে প্রভূত সহায়তা করে থাকে।
14. বাঁধা কপির পাতা
ফুলে যাওয়া অঞ্চলগুলির উপরে বাঁধা কপির পাতা রাখলে তা যন্ত্রণা এবং অস্বস্তি লাঘব করতে সহায়তা করে কারন এটি দেহ থেকে অতিরিক্ত তরলকে টেনে নেয়।
15. আঁটসাঁট বস্ত্র এড়িয়ে চলুন
যখন ফুলে যাওয়া থেকে যন্ত্রণা ভোগ করবেন,ঢিলেঢালা আরামদায়ক বস্ত্র পরিধানের দ্বারা আপনার দেহে বায়ু চলাচল করতে দিন।
16. শ্রমসাধ্য ব্যায়ামগুলি এড়িয়ে চলুন
গর্ভাবস্থা পর্যায়ের পরবর্তীতে ফুলে যাওয়া পায়ের পাতার জন্য ব্যায়াম নিঃসন্দেহে দুর্দান্ত উপশম আনে,কিন্তু অসাবধানতাবশত শ্রমসাধ্য ব্যায়ামগুলি করার ফলে তা দেহে ব্যথার উদ্রেক করে যা ব্যাপারটিকে আরও অধিকতর খারাপ করে তোলে।
17. সাহায্যের জন্য মোজা পরিধান করুন
আপনি যে পোশাক পরিধান করেন সেগুলির প্রচুর তারতম্য থাকে।এমন ধরনের মোজা পরিধান করুন যেগুলিতে খুব টাইট ইলাস্টিক থাকবে না কিন্তু সহায়ককারী হবে,যা প্রসবোত্তর এডিমা থেকে উপশম পেতে সাহায্য করতে পারে।
18. আরামদায়ক স্নান
উষ্ণ জলের সাথে প্রশমনকারী তেল সহযোগে একটি আরামদায়ক স্নান এক্ষেত্রে সহায়ক।আপনার ডাক্তারবাবুর থেকে জেনে নিন কোন তেলটি আপনার ব্যবহারের জন্য নিরাপদ হবে।যেগুলি থেকে আপনার অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া হতে পারে সেগুলিকে এড়িয়ে চলুন।
19. লবণ গ্রহণের পরিমাণ হ্রাস করুন
ভিন্ন রূপে সোডিয়াম ছাড়া লবণ আর কিছুই নয়।অতিরিক্ত পরিমাণে লবণ গ্রহণ শরীরে জল ধারণকে বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং দেহ ফুলে যেতে পারে।কেক,চিপস এবং সফট পানীয়ের মত প্রক্রিয়াজাত খাদ্য কেনার পূর্বে তার মধ্যে লবণের পরিমাণ জানার জন্য তার প্যাকেটের গায়ের লেবেলটিকে ভাল করে পরীক্ষা করে নিন।
20. পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খান
দেহে সোডিয়াম এবং পটাসিয়াম উপাদানগুলি সর্বদা ভারসাম্যপূর্ণ হওয়া উচিত।কলা,অ্যাভোকাডো, পালংশাক,দই এবং চিনাবাদাম মাখনের মতো বেশি পটাসিয়ামযুক্ত খাবার গ্রহণের ফলে রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা হ্রাস পাবে।
জন্ম দানের পর কীভাবে অস্ত্রপচারের ক্ষত ফুলে যাওয়ার সাথে মোকাবিলা করা যায়
c-সেকশন বা সিজারিয়ান প্রসবের পর,পা ফুলে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশেই বেড়ে যায়।এই সবক্ষেত্রে,যন্ত্রণা কমাতে আপনি একটি বরফ কমপ্রেসর অথবা গরম জলের ধারা ব্যবহার করতে পারেন।আপনার সেলাইগুলির পুরোপুরি নিরাময় না হলে স্নানের লোশনগুলির ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।
প্রসবোত্তর এডিমা সম্পর্কে আপনার কখন চিন্তা করা উচিত?
প্রসবোত্তর এডিমা এমন কোনও রোগ বা অসুস্থতা নয় যেটির বিষয়ে চিন্তা করতে হবে।সাধারণত এটি যেতে এক সপ্তাহ মত সময় নেয়।খুব কম ক্ষেত্রেই এই অবস্থাটি কয়েক সপ্তাহের জন্য স্থায়ী থাকে।তবে,নিম্নলিখিত পরিস্থিতিতে আপনার চিকিৎসাজনিত সহায়তা নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারেঃ
1. এটি যদি বেশ কয়েক সপ্তাহের জন্য স্থায়ী হয়
যদি আপনার এডিমা বেশ কয়েক সপ্তাহের জন্য স্থায়ী হয়ে থাকে, তবে সেক্ষেত্রে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া সবচেয়ে ভাল।আপনি ব্যথা লাঘব করার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি প্রয়োগের চেষ্টা করতে পারেন।
2. অসহ্য যন্ত্রণা
যন্ত্রনাটি অসহনীয় হয়ে উঠতে পারে এবং আপনার কিছু যন্ত্রণা উপশমকারী ওষুধের প্রয়োজন হতে পারে।কিন্তু আপনার দুর্বল অবস্থায়,ডাক্তারের পরামর্শ ব্যাতীত এই ধরনের জনপ্রিয় বড়িগুলি শুরু করা কখনই ভাল ধারণা হবে না।
3. শ্বাস কষ্ট
শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যাগুলি আসন্ন কনজেস্টিভ হার্ট ফেলিওরের একটি সংকেত হতে পারে।আপনার যদি এটি হয়ে থাকে তবে অবিলম্বে চিকিৎসাগত সহায়তার প্রয়োজন হবে।
গর্ভাবস্থা পর্যায়ের পরবর্তীতে এডিমা কীভাবে প্রতিরোধ করা যেতে পারে
গর্ভাবস্থার পর্যায়ের পরবর্তীতে ফুলে যাওয়াটা স্বাভাবিক।তবে এক্ষেত্রে কিছু উপায় আছে গর্ভাবস্থার পর্যায়ের পরবর্তীতে ফুলে যাওয়াকে প্রতিরোধ করার।যদিও এগুলি বেশ সহায়ককারী,তবে সকল মহিলার ক্ষেত্রেই এগুলি কাজ করে না।কয়েকটি প্রতিরোধকারী উপায় হলঃ
- পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন
- পায়ে আরামদায়ক জুতো পরুন
- দীর্ঘ সময়ের জন্য একভাবে স্থির অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকা এড়িয়ে চলুন
- ক্যাফিন পান করা থেকে বিরত থাকুন
- গর্ভাবস্থা পর্যায়ের পরবর্তীতে হালকা ধরনের কাজকর্ম করুন
- প্রসবোত্তর বিশ্রাম নেওয়াকে বাদ দেবেন না
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী
আমার পায়ের পাতাগুলি কি গর্ভাবস্থার পূর্বের আকার পুনরায় ফিরে পাবে?
আপনি যদি এই ভেবে আতঙ্কিত হয়ে থাকেন যে আপনার পায়ের পাতাগুলি হয়ত আর কখনই তার প্রকৃত আকার ফিরে পাবে না,তবে আপনার সে বিষয়ে চিন্তিত হওয়ার প্রয়োজন নেই।এই ফুলে যাওয়া যেটি গর্ভাবস্থার পর্যায়ের পরবর্তীতে হয়ে থাকে,শরীরের অতিরিক্ত তরলের কারণে হয়ে থাকা একটি সাধারণ ও স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।সময়ের সাথে,আপনার পায়ের পাতাগুলি তাদের আসল রূপ ফিরে পাবে।
গর্ভাবস্থা এবং গর্ভাবস্থার পর্যায়ের পরবর্তী পর্যায়টি নিঃসন্দেহে চ্যালেঞ্জিংয়ের একটি বিষয়।।যদিও আপনি ইতিমধ্যেই অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়েছেন তবুও ব্যথা এবং ফোলা এটিকে আরও কঠিণ করে তুলতে পারে।তবে, এটি খুব সাধারণ ঘটনা যার মধ্য দিয়ে অধিকাংশ মহিলা্কেই গর্ভাবস্থা পর্যায়ের পরবর্তীতে অতিবাহিত করতে হয়।সুতরাং শান্ত এবং প্রস্তুত থাকুন।উপরে উল্লেখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করলে যন্ত্রণা সামলাতে পারবেন এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে এড়াতেও পারবেন।