গর্ভাবস্থায় পিপাসা পাওয়ার কারণগুলি এবং এটির সাথে মোকাবিলা করার পরামর্শগুলি

গর্ভাবস্থায় পিপাসা পাওয়ার কারণগুলি এবং এটির সাথে মোকাবিলা করার পরামর্শগুলি

গর্ভবতী হন বা না হন,আপনি হঠাৎ করে তৃষ্ণার্ত বোধ করতে পারেন এবং দিনের বেলায় প্রচুর পরিমাণে জল পান করার তাগিদ আপনার মধ্যে দেখা দিতে পারে। সাধারণত লোকেরা বলে থাকেন যে দিনে 8 গ্লাস জল পান করা হল আদর্শ কিন্তু গর্ভবতী মহিলাদের এর থেকেও কিছুটা বেশি জল পান করার প্রয়োজন হতে পারে।তবে আপনি গর্ভবতী থাকাকালীন অস্বাভাবিক তৃষ্ণার্তবোধ করার ক্ষেত্রে হতে পারে সেদিকে তখনও গভীরভাবে দৃষ্টিপাত করার প্রয়োজন আছে।এখানে আমরা আলোচনা করব যে এটি হওয়া স্বাভাবিক কিনা এবং এই ব্যাপারটি সম্পর্কে আপনার ডাক্তারবাবুকে বলা উচিত কি উচিত নয় সে সম্পর্কে।

গর্ভাবস্থায় অত্যধিক তৃষ্ণার্ত অনুভব করাটা কি স্বাভাবিক?

বেশিরভাগ মহিলাদের ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় তাদের তৃষ্ণা বেড়ে যাওয়া সম্পূর্ণরূপে স্বাভাবিক।আপনার শারীরিক ক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন হওয়ার জন্য আপনার দেহে সাধারণতই বেশি জলের প্রয়োজন।তার উপর এই সময় আপনি আবার কেবলমাত্র আপনার নিজের একার জন্যই জল পান করেন না, আপনার পাশাপাশি আপনার অভ্যন্তরস্থিত ছোট্ট ব্যক্তিটির জন্যও একই সাথে জল পান করে থাকেন।

যাইহোক,তবে এটি গর্ভাবস্থার একটি স্বাভাবিক অংশ কিনা কিম্বা এর পিছনে অন্য কোনও চিকিৎসাগত অন্তর্নিহিত কারণ আছে কিনা তা আপনার পক্ষে বোধগম্য হওয়া বিস্ময়কর হতে পারে।আসুন এ ব্যাপারে নিম্নে আরও অন্বেষণ করা যাক।

গর্ভাবস্থায় অস্বাভাবিক পিপাসা পাওয়ার কারণগুলি

এখানে এমন কিছু বিষয় রইল যেগুলির কারণে গর্ভাবস্থায় আপনার অত্যধিক পিপাসা পেতে পারেঃ

1.নিম্ন রক্তচাপ

আপনার 24 সপ্তাহ গর্ভাবস্থাকালে নিম্ন রক্তচাপ অনুভূত হওয়া আপনার পক্ষে স্বাভাবিক।যখন এরকম হয়ে থাকে তখন আপনার হৃদপিন্ডটিতে আরও রক্ত পাম্প করতে আরও কাজ করতে হবে।যা আপনার পিপাসাকে বাড়িয়ে তোলার ক্ষেত্রে অবদান রাখবে।এক্ষেত্রে রক্তচাপ কমে যাওয়ার সাথে আপনি অনুভব করতে পারেন এমন আরও কিছু অন্যান্য উপসর্গ রয়েছে,যার মধ্যা অন্তর্ভুক্ত হল দুর্বল বোধ করা,বমি বমি ভাব,মাথা ঘোরা,চোখে ঝাপসা দেখা এবং শ্বাস প্রশ্বাসের অস্বাভাবিকতা।

2.রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি

গর্ভাবস্থা আপনার দেহে প্রায় 40 শতাংশ মত রক্তের পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে পারে।আপনার শরীরে এই অতিরিক্ত পরিমাণ রক্তের প্রয়োজন হবে আপনার গর্ভস্ত সন্তানকে তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি,অক্সিজেন সরবরাহ করার জন্য এবং কোষের সঠিক বিকাশকে নিশ্চিত করার জন্য।রক্তের এই অতিরিক্ত পরিমাণকে পূরণ করার জন্য, আপনার শরীরে আরও বেশি জলের প্রয়োজন হবে,যার ফলে তৃষ্ণার পরিমাণ বেড়ে যায়।

3.কিছু বিশেষ খাদ্য এবং পানীয়

যখন আপনি নোনতা কিছু খাবার খান অথবা প্রচুর মশলা সমন্বিত খাবারগুলি গ্রহণ করে থাকেন,সেক্ষেত্রে আপনি হঠাৎ করেই তৃষ্ণার্ত হয়ে উঠতে পারেন।যদি আপনি বিশেষ কিছু খাদ্য গ্রহণ অথবা তরল পানের পর অস্বাভাবিক তৃষ্ণার্ত অনুভব করে থাকেন,তবে কিছু সময়ের জন্য সেগুলিকে এড়িয়ে চলাই সবচেয়ে ভাল।

4.যথেষ্ট হাইড্রেট না হওয়া

বহু মহিলাই তাদের গর্ভাবস্থায় প্রায়শই আরও ঘন ঘন প্রস্রাব পাওয়ার অনুভূতিটিকে অনুভব করে থাকেন।গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে আপনার দেহ আপনার নিজের এবং আপনার সন্তানের জন্য আরও বেশি তরল গ্রহণ করতে চাওয়ার কারণে আপনি সম্ভবত আরও বেশি পিপাসা অনুভব করবেন।আপনার শিশুটি আপনার গর্ভে বেড়ে ওঠার কারণে,স্বাভাবিকভাবেই আপনার অ্যামনিওটিক থলিটি(তরল পূর্ণ প্রকোষ্ঠ যা আপনার শিশুকে রক্ষা করে)বেড়ে ওঠে।আপনার স্বাভাবিক শারীরিবৃত্তীয় ক্রিয়াকলাপ থেকে উৎপাদিত বর্জ্য থেকে নিজেকে মুক্ত করতে আপনার শিশুর আরও বেশি তরলের প্রয়োজন।কিছু মহিলা বিশেষত যারা উষ্ণ আবহাওয়ায় বসবাস করেন তাদের ক্ষেত্রে দেখা যায় তাদের দেহে বেশি ঘাম হওয়ার কারণে তারা বেশি তৃষ্ণার্ত অনুভব করে থাকেন।

5.মূত্রথলির উপর চাপ

আপনার গর্ভে শিশু অনবরত বৃদ্ধি এবং বিকাশ পাওয়ার কারণে,আপনার জরায়ুটি প্রশস্ত হতে থাকবে এবং আপনার মূত্রথলির উপর চাপ প্রয়োগ করতে শুরু করবে আর সেই কারণে আপনার বার বার মূত্র ত্যাগের এবং তার সাথে -পাওয়ার-কারণগুলি-এবং-এটির-সাথে-মোকাবিলা-করার-পরামর্শগুলি/তরল পানের প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে।আপনার দেহ থেকে অধিক তরল নিষ্কাশনের কারণে আপনার তেষ্টাও বৃদ্ধি পাবে।

গর্ভাবস্থায় অত্যধিক তৃষ্ণার্ত হয়ে ওঠার লক্ষণগুলি

গর্ভাবস্থায় অত্যধিক তৃষ্ণার্ত হয়ে ওঠার প্রধান লক্ষণটি হল হঠাৎ করা অথবা অনবরতভাবে জলশূণ্যতা এবং জল পানের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করা।আর অন্যান্য উপসর্গগুলির মধ্যে রয়েছে-

  • মুখের ভিতরে একটা শুষ্কভাব অনুভব করা
  • হাত,পায়ের পাতা এবং গোড়ালি ফুলে যাওয়া
  • খুব বেশি ঘন ঘন প্রস্রাব করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করা।

গর্ভাবস্থায় অত্যধিক তৃষ্ণার সহিত কীভাবে মোকাবিলা করা যেতে পারে

গর্ভাবস্থায় পিপাসা বেড়ে যাওয়া বেশ হতাশাজনক হতে পারে কারণ এর নিমিত্ত সমানে তৃষ্ণার্ত এবং জলের প্রয়োজনীয়তাবোধ হতে থাকে।বেশিরভাগ গর্ভবতী মহিলাদেরই প্রতিদিন 8-10 গ্লাস করে জল পান করার প্রয়োজন।আপনি যদি শারিরীক ভাবে সক্ষম হয়ে থাকেন অথবা কোনও উষ্ণ আবহাওয়ায় বসবাস করে থাকেন তবে এই তৃষ্ণাটি আরও বেড়ে যাবে।আপনি যদি মর্নিং সিকনেস অথবা নসিয়া বা বমি বমি ভাবের সহিত লড়াই করে থাকেন তবে সেক্ষেত্রে এটি আরও জটিলতা বাড়িয়ে তুলবে।গর্ভাবস্থায় আপনার এই অতিরিক্ত তৃষ্ণার্ত হয়ে ওঠাকে সামাল দেওয়ার জন্য এখানে কিছু পরামর্শ দেওয়া হল-

  • গা গুলানো বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়া হ্রাস করতে এবং তার সাথে প্রয়োজনীয় তরল গ্রহণের পরিমাণকে পূরণ করতে লেবু জলে চুমুক দিন।
  • কোনও রকম পেট খারাপ না ঘটিয়ে তরল গ্রহণের পরিমাণ বর্ধিত করতে সহায়তা করার জন্য সারাদিন ধরে ছোট ছোট বরফের কুঁচি,পপসিক্যল এবং এ ধরণের অন্যান্য হিমায়িত কিছু চুষতে থাকুন।
  • প্রায় ঘন ঘন তৃষ্ণার্ত অনুভব করা এড়াতে আপনার ডায়েটে লবণের পরিমাণ হ্রাস করুন।
  • আরও বেশি করে উচ্চ মাত্রায় জলীয় উপাদান সমৃদ্ধ ফল এবং সবজিগুলি খান।
  • কখনও কখনও আপনি হয়ত এতটাই ব্যস্ত থাকতে পারেন যে মাঝে মধ্যে পর্যাপ্ত জল পান করতেও ভুলে যেতে পারেন,যা আপনার তৃষ্ণা বাড়িয়ে তোলার ক্ষেত্রে ভীষণভাবে অবদান রাখে।আপনার মোবাইল অথবা কম্পিউটারে এমন একটি অ্যাপ ইন্সটল করুন যা পর্যায়ক্রমে আপনাকে সারাদিন ধরে একটা নিয়মিত বিরতিতে আরও জলপানের কথা মনে করিয়ে দিতে পারে।
  • জল পান করা জরুরী কিন্তু তাই বলে অতিরিক্ত মাত্রায় জল পান আবার ক্ষতিকারক প্রমাণিত হতে পারে।সুতরাং আপনার ডাক্তারবাবুর পরামর্শ অনুযায়ী জল পানের পরিমাণে নিয়ন্ত্রণ আনুন।

গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত তৃষ্ণার্ত হয়ে ওঠার সম্পর্কে আপনার কখন উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত

গর্ভাবস্থায় আপনার অতিরিক্ত তৃষ্ণার্ত হয়ে ওঠাটা স্বাভাবিক কারণে হয় এবং এতে উদ্বিগ্ন হওয়ার মত অন্য কারণ যে নেই তা নিশ্চিত করার জন্য আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলে নেওয়া সবচেয়ে ভাল।যখন আপনি গর্ভাবস্থার পরবর্তী পর্যায়ে পৌঁছান, আপনার সকল লক্ষণগুলি বিশ্লেষণ করার সময় আপনার খুব যত্নশীল হওয়া উচিত।গর্ভাবস্থায় আপনার বর্ধিত জরায়ু আপনার মূত্রাশয়ের উপর চাপ দেওয়ার কারণে আপনার আরও ঘন ঘন প্রস্রাব করার প্রবণতা বৃদ্ধি পায় তার ফলেও আপনার বর্ধিত তৃষ্ণার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। এটি আগের অংশের তুলনায় গর্ভাবস্থার পরবর্তী অংশে বেশি ঘটতে পারে। আপনার শরীরের ক্ষয়িত তরলগুলির দ্রুত পূরণ করার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। তবে উপরের বিষয়গুলি গর্ভাবস্থাকালীন ডায়াবেটিস শুরু হওয়ার দিকটিকেও ইঙ্গিত করতে পারে, বিশেষত যদি আপনি ঘন ঘন প্রস্রাব করার পাশাপাশি অনবরত ক্লান্তি বোধ করেন।

যদি আপনার ডাক্তারবাবু আপনার মধ্যে গর্ভাবস্থাকালীন ডায়াবেটিস আছে বলে সন্দেহ করে থাকেন তবে তিনি হয়ত একটি ব্লাড সুগার পরীক্ষা করানোর জন্য জোর করতে পারেন যা আবার গ্লুকোজ টলারেন্স টেস্ট নামেও পরিচিত।যদি আপনার সেই সংখ্যাটি 140 মিলিগ্রাম/ডেসিলিটারের থেকে বেশি হয়ে থাকে তবে সেক্ষেত্রে আপনার মধ্যে গর্ভাবস্থাকালীন ডায়াবেটিস বিকাশ পাওয়ার ঝুঁকি থাকতে পারে।আপনি গর্ভবতী থাকা কালীন আপনার শরীরের সমস্ত পরিবর্তনগুলি বজায় রাখতে আরও ইনসুলিন তৈরি হওয়ার কারণে গর্ভাবস্থায় গর্ভকালীন ডায়াবেটিসটি হওয়া খুবই সাধারণ।যদি আপনার শরীর প্রয়জনানুযায়ী সঠিক পরিমাণে ইনসুলিন উৎপাদনে সমর্থ না হয় তবে আপনার মধ্যে হয়ত গর্ভবস্থাকালীন ডায়াবেটিসটি বেড়ে যেতে পারে।

পূর্বের গর্ভাবস্থায় আপনার মধ্যে যদি গর্ভাবস্থাকালীন ডায়াবেটিসটি হয়ে থেকে থাকে তবে আপনার বর্তমান গর্ভাবস্থাতেও সেটি হওয়ার সবভাবনা খুব বেশি মাত্রায় থাকে।যাতে এ ব্যাপারে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় তার জন্য আপনার ডাক্তারবাবুকে আপনার আগেরবারের গর্ভাবস্থাকালীন ডায়াবেটিস সম্পর্কে বিশদে জানানো নিশ্চিত করুন।

যদিও এই অবস্থাটি গুরুতর হতে পারে,তবে যদি এটি শুরুর দিকেই ধরা পড়ে তবে সেক্ষেত্রে এটি সহজভাবেই চিকিৎসা করা যেতে পারে।গর্ভাবস্থাকালীন ডায়াবেটিসের সতর্কতামূলক লক্ষণগুলি হল-

  • ঘন ঘন প্রস্রাব পাওয়া,বিশেষ করে রাত্রিবেলায়।
  • মুখের ভিতর শুকিয়ে যাওয়া অনুভব করা।
  • ভীষণভাবে ক্লান্তিবোধ করা,এমনকি আপনি ভালভাবে ঘুমানো সত্ত্বেও।
  • ঝাপসা দৃষ্টি
  • থ্রাশের মত বার বার হয়ে থাকা সংক্রমণগুলি।

যে সকল খাবারগুলি গর্ভাবস্থায় আপনাকে হাইড্রেট রাখতে সহায়তা করে

গর্ভাবস্থায় যখন হাইড্রেট থাকার সময় আসে,তখন খুব বেশি পরিমাণে জল পান করা হয়ত আপনাকে স্ফীতভাব অনুভব করাতে পারে।পরিবর্তে,আপনার জল গ্রহণের পরিমাণ বৃদ্ধি করার জন্য এবং অনেক গ্লাস জল গোগ্রাসে পান করার প্রয়োজনীয়তা হ্রাস করার জন্য আপনার গর্ভাবস্থাকালীন ডায়েটে এই খাবারগুলিকে সংযুক্ত করুন।

1.শসা

শসায় রয়েছে 95% জলীয় উপাদান এবং খাবারের সাথে সঙ্গত যথার্থ একটি কুচকুচে উপাদান অথবা জলখাবার হিসেবে এটিকে আবার এককই খাওয়া যেতে পারে।আপনি আবার এমনকি শসাকে স্যালাডের মধ্যেও অন্তর্ভূক্ত করতে পারেন অথবা শসাগুলির লম্বা লম্বা ফালি কেটে সেগুলিকে কিছু মজাদার চাটের মধ্যে ডুবিয়েও খেতে পারেন।

2.তরমুজ

এর মধ্যস্থ উচ্চ জলীয় পরিমাণের জন্য এটি পরিচিত।জলশূণ্যতা বা কম হাইড্রেশনের মুখোমুখি যেকোনও ব্যক্তিকেই তরমুজ খাওয়ার সুপারিশ করা হয়। এগুলির স্বাদ দুর্দান্ত এবং আপনাকে সারা দিন ধরে হাইড্রেটেড বোধ করায়।

3.ফুটি

উচ্চ পরিমাণে জল সমৃদ্ধ অন্য আরেকটি বিশেষ ফল হল ফুটি,যদি আপনি খুব একটা মিষ্টি নয় এমন কিছুর সন্ধান করে থাকেন তবে তার জন্য এটি দুর্দান্ত পছন্দ,এটি আবার আপনাকে হাইড্রেট রাখতেও সহায়তা করে।আপনি ক্ষুধার্থ অথবা তৃষ্ণার্ত বোধ করার সময় সবসময় একটি তৎক্ষণাৎ জলখাবারের জন্য আপনি ফুটিকে ঘনকাকারে টুকরো টুকরো করে কেটে নিয়ে সেগুলিকে ফ্রীজের মধ্যে মজুত রাখুন।

4.দই

দইয়ের মধ্যে জলের পরিমাণ বেশি থাকে এবং তাছাড়াও এটি আবার দেহে ক্যালসিয়াম এবং প্রোটিন গ্রহণের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।এমনকি আপনি আবার আরও বেশি জলয়োজিত থাকার জন্য এক গ্লাস বাটার মিল্কও প্রস্তুত করতে পারেন।যদিও এর জন্য প্রায় সকলে লবণের দিকেই বেশি গিয়ে থাকেন।

5.লেটুস

অপর আরেকটি মুচমুচে আস্বাদ হল লেটুস,এর মধ্যেও উচ্চ পরিমাণে জলীয় উপাদান আছে যা কোনও ডুবিয়ে খাওয়ার চাটের সহিত স্যালাডের মধ্যে এক দুর্দান্ত স্বাদ নিয়ে আসে অথবা এটি নিজে এককই এক আশ্চর্য স্বাদের অধিকারী।যথার্থই একটি চমৎকার আস্বাদন।

আপনি যদি গর্ভাবস্থায় অত্যধিক তৃষ্ণার্তবোধ করে থাকেন তবে সে ক্ষেত্রে চিন্তা করার কোনও কারণ নেই, কারণ এটি সাধারণত স্বাভাবিক একটা ব্যাপার।আপনার মনকে সহজ করে তোলার পাশাপাশি এর কোনও অন্তর্নিহিত কারণ থেকে থাকলে তা দূর করার জন্য আপনার ডাক্তারবাবুর সাথে কথা বলে তাঁর পরামর্শগুলি যথাযথভাবে অনুসরণ করুন।