গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিনের উচ্চ এবং নিম্ন মাত্রা

গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিনের উচ্চ এবং নিম্ন মাত্রা

গবেষকদের অনুমান যে বিশ্বব্যাপী প্রায় 20% গর্ভবতী মহিলাই রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া অথবা দেহে কম মাত্রার হিমোগ্লোবিনে ভুগে থাকেন।গর্ভাবস্থাকালে হয়ে থাকা অ্যানিমিয়া প্রসূতির স্বাস্থ্য জনিত সমস্যা এবং প্রসূতির মৃত্যুর হার, অকাল প্রসব এবং জন্মহার কমে যাওয়ার মত সমস্যাগুলির সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তোলে।

হিমোগ্লোবিন কি?

হিমোগ্লোবিন হল রক্ত মধ্যস্থ একটি জটিল প্রোটিন যা শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন এবং কার্বনডাইঅক্সাইড সরবরাহে সাহায্য করে থাকে।আয়রণ হল লহিত রক্ত কণিকার প্রধান উপাদান, সুতরাং হিমোগ্লোবিন নামটির-‘হিমো‘-শব্দটি আয়রণকে বঝাতে এবং গ্লোবিনহল একটি প্রোটিনের নাম।মহিলাদের দেহে হিমোগ্লোবিনের মাত্রার পরিসর হওয়া উচিত 12 থেকে 16g/dl এর মধ্যে।

গর্ভদশায় হিমোগ্লোবিনের গুরুত্ব

যখন কোনও মহিলা গর্ভবতী হয়ে ওঠেন, স্বাভাবিকের তুলনায় তার দেহে তখন আরও বেশি অক্সিজেনের প্রয়োজন হয় তার গর্ভস্থ ভ্রূণের বেশি অক্সিজেন চাহিদার দরুণ।সুতরাং কোনও মহিলা গর্ভধারণ করা মাত্র তার দেহে বরাদ্দ অক্সিজেনের মাত্রা অনুমান করা হয়রক্তের অক্সিজেন বহন করার ক্ষমতা সঞ্চালিত হিমোগ্লোবিনের ঘনত্বের উপর সরাসরি নির্ভর করে।

হিমোগ্লোবিনের সাধারণ ব্যপ্তি

হিমোগ্লোবিন পরিমাপ করা হয় g/dl (প্রতি ডেসিলিটারে কত গ্রাম সেই হিসেবে)।এখানে দেওয়া হল প্রাপ্ত বয়স্কের দেহে হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক ব্যপ্তিঃ

  • গর্ভবতী না থাকাকালীনঃ 12-15.8 g/dl অথবা 120-158 g/L
  • গর্ভাবস্থার প্রথম ত্রৈমাসিকঃ 11.6-13.9 g/dl অথবা 116-139 g/L
  • গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকঃ 9.7 to 14.8 g/dl অথবা 97 to 148 g/L
  • গর্ভাবস্থার তৃতীয় ত্রৈমাসিকঃ 9.5 to 15 g/dl অথবা 95 to 150 g/L

অন্তঃসত্ত্বাকালে দেহস্থ হিমোগ্লোবিনের মাত্রা হ্রাস পায় কেন?

অন্তঃসত্ত্বাকালে হিমোগ্লোবিন হ্রাস পাবে এটিই আশা করা হয়।আদতে, গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিনের মাত্রা হ্রাস পেয়ে 10.5 g/dl এ নেমে যাওয়াটিকে স্বাভাবিক বলেই বিবেচনা করা হয়ে থাকে।এর পিছনে থাকা কারণটি বেশ সাধারণযখন কোনও মহিলা গর্ভবতী হয়ে ওঠেন তার দেহস্থ রক্তের পরিমাণ 50% এর মত বেড়ে যায় গর্ভস্থ ক্রমবিকশিত শিশুর কাছে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করার জন্য।গর্ভাবস্থার 8′ম সপ্তাহের মধ্যে, একজন অন্তঃসত্ত্বা মায়ের রক্ত প্লাজমা স্তরটি তার লোহিত রক্ত কণিকার তুলনায় বেড়ে যায়।রক্তে লোহিত রক্ত কণিকার ঘনত্ব কমে যাওয়ার কারণে হিমোগ্লোবিনের মাত্রাটিও হ্রাস পেয়ে 10.5 g/dl পর্যন্ত নেমে আসেআর এর চেয়েও কম হুয়ার মত যেকোনও ক্ষেত্রে মনোযোগ দেওয়াটা আবশ্যিক।

রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা হ্রাস পাওয়ার প্রভাবগুলি

রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা 10.5g/dl এর থেকে নেমে গেলে তা গর্ভবতী মহিলার স্বাস্থ্যের উপর একটি প্রভাব ফেলতে পারে।সুতরাং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী গর্ভাবস্থায় আয়রণ পরিপূরকগুলি গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ।গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিনের মাত্রা হ্রাস পাওয়ার কয়েকটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার উল্লেখ এখানে করা হলঃ

  • আপনি ক্লান্তি বোধ করবেন।
  • মাথা ঘোরা ও ঝিমঝিম করাটা একটা স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে উঠবে।
  • আপনার ত্বক এবং ঠোঁট ফ্যাকাসে বা বিবর্ণ হয়ে যাবে।
  • আপনি শ্বাস কষ্ট বোধ করবেন এমনকি বিশ্রাম নেওয়ার সময়েও
  • আপনার দ্রুত হৃদস্পন্দন হতে থাকবে
  • আপনার হাত এবং পায়ের পাতা প্রায়শই ঠাণ্ডা হয়ে থাকবে।
  • আপনার নখগুলি ভঙ্গুর হয়ে উঠবে এবং সহজেই ভেঙ্গে যাবে।

রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা হ্রাস পাওয়ার প্রভাবগুলিএই শর্তগুলি আরও খারাপ হয়ে উঠতে পারে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা আরও কমে যাওয়ার কারণে।যদি হিমোগ্লোবিনের মাত্রা 6g/dl এ নেমে যায়, তবে অন্তঃসত্ত্বা মা হয়ত অ্যাঞ্জিনা (হৃৎপিণ্ডে রক্তসরবরাহের অপ্রতুলতা হেতু অল্প পরিশ্রমেই বুকে অনুভূত ব্যথা) অনুভব করতে পারেন।এরকম পরিস্থিতিতে একজন গর্ভবতী মহিলা তার বুকে্র মধ্যে তীব্র ব্যথা অনুভব করবেন যা ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়বে বাহু,কাঁধ এবং ঘাড়ের দিকে হৃদপিণ্ডের মধ্যে অপর্যাপ্ত রক্ত সরবরাহের কারণে।

আপনি কি হিমোগ্লোবিন হ্রাসের ঝুঁকিতে রয়েছেন?

পূর্বে উল্লেখ মত, গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিনের সামাণ্য হ্রাস পাওয়াটা স্বাভবিক।কিন্তু আপনি যদি এমন এক পর্যায়ে গর্ভদশায় প্রবেশ করেন, যখন আপনার হিমোগ্লোবিন ইতিমধ্যেই স্বাভাবিকের থেকেও নীচে থেকে থাকে, তবে গর্ভাবস্থাকালে হিমোগ্লোবিন হ্রাস পাওয়ার মত এক উচ্চ ঝুঁকির মুখে আপনি হয়ত থাকতে পারেন।গর্ভধারণের আগে থেকে থাকা কয়েকটি কারণ যেগুলি একজন গর্ভবতী মহিলার নিম্ন হিমোগ্লোবিনের মত অবস্থা সৃষ্টির পিছনে অবদান রাখতে পারে সেগুলি নিম্নরূপঃ

  • পিরিয়ড বা মাসিকের সময় প্রচুর পরিমাণে রক্ত ক্ষরণ, বিশেষ করে গর্ভধারণের পূর্বে হয়ে থাকা সর্বশেষ মাসিক চক্রের সময়।
  • কম আয়রণ উপাদান সমণ্বিত আহার গ্রহণ করা
  • গর্ভধারণ করার ঠিক পূর্বেই রক্তদান করে থাকলে
  • যথাযথ আয়রণ শোষণে ব্যর্থ হলে
  • আপনার পূর্ব প্রসবের পরেপরেই পুনরায় গর্ভধারণ করলে।

গর্ভাবস্থায় আপনি মুখোমুখি হতে পারেন যে তিন ধরণের হিমোগ্লোবিন জনিত সমস্যার সেগুলি হলঃ

  1. আয়রণ ঘাটতি জনিত অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতাঃ এটি হয়ে থাকে যখন দেহে সর্বোত্তম হিমোগ্লোবিন উৎপাদনের জন্য পর্যাপ্ত আয়রণ থাকে না।
  2. ফোলেট ঘাটতি জনিত অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতাঃ দেহে আরও বেশি RBC (রেড ব্লাড করপাসল) বা লোহিত রক্ত কণিকা উৎপাদনের জন্য প্রয়োজন ফোলেটের যা দেহস্থ কলাগুলিতে অক্সিজেন সরাবরাহে সহায়তা করে।পর্যাপ্ত পরিমাণে সবুজ শাকপাতা না খাওয়ার ফলে হিমোগ্লোবিনের সাথে ফোলেট সম্পর্কিত সমস্যাগুলি দেখা দেওয়ার কারণ হয়ে উঠতে পারে।
  3. ভিটামিন B-12 এর ঘাটতিঃ স্বাস্থ্যকর লোহিত রক্ত কণিকাগুলি গড়ে তুলতে দেহের প্রয়োজন পর্যাপ্ত ভিটামিন B-12. ভিটামিনের অভাবজনিত খাদ্যাভ্যাস থাকার ফলে তা হেমোগ্লোবিনের মাত্রায় সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে এমন সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

অন্তঃসত্ত্বাকালে হিমোগ্লোবিন কীভাবে বাড়ানো যায়?

যেহেতু আমরা জানি যে, গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যাওয়ার এক তীব্র সম্ভাবনা থাকে, তাই এ ব্যাপারে আপনি অবশ্যই আপনার ডাক্তারবাবুর পরামর্শ নিয়ে আয়রণের সম্পূরকগুলি গ্রহণ করুন।এছাড়াও আবার আপনি আপনার ডায়েটের কিছু পরিবর্তন আনয়নের মাধ্যমে আপনার দেহে ঘাটতিজনিত আয়রণ, ফোলিক অ্যাসিড, ভিটামিন B-12 এবং ভিটামিন C পুনরায় পরিপূরণ করার ক্ষেত্রে সহায়তা করতে পারেন, যেগুলি ব্যতীত পরিণতিতে আপনার দেহে হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।

এখানে কিছু খাদ্য আইটেমের তালিকা দেওয়া হল যা আপনার দেহে হিমোগ্লোবিনের শূণ্যস্থানটিকে পূরণ করতে সহায়তা করতে পারেঃ

  • আপনি অবশ্যই আপনার খাদ্য তালিকার মধ্যে পালং, মেথি শাকের মত সবুজ শাকপাতা, ড্রাই ফ্রুট, বার্লি, ভুট্টা, বাজরা এবং তিল বীজের মত খাদ্য শস্যগুলিক্র অন্তর্ভূক্ত করবেন।এগুলি সবই আয়রণের নির্ভরযোগ্য উৎস।
  • আয়রণ সমৃদ্ধ ফল যেমন পেয়ারা, কিউয়ি, পীচ, ডুমুর, আপেল ইত্যাদি আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই গ্রহণ করুন।
  • আপনার খাদ্য তালিকায় ভিটামিন C সমৃদ্ধ খাদ্যগুলিকে অবশ্যই অন্তর্ভূক্ত করতে হবে কারণ এটি দেহে আয়রণ শোষণে সহায়তা করে।কিউয়ি,কমলা, সরবতী লেবু এবং রাস্পবেরীগুলি হল ভিটামিন C এর চমৎকার উৎস।ঘন সবুজ শাকপাতা, বেল মরিচ, ব্রকোলি এবং টমেটোও ভিটামইন C তে ভরপুর আর তাই এগুলিকেও আপনার ডায়েটে অবশ্যই অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।
  • ফোলিক অ্যাসিড এবং ভিটামিন B কমপ্লেক্স লোহিত রক্ত কণিকা উৎপাদনে সহায়তা করে যা আবার পালটা দেহে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে।অতএব, ফোলিক অ্যাসিড এবং ভিটামিন B কমপ্লেক্স সমৃদ্ধ খাদ্য আইটেমগুলি যেমন অ্যাভোকাডো, ওকরা, লেটুস, শালগম, অঙ্কুরিত ছোলা ইত্যাদিও আপনার প্রতিদিনের আহারের একটি অংশ করে তোলা উচিত।
  • এটি লক্ষ্য করা গেছে যে ক্যালসিয়াম, গ্লুটেন এবং ক্যাফিনের অতিরিক্ত গ্রহণ শরীর দ্বারা আয়রণের শোষণে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করতে পারে।অতএব, গর্ভাবস্থাকালে যেকোনও মহিলারই খাওয়ার ব্যাপারে অবশ্যই সীমাবদ্ধতা আনা উচিতঃ
  1. কফি/চা
  2. অ্যালকহল বা মাদক দ্রব্য
  3. পাস্তা এবং গমের পণ্য সামগ্রী(গ্লুটেন)
  4. পার্সলে (অক্সেলিক অ্যাসিড)
  5. দুগ্ধজাত পণ্য

গর্ভাবস্থাকালে কখন হিমোগ্লোবিনের মাত্রা উচ্চ হয়ে থাকে?

গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বেড়ে উঠতে পারে হৃদপিণ্ড, ফুসফুস এবং বৃক্ক সম্পর্কিত অবস্থাগুলির কারণে। একজন গর্ভবতী মহিলার দেহে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা আবার বেড়ে যেতে পারে নিম্নলিখিত কারণগুলির জন্যওঃ

1. ডিহাইড্রেশন

অন্তঃসত্ত্বাকালে যদি জল কিম্বা তরল গ্রহণ হ্রাস পায় তবে আপনার হয়ত হঠাৎ বেড়ে যাওয়া হিমোগ্লোবিনের অভিজ্ঞতাটি হয়ে থাকতে পারে।আর এটি সেই মুহূর্তে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আসে যখনই আপনি আপনার তরল গ্রহণের পরিমাণটিকে বাড়িয়ে দেন।

2. এরিথ্রোসাইট

এই অবস্থায়,লোহিত রক্ত কণিকার হঠাৎ বৃদ্ধি দেখা যায়।গর্ভাবস্থায় যদি কোনও কারণে দেহের কলাগুলিতে অক্সিজেনের চাহিদা মেটাতে শরীর ব্যর্থ হয়,সেক্ষেত্রে লোহিত রক্ত কণিকার উৎপাদন বেড়ে যায়।আর এটি অবধারিতভাবেই দেহে হিমোগ্লোবিনের মাত্রাকে বাড়িয়ে তোলে।

3. আয়রণ পরিপূরকগুলির একটি ওভার বা অতিরিক্ত ডোজ

শরীরে আয়রণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার পরিণতি হল দেহে হিমোগ্লোবিনের মাত্রারও আকস্মিক বৃদ্ধি পাওয়া।অতএব আপনার ডাক্তারবাবুর পরামর্শ ব্যতীত আয়রণ পরিপূরকগুলি গ্রহণ করবেন না।

হিমোগ্লোবিনের উচ্চ মাত্রার প্রভাবগুলি

আপনি হয়ত বিস্মিত হয়ে উঠতে পারেন, তবে গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিনের উচ্চ মাত্রা বেশ বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিনের উচ্চ মাত্রার কিছু আযাচিত পরিণামের উল্লেখ এখানে করা হলঃ

  • এটি কম ওজনের সন্তনের জন্মদানের বা LBW এর সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে।
  • প্রথম এবং দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে এটির ফলে ভ্রূণের SGA (গর্ভকালীন বয়সের জন্য ছোট) হতে পারে।
  • দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে হিমোগ্লোবিনের মাত্রাটি যদি 14g/dl এরও বেশি হয়ে ওঠে, সেটি সম্ভবত প্রিক্ল্যাম্পসিয়ার সংকেত হতে পারে।
  • রক্তের ঘনত্ব বেড়ে গেলে তা মায়ের দেহে রক্ত প্রবাহের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে।যার পরিণতিতে, রক্ত অমরায় পৌঁছাতে পারে না এবং তা অনিবার্যভাবেই গর্ভস্থ শিশুর স্বাস্থ্যকর বিকাশকে বিঘ্নিত করে।

উচ্চ হিমোগ্লোবিন মাত্রার চিকিৎসা

গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিনের উচ্চ মাত্রার জন্য কোনও নির্ধারিত ঘরোয়া প্রতিকার নেই।এটি অবশ্যই কোনও বিশেষজ্ঞ দ্বারা চিকিৎসা করা প্রয়োজন এবং ঠিক তখনই যখন তাঁরা সেটি করা উপযুক্ত বলে মনে করেন।এ ব্যাপারে একজন বিশেষজ্ঞ আপনাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ করবেন এবং আপনার উপসর্গগুলির উপর নির্ভর করে তিনি চিকিৎসার ধরণটি স্থির করবেন।

নিঁখুত ভাবে সম্পূর্ণরূপে আপনার গর্ভদশাটিকে উপভোগ করতে আপনি যা খাচ্ছেন তার উপর নজর রাখুন, আপনার দেহের এবং বিশেষ করে আপনার ডাক্তারবাবুর কথাই শুনুন।যদি কোনও ক্ষেত্রে মনে সামাণ্যতমও সন্দেহের অবকাশ থাকে, অবিলম্বে আপনার ডাক্তারবাবুর পরামর্শ গ্রহণ করুন।