15 মাস বয়সী শিশুর খাদ্য-ধারণা,চার্ট বা তালিকা এবং রন্ধন প্রণালী গুলি

15 মাস বয়সী শিশুর খাদ্য-ধারণা,চার্ট বা তালিকা এবং রন্ধন প্রণালী গুলি

আপনার 15 মাসের শিশুর জন্য খাবারের অথবা এমনকি তার জলখাবারের জন্য ধারণা গুলি খোঁজার পিছনে সম্পূর্ণ রূপে ছোটার সময় আপনার নিজের জন্য খুব সাধারণ খাবার সময়সূচী ব্যবহার করা পুরোপুরিই স্বাভাবিক।বড়দের থেকে ছোটদের পুষ্টির চাহিদা সম্পূর্নরূপে পৃথক হয়ে থাকে এবং খুঁজে বের করুন কোন কোন খাদ্য পদ গুলি তাদের উভয়েরই খাওয়ার প্রয়োজন মেটাতে পারে।এখানে একটা সঠিক খাদ্য পরিকল্পনা এবং একটা সাধারণ সময়সীমা দেওয়া হল যা অনুসরণ করা বেশ সহজ হতে পারে।

15 মাস বয়সী শিশুর পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা

15 মাসের শিশুর জন্য পুষ্টির প্রয়োজনীয়তাগুলি তার সব কিছুর সাথে পুরোপুরি জড়িত।এক্ষেত্রে তার খাবারে সকল মূখ্য পুষ্টিকর উপাদান গুলি সঠিক পরিমাণে উপস্থিত থাকার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে তার খাবার খাওয়ার মাধ্যমে,এমনকি তার খাবার গ্রহণের পরিমান কমানোর সাথেও।

1.সহায়ক পুষ্টি

খাদ্য গ্রহণের পরিমাণ কমানোর সাথে,প্রোবায়োটিকস,ওমেগা 3 অ্যাসিড এবং অন্যান্য কিছু ছোটোখাটো পুষ্টিকর উপাদানগুলি তাদের প্রয়োজনীয় অনুপাতের তুলনায় কমে যায়।সুতরাং খাবারের সাথে এগুলি অন্তর্ভূক্ত করা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বিশেষ দৃষ্টি নিক্ষেপের প্রয়োজন হয়।

2.জল

বেশীরভাগ শিশুই তাদের যতটা পরিমাণে জল খাওয়া উচিত সেটি মনে না রাখার কারণে তাদের জন্য জলের সংযোজন করা বিশেষত তাদের খাবারের সাথে জলের সংযজন করাকে উচ্চ মাত্রায় সুপারিশ করা হয়।প্রতিদিন কমপক্ষে নিয়মিতভাবে 1 লিটার জল আপনার বাচ্চার পান করা উচিত।

3.আয়রণ

আপনার বাচ্চা বেড়ে ওঠার সময় থেকে অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যের থেকে আয়রণের চাহিদা দৃঢ়ভাবে বৃদ্ধি পায়,কারণ স্তন দুধের উপর তার নির্ভরতা কমার ফলে,আয়রণের প্রাথমিক উৎস হ্রাস পাওয়া শুরু হবে।তার গ্রহণযোগ্য খাবার থেকে প্রত্যহ 7 মিলিগ্রাম করে তার আয়রণ পাওয়াকে নিশ্চিত করুন।

4.সোডিয়াম

যে মূখ্য খাদ্য উপাদানটি আমাদেরকে সোডিয়াম সরবরাহ করে সেটি হল লবণ।যদিও অন্যান্য খাদ্যগুলির সাথেই শিশুদের জন্যে এটির প্রয়োজনীয়তার খেয়াল রাখা হয়।যে সকল পরিবারে লবণ খুব কম ব্যবহার করা হয়ে থাকে তাদের লবণের ব্যবহারের বিষয়ে অতিরিক্ত দৃষ্টি দিতে হবে।

5.ফাইবার বা তন্তু

শিশুর অন্ত্রের আলোড়ন এবং সঠিক ভাবে পরিপাকে সহায়তা করার ক্ষেত্রে যে সকল খাদ্য সে পুষ্টি সরবরাহের জন্য গ্রহণ করে সেগুলির মধ্যস্থ ফাইবার অত্যন্ত সাহায্যকারী হয়ে ওঠে।তাই,খাবারের সাথে ফাইবারের সংযোজন এটিকেই কেবলমাত্র নিশ্চিত করে না তার শারীরিক বাকি সমস্ত ক্রিয়াকলাপ গুলিকেও সর্বোত্তম ভাবে হওয়াতে সাহায্য করে।

6.কার্বোহাইড্রেট

এটি হল সকল শক্তির উৎসকেন্দ্র,এটি যেকোনো খাবারেরই মূল অংশটি গঠন করে, যা কিছুই আপনার বাচ্চা খায়।কার্বোহাইড্রেট খাওয়ার সংখ্যা নিয়ে কখনই আপোষ করা উচিত নয় যেহেতু এটির উপর বিভিন্ন শারীরিক প্রক্রিয়া ভীষণ ভাবে নির্ভরশীল।

7.প্রোটিন

নিরামিষাশী পরিবার গুলি প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী তাদের বাচ্চাদেরকে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিনের সরবরাহ করার ক্ষেত্রে ভীত হয়ে উঠতে পারেন।যদিও মাংস যথেষ্ট পরিমাণে প্রোটিনের সরবরাহ করে থাকে,সেক্ষেত্রে নিরামিষ পুষ্টি প্রদানেরও ভালো বিকল্প রয়েছে।

8.ক্যালোরি

এই সময়ে আপনার বাচ্চার বৃদ্ধির হার পূর্বের আরো ছোট বয়সের মত অত দ্রুত আর নাও হতে পারে।এটি প্রতিদিনের ভিত্তিতে ক্যালোরির প্রয়োজনীয়তার ফল হতে পারে ,যা ধীরে ধীরে বছর জুড়ে বাড়তে থাকবে।

একটি টডলারের তার 15 মাস বয়সে কতটা খাবারের প্রয়োজন?

আপনার সন্তানের শারীরিক কার্যক্ষমতা এবং বিপাক ক্রিয়ার উপর নির্ভর করে,প্রথম কয়েক বছরের মধ্যে একটা ছোট শিশুর খাবারের প্রয়োজনীয়তা 1000-1400 ক্যালোরির মধ্যে থাকে।অতএব,প্রাতঃরাশের ধারণা এবং খাদ্য বিকল্পগুলি একসাথে দৃঢ় হওয়া প্রয়োজন শিশুর জন্য যথাযথ পুষ্টি পাওয়া নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে।

পনেরো মাস বয়সী শিশুর জন্য সবচেয়ে সেরা খাদ্য

কিছু নির্দিষ্ট খাবার আপনি পছন্দ করুন যা দিয়ে আপনার সন্তানকে সম্পূর্ণ আহার প্রস্তুত করে দিন যার ফলে সে তার পুরো পুষ্টি লাভ করতে পারে।

1.মাংস

এটা ভাবা গুরুত্বপূর্ণ যে বড়দের মত বাচ্চারা একটা বড় মাংসের টুকরো যেমন স্টেক বা হ্যাম এ থাকে তা খেতে পারে না।তাদের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ শুধুমাত্র মুরগির মাংস দিয়েই হয় না এর সাথে পর্ক, নরম মাছ,টুকরো করা চিকেন বা হ্যাম ইত্যাদিও থাকে।যখন সীফুড দেবেন তখন সাবধাণতা অবলম্বন করবেন

2.শিম্বি জাতীয় উদ্ভিদ এবং বাদাম

যখন আপনি আপনার সন্তানের প্রোটিন এবং ফ্যাট এর জন্যে ডিম পছন্দ করেন তখন নিরামিষাশীরা একটা দারুণ বিকল্প খুঁজে নেন শিম্বি জাতীয় উদ্ভিদ এবং বাদামের মাধ্যমে।সরাসরি বাদাম আপনার সন্তানকে দেবার পরামর্শ দেওয়া হয় না কারণ এটা তার গলায় আটকে যেতে পারে।যাইহোক বিভিন্ন রান্নার পদে যাতে বাদাম আছে সেটা দিলে কোনো সমস্যা নেই।

3.সবজি

বেশিরভাগ শিশু সবজি খাওয়া শুরু করে এই বয়সেই।বেশ কিছু সামগ্রী তারা চিবোতে পারে না, সেগুলোকে সেদ্ধ করে নরম করে দেওয়া যেতে পারে।তবে ভাজা খাবার এড়িয়ে চলুন বিভিন্ন ধরণের খাবার দিন যাতে তারা নানা স্বাদের সাথে পরিচিত হতে পারে।

4.দানাশস্য

অভিভাবকদের এই প্রস্তাব দেওয়া হয় যেন তারা হোল গ্রেইন ব্যবহার করেন খাবার তৈরীর সময় যেহেতু এটা তাদের সন্তানের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে সমর্থ হয়।এটা পেতে পারেন নানা ধরনের রুটি,ভাত এবং পাস্তার মধ্যে।অপরপক্ষে শক্তি বৃদ্ধি করা ভক্ষ্য শস্য যাতে কৃত্রিম ভাবে কিছু মেশানো হয়নি সেটাও একটা ভাল পছন্দ হতে পারে।

5.ফল

ফল শুধুমাত্র আপনার বাচ্চাকে অন্য খাদ্য দ্রব্যের তুলনায় ভিন্ন স্বাদ প্রদান করে না,তাতে বর্তমান প্রাকৃতিক তন্তু তাদের পাচনতন্ত্রকে উদ্দীপিত করার সাথে সাথে বেশ কিছু ভিটামিনের যোগান দেয়।

6.স্ন্যাক্স

আপনার ছোট্ট সোনা যখন টোষ্ট বা কুকিজের ছোটো ছোটো টুকরোগুলোকে কুড়মুড় করে খেতা থাকে তখন খুব ভাল হয় যদি আপনি তাকে অতিরিক্ত চিনি যুক্ত খাবার থেকে দূরে রাখেন তার জীবনের প্রথম দিকটাতে।চীজ যুক্ত বা সেদ্ধ সবজি তাকে দিন তার প্রচন্ড খিদে মেটাবার জন্যে।

7.তেল

যদিও একজন 15 মাস বয়সী শিশুর ফ্যাটের প্রয়োজন অন্য যেকোনো কারোর থেকে বেশী হয়।কারণ এটা হল শক্তি সঞ্চায়ক যেটা তাদের বেড়ে উঠতে সাহায্য করে।যেই তেলে ট্র্যান্স ফ্যাট নেই সেই তেল বা মাখন ব্যবহার করুন।

8.দুধ

যেহেতু এই বয়সে আপনার বাচ্চার হাড় এবং পেশী গুলো শক্তিশালী হতে থাকে তাই প্রোটিন এবং ক্যালসিয়াম অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।আপনি নিশ্চিত ভাবেই তার খাদ্য তালিকাতে সম্পূর্ণ দুধ এবং লসসি অবশ্যই রাখবেন।

9.জুস

যদিও জুস খাবার থেকে ফল খাওয়া আপনার সন্তানের জন্য বেশী ভাল,তবুও কোনো রকম অতিরিক্ত কিছু না মিশিয়ে তাজা ফলের জুস তার খাদ্য তালিকাকে সমৃদ্ধ করে তুলবে।তবে কখনই জলের পরিবর্ত হিসাবে জুস দেবেন না।

10.মাল্টিভিটামিন

শরীরের গঠন বা পারিবারিক জীবনধারা অনেক সময় সঠিক পুষ্টির অভাবের কারণ হয়ে দেখা দেয়।এক্ষেত্রে এই ধরনের পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্যে নানা ধরনের মাল্টিভিটামিন সাপ্লিমেন্ট হিসাবে খেতে হবে স্বাভাবিক খাবারে পুষ্টির অভাব মেটাতে।

15 মাস বয়সী শিশুর খাবারের চার্ট/খাদ্য পরিকল্পনা

একজন 15 মাস বয়সের শিশুর জন্য খাবারের চার্ট তৈরী করা সহজ কাজ নয়।নিচের নমুনাটিকে সামনে রেখে আপনি আপনার নিজের মত একটা চার্ট প্রস্তুত করে নিতে পারেন যেটা আপনার সন্তানের জন্য সব থেকে ভাল হবে।

বার প্রাতঃরাশ জলখাবর মধ্যাহ্নভোজ বিকালের খাবার নৈশভোজ
সোমবার ওটসের মন্ডের সাথে আপেল তরমুজের টুকরো পনীরের স্যান্ডউইচ কমলা লেবুর কোয়া পনীরের পরোটা
মঙ্গলবার উপমা সবজির লম্বা টুকরো সবুজ বীনের সাথে ডাল ভাত দুধ এবং কর্নফ্লেক্স মশালা ধোসা
বুধবার সাধারণ ধোসা সবেদার টুকরো পোলাও এবং দই মিল্কশেক পালং খিচুড়ি
বৃহস্পতিবার মিষ্টি আলুর ক্ষীর আলু ভাজা চিকেন স্যুপে নুডুলস স্ট্রবেরী শেক মুসুর ডালের খিচুড়ি
শুক্রবার সুজি শসার স্যালাড মাছ ভাত লসসি মুগ ডালের কারী
শনিবার অঙ্কুরিত মুগডাল স্ট্রবেরীর টুকরো আলু পরোটা কলার মিল্কশেক নানা সবজির পরোটা
রবিবার ইডলি চাটনি কলার টুকরো বীটরুটের পরোটা নরম পাণীয় ডাল পরোটা

 

15 মাস বয়সী শিশুর জন্য খাবারের রেসিপি

অভিভাবকদের কাছে 15 মাস বয়সী শিশুদের জন্য অনন্য প্রকৃতির খাদ্য বা মধ্যাহ্ণ ভোজের পরিকল্পনা করার অনবরত সংগ্রামের থেকে কিছুটা দ্রুত অব্যহতি নিয়ে আসার জন্য এই রন্ধন প্রণালী গুলি সাহায্য করতে পারে এবং এর পাশাপাশি আরোও নতুন কিছু বানাবার কল্পনাও তাদের মাথায় জমায়েত করতে পারে।

1.দইভাত

এই চিত্তাকর্ষক খাদ্য-পদটি এতটাই বিস্ময়কর ভাবে কাজ করে যে আপনি সেটা কখন এবং কোথায় খাবেন সেটা কোনও বিষয়ই হয়ে ওঠে না।

উপকরণ

  • কালো কলাই
  • আদা
  • কারি পাতা
  • কাঁচা লঙ্কা
  • লাল শুকনো লঙ্কা
  • তেল
  • গোটা সরষে
  • নুন
  • ক্রীম
  • দই
  • দুধ
  • রান্না করা ভাত

কীভাবে বানাবেন

  • রান্না করা ভাতটি নিয়ে ভালোভাবে চটকে নিন। এরপর এর সাথে দুধ যোগ করে ভালোভাবে নাড়ুন।একই ভাবে অনুসরণ করে একের পর এক দই এবং ক্রীম এর সাথে মিশিয়ে পুনরায় নাড়ুন।
  • একটা কড়াই নিয়ে তার মধ্যে কিছুটা তেল দিন।সমস্ত মশলার উপকরণগুলি এর সাথে যোগ করে সব একসাথে ভালোভাবে গরম করে ভেজে নিন।এর সাথে আরও কিছুটা তেল যোগ করে তার মধ্যে ভাতটা ঢেলে ভালো করে নেড়ে নিন।

2.খিচুড়ি

বড়দের জন্য তাদের অসুস্থতার সময় এটা কি সুবিধাজনক একটা খাবার যে হতে পারে,সেরকমই এটা তরুণ শিশুদের জন্যও একটা আদর্শ মধ্যাহ্নভোজ, যা তাদের মহা পুষ্টি প্রদান করে।

উপকরণ

  • মরিচ গুড়ো
  • হলুদ
  • ঘি
  • নুন
  • সবজি
  • লাল কলাই
  • চাল

কীভাবে বানাবেন

  • চাল এবং ডাল একসাথে নিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিনএবং সেগুলিকে30 মিনিটের জন্য জলে ভিজিয়ে রাখুন।
  • যতক্ষণ না সবজিগুলি সব সঠিকভাবে কুঁচানো হয় চাল ডাল গুলি ভিজিয়েই রাখুন। এরপর সেই চাল ডালের বাটির মধ্যে এই কুঁচানো সবজিগুলিকে যোগ করুন এবং এগুলি সবকিছুই একসাথে একটা প্রেসার কুকারের মধ্যে দিয়ে সেটিকে মাঝারি আঁচে 2 টো সিটি পড়া পর্যন্ত আগুনে বসিয়ে রাখুন।
  • এরপর কুকারের চাপ কমে গেলে তার ঢাকনাটি খুলে দেখে নিন ভাতটা ঠিকমত রান্না হয়েছে কিনা।
  • এটিকে বের করে একটা বাটিতে ঢেলে নিয়ে ঘি দিয়ে পিষে চটকে নিন এবং তার সাথে নুন,মরিচ,হলুদ যোগ করুন স্বাদ বাড়ানোর জন্য এবং যথাযথ সঠিকভাবে সেগুলিকে মিশিয়ে নিন।

3.পাস্তা ক্ষীর

অবাক হয়ে গেলেন,তাই নয় কি?এবার আপনার বাচ্চাকেও আনন্দে অভিভূত হতে দিন যখন সে এই অদ্ভুত সুন্দর রেসিপিটির মধ্যে প্রবেশ করবে।

উপকরণ

  • দুধ
  • চাল গুড়ো
  • ছোট এলাচ
  • গুড়ের জল
  • পাস্তা
  • জল

কীভাবে বানাবেন

  • একটা কড়াইয়ে জল নিয়ে ফুটতে দিন,এরপর তার সাথে পাস্তা যোগ করে ভালোভাবে রান্না হতে দিন এবং সেদ্ধ হয়ে গেলে জল ঝরিয়ে নিন।
  • অন্য আরেকটা কড়াইয়ে ঘি এবং মাখন একসাথে মিশিয়ে তার সাথে কিছু কাজুবাদামকে ভালোভাবে ভেজে নিন।এরপর কড়াইটিতে দুধ ঢেলে সেটি ফুটতে দিন।এর সাথে পাস্তা যোগ করে সব একসাথে রান্না করুন।
  • একটা কাপে দুধ,জল এবং চাল গুড়ো নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে একটা মসৃণ মিশ্রণ তৈরী করুন।এবার এটিকে ঐ কড়াইয়ের মধ্যে ঢেলে দিয়ে অনবরত নাড়তে থাকুন।
  • ক্ষীরটা একবার ঘন হয়ে উঠলে তার সাথে এলাচ দানা এবং গুড়ের জল মিশিয়ে নিয়ে পরিবেশন করুন।

4.সবুজ বীনস ভাজা

রোজের একঘেয়েমি জলখাবার থেকে মুক্তি পেতে এবং খাদ্যে এক দূর্দান্ত স্বাদের সংযোজন করতে এই স্বাস্থ্যকর খাদ্যবিকল্পটি কাজে আসতে পারে যা আপনার বাচ্চাকে সবুজের প্রেমে ফেলে দেবে।

উপকরণ

  • এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল
  • সামুদ্রিক নুন
  • সবুজ বীনস

কীভাবে বানাবেন

  • ওভেনটিকে 425 ডিগ্রী তাপমাত্রায় গরম করা শুরু করুন। এরপর তার ভিতরে 8-10 মিনিটের জন্য একটি প্যান রাখুন।
  • একটা বাটির মধ্যে বীনসগুলিকে রেখে তার মধ্যে নুন ছিটিয়ে দিন এবং তার মধ্যে সামান্য তেল ঢালুন।সেগুলিকে ভালো করে নেড়ে সব একসাথে মিশিয়ে নিন।
  • ট্রের উপর বীনস গুলিকে ছড়িয়ে দিন, সেগুলিকে একটির সাথে আরেকটিকে গায়ে গায়ে লেগে থাকতে দেবেন না।
  • এরপর ট্রে-টিকে মোটামুটি 10 মিনিটের জন্য ওভেনের ভিতরে দিয়ে রাখুন সেগুলিকে নরম ও কুড়মুড়ে করার জন্য।

5.পারপেল রঙের সবজি পিউরি বা মণ্ড

শিশুদের জন্য,যারা একই ধরনের পিউরি খেয়ে খেয়ে প্রায় বিরক্ত হয়ে উঠেছে, এই চিত্তাকর্ষক রঙের পিউরি বা মণ্ডটি তৎক্ষণাৎ তাদের দৃষ্টি সহজেই আকর্ষণ করবে।

উপকরণ

  • জল
  • লেবুর রস
  • ঠাণ্ডা করা পালংশাক
  • ব্লু-বেরী

কীভাবে বানাবেন

  • একটা পাত্র নিয়ে তাতে জল ও পালংশাক একসাথে মেশান।এটাকে ফুটতে দিন এবং তারপর সেটাকে কম আঁচে 8 মিনিটের জন্য বসিয়ে রাখুন।
  • জলটা ছেঁকে নিয়ে তার সাথে লেবুর রস,জল,ব্লু-বেরী এবং পালংশাক সব একসাথে চটকে নিয়ে সুন্দর একটা পিউরি বা মণ্ড তৈরী করুন।

খাওয়ানোর পরামর্শ

আপনার বাচ্চাকে খাওয়ানোর ক্ষেত্রে কয়েকটি সামান্য পরামর্শ মেনে চললে দেখবেন যে আপনার এবং তার থেকেও বেশী আপনার বাচ্চার দুজনেরই ভাল অভিজ্ঞতা হবে।

  • আপনার বাচ্চাকে আপনাদের পরিবারের জন্য যা রান্না হয়েছে তাই খেতে দিন যতক্ষণ না পর্যন্ত সেটা খুব মশলাদার হয়ে উঠে।
  • আপনার সন্তানকে কিছু খাবার নিজের হাতে করে খাবার শিক্ষা দিন।
  • তার খাবার তাড়াতাড়ি খেয়ে শেষ করবার জন্য জোর করবেন না।
  • একবারে বসে অনেকটা খাবার একসাথে না খেয়ে থেমে থেমে খাওয়া আপনার বাচ্চার পক্ষে ভাল।
  • যদি আপনার সন্তানের খাবার অভ্যাস হঠাৎ বদলে যায় তা নিয়ে হইচই করবেন না।
  • খাবার সম্পূর্ণ অভিজ্ঞতাটাকে মজাদার করে তুলুন।

নৈশভোজের জন্য অনেক ধরনের পদের পরিকল্পনা করতে পারেন আপনার ছোট্টটির জন্যে, আপনার খাবারই তাদের নতুন জীবনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে সামনের সপ্তাহগুলোতে।আপনার সন্তানকে লক্ষ্য রাখুন আর দেখুন সে কি পছন্দ করে আর সে কি পছন্দ করে না,সেই অনুযায়ী আপনি তার খাদ্য তালিকায় সামজ্ঞস্য বিধান করুন।