In this Article
যেকোনও মহিলার ক্ষেত্রেই গর্ভপাত একটি অসহনীয় মর্মস্পর্শী বিদ্ধংসী অভিজ্ঞতা। গর্ভপাতের পর নিরাময় হয়ে ওঠার জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত বিশ্রাম,মানসিক সমর্থন এবং স্বাস্থ্যকর ডায়েট। কোনও গর্ভপাত ঘটে যাওয়ার পর একজন মহিলার দ্রুত নিরাময় হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে যে ধরণের ডায়েট অনুসরণ করা উচিত সে সম্পর্কে এই নিবন্ধটিতে আলোচনা করা হল।এটি আবার গর্ভপাত থেকে পুনরুদ্ধারকারী একজন মহিলার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসম্মত বিভিন্ন ধরণের ভারতীয় খাদ্যগুলি সম্পর্কে এবং কোন ধরণের খাদ্যগুলি অস্বাস্থ্যকর তারও একটি ব্যাখ্যা দেয়।
গর্ভপাতের সর্বোচ্চ কারণগুলি
একটি গর্ভপাত ঘটার পিছনে একাধিক কারণ রয়েছে,যেগুলির মধ্যে কিছু আমাদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকে আর কিছু নয়।বিশ্বব্যাপী গর্ভপাত ঘটার কয়েকটি সাধারণ কারণগুলি হলঃ
1. চিকিৎসাজনিত জটিলতা
জরায়ুতে সমস্যা যেমন ফাইব্রয়েড ইত্যাদির ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় বা তৃতীয় ত্রৈমাসিকে গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।অন্যান্য চিকিৎসাজনিত জটিলতাগুলি হতে পারে ক্রোমোজোমের অস্বাভাবিকতা,জরায়ুর অসামঞ্জস্যতা,জরায়ুর বিভাজনকারী পর্দা ইত্যাদি।
2. জীবনযাত্রা
ধূমপান এবং মাদক সেবন করলে,বিশেষত গর্ভাবস্থায় গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।আবার আপনি গর্ভবতী থাকাকালীন সময়ে বেশ কয়েকটি নির্দিষ্ট ফল যেমন পেঁপে এবং আনারস খেলেও হয়ত বা অনেক সময় গর্ভপাত ঘটতে পারে।গর্ভাবস্থার প্রয়োজনীয় সকল পুষ্টি সরবরাহ করে এমন কিছু স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের দ্বারা একটি স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে চলা নিশ্চিত করুন।
3. পূর্ব বিদ্যমান শর্তাদি
এর মধ্যেই যে সকল মহিলাদের মধ্যে হাইপার বা হাইপো–থাইরয়েডিজম এবং ডায়াবেটিসের মত শর্তগুলি রয়েছে তাদের গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা উচ্চ মাত্রায় থাকে।সুতরাং গর্ভধারণের পূর্বেই এই সকল অবস্থাগুলির রোগ নির্ধারণ করে চিকিৎসার মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণে আনা উচিত।
একটি গর্ভপাত হওয়ার পর দ্রুত আরোগ্যলাভ করার জন্য কি কি খাবার খাওয়া উচিত?
গর্ভপাতের পর কি ধরণের খাবারগুলি খাওয়া উচিত তা একজন আরোগ্য লাভকারী মহিলার পক্ষে জেনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।গর্ভপাত হওয়ার পর স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করা শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ,কারণ নিরাময়ের জন্য এবং দৈহিক অসুস্থতা ও মানসিক আঘাত থেকে পুনরুদ্ধারের জন্য দেহের প্রয়োজন হল প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর উপাদান।
1. আয়রণ সমৃদ্ধ খাদ্যগুলি
গর্ভপাতের ফলে মহিলারা ক্লান্তি অনুভব করতে পারেন এবং তাদের অ্যানিমিয়া হওয়ার ঝুঁকি থাকে।যদি গর্ভপাতের কারণে অত্যধিক মাত্রায় রক্তপাত হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে দেহে আয়রণের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।সুতরাং,দেহে আয়রণের প্রয়োজনীয় মাত্রা বজায় রাখা নিশ্চিত করার জন্য আয়রণ সমৃদ্ধ খাদ্যগুলি গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
দুই ধরণের আয়রণ আছে হিম এবং নন–হিম আয়রণ।হিম আয়রণ প্রাণীজ উৎসগুলি থেকে প্রাপ্ত খাদ্যগুলিতে পাওয়া যায় যেমন পাঠার মাংস,পোল্ট্রি,সমুদ্রজাত খাবার।আর নন–হিম আয়রণ পাওয়া যায় উদ্ভিজ্জ খাদ্য উৎসগুলির মধ্যে,যেমন সবুজ শাক–সবজি,বাদাম,মুসূর,বীনস,অঙ্কুরিত ছোলা,তিল বীজ এবং কুমড়োর বীজ।
অতএব,শাকাহারী বা নিরামিশাষী মহিলাদের আয়রণ সমৃদ্ধ খাদ্যগুলিকে খাওয়া উচিত উদ্ভিজ্জ খাদ্য উৎসগুলি থেকে আর মাংসাশীরা আয়রণ সমৃদ্ধ খাদ্যগুলি গ্রহণ করেন উদ্ভিজ্জ এবং প্রাণীজ উভয় খাদ্য উৎসগুলি থেকেই।
2. ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্যগুলি
গর্ভাবস্থায় দেহ মধ্যস্থ মজুদ ক্যালসিয়াম ব্যবহৃত হয়,কারণ ভ্রূণের হৃদপিণ্ড, স্নায়ু, পেশী,হাড় এবং দাঁতের স্বাস্থ্যকর বিকাশের জন্য ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন।যখন একটি গর্ভপাত হয়ে থাকে,গর্ভাবস্থার কলাগুলির সাথে সাথে দেহস্থ সকল ক্যালসিয়ামও অপসারিত হয়,যার ফলে দেহের মধ্যে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি ঘটে।সুতরাং মহিলাদের ঘন সবুজ শাক–সবজি,দুগ্ধজাত পণ্য,মাছ যেমন সার্ডিন আর স্যালমন এবং শুকনো ফল যেমন শুকনো ডুমুর,খেজুর এবং বাদাম জাতীয় ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্যগুলি খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
3. ফোলেট সমৃদ্ধ খাদ্যগুলি
গর্ভপাতের অভিজ্ঞতা হয়ে থাকা অধিকাংশ মহিলারাই আরোগ্য লাভের পর পুনরায় গর্ভধারণের চেষ্টা করার পরিকল্পনা করে থাকেন।এক্ষেত্রে ফোলেট সমৃদ্ধ খাবারগুলি গ্রহণ করা ভাল একটি ধারণা হয়ে থাকে।ফোলেট পাওয়া যায় পালং শাক,পাতা কপি এবং রোমান লেটুসের মত ঘন সবুজ শাক–সবজিগুলির মধ্যে।এছাড়াও আবার এটি শতমূলী,ব্রকোলি,সাইট্রাস ফলগুলির মধ্যে এবং মুসূর,করাইশুঁটি,অ্যাভোকাডো, ভেন্ডি,স্কোয়াশ,অঙ্কুরিত ছোলা,বীজ এবং বাদামের মধ্যেও পাওয়া যায়।পালং,ভেন্ডির কারি,ছোলে ইত্যাদিগুলি হল ফোলেট সমৃদ্ধ ভারতীয় সুস্বাদু খাদ্য–রেসিপির কয়েকটি উদাহরণ।
4. প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্যগুলি
আরোগ্য লাভের জন্য শরীরে প্রোটিনের প্রয়োজন হয়,কারণ প্রোটিন মধ্যস্থ অ্যামাইনো অ্যাসিডগুলি কোষের মেরামতে সাহায্য করে।সুতরাং আপনার ডিম,চর্বিহীন মাংস,সামুদ্রিক খাদ্য,দুধ,চীজ,দই,মুসূর এবং পোল্ট্রি জাতীয় খাদ্যগুলি ভক্ষন করা উচিত।শাকাহারীদের জন্য প্রোটিন জাতীয় খাদ্যগুলির উৎস হল মুসূর,দুগ্ধজাত পণ্য আর কুইনোওয়া বা কাওন চাল এবং বাজরার মত ভক্ষ্য শস্যগুলি।ডাল,ছোলে এবং পালং পনীরের মত প্রোটিন সমৃদ্ধ কিছু পুষ্টিকর ভারতীয় খাদ্য রেসিপিগুলি আপনি খেতে এবং উপভোগ করতে পারেন।
5. মেজাজ উত্তলনকারী খাদ্যসমূহ
গর্ভপাতের দ্বারা পাওয়া দুঃখ এবং মানসিক আঘাত প্রায়শই হতাশার দিকে পরিচালিত করতে পারে।গবেষণা অনুযায়ী,দেহে ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি হতাশার সাথে জড়িত,আর ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্যগুলি গ্রহণ করলে তা উদ্বিগ্নতা হ্রাস করে এবং হতাশা দূর করতে সাহায্য করে।যে সকল খাদ্যগুলির মধ্যে ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায় সেগুলি হল বাদাম,বীজ,বাদামী চাল এবং সম্পূর্ণ গমের মত সম্পূর্ণ শস্য,সবুজ শাক–সবজি,ডার্ক চকলেট,অ্যাভোকাড এবং কড়াইশুঁটি, মুসূর,ছোলা ইত্যাদির মত শিম্ব গোত্রীয় ডাল বিশেষ ইত্যাদি।মেজাজ উত্তলনকারী এই সকল উপকরণগুলি আছে এমন কিছু ভারতীয় খাদ্য রেসিপিগুলি হল ছোলে,কোকোয়া মিল্ক শেক ইত্যাদি।
6. বাদাম
বাদাম হল বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিকর উপাদানের উৎস যেগুলি গর্ভপাতের পর দেহকে দ্রুত নিরাময় করে তুলতে সাহায্য করে।বাদামগুলি ভিটামিন E,আয়রণ,ম্যাগনেসিয়াম, ফোলেট, ওমেগা-6,ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ।এগুলি আবার ফাইবার বা তন্তুরও একটি ভাল উৎস।তবে সেগুলি সংযমের সাথে খাওয়া উচিত যেহেতু সেগুলিতে উচ্চ পরিমাণে ফ্যাট এবং ক্যালোরি থাকে।আপনার প্রতিদিনের ডায়েটে আমণ্ড,পেস্তা,আখরোট,কাজু ইত্যাদি অন্তর্ভূক্ত করুন।আপনি আবার ক্ষীর এবং বিরিয়ানির মত কিছু চমকপ্রদ ভারতীয় খাদ্য পদগুলিতেও বাদাম ব্যবহার করতে পারেন,এগুলিও আপনার মেজাজকে উন্নত করতে সাহায্য করে।
7. ফল এবং সবজি
বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণা অনুসারে,যে সকল মহিলারা একবার গর্ভপাত হওয়ার পর তাদের ডায়েটে প্রচুর পরিমাণে ফলমূল এবং শাক–সবজি অন্তর্ভূক্ত করেছেন এর পরবর্তী পুনরায় গর্ভাবস্থায় গর্ভপাতের সম্ভাবনা তাদের মধ্যে প্রায় 50% কমে যেতে দেখা গেছে।সাইট্রাস ফলগুলি,সবুজ শাক–সবজি এবং উচ্চ জলীয় উপাদানে ভরপুর ফলগুলি স্বাস্থ্যের জন্য দুর্দান্ত।
8. ভিটামিন C সমৃদ্ধ খাদ্যগুলি
সাইট্রাস ফ্রুট যেমন মোসাম্বি লেবু,কমলা লেবু এবং স্ট্রবেরীগুলি হল ভিটামিন C এর একটি দুর্দান্ত উৎস যেগুলি শরীরের দ্বারা আয়রণ শোষণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।গর্ভপাত হওয়া থেকে আরোগ্য লাভের সময় তবুও পুনরায় আরও একবার আপনার ডাক্তারবাবুর সাথে আলোচনা করে আপনার জেনে নেওয়া উচিত যে কোন ফলগুলি আপনার জন্য ভাল এবং কোনগুলি আপনার খাওয়া উচিত নয়।
গর্ভপাতের পরে কোন খাদ্যগুলি আপনার এড়িয়ে চলতে হবে
এমন কিছু খাদ্য আছে যেগুলি খুবই অস্বাস্থ্যকর এবং যদি গর্ভপাতের পর সেগুলি অত্যধিক মাত্রায় সেবন করা হয় তবে সেক্ষেত্রে দেহের ক্ষতি হতে পারে।গর্ভপাতের পর কোন খাদ্যগুলি বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত নয় তার একটি সংকলন নিচে দেওয়া হলঃ
1. তেল মশলাদার ফাস্ট ফুডগুলি
তেল মশলাদার ফাস্ট ফুডের উদাহরণগুলির মধ্যে অন্তর্ভূক্ত রয়েছে কচুরি,ফুচকা, সিঙ্গারা, চিপস,ফ্রেঞ্চ ফ্রাই,আলু বড়া,পিৎজা,বার্গার,ডোনাট ইত্যাদি।এগুলির মধ্যে রয়েছে ট্রান্স ফ্যাট যা দেহে প্রদাহ বা জ্বলনের কারণ।আর যদি এগুলি অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়া হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে স্থূলতা,হৃদরোগ ইত্যাদি দেখা দেয়।খুব বেশি মাত্রায় তেল মশলাদার খাবারগুলি খেলে তা মহিলাদের মধ্যে গর্ভপাতের ঝুঁকির সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে এবং তার সাথে আবার বিষণ্ণতারও কারণ হয়ে ওঠে।
2. উচ্চ কার্বোহাইড্রেট যুক্ত এবং নিম্ন ফাইবার উপাদান সমন্বিত খাদ্যগুলি
প্রক্রিয়াজাত খাদ্যগুলিতে সাধারণভাবে উপস্থিত পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেটগুলি দেহের পক্ষে ক্ষতিকারক যেহেতু সেগুলি উচ্চ মাত্রায় কার্বোহাইড্রেট সমন্বিত কিন্তু ফাইবার বা তন্তু কম থাকে।পরিশোধিত সাদা আটা বা ময়দা দ্বারা প্রস্তুত প্রক্রিয়াজাত খাবারগুলি এড়িয়ে চলুন যেমন তাৎক্ষণিক নুডলস,সাদা চাল,এছাড়াও বিস্কুট,চানাচুর,হালুয়া, কাটলেটের মত ভারতীয় স্ন্যাকস জাতীয় হালকা জলখাবারগুলি এবং ভারতীয় রূটি জাতীয় নানপুরী ইত্যাদি।এর বদলে বরং জটিল কার্বোহাইড্রেট যেমন সম্পূর্ণ গমের আটার রুটি গ্রহণের দিকে ঝোঁক বাড়ান।
3. মিষ্টান্ন
মিষ্টি খাওয়ার তীব্র বাসনা ত্যাগ করুন।কারণ এই ধরণের মানসিক পরিস্থিতিতে আবেগগত দিকগুলির কারণে আপনার মধ্যে হয়ত বেশি খেয়ে ফেলার প্রবণতা দেখা দিতে পারে।চিনি বোঝাই মিষ্টান্নগুলি আপনাকে কোনও রকম পুষ্টি সরবরাহ করবে না।এর পরিবর্তে বরং খেজুর অথবা ডুমুর ভিত্তিক মিষ্টান্নগুলিকেই বেছে নিন।
4. উচ্চ ফ্যাটযুক্ত উপাদানগুলির সহিত দুধ এবং মাংস
দুধ এবং মাংস মধ্যস্থ ফ্যাট দেহের মধ্যে প্রদাহ বা জ্বলন সৃষ্টির কারণ হয়ে উঠতে পারে এবং আপনার প্রসব পরবর্তী যন্ত্রণাকে আরও বাড়িয়ে তোলে।সুতরাং ফুল ফ্যাটের দুধ,মাখন,ফ্যাটযুক্ত পনীর অথবা চীজ,গরুর মাংস এবং শুয়োরের মাংসের মত খাদ্যগুলিকে এড়িয়ে চলুন আর এর বদলে চর্বিহীন মাংস এবং টোনড দুধ দ্বরা প্রস্তুত পণ্যগুলিকে চয়ন করুন।
গর্ভপাত হওয়া যেকোনও মহিলার ক্ষেত্রেই একটি যন্ত্রণাবহুল ঘটনা।একটি গর্ভপাত হওয়ার পরবর্তী আরোগ্য পর্যায়টি ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হতে পারে খাদ্যগত পরিবর্তনের দ্বারা।আপনি যা কিছু ভক্ষণ করেন তা আপনার নিরাময় হয়ে ওঠার প্রক্রিয়াটিকে হয় ত্বরাণ্বিত অথবা ধীর গতি করে তোলে।সুতরাং স্বাস্থ্যসম্মত ডায়েটকেই বেছে নিন যার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফল,শাক–সবজি অন্তর্ভূক্ত থাকা উচিত এবং সেগুলি সবই সংযমের সাথে গ্রহণ করা প্রয়োজন।আপনার ডাক্তারবাবুর সাথে আলোচনা করে তাঁর পরামর্শ অনুযায়ী আপনার জন্য একটি উপযুক্ত ডায়েট স্থির করুন।