গর্ভাবস্থায় দাঁত যন্ত্রণা এবং মাড়ি থেকে রক্ত ক্ষরণের জন্য 10 টি ঘরোয়া প্রতিকার

গর্ভাবস্থায় দাঁত যন্ত্রণা এবং মাড়ি থেকে রক্ত ক্ষরণের জন্য 10 টি ঘরোয়া প্রতিকার

গর্ভাবস্থাকালে ক্রমাগত হরমোনের পরিবর্তনের ফলে,ব্রাশ করা এবং ফ্লস করার মত অতি সাধারণ কাজগুলিতেও আপনার মাড়ি অতিরিক্ত সংবেদনশীল হয়ে উঠতে পারে।দাঁতের এই সমস্যাগুলি যেহেতু মাড়ির রক্তপাত,ফুলে যাওয়া এবং সংকোচন ঘটাতে পারে তাই এগুলি প্রায় নিখুঁত একটা গর্ভাবস্থা নাশের পূর্বাভাস দিতে পারে।আবার এটিও অত্যন্ত জানা একটা ঘটনা যে,যদি আপনি দাঁত ব্যথা এবং মাড়ির রোগে ভুগে থাকেন,তবে সেক্ষেত্রে আপনার বাচ্চার নির্ধারিত সময়ের পূর্বে প্রসবিত হওয়ার মত ঝুঁকির সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশী হয়ে থাকে।

গর্ভাবস্থায় দাঁত এবং মাড়ির সমস্যার জন্য 10 টি সবচেয়ে কার্যকর প্রতিকার

প্রোজেস্টেরণ হরমোনের কারণে আপনার মাড়ি নমনীয় হয়ে যাওয়া এবং মাড়িতে রক্ত প্রবাহের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার ফলে,যখন আপনি আপনার দাঁত ব্রাশ করেন অথবা এমনকি যখন সেগুলি ফ্লশও করেন আপনার মাড়িতে রক্ত ক্ষরণ হতে পারে।যার ফলে কিছু সময়ের জন্য খাওয়া ও পান করাও ব্যহত হতে পারে।উপরন্তু,আপনার বর্তমান অবস্থায় পেইনকিলারগুলিও সহ্য হবে না,সুতরাং তৎক্ষণাৎ মুক্তি অর্জন করা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার বলে মনে হতে পারে।ভাগ্যবশত,গর্ভাবস্থায় ফুলে যাওয়া মাড়ির জন্য বেশ কিছু ঘরোয়া প্রতিকার অত্যন্ত কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে,জিঞ্জিভাইটিস এবং পেরিওডন্টাইটিসকে প্রতিরোধ করেতে পারার এবং সেগুলি থেকে মুক্তি সরবরাহ করতে পারার কারণে।

গর্ভাবস্থাকালে আপনি যদি দাঁত ব্যথা এবং মাড়ির রক্ত ক্ষরনের দ্বারা জর্জরিত হয়ে ওঠেন,নিম্নলিখিত প্রতিকারগুলি ব্যবহার করুনঃ

১. লবঙ্গ

দাঁত এবং মাড়ির সমস্যার ক্ষেত্রে লবঙ্গ বা লবঙ্গ তেল ভীষণ ভালোভাবে কাজ করে থাকে,যেহেতু এটি একটি কার্যকর প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপ্টিক।এটি একটি সেরা বৈকল্পিক দাঁতের ওষুধ এবং এটি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থেকে পরিত্রাণ দিতে পারে।যদি আপনার দাঁতে ব্যথা থাকে তবে দ্রুত উপশম পেতে একটি লবঙ্গকে চিবান অথবা আপনার দাঁত এবং মাড়িতে লবঙ্গ তেল ঘষুন।দাঁত ব্যথার জন্য আপনি আবার একটা তুলোর বলকে লবঙ্গ তেলের মধ্যে ভিজিয়ে নিতে পারেন এবং সেটিকে স্থাপন করতে পারেন মুখের ভিতরের সেই জায়গার উপর যেটি আপনার সবচেয়ে বেশী ব্যথার কারণ।

২. বেদানা

শক্তিশালী অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যের জন্য বেদানা পরিচিত,যা মুখের ভিতরে ভাল স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়ক হতে পারে এবং দাঁতের ওপর জন্মানো মুখগহ্বরের ব্যাক্টেরিয়া বা ডেন্টাল প্ল্যাকের বিরুদ্ধে ভাল সংগ্রাম করে।আপনি একটি কাপের মধ্যে 30 মিলিলিটার বেদানার রস নিতে পারেন এবং ডেন্টাল প্ল্যাককে দূরে ঠেলে রাখতে সেটা দিয়ে প্রতিদিন কুলকুচি করে পরিষ্কারভাবে মুখ ধুয়ে নিতে পারেন।এটি আবার ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণকেও কমাতে পারে,যা গর্ভাবস্থার পরবর্তী পর্যায়ে দাঁত যন্ত্রণাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে।তবে রসটি যেন তাজা থাকে এবং এটির সাথে কোনওরকম মিষ্টি যোগ না করার বিষয়টি নিশ্চিত করুন।এটিকে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ হিসেবে ব্যবহার করুন এবং গর্ভাবস্থাকালে আপনি প্ল্যাক গঠন প্রতিরোধ করতে পারেন।

বেদানা

৩. ঘৃতকুমারী বা অ্যালো ভেরা

এই বহু গুণী এবং শক্তিশালী উদ্ভিদটি গর্ভাবস্থায় দাঁত ব্যথা প্রতিকারের জন্য নিশ্চিতভাবে অন্যতম একটি সেরা বিকল্প।এটি 99% জল দ্বারা গঠিত এবং এতে আছে নিরাময়কে প্রভাবিত করার বহু বৈশিষ্ট্য।এতে আছে ছত্রাক বিরোধী,ব্যাকটেরিয়া বিরোধী এবং জীবাণু বিরোধী বৈশিষ্ট্যগুলি।গর্ভাবস্থাকালে,যখন মাড়িগুলি উচ্চ মাত্রায় সংবেদনশীল হয়ে যায়,এটি প্রদাহ,মাড়ি ফুলে ওঠা এবং মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণও হ্রাস করতে সাহায্য করে।জুস,সম্পূরক,জেল,মাউথ ওয়াশ এবং টুথ পেষ্টের মত বিভিন্ন রূপে অ্যালো ভেরা পাওয়া যাওয়ার কারণে আপনার ব্যবহারের প্রয়োজনানুযায়ী আপনি সঠিক পণ্যটি বেছে নিতে পারেন।

৪. চা গাছের তেল বা টি ট্রী অয়েল

দাঁতের সমস্যার জন্য অন্যতম নির্ভরযোগ্য চিকিৎসা হিসেবে প্রসিদ্ধ,চা গাছের তেল গর্ভাবস্থায় ঘটে থাকা মাড়ি এবং দাঁতের সমস্যার সমাধানে ব্যবহার করা যেতে পারে।এটির মধ্যে আছে প্রদাহ বিরোধী এবং জীবাণু বিরোধী বৈশিষ্ট্যগুলি,যা এটিকে জনপ্রিয় পছন্দের তালিকায় উত্থিত করেছে।যদি আপনার মাড়ির প্রদাহ থাকে,যে অণুজীবগুলির কারণে আপনি সংক্রমিত সেগুলির বিনাশ করতে আপনি জল এবং চা গাছের তেল দিয়ে কুলকুচি করে মুখ দিয়ে নিতে পারেন।ভাল মানের একটি টি ট্রী অয়েল কিনুন এবং এই তেলের থেকে চার ফোঁটা নিয়ে প্রায় 90 মলিলিটার জলের সাথে মেশান।সেরা ফলার্জনের জন্য এই দ্রবণটি দিয়ে মুখ কুলকুচি করে ধুয়ে নিন।

৫. রসুন

গর্ভাবস্থায়,পেইনকিলার এবং অ্যান্টিবায়টিকগুলির থেকে দূরে থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রসুন নিজে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য অত্যন্ত কার্যকর প্রতিকারক হিসেবে প্রমাণিত।এই প্রাচীন প্রতিকারটি ব্যবহার করা খুব সহজ।এক কোঁয়া রসুনের খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে সেটিকে সরাসরি হয় চিবিয়ে নিন অথবা প্রভাবিত এলাকার উপরে সেটিকে প্রয়োগ করুন।রসুনে অ্যালিসিন নামক প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক থাকায়,এটি সংক্রামিত এলাকায় ব্যাকটেরিয়াগুলিকে মেরে ফেলে,যা যন্ত্রণা কমায়।এটি তৎক্ষণাৎ আপনার দাঁত ব্যথা কমাবে এবং কোনওরকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই দ্রুত উপশম দেবে।

৬. বেকিং সোডা

প্রতি রান্নাঘরে ব্যবহৃত অত্যন্ত সাধারণ এই উপকরণটি বিভিন্ন অ্যাসিডের এক বিস্ময়কর প্রতিরোধক,যেগুলির ফলে মুখের মধ্যে মাড়ি সংক্রমণ ঘটে।এটির ব্যবহারটিও খুবই সহজ-আপনাকে যা করতে হবে তা হল আপনার ভিজে টুথ ব্রাশটিকে সামান্য বেকিং সোডার মধ্যে বুলিয়ে নিন এবং সেটি দিয়ে আপনার দাঁত ব্রাশ করুন।বিকল্প হিসেবে,আপনি আবার আপনার টুথপেষ্টের সাথেও বেকিং সোডা মিশিয়ে নিতে পারেন, তবে বেকিং সোডা এবং জল দিয়ে আপনার মুখ ভাল করে কুলকুচি করে ধুয়ে নেওয়ার জন্য এবং সেটি দিয়ে আপনার দাঁত ব্রাশ করার জন্য উচ্চ মাত্রায় সুপারিশ করা হয়।সর্বোত্তম ফলাফলের জন্য খাবার গ্রহণের পর এটি দিনে 2-3 বার করে করুন।

বেকিং সোডা৭. নিম পাতা

কয়েক শতাব্দী ধরে ফুলে যাওয়া অস্বস্তিকর এবং প্রদাহ জনিত মাড়ির চিকিৎসায় নিম পাতা ব্যবহৃত হয়ে আসছে,বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের দ্বারা।নিম পাতার অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যগুলি দাঁতের ওপর জন্মানো মুখগহ্বরের ব্যাক্টেরিয়ার প্রতিরোধ করে এবং তার সাথে আবার আপনার মাড়ি থেকে রক্ত ক্ষরণও বন্ধ করতে সাহায্য করে।ছত্রাক এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণকে দূরে ঠেলে রাখার জন্য প্রতিবার খাবার গ্রহণের পর প্রতিদিন আপনি একটি বা দুটি করে নিম পাতা চিবাতে পারেন।নিম পাতায় আছে শক্তিশালী প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য যা সেটিকে মাড়ি সম্পর্কিত সমস্যার চিকিৎসার একদম উপযোগী করে তুলেছে,যেটি ঘটে থাকে যখন হরমোনের পরিবর্তনগুলি মাড়িগুলিকে সংবেদনশীল করে তোলে।এছাড়াও আপনি বাড়িতেই নিমের একটি মাউথ ওয়াস প্রস্তুত করে নিতে পারেন,যেটি যেকোনও OTC ওষুধের তুলনায় অনেক ভাল,যেহেতু এর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে না।

৮. হলুদ

হলুদে যেহেতু অনেকগুলি থেরাপিউটিক বৈশিষ্ট্য থাকে,এটিকে অন্যান্য উপাদানের সাথে সমন্বিত করে দাঁতের সমস্যার চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।হলুদে আছে কারকিউমিন, যা প্রদাহ এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে উচ্চ মাত্রায় কার্যকর।আপনি 1 চা-চাম হলুদ গুঁড়োর সাথে 1/2 চা-চামচ করে সরষের তেল এবং নুন মিশিয়ে একটা পেষ্ট বানিয়ে নিতে পারেন।এবার সর্বোত্তম ফল লাভের জন্য আপনি এই পেষ্টটি ব্যবহার করে আপনার মাড়িতে ধীর প্রক্রিয়ায় মালিশ করুন কমপক্ষে দিনে দুবার।হলুদে কারকিউমিনের উপস্থিতির কারণে মুখে ক্যান্সারজনিত বৃদ্ধি কমাতেও এটি বিশেষভাবে কার্যকর।

৯. তেল প্রলেপন

মুখের ভিতরের ভাল স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এটি একটি ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতি হয়ে উঠেছে, এবং গর্ভাবস্থাকালে এটি বিশেষভাবে সহায়ককারী যেহেতু কোনওকিছুই আপনাকে গ্রহণ করতে হবে না।এটি করার জন্য আপনি নারকেল তেল অথবা তিলের তেল ব্যবহার করতে পারেন।নারকেল এবং তিল তেল অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যে পূর্ণ হওয়ার কারণে এই উদ্দেশ্যে এটিকে পছন্দ করা হয়ে থাকে।এই তেলগুলি যে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টগুলি উৎপাদন করে তা মুখের মধ্যে উপস্থিত ক্ষতিকারক জীবাণুকে ধ্বংস করতে পারে।এই তেলগুলির মধ্যে যেকোনও একটিকে ভাল পরিমাণে নিয়ে আপনার মুখের ভিতরের চারধারে বুলিয়ে নিন এবং মুখের ভিতরের প্রতিটি কোণে সেটি যাতে পৌঁছায় তা নিশ্চিত করুন।এটি প্রায় 10 মিনিট ধরে করতে থাকুন।জিঞ্জিভাইটিস এবং পেরিওডনাইটিসের মত সংক্রমণগুলি যেগুলি মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণ ঘটায়,সেগুলিকে ঘরোয়া এই সহজ প্রতিকারের সাহায্যে কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা যেতে পারে।

১০. দুধ

প্রতিদিনের এই পানীয়ে আছে উচ্চ পরিমাণে ভিটামিন K এবং ক্যালসিয়াম।এগুলি মাড়িকে শক্তিশালী করতে এবং সেখান থেকে রক্তক্ষরণ বন্ধ করতেও সাহায্য করে।দুধ মাড়ির প্রদাহকে প্রশমিত করে এবং রক্তক্ষরণের কারণে হওয়া অস্বস্তি হ্রাসের জন্য অত্যন্ত সহায়ক।এক কাপ করে ঈষদুষ্ণ দুধ প্রতিদিন এক অথবা দুবার পান করুন অথবা যখন আপনার মাড়ি থেকে রক্ত ক্ষরণ হয়।প্রতিবার দুধ পানের পর আপনার দাঁত ব্রাশ করা নিশ্চিত করুন,অন্যথায় এটি থেকে দাঁতের ওপর জন্মানো মুখগহ্বরের ব্যক্টেরিয়া তৈরী হতে পারে।আরও ভাল প্রভাব পেতে সম্ভব হলে দুধের সাথে সামান্য পরিমাণ হলুদ গুঁড়ো যোগ করুন।

দুধ

গর্ভাবস্থায় মুখের ভিতরের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে যে সাবধানতাগুলি অবলম্বন করতে হবে

শক্তিশালী এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি ছাড়াও আপনার গর্ভাবস্থাকালে আপনার মুখের ভিতরের স্বাস্থ্যের যত্নার্থে কিছু সতর্কতা নেওয়াও জরুরী।

১. আপনি যে গর্ভবতী,এ কথা আপনার দন্ত চিকিৎসককে জানানো জরুরী যাতেযেনির্বাচনীপদ্ধতিগুলিকরানোরপরিকল্পনা আপনিকরেছিলেনতাপরবর্তীসময়ের জন্যস্থগিতকরাযেতেপারে।অনুরূপভাবে,আপনার গর্ভাবস্থাকালে আপনার দাঁতের এক্স-রে করানো যেতে পারে,আপনার দন্ত চিকিৎসক আপনার অবস্থা জানতে চাইবেন আপনার পেট ও থাইরয়েডের সুরক্ষার মত সাবধানতাগুলি নেওয়ার জন্য।আপনার দন্ত চিকিৎসকের সাথে অ্যাপয়মেন্ট করার নির্ধারিত সময়সূচীর আগে একবার আপনার স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে পরীক্ষা করিয়ে নিন এটা জানার জন্য যে আপনার দন্ত চিকিৎসককে জানাবার মত কোনও বিস্তারিত বিষয় আছে কিনা।

২. আপনার মুখের ভিতরে ডেন্টাল প্ল্যাক বা দাঁতের ওপর জন্মানো মুখগহ্বরের ব্যাক্টেরিয়া গঠণ প্রতিরোধ করতে দিনে দুবার করে দাঁত মাজুন-সকালে প্রাতঃরাশের পূর্বে এবং রাত্রে ঘুমের আগে।

৩. ফ্লুরাইডটুথপেস্টেরসাথেএকটিনরম-ব্রিস্ট্যালব্রাশবাবৈদ্যুতিনটুথব্রাশব্যবহারকরুন।অ্যালকোহল আছে এমন মাউথওয়াস ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।যদিআপনারবর্তমানটুথপেস্টব্যবহারথেকেআপনার মধ্যে মর্নিং সিকনেশএসে থাকেতবেআপনারদাঁতেরডাক্তারকেস্বাদহীনবামৃদু-স্বাদযুক্তটুথপেস্টেরপরামর্শদিতেবলুন।

৪. স্বাস্থ্যকর খাবার খান এবং সুষম আহার বজায় রাখুন,যা গর্ভস্থ শিশুর জন্যও ভাল।এই নয় মাস ধরে আপনার দন্ত-ক্ষয় থেকে রক্ষা পেতে এবং সম্ভবত তার পরে্র জন্যও অ্যাসিডিক খাবার এবং চিনিযুক্ত মিষ্টি খাবারগুলিকে (খাবার এবং পানীয় উভয়ই) আপনার খাদ্য থেকে সরিয়ে ফেলুন।এই ক্রিয়াটি আপনার সারা দিন ধরে থাকা স্ন্যাক্স সহ সমস্ত খাবারের সাথেই অন্তর্ভুক্ত করুন।

উপরে উল্লিখিত সকল ঘরোয়া প্রতিকারগুলিই তাৎক্ষণিক উপশম এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসাবেও ব্যবহার করা যেতে পারে, কারণ এগুলি আপনাকে গর্ভাবস্থায় দাঁতে ব্যথা এবং মাড়ি থেকে রক্তপাতের যত্ন নিতে সাহায্য করবে।যদি যন্ত্রণা এবং রক্ত ক্ষরণ না কমে,আপনার দাঁতের ডাক্তারের সাথে অ্যাপয়মেন্ট করুন এবং তাদের পেশাদার মতামত দ্রুত গ্রহণ করুন।আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ না করে কোনওরকম ওভার দ্য কাউন্টার ওষুধগুলি সেবন করবেন না কারণ এগুলি থেকে আপনার এবং তার সাথে আপনার গর্ভস্থ শিশুর উপরেও বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।