শিশুর জন্মদান করা হল একজন মায়ের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। অনায়াসে শ্রম এবং সন্তানের স্বাভাবিক প্রসবের জন্য মাকে অবশ্যই শান্ত,ধীর এবং মানসিক চাপ মুক্ত হতে হবে।এখানে বেশ কিছু পরামর্শ দেওয়া হল যেগুলি গর্ভাবস্থায় এবং শ্রমের সময়ের ক্ষেত্রে একজন অন্তঃসত্ত্বা মাকে সহায়তা করতে পারে।
কীভাবে শ্রম এবং স্বাভাবিক প্রসবকে আরও সহজ করে তোলা যেতে পারে?
1. খেজুর সেবন
গবেষণায় দেখা গেছে যে,খেজুর খাওয়া হল সহজ এবং দ্রুত শ্রমের অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য বেশ উপকারি।প্রসবের জন্য পূর্বনির্ধারিত গণনাকৃত আসন্ন দিনের এক মাস আগে থেকে প্রতিদিন মোটামুটি প্রায় 60-80 গ্রাম মত খেজুর সেবন করলে তা শ্রমের সময় উপকারি বলে প্রমাণিত।এর কারণ হল খেজুরের মধ্যে অক্সিটোসিন হরমোনের অনুরূপ একটি রাসায়নিক যৌগ আছে বলে অনুমান করা হয়,যা সংকোচনগুলির কারণ।এছাড়াও আবার সার্ভিক্সকে নমনীয় বা প্রসারিত করার বৈশিষ্ট্য খেজুরের মধ্যে আছে বলে প্রমাণিত,যা অনায়াসে এবং দ্রুত প্রসব প্রক্রিয়াটিকে পরিচালিত হতে সহায়তা করে।
2. প্রত্যহ স্কোয়াট করুন
পূর্ব গণনাকৃত প্রসবের নির্ধারিত দিনের কাছাকাছি সময়ে যোনি প্রসব অর্থাৎ স্বাভাবিক প্রসবের জন্য প্রস্তুত হওয়ার ক্ষেত্রে মহিলাদের জন্য সবচেয়ে উপকারি একটি ব্যায়াম হল স্কোয়াট করা।সহজ প্রসবে সহায়তা করার ক্ষেত্রে এর বিশেষ ভূমিকার কারণে স্কোয়াট করাকে বা উবু হয়ে বসাটিকে সহজ এবং দ্রুত শ্রম বা প্রসব বেদনা তোলার সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যায়াম বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।এই উবু হয়ে বসার ব্যায়ামটি করার সবচেয়ে সেরা উপায়টি হল চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত একটি বলের ব্যবহার করা।বলটিকে আপনার কোমরের নিচের অংশ এবং দেওয়ালের মাঝে রাখুন এবং হাঁটু এবং পায়ের আঙ্গুলগুলির দ্বারা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে যতটা সম্ভব দূরে সরিয়ে প্রসারিত করার চেষ্টা করুন।প্রসবের এক দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য অন্তঃসত্ত্বা মায়েদেরকে প্রতিদিন এই অবস্থানে থেকে 15 টি স্কোয়াট করার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।
3. নিয়মিত এবং পর্যাপ্ত ঘুমান
প্রসব প্রক্রিয়াকে সহজ এবং দ্রুত করে তোলার সকল পরামর্শগুলির মধ্যে এটি হল অনুসরণ করার জন্য সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকর একটি উপায়।পূর্ব আলোচনা অনুযায়ী,শ্রমের মত অত্যন্ত চাপযুক্ত এবং গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায় গর্ভবতী মহিলার প্রয়োজন হল ধীর ও শান্ত থাকা।কেবলমাত্র পর্যাপ্ত এবং ভালভাবে বিশ্রামপ্রাপ্ত একজন ব্যক্তিই এ ধরনের দৃশ্যের সাথে নিজেকে নির্বিঘ্নে খাপ খাইয়ে নিতে পারেন।একজন অন্তঃসত্ত্বা মায়ের একটি মসৃণ এবং সহজ শ্রমের অভিজ্ঞতা লাভের জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে সাত ঘন্টা বা তারও বেশি ঘুমানো উচিত।মা এবং সন্তানের আরামের জন্য ঘুমের অভিজ্ঞতাটিকে আরও সুন্দরভাবে বাড়িয়ে তোলা যেতে পারে নরম এবং ত্বক–বান্ধব বালিশ এবং ভরসাযোগ্য বিছানা ব্যবহারের সাথে।
4. ওয়াটার বার্থ বা জলে জন্মদানের কথা বিবেচনা করুন
শ্রমের সময় জল অন্তঃসত্ত্বা মাকে প্রশমিত করে তোলার কারণে এটি সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে একটি কার্যকর কৌশল হয়ে উঠতে পারে।জল আবার উত্তেজনাপূর্ণ পেশীগুলিকে প্রশমিত করে এবং সার্ভিক্সের প্রসারণে সাহায্য করে,যা প্রসবের ক্ষেত্রে সহায়তা করে থাকে।ঠিক এই কারণের জন্যই বেশিরভাগ বড় বড় হাসপাতালে জলে জন্মদানের জন্য জন্মদানকারী জলাশয়(বার্থিং পুল) বা বড় বড় গামলাগুলি(টাব) রাখা থাকে।তাই বহির্বিশ্বে শিশুকে আনয়নে সহায়তার জন্য এটিও একটি ভাল পন্থা হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
5. শ্রমের সময় সোজা হয়ে থাকুন
শ্রমের সময় শুয়ে থেকে চাপ দেওয়ার বদলে বিছানার উপর সোজা হয়ে বসুন এবং চাপ প্রয়োগ করুন।এর কারণ হল অভিকর্ষ বল মা এবং শিশুর জন্য বেশ কার্যকর হতে পারে যেহেতু প্রসবের জন্য এটি শিশুটিকে সঠিক অবস্থানে যেতে সহায়তা করতে পারে।এক্ষেত্রে আবার বিভিন্ন ধরণের অবস্থানগুলিও প্রয়োগের চেষ্টা করা যেতে পারে যেমন হাঁটু মুড়ে,উবু হয়ে কিম্বা সোজা দাঁড়িয়ে থেকে দেখা যেতে পারে যে কোন অবস্থানটিতে শ্রমের সময় সর্বোত্তম ফলাফল পাওয়া যায়।শ্রোণীর মধ্য দিয়ে শিশুর মাথাটি সহজে চলাচল করার ক্ষেত্রে সহায়তার জন্য শরীরের আন্দোলনগুলিও আবার শ্রোণী পথকে প্রশস্ত করতে সহায়তা করে থাকে।
6. স্বাস্থ্যকর জলখাবার খান
শ্রমের প্রাথমিক পর্যায়ে থাকার সময় আপনি হয়ত ক্ষুধার্থ বোধ করতে পারেন এবং আপনার ক্ষুধা যন্ত্রণা নিবৃত্তিতে আপনি কিছু হালকা জলখাবার খেতে পারেন।তৈলাক্ত অথবা ফ্যাটজাতীয় খাবারগুলি এড়িয়ে চলুন কারণ এগুলি কেবল আপনার অম্বল বা হৃদয় জ্বলনই সৃষ্টি করে না,এটি আবার সন্তান প্রসব প্রক্রিয়াটিতেও বিঘ্ন ঘটায়।প্রসবের সময় এনার্জি বাড়াতে আপনি আপেল ও কলার মত ফলগুলি খেতে পারেন এবং দই,লস্যি এবং স্মুদি ইত্যাদির মত কিছু হালকা জলখাবারগুলিও গ্রহণ করতে পারেন। আপনার যদি জরুরীকালীন সিজারিয়ান বা অস্ত্রোপচার পদ্ধতিটি করা হয়ে থাকে সেক্ষেত্রেও এই খাবারগুলি খুবই উপকারী।
7. সন্তান জন্মদানের একটি ক্লাস করতে পারেন
গর্ভাবস্থা হল অপেক্ষারতা মা–বাবাদের উপর শারীরিক এবং মানসিকভাবে করের বোঝা চেপে যাওয়ার একটি পর্ব যেহেতু এই সময়েই তাদের অনেক কিছু নতুন জিনিস শিখতে হয় এবং অভিভাবকত্বের দায়িত্ববোধগুলিকেও ভালভাবে বুঝতে হয়।সুতরাং, সবকিছু পরিকল্পনা মাফিক চলাকে নিশ্চিত করতে শিশুর জন্মের মুহূর্তের জন্য আগে থেকেই প্রস্তুত থাকা সবসময়ের জন্যই ভাল।প্রতীক্ষারতা মা–বাবারা যে সকল মানসিক চাপের মুখমুখি হতে পারেন সেগুলি থেকে মুক্তি আনার ক্ষেত্রে আবার জন্মদানের একটি ক্লাস করাও বেশ সহায়ক হয়ে উঠতে পারে এবং গর্ভবতী মহিলার সঙ্গী বা তত্ত্বাবধায়ককেও সহায়তা করতে পারে জল ভাঙা থেকে শুরু করে নাড়ি কাটা পর্যন্ত সকল বিষয়ে সঠিকভাবে প্রস্তুত হওয়ার ক্ষেত্রে।শিশু জন্মদান করার একটি ক্লাস আবার প্রসবের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটিকে সহজ এবং দ্রুত করার ক্ষেত্রে এর সহজ পরামর্শগুলি সরবরাহ করার জন্যও বেশ উপকারি হতে পারে।
8. শ্বাস–প্রশ্বাসের কৌশলগুলির অনুশীলন করুন
যেকোনও মহিলার ক্ষেত্রেই শ্রম–যন্ত্রণা অত্যন্ত বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতা হয়ে উঠতে পারে।গভীরভাবে শ্বাস–প্রশ্বাস কোনও মহিলার প্রসবকালীন যন্ত্রণা সহ্য করার ক্ষেত্রে সহায়তা করতে পারে এবং তাকে শিথিল করে তুলতেও সহায়তা করে।এটি আবার ছন্দবদ্ধ সংকোচন বিন্যাসের ক্ষেত্রে বেশ কার্যকর হতে পারে এবং মহিলাদের ভালভাবে এবং আরও কার্যকরভাবে চাপ প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে সহায়তা করতে পারে।আবার ভালভাবে শ্বাস–প্রশ্বাস এটিও নিশ্চিত করে যে,দেহে পর্যাপ্ত অক্সিজেন রয়েছে এবং মা তার মধ্যে সঙ্কোচনগুলির কারণে হয়ে থাকা মারাত্মক প্রসব বেদনা এবং ক্র্যাম্প বা টান লাগার অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করবেন না।
9. একটি ভাল সমর্থনকারী দলের আয়ত্তে থাকুন
শ্রমের উত্তেজনাপূর্ণময় পরিস্থিতিতে,একটি ভাল ফলাফলের জন্য প্রতিটি মায়েরই উচিত তার সঙ্গীর সাথে যুক্ত হওয়া যিনি ইতিবাচক ভূমিকা গ্রহণ করবেন এবং সমর্থন দেবেন।আবার এটিও লক্ষ্য করা হয়েছে যে,প্রসবের সময় যে সকল মহিলাদের একজন দৌলা বা দাই মা থাকে(প্রসবের সময় মহিলাদের সাহায্য করার জন্য একজন প্রশিক্ষিত মহিলা),তাদের ক্ষত্রে এপিডিউরাল বা সিজারিয়ান পদ্ধতিতে সন্তান প্রসবের সম্ভাবনা অপেক্ষাকৃত কম হয়ে থাকে এবং একটি নির্বিঘ্ন এবং মসৃণ প্রসবের অভিজ্ঞতা তাদের হয়ে থাকে।এই দৌলাদের বা দাই মাদের সাক্ষাৎকার নেওয়া প্রয়োজন যাতে এই ঘনিষ্ঠ এবং সুন্দর মুহূর্তের সময় নির্বাচিত মহিলাটি দম্পতির স্বাচ্ছন্দ্যে সমর্থন করার সাথে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।
10. শিশুর জন্ম প্রক্রিয়া সংক্রান্ত আলোচনা
যদিও শ্রম এবং প্রসবের উপর আপনি হয়ত অনেক বই পড়ে ফেলেছেন,তবে এক্ষেত্রে একটা ভাল ধারণা হল আপনার ডাক্তারবাবুর সাথে শিশুর জন্ম প্রক্রিয়ার ব্যাপারে ভালভাবে সম্পূর্ণরূপে একটা আলোচনা করে নেওয়া এবং জন্মদান প্রক্রিয়াটির একটি পরিকল্পনা করিয়ে নিয়ে আসা।আপনার জন্য জন্মদান করার একটি পরিকল্পনা গড়ে তোলা নির্ভর করবে আপনার শিশুর অবস্থান,আপনার শারীরিক অবস্থা,শ্রমের সময় আপনি ব্যথার ওষুধ সেবন করতে চান কিনা ইত্যাদির মত নানা বিষয়গুলির উপর।এক্ষেত্রে আবার শ্রমের সময় অপ্রত্যাশিত কারণ হেতু আপনার পরিকল্পনা পরিবর্তিত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে,তবে এর একটি গ্রহণ করাও মা–বাবার জন্য স্বান্তনাকারী হয়ে উঠতে পারে।এটি নতুন মা–বাবাদের প্রসবের প্রক্রিয়াটিকে বুঝতে এবং তাদের মনে থেকে থাকা যে কোনও প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার ক্ষেত্রে সহায়তা করবে।
11. নিজেকে অন্যমনস্ক রাখুন
যে সকল মহিলারা প্রথম মা হচ্ছেন তাদের ক্ষেত্রে শ্রমের বিষয়টি সময় সাপেক্ষ এবং এটি 12 থাকে 15 ঘন্টার ভিতর যেকোনো সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হতে পারে। তালে তালে প্রশ্বাস গ্রহণ এবং নিঃশ্বাস ত্যাগের মাধ্যমে এবং টানা সংকোচনের চেষ্টার মধ্য দিয়ে সহজেই মায়েরা এটা করতে পারেন।এই সময় অন্য কোনো কাজ যেমন স্নান করা বা গান শোনার মত বিষয়ে মনঃসংযোগ করে মহিলারা স্বস্তি বোধ করতে পারেন।এটি খুব দ্রুত কাজ করতে পারে এবং একটি সহজ প্রসবের পথ মসৃণ করে তোলে।
12. একটা মালিশের ব্যবস্থা করা
গর্ভবতী মহিলাদের শ্রম পর্বে মালিশ করা বিশেষত পিছনের দিকের নিম্নাঙ্গে, একটা দারুণ ব্যাপার হতে পারে।মস্তিষ্কে বেদনার অনুভূতি কমাতে এটা সাহায্য করে এবং শ্রম পর্বে হয়ে চলা ব্যাথা লাঘব করতে সাহায্য করে।অতিরিক্তভাবে যদি আপনার সঙ্গী এই মালিশটি করে দেন তাহলে তার একটি মনোবৈজ্ঞানিক প্রভাব দেখা যায়, যেখানে মহিলারা মনে করেন তাদের সাথীর দ্বারা তারা যত্ন এবং সহযোগীতার আশ্বাস পান।যা এই শ্রম পর্বটিকে দ্রুত এবং সহজ করতে সাহায্য করে।
13. হাঁটা চলা করুন
গর্ভাবস্থার শেষের দিকে স্কোয়াট ছাড়া হাঁটাও হল আরেকটা ভাল ব্যায়াম যা তাকে সহজে প্রসব করতে সাহায্য করে।হাঁটা চলা গর্ভস্থ শিশুটিকে সার্ভিক্সের দিকে ঠেলে দেয় এবং শিশু জন্মগ্রহণের প্রক্রিয়াটিকে উন্নত করে তোলে।গবেষণায় দেখা গেছে হাঁটলে অক্সিটোসিন হরমোন ক্ষরণের মাত্রা বৃদ্ধি পায়,যা সংকোচন এবং শ্রমের সহায়ক হয়ে ওঠে।এটা এমন একটি কার্যক্রম যা সকল মায়েরাই তাদের গর্ভাবস্থার শেষের দিকে চেষ্টা করতে পারেন,যেহেতু এটি স্কোয়াটের মত চ্যালেঞ্জিং নয়।
14. ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খান
গর্ভাবস্থার শেষ পর্যায়ে হরমোনের সমঞ্জস্য বজায় রাখা এবং কোনো রকম চিকিৎসাগত হস্তক্ষেপ ছাড়াই স্বাভাবিক প্রসব করার জন্য জরায়ুকে প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে ভিটামিন A,B,C, এবং E খুবই গুরুত্বপূর্ণ।ভিটামিন K আরো একটা ব্যাপারের জন্য অত্যন্ত জরূরী কারণ এটা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে এবং হবু মায়েদের সন্তান প্রসবের পর হেমারেজ যা কিনা মায়েদের মারাত্বক ক্ষতি সাধন করতে পারে তার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।দৈনিক তাজা ফল এবং ভিটামিনের পরিপূরকগুলির মাধ্যমে স্বাভাবিক উপায়ে ভিটামিন A,B,C এবং E অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে, এবং সবুজ শাকপাতা যেমন পালং শাক খেতে হবে ভিটামিন K এর চাহিদা পূরণের জন্য।
15. সুস্থ থাকুন
সহজ এবং মসৃণ প্রসবের জন্য গর্ভাবস্থায় সুস্থ থাকুন।হবু মায়েরা তাদের সন্তান প্রসবের অভিজ্ঞতাকে উন্নত করে তুলতে যা খাবারই খাবেন সেই খাদ্যগুলির বাপারে মনোনিবেশ করা এবং প্রতিদিন নিয়ম করে ব্যায়াম করা প্রয়োজন।গর্ভবতী মহিলাদের প্রাত্যহিক জীবনে কিছু শারীরিক ক্রিয়াকর্ম যেমন হাঁটা,যোগা,সাঁতার ইত্যাদিকে অন্তর্ভূক্ত করা উচিত।
এই সহজ 15টি পরামর্শ হবু অভিভাবকদের সন্তান জন্ম দেওয়ার অভিজ্ঞতাকে সরল করে তুলবে এবং সাহায্য করবে তাদের অমূল্য রত্নটিকে সুন্দরভাবে দ্রুত পৃথিবীতে নিয়ে আসতে।