In this Article
গর্ভাবস্থা হল এমন এক পর্যায় যা একজন মহিলাকে সম্পূর্ণ এবং পরিতুষ্ট বোধ করায়।আপনার অভ্যন্তরে একটা জীবন রয়েছে এবং কয়েক মাসের মধ্যে খুব শীঘ্রই সে আপনার সাথে থাকবে তা জেনে এটি একটি উত্তেজনাপূর্ণ এবং উদ্বেগজনক মুহূর্ত হয়ে উঠতে পারে।আপনি বিশ্বের শ্রেষ্ঠ অনুভব করেন,কিন্তু গর্ভবতী হওয়া গোলাপগুচ্ছের শয্যা নয়,আপনাকে বেশ কিছু কঠিণ এবং হতবুদ্ধিকর পরিস্থিতির মুখোমুখিও হতে হবে।মাঝেমধ্যেই আপনি পেট ফেঁপে যাওয়া অনুভব করতে পারেন এবং দিনের বেলায় বেশ কয়েকবার গ্যাস বের করতেও পারেন।
হ্যাঁ,এটি বিব্রতকর হতে পারে এবং আপনি যদি এই শ্রেণীর মানুষের মধ্যে একজন হয়ে থাকেন তবে আপনি অস্বস্তিবোধ করতে পারেন।কিন্তু এটি কেন ঘটে তার পিছনে বেশ কিছু নির্দিষ্ট কারণ আছে।এর প্রাথমিক কারণগুলি নিচে তালিকাবদ্ধ করা হলঃ
১. ওজন বৃদ্ধি
গর্ভাবস্থার সময়,আপনি কয়েক ঘন্টা ছাড়া ছাড়াই ক্ষুধা যন্ত্রণা পাবেন।যার পরিণতি হিসেবে, আপনি জলখাবার এবং বারে বারে খাবার খেতে পারেন।আবার আপনি আগের মত ব্যায়ামও করবেন না,অতএব আপনি আপনার ওজন বাড়িয়ে ফেলতে পারেন।এটিই আপনাকে ফোলাভাব অনুভব করাতে পারে।
২. হরমোনের অসামঞ্জস্য
গর্ভাবস্থার সময় গ্যাস এবং পেট ফেঁপে যাওয়ার অন্যতম প্রধান একটি কারণ হল প্রোজেস্টেরণ হরমোন।গর্ভাবস্থা প্রোজেস্টেরণ হরমোনের বৃদ্ধিতে এবং সেটিকে মুক্ত হতে প্রনোদিত করে যা পেশীগুলিকে শিথিল করে।অন্ত্রের পেশীগুলিও শিথিল হয়,যা হজম প্রক্রিয়ার গতি অনেক কমিয়ে দেয়।গৃহীত খাদ্য দীর্ঘ সময়ের জন্য খাদ্য নালীর মধ্যেই রয়ে যায়,যা গর্ভবতী মহিলাদের পেট ফুলে থাকা এবং বারংবার বাত কর্মের কারণ।
৩. জেস্টেশনাল বা অন্তঃসত্ত্বাবস্থাকালীন ডায়বেটিস
অন্তঃসত্ত্বাবস্থায়,একজন মহিলার রক্তে শর্করার মাত্রা সাধারণত বেশি থাকে। গর্ভাবস্থাকালীন সময়ে উচ্চ রক্ত শর্করা জেস্টেশনাল ডায়বেটিস হিসেবে পরিচিত।যদি কোনও মহিলার জেস্টেশনাল ডায়বেটিস থাকে ,তিনি ফোলাভাব অনুভব করতে পারেন।এই সমস্যাটা সাধারণত ঘটে থাকে গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় অর্ধে।
৪. গর্ভাবস্থায় শারীরিক পরিবর্তন
গর্ভাবস্থাকালে শারীরিক পরিবর্তন ঘটার ফলেও আবার গ্যাস হতে পারে।যেহেতু আপনি ক্রমশ পরিণতির দিকে এগোতে থাকেন,আপনার তলপেটের গহ্বরের উপর আপনার বর্ধিত জরায়ু থেকে চাপ প্রয়োগ হতে থাকে যা পাচন পদ্ধতিকে ধীর করে দেয় এবং এর ফলে পেটে গ্যাস হয়ে যায়।
৫. গ্যাস হয় এমন খাদ্য গ্রহণ
এমন কিছু খাবার আছে যেগুলি অতিরিক্ত গ্যাসের কারণ হিসেবে পরিচিত।আপনি যদি ভাজা খাবার,দুগ্ধজাত পণ্য,ফুলকপি,বাঁধাকপির মত সবজি যেগুলি থেকে গ্যাস হতে পারে অথবা কার্বনেটেড পানীয় গুলি গর্ভাবস্থায় খান,তবে সেগুলি থেকে আপনার গ্যাস হতে পারে এবং আপনার পেট ফুলে যেতে পারেন।
গর্ভবতী থাকাকালীন গ্যাসের জন্য প্রাকৃতিক প্রতিকার সমূহ
গড়ে একজন ব্যক্তি প্রতিদিন প্রায় 15-20 বার গ্যাস বের করেন।কিন্তু গর্ভাবস্থায়,এই সংখ্যা বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়, যা কিছুটা অসুবিধাজনক এবং বিব্রতকর হয়ে উঠতে পারে।গর্ভাবস্থাকালে এই গ্যস্ট্রিক সমস্যার মোকাবিলা করার জন্য,আপনি কিছু প্রাকৃতিক প্রতিকার প্রয়োগের চেষ্টা করতে পারেন।
১. আপনার জল খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দিন
দিনের বেলায় নিয়মিত ব্যবধানে প্রচুর পরিমাণে জল পান করে নিজেকে হাইড্রেট রাখুন।এমনকি আপনি দিনের সূচনা করুন এক গ্লাস জল খাওয়ার মাধ্যমে এবং প্রকৃতিগতভাবে–আয়ুবর্ধক এই তরলপূর্ণ বোতলটিকে আপনার নিকটেই রাখুন এবং সারাদিন ধরে চুমুক দিন।এছাড়াও আপনি পান করতে পারেন পাস্তুরাইজড ফলের রস,কারণ ফলের রস পান শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে এবং ফুলে যাওয়াকে প্রতি্রোধ করে।
২. তন্তু সমৃদ্ধ বা আঁশযুক্ত খাবার খান
আপনার খাদ্য তালিকার মধ্যে গাজর,আপেল,ওটমিল,সবুজ শাক–সবজি এবং ন্যাশপাতি যোগ করুন যেহেতু এগুলি পাচন তন্ত্র থেকে জল শোষণে সাহায্য করে।তন্তুগুলি অন্ত্রের মধ্যে খাবারগুলির চলাচলকে সহজ করে।তন্তু সমৃদ্ধ খাবারগুলি খেলে তা আপনার অন্ত্র আলোড়নকে নিয়মিত করে তুলবে এবং আপনার পেট ফুলে ফেঁপে থাকবে না।একটি সাবধানবাণী হল–যদি আপনার অন্ত্রে খুব বেশি মাত্রায় ফাইবার বা অন্তু সমৃদ্ধ খাবার সহ্য না হয় তবে ধীরে ধীরে আপনার খাদ্য তালিকায় আঁশযুক্ত বা তন্তু সমৃদ্ধ ফল এবং শাক–সবজি যোগ করুন।
৩. পরিমাণে অল্প কিন্তু বারে বারে খাবার খান
এক দিনে তিনবার সম্পূর্ণ করে খাবার পরিবর্তে,আপনি সেটিকে ভেঙ্গে ছয়বার ছোট ছোট খাওয়ার পরিসরে ভাগ করে নিতে পারেন সারা দিন ধরে।আপনার খাবার অবসর গতিতে বসে খান।খাবার গোগ্রাসে গিলে নেবেন না–পরের চামচ মুখে দেওয়ার আগে মুখের খাবারটিকে সঠিক ভাবে চিবান।এছাড়াও ভাজা এবং অস্বাস্থ্যকর খাবারগুলিকে যথা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।
৪. মেথি দানা খান
গ্যাসের জন্য মেথি দানা ভিজানো জল পান করা বহু বছর ধরে চলে আসা একটি প্রতিকার।গর্ভাবস্থাকালে গ্যাসকে নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহৃত এই জলটি একটি প্রয়োগিত এবং পরীক্ষিত সমাধান।আপনি বড় চামচের এক চামচ মেথি বীজ নিয়ে এক গ্লাস জলের মধ্যে সেটিকে সারা রাত ধরে ভিজিয়ে রাখতে পারেন।এরপর জলের থেকে মেথি বীজগুলিকে ছেঁকে নিন এবং উদরস্ফীতি বা পেট ফাঁপা কমাতে সেই জলটিকে পান করুন
৫. এ ব্যাপারে কিছুটা লেবুর রস কতটা কাজ করে?
একটা বাটির মধ্যে সম্পূর্ণ গোটা একটা লেবুকে চিপে নিন এবং এর সাথে এক কাপ জল ও হাফ চামচ বেকিং সোডা যোগ করুন।যতক্ষণ না বেকিং সোডা সম্পূর্ণ রূপে দ্রবীভূত হয়ে যায় অনবরত চামচ দিয়ে নাড়িয়ে যান।যেকোনও গ্যাস্ট্রিক সমস্যা ও গ্যাস থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে এই মিশ্রণটি পান করুন।খুব ভোরবেলায় খালি পেটে যদি উষ্ণ গরম জলের সাথে লেবুর রস খাওয়া যায় তবে তা পেট ব্যথা থেকেও মুক্তি দেয়।
৬. ভেষজ চা পান করুন
গর্ভাবস্থায় গ্যাসট্রিক সমস্যার মোকাবিলার জন্য এটি অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ঘরোয়া প্রতিকার।মেন্থল পাতা,ব্ল্যাকবেরি এবং লাল রাস্পবেরির চা পাচন পদ্ধতির সহায়ক হিসেবে পরিচিত।ভেষজ চাকে খুব বেশি ফোটাবেন না যেহেতু এটি এর নিরাময়ের বৈশিষ্ট্যগুলিকে ধ্বংস করে দিতে পারে।মেন্থল পাতা বিশেষ করে গর্ভাবস্থার সময় গ্যাস থেকে মুক্তি দেয়।এর সাথে মধু যোগ করুন এবং দিনে দুবার করে পান করুন। যাইহোক,অতিরিক্ত মাত্রায় খাবেন না কারণ এটি গর্ভাবস্থায় অন্যান্য সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
৭. ধনে ব্যবহার করুন
এই উপকরণটি প্রায় বেশীরভাগ বাড়িতেই সহজলভ্য এবং গ্যাস ও পেট ফাঁপার জন্য এটি একটি চমৎকার প্রাকৃতিক প্রতিকার।আপনি এটিকে কাঁচা খেতে পারেন অথবা আপনার দৈনন্দিন খাদ্যের সাথে এটির সংযোগ করতে পারেন আপনার পাচন পদ্ধতিকে একটা নির্দষ্ট ধারায় ধরে রাখার জন্য।ধনে পাতাও আবার অ্যাসিডিটিতে এবং পেট জ্বলন সংবেদনকে প্রশমিত করতে সাহায্য করে থাকে।গ্যাস এবং বদ হজমের সমস্যাকে দূরে ঠেলে রাখতে,এক গ্লাস বাটারমিল্কের বা মাখন তোলা দুধের সাথে খোলায় ভাজা ধনে যোগ করে পান করুন।
৮. উষ্ণ জল পান করুন
প্রতিদিন উষ্ণ জল পান করার মাধ্যমে বদহজম এবং গ্যাস্ট্রিকের মত সমস্যাগুলিকে কার্যকর ভাবে মোকাবিলা করা যেতে পারে।এক গ্লাস হালকা গরম জল পান শুধুমাত্র পাচন ব্যবস্থাকেই ভাল রাখে না এটি সঠিক অন্ত্র আলোড়নকেও সুনিশ্চিত করে,যা সাধারণত প্রভাবিত হয়ে থাকে।আপনি যদি কোনও রেস্টুরেন্টে অথবা কোনও পার্টিতে খেয়ে থাকেন তবে সে ক্ষেত্রে খাবার গ্রহণের পর এক গ্লাস হালকা গরম জল(যদি সম্ভব হয় এর সাথে অর্ধেক লেবুর রস চিপে নিন) পান করার বিষয়টি মাথায় রাখুন।
৯. আপনার খাদ্যের সাথে সজনে ডাঁটার সংযোজন করুন
এই তন্তুময় সবজিটি আপনার খাবারের জন্য একটি প্রয়োজনীয় সংযোজন,বিশেষ করে যদি আপনি কোষ্ঠকাঠিন্যে অথবা কঠিণ মল অপসারণের মত কষ্টে ভুগে থাকেন। অনিয়মিত অন্ত্র আলোড়নের ফলেও আপনার শরীরে অতিরিক্ত গ্যাস উৎপন্ন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।সজনে ডাঁটা আপনার খাদ্যে রাফেজ উপাদানের পরিমাণ বাড়ায় এবং আপনার পেটের স্বাস্থ্যকে অনেকাংশে উন্নত করবে।
১০. সঠিক খাদ্য পছন্দ করুন
গর্ভাবস্থা হল এমন একটা সময় যখন খুব সাবধানতার সাথে আপনার খাদ্য নিরীক্ষণ করা উচিত এবং খাদ্য গ্রহণের জন্য সঠিক খাদ্য নির্বাচন করা উচিত।এই সময়ের জন্য প্রক্রিয়াজাত খাদ্য অথবা হিমায়িত নৈশভোজের তুলনায় তাজা খাবার সবসময়ের জন্য সেরা বিবেচনা করা হয়ে থাকে।জৈব খাদ্য যেগুলি কীটনাশক মুক্ত,গর্ভাবস্থার সময় পছন্দ করা উচিত।এই খাবারগুলি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে বদ হজমের এবং পেট ফাঁপার মত সমস্যার সম্ভাবনা কমাবে।
১১. যোগ–ব্যায়াম অনুশীলন
আপনার কিছু হালকা যোগ–ব্যায়ামের জন্য একটা দৈনিক সময়সূচি প্রস্তুত করা উচিত,তা না হলে আপনি সারাদিন ধরে বসে থাকবেন যার ফলে আপনার শরীরে অতিরিক্ত গ্যাস উৎপন্ন হতে পারে।হালকা ব্যায়াম যেমন পার্কে হাঁটা,বিশেষ করে ভোরবেলায় অথবা রাত্রে নৈশভোজের পর,গর্ভবতী মহিলাদের জন্য আদর্শ প্রমাণিত হতে পারে।যেকোনও অতিরিক্ত পরিশ্রমজনিত ব্যায়াম করা এড়িয়ে চলুন।এর পরিবর্তে যোগা করাকে বেছে নিতে পারেন(বিশেষজ্ঞের পরামর্শের প্রয়োজন আছে)।গর্ভাবস্থায় কিছু হালকা শরীরচর্চা করা আপনাকে গ্যাস এবং অন্যান্য গ্যাস্ট্রিক সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে সাহায্য করবে।
১২. আরামদায়ক পোশাক পড়ুন
অন্তঃসত্ত্বাকালীন সময়ে খুব শক্ত টাইট পোশাক পরলে তা আপনার তলপেটে চাপ দিতে পারে যা পেটের মধ্যে গ্যাসের উৎপাদনকে বাড়িয়ে তুলতে পারে।এবং আপনাকে অস্বস্তি বোধ করায়।সুতরাং গর্ভাবস্থায়,বিশেষ করে গর্ভাবস্থার শেষ পর্যায়ে,ঢিলেঢোলা আরামদায়ক পোশাক পরুন।
গর্ভাবস্থায় কীভাবে গ্যাস উৎপন্ন হওয়াকে প্রতিরোধ করবেন
এখানে কিছু পরামর্শ রইল যেগুলি গর্ভাবস্থায় ঘটে থাকা গ্যাসের সমস্যাকে সামাল দিতে,কমাতে এবং প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে।
১. পরিশোধিত চিনি খাওয়া এড়িয়ে চলুন
যদি আপনি মিষ্টি খাবার এবং পানীয় খাওয়ার আসক্তিকে কমাবার কোনও উপায় খুঁজে বের করতে পারেন,তবে আপনি নিজেকে এক মহান অনুগ্রহ করবেন।ফ্রুকটোজ যেটি সাধারণত কৃত্রিম স্বাদের ফলের রস এবং বিভিন্ন পানীয়ের মধ্যে পাওয়া যায়,তা গ্যাস এবং পেট ফাঁপার কারণ হতে পারে।সুতরাং কৃত্রিম স্বাদের পানীয় এবং এর সাথে কার্বোনেটেড পানীয় গুলিকেও এড়িয়ে চলুন।এছাড়াও আপনার চুইংগাম এবং লজেন্স খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত যেহেতু এগুলির মধ্যে থাকে সর্বিটল যা আপনার পেট ফাঁপিয়ে তুলতে পারে।
২. ভাজা খাবার খাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ আনুন
চিপস এবং বিভিন্ন ফ্রাইয়ের মত ভাজা খাবারগুলিকে এড়িয়ে চলুন,যদিও সেগুলি শরীরে সরাসরি গ্যাস ছড়ায় না,সেগুলি আপনাকে পেট ফুলে যাওয়ার মত অস্বস্তি অনুভব করাতে পারে যেহেতু গর্ভাবস্থায় পাচন পদ্ধতি যথেষ্ট ধীর হয়ে যায়।এছাড়াও বীনস,ফুলকপি,বাঁধাকপি,ব্রকোলি,পিঁয়াজের মত খাবারগুলিও গ্যাস্ট্রিক সমস্যার কারণ হতে পারে,সুতরাং গর্ভাবস্থায় সেগুলি খাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ আনুন।
৩. আপনার মানসিক চাপের মাত্রা কমান
বহু লোকের গ্যাসের সমস্যা দেখা যায় যখন তারা মানসিক চাপের মধ্যে থাকেন। অত্যন্ত চাপের মধ্যে থাকলে অথব নার্ভাস হয়ে গেলে,আপনি খুব দ্রুত শ্বাস ফেলতে পারেন এবং অতিরিক্ত মাত্রায় বাতাস গিলে ফেলতে পারেন যা গ্যাসের সমস্যা ঘটায়।মানসিক চাপ সম্পর্কিত গ্যাস আবার ইরিটেবল বাউল সিন্ড্রোমের লক্ষণ(IBS)। যদি গর্ভাবস্থায় আপনার IBS হয়,আপনার এটির জন্য আরও অন্যান্য কিছু উপসর্গও হতে পারে যেমন, পেট ফেঁপে যাওয়া,কোষ্ঠকাঠীন্য অথবা তলপেটে খিঁচুনি।সুতরাং গর্ভাবস্থায় আপনার মানসিক চাপকে সামাল দিতে শেখা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।আপনি ধ্যান অথবা যোগার মত শিথিলকরণের কৌশলগুলিকে আয়ত্ত করার চেষ্টা করতে পারেন।
গ্যাস্ট্রিক সমস্যা আপনার সন্তানের ক্ষতি্র কারণ হতে পারে এই ভেবে যদি আপনি ভয় পান,তবে ভয় পাবেন না,আপনার বাচ্চা ভাল থাকবে।অ্যামনিওটিক তরলটি আপনার বাচ্চার পথে আসা যেকোনও ক্ষতি থেকে তাকে রক্ষা করবে।গ্যাস এবং পেট ফেঁপে যাওয়া গর্ভাবস্থায় খুব সাধারণ একটা সমস্যা, কিন্তু এটা আপনার সন্তানের স্বাস্থ্যে কোনও প্রভাব ফেলে না।অধিকন্তু,এই সমস্যাকে দূরে ঠেলে রাখতে,ভাজা এবং মিষ্টি খাবারগুলি এড়িয়ে চলুন।যাইহোক,যদি আপনি ইতিমধ্যেই এই সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন,তবে উপরে উল্লিখিত প্রতিকারগুলির চেষ্টা করে দেখুন,আপনি অনেক বেশি ভাল অনুভব করবেন।একটি আরামদায়ক এবং সুখী গর্ভাবস্থা যাপন করুন।পেট যন্ত্রণা অথবা গ্যাস অপসারনের পর যদি তলপেটে যন্ত্রণা অথবা পেটে চাপ ধরে থাকে,অবিলম্বে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।