গর্ভাবস্থায় হেমরয়েডস(পাইলস) বা অর্শঃ কারণ,লক্ষণ এবং প্রতিকারগুলি

গর্ভাবস্থায় হেমরয়েডস(পাইলস) বা অর্শঃ কারণ,লক্ষণ এবং প্রতিকারগুলি

গর্ভাবস্থা তার নিজস্ব কিছু শারীরিক পরিবর্তনের সাথে আসে এবং কিছু ক্ষেত্রে সেগুলি প্রকৃতই সুখকর নাও হয়ে থাকতে পারে।আপনি কিছুটা ফোলাফোলা অনুভব করবেন,গা গুলানি ও বমি বমি ভাবের অভিজ্ঞতা হবে এবং হয়ত বা আপনার তৃতীয় ত্রৈমাসিকে (কিছু ক্ষেত্রে আরও আগেও হতে পারে)আবার আপনি আপনার মলে রক্তের উপস্থিতিও লক্ষ্য করতে পারেন।হেমরয়েডস অথবা সাধারণ ভাবে পরিচিত পাইলস বা অর্শ গর্ভবতী মহিলাদের মধ্যে দেখতে পাওয়া একটি সাধারণ শর্ত।এগুলি মলদ্বারের রক্তক্ষরণের কারণে হয়ে থাকতে পারে এবং যা ভীষণ অস্বস্তির একটি কারণ হতে পারে।যদিও এগুলি চুলকানিযুক্ত এবং যন্ত্রণাদায়ক হয়ে থাকে,সেগুলি চিকিৎসাযোগ্য এবং সহজে প্রতিরোধ করাও যেতে পারে।এই নিবন্ধটি আপনাকে জানাবে হেমরয়েডস এবং গর্ভাবস্থায় কীভাবে এটিকে প্রতিরোধ করা যায় সে সম্পর্কে সমস্ত কিছু।

হেমরয়েডস বা অর্শ অথবা পাইলসগুলি কি?

হেমরয়েডসগুলি হল পায়ু বা মলদ্বারের নিম্নাংশে ফুলে ওঠা শিরা।এগুলির আকার মটরশুঁটির মত ক্ষুদ্র থেকে আঙ্গুরের দানার মত বৃহৎ আকারের মধ্যে পরিবর্তিত হতে পারে।গর্ভাবস্থায় সাধারণত দুধরনের হেমরয়েড বা অর্শ হতে দেখা যায়ঃ আভ্যন্তরীণ হেমরয়েডস এবং বাহ্যিক হেমরয়েডস।

বাহ্যিক হেমরয়েড যেটি গর্ভাবস্থায় বিকাশ পায় সেটি মলদ্বারের খোলা প্রান্তে দেখা যায়। এগুলি চুলকানিযুক্ত ও যন্ত্রণাদায়ক হতে পারে এবং মাঝেমধ্যে এগুলি থেকে রক্তক্ষরণও হতে পারে।এগুলি পিণ্ডের মত অনুভুত হতে পারে এবং সেগুলির চারপাশে যদি না রক্ত জমাট বেঁধে যায় তবে সাধারণত এর জন্য কোনও চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না।

অন্যদিকে,আভ্যন্তরীণ হেমরয়েডগুলি মলদ্বারের নালীতে হতে দেখা যায়।এগুলি সাধারণত যন্ত্রণাদায়ক হয় না,যদিও সেগুলি চুলকাতে পারে এবং মাঝেমধ্যে সেগুলি থেকে রক্তক্ষরণও হতে পারে।

হেমরয়েডস(পাইলস) বা অর্শ কি গর্ভাবস্থায় হওয়া স্বাভাবিক?

বিভিন্ন কারণের জন্য গর্ভাবস্থায় হেমরয়েডস হওয়া স্বাভাবিক।ক্রমবর্ধমান জরায়ু,কোষ্ঠকাঠিন্য এবং প্রোজেস্টেরণ হরমোনের আকস্মিক বৃদ্ধিপাওয়ার ফলে গর্ভবতী মহিলাদের মধ্যে পাইলস বা অর্শ হয়ে থাকে।মাঝেমধ্যে আবার পায়ের এবং স্ত্রীযোনিদ্বারের ভেরিকোস শিরার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ার ফলেও গর্ভাবস্থায় হেমরয়েডস বা অর্শ হয়ে থাকে।

কত দীর্ঘ সময় ধরে গর্ভাবস্থাকালীন হেমরয়েডগুলি বজায় থাকবে সে ব্যাপারে যদি আপনি চিন্তা করতে থাকেন,তবে সেক্ষেত্রে আপনার জন্য সুখবর রয়েছে।বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই,গর্ভাবস্থাকালীন পাইলস বা অর্শ সন্তানের জন্মদান করার পরমুহূর্ত থেকেই উধাও হয়ে যায়,বিশেষ করে সেটি যদি কোষ্ঠকাঠিণ্যের কারণে হয়ে থাকে যেহেতু প্রত্যাশিত মায়েদের দ্বারা এটি সহজেই এড়িয়ে যাওয়া যেতে পারে।

গর্ভাবস্থায় পাইলস বা অর্শ হওয়ার কারণগুলি কি?

শারীরিক পরিবর্তনগুলি যেগুলি গর্ভাবস্থার সহিত সংযুক্ত থাকে সেগুলি সরাসরি অর্শের বিকাশের উদ্ভব ঘটায়,কীভাবে তা এখানে দেওয়া হলঃ

  • ক্রমবর্ধমান জরায়ুঃ আপনার ক্রমবর্ধমান উদরদেশের সহিত সামঞ্জস্য রেখে আপনার জরায়ুটি ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে শুরু করার কারণে সেটি পেলভিক বা শ্রোণী শিরা এবং আভ্যন্তরীণ ভেনা কোভার(দেহের নিম্নাঙ্গ থেকে রক্তপ্রাপ্ত শিরা) উপর চাপ প্রয়োগ করে।এই চাপের কারণে দেহের নিম্ন অর্ধাংশ থেকে রক্ত প্রবাহ হ্রাস পায়এটি জরায়ুর নিম্নস্থ শিরাগুলির উপর চাপ বৃদ্ধি করে এবং তার ফলে সেগুলি ফুলে ওঠে।পরিভাষাগতভাবে বলা যায়,পাইলস বা অর্শ হল ডায়ালেটেড ভেরিকোস শিরার সমন্বয় যেটি মলদ্বারে গড়ে ওঠে যখন শিরার কপাটিকাগুলি(যেগুলির কাজ হল রক্ত প্রবাহের পশ্চাৎবর্তীতাকে প্রতিরোধ করা)চাপে সরে যায়।
  • কোষ্ঠকাঠিণ্য এবং অন্ত্রের গতিবিধিঃ গর্ভাবস্থাকালীন অর্শের আরেকটি কারণ হল কোষ্ঠকাঠিণ্যকোষ্ঠকাঠিণ্যের কারণে কঠিণ মল অপসারণের সময় যে চাপ সৃষ্টি হয় তা হেমরয়েডস বা অর্শকে আরও বাড়িয়ে তোলে কারণ এটি মলদ্বারের উপর প্রচণ্ড চাপ প্রদান করে।
  • প্রোজেস্টেরণ হরমোন নিঃসরণ বৃদ্ধিঃ প্রোজেস্টেরণ হরমোনের অতিরিক্ত ক্ষরণ হওয়ার ফলে তা শিরার প্রাচীরগুলিকে শিথিল করে এবং তার ফলে সেগুলি ফুলে ওঠে।এই একই হরমোন আবার গর্ভবতী মহিলাদের কোষ্ঠকাঠিণ্যের জন্যও দায়ী।
  • এই অবস্থার পূর্ব ইতিহাসঃ গর্ভাবস্থাকালে মহিলাদের মধ্যে প্রথমবার পাইলস বা অর্শ হয়ে থাকতে পারে কিন্তু যদি তাদের আগে কখনও অর্শ বা পাইলস হওয়ার কোনও পূর্ব ইতিহাস থাকে তবে সেক্ষেত্রে,তাদের গর্ভাবস্থায় হেমরয়েডস বা পাইলস হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল হয়ে থাকে।গর্ভাবস্থায় সাধারণত হেমরয়েডস বা অর্শ হয়ে থাকে হয় তৃতীয় ত্রৈমাসিকে অথবা গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় পর্যায়ে।এটি দেখা গেছে যে প্রসবোত্তর সময়কালে অর্শ বা পাইলস থেকে রক্তক্ষরণ অথবা অস্বস্তি হওয়াটাও বেশ স্বাভাবিক।

গর্ভবতী মহিলাদের হেমরয়েড বা অর্শ বা পাইলসের লক্ষণগুলি

গর্ভবতী মহিলাদের হেমরয়েড বা পাইলসের কিছু সাধারণ লক্ষণগুলি হলঃ

  • মলদ্বারে চুলকানি
  • মলদ্বারে জ্বলন
  • পায়ু ছিদ্রে যন্ত্রণা এবং ফুলে ওঠা
  • যন্ত্রণাদায়ক অন্ত্রের গতিবিধি
  • অন্ত্রের গতিবিধির সহিত রক্তক্ষরণ এবং যন্ত্রণা

অন্ত্রের গতিবিধির সহিত রক্তক্ষরণ হতে দেখা গর্ভবতী মহিলাদের পাইলস বা অর্শ হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণগুলির মধ্যে একটি।তবে এটিও মনে রাখা গুরুত্বপুর্ণ যে পাইলস বা অর্শ তাই বলে সবসময়ই মলদ্বারের রক্তক্ষরণের কারনে হয়ে থাকে না।সুতরাং হেমরয়েডস বা পাইলসের চিকিৎসা শুরু করার পূর্বে এই সমস্যাটির সঠিক কারণটি কি তা সঠিকভাবে নির্ধারণ করা প্রয়োজন।

গর্ভাবস্থায় হেমরয়েডস (পাইলস) বা অর্শ থেকে কীভাবে পরিত্রাণ পাওয়া যেতে পারে?

সাধারণ উপলব্ধি ছাড়াও এটি জানা প্রয়োজন যে গর্ভাবস্থাকালে হয়ে থাকা হেমরয়েডস বা পাইলসের নিরাময় করা যেতে পারে।গর্ভবতী মহিলাদের হেমরয়েডস বা অর্শের জন্য ঘরোয়া প্রতিকারগুলির পাশাপাশি কতকগুলি ক্লিনিক্যাল চিকিৎসাও রয়েছে।

ডাক্তারি চিকিৎসা

গর্ভাবস্থায় পাইলসের অস্বস্তি এবং যন্ত্রণা থেকে সাময়িক মুক্তির জন্য এর চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে সাপোজিটোরি এবং অয়েনমেন্টগুলির ব্যবহার,যার মধ্যে আবার স্থানীয় অ্যানেসথেটিকস,হালকা অ্যাস্ট্রিজেন্টস অথবা স্টেরয়েডগুলি অন্তর্ভূক্ত।তবে গর্ভাবস্থায় এই পণ্যগুলি ব্যবহারের সুরক্ষার বিষয়টি কোথাও নিশ্চিতকরণ বা নথিভূক্তকরণ হয়নি।আর সেই কারণেই এই সকল ওষুধ বা পণ্যগুলির কোনও একটিও ব্যবহারের পূর্বে আপনার ডাক্তারেওবাবুর পরামর্শ নিয়ে নেওয়া অত্যন্ত জরুরী।

যদি যন্ত্রণাটি অব্যাহত থাকে তবে নিম্নলিখিত কিছু অস্ত্রপচার ব্যতীত চিকিৎসা পদ্ধতি গর্ভাবস্থায় পাইলসের চিকিৎসার ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে।

  • বাইপোলার কোয়াগুলেশন যা অভ্যন্তরীণ হেমোরয়েডগুলির রক্ত ​​প্রবাহ বন্ধ করার ক্ষেত্রে বিশেষ প্রোব ব্যবহৃত হয়
  • কখনও কখনও হেমোরয়েডগুলির রক্ত ​​প্রবাহ বন্ধ করার জন্য একটি গিঁট বাঁধা হয় এই পদ্ধতিটিকে হেমরয়ডাল আর্টেরিয়াল লাইগেশন বলা হয়ে থাকে।
  • রবার ব্যান্ডিং বা রবারের বাঁধন হল অপর আরেকটি চিকিৎসা পদ্ধতি যার দ্বারা একটি রবারের ব্যান্ডকে পাইলসের উপর স্থাপন করা হয় রক্ত প্রবাহ বন্ধ করার জন্য।এটি পাইলসকে দ্রুত হ্রাস করে।
  • ফ্রিজিং নামক একটি পদ্ধতিতে কলাটিকে হিমায়িত করতে তরল নাইট্রোজেন ব্যবহার করা হয় যাতে নতুন কলা গঠিত হতে পারে

অর্শের জন্য অস্ত্রপচারের প্রয়োজন কেবল তখনই হয়ত হতে পারে যদি রক্তক্ষরণকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনা না যায় এবং সেই ক্রিয়াটি কেবল তখনই সম্পাদন করা হয়ে থাকে যখন সেটি আপনার ডাক্তারবাবুর দ্বারা পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।

ঘরোয়া চিকিৎসা

মজার ব্যাপার হল,গর্ভাবস্থায় পাইলসের চিকিৎসার জন্য ঘরোয়া প্রতিকারগুলি অনেক বেশি নিরাপদ এবং উচ্চ মাত্রায় সুপারিশকৃত।অধিকাংশ ক্ষেত্রেই,পাইলসের চিকিৎসা করা যেতে পারে খাদ্যে আঁশযুক্ত খাবারের পরিমাণ বৃদ্ধি করে,প্রতিদিন জল খাওয়ার পরিমাণকে বাড়ানোর দ্বারা মলকে নরমীকরণ করার মাধ্যমে এবং অর্শের জন্য বেদনানাশক ওষুধগুলি ব্যবহার করার মাধ্যমে।অন্যান্য কার্যকর প্রতিকারগুলির মধ্যে অন্তর্ভূক্ত হলঃ

  • প্রভাবিত এলাকার উপর বরফের প্যাকের প্রয়োগ করা।এটি এলাকাটির ফুলে ওঠা এবং জ্বলন হ্রাসে সহায়তা করে থাকে।
  • উষ্ণ জল পূর্ণ একটি বাথটাবের মধ্যে নিজেকে ভালভাবে সিক্ত করে রাখুন।এটি আপনার যন্ত্রণা এবং জ্বলন উপশমে সাহায্য করবে।যখনই সম্ভব হবে উষ্ণ স্নান করুন।অস্বস্তি থেকে মুক্তি পেতে নিজেকে 10-15 মিনিটের জন্য জলে সিক্ত করে রাখুন।এটি দেহের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং এই অবস্থার থেকে মুক্তি দেয়।
  • গর্ভবতী মহিলাদের পাইলসের চিকিৎসায় ঠাণ্ডাগরম কমপ্রেসটিও ভীষণ কার্যকর একটি বিকল্প।
  • প্রায় সবরকম ত্বকের সমস্যা নিরাময়ের গুণগুলিই বেকিং সোডার মধ্যে রয়েছে!তাই চুলকানি ভাবটি হ্রাস করার জন্য প্রভাবিত এলাকাটিতে বেকিং সোডা প্রয়োগ করতে পারেন।
  • প্রতিটি অন্ত্রের গতিবিধির পরে প্রভাবিত এলাকাটিকে সুগন্ধিহীন নরম টয়লেট টিস্যুগুলির দ্বারা ভালভাবে মুছে পরিষ্কার করার মাধ্যমে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখুন।
  • ফোলা অথবা চুলকানি হ্রাস করতে জাদুকরী হ্যাজেল অয়েনমেন্ট/প্যাডগুলি প্রয়োগ করুন।এই ভেষজটিতে প্রশমনকারী গুণাগুনগুলি রয়েছে যা এই শর্তটির ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে।

গর্ভাবস্থায় কীভাবে হেমরয়েডস বা পাইলস প্রতিরোধ করবেন

হেমরয়েডস বা অর্শ,বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় প্রকৃতই কষ্টকর এবং বিরক্তিজনক হয়ে ওঠে।তবে ভাগ্যবশত,কিছু সাবধানতা অবলম্বন এবং সাধারণ জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনয়নের মাধ্যমে সেগুলিকে এড়িয়ে চলা যেতে পারে।

  • আপনার ডায়েটে ফাইবার বা আঁশযুক্ত খাদ্যগুলিকে সংযুক্ত করুনঃ আপনার ডায়েটে আঁশবহুল খাদ্যগুলির সংযোজন এক্ষেত্রে বেশ সহায়ক হতে পারে কারণ এগুলি অন্ত্রের গতিবিধিকে সহজ করে তোলে এবং তার ফলে কোষ্ঠকাঠিণ্য সহজেই সেরে ওঠে।
  • সঠিক পরিমাণে জল গ্রহণ বজায় রাখুনঃ কোষ্ঠকাঠিণ্যকে নিয়ন্ত্রণে রাখার অপর একটি উপায় হল প্রচুর পরিমাণে জল পান করা।যখন আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করেন না তখন আপনার দেহটির কোলন থেকে কিছুটা তরল শুষে নেওয়ার প্রবণতা থাকে,ফলে অঞ্চলটি শুকিয়ে যায় এবং তার ফলে অন্ত্রের গতিবিধিতেও সমস্যা ঘটে থাকে।
  • চাপের ইঙ্গিত পেলে প্রতিক্রিয়া করুনঃ আপনি পেটে চাপ অনুভব করা মাত্র বা অন্ত্রের গতি অনুভব করার সাথে সাথে টয়লেটে ছুটে যান।এটি পিছনের পায়ু অঞ্চলে চাপ ফেলে মল অপসারণে সহায়তা করে।
  • অঙ্গ বিন্যাসের দিকে মনযোগ দিনঃ গর্ভাবস্থায় খুব দীর্ঘ সময়ের জন্য একটানা একভাবে দাঁড়িয়ে বা বসে থাকবেন না।অঙ্গ সঞ্চালনা দেহে সঠিক রক্ত প্রবাহ বজায় রাখে এবং তার ফলে অর্শ বা পাইলস হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস পায়।
  • কেগেল ব্যায়ামগুলি অনুশীলনের চেষ্টা করে দেখুনঃ কেগেল অনুশীলনের পুনরাবৃত্তির ফলে তা মলদ্বার অঞ্চলে রক্ত প্রবাহকে বৃদ্ধি করে যা পরিশেষে হেমরয়েডস বা পাইলস হওয়ার সম্ভাবনাকে হ্রাস করে।

আপনার স্বাস্থ্য পরিষেবাকারীকে কখন দেখাতে পারেন?

যদি প্রতিষেধক ব্যবস্থাগুলি এবং ঘরোয়া প্রতিকারগুলি আপনার সাহায্যার্থে ব্যর্থ হয়ে থাকে এবং যন্ত্রণাটি যদি আরও গুরুতর হতে থাকে অথবা মলদ্বার থেকে রক্তক্ষরণের অভিজ্ঞতা হয়ে থাকে তবে সেক্ষেত্রে একজন ডাক্তারকে দেখানোর পরামর্শই দেওয়া হয়ে থাকে। যদি অর্শ বা পাইলসটি বৃহৎ আকারে হয়ে ওঠে এবং রক্তক্ষরণ হতে থাকে,তবে একজন বিশেষজ্ঞ সেটিকে সঙ্কুচিত করার ক্ষেত্রে সহায়তা করতে পারবেন।

উপসংহার

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গর্ভবতী মহিলাদের হেমরয়েডস বা পাইলসগুলি শুধুমাত্র ওষুধের দ্বারাই চিকিৎসা করা যেতে পারে।যদিও এটি একটি সাধারণ এবং বেশিরভাগটাই গৌণ যন্ত্রণাদায়ক ব্যাপার,তবে সময়মত চিকিৎসা করা না হলে হেমরয়েডস আরও বড় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।যদিও ঘরোয়া প্রতিকারগুলি এক্ষেত্রে প্রায়শই স্বস্তি সরবরাহ করে থাকে,তবে সমস্যাটি যদি অব্যাহত থাকে আপনার ডাক্তারের সহায়তার প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।