In this Article
আপনি যদি প্রথমবার একজন মা হয়ে থাকেন,আপনি এমন একটি অবস্থার অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারেন যাকে বলা হয় ‘স্তনবৃন্তের ক্ষত’।এটি হয়ে থাকে স্তনপান করানোর সময় শিশুর ভুল অবস্থানের কারণে।প্রতিটি নতুন মায়েদের ক্ষেত্রেই এটি বুঝে উঠতে সময় লাগে যে স্তনপান করানোর সময় কীভাবে এবং কোন অবস্থানে তারা তাদের সন্তানকে রাখবেন।প্রতিবার খাওয়ানোর পরেই আপনি ক্রমাগত উদ্বিগ্ন হয়ে উঠতে পারেন এই ভেবে যে আপনি হয়ত সেটি কার্যকরভাবে সম্পাদন করে উঠতে পারেন নি এবং আপনার সন্তান হয়ত এখনও ক্ষুধার্ত রয়েছে।স্তনবৃন্তের ক্ষতের বিভিন্ন কারণগুলির তদারকি আমরা করব এবং তার সাথে সেগুলির চিকিৎসা করার জন্য প্রাকৃতিক ঘরোয়া প্রতিকারের একটি সম্পূর্ণ তালিকা প্রদান করব।
স্তনবৃন্তে ক্ষত সৃষ্টি হওয়ার কারণগুলি কি?
- ক্ষতযুক্ত স্তনবৃন্তের সর্বাধিক সাধারণ কারণ হল আপনার স্তনবৃন্তের উপর বাচ্চার মুখের ভুল অবস্থান।এর ফলে ঘষা লাগার কারণে স্তনবৃন্তগুলি শুষ্ক হয়ে উঠতে এবং ফেটে যেতে পারে।
- কিছু বাচ্চা আবার দৃঢ় ভাবে স্তন পান করতে পারে যা স্তনবৃন্তে ক্ষত এবং নমনীয়তা সৃষ্টি হওয়ার কারণ হতে পারে।
- জন্মদান করার পর,আপনার স্তন দুধের জন্য ফুলে ওঠে।যদিও এটির সরবরাহ সময়ের সাথে সাথে স্থিতিশীল হয়,ভারী স্তনগুলির ফলে স্তনবৃন্তে ফাঁটল ও ক্ষতের সৃষ্টি হতে পারে।
- যে সকল বাচ্চার জিহ্বায় বাঁধা(আঙ্কাইলোগ্লসিয়া) আছে তারাও আবার এই কারণের জন্য স্তন পান করার বিষয়টিকে কঠিন করে তুলতে পারে।
- কিছু বিরল ক্ষেত্রে,স্তনবৃন্তের ক্ষত আবার ব্রেস্ট ক্যান্সার অথবা সংক্রমণের মতো সমস্যার গুরুতর কারণ হয়ে উঠতে পারে।আপনি যদি এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন তবে সেক্ষেত্রে আপনি একজন পেশাদারী ডাক্তারের মতামত নিতে পারেন।
কিছু মানুষ ভেবে থাকেন যে স্তন পান করানোর সময় স্তনবৃন্তে ক্ষত সৃষ্টি হওয়া স্বাভাবিক এবং সেটি নিজে থেকেই সেরে যাবে।এটি একটি পুরাকথা।কিন্তু প্রকৃত বাস্তবে,আপনার মধ্যে যদি এই অবস্থাটি হয়ে থাকে,আপনার একজন প্রশিক্ষিত ল্যাকটেশন পরামর্শদাতার সাথে দেখা করা উচিত যিনি আপনার স্তনের ক্ষতের চিকিৎসার জন্য আপনাকে কোনও ক্রীম অথবা অয়েনমেন্ট প্রদান করবেন।আপনি যদি আধুনিক ওষুধগুলির উপর নির্ভর করতে না চান,তবে সেক্ষেত্রে অসংখ্য ঘরোয়া প্রতিকার রয়েছে স্তনবৃন্তের ক্ষত চিকিৎসার জন্য।
স্তনপান করানোর কারণে স্তনবৃন্তে সৃষ্ট হওয়া ক্ষতের চিকিৎসার জন্য 15 টি ঘরোয়া প্রতিকার
স্তনবৃন্তের ক্ষত হল এমন একটি শর্ত যেটি সহজেই বাড়িতে চিকিৎসা করা যেতে পারে।স্তনপান করানোর কারণে স্তনবৃন্তে সৃষ্ট হওয়া ক্ষতের চিকিৎসার জন্য প্রাকৃতিক প্রতিকারগুলির একটি তালিকা নিম্নে দেওয়া হলঃ
1. অ্যাপেল সীডার ভিনিগার
এক কাপ জলের সাথে বড় এক চামচ অ্যাপেল সীডার ভিনিগার মিশ্রিত করুন।আপনার সন্তানকে স্তন পান করানোর পর,একটি তুলোর বলকে ঐ মিশ্রণের মধ্যে ডুবিয়ে নিন এবং অতিরিক্ত তরলটিকে নিংড়ে নিন।এরপর স্তনবৃন্ত এবং স্তনবৃন্তের চারপাশের গোলাকার ঈষৎ রঞ্জিত স্থানের ওপর ধীরে ধীরে সেটির প্রলেপ দিন।এই মিশ্রণটি যেকোনও ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করবে এবং স্তনবৃন্তকে পরিষ্কার রাখবে।এটি করার পর,বড় এক চামচ কাঁচা নারকেল তেল নিয়ে সেটিকে স্তনবৃন্তের উপর প্রয়োগ করুন।এটি নিশ্চিত করবে যে স্তনবৃন্তটি শুষ্ক হয়ে উঠবে না এবং ফাটল পড়বে না।
2. টি ট্রী অয়েল বা চা-গাছের তেল
ঈষদুষ্ণ জলের সাথে কয়েক ফোঁটা টি ট্রী অয়েল মিশ্রিত করুন।একটি সুতির কাপড়ের টুকরো নিয়ে সেটিকে তার মধ্যে ভিজিয়ে নিন এবং সেটিকে ধীরে ধীরে স্তনবৃন্তের উপর প্রয়োগ করুন।সেগুলিকে শুকিয়ে যেতে দিন এবং তারপর পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে নিন।স্তনবৃন্তের ক্ষত চিকিৎসায় এটি একটি কার্যকর এবং যথার্থ উপায়।
3. বুকের দুধ প্রয়োগ
এটি একটি স্বতন্ত্র উপায় এবং মাঝেমধ্যে বুকের দুধ নিজেই স্তনবৃন্তের ক্ষত নিরাময়ের সবচেয়ে সেরা প্রতিকার হয়ে উঠতে পারে।এর কারণ হল বুকের দুধে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য থাকে এবং ক্ষত,শুষ্কতা অথবা স্তনবৃন্তের ফাটলের নিরাময়ে সাহায্য করতে পারে।স্তন পান করানোর পর দিনে 4-5 বার আপনার স্তনবৃন্তের উপর কিছুটা বুকের দুধ প্রয়োগ করুন।
4. বরফের টুকরো
ঠাণ্ডা কমপ্রেসগুলি বেদনাদায়ক স্তনবৃন্তের ক্ষতকে প্রশমিত করতে কাজে আসতে পারে। একটি সুতির কাপড়ের মধ্যে কিছু বরফের টুকরো রাখুন এবং আপনার স্তনবৃন্তের উপর প্রায় দশ মিনিট ধরে আলতো করে এটির চাপ প্রয়োগ করুন।স্বস্তি পাওয়ার জন্য আপনি এই পদ্ধতিটি নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন।
5. অলিভ অয়েল বা জলপাই তেল
ঈষদুষ্ণ জলের মধ্যে এক ফোঁটা চা-গাছের তেল এবং বড় এক চামচ জলপাই তেল মিশ্রিত করুন।এই মিশ্রণটির মধ্যে একটি তুলোর বলকে ভিজিয়ে নিয়ে সেটিকে আপনার স্তনবৃন্তের ক্ষতের উপর প্রলেপ লাগান।স্বাভাবিকভাবে এটিকে শুকিয়ে যেতে দিন,এরপর পরিষ্কার জল দিয়ে সেই জায়গাটিকে ধুয়ে নিয়ে চাপড় মেরে শুকিয়ে নিন।এটি আপনার স্তনবৃন্তের শুষ্কতা এবং ক্ষত থেকে উপশম পেতে সাহায্য করবে।
6. অ্যালো ভেরা বা ঘৃতকুমারী
ঘৃতকুমারীর শীতল বৈশিষ্ট্যের জন্য এটি পরিচিত।অ্যালো ভেরা গাছের একটি পাতা নিয়ে সেটিকে চিঁড়ে নিন এবং চামচের সাহায্যে তার মধ্যস্থ জেলটিকে বের করে আনুন।এবার ধীরে ধীরে সেই জেলটিকে আপনার ক্ষত স্তনবৃন্তের উপর প্রয়োগ করুন।
7. টি ব্যাগ
গরম জলের মধ্যে কিছু ক্যামোমাইল টি ব্যাগকে কিছু সময়ের জন্য ভিজিয়ে রাখুন।এরপর জল থেকে সেগুলিকে বের করে আনুন এবং সেগুলিকে ঠাণ্ডা করে একটি আরামদায়ক তাপমাত্রায় নিয়ে আসুন।এবার টি ব্যাগের মধ্যস্থ অতিরিক্ত জলকে নিংড়ে বের করে নিয়ে আপনার স্তনবৃন্তের উপর সেগুলিকে স্থাপন করুন।এটি একটি শীতল প্রভাব তৈরী করবে।আপনার সন্তানকে স্তন পান করানোর আগে আপনার স্তনবৃন্তগুলিকে ধুয়ে নেওয়ার কথা মনে রাখবেন।
8. তুলসী পাতা
ত্বকের বহু সংক্রমণের চিকিৎসায় তুলসী পাতা ব্যবহার করা হয়ে থাকে,এর দুর্দান্ত নিরাময় বৈশিষ্ট্য রয়েছে।এগুলি আপনার স্তনের ক্ষত এবং ফাটল থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করতে পারে।এক কাপ তুলসী পাতা নিয়ে সেগুলিকে পরিষ্কার জল দিয়ে ভালভাবে ধুয়ে নিন।এরপর সেগুলিকে চূর্ণ করে একটি পেষ্ট বানান এবং সেই পেষ্টের সাথে এক চা-চামচ মধু যোগ করুন।আপনার স্তনবৃন্তের উপর এই মিশ্রণটিকে প্রয়োগ করে সেটিক 30 মিনিটের জন্য রেখে দিন এবং বাচ্চাকে স্তন পান করানোর আগে সেটিকে ধুয়ে নিন।সর্বোত্তম প্রভাব প্রভাব পাওয়ার জন্য এটিকে দিনে 3-4 বার করুন।
9. স্বাস্থ্যবিধি
স্তনবৃন্তের ক্ষত প্রতিরোধের জন্য,ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধির দিকে নজর দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।কেবল পরিষ্কার এবং নরম ব্রা-ই পরিধান করুন এবং প্রতিদিন আপনার ব্রা পরিবর্তন করুন।আপনার ব্রা ধোওয়ার সময় কেবল হালকা ধরনের জামা-কাপড় কাঁচার সাবানই ব্যবহার করুন এবং কোনও কঠোর প্রকৃতির সাবানকে বেছে নেবেন না যা আপনার স্তনবৃন্তে জ্বালার সৃষ্টি করে ক্ষত তৈরী করতে পারে।
10.সঠিক অবস্থানঃ
স্তনবৃন্ত ক্ষতের সর্বাধিক সাধারণ কারণ হল বাচ্চাকে স্তনপান করানোর সময় অযথাযথ অবস্থান।একটি সঠিক অবস্থান বজায় রাখা নিশ্চিত করে যে সম্পূর্ণ স্তনবৃন্তটি এবং আপনার স্তনের কিছুটা অংশ বাচ্চার মুখের মধ্যে থাকে,যার ফলে স্তনবৃন্তটি তার হাতের তালুর কাছাকাছি থাকে।যদি এই অবস্থানটি বজায় রাখা যায় এবং আপনি আপনার হাতের ব্যবহার কম করেন,আপনি দেখতে পাবেন যে,বেশিরভাগ সময়েই,বাচ্চা ভালভাবে স্তন-দুধ পান করবে।স্তন পান করানোর জন্য যদি আপনি একটি সঠিক অবস্থান পেতে চান,আপনি একটি ব্রেস্টফিডিং বালিশ ব্যবহারের চেষ্টা করতে পারেন।
11. ভিটামিন C
ভিটামিন C গ্রহণের পরিমাণ বাড়ানো স্তনবৃন্তের ক্ষত এবং ফাটলের প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।পাতা কপি,ব্রকোলি,পার্সলে,ঘন্টা মরিচের মত সবুজ শাক-সবজি এবং কমলা লেবু,পেঁপে,পেয়ারা,কিউয়ি,তরমুজ,আমলকি এবং এরকম আরও নানা ধরনের ফল আরও বেশী পরিমাণে খান।
12. অ্যালকোহল
স্তনবৃন্তের ক্ষতে অ্যালকোহলের প্রয়োগ বেশ কিছুটা স্বস্তি আনতে পারে।স্পঞ্জের একটি ছোট টুকরোকে কিছুটা অ্যালকোহলের মধ্যে ভিজিয়ে নিয়ে সেটিকে স্তনবৃন্তের উপর হালকা করে ঘষে নিন।বাচ্চাকে স্তন পান করানোর আগে সেটিকে অবশ্যই ভাল করে ধুয়ে নেওয়ার ব্যাপারটিকে সুনিশ্চিত করুন।
13. ক্যালেণ্ডুলা ফুল/তেল
স্তনবৃন্তের ক্ষত এবং ফাটল নিরাময়কারী হিসেবে ক্যালেণ্ডুলা ফুল পরিচিত। 1-2 টি ক্যালেণ্ডুলা ফুলকে ভাল করে চূর্ণ করে নিয়ে একটি পেষ্ট বানান।এবার সেই পেষ্টটিকে আপনার স্তনবৃন্তের ক্ষতের উপর প্রয়োগ করুন এবং এটিকে নিজে থেকেই শুকিয়ে যেতে দিন।আপনি আবার সম পরিমাণ ক্যালেণ্ডুলা ও জলপাই তেল নিয়ে একসাথে মিশ্রিত করে একটি মিশ্রণ প্রস্তুত করে সেটি ব্যবহার করতে পারেন অথবা ক্যালেণ্ডুলা অয়েনমেন্ট নিয়ে সেটিকে আপনার স্তনবৃন্তের ক্ষতের উপর প্রয়োগ করুন।
14. উষ্ণ তেলের কম্প্রেস
তেল আপনার স্তনবৃন্তকে আদ্র রাখে এবং সেটির শুষ্ক ভাবকে হ্রাস করতে সাহায্য করে।আপনার পছন্দের যেকোনও তেল নিয়ে সেটিকে গরম করে নিন।উপশমের জন্য সেটি দিয়ে দিনে 3-4 বার আপনার স্তনবৃন্তের উপর মালিশ করুন কিন্তু আপনার শিশুকে প্রতিবার স্তন পান করানোর আগে সেটি অবশ্যই ভাল ভাবে ধুয়ে নেবেন।
15. কোনও রকম সাবান এবং রাসায়নিক ব্যবহার করবেন না
স্নানের সময় আপনার স্তনবৃন্তগুলির উপর কোনও রকম সাবান বা বডি ওয়াশ ব্যবহার না করার দিকে খেয়াল রাখুন।শুধুমাত্র ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে আপনার স্তনবৃন্তগুলি ধুয়ে পরিষ্কার করুন এবং হাওয়ায় সেগুলিকে শুকিয়ে যেতে দিন।সাবানগুলিতে কঠোর রাসায়নিক থাকে যা আপনার স্তনবৃন্তগুলিকে ভঙ্গুর এবং ফাটলযুক্ত করে তুলতে পারে।এছাড়াও আপনার স্তন অথবা স্তনবৃন্তের উপর কোনও রকম পাউডার,ডিওড্রেন্ট অথবা কোলন ব্যবহার না করার বিষটিকে নিশ্চিত করুন।
স্তনবৃন্তের ক্ষতের সহিত আপনার কি বাচ্চাকে স্তন পান করানো উচিত?
স্তনবৃন্তের ক্ষত আপনার জন্য অস্বস্তিকর হয়ে উঠবে ঠিকই কিন্তু এটি বাচ্চার উপর কোনও প্রভাব ফেলবে না।তবে যদি আপনার স্তনবৃন্ত ফেটে গিয়ে রক্ত ঝরতে থাকে,আপনাকে এ ব্যাপারটি অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে,আপনার বাচ্চার মুখের ভিতর যেন সেই রক্ত প্রবেশ না করে যদি সেটি হয়ে থাকে,আপনার ডাক্তারবাবুর কাছে এটিকে আপনার উল্লেখ করা উচিত।স্তনবৃন্তের ক্ষত আবার ভুল ভাবে বাচ্চাকে স্তন পান করানোর একটি লক্ষণও হতে পারে যার ফলে আপনার সন্তানের সঠিক ভাবে খাওয়া হয় না এবং তাকে ক্ষুধার্ত করে রাখে।এই কারণের জন্য তার ওজন বৃদ্ধিলাভ নাও হতে পারে।এই সব ক্ষেত্রে,সর্বদা ডাক্তারের সাথে আলোচনা করুন,কারণ এটি এই লক্ষণগুলির একটি সংকেত চিহ্ন হতে পারে।
স্তনবৃন্তের ক্ষত একটি বিরক্তি এবং অস্বস্তির বিষয়,সুতরাং এটি প্রতিরোধের জন্য আপনার যথেষ্ট পরিমাণে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত এবং/অথবা সেগুলির সঠিক চিকিৎসা করা উচিত।সর্বদা পরিষ্কার ব্রা ব্যবহার করুন এবং সেগুলিকে কোনও হালকা ধরনের কাপড় কাঁচার সাবান ব্যবহার করে ধুয়ে নিন।যে ঘরোয়া প্রতিকারই আপনি ব্যবহার করুন না কেন,আপনার ছোট্ট সোনাকে স্তন পান করানোর আগে অবশ্যই স্তনবৃন্তগুলিকে পরিষ্কার জলে ধুয়ে নেওয়ার কথা মনে রাখবেন।দোকান থেকে ক্রয় করা যেকোনও অয়েনমেন্ট বা ক্রীমের তুলনায় প্রাকৃতিক প্রতিকারগুলি সর্বদাই ভাল।বাচ্চাকে স্তনপান করানোর সময় একবার আপনাদের অস্থানটিকে সঠিক করতে পারলেই,আপনাকে আর স্তনবৃন্তেরর ক্ষত সম্পর্কে চিন্তা করতে হবে না।