In this Article
35 বছর বয়সের পরে গর্ভবতী হওয়া অনেক দম্পতির কাছেই একটা চ্যালেঞ্জের বিষয়।পরীক্ষা করে দেখা গেছে, বয়স বাড়ার ফলে আপনার ডিম্বাণুর সংখ্যা কমে যায়।তার অর্থ হল এই,আপনার প্রজননের হারের পতন হতে শুরু করে যত তাড়াতাড়ি 30 বছরের কাছাকাছি বয়সে পৌঁছন।সুতরাং এর অর্থ কি আপনাকে সন্তান নেওয়ার আশা ত্যাগ করে কোনও দত্তক নেওয়ার সংস্থার খোঁজ করতে হবে? না! আমরা এখানে আলোচনা করব 35 বছর বয়সের পরে শরীর কীভাবে কাজ করে এবং একটি সুখী গর্ভাবস্থা পেতে আপনার কী কী করা প্রয়োজন।
প্রজননের ক্ষেত্রে কি বয়স প্রভাব ফেলে?
হ্যাঁ, প্রজননের উপর বয়সের প্রভাব পড়ে।যেহেতু শরীরের বয়স বাড়ে, বিভিন্ন চিকিৎসাগত শর্ত এবং দীর্ঘ মেয়াদি রোগের যেমন–ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ জনিত কারণে সেটি ক্রমশ উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে পড়তে শুরু করে। ফলে সমস্যা বাড়তেই থাকে।
35 বছর বয়সের পরে গর্ভাবস্থায় সমস্যা
ভুললে চলবে না,35 বছরের পরে গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন ধরণের ঝুঁকি ক্রমশ বাড়তে থাকে বিভিন্ন চিকিৎসাগত শর্ত এবং আরও অন্যান্য অনেক কারণের জন্য।এখানে সেরকমই কিছু নমুনা উল্লেখ করা হল আপনার সচেতনতার প্রয়োজনে।
- কম ওজনের সন্তানের জন্মদান, অকাল প্রসব,এবং জন্মগত ব্যাধি
- একাধিক গর্ভাবস্থার ঝুঁকি (যমজ,তিনটি এবং কখনো চারটি পর্যন্ত)
- প্রজননের সমস্যার সাথে যুক্ত হয় গর্ভধারণের সমস্যা ওভুলেশন পর্বে কম ডিম্বাণুর জন্য
- পূর্ব বিদ্যমান ডায়বেটিস, যা অন্তর্দেশীয় বিভিন্ন অঙ্গের ক্ষতি করে এবং প্রজনন সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
- গর্ভাবস্থার ডায়বেটিস এবং দীর্ঘস্থায়ী চিকিৎসাগত অবস্থা যেমন–প্রিক্ল্যাম্পসিয়া,হাইপারটেনশন ইত্যাদি
- মৃত শিশুর জন্মদান (যখন গর্ভের অভ্যন্তরে শিশুর মৃত্যু ঘটে গর্ভাবস্থার 20 সপ্তাহ পরে),গর্ভস্রাব এবং জন্মগত ত্রুটি (যেমন–ডাউনসিন্ড্রোম এবং ক্রমোজোমের অস্বাভাবিকতা নিয়ে শিশু জন্মগ্রহণ করতে পারে)।
35 বছরের পর একটি স্বাস্থ্যকর গর্ভাবস্থা পেতে কী কী পরীক্ষা করানোর প্রয়োজন?
গর্ভবতী মায়েদের জন্মপূর্বক একটি প্রারম্ভিক পরীক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবায় ইভালুয়েশন এর পরীক্ষা গুলি বেশী প্রাধান্য পায়।শেষ মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করবেন না এবং নিশ্চিত করুন গর্ভাবস্থার আগে এবং পরে নিম্নলিখিত পরীক্ষাগুলি করাবেন।
পূর্ব গর্ভাবস্থার পরীক্ষা
দুটি প্রধান সমস্যা যেগুলি এই সময়ে বাড়তে থাকে সেগুলি হল প্রজননের সমস্যা অথবা প্রয়োজনীয় ডায়েট/মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা।এইসব ক্ষেত্রে, এটি অনুরোধ করা হয় যে,আপনি আপনার স্থানীয় চিকিৎসা পেশাদারের সাথে আলোচনা করুন এবং আপনার স্বাস্থ্যের জন্য একটি অত্যাধুনিক ইভালুয়েশন গ্রহণ করুন। পুর্ব গর্ভাবস্থার পরীক্ষার থেকে জানা যাবে আপনি গর্ভধারণের জন্য উপযুক্ত কিনা।
- পূর্ব ধারণা পেতে কাউন্সেলিং এবং মেডিকেল বা ডাক্তারি ইভালুয়েশন করান।আপনার চিকিৎসাগত ইতিহাস ডাক্তারের কাছে সম্ভ্রমের সাথে বলুন।এগুলির মধ্যে থাকে জীনগত স্বাস্থ্যের অবস্থা যা পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বহন হয়ে আসছে।এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহারযোগ্য হয় এটি চিহ্নিত করার জন্য যে আপনার বাচ্চাটি কোনোরকম জন্মগত ত্রুটি এবং ক্রোমোজোমের সমস্যার ঝুঁকি নিয়ে জন্মাবে কিনা।
- আপনি কি কোনও দীর্ঘমেয়াদী রোগে যেমন ডায়বেটিস, উচ্চরক্তচাপ অথবা ডিপ্রেশনে ভুগছেন?যদি হ্যাঁ হয় তবে সময় হয়েছে সেগুলি চিকিৎসা করানোর, গর্ভধারণ বেছে নেওয়ার আগে।
- মায়ের অতিরিক্ত ওজন এবং অস্বাভাবিক স্থূলতা মারাত্মক ঝুঁকি হয়ে দাঁড়ায় যা গর্ভাবস্থার বিকাশে সমস্যা আনে যেমন গর্ভাবস্থার ডায়বেটিস এবং প্রিক্ল্যাম্পসিয়া।আপনার ওজন হ্রাস করুন এবং পুষ্টিকর খাদ্য পরিকল্পনা শুরু করুন (যার মধ্যে যোগ–ব্যায়াম ও সংযোজিত থাকে) অতিরিক্ত ওজন পরিত্যাগ করতে এবং নিরাপদ গর্ভাবস্থার প্রস্তুতি নিতে।
- 400 এম সি জি ফলিক অ্যাসিড মাল্টিভিটামিন সম্পূরকগুলি সুপারিশ করা হয় সেই সকল মহিলাদের জন্য যারা গর্ভধারণের পরিকল্পনা করছেন।ফলিক অ্যাসিড শরীরে সঠিক কোষ এবং কলার বিকাশ ঘটায় এবং দূর করে বাচ্চার জন্মগত এবং স্নায়বিক টিউবের বিকাশের ক্ষেত্রে ত্রুটি গুলি।
- ধূমপান, অতিরিক্ত মাত্রায় প্রেসক্রিপশনের উল্লেখিত ওষুধ সেবন এবং অবৈধ ওষুধের ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।এগুলি শুধুমাত্র আপনার জন্যই ক্ষতিকারক নয় ভ্রূণের স্বাস্থ্যেও প্রবল ঝুঁকি নিয়ে আসতে পারে। কিছু সমস্যা এতটাই এঁটে বসে যে সেগুলির কারণে অকাল প্রসব এবং কম ওজনের সন্তানের জন্ম হয়।
- বাড়িতে এবং বহিরাঙ্গনে অনিরাপদ রাসায়নিক গুলির ব্যবহার এড়িয়ে চলুন,সেই সকল রাসায়নিক পদার্থগুলির মধ্যে কিছু কাপড় কাঁচার সাবান এবং ক্লিনিং পাউডার–ও অন্তর্গত।এইগুলিও বাচ্চার জন্মগত ত্রুটি আনতে পারে।
গর্ভধারণের পরবর্তী পরীক্ষা
অভিবাদন!আপনি গর্ভবতী হয়েছেন।গর্ভধারণের পরবর্তী পরীক্ষা গুলি এখন আপনার করা প্রয়োজন।
- একটি স্বাস্থ্যকর অবস্থা পেতে আপনার প্রয়োজনীয় সকল পরীক্ষাগুলিও করিয়ে নিন যাতে আপনি স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করতে পারেন।আমরা সুপারিশ করি কোষ–মুক্ত ভ্রূণের DNA স্ক্রিনিং এবং মাতৃত্বকালীন রক্ত পরীক্ষাগুলি করাতে সেই সকল মায়েদের যারা সম্প্রতি গর্ভবতী হয়েছেন।কিছু ডাক্তারি পরীক্ষা যেমন–করিওনিকভিল্লাস স্যাম্পলিং এবং অ্যাম্নিওসেন্টেসিস উন্মুক্ত হবে কিনা আপনার বাচ্চার জন্মগত ত্রুটি গুলি বিকাশের ক্ষেত্রে,আপনার বিশ্বাস যোগ্য স্বাস্থ্য সেবকের কাছে জেনে নিন এব্যাপারে আপনার কিছু টিকা করণের প্রয়োজন আছে কিনা।গর্ভবতী হওয়ার পর মায়েরা সাধারণত টিকা নেওয়ার আশা করেন।
- আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী কিম্বা ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন জেনে নিতে গর্ভধারণের পরে কোনোরকম উত্তেজনাবর্ধক ওষুধ গ্রহণ করতে পারবেন কিনা এবং সেগুলির ডোজের পরিমাণ কতটা হওয়া প্রয়োজন সেই বিষয়ে।এই সময়ে আপনার প্রয়োজন হতে পারে অন্য ডোজের পরিমাণ অথবা ওষুধের পরিবর্তন করতে হতে পারে যেগুলি সবটাই নির্ভর করে ঐসময়ে ঐ ওষুধগুলি আপনার বাচ্চারও সম্পূর্ণ গর্ভাবস্থা চলাকালীন আপনার উপরে কীরকম প্রভাব ফেলে তার উপরে।
- গর্ভাবস্থায় আপনার মানসিক অবস্থার প্রভাব পরে।অনুশীলন করুন যোগা,ধ্যান এবং মানসিক চাপ কমার ক্রিয়াকলাপ যা দেবে আপনাকে ভালো অনুভূতি এবং আনন্দ।প্রয়োজনীয় বিশ্রাম নিতে হবে এবং নিজেকে মানসিকভাবে স্বাস্থ্যকর করে তুলতে হবে।
- গর্ভাবস্থাকালীন পর্যায়ে আপনার ওজন বাড়াতে হবে।ডাক্তারের কাছে জেনে নিন কতটা ওজন আপনার বাড়ানোর প্রয়োজন এবং সেই অনুযায়ী আপনার ডায়েটেশিয়ানের সাথে আলোচনা করে জেনে নিন আপনার খাদ্যতালিকায় কোন বিশেষ ধরণের পরিপূরক বা খাদ্য রাখা প্রয়োজন সেই বিষয়ে।এটি নিশ্চিত করুন যে আপনি আপনার আসন্ন জীবনধারায় স্বাস্থ্যকর প্রসবের জন্য নিরবচ্ছিন্ন না থেকে পরিমিত ক্রিয়াকলাপে নিযুক্ত থাকবেন।
আপনি কীভাবে গর্ভাবস্থার সমস্যার ঝুঁকি হ্রাস করতে পারেন?
যদি আপনি 35 বছরের পরে সন্তান ধারণের জন্য চেষ্টা করেন সেক্ষেত্রে গর্ভাবস্থার সমস্যার ঝুঁকি হ্রাস করতে আপনি কী কী করতে পারেন সে বিষয়ে এখানে আলোচনা করা হল–
- এড়িয়ে চলুন অবৈধ ওষুধ,ক্যাফিন,ধূমপান এবং অ্যালকোহলের খরচ।
- সুস্থ থাকতে সক্রিয় থাকুন এবং স্বাস্থ্যকর ও সুষম পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন।
- আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের বিকাশে চাপমুক্ত হতে নিয়মিত যোগ–ব্যায়াম,এবং ধ্যান করুন।
- এটির জন্য সময় দিন।সাধারণত বয়স্ক মহিলাদের সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে 1-2 বছরের মত সময় লাগে, সুতরাং ইতিবাচক মনোভাব রাখুন এবং অবিলম্বে এর ফলাফল আশা করবেন না।
- একটি স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন।অতিরিক্ত ওজন বা কম ওজন হরমোনের ক্রিয়া কলাপে প্রভাব ফেলে।
- প্রজনন স্ক্রীনিং উপকরণ এবং তার সাথে বাড়িতে ও প্রজনন পরীক্ষা করার উপকরণগুলি কেনার কথা বিবেচনা করুন।এগুলি ব্যবহার করা যেতে পারে আপনার ব্যাসাল বডি টেম্পারেচার চেক করার জন্য,সার্ভিক্যাল ফ্লুইডের প্রকৃতি এবং আপনার সঙ্গীর প্রজননের কোনওরকম সমস্যা আছে কিনা সেটিও খুঁজে বের করে।এই ব্যাপারগুলি আরও সহজ করে তোলে আপনার গর্ভধারণের ক্ষেত্রে, যেহেতু এই টেস্টগুলি সাহায্য করবে গর্ভধারণের জন্য নিয়মিত সঙ্গম করার একদম সঠিক সময়ের ধারণা দিতে।
- মায়োনোসিটল সমৃদ্ধ কোনো সম্পূরক গ্রহণ করার কথা বিবেচনা করুন।এগুলি ওভুলেশনের সময় আপনার স্ফীত মানের ডিম্বাণু গঠন করে এবং গর্ভধারণের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে।
- কিছুক্ষেত্রে, উপরে বর্ণিত প্রতিটি পদ্ধতি আপনার চেষ্টা করার পরেও ছয় মাস পর্যন্ত সময় ব্যাপী গর্ভধারণ করেন নি বলে মনে হতে পারে। এটি যদি আরো বেশী সময় ধরে চলতেই থাকে তবে আপনার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বা ডাক্তারবাবুর কাছে যাওয়ার সময় হয়েছে প্রজননের ক্ষেত্রে ডাক্তারি পরীক্ষা নিরীক্ষা গুলি করানোর প্রয়োজনে।
গর্ভধারণের সময় সমস্যায় ভোগা মহিলাদের চিকিৎসা
যে সব মহিলারা গর্ভধারণে সমস্যায় ভোগেন তাদের জন্য কতকগুলি চিকিৎসা পদ্ধতি আলোচনা করা হল।
- স্বাস্থ্যকর জীবন যাত্রা—একটি স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন।ড্রাগ এবং অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকুন এবং প্রতিদিন পুষ্টিকর খাবার খাওয়া পছন্দ করুন যা এই সময়ে আপনার প্রয়োজন।এগুলি আপনার প্রজননের সমস্যা নিরাময় করবে এবং 35 বছরের পরেও আপনার গর্ভধারণ সহজ করে তুলবে স্বাভাবিকভাবে।আপনার এবং আপনার সঙ্গীর শারীরিক সক্ষমতা বজায় রাখা নিশ্চিত করুন।
- নিশ্চিন্তে বিশ্রাম—জীবনের ঝক্কি আমাদের সকলকেই বইতে হয় কিন্তু তার ফলে আপনার মানসিক ও শারীরিক বিশ্রাম থামিয়ে দেওয়া কখনই উচিত নয়।এটি একটি প্রাকৃতিক চিকিৎসা যেকোনো মহিলার জন্য মূলত যারা 35 বছরের পরে গর্ভধারণের আশা করেন।আপনি যোগা ক্লাস গুলিতে উপস্থিত থাকার চেষ্টা করতে পারেন,আপনার দৈনন্দিন সার্বিক সুস্থতা বজায় রাখতে বিশ্রামের একটি ডোজ তৈরী করুন তাই চি কিগং এর সাথে আর্ট থেরাপির চেষ্টা করে।
- ডাক্তারি পদ্ধতি—যদি গর্ভধারণের ক্ষেত্রে আপনার সমস্যার সৃষ্টি হয় আপনি কৃত্রিম প্রজননের জন্য চেষ্টা করতে পারেন,IVF এবং ICSI এর বিভিন্ন পদ্ধতিগুলি চেষ্টা করতে পারেন।এসব ক্ষেত্রে হরমোন থেরাপির সুপারিশ করা হয়ে থাকে।যাই হোক,এটা মাথায় রাখবেন এগুলির মধ্যে কোনও পদ্ধতিই গর্ভধারণের সাফল্যকে নিশ্চিত ভাবে সুনিশ্চিত করে না,সাফল্যের হার নির্ভর করে বয়সের সাথে এবং প্রত্যেকের আলাদা বৈশিষ্ট্যের উপর।
মনে রাখার বিষয় গুলি
আপনার হৃদয় ভেঙ্গে যাওয়ার আগে,দয়া করে মনে রাখবেন যে,এক্ষেত্রে সন্তান ধারণের জন্য স্বাভাবিক ভাবেই সময় লাগে যদি আপনি 35 বছর বা তার বেশী হয়ে থাকেন।আপনার জীবনযাত্রা এবং অভ্যেস বদলে ফেলুন একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাসে যা সন্তান ধারণ পরিকল্পনার পূর্বে প্রতিটি মায়েরই সংগ্রাম করে করা উচিত।প্রজননের কোনোরকম সমস্যা থাকলে আপনার সঙ্গীর সাথে আলোচনা করে দম্পতিদের দুজনেরই চিকিৎসা করান(যদি আপনাদের সম্পর্কের সমস্যা থাকে)এটি নিশ্চিত হতে যে আপনারা দুজনেই একই অবস্থানে আছেন।এরপর গর্ভধারণের পূর্বে নিশ্চিত করুন একজন প্রজনন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মত চলতে এবং আপনি আরো ভালো ফল আশা করবেন এটি আশা করা যায়।
35 বছর বয়সের পরে গর্ভধারণ করা অসম্ভবও নয়।এমনকি,আপনি যদি স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রায় অভ্যস্থ হন এবং নিজের ভালোভাবে যত্ন নেন 35 বছরের পরেও আপনার গর্ভধারণের ক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে এবং স্বপ্নকে পরিণত করবে বাস্তবে।প্রারম্ভিক প্রস্তুতি শুরু করুন এবং এই সীমারেখায় আনার জন্য নিজেকে ধন্যবাদ জানান।