In this Article
ইতিমধ্যেই আপনার শিশুর জীবন 2 মাস অতিবাহিত হয়েছে এবং বড়ো হওয়ার সাথে সাথে সে অনেক কিছু শিখেছে, অনেক জিনিস অনেক ভালোভাবে চিনতে শিখেছে।আপনার বাচ্চা সম্ভবত প্রায়ই বাড়ির সকলের জন্য একটা আনন্দোচ্ছল হাসি ও মজার বল হয়ে উঠবে এবং সকলে তার সম্পর্কে বেশ আনন্দিতও হবে।তারা তাদের হাতের অস্তিত্ব আবিষ্কার করার পর,চেষ্টা করে ঐ হাতের দ্বারা সবরকম কাজ করতেএবং অত্যন্ত হাস্যকর উপায়েই তারা ব্যর্থ হবে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই।এখানে দেওয়া হল আপনার শিশুর এই বয়সে আপনি যা কিছু তার থেকে আশা করেন সেই সকল বিষয় সমূহ।
9 সপ্তাহ বয়সী শিশুর বিকাশ
আগের যেকোনো কিছুর তুলনায় 9 সপ্তাহ বয়সে আপনার শিশুর বৃদ্ধির দৌড় বেশ সার্থক হয়ে ওঠে।তার শ্রবণ ক্ষমতার বিকাশ ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণরূপে সম্পন্ন হয়ে ওঠে। আপনি লক্ষ্য করতে পারেন যে, আপনার শিশু লক্ষ্য করা শুরু করে বিভিন্ন শব্দের মধ্যেও সূক্ষ্ম পার্থক্যগুলো এবং সেগুলো অনুযায়ী সে তার প্রতিক্রিয়াগুলোও প্রকাশ করতে পারে।যদি আপনি তার প্রিয় গানটি বাজান তবে সে সেটি মন দিয়ে শুনবে এবং প্রাণবন্ত ভাবে তার পা গুলিকে আনন্দে ছুঁড়তে থাকবে।যদি তার মাঝে আপনি সেই গানটি থামিয়ে বা বন্ধ করে দেন তবে সে মর্মাহত হয়ে পড়বে। চেষ্টা করুন খুব ধীর গতি সম্পন্ন বা খুব দ্রুতগতি সম্পন্ন গান বাজানোর এবং আপনি লক্ষ্য করতে পারবেন যে,হয় সে সেটি পছন্দ করবে অথবা সে ঘুম থেকে দূরে সরে আসবে।
এই সময় থেকে আবার আপনার শিশু তার নিজের হাত গুলির অস্তিত্বকেও আবিষ্কার করে থাকে যা দিয়ে সে সব কিছু ধরবার চেষ্টা করে।তার হাতে একটা ঝুনঝুনি দেওয়ার এটি একটি সুবিধাজনক সময়।এর শব্দটাকে খুঁজে বের করে সে তার সাধ্যমত সেটা অনুকরণ করার চেষ্টা শুরু করে, আরো অনেক ভালোভাবে সে তার হাত ও চোখের মধ্যে সমন্বয় স্থাপন করা শুরু করে।এইসময় থেকে তাদের সমন্বয় স্থাপন করতে শেখা স্বাভাবিকের তুলনায় আরো দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে,এর প্রাথমিক কারণ হল তাদের চোখগুলো এখন থেকে ত্রিমাত্রিক স্থান এবং তার গভীরতা অনুধাবন করতে সক্ষম হয়ে ওঠে। যদিও এটি এখনও বিকাশের প্রাথমিক ধাপ গুলির মধ্যেই পড়ে কিন্তু সেটি আগের তুলনায় কিছুটা উন্নত।
নয় সপ্তাহ বয়সী শিশুর মাইলস্টোনগুলি
নয় সপ্তাহ বয়সী শিশুর ওজন তার জন্মের সময়ের তুলনায় প্রায় এক থেকে দেড় কিলোগ্রাম মত বেশি বৃদ্ধি পেতে পারে।অন্য সব কিছুর পাশাপাশি এটিও একটা স্বাস্থ্যকর মাইলস্টোন হিসাবেই পরিগণিত হয়।
তার হাত ও পায়ের অস্তিত্ব আবিষ্কার করায় এবং সেগুলি কিভাবে কাজ করে সেটি বুঝতে পারার পরেও,সেটির গতি পুনরায় আরও কয়েক ডিগ্রী বাড়বে যেহেতু আপনার বাচ্চা বুঝতে চেষ্টা করা শুরু করে কনুই থেকে তার হাতটাকে কিভাবে ভাঁজ করতে হয় এবং হাঁটু থেকে তার পা গুলোকে কিভাবে ভাঁজ করতে হয় সেই কাজগুলি।এই কাজ গুলো তার ঘুষি পাকানো ও পা ছোড়াকে আগের থেকেও আরো বেশি শক্তিশালী করে তুলবে আরো ভালোভাবে,এবং সঠিকভাবে তাদের লক্ষ্য সম্পূর্ণ করতে সক্ষম হবে।তার এই সকল ক্রিয়াকলাপপূর্ণ আন্দোলনগুলো আরো বেশি ঘোৎ ঘোৎ ও কু কু শব্দেপূর্ণ হবে যেহেতু সে যা কিছুই নতুন শিখেছে সেগুলি আপনাকে দেখানোর জন্য চেষ্টা করে।গলার বিভিন্ন টোনে ও মডিউলেশনের দ্বারা আপনার বাচ্চার সাথে কথপোকথন করুন।
প্রচেষ্টা এবং কোনো বস্তুকে আরো ভালোভাবে বুঝতে পারার ফলে,আপনার বাচ্চা আপনার মুখ স্পর্শ করতে পারবে এবং আপনার চুল গুলিকেও সে তার মুঠোর মধ্যে ধরে ফেলতে পারবে।যদি আপনি দুষ্টুটার একজন ভক্ত হয়ে থাকেন,তার জন্য একটা আলমারি রাখা ভালো কাজ হবে যার ফলে আপনার দুষ্টু ছোট্ট সোনা সেটি পাওয়ার একটা প্রথম সুযোগ পাবে।সে অন্যান্য লোকের ও বাচ্চার সাথেও যোগাযোগ করতে পারবে।যদিও সেখানে কোনো কথপোকথন হয় না,কিন্তু এই ধাপে একটা সামাজিক জীবন পাওয়ার জন্য এটুকুই যথেষ্ট সাহায্যকারী হয়ে ওঠে।
খাওয়ানো
এখন থেকে আপনার বাচ্চার আপনার উভয় স্তন থেকেই খাওয়ার ঝোঁক আগের থেকেও অনেক বেশি বেড়ে যাবে।যার জন্য আপনার শরীরের ব্যবহার প্রয়োজন হতে পারে কিন্তু সেটা খুব স্বল্প সময়ের জন্যই হবে।অনেক মায়েরাই তাদের সন্তানের দুইমাস বয়স হওয়া থেকেই এটি ভাবতে শুরু করেন যে,তাদের সন্তানের হয়ত আরো বেশি পরিমাণে খাবারের প্রয়োজন।কিন্তু এটা সঠিক নয়।যত দীর্ঘ সময় আপনার বাচ্চা আনন্দের সাথে আপনার বুকের দুধ খেতে থাকবে,তাদের ওজন সঠিকভাবে বৃদ্ধি পাবে ও ভালোভাবে ঘুমোতেও পারবে।সেক্ষেত্রে এই বয়সে তাদের আর কোনো অতিরক্ত খাবারের বা ফরমূলা দুধের প্রয়োজন হয় না। 9 সপ্তাহ বয়স থেকে আপনার শিশু স্বাভাবিক ভাবেই মাড়ি কিড়মিড় করা শুরু করতে পারে,যার ফলে আপনার স্তনে চোষা স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা কঠিন হয়ে উঠতে পারে।
ঘুমানো
ঘুমের সময় যদি আপনার বাচ্চা তার মুখের ভিতরে চুষিকাঠি না রাখার অভ্যাস থাকে, সেটা সব সময়ের জন্যই একটা ভালো সিদ্ধান্ত।সাধারণত,যখন বাচ্চাদের দুই মাস বয়স থাকে তারা চুষিকাঠি মুখে নিয়েই ভালোভাবে ঘুমিয়ে পড়ে যদিও তাদের ঘুমের মাঝেই মুখ থেকে সেটি পড়ে যায়।যদি আপনার বাচ্চা ইতিমধ্যেই এগুলি ব্যবহার করে থাকে তবে তাকে স্বাভাবিক ভাবেই দুধ পান করানো শুরু করুন,যাতে তারা এই সময় থেকে এই চুষিকাঠির সাহায্য ছাড়াই ঘুমিয়ে পড়তে অভ্যস্ত হয়ে উঠতে পারে।এটা কিছুদিন সময় নিতে পারে কিন্তু দীর্ঘ সময়ের জন্যই তার উপকারীতা পাওয়া যায়।
এই সময় থেকে আপনার বাচ্চা দৈর্ঘ্যে এবং আকারে বেড়ে উঠতে থাকে,যার ফলে এখন থেকে তার ঘুমের সময় তাকে মুড়িয়ে রাখার জন্য বড়ো মাপের কাপড়ের প্রয়োজন হয়। ক্রমাগত ছোটো কাপড় ব্যবহারের ফলে তার অঙ্গসঞ্চালনা ব্যহত হয় এবং সে অস্বস্তিবোধ করে যা তার ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ার অন্যতম কারণ হয়ে ওঠে।
আচার আচরণ
আপনার বাচ্চার মুখে আওয়াজ করা কু বা ঘোৎ ঘোৎ শব্দগুলো পরিণত হয়ে গার্গেলের মত গড়গড় শব্দে পরিবর্তিত হয় যখন তারা একটু বেশি উত্তেজিত হয়ে ওঠে এবং সেগুলি তখন আরো বেশি হাস্যকর বলে মনে হয়।দিনের যেকোনো সময়ে সে আরো বেশি প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে উঠবে এবং আপনার সাথে নানারকম আওয়াজ করবে মুখে ও সবচেয়ে আদুরে আরাধ্য হাসিটা হাসবে।এটা উৎসাহ তৈরী করবে স্নানের সময় অথবা সকাল সকাল আপনাদের দুজনরেই ব্যায়ামের সময়।
তত্ত্বাবধানের সঙ্গে তাদের কিছু সময় ধরে উপুড় করে শুয়ে রাখলে,এই বয়সে,তারা তাদের মাথাটা উপরের দিকে সঠিকভাবে তুলতে এবং সামনের দিকে এগিয়ে কিছু দেখতে সক্ষম হবে।তাদের হাতের উপর ভর দিয়ে অবলম্বন পাওয়া এখন আরো বেশি সম্ভব হবে,কিন্তু খুব বেশীক্ষণের জন্য সেটা নয়।তারা পড়ে যাওয়ার পরেও পুনরায় চেষ্টা করবে সেই কাজটা করার।এই সকল বিষয়টাই স্বাভাবিক,এবং যতক্ষণ না তারা একটা কঠিন পৃষ্ঠতলের উপরে নিজেদের আঘাত করে বসে তারা এটা করতেই থাকে।
কান্না
2 মাসের কাছাকাছি বয়সটা হল আরেকটা অন্যতম চূড়ান্ত সময়কাল,যখন থেকে শিশুরা ঘন ঘন অসম্ভব কান্নাকাটি করা প্রায় বন্ধ করে দেয়। এমনকি আপনার 9 সপ্তাহ বয়সী শিশুর ঘুমের নিদর্শন গুলিতে সামান্যতম বিরক্তিও তাদের শান্তির ঘুম হারিয়ে ফেলার কারণ হয়ে উঠতে পারে এবং তাদের কান্নার রুটিনটিও পুনরায় বেড়ে যেতে পারে।তাদের অবর্ণনীয় কান্নার আরো কিছু কারণগুলি হতে পারে তাদের অবসাদ থেকে,যন্ত্রণা থেকে অথবা এমনকি নিছক বিরক্তি থেকে।
এটা নিশ্চিত,শিশুদের কান্নার কিছু নির্দিষ্ট কারণ হতে পারে যন্ত্রণা অথবা অসুস্থতা কিন্তু বেশীর ভাগ সময়েই আপনি বলতে পারবেন যে তারা কোনো যন্ত্রণার জন্য কাঁদছে না কি কোনো কারণ ছাড়াই এমনি সাধারণ কান্না কাঁদছে। এরকম দৃশ্যকল্পে,আপনি আপনার বাচ্চাকে তার দোলনার মধ্যে রাখুন এবং আপনার কাজ পুনরায় চালু রাখুন। প্রয়োজনে দরজাটা হালকা করে ভেজিয়ে দিন যাতে তার কান্নায় আপনার কাজে বিরক্তি না আসে।কিন্তু 5 মিনিট পরেও যদি তারা অনবরত কেঁদেই চলে,তখন তবে তাদের কোলে তুলে নিন এবং আলতো করে কিছুক্ষণের জন্য জড়িয়ে ধরুন।চেষ্টা করুন বাচ্চাকে ধরে রাখার জন্য একটা স্লিং ব্যবহার করতে,যার সাথে আপনি আপনার কাজ অব্যাহত রাখতে পারেন।
9 সপ্তাহ বয়সী শিশুর যত্নের পরামর্শ
- যদি আপনার শিশু চায় অথবা তার স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি দুধের প্রয়োজন হয় তবে আপনার উভয় স্তন থেকে অদল বদল করে খাওয়ানো নিশ্চিত করুন।
- যদি আপনার শিশু প্রচন্ড কাঁদে, চেষ্টা করুন তাকে কাছ থেকে ধরে রাখতে অথবা তার কানে হালকা করে কু আওয়াজ করতে।তাকে শান্ত করার মাধ্যমে সে খুব দ্রুত ঘুমে ঢলে পড়বে।
- যদি আপনার বাচ্চা খেলতে চায় অথবা আপনাকে দেখতে চায়,তাহলেও অনেকসময় কাঁদতে পারে অথবা মুখে নানারকম আওয়াজ করতেপারে এবং লক্ষ্য করুন তাদের প্রয়োজনটুকু মিলে গেলে তারা কি করে।
- আপনার বাচ্চাকে কিছু সময়ের জন্য বাড়ির বাইরে ঘোরাতে নিয়ে যান কিছু বিশুদ্ধ বাতাসের মধ্যে এবং তার সাথে মিষ্টি কথপোকথন করুন।সে এই নতুন দৃশ্যগুলি ভালোবাসতে পারে এমনকি সেই শান্ত পরিবেশে ঘুমিয়েও পড়তে পারে।
পরীক্ষা নিরীক্ষা এবং টিকাকরণ
যদি পূর্ববর্তী সকল টিকাগুলো নির্দিষ্ট সময় ও নিয়ম মেনে আপনার বাচ্চাকে দেওয়া শেষ হয়ে গিয়ে থাকে তবে তার এই 9 সপ্তাহ বয়সে তাকে আর নতুন কোনো টিকা দেওয়ার থাকে না।
খেলাধূলা এবং অন্যান্য ক্রিয়াকলাপ
এটা হল আপনার বাচ্চার শ্রবনেন্দ্রিয়ের পুনরায় বিকাশের আরেকটা সেরা সময়।আপনি আপনার বাড়িতে বিভিন্ন ধরণের বস্তু সংগ্রহ করতে পারেন যেগুলো থেকে বিভিন্ন ধরণের আওয়াজ পাওয়া যায়।যেমন,-ঝুমঝুমি, নাগরদোলনা,খঞ্জনি,বুদবুদ কাটার কাঠি,স্টীলের বস্তু এবং আরো অন্যান্য বস্তু।এই সময়ের জন্য আওয়াজ হওয়ার ইলেক্ট্রিকের কোনোরকম বস্তু এড়িয়ে চলুন।এরপর যখন আপনার বাচ্চা তাকাবে একটা সময়ের জন্য একটাই আওয়াজ করুন।সরাসরি তাকে বস্তুটাকে দেখাবেন না। প্রথমে যখন সে আওয়াজটা বোঝার চেষ্টা করবে,তখন তাকে বস্তুটা দেখান এবং তার সামনে আওয়াজটা করুন।এরপর সেটাকে তার হাতে দিয়ে দিন এবং তাকে নিজেকে সেটা চেষ্টা করতে দিন। আপনাকে মজাদার শব্দ করতে দেখে সে খুশি হবে।কিন্তু আপনার মত করে নিজেকে সে সেই শব্দ করতে পারতে দেখে তার নিজের মধ্যে অপরিমেয় আনন্দ ও উত্তেজনার সৃষ্টি হবে।
দেহের উপরি ভাগ এবং ঘাড় তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী হওয়ার কারণে,আপনি তাকে সোজা করে বসিয়ে রেখে খেলানো শুরু করতে পারেন। প্রথমের দিকে কিছু বালিশ ব্যবহার করে আপনার বাচ্চাকে একটু সামান্য হেলানো অবস্থায় অর্ধশায়িত অবস্থায় রাখুন।তারপর তার হাত দুটো ধরে ধীরে ধীরে টানুন এবং তাকে সোজা করে বসিয়ে দিন।সে তার কাঁধের রেখা বরাবর তার মাথাটাকে শক্ত করে বেশি সময় ধরে উপরে তুলে রাখতে পারবে সে বিষয়ে আগে নিশ্চিত হন।একবার সোজা হলে তারপর পুনরায় তাকে বালিশের উপরে শুইয়ে দিন।এই বসানো ও শোয়ানোর সময় সে মুখে নানারকম মজাদার আওয়াজ করতে শুরু করবে।এটা শুধু শিশুদের কাছে কেবল অপরিমেয় আনন্দই সৃষ্টি করবে না,এটা তার প্রয়োজনীয় শক্তির বিকাশেও ভালোভাবে সাহায্য করবে।যখন আপনি তার ছোট্ট হাতগুলো নিয়ে খেলা করেন সেটিও মজাদার উপকরণের সাথেই সংযোজিত হয়।
প্রয়োজনে ডাক্তারের সাথে আলোচনা
এই ধাপে,আপনার শিশুর চোখে স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা বেশি জল দেখা যেতে পারে।এটি যদি জন্ম থেকেই থাকে তবে সেটা ঠিক আছে।যদি আপনি লক্ষ্য করেন যে সেটি নীলচে ভাবের বাইরে তবে সেক্ষেত্রে শিশুর কনজাইটিভাইটিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। সুতরাং,এটি আপনার ডাক্তারবাবুর দৃষ্টিতে আনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ,যিনি আপনার বাচ্চাকে একটা শিশুবান্ধব চোখের ড্রপ ব্যবহারের জন্য বিধান দেবেন যদি রোগটি সঠিকভাবে নির্ণয় করা হয়ে থাকে। যদি এটাই ঘটে থাকে তবে তার সকল জামাকাপড় স্বাস্থ্যসম্মতভাবে পরিষ্কার রাখুন এবং আপনার হাতসব সময় পরিষ্কার করে ধুয়ে রাখুন।
যদি ডায়পার থেকে র্যাশ বা ফুসকুড়ি হয়ে থাকে তবে আপনার বুকের দুধের সাহায্যে সেটার চিকিৎসা করা সবচেয়ে ভালো হতে পারে।যদি মনে হয় সেটা আরো গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছে গেছে তবে সেটা ত্বক সম্পর্কিত কোনো সমস্যা হতে পারে যা একজন ডাক্তারের দ্বারাই পরীক্ষা করানো প্রয়োজন।
বয়সের এই ধাপে শিশুরা খুব আদুরে ও মিষ্টি হয়ে থাকে তবে তার সাথে কিছুটা বিরক্তিকরও হয়। তাদের ক্রিয়াকলাপের মাত্রা এবং সেগুলোর সাথে যোগাযোগের মাত্রা বাড়ার সাথে সাথে তাদের কান্নার মাত্রাও ভালো মত বেড়ে উঠতে থাকে।এটা হল সেরা সময় যা আপনি অবশ্যই মনে রাখবেন আপনার স্মৃতিতে,এই সবকিছুই খুব দ্রুত হয়ে উঠবে ইতিহাসের ঘটনা যেহেতু আপনার বাচ্চা ক্রমশ খুব দ্রুত বেড়ে উঠতে থাকে।