৮ মাস বয়সী শিশুদের জন্য খাবারের ধারণা

৮ মাস বয়সী শিশুদের জন্য খাবারের ধারণা

আপনার শিশুর আট মাস বয়স তার বৃদ্ধির একটি খুব আকর্ষণীয় পর্যায় । একটি বা দুটি দাঁতের সঙ্গে, আপনার শিশু তার বেড়ে ওঠার দিকে এগিয়ে যায় । ৮ মাস বয়সে বাচ্চারা পেষা বা চটকানো খাবার গিলতে পারার কৌশল আয়ত্ত করে এবং ধীরে ধীরে এমন খাবার চিবানো শুরু করে । তাদের চেবানোর দক্ষতাকে চ্যালেঞ্জ করে এমন পুষ্টিকর খাবার আট মাস বয়সী শিশুর খাদ্যতালিকায় পুরোপুরি উপযুক্ত হবে ।

আট-মাস-বয়সীদের জন্য সেরা খাবার

পুষ্টি সঠিক মিশ্রণ দেয়, এমন অনেক প্রাকৃতিক খাবার উপকরণ রয়েছে

সঠিক পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজযুক্ত স্বাস্থ্যকর খাবার আট মাস বয়সী শিশুর জন্য অপরিহার্য । পুষ্টি সঠিক মিশ্রণ দেয়, এমন অনেক প্রাকৃতিক খাবার উপকরণ রয়েছে । সাধারণত, একটি ৮ মাসের শিশুর জন্য খাবারের তালিকায় নিম্নলিখিত এক বা একাধিক জিনিস অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে ।

১) ফল

ফল ভিটামিন, খনিজ এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদানগুলির একটি চমৎকার উত্স। আপেল, কলা, পেঁপে, সবেদা ইত্যাদি নিয়মিত ফল ছাড়াও আপনি কিউই, স্ট্রবেরি, ডালিম ইত্যাদি কিছু ফল অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন । লম্বা কিউব আকারে কাটা ফলগুলি শিশুদের জন্য চমৎকার ফিঙ্গার ফুড তৈরি করে ।

২) সবজি

আট মাস বয়সে, আপনার বাচ্চা বিভিন্ন সবজির পিউরির বদলে ছোট্ট ছোট্ট কিউব আকারে কাটা সিদ্ধ সবজি চিবোতে শুরু করে । বাচ্চাদের খাবারের মধ্যে বিভিন্ন ধরণের শাক-সবজি খিচুড়িতে বা এক বাটি সিদ্ধ করে সংযোজন করা যায় । ফুলকপি, ব্রোকলি, শতমূলী, সবুজ মটরশুটি, কুমড়োর মতো সবজি ধীরে ধীরে খাবারের মধ্যে চালু করা যেতে পারে ।

৩) মাছ

মাছ একটি খুব পুষ্টিকর খাবার, যা শিশুদেরকে আট মাস বয়সে ছোট টুকরো করে দেওয়া যেতে পারে । টুনা, সালমন, রোহু ইত্যাদি মাছগুলি ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ, যা শিশুদের বৃদ্ধির ও বিকাশের জন্য খুব ভালো । শিশুদেরকে পিউরি বা স্যুপ হিসাবে মাছ দেওয়া যেতে পারে ।

৪) টোফু / পনির

টোফু বা পনির যথাক্রমে সোয়া দুধ এবং গরুর দুধ থেকে তৈরি করা হয় । এগুলি প্রোটিন সমৃদ্ধ এবং শিশুদের বিকাশের জন্য খুব ভালো । ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতার কারণে পনিরের জন্য অ্যালার্জি আছে এমন শিশুদের ক্ষেত্রে টোফু ব্যবহার করা যেতে পারে ।

৫) মুরগির মাংস

চিকেন বা মুরগির মাংস শিশুদের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার হিসাবে বিশ্বাস করা হয় । এটি সাধারণত সাত মাস বা তার বেশি বয়সে শুরু করা যেতে পারে এবং সাধারণত স্যুপ বা পিউরি হিসাবে দেওয়া হয় । যে স্টক বা রসে মুরগি রান্না করা হয়, তা শিশুদের জন্য পুষ্টিকর পানীয় ।

৬) চীজ

পেস্টুরাইজড দুধ থেকে তৈরী পনির ক্রমবর্ধমান বাচ্চাদের জন্য ক্যালসিয়ামের একটি দুর্দান্ত উত্স । বাজারে উপলব্ধ প্রক্রিয়াজাত পনির শিশুদের জন্য একটি ভালো স্ন্যাক ।

৭) ডিম

ডিম একটি ভাল খাবার, যাতে ভালো ফ্যাট এবং স্বাস্থ্যকর প্রোটিন, উভয়ই রয়েছে । বাচ্চাদেরকে ডিন সিদ্ধ করে ছোট আকারে টুকরো করে স্ন্যাক হিসাবে খাওয়ানো যেতে পারে । কিছু বাচ্চাদের ডিম থেকে অ্যালার্জি থাকে এবং শিশুদের মধ্যে অ্যালার্জি সম্পর্কে সতর্কবার্তাগুলির জন্য আপনাকে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে ।

৮) ইয়োগার্ট বা দই

গরুর দুধ থেকে তৈরি পুরু দই বা ইয়োগার্ট শিশুদের বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে দেওয়া যেতে পারে । বাচ্চাদের জন্য চমৎকার স্ন্যাক বিকল্পের জন্য বাজারে পাওয়া অনেক ফলের স্বাদ যুক্ত দই বা ইয়োগার্ট রয়েছে । এগুলি শুধুমাত্র অন্ত্রের জন্য ভাল ব্যাকটেরিয়া সরবরাহ করে না, প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজগুলির একটি বড় উত্স হিসেবেও কাজ করে ।

এই পর্যায়ে একটি শিশুর কতটা খাবার খাওয়া উচিত?

বেশির ভাগ সময়ই আট মাস বয়সী শিশু সক্রিয়ভাবে খেতে থাকে, তবে কখনও কখনও তাদের নতুন চঞ্চলতার কারণে খাবার থেকে দূরে সরে যায় । যে বাচ্চারা এই বয়সের হামাগুড়ি দিতে শুরু করে, তারা সাধারণত তাদের চারপাশে থাকা জিনিসগুলি অনুসন্ধানে আরও বেশি আগ্রহ দেখায়, তাই তাদের ঘুরে ফিরে খাওয়াতে হয় । একটি আদর্শ আট মাস বয়সী শিশুর একটি সময়সূচী অনুসরণ করে, যাতে তিনবার কঠিন খাবার এবং দুইবার স্ন্যাকের সাথে বুকের দুধের বা ফর্মুলা দুধের কমপক্ষে দুইটি সেশন থাকে ।

খাবার সময়সূচী

এখানে একটি আট মাস বয়সী শিশুর জন্য খাবারের একটি নমুনা সময়সূচী রয়েছে ।

  • সকাল- ঘুম থেকে ওঠার পর কয়েক মিনিট বুকের দুধ খাওয়া (প্রায় ২০০ মিলিলিটার)
  • ব্রেকফাস্ট- যে কোন সকালের খাবারের এক কাপ পিউরি
  • মধ্য-সকালে স্ন্যাক- অর্ধেক কাপ ফল / দই / সিদ্ধ সবজি
  • লাঞ্চ- ১ কাপ সিরিয়াল
  • ঘুমের সময়
  • সন্ধ্যার স্ন্যাক- বুকের দুধ বা ফর্মুলা দুধ (প্রায় ২০০ মিলিলিটার)
  • ডিনার- ১ কাপ পরিজ/ পিউরি/ সিরিয়াল
  • রাত- ঘুমের আগে দুধ খাওয়ান

৮ মাস বয়সী শিশুর খাবারের তালিকা/ পরিকল্পনা

এখানে একটি নমুনা তালিকা দেওয়া হল, যা আপনি আপনার আট মাস বয়সী শিশুর জন্য নির্দেশিকা হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন ।

সপ্তাহের দিন খুব সকাল ব্রেকফাস্ট মধ্য-সকালের স্ন্যাক লাঞ্চ ঘুমের সময় সন্ধ্যার স্ন্যাক ডিনার রাত
সোমবার বুকের দুধ/ ফর্মুলা দুধ চালের পরিজ গাজরের পিউরি ডাল ভাত চীজ চালের পরিজ ঘুমনোর আগে বুকের দুধ বা ফর্মুলা দুধ
মঙ্গলবার খিচুড়ি সিদ্ধ ডিম চাপাটি ও সবজি দই বা ইয়োগার্ট ডোসা/ চাপাটি ও সবজি
বুধবার মাংসের পিউরি আপেলের পিউরি দই ভাত মুসুর ডালের স্যুপ মিলেট পরিজ
বৃহস্পতিবার ডালিয়ার খিচুড়ি কলা ইডলি ও ডাল দারুচিনি দিয়ে আপেলের স্ট্যু চাপাটি ও সবজি
শুক্রবার মাছের পিউরি সবজির স্যুপ খিচুড়ি এক বাটি সিদ্ধ সবজি দই ভাত

৮ মাস বয়সী শিশুর জন্য খাবারের রেসিপি

নিয়মিত পিউরি খাবার, যা আপনার শিশুর খেতে অভ্যস্ত, তার পাশাপাশি আপনি আপনার শিশুর স্বাদকোরকগুলিকে চটক দিতে এই নতুন রেসিপিগুলির কিছু চেষ্টা করতে পারেন । এখানে ৮ মাস বয়সী শিশুর জন্য কিছু আকর্ষণীয় ভারতীয় বাড়িতে তৈরি শিশুর খাবারের রেসিপি আছে ।

১) ব্রোকলি স্যুপ রেসিপি

উপকরণ

  • মাখন- ১ চা-চামচ
  • ব্রোকলির টুকরো- ১ কাপ
  • গোলমরিচ গুঁড়ো- ১ চুটকি
  • লবন- ১ চুটকি

কীভাবে তৈরি করবেন

  • একটি প্যানে মাখন দিয়ে এটি গলতে দিন
  • এতে ব্রোকলি দিয়ে কয়েক মিনিট নাড়াচাড়া করুন
  • কিছু দিয়ে কয়েক মিনিট ঢাকা দিয়ে সিদ্ধ হতে দিন
  • ব্রোকলি ঠাণ্ডা হয়ে গেলে একটি ব্লেন্ডার দিয়ে মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন
  • অন্য একটি প্যানে, সামান্য একটু মাখন দিয়ে ব্রোকলির পেস্ট ঢেলে দিন । এটি রান্না হতে দিন এবং সামান্য লবন এবং গোলমরিচ গুঁড়ো যোগ করুন । ঠাণ্ডা হয়ে গেলে বাচ্চাকে খাওয়ান ।

২) মাছের পিউরি রেসিপি

উপকরণ

  • পরিষ্কার এবং প্রস্তুত মাছ
  • জল- ১ কাপ

কীভাবে তৈরি করবেন

  • একটি পাত্রে জল নিয়ে আঁচে চাপান
  • অন্য একটি ছোট পাত্রে কিছু পরিষ্কার ও টুকরো করা মাছ নিন এবং এই পাত্রের ভিটরে রেখে বড় পাত্রে জলের সঙ্গে দিয়ে দিন ।
  • এটি রান্না হতে দিন । রঙ পালটে সাদা হয়ে গেলে রান্না শেষ হবে ।
  • রান্না করা মাছ চটকে পিউরি বানিয়ে নিন এবং লবন ও জিরে গুঁড়ো দিয়ে পরিবেশন করুন ।

৩) আপেল রাগি পরিজ রেসিপি

উপকরণ

  • আপেল কুচি- ১ কাপ
  • রাগির আটা- ১ চা-চামচ
  • ঘি- ১ চা-চামচ
  • জল- দেড় কাপ

কীভাবে তৈরি করবেন

  • এক কাপ জল নিয়ে রাগির আটায় দিন । ভালোভাবে মেশান যাতে কোন দলা না থাকে ।
  • আগুন জ্বালিয়ে তার উপর একটি প্যানে ঢালুন ।
  • যতক্ষণ না রাগির মিশ্রণে বুদবুদ ওঠা শুরু হয়, নাড়তে থাকুন ।
  • এই সময় অই পরিজে আপেলের কুচি দিন ।
  • আপেল ও রাগি ভালোভাবে সিদ্ধ হতে দিন । পরিজটি যদি বেশি ঘন হয়ে যায়, অল্প জল দিয়ে ঘুলিয়ে নিয়ে আবার স্বাভাবিক করে নিন ।
  • রান্না হয়ে গেলে, গ্যাস বন্ধ করে দিন এবং খাওয়ানোর আগে এক ফোঁটা ঘি দিন ।

৪) সুজির উপমা রেসিপি

উপকরণ

  • সুজি- ১/২ কাপ
  • ঘন কুচি করা সবজি- ১ কাপ
  • কারি পাতা- ৫-৬টা
  • ঘি- ১ টেবিল-চামচ
  • গোটা সর্ষে- ১/২ চা-চামচ
  • জল- ২ কাপ
  • অবন- ১/৪ চা-চামচ

কীভাবে তৈরি করবেন

  • একটি প্যানে ১ টেবিল-চামচ ঘি দিয়ে সুজি ভেজে নিন, যতক্ষণ না এটি বাদামী হয়ে যায় । ভাজা হয়ে গেলে, এটা সরিয়ে রাখুন ।
  • আবারএকটুঘিদিয়েগোটাসর্ষেছড়িয়েদিন।
  • এক কাপ সবজির কুচি দিন এবং ঢাকা দিয়ে ভালো করে রান্না হতে দিন ।\
  • সবজি সিদ্ধ হয়ে গেলে, ২ কাপ জল এবং লবন দিন ।
  • জল ফুটতে শুরু করলে, তাতে ভাজা সুজি দিন এবং দলা যেন না হয়ে, ততক্ষণ নাড়াতে থাকুন ।
  • কিছুক্ষন ঢাকা দিয়ে রান্না করুন । এরপর ১ চা-চামচ ঘি দিন এবং ঠাণ্ডা হওয়ার পর খাওয়ান ।

৫) লম্বা টুকরো করে কাটা গাজরের রেসিপি

উপকরণ

  • লম্বা টুকরো করে কাটা গাজর- ১ কাপ
  • লবন- ১ চিমটি
  • গোলমরিচ গুঁড়ো- ১ চিমটি
  • ঘি- ১ চা-চামচ

কীভাবে তৈরি করবেন

  • গাজরটি লম্বা টুকরো করে কাটুন এবং সরিয়ে রাখুন ।
  • একটি প্যানে জল গরম করুন এবং এটি ফুটতে শুরু করলে গাজরের টুকরোগুলি দিন ।
  • কামড়ানো যাবে এমন নরম হওয়া পর্যন্ত সিদ্ধ হতে দিন ।
  • একটিপ্যানেঘিদিয়েঅইগাজরেরটুকরোগুলিনাড়াচাড়াকরুন।
  • স্বাদের জন্য এতে লবন এবং গোলমরিচ গুঁড়ো দিন ।
  • এটি ঠাণ্ডা হয়ে গেলে, বাচ্চাকে এটি চিবাতে দিন ।

খাওয়ানোর টিপস

  • বুকের দুধ বা ফর্মুলা দুধ এখনও আট মাস বয়সী শিশুদের জন্য একটি প্রাথমিক খাবার হিসাবে থেকে যায় । কঠিন খাবার খাওয়ার পাশাপাশি, ডাক্তার এক বছর পর্যন্ত বাচ্চাদের এক বা দুই সেশন দুধ খাওয়ানোর সুপারিশ করেন ।
  • এক বছর বয়সের আগে, গরুর দুধ খাওয়ানো কঠোরভাবে এড়িয়ে যান ।
  • পরিবারে যদি কোন খাবারে অ্যালার্জির ইতিহাস থাকে, বিশেষ করে দুগ্ধজাত পণ্য, ডিম, বাদাম ইত্যাদি ক্ষেত্রে, কোনও সতর্কতা চিহ্নের জন্য সচেতন থাকুন । এছাড়াও, আপনার অ্যালার্জি উত্তরাধিকারী হিসাবে আপনার সন্তানের হওয়ার সম্ভাবনা সম্পর্কে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন ।
  • অতিরিক্ত ভাজা খাবার এড়িয়ে চলুন এবং বেশি করে সিদ্ধ ফল ও সবজি অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করুন ।
  • সর্বদা একটি নির্দিষ্ট ভঙ্গি এবং অবস্থানে প্রতিদিন শিশুকে খাওয়ান । এটি খাবার এবং খাবার খাওয়ার স্থানের সঙ্গে তাদের মন একটি শক্তিশালী সংযোগ বিকাশ করবে ।
  • খাদ্য সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখতে পুরোপুরি মসৃণ না করে অল্প দানা দানা রাখুন । এটি আট মাস বয়সী শিশুদের মসৃণ চটকানো খাবার থেকে কঠিন খাবারের পরিবর্তনে সাহায্য করে ।
  • এক বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য লবণ এবং চিনির ব্যবহার এড়িয়ে চলুন । অনেক ডাক্তার উভয় ব্যবহারের বিরুদ্ধে পরামর্শ দেন, কারণ এগুলি কিডনিতে অপ্রয়োজনীয় চাপ দেয় ।
  • অনেক আট মাস বয়সী শিশু খাওয়ার সময় সহজে বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে, কারণ তারা হামাগুড়ির সাথে গতিশীলতা বিকাশ করে এবং তাদের চারপাশের জিনিসগুলি সম্পর্কে অদ্ভুত কৌতূহল জাগে । কম খাবার খাওয়ার এই পর্যায়ে, বারে বারে অল্প পরিমাণে খাওয়ানোর চেষ্টা করুন ।
  • ফিঙ্গার ফুড খাওয়ার সময় বাচ্চাদের গলায় খাবার আটকে যাওয়ার বা গলায় লাগার প্রবণতা থাকে । তারা প্রায়ই অসাবধানতাবশত খাবারের একটা বড় অংশ গিলে ফেলে । শিশু যখন কোন শক্ত খাবার চিবিয়ে খাওয়ার সময়, বাবা-মায়ের বারতি নজর দেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ ।
  • স্টিল বা কাঁচের পাত্রে শিশুর খাবার তৈরি ও সঞ্চয় করে রাখুন । প্ল্যাস্টিকের ব্যবহার এড়িয়ে চলুন, কারণ এতে ক্ষতিকারক রাসায়নিক থাকে, যা সাধারণত খাবারে ঢুকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে ।

আট মাস বয়সে, বাচ্চারা প্রায় কাছাকাছি চলে যায় এবং তাদের চারপাশে জিনিসগুলি অনুসন্ধানে প্রচুর শক্তি ব্যয় করে । তাদের শারীরিক এবং মানসিক ক্রিয়াকলাপের রসদ হিসাবে, স্বাস্থ্যকর সুষম খাবার আবশ্যক । আপনার শিশুর খাবারের তালিকা অগ্রিমভাবে পরিকল্পনা করা এবং তাজা ফল ও সবজি সরবরাহ করা তাদের জন্য পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করতে সহায়তা করতে পারে ।