In this Article
দেখতে দেখতে তৃতীয় মাসের পরিসমাপ্তি ঘটে গেছে এবং আপনি ও আপনার সন্তান ভালোভাবেই পরবর্তী মাস গুলির দিকে ক্রমশ এগিয়ে চলছেন।এটা এভাবেই ঘটতে থাকে,যেহেতু শিশুর ক্রমশ অগ্রগতি ঘটতেই থাকে, আপনার বাচ্চা আপনার থেকে অনেক কিছু শিখতে শুরু করবে এবং আপনি তার মধ্যে আপনার বা আপনার স্বামীর একটা ছায়া দেখতে শুরু করতে পারেন এমনকি যা আগের থেকেও আরো স্পষ্ট।এইসব কিছুর সংমিশ্রণেই সম্পূর্ণ যাত্রাটা ক্রমশই এগিয়ে চলতে থাকে যেহেতু শিশুরা অসম্ভব সুন্দর।
13 সপ্তাহ বয়সী শিশুর বিকাশ
সময় শেষে, আপনার বাচ্চা আপনার সাথে ও তার পাশাপাশি অন্য যে সকল মুখগুলির সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হবে তাদের সাথেও সহজে স্বাভাবিক হয়ে উঠতে শুরু করবে।আপনার শিশুর সামাজিক দক্ষতার দৃষ্টিভঙ্গীর বিকাশ হতে শুরু করবে যেহেতু সে বুঝতে শেখে অন্যদের সাথে কতটা যোগাযোগ করতে হয়।তার মুখের হাসিটি কাউকে সবচেয়ে বেশী স্বাগত জানায় এবং যা দেখে আপনার তাকে অন্তত একটি চুম্বন করা থেকে নিজেকে প্রতিহত করাটা প্রায় অসম্ভব।মুখে নানারকম শব্দ করে একটা দীর্ঘ কথপোকথন চালিয়ে যাওয়া তার স্বভাবের দ্বিতীয় পরিচয় হয়ে উঠবে।বেশীর ভাগ মায়েরাই বিরক্তিহীন একটা রাত্রি ঘুমের আশীর্বাদের সাক্ষাৎ পেতে চায় যেহেতু তাদের শিশুদের সারারাত একটানা ভালোভাবে ঘুমাতে না পারার প্রবণতা থাকে।আপনি যদি তাদের মধ্যে একজন না হন, এইরূপে যদি বিরক্ত না হন তবে দ্রুতই সেটা ঘটবে।তবু তার মধ্যেও আপনার ঘুমের ভাগটা অর্জন করবেন সেটা নিশ্চিত করুন,বিশেষ করে যদি আপনার বাচ্চা একজন বিকেলের ঘুমকাতুরে ব্যক্তি হয়ে থাকে।
তেরো সপ্তাহ বয়সী শিশুর মাইলস্টোনগুলি
একজন প্রাপ্ত বয়স্কের মত আপনার শিশুর ইন্দ্রিয়ের অধিকাংশ বিকাশের জন্য প্রায় তিন মাস বা তার কাছাকাছি সময়কালের প্রয়োজন, এটা কিছুটা বেশী সময় নিতে পারে, কিন্তু 13 সপ্তাহে শিশুর বৃদ্ধির দৌড়ের সাথে বেশীর ভাগ শিশুরই এই বয়সে তাদের দৃষ্টি শক্তি আরও ভালো হতে শুরু করে।আপনার বাচ্চা আরো ভালোভাবে দেখতে সমর্থ হবে,কোনো বিষয়ের ধারণা সম্পর্কে বুঝতে শুরু করবে,এবং বুঝতে পারবে কত দূরে বা কাছে কোনো বস্তু আছে।যদি সে সোজা হয়ে বসতে পারে তবে সে আপনার গতিশীলতাকে তার নিজের দৃষ্টিশক্তির মধ্যে আবদ্ধ করতে পারবে এমনকি যদি আপনি তার থেকে পুনরায় দূরে সরে যেতেও থাকেন। নানাধরণের রঙের বিভিন্নতা তাদের আগের থেকেও আরো বেশী প্রাণবন্ত করে তুলতে শুরু করবে এবং আপনার সন্তান অন্যগুলোর তুলনায় সেই রঙগুলোকেই হয়ত পছন্দ করবে।ঘরের একটা কোণ থেকে গান চালালে আপনার বাচ্চা তার মাথাটাকে ঘুরিয়ে দেখতে চাইবে ঘরের কোথা থেকে সেই সুর আসছে।ফুলের মিষ্টি গন্ধ যুক্ত ছোটোদের বেবি লোশন ব্যবহার করলে আপনি দেখতে পাবেন যে,যখন আপনার শিশু সেই সুঘ্রাণটি গ্রহণ করবে তার মুখে একটা চেনা গন্ধের ছাপ ফুটে উঠবে।
ইন্দ্রিয়ের পাশাপাশি আপনার সন্তানের অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলিও দিন দিন উন্নত হতে থাকে। এটা হল সেই সময় যখন থেকে আপনার সন্তান বুঝতে শিখবে যে তার হাতে কতগুলি আঙ্গুল রয়েছে, যেগুলোর প্রতিটা আলাদা আলাদা ভাবে নিয়ন্ত্রিত হতে পারে।যদিও সে তার অঙ্গুলিগুলির দ্বারা কোনো বস্তুকে চিহ্ণিত করতে কিম্বা সঠিক ভাবে ধরতে সক্ষম হয় না,কিন্তু যখন থেকে সে তার হাতের তালু ও অঙ্গুলিগুলোকে চিহ্ণিত করতে পারে তখন থেকে সে সেগুলো কে নাড়াতে থাকবে।তাদের হাত ও চোখের সমন্বয় এখন আগের থেকে অনেক বেশী ভালো হতে শুরু করবে এবং আপনি চিহ্ণিত করতে পারবেন যে সে আপনার একগুচ্ছ চুল তার মুঠোয় ধরে ফেলেছে অথবা আপনাকে আঘাত করতে শুরু করেছে তাদের খেলনার সাহায্যে অথবা অন্য কোনো ভাবে।
তার নিজের গলার কণ্ঠস্বরকে আবিষ্কার করা হল আরেকটি উল্লেখযোগ্য ক্রিয়াকলাপ যা আপনার শিশুর উৎসাহকে বহুগুণ বাড়িয়ে তোলে।দিনের একটা ভাগে তার সাথে দীর্ঘ কথপোকথন চালিয়ে যাওয়া এবং বিভিন্ন ধরণের গলার টোন ও মডিউলেশনের দ্বারা তাদের ব্যস্ত রাখার খুব ভালো একটা উপায়।তার সাথে খেলার সময় যখন আপনি লুকিয়ে পড়েন সে জোরে তীব্র চিৎকার করে কেঁদে উঠতে পারে আবার যখন আপনি তাকে দেখা দেবেন সে উৎফুল্লের হাসি হেসে উঠতে পারে।অনেক শিশুই ভোরবেলায় জেগে ওঠে,যদি তাদের পেট ভর্তি থাকে,তারা তাদের পায়ের পাতার দিকে তাকিয়ে অনবরত তখনও শুয়ে থাকে এবং মুখে কু কু শব্দ তৈরী করতে থাকে।একজন মা হিসেবে এভাবে ঘুম থেকে উঠতে পারাটা ভীষণ সুন্দর একটা মুহূর্ত হয়ে ওঠে।
খাওয়ানো
13 সপ্তাহ বয়সী শিশুকে খাওয়ানোর কিছু রুটিন ও নির্দিষ্ট ধরণ নির্ধারণ করে সেই অনুযায়ী খাওয়ানো আপনাদের দুজনের জন্যই সহজ ও আরামদায়ক হয়ে উঠবে।খাওয়ার ব্যাপারে সে আরো দক্ষ হয়ে উঠবে এবং আপনি বলতে সক্ষম হবেন যে,কখন তার খাবারের প্রয়োজন এবং কখন সেটার প্রয়োজন নেই তা আপনি ভালভাবে বুঝতে পারবেন৷খিদে পাওয়ার কান্না এবং তাকে কোলে তুলে আলিঙ্গন করার জন্য কান্না–এগুলোর সবগুলোই চিনতে পারা যাবে।
ঘুম
বৃদ্ধির দৌড়ে প্রয়োজন হতে পারে আপনার শিশুকে রাতের বেলায় বিভিন্ন সময়ে বিক্ষিপ্ত ভাবে খাওয়ানোর।বোতলে দুধ খাওয়া বাচ্চাদের তুলনায় স্তন্যপানকারী শিশুদের সাধারণত রাতের বেলায় দুধের প্রয়োজনীতা বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা থাকে।তবুও বেশীর ভাগ শিশুই সারারাত জুড়ে একটানা একভাবে ঘুমাতে পারে না।বড় জোর একটানা এক ভাবে কোনও রকম বিরতি ছাড়াই একসাথে তারা প্রায় 6-7 ঘন্টা ঘুমাতে পারতে পারে।
রুটিন
3 মাস না হওয়া পর্যন্ত আপনি ও আপনার শিশু উভয়েই চেষ্টা করেছেন খুঁজে বের করতে যে কীভাবে অভিভাবকত্বের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যায়,বাচ্চাকে খাওয়ানো এবং ঘুমপাড়ানোর কাজগুলি ভালোভাবে করা যায়।কিন্তু পরস্পরের সাথে 13 সপ্তাহ কাটিয়ে ওঠার পর আপনাদের দুজনের জন্যই একটা সুষ্ঠু রুটিনের ধারা প্রয়োগ করার এটাই একটা ভালো সময় হয়ে উঠতে পারে।এমন কিছু ভাগ্যবান অভিভাবক আছেন যারা তাদের সন্তানের জীবনের প্রাথমিক পর্যায়েই তাদেরকে একটা প্রত্যাশিত রুটিনের ধারার মধ্যে অনিবার্য ভাবেই অভ্যস্ত করে তুলতে পেরেছেন।আর অবশিষ্ট আমাদের কাছে এটাই হল সেই সময় যখন থেকে ঐ রুটিনটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করা প্রয়োজন।
যেহেতু তারা বেড়ে ওঠে,বেশীরভাগ শিশুই নির্বাচন করতে পারে কখন তাদের খাবার প্রয়োজন আর কখন নয়।তাদের কিছু সুনির্দিষ্ট সময় থাকতে পারে যখন আপনি অবশ্যই আপনার বাচ্চাকে খাওয়াবেন,কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলে, আপনার বাচ্চা খাবারটাকে প্রত্যাখ্যান করতে পারে যেহেতু সে সেই সময়ে আর ক্ষুধার্ত থাকে না।যত দীর্ঘসময় তাদের ওজন হ্রাস না পেয়ে ঠিক থাকে, সেটা সব থেকে ভালো একটা ব্যাপার হয়।যেহেতু সে বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং দ্রুত বৃদ্ধির আরও অন্যান্য পর্যায়ে প্রবেশ করে,তার খিদের পরিমাণ বেড়ে যাবে এবং তার খাবারের চাহিদা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটা বেড়ে যাবে।
যে সকল শিশুদের প্রতিবার খাওয়ার মাঝের ব্যবধান অনেকটা দীর্ঘায়িত হয়ে থাকে,প্রতিবার খাওয়ার মাঝের ব্যবধানে 3-4 ঘন্টার সময় সীমা প্রয়োগ করা শুরু করা ভালো সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে মনে করা হয়।এটা সুযোগ করে দেয় আপনাকে নিজের জন্যও একটা রুটিন প্রস্তুত করার, কিছুটা বিশ্রাম করার।তাই আপনার বাচ্চাকে ভালোভাবে খাইয়ে রাখুন ও তার সাথে বেশ কিছুক্ষণ বিশ্রামও করুন।এত সকল পরিবর্তন আপনার বাচ্চাকে বিরক্ত করে তুলতে পারে,একবার খাওয়ার পর তাকে পরবর্তী খাবার যে বেশ কয়েক ঘন্টা পরে আবার খাওয়ানো হবে সেটা একবার বুঝতে পারার পর কোনো রকম বিরক্ত না হয়েই সে ঘুমিয়ে পড়বে।এমনকি রাতের বেলাতে, আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী অথবা আপনি যতটা চান ততটা আপনার বাচ্চা একটানা নাও ঘুমাতে পারে।এইসব ক্ষেত্রে, এটা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ যে আপনার বাচ্চা দিনের অন্যান্য সময়ে যখন তখন যেন না ঘুমিয়ে পড়ে।বেশীরভাগ মায়েরাই লক্ষ্য করে থাকেন যে তাদের বাচ্চাদের ঘুমের প্রবণতা থাকে যখন তাদের স্নান করানো হয় অথবা বিকেলের দিকে যখন তাদের খাওয়ানো হয় সেই সময়গুলোতে।যদি এরকমই ঘটে তবে তাদের জাগিয়ে তুলুন এবং কাজটি সম্পন্ন করুন।সে ঘ্যান ঘ্যান করতে পারে এবং আর নাও ঘুমাতে পারে, যেটা দিনের বেশ কিছুটা সময় জুড়ে চলতে পারে।এরকম ঘটার পরে সময় সম্পর্কে সে বুঝতে পারবে এবং নির্দিষ্ট সময়ানুযায়ীই সে ঘুমাবে।
13 সপ্তাহ বয়সী শিশুর যত্নের পরামর্শ
- আপনার বাচ্চার ত্বকের যত্ন নিন যাতে তা খুব শুকনো না হয়ে যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।যদি শুকনো ত্বক দেখা দেয় তবে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে তার ত্বককে আদ্র করে তুলুন।
- আপনার বাচ্চাকে নিকটবর্তী পার্ক বা বাগানে ঘোরাতে নিয়ে যান অথবা আপনি যখন প্রাতঃভ্রমণ বা সান্ধ্য ভ্রমণে বেড়োবেন আপনার সন্তানকে অন্যান্য বাচ্চার সাথে যোগাযোগ করান।
- আপনার বাচ্চাকে নির্দিষ্ট সময়ানুযায়ী ঘুম পাড়ান এবং চেষ্টা করুন তার যাবতীয় ক্রিয়াকলাপগুলো নির্দিষ্ট সময় সীমা মেনে করানোর যাতে আপনার বাচ্চা সেগুলো অনুসরণ করে সেই মতই চলার অভ্যাস শুরু করতে পারে।
পরীক্ষা নিরীক্ষা এবং টিকাকরণ
সম্পূর্ণ 3 মাস সম্পন্ন করে,এবং পরবর্তী পর্যায়ে প্রবেশ করে,আরেক রাউন্ডের টিকাকরণের সময় এসে উপস্থিত হয়।হয় ইঞ্জেকশন প্রয়োগের মাধ্যমে অথবা ওষুধ খাওয়ার দ্বারা এই কাজটা সম্পন্ন করা হয়।
এই পর্যায়ের প্রথম ইঞ্জেকশন হল -DTaP/IPV/Hib ভ্যাক্সিন।যা পোলিও এবং অন্যান্য আরো অনেকরকম রোগ যেমন–ডিপথিরিয়ার আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে।অন্য যে ভ্যাক্সিন ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে প্রয়োগ করা হয়, তাহল MenC ভ্যাক্সিন।এটি বাচ্চাদের মেনিনজোকক্কাল ভাইরাসের আক্রমণ প্রতিহত করে এবং তা থেকে শিশুদের রক্ষা করে।
অবশেষে,পরবর্তী পর্যায়ে শিশুদের রোটাভাইরাস ভ্যাক্সিন দেওয়া হয় কিন্তু সেটা বেশীর ভাগ সময়েই ইঞ্জেকশনের পরিবর্তে মৌখিক ভাবেই দেওয়া হয়ে থাকে।
খেলাধূলা এবং অন্যান্য ক্রিয়াকলাপ
এই সময়ে আপনার শিশুর শ্রবণেন্দ্রিয়ের বিকাশ অনেকটা হয়ে থাকে।শব্দ,সুর এবং স্বর ভালোভাবে বুঝতে শিখে,তারা লক্ষ্য করতে শুরু করে কীভাবে একই শব্দ বিভিন্ন প্রতীক রূপে সুন্দর ভাবে নির্গত করা যায়।কিন্তু সাধারণ সুর ব্যবহারের পরিবর্তে আপনি আপনার বাচ্চাকে আপনার রান্নাঘরে নিয়ে যেতে পারেন একটা অন্য পরিবেশে পরিবর্তন করানোর জন্য এবং তাকে বাজাতে দিন 101 ধরণের বাজনা।আপনার বাড়ির বাসনপত্র,প্লাস্টিকের বাক্স,কার্ডবোর্ডের বাক্স অথবা অন্যান্য আরো এমন বস্তু যেগুলো প্রতিটা অন্যান্য উপাদানে তৈরী ,কেবল সেগুলোই আপনার বাচ্চাকে বাজাতে দেওয়া নিশ্চিত করুন।এই সকল বস্তুগুলো এক জায়গায় জড়ো করুন,হাতের মুঠোয় একটা ছোট লাঠি অথবা হাতা নিয়ে সেগুলোর প্রতিটায় আঘাত করে শব্দ সৃষ্টি করুন। এই বিভিন্ন ধরণের শব্দ আপনার বাচ্চাকে কৌতুহলী ও উত্তেজিত করে তুলবে।এরপর আপনি সেগুলোর সাহায্যে কিছু সুর বানানোর চেষ্টা করলে হয়ত আপনার বাচ্চা আনন্দে হাততালি দেওয়াও শুরু করতে পারে।তারপর আপনার বাচ্চার মুখের দিকে তাকিয়ে আপনি সেই ড্রামের বাজানো একই সুরগুলো মুখে করার চেষ্টা করুন এই সম্পূর্ণ কাজটা আপনার শিশুকে বেশ কিছুদিন ধরে ব্যাস্ত রাখবে।
বাচ্চারা জল নিয়ে খেলতে বেশ ভালোবাসে। যদি আপনার কোনো বাথ টাব থাকে কিম্বা কোনো ছোটো গামলা থাকে সেটা জলপূর্ণ করে তার ভিতরে আপনার বাচ্চাকে বসিয়ে দিন।তার মাথা যেন সবসময় জলের উপরের দিকে থাকে সেটা নিশ্চিত থাকবেন, এবং এটা করার জন্য আপনি তাকে আপনার হাতের দ্বারা সাহায্য করবেন।এরপর আপনার হাত দিয়ে তার গায়ে কিছু জল ছিটিয়ে দিন এবং তারপর তার পায়ের পাতা দুটো ধরে সেই জল ছেটানো প্রক্রিয়াটা করাতে থাকুন।আপনার বাচ্চা কিছু সময় নেবে বুঝে উঠতে যে কীভাবে তার পায়ের পাতার দ্বারা জল ছেটানোটা সম্ভব হচ্ছে,কিন্তু একবার সেটা বুঝে গেলেই আপনার বাথরুমটা কোনো সময় ছাড়াই মুহূর্তের মধ্যে পরিণত হয়ে উঠবে একটা ওয়াটার পার্কে(জলময় পার্কে)।
প্রয়োজনে ডাক্তারের সাথে আলোচনা
এই বয়সে বাচ্চাদের জিভে ঘা হওয়ার প্রবণতা খাকে,এটা ইস্ট জনিত সংক্রমণের জন্য হয়ে থাকে।এর ফলে তাদের মুখের ভিতরের অংশে এমনকি তাদের গালে ও ঠোঁটেও কিছু সাদা দাগ বা প্যাচের সৃষ্টি হয়।এটা মায়েদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়তে পারে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় যা আপনার স্তনবৃন্তের ক্ষতিসাধন করে।এরকম অবস্থা হয়ে থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।
উল্লেখযোগ্য ভাবে 4 মাসে পদার্পণের সাথে, আপনার বাচ্চা নানা ধরণের নতুন নতুন কাজ ও তার সাথে আরো অনেক নতুন কিছু শিখতে শুরু করবে,তার এই নিজস্ব বৃদ্ধি আপনাকে বিস্ময়াভিভূত করে তুলবে।এই সকল স্মৃতি সমূহ অক্ষত রেখে আপনার বাচ্চার সাথে যতটা সম্ভব বেশী সময় কাটানো নিশ্চিত করুন।