In this Article
এই সময়ে আপনার বাচ্চা 20 মাস বয়সে পৌঁছানোর সাথে, সে তার বদমেজাজ গুলি নিক্ষেপ করতে শুরু করবে।আপনি যে খাবারগুলি তাকে খাওয়াতে চাইবেন সে খেতে চাইবে না এবং যে অসাধারণ জলখাবারগুলি সে একসময় ভীষণ ভালোবাসত সেগুলিও আর কার্যকরী হবে না।বাচ্চারা এক অদ্ভুত পর্যায়ে থাকে যখন তারা দু–বছর বয়সে অভিগমন করে,এবং স্বাভাবিক ভাবেই তাদের খাদ্যাভ্যাসেরও পরিবর্তন ঘটে।এই ধরণের পরিস্থিতিতে,আঙ্গুলের তুড়িতে চট জলদি কিছু খাবারের রেসিপি তৈরী করে ফেলা এবং একটা সুন্দর খাদ্য পরিকল্পনা মনোনিত করা যা আপনার বাচ্চা স্বেচ্ছায় গ্রহণ করবে,আপনার জীবনকে সহজ করে তুলতে পারে।
20 মাস বয়সী শিশুর পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা
আপনার 20 মসের বাচ্চার জন্য এমনকি যখন তার দুপুরের মধ্যাহ্ন ভোজের মজাদার ধারণাগুলিকে একত্রিত করেন,এটা মনে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, কিছু নির্দিষ্ট পুষ্টিকর উপাদান একটি বাচ্চার জন্য অপরিহার্য এবং আপনি এটা দিয়ে তা দূর করতে পারেন না।একটা 20 মাস বয়সী বাচ্চার পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা গুলি নিম্নরূপ।আপনার শিশুর এই সকল পুষ্টিগুলি পাওয়া সুনিশ্চিত করুন।
1.ক্যালোরি
ক্যালোরি শিশুর জন্য শক্তি সরবরাহে সাহায্য করে।এখানে মূল দৃষ্টিভঙ্গী হল একটা খাবারের মধ্যে পার্থক্য জানা যা যথেষ্ট ক্যালোরির পাশাপাশি ভালো পুষ্টি সরবরাহ করে,যা হল দেহের আভ্যন্তরীণ শক্তি।উভয়দিকেই তীর্যক এমন ধরণের খাদ্য পরিকল্পনাটি এড়িয়ে চলার জন্য একটা ভারসাম্য আনা প্রয়োজন।
2.প্রোটিন
দেহগঠনকারী উপাদান হিসেবে বিবেচ্য প্রোটিন টডলার শ্রেণীভুক্ত শিশুদের জন্য অপরিহার্য, বিশেষ করে তাদের বিকাশের পর্যায়ে।তার খাদ্য যথেষ্ট পরিমাণে প্রোটিন দ্বারা গঠিত হওয়াকে নিশ্চিত করুন।
3.কার্বোহাইড্রেট
কার্বোহাইড্রেট মস্তিষ্কের,পেশীর এবং স্নায়ুতন্ত্রের জন্য জ্বালানি সরবরাহে সাহায্য করে।
4.ফাইবার বা তন্তু
ফাইবার বা তন্তু সঠিক ভাবে অন্ত্র আলোড়নে এবং যথাযথ সঠিকভাবে পরিপাক হতে সাহায্য করে। কোনওরকম প্রক্রিয়াজাত তন্তু সমৃদ্ধ খাবারের পরিবর্তে বাচ্চার খাবারের সমস্ত খাদ্য আইটেমে পর্যাপ্ত পরমাণে তন্তু বা ফাইবার জাত উপাদানগুলিকে অন্তর্ভূক্ত রাখা সুনিশ্চিত করুন। বেশীর ভাগ সময়েই অনেক কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাদ্যের মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণে ফাইবার থাকে।
5.সোডিয়াম
খুব বেশী ডাক্তার বা পুষ্টিবিদেরা বাচ্চাদের খাদ্যে সোডিয়ামের উপস্থিতির প্রয়োজনীয়তার উপর চাপ দেন না।প্রতিদিন মাত্র 1 গ্রাম মত সোডিয়ামের প্রয়োজন হয়।এটির কোনও রকম ঘাটতি বাচ্চার স্নায়ুর কার্যকারীতাকে গুরুতরভাবে ব্যহত করতে পারে।
6.আয়রণ
রক্তের কার্যকারীতা সঠিকভাবে বজায় রাখার জন্য শরীরে আয়রণের প্রয়োজন হয়। আয়রণের ঘাটতি থাকা বেশীর ভাগ শিশুদেরই মধ্যে প্রাথমিকভাবে তাদের খাদ্য পছন্দের মধ্যে একটা শক্তিশালী পক্ষপাত থাকে।আয়রণের পরিপূরকগুলি খুব কমই প্রয়োজন হয় এবং এটির বেশীর ভাগটাই ভিটামিন C সমৃদ্ধ ফল থেকে অথবা এমনকি ঢালাই লোহা থেকে তৈরী বাসন থেকেও পাওয়া যেতে পারে।
7.ভিটামিন D
বাচ্চাদের জন্য এই বয়সে ভিটামিন D এর প্রয়োজন যেহেতু এটি ক্যালসিয়াম শোষণে এবং হাড়ের বিকাশের উন্নয়ণে সাহায্য করে।এটি দুধে এবং পর্যাপ্ত সূর্যালোকের প্রকাশের মাধ্যমে পাওয়া যেতে পারে।
8.জল
পরিপাক,স্যালাইভা বা লালা সৃষ্টি এবং শারীরিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের মত বিভিন্ন শারীরিক ক্রিয়ায় জল সাহায্য করে থাকে।আপনার সন্তানের ক্রিয়াকলাপ এবং তার জল খাওয়া সবসময় সরাসরি আনুপাতিক হওয়া প্রয়োজন। এমনকি যদি আপনার বাচ্চা সবসময় নাও খেলে বেড়ায়,তাকে যেকোনও উপায়ে রোজের পরিমাণ মত জল খাওয়ানো অপরিহার্য।
একটি টডলারের তার 20 মাস বয়সে কতটা খাবারের প্রয়োজন?
আপনার ছোট্ট সোনার ক্রিয়াকলাপগুলি ক্রমশ বাড়তে শুরু করবে তার 2 বছরের লক্ষ্য চিহ্ণে পৌঁছানোর সাথে।অতএব এখন তার ক্যালোরির প্রয়োজন 1400 এর কাছাকাছি পৌঁছোতে শুরু করবে, এমন কি যদিও তার খিদে পাওয়ার পরিমাণ একই রকম কম বা বেশী থাকে।
কুড়ি মাস বয়সী শিশুর জন্য সবচেয়ে সেরা খাদ্য
আপনার ছোট্ট সোনার জন্য রাতের নৈশভোজের ধারণাগুলিকে আপনার আরও উন্নত করা যেতে পারে আপনার 20 মাস বয়সী শিশুর খাদ্যে বেশ কিছু নির্দিষ্ট খাবার সংযোজনের মাধ্যমে।
1.ফল
যখন পুষ্টির বিভিন্নতার জন্য খাদ্যের মধ্যে ফলের সংযোজন করা হয় তখন সেটি আরও সহজ করে তুলতে পারা যায়।আম,কিউয়ি,বিভিন্ন ধরনের বেরী,আঙুর,কলা এবং এমনকি ড্রাইফ্রুটও আপনার বাচ্চাকে বিভিন্ন স্বাদ এবং পুষ্টির সাথে পরিচয় করাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
2.ডিম
প্রতিদিন একটা করে ডিম খাওয়া আপনার সন্তানের স্বাস্থ্যের জন্য দূর্দান্ত হতে পারে। সবরকম পুষ্টি সরবরাহকারী একটা জলখাবার বানানো নিশ্চিত করার জন্য সেটিকে পাউরুটির সাথে জুড়ে দিন অথবা এমনকি বিভিন্ন সবজির রেসিপির মধ্যেও অন্তর্ভূক্ত করুন।
3.দুগ্ধজাত পণ্য
একগ্লাস দুধ ছাড়াও এক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরণের উপাদান আছে যেমন চীজ,দই,লসসি,যেগুলি আপনার শিশুর খাদ্যের একটা অংশ হওয়া উচিত।ল্যাকটোজ অসহিষ্ণু বাচ্চাদের শক্তিবর্ধক বিকল্পগুলির জন্য নির্বাচন করতে পারেন।
4.ফ্যাট বা তেল
বাচ্চাদের বিশেষ করে যাদের বয়স 20 মাস তাদের খাদ্যে নারকেল তেল এবং অ্যাভোকাডো তেলের একটা বিশেষ স্থান আছে।সঠিকভাবে পরিবেশনে এগুলি বাচ্চাদের যথেষ্ট ফ্যাট সরবরাহ করে,যা শরীরকে চালিত রাখার মজুত শক্তি ভান্ডার তৈরী করে।
5.সবজি
যদিও শাক–সবজির পাশাপাশি সবুজ সবজি গুলি যেমন কড়াইশুঁটি, ফুলকপি,ব্রকোলি এবং আরও অন্যান্য অনেক সবজিগুলি আপনার শিশুর জন্য ভালো,তবে এগুলিই একমাত্র উৎস নয়,সাধারণ টমেটো শস এবং সালসাতেও উপকারী পুষ্টিকর উপাদানগুলি অন্তর্ভূক্ত থাকে।
6.মাংস
যেহেতু আপনার বাচ্চা 2 বছর সম্পূর্ণ করার খুব কাছাকাছি এসে পড়ে, আপনি খুব অল্প পরিমাণে বিভিন্ন ধরণের মাংসের যেমন টার্কি,মটন,বীফ এবং অন্যান্য আরও কয়েক ধরণের মাংসের পদের সাথে তার পরিচয় করাতে পারেন।শুরুতেই তাদের অল্প করে দেওয়া নিশ্চিত করুন এবং সেগুলিকে যথাযথ ভাবে চিবোতে শেখান।
7.শিম্বি জাতীয় ডাল এবং বাদাম
সঠিক বীজ থেকে যেমন হেম্প,চিয়া,শণ বীজের পাশাপাশি শিম্বি জাতীয় ডাল যেমন কড়াইশুঁটি, মসূর,বীনস এবং অন্যান্য আরও আপনার বাচ্চাকে প্রতিদিন দুবার করে পরিবেশন করা তার পুষ্টিতে এক অতিরিক্ত সংযোজন হবে।
8.সবুজ সবজি এবং সাইট্রাস ফ্রুট
অনেকটা বেশী পরিমাণে শাক সবজির সাথে ভিটামিন C সমৃদ্ধ ফলগুলি একসাথে কাজ করে শিশুদের দেহে আয়রণ সরবরাহ এবং সেগুলিকে কার্যকরীভাবে শোষণে সাহায্য করে।রেড মিটও এই একই কাজের জন্য সুপরিচিত।
9.রুটি এবং ওটমিল
গোটা গমের আটার রুটির পাশাপাশি ওটমিল–ও শিশুদের জন্য ভীষণ ভাবে সুপারিশ করা হয়, তাদের খাদ্যের সাথে দানাশস্য–জাত খাদ্যপদগুলির অন্তর্ভুক্তিকরণ তাদের দেহে একটা বড় সুবিধা নিয়ে আসে।1-2 বছর বয়সী বাচ্চাদের জন্য বেশীরভাগ বাবা–মাকে এছাড়াও আবার সাগু খাওয়ানোরও পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।
10.সামুদ্রিক খাবার
সামুদ্রিক খাবারগুলির কিছু বিস্ময়কর দূর্দান্ত সুবিধা রয়েছে কিন্তু এছাড়াও তার সাথে এগুলি আবার আর্সেনিক অথবা মার্কারির বিষাক্ততার ঝুঁকিও নিয়ে আসে।যত বেশী সময় ধরে আপনি নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে সংগৃহীত নির্দিষ্ট মাছগুলির সাথে সংলগ্ন হয়ে থাকতে পারবেন,আপনার বাচ্চা সেগুলি থেকে বৃহৎ উপকৃত হবে।
20 মাস বয়সী শিশুর খাবারের চার্ট/খাদ্য পরিকল্পনা
এখানে একটা চার্ট দেওয়া হল 20 মাস বয়সী শিশুর খাদ্য পরিকল্পনায় সাহায্যের জন্য।
দিন | প্রাতঃরাশ | জলখাবার | মধ্যাহ্ণভোজ | জলখাবার | নৈশভোজ |
সোমবার | চকোলেটের মিশেলি | রাগির বিস্কুট | গাজর,শসার ভাত এবং দই | উপমা | বাঁধাকপির পরোটা |
মঙ্গলবার | কর্ন চীজ স্যান্ডুইচ | ভাজা কড়াইশুঁটি | পোলাও এবং ডাল | ওটের মাফিন | সেদ্ধ ধোসা |
বুধবার | সুজি টোষ্ট | গ্রানোলা দিয়ে তৈরী বার | বীট রুটের ভাত | গেরি গুগলি এবং দই | সবজি পাস্তা |
বৃহস্পতিবার | ইন্সট্যান্ট ওট এবং ইডলি | তরমুজের মিল্ক শেক | সবজির খিচুড়ি | গমের কেক | ব্যাসন পরোটা |
শুক্রবার | মাংসের বল | ওটের লম্বাটে টুকরো | ভেজ মাঞ্চুরিয়ান এবং ভাত | পালং শাকের সাথে গেরী গুগলি | সবজি পাস্তা |
শনিবার | কুমড়োর প্যানকেক | ফল লসসি | ক্যাপসিকাম ভাত | স্প্রিং রোল | সেমুই |
রবিবার | মিষ্টি আলুর ধোসা | আটার বিস্কুট | ডিম ভাত | চীজের বল | সুজির ক্ষীর |
20 মাস বয়সী শিশুর জন্য খাবারের রেসিপি
এখনও যদি আপনি খুঁজে বেড়ান যে আমার 20 মাস বয়সী শিশুকে কি খাওয়ানো যেতে পারে যা আপনি খুব সহজেই রান্না করতে পারেন,তবে এই রেসিপিগুলি আপনার সেই উপায় উদঘাটন করতে পারে।
1.কুমড়োর প্যানকেক
এই সুস্বাদু জলখাবারটি দ্রুত বানাবার জন্য এটিকে আগে থেকেই ভালোভাবে প্রস্তুত করে ফ্রিজে শীতল করে রাখতে পারেন।
উপকরণ
- ভ্যানিলা এসেন্স
- কুমড়োর পিউরি
- ডিম
- মাখন
- দুধ
- ব্রাউন সুগার বা চিনি
- নুন
- জায়ফল
- দারুচিনি
- বেকিং পাউডার
- গোটা গমের আটা
কীভাবে বানাবেন
- একটা বড় বাটিতে বেকিং পাউডার, আটা,দারুচিনি,জায়ফল,নুন এবং ব্রাউন সুগার সব একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
- অন্য আরেকটা বাটিতে দুধের সাথে মাখন,ডিম,পিউরি এবং ভ্যানিলা এসেন্স যোগ করে সব একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
- এই সমগ্র মিশ্রণটিকে আগের বাটির মধ্যে ঢেলে দিয়ে ভালোভাবে দ্রুত ফ্যাটাতে থাকুন এটি মসৃণ না হওয়া পর্যন্ত। এবার কিছু সময়ের জন্য এটিকে রেখে দিন।
- একটা তাওয়ার উপর ঘিয়ের প্রলেপ দিয়ে মাঝারি আঁচে বসিয়ে তার মধ্যে ব্যাটারটিকে ঢেলে দিন প্যানকেক বানানোর জন্য।উভয় পাশ সোনালী বাদামী রঙ হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন এবং মধু অথবা ম্যাপেল সিরাপের সাথে তা পরিবেশন করুন।
2.পনীর আটার বিস্কুট
বিস্কুটগুলি সবসময় একই ধরণের বোরিং বা একঘেয়েমি হতে দেবেন না।আপনার চেষ্টা করার জন্য এখানে সব দূর্দান্ত বৈকল্পিক গুলি দেওয়া হল।
উপকরণ
- নুন
- কারি পাতা
- আজোওয়ান
- পিঁয়াজ
- মাখন,নোনতা
- বেকিং পাউডার
- গোটা গমের আটা
- পনীর টুকরো করা
কীভাবে বানাবেন
- ওভেনটিকে আগে থেকেই 170 ডিগ্রী তাপমাত্রায় গরম করে রাখুন এবং একটা ট্রেতে মাখনের প্রলেপ লাগিয়ে রাখুন।
- কারিপাতা,আজোওয়ান এবং পিঁয়াজ সব একসাথে পিষে নিন।
- একটা বাটিতে মাখন নিয়ে তার মধ্যে পনীরের টুকরোগুলিকে নিয়ে ভালোভাবে ফেটিয়ে নিন।আটার সাথে বাকী সমস্ত উপকরণগুলিকে নিয়ে সব একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন যতক্ষণ না সেটা শক্ত হয়ে ওঠে।
- এবার ঐ আটা মাখা তালটিকে পাতলা করে বেলে নিয়ে তার থেকে বিস্কুটের আকারে কেটে নিন।এরপর সেগুলিকে 20 মিনিটের জন্য ওভেনের মধ্যে বাদামী রঙ হওয়া পর্যন্ত বেক হতে দিন। এরপর সেগুলিকে ঠান্ডা করে নিয়ে বায়ুনিরুদ্ধ পাত্রের মধ্যে মজুত করে রাখুন।
3.ভেজ মাঞ্চুরিয়ান
বাড়িতে তৈরী এই চাইনীজ খাবারটি আপনার বাচ্চার জন্য সবসময়ই ভালো হবে,একই সাথে এটি খুব স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদুও।
উপকরণ
- কর্ন ফ্লাওয়ার
- রিফাইনড অয়েল
- কালো মরিচ
- নুন
- গাজর
- বাঁধাকপি
- ফুলকপি
- সবজির স্টক
- কেচাপ
- সয়া শস
- আদা বাটা
- রসুন
- পিঁয়াজ
- তেল
কীভাবে বানাবেন
- সমস্ত সবজিগুলিকে ভালো করে কুঁচিয়ে নিয়ে একটা বড় বাটির মধ্যে সেগুলিকে ময়দার সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে একটা তাল বানান।কোনও অতিরিক্ত জল যোগ করবেন না।
- এই তাল থেকে ছোট ছোট বল রূপে গড়ে তুলুন এবং সেগুলিকে তেলের মধ্যে বাদামী করে কড়া ভাবে ভেজে তুলুন।অতিরিক্ত তেল শুষে নেওয়ার জন্য ন্যাপকিন ব্যবহার করুন।
- একটা কড়াই নিয়ে তার মধ্যে আদা রসুন বাটাটিকে ভেজে নিন। এরপর তার মধ্যে পিঁয়াজগুলি দিয়ে সাঁতলে নিন এবং তার সাথে সমস্ত মশলা এবং শস যোগ করুন
- এর মধ্যে সবজির স্টক মিশিয়ে নিয়ে ফুটতে দিন।এর সাথে এবার কর্নফ্লাওয়ারের পেষ্ট যোগ করুন এর ঘনত্ব বাড়াতে এবং ধীরে ধীরে এর মধ্যে ভাজা বলগুলিকে যোগ করুন।
4.গোটা গমের কেক
আপনার সোনাকে এই কেকটি বানিয়ে দিন যেটি কেবল শুধুমাত্র সুস্বাদুই নয় সব দিক থেকেই স্বাস্থ্যকরও।
উপকরণ
- বেকিং পাউডার
- কলা
- ড্রাই ফ্রুট
- ঘি
- গুড়
- দুধ
- গমের আটা
কীভাবে বানাবেন
- ঘিয়ের সাথে আটা ভেজে সেটিকে ঠাণ্ডা হতে দিন।
- ভাজা আটাটিকে গুড় এবং কলার সাথে পিষে চটকে নিন।এবার এটির সাথে ভাজা বাদামগুলি যোগ করুন।
- একটি কুকার প্লেটে ঘিয়ের প্রলেপ দিয়ে তার মধ্যে মিশ্রণটিকে ঢেলে দিন।কুকারের মধ্যে সামান্য জল যোগ করে সেটিকে মাঝারি আঁচে আধ ঘন্টার জন্য রান্না হতে দিন কোনওরকম সিটি না দিয়েই।
- পরিবেশন করার আগে এটিকে ঠাণ্ডা হতে দিন।
5.সুজির ক্ষীর
আপনার শিশুর জন্য ক্ষীরটিকে খাবার হিসেবে মনে নাও হতে পারে,কিন্তু এটা প্রত্যাশার তুলনায় বেশী পেট ভরাতে এবং ঠোঁটে লেগে থাকতে সক্রিয়।
উপকরণ
- জল
- এলাচ গুড়ো
- ঘি
- ভাজা সুজি
কীভাবে বানাবেন
- একটা পাত্রে জল নিয়ে ফুটতে দিন
- তার মধ্যে ভাজা সুজি যোগ করে অনবরত নাড়তে থাকুন দলা পাকিয়ে যাওয়া এড়িয়ে উঠতে।
- কিছুক্ষণের জন্য এটিকে রান্না হতে দিন এবং তারপর এর সাথে কিছুটা ঘি যোগ করুন, ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
- পুরোপুরি রান্না হয়ে গেলে আগুন নিভিয়ে দিন এবং এটির উপর এলাচ গুড়ো ছড়িয়ে দিন।
খাওয়ানোর পরামর্শ
যখন একটা খাদ্য পরিকল্পনা তৈরী করবেন এবং আপনার সন্তানকে খাওয়ানোর সময় কয়েকটি পরামর্শ মাথায় রাখবেন–
- তার খাবারের মধ্যে প্রতিদিন সবজি গুলির সংযোজন করা সুনশ্চিত করুন।
- যদি সে ভালো না বাসে তবে সেই খাবারের প্লেট তাকে খেয়ে শেষ করার জন্য জোরাজুরি করবেন না।
- কোনও কিছুই খুব বেশী পরিমাণে তাকে খাওয়াবেন না।
- যদি একটা শিশু তার দুপুরের খাবার না খায় তবে বিচক্ষণতার সাথে তাকে যথেষ্ট জলখাবার খাওয়ানো সুনিশ্চিত করুন।
- রাতের নৈশভোজের সাথে এমন খাবার অন্তর্ভূক্ত করুন যাতে সে আরাম করে খেতে পারে।
- যদি আপনার সোনা কোনও খাবার খেতে ঘৃণা পায় তবে আপনি নিজে তার সামনে সেটিকে ভালোভাবে খাবেন সে ব্যাপারটা সুনিশ্চিত করুন।
- আপনার বাচ্চাকে পরিবারের সকলের সাথে একই খাবারের টেবিলে আপনার সাথে নিয়ে খেতে বসুন।
- নতুন খাবারের সাথে পরিচয় করানোর সময় কোনও খাবারে এলার্জির প্রতিক্রিয়া হয় কিনা নজরে রাখুন।
- তাকে পুরো খাবারটাই চটকে দেওয়া পছন্দ করুন।
- মিষ্টি খাবার গুলি খেতে দেওয়ার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা আনুন।
20 মাসের টডলারের জন্য দূর্দান্ত জলখাবার গুলি খুঁজে বের করা ততটাও চ্যালেঞ্জের বিষয় নয় যতটা মনে করা হয়,যদি একবার প্রতিদিনের খাদ্য পদে এগুলির সম্ভাব্য সমন্বয় খুঁজতে শুরু করেন।