In this Article
আপনার সন্তান এখন এক বছরের লক্ষ্য–চিহ্ণে!এই পর্যায়ে আপনি অবাক হয়ে যেতে পারেন ভেবে যে–সে কি কখনই থামবে না?এটা এরকম হয় যে সে এখন যা কিছুই করে সবটাই হামাগুড়ি দিয়ে অথবা ক্রুজের গতিতে জিনিসপত্র ধরে ঠেলে ঠেলে এগিয়ে অথবা কোনো রকম বিরতি ছাড়াই তার পদক্ষেপ গুলি নিতে থাকে। এই কারণের জন্যই আপনার সন্তান রাতের বেলায় একটু বেশী সময় ধরে ঘুমাতে পারতে পারে অথবা দীর্ঘ দিবা–নিদ্রাযাপন করতে পারে–এই ভাবেই সে তার নিশ্বেসিত সকল শক্তি পুনরুদ্ধার করে। এটা খুব ভাল জিনিস,কারণ ঘুম সবচেয়ে ভালভাবে আপনার শিশুর শারীরিক সমন্বয়ে সাহায্য করে। তার রুটিনানুযায়ী আপনার নিজস্ব রুটিন গঠন করা একটা ভাল ধারণা হতে পারে,সেই জন্য তখন থেকে তার কোনও ঘুমই বাদ যায় এটা আপনি চান না।
49 সপ্তাহ বয়সী শিশুর বিকাশ
আপনার 49 সপ্তাহ বয়সী শিশুর প্রথম জন্মদিনের কাছাকাছি সময়ে, প্রায়শই মাঝে মধ্যে একটা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হবে–সে এখনো কি হাঁটতে পারে? ভাল,এই পর্যায়ে আপনার শিশু হাঁটতে পারতে পারে অথবা সে নাও পারতে পারে।শিশুরা সাধারণত 9-18 মাস বয়সের মধ্যে হাঁটতে শুরু করে,সুতরাং যদি সে এখনও না পারে,এটা কোনও বড় ব্যাপার নয়।তাকে তার সময় নিতে দিন।যদি সে হাঁটতে শুরু করে, সে তখনও শিখতে থাকবে তার হাঁটার গতিতে তার ছোট্ট পা–গুলিকে কীভাবে সঞ্চালন করা যায় এবং তা হয়ত প্রথম প্রথম দেখতে ভালো নাও লাগতে পারে।তার পদস্খলন হয়ে হোঁচট খেতে পারে,তাই তার ভারসাম্য ধরে রাখার জন্য তার হাত–গুলিকে ধরে রাখুন।স্বাভাবিকভাবেই যেহেতু সে অনুশীলন করতে থাকে,তার হাত–গুলি তার পাশে নেমে আসবে,এবং সে তার নিজের অন্তবর্তী শক্তির উপর নির্ভর করবে হাঁটার সময় ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য।এই সময়ে তার সাথে পরিচয় করান কিছু ঠেলে ঠেলে খেলার মত খেলনার সাথে, যেমন–বাচ্চাদের বাজার করার খেলনা ঠ্যালা গাড়ি অথবা বাচ্চাদের স্ট্রলার ইত্যাদি। সে তার উপরে কিছু রাখবে,এবং এটা তার হাঁটার উদ্দীপনা আরো বাড়িয়ে তুলবে।
49 সপ্তাহ বয়সী শিশুর উন্নয়নমূলক মাইলস্টোন–গুলি
আপনি পর্যবেক্ষণ করুন এই সপ্তাহে 49 সপ্তাহ বয়সী শিশুর মাইলস্টোন–গুলি।
- আপনার বাচ্চা অনর্গল বকবক করতে সক্ষম হয়ে উঠবে,সবরকম টোনে একটা কথোপকথনের স্বরভঙ্গীগুলি বলার চেষ্টা করবে,যদিও যা কিছুই সে বলে সবই অর্থহীন কথা।
- আপনার সন্তান নিচু হয়ে মেঝে থেকে কোনো জনিসকে কুঁড়োতে সক্ষম হবে ভারসাম্য না হারিয়েই।
- আপনার শিশু আত্মবিশ্বাসের সাথে হামাগুড়ি দিতে এবং ক্রুজের গতিতে কোন বস্তু ধরে ঘষে ঘষে ঠেলে ঠেলে এগিয়ে চলতে সক্ষম হয়ে উঠবে এবং হতে পারে এই সময়েই সে তার পায়ের প্রথম ধাপ–টিও ফেলতে শিখতে পারে।
- আপনার ছোট্ট সোনা এখন থেকে ‘হ্যাঁ‘ এবং ‘না‘ এই শব্দ–গুলোর অর্থ বুঝতে শিখতে শুরু করবে এবং হতে পারে আপনি যখন তাকে কিছু জিজ্ঞাসা করবেন সে এই শব্দ–গুলির দ্বারাই উত্তর দিলেও দিতে পারে।
- আপনার শিশু এখন থেকে ‘মামা‘ , ‘বাবা‘ এই সকল শব্দগুলির পাশাপাশি একমুষ্ঠি স্বতন্ত্র শব্দগুচ্ছ–ও বলতে সক্ষম হয়ে উঠবে।
- আপনার ছোট্টটা আরো দ্রুত গতিতে সঞ্চালন করতে সক্ষম হবে যখন সে হামা দেয় এমনকি হাঁটার সময়েও।
সে আরো বেশী তার ভাব প্রকাশ করতে পারবে,এবং আপনি তার মুখ দেখে তার মনের কথা পড়তে সক্ষম হবেন।
খাওয়ানো
এখন আপনি আপনার বাচ্চাকে বোতলে এবং ফরমূলা দুধ খাওয়ানো ছাড়ানোর পথে চলবেন।আদর্শগতভাবে,আপনার বাচ্চার একটা বোতল থাকা উচিত শুধুমাত্র তার ঘুমের সময়ের জন্য অথবা একটা দিবা–নিদ্রার আগে।জেগে ওঠার সময় তাকে কাপ থেকে দুধ পান করানো উচিত এবং এই পর্যায়ে দুধ পান করানোর তুলনায় কঠিন খাবার খাওয়ানো আরো বিশিষ্ট এক ভূমিকা পালন করে।দুধ খাওয়ানো ছাড়ানোর সবচেয়ে কঠিন অংশ–টা হল তার বোতল এবং তার ঘুমের মধ্যে যোগাযোগটা কমানো।এটা আপনার কাছে সহজ করে তুলতে, তাকে দিনের বেলায় খাওয়ানো শুরু করুন।স্বাভাবিকভাবেই তাকে দেওয়া দুধের পরিমাণ কমিয়ে দিন এবং আপনার বাচ্চাকে তার বিছানায় প্রতিস্থাপনের আগে তাকে খাওয়ানোটা শেষ করার লক্ষ্য রাখুন।যদি আপনি তাকে একটা কাপ থেকে দুধ পান করান,মনে রাখবেন যে,একটি শিশুকে প্রতিদিন 4-6 বার দুধ দেওয়া প্রয়োজন,সুতরাং আপনি দুধের পরিবর্তে তাকে অন্য কোনো দুগ্ধজাত পদার্থ–ও দিতে পারেন।আপনি আপনার শিশুর থেকে রাত্রিবেলায় দুধের বোতলটা প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য, চেষ্টা করুন এবং বোতলের সাথে বিক্ষিপ্ত করার জন্য তাকে অন্য বিষয়–গুলির সাথে তার পরিচয় করান যেমন ঘুমের আগে তাকে গান শোনান এবং দোলা দিন, এবং তার পাশাপাশি তাকে দেওয়া দুধের পরিমাণটিও কমিয়ে দিন।শীঘ্রই আপনার সন্তান এই বিক্ষেপণ–গুলির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়বে এবং তার বোতলের দিকে মনযোগটা কম দেবে।দুধ ছাড়ানোর প্রক্রিয়াটা ধীরে ধীরে স্বাভাবিকভাবে হতে থাকবে,সুতরাং আপনার সন্তানকে এই নতুন পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নিতে সময় দিতে হবে।লক্ষ্য হল 12 মাসের মধ্যে তাকে বোতল ছাড়ানো এবং ফরমূলা দুখের পরিবর্তে গরুর দুধ দেওয়া শুরু করা।
ঘুমানো
বুকের দুধ এবং ফরমূলা দুধ খাওয়া শিশুদের জন্য, দুধ ছাড়ানোর পদ্ধতিটা একই রকম। সব সময়ের জন্য লক্ষ্য হল রূপান্তরটি হতে হবে এই ভাবে যে স্তনপান থেকে রূপান্তর ঘটিয়ে বিভিন্ন উপায়ে আরামের সাথে ঘুমানো এবং তা থেকে গভীর নিদ্রায় পর্যবসিত হওয়া।এটা সহজ হয়ে উঠবে যদি মা বাদ দিয়ে বাড়ির অন্য কোনো বড় ব্যাক্তি বাচ্চাকে ঘুম পাড়ানোর ভূমিকাটা নিয়ে থাকেন।এটা করার কারণ যদি তিনি একজন বুকের দুধ খাওয়ানো মা হয়ে থাকেন,তবে সেক্ষেত্রে বাচ্চা প্রবৃত্তিগতভাবে তার মায়ের স্তন খুঁজে বেড়ায়।তাই যদি তিনি অন্য কোনো বড় ব্যক্তি হন, যেমন বাবা অথবা বিশ্বাসযোগ্য ঠাকুরদা, ঠাকুরমা, তারা বাচ্চাকে ঘুম পাড়ানোর জন্য নানান কৌশল বের করবেন যেমন তাকে দোলা দিয়ে,জড়িয়ে ধরে,পিঠ চাপড়ে এবং ঘুমপাড়ানি গান গেয়ে।একজন মা হিসেবে যদি এই সময়ে আপনার সন্তানের থেকে আপনার প্রতি ডাক শুনতে পাওয়াটা কষ্টকর হয় তবে এই প্রক্রিয়াটা চলার সময় আপনি অন্য কোথাও থাকতে ভুলবেন না।12 মাস বয়সের লক্ষ্য চিহ্ণে তাকে বোতল দেওয়া এড়িয়ে চলুন।যেহেতু আপনার শিশু তার ঘুমের সময়ে দোলা দেওয়া,গান গাওয়া ও জড়িয়ে ধরার এই নতুন রুটিনটির সাথে পরিচিত হতে থাকে সে স্বাভাবিকভাবেই এই পরিবর্তন–গুলো গ্রহণ করে এবং ঘুমের জন্য আর খুব দীর্ঘ সময় তার বোতল বা স্তনপানের প্রয়োজন পড়ে না।যদি অসুস্থতা ও দাঁত ওঠার সমস্যার জন্য এই রূপান্তরটি ঘটানো খুবই কঠিন হয়ে পড়ে তবে আর কিছু সপ্তাহ অপেক্ষা করার পর পুনরায় চেষ্টা করুন।
আপনার 49 সপ্তাহ বয়সী শিশুর যত্নের পরামর্শ
নিচে কয়েকটি উপায় বর্ণিত হল যার দ্বারা আপনি আপনার 49 সপ্তাহ বয়সের শিশুর যত্ন নিতে পারেন।
- আপনার সন্তানের প্রথম দাঁত ওঠা থেকে তার দাঁত পরিষ্কার করাতে ফ্লুওরাইড টুথপেষ্ট ব্যবহার করুন। খুব সামান্য পরিমাণই ব্যবহার করবেন।এটি আপনার সন্তানের দন্ত–ক্ষয় প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।
- যতটা সম্ভব আপনার বাচ্চার সাথে যোগাযোগ স্থাপন করুন,তার সাথে অনবরত কথা বলুন,কোন জিনিসকে চিহ্ণিত করুন এবং তার কাছে পড়ুন।এটা তাকে নতুন শব্দগুচ্ছ শিখতে সাহায্য করবে এবং সেগুলিকে তার বকবকানিতে বেশি করে ব্যবহার করবে।
- তার প্রথম জন্মদিনের মধ্যে তার খাওয়ার পন্থার পরিবর্তন করুন বোতল থেকে সিপ্পি কাপে।
- বাচ্চাদের মত করে আধো আধো কথা বলা এড়িয়ে চলুন।বাচ্চার সাথে কথা বলার সময় সর্বদা সঠিক শব্দ ব্যবহার করা নিশ্চিত করুন যাতে আপনার সোনা সঠিক শব্দটিকে সঠিক ভাবেই শুনতে পায়।
- আপনার বাচ্চার খাদ্য তালিকায় বেশি পরিমাণে প্রোটিন সংযোজন করুন,যেমন–পোল্ট্রি বা হাঁস/মুরগী মাংস (চামড়া ছাড়ানো),ডিম (শুধুমাত্র কুসুম),বিনস এবং সবজি যেমন কড়াইশুঁটি।কম ফ্যাট ও কোলেস্টেরল যুক্ত হওয়ায় এগুলি খুবই ভাল।
পরীক্ষা নিরীক্ষা এবং টিকাকরণ
আপনার সন্তানের এক বছর হওয়ার মুখে মেডিকেল চেক–আপের জন্য তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার সুপারিশ করা হয়।
1.পরীক্ষা
ডাক্তারবাবু আপনার সন্তানের উচ্চতা,ওজন এবং মাথার পরিধি পরিমাপ করবেন যাতে তিনি আপনার বাচ্চার বৃদ্ধির উন্নয়ণের মূল্যায়ন করতে পারেন। এছাড়াও তিনি আপনাকে আপনার শিশুর সম্পর্কে একগুচ্ছ প্রশ্ন করবেন যাতে তিনি আপনার সন্তানের ঘুমের অভ্যাস,দৃষ্টিক্ষমতা,শারীরিক ও আচরণগত বিকাশের সঠিক মূল্যায়ন করতে পারেন। তিনি আবার একটি রক্ত পরীক্ষাও করাতে পারেন আপনার শিশুর রক্তে কোনরকম সীসা ঘটিত বিষক্রিয়ার লক্ষণ আছে কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য।
2.টিকাকরণ
49 সপ্তাহের চিহ্ণে,আপনার সন্তানের প্রয়োজন হবে চিকেন পক্স ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ,হিব ভ্যাক্সিনের চূড়ান্ত ডোজ,হেপাটাইটিস A ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ,মিসেলস (হাম)- মাম্প–রুবেলা ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ এবং নিউমোকক্কাল (PCV) ভ্যাক্সিনের চূড়ান্ত ডোজ।এছাড়াও তাকে দেওয়ানো হয় হেপাটাইটিস B ভ্যাক্সিনের চূড়ান্ত ডোজ এবং পোলিও (IPV) ভ্যাক্সিনের তৃতীয় ডোজ যদি ইতিমধ্যেই এগুলো না দেওয়ানো হয়ে থাকে।
খেলাধূলা এবং অন্যান্য ক্রিয়াকলাপ
আপনি আপনার বাচ্চার সাথে নিম্নোলিখিত খেলা–গুলো খেলতে ও ক্রিয়াকলাপ–গুলো করতে পারেন।
- আস্তে করে তার হাত–গুলোকে ধরে ও সামান্য টেনে দাঁড় করিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে তাকে হাঁটতে উৎসাহিত করুন।এটা এমন একটা কার্যকলাপ যা তাকে সহজে আরামদায়কভাবে দাঁড়াতে সাহায্য করে।
- খেলার জন্য বিভিন্ন ধরণের খেলনা দিন, যেমন–রঙীন রিং যেগুলি একটি নল বরাবর চলাচল করতে পারে অথবা একটি ছবির বই দিন যাতে শব্দ সৃষ্টির বোতাম থাকে।এইসব কিছুই আপনার সন্তানকে সঠিক শব্দ শুনতে,হাতের দক্ষতা বাড়াতে এবং শব্দ ব্যবহারে সাহায্য করে।
- আপনি জানেন যে আপনার শিশু কার্যকলাপ প্রদর্শন করাবে খুব ভাল নকল করে,যেমন টেলিফোনে কথা বলা অথবা খেলনা তুলে নেওয়া এবং পুনরায় সেগুলোকে বাক্সের ভিতরে ফিরিয়ে রাখা ইত্যাদি। সে আপনাকে অনুকরণ করবে এবং ক্রিয়াকলাপ–গুলি শিখবে।
- একটা খেলার গোষ্ঠিতে যোগদান করিয়ে আপনার শিশুকে তার বয়সী অন্য বাচ্চাদের কাছে প্রকাশ করুন।সে সামাজিক হতে শিখবে এবং তাদের সাথে খেলবে।
কখন একজন ডাক্তারের সাথে আলোচনা করবেন
আপনার 49 বছর বয়সী শিশুর জন্য ডাক্তারের সাথে আলোচনা করবেন যখন নিম্নোলিখিত বিষয়–গুলি লক্ষ্য করবেন।
- যদি 12 মাসের মধ্যে আপনার বাচ্চার নাম ধরে ডাকলেও সে কোন প্রতিক্রিয়া না দেখায়,তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান তার শ্রবণ ক্ষমতার মূল্যায়নের জন্য।
- যদি আপনার বাচ্চার চুলকানি হয় অথবা চামড়ায় র্যাশের কারণে অস্বস্তি বোধ করে, তবে ডাক্তারের সাথে আলোচনা করুন যেহেতু এটি কোন এলার্জির সংকেত হতে পারে।
- আপনার সন্তান যদি ট্যারা হয়ে তাকায়,ভালোভাবে দেখার জন্য তার মাথা ঝোঁকায়,প্রায়শই চোখ ঘষে এবং কোন বস্তুকে দেখতে অসুবিধা হয়,তবে তার দৃষ্টি শক্তির কোনো সমস্যা আছে কিনা তা দেখার জন্য ডাক্তারের সাথে আলোচনা করুন। চোখ লাল হয়ে যাওয়া, যন্ত্রণা, অস্বাভাবিক জল বেরোনো এবং তার চোখে পিচুটি কাটা এগুলি সবই পিঙ্ক আই বা গোলাপী চোখের(কনজাইটিভাইটিস) অর্থ হতে পারে।
আপনার শিশুর পরিচিত শব্দ ভান্ডারের পরিমাণ তার কথা বলা শব্দের তুলনায় বহুগুণ বেশি হয়।সুতরাং, ভয় পাবেন না,এমনকি যদিও সে তার 12 মাস বয়সে কথা বলে 2 টি শব্দের, কিন্তু সে বুঝতে পারবে 25 টি শব্দ।