শিশুদের মধ্যে সানবার্ন বা রোদ পোড়া- লক্ষণ, চিকিৎসা এবং প্রতিরোধ

শিশুদের মধ্যে সানবার্ন বা রোদ পোড়া- লক্ষণ, চিকিৎসা এবং প্রতিরোধ

আপনার বাচ্চা কি বাহির মুখী ধরণের?তাহলে তার ক্ষেত্রে সানবার্ন বা রোদের পোড়া ভাবটি অবশ্যই সাধারণ একটি ব্যাপার।জেনে নিন এর লক্ষণ, চিকিৎসা এবং প্রতিরোধ ব্যবস্থাগুলি সম্পর্কে যেগুলি গ্রহণ করতে পারেন বাচ্চাদের মধ্যে সানবার্ন এড়ানোর জন্য।

সানবার্ন বা রোদপোড়া কি?

সানবার্ন হল এমন এক অবস্থা যেখানে ত্বক সূর্যের আলট্রাভায়োলেট বা অতিবেগুনী রশ্মির (UVA এবং UVB রশ্মি)সংস্পর্শে যখন বেশি আসে সেটি লাল অথবা লালচে বা তামাটে বর্ণ ও গরম হয়ে যায়, আর সেটি কোমল এবং ব্যথা অনুভূত হয়আর কয়েক দিনের মধ্যে ত্বকের রোদে পোড়া অঞ্চলটিতে স্তরীভবন ঘটে এবং সেখান থেকে ছাল উঠতে থাকে।

শিশুদের সানবার্নের লক্ষণগুলি কি?

একদিন রোদে নিয়ে বেরোনোর পর আপনার বাচ্চার মধ্যে নিম্বোলিখিত লক্ষণগুলির খোঁজ করুনঃ

  • রীতিমতো পোড়া
  • ত্বকের ফোস্কা
  • 3- ডিগ্রী বা তার বেশি জ্বর
  • তীব্র মাথা ব্যথা
  • অস্বাভাবিক ঘাম
  • মাথা ঝিমঝিম এবং হালকা মাথা ঘোরা
  • মূর্ছা যাওয়া
  • শিশুর ঘ্যানঘ্যান করতে থাকা
  • ডিহাইড্রেশন বা জলশূণ্যতা
  • ফোসকাগুলিতে পূঁজ হওয়া
  • বমি করতে থাকা

রোদ থেকে বাচ্চাদের ত্বকের ক্ষতি হওয়ার ব্যাপারে আপনার কি চিন্তা করা উচিত?

বাচ্চাদের 6 মাস বয়স হওয়ার আগে রোদের সংস্পর্শে আনলে সেক্ষেত্রে তাদের ত্বকের ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি উচ্চ মাত্রায় থাকে।শৈশবকালে, দেহস্থ মেলানিন তখনও সেভাবে বিকশিত হয় না, সুতরাং শৈশবকালে সরাসরি সূর্যালোকের সংস্পর্শে আনলে তা স্কিন ক্যান্সারের ঝুঁকিকে বাড়িয়ে তোলে এবং তার সাথে আবার মেলানোমা হওয়ার ঝুঁকিও অন্তর্ভূক্ত হয়ে থাকে।

কীভাবে শিশুদের সানবার্নের চিকিৎসা এবং সেগুলিকে প্রশমিত করবেন?

আপনার বাচ্চাকে সানবার্ন থেকে উপশম দিতে এবং তার চিকিৎসা করার একাধিক উপায় এখানে দেওয়া হলঃ

  • আপনার বাচ্চা যদি 6 মাসের কম বয়সী হয়ে থাকে, স্বাভাবিকের তুলনায় তাকে বেশি করে স্তন পান করান।তবে সে যদি একটু বড় বাচ্চা হয়ে থাকে, তবে সেক্ষেত্রে আপনি তাকে প্রচুর পরিমাণে জল এবং তাজা ফলের রস পান করাতে পারেন।
  • প্রভাবিত এলাকার উপর কিছু সময়ের জন্য সুতির নরম কাপড়ের টুকরোকে ঠাণ্ডা জলে ভিজিয়ে রাখুন।কিছুক্ষণ পর পর আবার এটির পুনরাবৃত্তি করতে থাকুন।
  • এছাড়াও আবার আপনি প্রভাবিত এলাকার উপর শসার কয়েকটি টুকরো কিম্বা শসাকে থেঁতো করে নিয়েও লাগিয়ে দিতে পারেন।
  • অ্যালোভেরার জেল প্রয়োগ করলে সেটিও এক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারেতাকে একটি শীতল স্নান করান, তবে আপনার বাচ্চার ত্বকটিকে যেন ঘষবেন না, তার বদলে কেবল আলতো করে মুছে শুকিয়ে নিন
  • তাকে শুধুমাত্র সুতির এবং আলগা ঢিলেঢালা পোশাকই পরান
  • যতটা সম্ভব আপনার বাচ্চাকে রোদ থেকে দূরে রাখুন, অন্তত যতক্ষণ না তার ত্বকটি পুরোপুরি সেরে ওঠে

সানবার্ন হয়ে থাকা শিশুর সাথে আপনার যে জিনিসগুলি করা এড়িয়ে চলা উচিত

কতগুলি বিশেষ বিষয় আছে যেগুলি করা এড়িয়ে চলা উচিত যদি সেই সময় আপনার বাচ্চার সানবার্ন হয়ে থাকে।করণীয় নয়এমন কিছু জিনিসের তালিকা এখানে লিপিবদ্ধ করা হলঃ

  • ফোসকাগুলিকে গেলে ফেলা থেকে বিরত থাকুন, এটি করলে সেগুলি অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠবে এবং তার ফলে প্রভাবিত এলাকায় ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে।
  • এগুলি যখন শুকনো হয়ে সেরে উঠতে শুরু করবে সেখানটা আঁচড়ে বা চুলকে সেই জায়গার চামড়াটা যেন তুলে ফেলবেন না।পুরোপুরি শুকিয়ে যাওয়ার পর ত্বক থেকে সেগুলিকে নিজে থেকেই উঠে যেতে দিন।
  • প্রভাবিত এলাকার উপর কোনওরকম পেট্রোলিয়াম কিম্বা অ্যালকোহল ভিত্তিক পণ্য ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন।
  • সকল প্রকার স্প্রে এবং অয়েনমেন্টগুলি ত্বকের উপর লাগানো এড়িয়ে চলুন, বিশেষ করে প্রভাবিত অংশের উপর।

শিশুদের সানবার্ন হওয়া ত্বকের জন্য প্রাকৃতিক উপশমকারীগুলি

এক্ষেত্রে শিশুদের জন্য বহু প্রাকৃতিক সানবার্ন উপশমকারী আছে যার মধ্য থেকে কয়েকটি নিম্নে তালিকাবদ্ধ করা হলঃ

1.চা

সদ্য তাজাভাবে প্রস্তুত গ্রীন টি এবং লিকার চায়ের ট্যানিন এবং অ্যান্টিওক্সিডেন্টগুলি সানবার্নের কারণে হয়ে থাকা উত্তাপ বা গরমটিকে শোষণ করে নেয়।

এটি কীভাবে প্রয়োগ করতে হবে

  • প্রস্তুত করা চাটিকে প্রথমে ঘরের তাপমাত্রায় ঠাণ্ডা হতে দিন।
  • একবার এটি ঠাণ্ডা হয়ে গেলে একটি নরম সুতির কাপড়ের টুকরো কিম্বা তুলোর ছোট একটি বল নিয়ে সেটিকে ঐ চায়ের মধ্যে ডুবিয়ে প্রভাবিত এলাকার উপর প্রয়োগ করুন।তার কিছুক্ষণ পর ঠাণ্ডা জল দিয়ে সেই জায়গাটি ধুয়ে ফেলুন।আপনি আবার প্রভাবিত জায়গাটির উপর একটি টিব্যাগও ব্যবহার করতে পারেন কিম্বা স্নান করার আগে স্নানের ঠাণ্ডা জলের মধ্যে তাজা প্রস্তুত করা কিছুটা চাও ঢেলে দিতে পারেন।

2.ওটমিল

ওট হল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ এবং এর প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য আছে বলে জানা যায়।

এটি কীভাবে প্রয়োগ করতে হবে

  • স্নানের জলের সাথে মিহি করে গুঁড়ো করা ওটমিল যোগ করে তার মধ্যে আপনার বাচ্চাকে কিছুক্ষণের জন্য বসিয়ে রাখুন
  • তারপর তাকে ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে দিন এবং আলতো করে মুছে শুকনো করে তুলুন
  • এছাড়াও আবার আপনি মিহি করে গুঁড়ো করা ওটমিল, মধু এবং দুধের একটি মিশ্রণ তৈরী করে নিতে পারেন এবং প্রভাবিত এলাকার উপর তা প্রয়োগ করতে পারেনআর কিছু সময় রাখার পর সেটিকে ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে তুলে নিন

3.ল্যাভেন্ডার এবং নারকেল তেল

নারকেল তেলে জীবাণু বিরোধী বৈশিষ্ট্য থাকার দরুণ তা সানবার্ন নিরাময় করে এবং এর মধ্যস্থ লরিক অ্যাসিড দেহস্থ কোষের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।অন্যদিকে ল্যাভেন্ডার তেলে আছে ত্বকের উপর একটি প্রশমণকারী প্রভাব।

এটি কীভাবে প্রয়োগ করতে হবে

  • একটি তুলোর বল নিয়ে সেটিকে ঐ তেলের মিশ্রণের মধ্যে ডুবিয়ে নিয়ে সেটিকে প্রভাবিত এলাকার উপর প্রয়োগ করুন।আপনি আবার এটিকে আপনার বাচ্চার স্নানের জলের মধ্যেও যোগ করতে পারেন।

4.মধু

এটি একটি অ্যান্টিবায়োটিকের মত কাজ করতে পারে এবং নিরাময় প্রক্রিয়াটিকে দ্রুত করে তোলে।

এটি কীভাবে প্রয়োগ করতে হবে

  • একটি তুলোর বলকে ভিজিয়ে নিয়ে সেটির মধ্যে অল্প কিছুটা মধু নিয়ে তা প্রভাবিত জায়গাটির উপর লাগিয়ে দিন।
  • মধুটিকে আবার ওটমিল কিম্বা বেকিং সোডার মত অন্যান্য গৃহস্থলীর উপকরণের সাথে মিশিয়েও সানবার্নের জায়গাটির উপর প্রয়োগ করা যেতে পারে।

5.দুধ

দুধ মধ্যস্থ প্রোটিন পোড়া জায়গাটিকে প্রশমিত করে এবং ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে।

এটি কীভাবে প্রয়োগ করতে হবে

  • এক কাপ দুধকে তিন ভাগ ঠাণ্ডা জলের সাথে মিশিয়ে নিন
  • এবার এর মধ্যে একটি নরম সুতির কাপড় রাখুন এবং সেটিকে ভালো করে নিংড়ে নিন।
  • আর তারপর সেই ঠাণ্ডা কাপড়টিকে আপনার বাচ্চার প্রভাবিত অঞ্চলটির উপর রাখুন(আপনি আবার অবশ্য এর সাথে বরফও যোগ করতে পারেন তবে ছোট বাচ্চাদের জন্য এটিকে যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলাই সবচেয়ে ভাল)

6.টমেটো

টমেটোগুলি হল দুর্দান্ত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আর মৃত ত্বকের চামড়া অপসারণ করতে ও কোষের ক্ষতি হওয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে।

এটি কীভাবে প্রয়োগ করতে হবে

  • টমেটোর একটি পিউরি তৈরী করে নিন
  • এবার একটি পরিষ্কার নরম তোয়ালে ব্যবহার করে টমেটোর রসটিকে প্রভাবিত এলাকার উপর প্রয়োগ করুন।

7.কর্ন ফ্লাওয়ার

সকল প্রকার স্কিন র‍্যাশের জন্য এটি একটি বর্ষপ্রাচীন প্রতিকার।

এটি কীভাবে প্রয়োগ করতে হবে

  • জলে গুলে কর্ন ফ্লাওয়ারের একটি পেস্ট বানিয়ে নিন।
  • প্রভাবিত সকল জায়গাগুলির উপর এটি লাগিয়ে দিন এবং কিছু সময় সেটি রাখার পর ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে তুলে দিন।
  • যদি কোনওক্ষেত্রে পিঠে সানবার্ন হয়ে থাকে, তবে সেক্ষেত্রে চামড়াটি যখন ভিজে থাকবে তখন তার উপর কিছুটা কর্ন ফ্লাওয়ার ছিঁটিয়ে দিন, আবার আপনি এটি করার জন্য একটি স্পঞ্জ অথবা একটি পাউডার পাফও ব্যবহার করতে পারেন।

8.অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী

অ্যালেভেরা জেলের শীতল প্রভাবটি জ্বালাযন্ত্রণা থেকে উপশম দেয় এবং তার সাথে আবার পীড়া ভাবটিও নিরাময় করে।

এটি কীভাবে প্রয়োগ করতে হবে

  • অ্যালোভেরা মধ্যস্থ জেলটিকে বের করে নিন
  • এরপর সেই শীতল জেলটি নিয়ে প্রভাবিত জায়গার উপর লাগিয়ে দিন।

9.আলু

অ্যালোভেরা এবং শসার মতই আলুতেও আছে ত্বকের উপর একটি শীতল প্রভাব।

এটি কীভাবে প্রয়োগ করতে হবে

  • একটি আলুকে থেঁতো করে নিয়ে সেটিকে রোদে পোড়া জায়গাটির উপর লাগিয়ে দিন।

10.শসা

শসার অ্যান্টঅক্সিডেন্ট এবং বেদনানাশক উপাদানটি হল একটি দ্রুত নিরাময়কারী।সুতরাং সানবার্নের চিকিৎসার জন্য আপনি শসা ব্যবহার করতে পারেন।

এটি কীভাবে প্রয়োগ করতে হবে

  • একটি প্রচণ্ড ঠাণ্ডা শসাকে নিয়ে স্লাইস করে কেটে নিন কিম্বা তাকে থেঁতো করে নিন।
  • এবার সেটিকে প্রভাবিত জায়গাটির উপর লাগিয়ে দিন।

শিশুদের মধ্যে সানবার্নের প্রতিরোধ আপনি কীভাবে করতে পারেন?

শিশুদের রোদে পুড়ে যাওয়ার সম্ভাব্য প্রতিটি মুহূর্তেই এড়ানো উচিত।নবজাত শিশুদের মধ্যে সানবার্ন প্রতিরোধের কয়েকটি উপায় হল

  • ঘরের ভিতর সরাসরি সূর্যের আলো এড়াতে রোদ আটকাতে পারে কিন্তু আলো আসবে এমন জিনিস দিয়ে জানলা ঢাকা দেওয়া উচিত।
  • আপনার বাচ্চাকে সাথে নিয়ে বাইরে হাঁটা উচিত হয় সূর্য চড়া ওঠার আগে খুব ভোরবেলায় অথবা সূর্যাস্ত হওয়ার ঠিক আগে কিম্বা সূর্যাস্তের পরে।
  • হালকা সুতির পোশাক দ্বারা আপনার বাচ্চার হাতপা ভালভাবে ঢেকে দেওয়া আবশ্যক।
  • রোদ থেকে আপনার সন্তানের মুখকে রক্ষা করার জন্য একটা বড়, চওড়া টুপি এক বিস্ময়কর কাজ করতে পারে।
  • যদি আপনার বাচ্চা 6 মাসের বেশি বয়সী হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে আপনি তাকে নিয়ে বেরোনোর 30 মিনিট আগে শিশুদের জন্য প্রস্তুত সানবার্ন ক্রীম ব্যবহার করতে পারেন।
  • সকাল 10 থেকে বিকাল 4 টের মধ্যে যতটা সম্ভব তাকে ছায়ার মধ্যে খেলাবার চেষ্টা করুন।
  • রোদে বেরোনোর সময় আপনার বাচ্চাকে UV সুরক্ষিত সানগ্লাস বা রোদচশমা পরানো নিশ্চিত করুন।

কখন একজন ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা প্রয়োজন?

একটি নবজাত শিশুর গায়ে সানবার্ন হওয়াটা মাবাবার কাছে এক অত্যন্ত মানসিক যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠতে পারে।সুতরাং বাচ্চাদের মধ্যে সানবার্ন আটকাতে তার উপযোগী একটি উপযুক্ত ক্রীম ব্যবহার করা সেটি এড়ানোর একটি সেরা উপায়।তবে বাচ্চাদের মুখে সানবার্ন হওয়াটা সকল বাচ্চাদের ক্ষেত্রেই একটি অত্যন্ত সাধারণ ঘটনা যেহেতু মুখ হল বাচ্চাদের দেহের এমন একটি অংশ যেটি সবচেয়ে বেশি সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসে।

আপনার বাচ্চার যদি সানবার্ন হয়ে থাকে, নিম্নোলিখিত উপসর্গগুলি যদি লক্ষ্য করেন, সেক্ষেত্রে ডাক্তারবাবুর সাথে যোগাযোগ করুনঃ

  • দেহের উপর ফোসকা বিশেষ
  • আপনার বাচ্চার মধ্যে বমি বমি ভাব এবং সর্দির সাথে উচ্চ জ্বর, মাথা ব্যথা, যন্ত্রণা ও ডিহাইড্রেশন বা জলশূণ্যতা।
  • সানবার্নের কারণে হয়ে থাকা ফোসকা অথবা ক্ষতগুলিতে পূঁজ হয়ে থাকলে তা সংক্রমণের ইঙ্গিত দেয়।

একটা বাচ্চার মুখের উপর সানবার্ন হওয়া কোনও জীবনঘাতি ব্যাপার নয়।তবে এটির কারণে বাচ্চাটিকে যে সকল প্রতিক্রিয়াগুলির মুখোমুখি হতে হয় তা অত্যন্ত বেদনা এবং যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠতে পারে।অতএব, এটিকে এড়িয়ে চলাই সর্বোত্তম।