In this Article
- ট্রিপল মার্কার টেস্ট কী?
- কেন এটিকে স্ক্রিনিং টেস্ট বলা হয়?
- গর্ভাবস্থায় ট্রিপল মার্কার পরীক্ষা করার কারণগুলি
- আপনার ট্রিপল টেস্ট কখন করানো উচিত?
- ট্রিপল মার্কার স্ক্রিন টেস্টের জন্য কীভাবে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত?
- পরীক্ষাটি কীভাবে সম্পাদিত হয়?
- ট্রিপল স্ক্রিন টেস্টটি কী দেখায়
- পরীক্ষার সময় গ্রহণ করার জন্য সাবধানতা
- ট্রিপল মার্কার স্ক্রিন টেস্টের সুবিধা
- এই পরীক্ষার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এবং মা ও শিশুর ঝুঁকি
- পরীক্ষার ফলাফলের ব্যাখ্যা
- নেতিবাচক স্ক্রিনের অর্থ কী?
- পরীক্ষার ফলাফল অস্বাভাবিক হলে আপনার কী করা উচিত?
- কোন কোন কারণগুলি আরও পরীক্ষার জন্য পরামর্শ দেবে?
- বিকল্প স্ক্রিনিং টেস্ট
একজন গর্ভবতী মহিলাকে তার গর্ভাবস্থা সুস্থভাবে চলছে এবং তার শিশু সঠিকভাবে বেড়ে উঠছে তা নিশ্চিত করার জন্য একাধিক পরীক্ষা করতে হবে। আপনি যদি গর্ভবতী হন, তবে আপনার ডাক্তার আপনাকে ট্রিপল মার্কার পরীক্ষা সহ বেশ কয়েকটি পরীক্ষার সুপারিশ করতে পারেন। এই পরীক্ষাটি আপনার শিশুর যে কোন জিনগত ব্যাধি সনাক্ত করতে সহায়তা করবে। ট্রিপল মার্কার পরীক্ষাটি একাধিক মার্কার পরীক্ষা বা মাল্টিপেল স্ক্রিনিং টেস্ট হিসাবে পরিচিত। এই পরীক্ষা সম্পর্কে আরও জানতে এবং কেন গর্ভাবস্থায় এটি গুরুত্বপূর্ণ তা জানতে পড়ুন।
ট্রিপল মার্কার টেস্ট কী?
ট্রিপল মার্কার স্ক্রিন টেস্ট (ট্রিপল মার্কার পরীক্ষা নামেও পরিচিত) হল একটি সাধারণ অনাক্রমণাত্মক রক্ত পরীক্ষা যা গর্ভাবস্থার ১৫তম থেকে ১৮তম সপ্তাহের মধ্যে পরিচালিত হয়। এই পরীক্ষায়, রক্তের নমুনা নেওয়া হয় এবং ভ্রূণের কোন অস্বাভাবিকতা নির্ধারণের জন্য রক্তে এএফপি, এইচসিজি এবং এস্ট্রিয়লের মাত্রা পরিমাপ করা হয়।
- আলফা–ফেটোপ্রোটিন (এএফপি) – এএফপি হল একটি প্রোটিন যা বিকাশমান ভ্রূণ দ্বারা উৎপাদিত হয়। এই প্রোটিনের উচ্চ স্তরের ফলে হওয়া শিশুর নিউরাল টিউব ত্রুটির মতো ত্রুটিগুলির সম্ভাবনা নির্দেশ করতে পারে।
- হিউম্যান কোরিওনিক গোনাডোট্রপিন (এইচসিজি) – এইচসিজি হল গর্ভে প্লাসেন্টা দ্বারা উৎপাদিত একটি হরমোন। এই হরমোনটির উচ্চ স্তর একটি মোলার গর্ভাবস্থা বা একাধিক গর্ভাবস্থা নির্দেশ করতে পারে, তবে এই হরমোনটির নিম্ন স্তর গর্ভপাত বা অ্যাক্টোপিক গর্ভাবস্থার মতো গর্ভাবস্থায় সম্ভাব্য জটিলতাগুলি নির্দেশ করতে পারে।
- এস্ট্রিয়ল – এস্ট্রিয়ল হল একটি ইস্ট্রোজেন, যা ভ্রূণ এবং প্লাসেন্টা উভয় দ্বারা উৎপাদিত হয়। এই হরমোনটির নিম্ন স্তর থাকলে শিশুর ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি নির্দেশ করতে পারে।
উন্নয়নশীল ভ্রূণ নির্দিষ্ট জন্মের ত্রুটি হওয়ার ঝুঁকিতে আছে কিনা তা পরীক্ষা করা হয়।
কেন এটিকে স্ক্রিনিং টেস্ট বলা হয়?
এটি সম্পন্ন করার সময় স্বাচ্ছন্দ্য বজায় রাখার জন্য স্ক্রিনিং টেস্ট কী তা বোঝা জরুরি। স্ক্রিনিং টেস্টটি কোনও ডায়াগনসিং টুল নয়। এতে বয়স, জাতিগত দিক, রক্ত পরীক্ষার ফলাফল ইত্যাদির মতো কয়েকটি পরামিতিগুলির তুলনা করে, কিছু নির্দিষ্ট অস্বাভাবিকতা উপস্থিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে কিনা তার সম্ভাব্য ইঙ্গিত দেওয়ার জন্য করা হয়। একটি নির্দিষ্ট সমস্যায় পিনপয়েন্ট করার ক্ষেত্রে স্ক্রিনিং টেস্টটি চূড়ান্ত নয়, তবে এটি নির্দিষ্টভাবে বা কোন সমস্যা নির্ধারণের জন্য যদি আরও পরীক্ষা করার প্রয়োজন হয় তবে এটি কেবল নির্দেশিকা পেতে সহায়তা করে।
গর্ভাবস্থায় ট্রিপল মার্কার পরীক্ষা করার কারণগুলি
ট্রিপল টেস্ট আপনার গর্ভাবস্থার বিষয়ে আপনার ডাক্তারের কাছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করতে পারে। এটি যে যে উপায়ে সাহায্য করতে পারে তার কয়েকটি রয়েছে:
- গর্ভাবস্থার শুরুর দিকে এই পরীক্ষাটি চালিয়ে, শিশুর নিউরাল টিউব ত্রুটি এবং অন্যান্য জন্মগত ত্রুটিগুলি সনাক্ত করা যায়।
- এই পরীক্ষাটি শিশুটি ডাউন সিনড্রোম হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে কিনা তা সনাক্ত করতে সহায়তা করতে পারে।
- ট্রিপল টেস্ট গর্ভাবস্থায় ট্রিসমি ১৮ (এডওয়ার্ডস সিনড্রোম) সনাক্ত করতে সহায়তা করে।
- ট্রিসমি পরীক্ষা কোন মহিলা দুই বা তার বেশি শিশু বহন করছেন কিনা তা সনাক্ত করতে সহায়তা করে।
- পরীক্ষাটি অন্যান্য অস্বাভাবিকতাগুলিও সনাক্ত করে যা ডাক্তারকে রোগ নির্ণয়ের সাথে আরও এগিয়ে যেতে সহায়তা করতে পারে।
আপনার ট্রিপল টেস্ট কখন করানো উচিত?
উপরের তথ্য অনুযায়ী, ট্রিপল পরীক্ষা গর্ভাবস্থার ১৫ থেকে ২০ সপ্তাহের মধ্যে করা হতে পারে। তবে সর্বাধিক সঠিক ফলাফল ১৬ থেকে ১৮ সপ্তাহের মধ্যে পাওয়া যাবে। পরীক্ষার ফলাফল সাধারণত দুই থেকে চার দিনের মধ্যে পাওয়া যায়।
ট্রিপল মার্কার স্ক্রিন টেস্টের জন্য কীভাবে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত?
এই পরীক্ষার জন্য কোন প্রস্তুতির প্রয়োজন নেই। এই পরীক্ষায় যাওয়ার আগে আপনার খাওয়ার কোন সীমাবদ্ধতা থাকবে না। এই পরীক্ষার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলিও একেবারেই নগণ্য, কারণ এটি একটি রক্তের নমুনা নেওয়ার মাধ্যমে চালিত একটি সাধারণ পরীক্ষা। এতে মায়ের পাশাপাশি শিশুর জন্যও সর্বনিম্ন ঝুঁকি থাকে।
পরীক্ষাটি কীভাবে সম্পাদিত হয়?
ট্রিপল মার্কার টেস্টের পদ্ধতি অন্য যে কোন রক্ত পরীক্ষার মতোই। আপনার চিকিৎসক বা প্রযুক্তিবিদ কীভাবে এই পরীক্ষা করবেন তা খানে রইল–
- ১ম পদক্ষেপ: প্রথমে, প্রযুক্তিবিদ আপনাকে আপনার হাত ছড়াতে এবং মুষ্টি তৈরি করতে বলবেন। এটি তাকে আপনার শিরা খুঁজে পেতে সহায়তা করবে।
- ২য় পদক্ষেপ: তারপরে ডাক্তার হাতের চারপাশে একটি স্ট্রাপ জড়াবেন এবং এটি দৃঢ় ভাবে লাগিয়ে সুরক্ষিত করবেন।
- ৩য় পদক্ষেপ: এরপর, প্রযুক্তিবিদ একটি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিসেপটিক দিয়ে অঞ্চলটি পরিষ্কার করবেন।
- ৪র্থ পদক্ষেপ: তারপরে রক্ত সঞ্চয়ের জন্য ব্যবহৃত একটি সিরিঞ্জসহ সূঁচ ঢোকানো হবে।
- ৫ম পদক্ষেপ: একবার সিরিঞ্জটি পূর্ণ হয়ে গেলে, টেকনিশিয়ানটি সেটি বের করে দেবেন, অন্য একটি অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল দিয়ে অঞ্চলটি পরিষ্কার করবেন।
- ৬ষ্ঠ পদক্ষেপ: রক্তের নমুনাটি এমন একটি ল্যাবে মূল্যায়নের জন্য পাঠানো হবে যেখানে বায়োকেমিস্ট নমুনাটি মূল্যায়ন করবেন।
- ৭ম পদক্ষেপ: এরপরে ফলাফলগুলি সফ্টওয়্যারের মধ্যে দেওয়া হবে বা প্রিন্ট করা হবে, যা পরে ডাক্তারের কাছে প্রেরণ করা হবে। ডাক্তার তারপরে ফলাফলটি পড়ে তা আপনাকে সঠিকভাবে জানাবেন।
ডাক্তারের সাথে আপনার পরবর্তী অ্যাপয়েন্টমেন্টের সময়, তিনি ফলাফলগুলি নিয়ে আলোচনা করবেন এবং ফলাফলের ভিত্তিতে আপনাকে প্রাসঙ্গিক তথ্য দেবেন।
দ্রষ্টব্য: এই পরীক্ষার কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। ফলাফলের ভিত্তিতে পরীক্ষা, ফলাফল এবং ক্রিয়া সম্পর্কে আপনার কোন উদ্বেগ থাকলে রয়েছে তা আপনার প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা চিকিৎসকের সাথে দয়া করে আলোচনা করুন।
ট্রিপল স্ক্রিন টেস্টটি কী দেখায়
ট্রিপল স্ক্রিন পরীক্ষাটি একটি সূচক পরীক্ষা যা আপনার গর্ভাবস্থায় কোন অস্বাভাবিকতা ধরা পড়লে কী করণীয় সে বিষয়ে একটি অন্তর্দৃষ্টি আপনার চিকিৎসককে প্রদান করে। এই পরীক্ষাটি এইচসিজির মাত্রা পরিমাপ করে এবং এইচসিজি ও এস্ট্রিয়লের মাত্রা স্বাভাবিক কিনা তা নির্ধারণ করে। এই ফলাফলটি পরীক্ষার সময় মায়ের বয়স, ওজন, গর্ভাবস্থার বয়স বা সময়কাল এবং জাতিগতভাবে বিবেচনা করে নির্ণয় করা হয়।
পরীক্ষার সময় গ্রহণ করার জন্য সাবধানতা
এই পরীক্ষাটি চলাকালীন, আপনার ডাক্তারের সাথে প্রাসঙ্গিক তথ্য ভাগ করে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। তথ্যের পরিবর্তন পরীক্ষার ফলাফলগুলিকে পরিবর্তন করতে পারে। রক্তের নমুনা সংগ্রহ করার সময় ভ্রূণ যাতে কোন রক্তবাহিত রোগজীবাণু দ্বারা প্রভাবিত হয় না তা নিশ্চিত করতে নতুন সূঁচ, অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়ালগুলি ব্যবহার করে চিকিৎসক যেন প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করেন এবং প্রয়োজনে আপনাকে প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিকগুলি প্রয়োগ করেন তা লক্ষ্য রাখুন।
ট্রিপল মার্কার স্ক্রিন টেস্টের সুবিধা
একটি ট্রিপল মার্কার পরীক্ষা কোন গর্ভাবস্থার সম্ভাব্য জটিলতা এবং একাধিক ভ্রূণের উপস্থিতি নির্দেশ করতে পারে। একটি ট্রিপল মার্কার স্ক্রিন পরীক্ষা করা বিশেষত এমন মহিলাদের পক্ষে উপকারী যারা ৩৫ বছরের বেশি বয়সী। এই পরীক্ষার প্রধান সুবিধা হল এটি শিশুর জন্মগত ত্রুটিগুলি সনাক্ত করতে সহায়তা করে এবং গর্ভবতী মহিলাকে আগে থেকেই এর জন্য প্রস্তুত হতে সহায়তা করে। এর মধ্যে কিছু জিনগত ব্যাধি এবং অস্বাভাবিকতাও অন্তর্ভুক্ত, যা নিম্নরূপ:
- ট্রিসমি ১৮ বা এডওয়ার্ড সিন্ড্রোম যা হল ক্রোমোজোমের অস্বাভাবিকতা।
- ডাউনস সিনড্রোম, এটি এমন একটি পরিস্থিতি যেখানে ক্রোমোজোম ২১–এর বেশি জেনেটিক উপাদান কোষে উপস্থিত থাকে।
- নিউরাল টিউব ত্রুটি, যা হল মূলত মস্তিষ্ক, মেরুদণ্ডের জন্মগত ত্রুটি।
এই পরীক্ষার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এবং মা ও শিশুর ঝুঁকি
এই পরীক্ষার কোন পরিচিত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। যেহেতু রক্ত খুব কম পরিমাণে টানা হয়; তাই রক্ত হ্রাস মায়ের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে যথেষ্ট গুরুতর নয়।
পরীক্ষার ফলাফলের ব্যাখ্যা
ট্রিপল মার্কার পরীক্ষার ফলাফলগুলি শিশুর জিনগত ব্যাধি হওয়ার সম্ভাবনা দেখায়। ফলাফলগুলি নিম্নলিখিত বিষয়গুলির উপর নির্ভর করে:
- গর্ভবতী মহিলার বয়স
- জাতিতত্ত্ব
- গর্ভবতী মহিলার ওজন
- তিনি একটি সন্তানের নাকি একাধিক শিশুর প্রত্যাশা করছেন
- তার গর্ভাবস্থায় তিনি কতটা দূরে এগিয়েছেন।
একবার আপনি এই পরীক্ষার মধ্য দিয়ে গেলে, আপনার ওবি / জিওয়াইএন আপনার ট্রিপল মার্কার পরীক্ষার রিপোর্টটি বিশ্লেষণ করবে এবং ফলাফলগুলি নেতিবাচক না ইতিবাচক তা আপনাকে জানাবেন। যদি এই পরীক্ষার ফলাফলগুলি মিথ্যা ইতিবাচক হয় বা তিনি ট্রিপল মার্কার পরীক্ষার জন্য কোন সাধারণ মূল্য দেখতে না পান তবে আপনার ডাক্তার আরও পরীক্ষার পরামর্শও দিতে পারেন।
নেতিবাচক স্ক্রিনের অর্থ কী?
স্ক্রিনের নেতিবাচক ফলাফলের সম্ভবত অর্থ হল, আপনার ভ্রূণ নিউরাল টিউব ত্রুটিগুলি, ডাউন সিনড্রোম এবং ট্রিসমি ১৮–এর মতো জন্মগত ত্রুটি বিকাশের কম ঝুঁকিতে রয়েছে।
পরীক্ষার ফলাফল অস্বাভাবিক হলে আপনার কী করা উচিত?
যদি পরীক্ষার ফলাফল অস্বাভাবিক হয় তবে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। তিনি সম্ভবত ভ্রূণের অস্বাভাবিকতার সঠিক প্রকৃতি নির্ধারণ করতে আরও কয়েকটি পরীক্ষার পরামর্শ দেবেন। এই পরীক্ষাগুলির প্রথমটি সম্ভবত একটি আল্ট্রাসাউন্ড হবে, যেখানে ভ্রূণের বয়স নির্ধারণ করা হবে। এর সাথে, ফোয়েটাসের মস্তিষ্ক, মেরুদণ্ডের কর্ড, কিডনি এবং হার্টের কোনও সমস্যা সনাক্ত করতে আপনার চিকিৎসক আরও পরীক্ষা করে দেখবেন।
ট্রিপল মার্কার পরীক্ষার স্বল্প ঝুঁকিপূর্ণ প্রকৃতি নিশ্চিত করে যে ফলাফলগুলি অস্বাভাবিক হলেও, চিকিৎসকরা শর্তগুলির জন্য আপনাকে প্রস্তুত করতে বা এটি নিরাময়ে সহায়তা করতে সক্ষম হবেন।
কোন কোন কারণগুলি আরও পরীক্ষার জন্য পরামর্শ দেবে?
একটি ট্রিপল মার্কার পরীক্ষা করা সম্ভব শিশুর জন্মগত ত্রুটিগুলি এবং জিনগত অবস্থার সনাক্তকরণ বা নির্ণয় করতে সহায়তা করে, তবে আরও গুরুত্বপূর্ণ, এটি বাবা–মাদের সেগুলির জন্য প্রস্তুত হতে সহায়তা করতে পারে। এই পরীক্ষা সম্পন্ন করার সবচেয়ে বড় কারণ হল, বাবা–মায়েদের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন একটি সন্তানের সাথে জীবনযাপনের জন্য প্রস্তুত করা। এটি এইভাবে করা হয়:
- একটি বিশেষভাবে দক্ষ শিশু সন্তানের প্রয়োজন সম্পর্কে বাবামাকে শিক্ষিত করা।
- সমর্থক গোষ্ঠী এবং থেরাপিস্টের সাথে বাবামায়েদের সংযোগ স্থাপন করা।
- একটি সম্ভাব্য অবস্থা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি।
- অভিভাবকদের সার্জারি, ওষুধ এবং বিকল্প থেরাপি সহ সমস্ত বিকল্প বিবেচনা করার সুযোগ দেওয়া।
বিকল্প স্ক্রিনিং টেস্ট
কিছু অভিভাবক আরও ভালোভাবে বুঝতে বা দ্বিতীয় মতামত পেতে বিকল্প স্ক্রিনিং পরীক্ষার বিকল্প বেছে নিতে পারেন। প্রসবপূর্ব আল্ট্রাসাউন্ডের মতো পরীক্ষা করা বাবামায়েদের একটি রোগ নির্ণয় নিশ্চিত করতে সহায়তা করে। আপনার প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী কোন পরীক্ষাটি বেছে নেওয়ার বিষয়ে সঠিক পছন্দ করতে আপনাকে সহায়তা করতে বিকল্প পরীক্ষার তালিকার জন্য আপনার চিকিৎসকের সাথে কথা বলুন।
সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জের মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত হওয়াই সেরা উপায়। আপনার শিশু সুস্থ আছে কিনা তা জেনে রাখা আপনার জীবনে একসাথে প্রস্তুত হওয়ার প্রথম পদক্ষেপ। ট্রিপল মার্কার পরীক্ষা আপনাকে প্রস্তুত করতে পাশাপাশি আপনার সন্তানের স্বাস্থ্য ও কল্যাণ সম্পর্কিত সম্ভাব্য সমস্যাগুলি এড়াতে সহায়তা করবে। সুতরাং, একটি স্বাস্থ্যকর গর্ভাবস্থা নিশ্চিত করতে এই পরীক্ষা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিন!