In this Article
- স্তন পান করনোর সময় ব্লকড বা অবরুদ্ধ দুগ্ধনালীকা বলতে কি বোঝায়?
- দুগ্ধনালী অবরুদ্ধ হওয়ার কারণগুলি
- দুগ্ধনালী অবরুদ্ধ হওয়ার লক্ষণগুলি
- বাচ্চাদের উপর এর প্রভাবগুলি কি?
- স্তন পান করানোর সময় অবরুদ্ধ নালীর নিরাময়ের জন্য চিকিৎসা ব্যবস্থাগুলি
- প্রাকৃতিকভাবে অবরুদ্ধ নালীগুলি থেকে মুক্তি পাওয়ার পরামর্শ
- অবরুদ্ধ দুগ্ধ নালী প্রতিরোধের উপায়
- কখন একজন ডাক্তারের সাহায্য চাইবেন
আপনি আপনার সন্তানের জন্ম দান করার পর মুখোমুখি হবেন এমন বহু চ্যালেঞ্জের মধ্যে একটি হয়ে উঠবে আপনার ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ছোট্টটিকে স্তন পান করানো শুরু করা।যদিও এটি একজন মা হয়ে ওঠা এবং একজন মা ও তার সন্তানের মধ্যে দৃঢ় বন্ধন গড়ে ওঠার অভিজ্ঞতাগুলির মধ্যে সবচেয়ে সন্তোষজনক বলে জানা যায়,তবে আপনি এই সময়েই আরও কিছু বিচিত্র চ্যালেঞ্জেরও সম্মুখীন হতে পারেন।এই ধরনের চ্যালেঞ্জগুলির মধ্যে অত্যন্ত সাধারণ একটি হল ব্লকড অথবা অবরুদ্ধ দুগ্ধ নালীকা,যার মুখোমুখি বহু নতুন মায়েরাই হয়ে থাকেন।
স্তন পান করনোর সময় ব্লকড বা অবরুদ্ধ দুগ্ধনালীকা বলতে কি বোঝায়?
আপনার সন্তানকে স্তন পান করানোর পর্যায়ে এমন একটি সময় উপস্থিত হবে যখন আপনি অনুভব করবেন যে আপনার স্তনগুলি পূর্ণ হয়ে এবং ফুলে উঠেছে।এটি প্রাথমিকভাবে হয়ে থাকে যখন আপনার মধ্যে এটির স্বাভাবিক প্রকাশের তুলনায় আরও বেশি দুধ উৎপাদন হতে থাকে।সাধারণত এই অবস্থাটিই সাধারণ ভাবে পরিচিত অবরুদ্ধ দুগ্ধ নালীকাকে পরিচালিত করে।যেখানে দুগ্ধ নালীর চারপাশের সম্পূর্ণ এলাকাটিই ফুলে যায় এবং উদ্দীপ্ত হয়ে ওঠে।যদি আপনি আপনার বক্ষদেশ পরিদর্শন করেন,আপনি অনুভব করবেন যে সেখানে একটি কঠিণ দলা গড়ে উঠেছে যেটির কারণে আপনি সেই অঞ্চলটির চারপাশের পুরো জায়গাটিতেই একটি হালকা ব্যথা অথবা চুলকানি অনুভব করবেন।যত দ্রুত সম্ভব এই অবরুদ্ধ দুগ্ধনালী গড়ে ওঠার শর্তটির চিকিৎসা করা প্রয়োজন কারণ তা না হলে এর থেকে জ্বরও আসতে পারে।স্তনে দুধের বাধা সৃষ্টি হওয়াকে অবিলম্বে খাতিয়ে দেখা উচিত কারণ এটি থেকে কেবল জ্বর হওয়া ছাড়াও আরও জটিল ও গুরুতর কিছু হতে পারে।
দুগ্ধনালী অবরুদ্ধ হওয়ার কারণগুলি
দুগ্ধনালী অবরুদ্ধ হওয়ার প্রাথমিক কারণটি হল মায়ের দেহে উৎপাদিত স্তন দুধের বহিঃপ্রকাশ ততটা ঘন ঘন হয় না দুধ উৎপাদনের অনুপাতে যতটা হওয়া উচিত,তার ফলে এই ব্লকেজ আসে।স্তন থেকে দুধ হয়ত নিম্নলিখিত কোনও কারণের জন্যও খালি না হতে পারেঃ
১. আপনার সন্তান আপনার স্তন থেকে সঠিকভাবে চুষে দুধ টানতে অসমর্থ হওয়ার কারণে অথবা যতটা তার খাওয়া উচিত সেই অনুপাতে তাকে খাওয়ানো না হওয়ার জন্যও আপনার বাচ্চাকে খাওয়ানোর ক্ষেত্রে সমস্যা থেকে যায় যার পরিণতিতে দুগ্ধনালীর মধ্যে দুধ জমে থাকে।
২. আপনি হয়ত আপনার পরিচর্যায় সাহায্যকারী একটি নার্সিং ব্রা ব্যবহার করে থাকেন যেটি খুবই টাইট হয়,এটি দুগ্ধনালীটির সংকোচন ঘটায় অথবা ক্ষতি করে এবং তার ফলে দুগ্ধনালীর অভ্যন্তরে দুধগুলি জমে থাকে।
৩. আপনি হয়ত এমনভাবে আপনার স্তনগুলিকে পাম্প করে থাকেন যেখানে স্তনের উপরে যথেষ্ট চাপ প্রয়োগ হয় না।
৪. বাচ্চাকে দুধ পান করানোর প্রক্রিয়াটি খুবই মাঝেমধ্যে হলে
৫. ঠাণ্ডা লেগে সর্দি হওয়া কিম্বা মানসিক চাপও দুগ্ধনালী অবরুদ্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ হয়ে থাকে।মা যদি চাপের মধ্যে থাকেন তবে সে ক্ষেত্রে অক্সিটসিনের(এক ধরনের হরমোন যার ফলে স্তন দুধ নিঃসৃত হয়)উপর প্রভাব পড়তে পারে।
৬. ব্রেস্ট বায়োপ্সির মত অস্ত্রপচারগুলি দুধ নিঃসরণের উপর প্রভাব ফেলতে পারে,এইপ্রকারে মায়ের দুগ্ধনালী অবরুদ্ধ হয়ে যায়।
দুগ্ধনালী অবরুদ্ধ হওয়ার লক্ষণগুলি
যদি আপনার দুগ্ধনালী অবরুদ্ধ হয়ে থাকে,আপনি লক্ষ্য করবেন যে আপনার স্তন ভিতর থেকে কঠিণ দলা বা পিণ্ড আকারে হয়ে উঠেছে অথবা আপনি খুব ‘আঁটসাঁট‘ অনুভব করবেন।ব্লকেজের চারপাশের অঞ্চলে আপনি হয়ত যন্ত্রণা ও কোমলতা অনুভব করবেন এবং এমনকি সেখানে একটি লালচে দাগও থাকতে পারে।এই দাগটিকে স্পর্শ করলে গরম অনুভূত হবে অথবা সেটি ফুলেও উঠতে পারে,বিশেষ করে বাচ্চাকে স্তন পান করানোর পর।কিছু দৃষ্টান্ত আবার এমন হতে পারে যেখানে অবরুদ্ধ দুগ্ধনালীটি কঠিণ পিণ্ড অথবা স্ফীত হয়ে ওঠার অনুভূতি ছাড়াই সেটি যন্ত্রণাদায়ক এবং কোমল হয়ে উঠতে পারে।স্থানীয় উপসর্গগুলির মধ্যেও আবার স্তন পান করানোর পূর্বে যন্ত্রণাদায়ক অনুভূতি এবং খাওয়া্নোর পরে কোমলতাটির হ্রাস পাওয়া অন্তর্ভূক্ত হতে পারে,যদিও বাচ্চাকে স্তন পান করানোর পরেই স্তনের অবরুদ্ধ অঞ্চলটি ফাঁকা বা সংকুচিত হয়ে যাওয়া অনুভব করবেন।মায়েদের মধ্যে আবার কম মাত্রায় জ্বরও বিকাশ পেতে পারে যদি তারা অবরুদ্ধ দুগ্ধনালীর মত সমস্যায় ভুগে থাকেন।
বাচ্চাদের উপর এর প্রভাবগুলি কি?
যদিও অবরুদ্ধ দুগ্ধনালী আপনার সন্তানকে প্রভাবিত করে না তবে এটি তার পক্ষে স্তন পান করাকে একটু জটিল করে তোলে।খাওয়ানোর সহিত অতিরিক্ত কসরত জড়িত হওয়ার কারণে,বাচ্চা আক্রান্ত স্তন থেকে দুধ চুষতে অরাজি হতে পারে যেহেতু স্বাভাবিকের তুলনায় স্তনটি থেকে দুধের প্রবাহ কমে যাওয়ার প্রবণতা থাকে।দুগ্ধনালী অবরুদ্ধ হয়ে যাওয়ার সময়েও বাচ্চাদের স্তন পান করানোর সুপারিশ করা হয় কারণ মায়ের বুকের দুধে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য যা বাচ্চাদের সুরক্ষিত রাখে এমনকি যদি দুগ্ধনালী অবরুদ্ধ হওয়ার কারণে আপনার মধ্যে সংক্রমণও হয়ে থাকে তখনও এটি বাচ্চার জন্য নিরাপদ।এছাড়াও আবার বাচ্চাকে নিয়মিত স্তন পান করালে তা ব্লকেজ দূর করা নিশ্চিত করে।
স্তন পান করানোর সময় অবরুদ্ধ নালীর নিরাময়ের জন্য চিকিৎসা ব্যবস্থাগুলি
একজন চিন্তিত মা হিসেবে,আপনি হয়ত ভাববেন যে কীভাবে দুগ্ধনালীটি বাধামুক্ত করে এই অবস্থা্র সাথে যুক্ত যন্ত্রণা এবং অস্বস্তির থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারেন।অবরুদ্ধ দুগ্ধনালী নিরাময়ের সবচেয়ে পরীক্ষিত উপায়টি হল বাচ্চাকে স্তন পান করানো বজায় রাখা এবং স্তনের দুধকে খালি করে ফেলা।এটি আপনার জ্বালা যন্ত্রণা হ্রাস করবে এবং আপনি আরও আরামদায়ক ভাবে আপনার সন্তানের পরিচর্যা করতে পারবেন।
অবরুদ্ধ নালীর চিকিৎসার জন্য এখানে কিছু পরীক্ষিত এবং প্রমাণিত পদ্ধতির উল্লেখ করা হল যেগুলি আপনিও চেষ্টা করে দেখতে পারেনঃ
- আক্রান্ত স্তন দিয়ে শুরু করুনঃ এটি খুব যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠবে ঠিকই কিন্তু তবুও আপনার সন্তানকে স্তন পান করানোর শুরুতে তাকে আপনার আক্রান্ত স্তনটি থেকেই প্রথমে খাওয়ানোকে নিশ্চিত করুন কারণ আপনার বাচ্চা ক্ষুধার্থ থাকার কারণে সে প্রথমেই বেশ জোরের সহিত চুষে দুধ টানবে।এটি আপনার দুগ্ধ নলীকে বাধামুক্ত করতে সহায়তা করতে পারে।যদি কোনও ক্ষেত্রে বাচ্চা সেই দিকের স্তন থেকে পান করতে অনিচ্ছুক হয় তবে সেক্ষেত্রে একটি ব্রেস্ট পাম্প ব্যবহার করুন অথবা আপনার স্তনটিকে হাতের সাহায্যেই পাম্প করে দুধ বের করে দিন কারণ এক্ষেত্রে স্তনটি ফাঁকা করা অত্যন্ত জরুরী।
- স্তন মালিশ করুনঃ স্তনের শক্ত হয়ে থাকা অঞ্চলটিতে বার বার দৃঢ় ভাবে মালিশ করতে থাকাও অবরুদ্ধ নালীর চিকিৎসার ক্ষেত্রে একটি কার্যকর উপায়।প্রথমেই বাইরের দিক থেকে মালিশ করা শুরু করাটা গুরুত্বপূর্ণ এরপর ক্রমশ ধীরে ধীরে আপনার মালিশের ক্রিয়াটিকে আক্রান্ত স্তনবৃন্তের দিকে সঞ্চালনা করা উচিত।এছাড়াও আপনি আবার বাচ্চাকে স্তন পান করানোর ঠিক আগের মুহূর্তে একটি উষ্ণ কমপ্রেস প্রয়োগ করতে পারেন কারণ এটি কিছু ক্ষেত্রে অবরুদ্ধ নালীকে খুলে যেতে সহায়তা করে থাকে এবং এর ফলে এই উপায়ে আপনি আপনার স্তনের ফুলে ওঠা এবং যন্ত্রণা থেকেও মুক্তি পেতে পারেন।
- স্তন পান করানোর অবস্থানের পরিবর্তনঃ সমগ্র নালী থেকে সম্পূর্ণরূপে দুধ নিঃসৃত হয়ে যাওয়াকে নিশ্চিত করার জন্য পান করানোর সময় আপনার সন্তানকে ধরে রাখার অবস্থানের পরিবর্তন করুন।যদি দোলা দেওয়ার মত করে বুকে নিয়ে আশ্রয় দেবার মত বাচ্চাকে ধরে রাখার অবস্থানটি আপনার পছন্দসই হয়ে থাকে তবে আপনি সেটি পরিবর্তন করে ফেলতে পারেন ফুটবলের মত ধরে রাখাতে।এছাড়াও আবার আপনি তার পাশাপাশি শুয়ে নিয়েও তাকে পান করাতে পারেন।আপনার সন্তানকে আপনার স্তনের কাছাকাছি এমনভাবে রাখুন যাতে তার থুতনিটি আপনার স্তনের কালশিটে অঞ্চলের দিকে নির্দেশ করে,যা তাকে স্তনবৃন্তের উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে এবং পান করতে সহায়তা করে।এটি তাকে অবরুদ্ধ নালীর চোষণ বিন্দুতে পরিচালিত হতে সহায়তা করবে।
- পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিনঃ যখন আপনি আপনার বাচ্চাকে স্তন পান করান আপনার পক্ষে যতটা সম্ভব বিশ্রাম নেওয়াটা খুবই অসুবিধাজনক হলেও এটি বাস্তবিকই ভীষণ প্রয়োজন।যদি আপনার হাতে সাহায্যের মত কিছু না থাকে অথবা আরও অন্যান্য সন্তান থাকে যাদের যত্নও আপনাকেই নিতে হয়,তবে সেক্ষেত্রে বিশ্রাম পাওয়াটা প্রকৃতই অসম্ভব কাজ।সাহায্যের জন্য আপনার আত্মীয়–স্বজন, বন্ধুবান্ধবদের বলুন এবং তারা যখন আপনার আশেপাশেই থাকবেন সেই ফাঁকে আপনার সন্তানের দিকে ঝুঁকে কিছু সময়ের জন্য চোখ বুজে থাকুন।যদি আপনি একা হয়ে থাকেন,ডায়পার,খেলনা,জল,খাওয়ানোর কাপ ইত্যাদির মত সকল প্রয়োজনীয় উপকরনগুলিকে হাতের কাছে রাখুন যাতে আপনি যতটা সম্ভব নড়াচড়া করা এবং ওঠাকে এড়াতে পারেন।
- ওষুধঃ উপরের কোনও পন্থাতেই যদি আপনার কাজ না হয়ে থাকে তবে আপনার ডাক্তারবাবুর পরামর্শ নিয়ে তবেই ওষুধ গ্রহণ করুন কারণ আপনি হলেন একজন স্তন দানকারী মা আর যেকোনও ওষুধ আপনার সন্তানের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।যন্ত্রণা হ্রাসে সহায়তার জন্য আপনার ডাক্তারবাবু হয়ত আপনাকে কিছু নির্দিষ্ট ব্যথা উপশমকারী ওষুধের নির্দেশ দিতে পারেন।এক্ষেত্রে ঠাণ্ডা এবং গরম সেঁকও বেশ ভাল সাহায্য করবে এবং আপনি দুটোই প্রয়োগ করে দেখতে পারেন যে কোনটি ভাল কাজ দেয়।
প্রাকৃতিকভাবে অবরুদ্ধ নালীগুলি থেকে মুক্তি পাওয়ার পরামর্শ
উপরে উল্লিখিত বিষয়গুলি ছাড়াও অবরুদ্ধ দুগ্ধনালীর চিকিৎসার জন্য বেশ কয়েকটি ঘরোয়া প্রতিকারও রয়েছে।
- প্রভাবিত স্তনের উপর উষ্ণ ঝরনা গ্রহণ এবং উষ্ণ ঝরনা প্রয়োগের সময় স্তনের উপর মালিশ,অবরুদ্ধ দুগ্ধনালীর প্রতিকারে ব্যবহারিক সমাধান হিসেবে ব্যবহৃত বেশীরভাগ প্রতিকারগুলির তুলনায় উচ্চ মর্যাদা রাখে।
- এছাড়াও আপনি আবার সংক্রামিত অঞ্চলটির উপর নারকেল তেল প্রয়োগ করতে পারেন কারণ এটি প্রভাবিত অঞ্চলটিকে নরম করবে এবং যন্ত্রণার তীব্রতাকে হ্রাস করতে সাহায্য করবে।
অবরুদ্ধ দুগ্ধ নালী প্রতিরোধের উপায়
অবরুদ্ধ নালী রোধ করার সহায়তার জন্য এখানে কিছু সহজ পরামর্শ রইলঃ
- একটি মানানসই ব্রা বেছে নিনঃ মাপ নেওয়ার সময় নিশ্চিত করুন যে আপনি এমন একটি ব্রা বাছবেন যেটিতে আপনার স্তনের কোনও অংশে চাপ পড়বে না কারণ এটি দুধের প্রবাহে বাঁধার সৃষ্টি করতে পারে যার ফলে দুগ্ধনালী অবরুদ্ধ হয়ে যায়।
- নিয়মিত ভাবে স্তন খালি করবেনঃ স্তন,দুধে ভীষণ ভাবে পূর্ণ হয়ে ওঠাও দুগ্ধনালী অবরুদ্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে।যদি আপনার সন্তান স্তন পান না করে তবে সেক্ষত্রে যেকোনও প্রকারে নিয়মিত ভাবে আপনার স্তন খালি করার বিষয়টিকে নিশ্চিত করুন।
- পান করানোর অবস্থানের পরিবর্তন করুনঃ যে পাশের স্তনে অবরুদ্ধ নালী বিকাশ হতে থাকে সেই দিকের স্তন থেকে দুধ পান করার জন্য আপনার সন্তানকে উৎসাহিত করুন।এটি নালীটিকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উন্মুক্ত হতে সহায়তা করবে।
- প্রদাহ বিরোধী ওষুধগুলি গ্রহণ করুনঃ সহজেই সহজলভ্য এই ওষুধগুলি জ্বলন ও যন্ত্রণাকে হ্রাস করে এবং স্বস্তি ফিরিয়ে আনে।তবে এক্ষেত্রে স্ব–চিকিৎসা বর্জনীয় এবং ব্যবহারের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ বাঞ্ছনীয়।
- উষ্ণ কমপ্রেসঃ খাওয়ানোর মাঝে একটি উষ্ণ কমপ্রেস প্রয়োগ একটি ভীষণ কার্যকর প্রতিরোধক পরিমাপক।
- চাপ–মুক্ত থাকুনঃ বিশ্রামের অভাব এবং মানসিক চাপ দুগ্ধনালীর অবরুদ্ধ হয়ে ওঠার প্রবণতাকে ক্রমশ বাড়িয়ে তুলতে পারে।আপনাকে প্রশমিত এবং শিথিল রাখতে পারে এমন ধরনের ক্রিয়া কার্যের সহিত নিজেকে যুক্ত রেখে আপনার মানসিক চাপকে কমাবার যথাসাধ্য চেষ্টা আপনি করবেন সে ব্যাপারে অটল থাকুন।
কখন একজন ডাক্তারের সাহায্য চাইবেন
যদি অবরুদ্ধ দুগ্ধনালীকার কারণে হয়ে থাকা অস্বস্তিটি 24 ঘন্টারও বেশি সময় ধরে থেকে যায় ও বাড়তে থাকে,তবে সেক্ষেত্রে আপনাকে একজন ডাক্তার দেখানোরই পরামর্শ দেওয়া হয়,যিনি হয়ত উপশমের জন্য আপনার ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিকগুলিকে নির্ধারণ করতে পারেন।
যদিও দুগ্ধনালী অবরুদ্ধ হয়ে যাওয়া স্তনদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে খুব স্বাভাবিক একটি ঘটনা,তবুও উপরে বর্ণিত যেকোনও দ্রুত প্রতিকারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।তবে সেগুলি ব্যবহারের পরেও আপনি যদি আপনার অবস্থার ক্ষেত্রে কোনও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন খুঁজে না পান তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার ডাক্তারবাবুকে দেখানো প্রয়োজন এবং এটি থেকে আপনার মধ্যে ম্যাসাটাইটিসের মত মারাত্মক কোনওকিছু যে হবে না সেটি নিশ্চিত করুন কারণ এটির জন্য সাধারণ চিকিৎসা ব্যতিরেকে পৃথক ধারায় প্রতিকারের প্রয়োজন হবে যা একজন মা হিসেবে আপনার প্রাপ্য হওয়া উচিত নয়।