গর্ভাবস্থায় মাশরুম খাওয়া- নিরাপদ নাকি অনিরাপদ?

গর্ভাবস্থায় মাশরুম খাওয়া- নিরাপদ নাকি অনিরাপদ?

গর্ভাবস্থায় সঠিক আহার গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ।তবে এটি জটিল হয়ে উঠতে পারে কারণ অনেক হবু মায়েদেরকেই একটি স্বাস্থ্যকর আহার গ্রহণ করানো হয়ে থাকে প্রতিটি আহারের সাথে পৌরাণিক কাহিনী এবং ঐতিহ্যবাহী চিরাচরিত জ্ঞানের সাথে সঙ্গত রেখে।মাশরুম নিয়ে অনেক বিতর্ক ও মতভেদ রয়েছে, কারুর মতে গর্ভাবস্থার জন্য এগুলি একদম আদর্শ খাদ্য হিসেবে বিবেচিত যখন আবার অন্যদের মতে এগুলি মাতৃ স্বাস্থ্যে বিপদ ডেকে আনে।আসুন দেখা যাক এই বিতর্কের পছনে কোনও যোগ্য প্রমাণ আছে কিনা!

গর্ভাবস্থায় মাশরুম খাওয়া কি নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর?

মাশরুম হল ভক্ষণযোগ্য ছত্রাক বিশেষ।এগুলি ভালো মানের প্রোটিনের স্বল্প ক্যালোরির উৎস।100 গ্রাম সাদা বাটন মাশরুম থেকে মোটামুটি প্রায় 22 ক্যালোরি মত পাওয়া যেতে পারে।এগুলি হল নানা পুষ্টিকর উপাদানের একটি শক্তিঘর এবং মাশরুমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে নানা ধরণের ভিটামিন, খনিজ এবং স্বল্পমাত্রিক মৌল উপাদানগুলি। যাইহোক, তবে কিছু ভক্ষণযোগ্য মাশরুম থেকে আবার মানুষের মধ্যে অ্যালার্জিজনিত কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা দিতে পারে।এগুলি আবার কিছু অল্প সংখ্যক মানুষের মধ্যে গা গুলানোবমি বমি ভাব, বমি হওয়া এবং ডায়রিয়ার মত পেটের সমস্যাগুলিও সৃষ্টি করতে পারে।বুনো জংলী এবং যাদুকরী মাশরুম খাওয়াও আবার এমনকি বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।

গর্ভাবস্থায় নিরাপদ মাশরুমগুলি

আপনি যদি আগেও মাশরুম খেয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে সাধারণত সেই একই ধরণের মাশরুমগুলিই আপনার গর্ভাবস্থাকালেও খাওয়ার জন্য নিরাপদ হয়ে থাকে।এমন ধরণের মাশরুমগুলিকে বেছে নিন যেগুলি তাজা এবং পরিষ্কার দেখতে হয় এবং কোনও রকম পচা, গলা বা থ্যাঁতলানো না হয়।কাঁচা মাশরুম কখনই সেবন করবেন না। যথাযথভাবে ধুয়ে নেওয়ার পর সেটি ভালভাবে রান্না করুন এটি ক্ষতিকারক ছত্রাক এবং জীবাণুর হাত থেকে আপনার আপনার পাচন তন্ত্রের আক্রমণ হওয়া থেকে আপনাকে রক্ষা করবে।

অয়েস্টার, ক্রিমিনি এবং বাটনের মত সাধারণভাবে উপলভ্য মাশরুমগুলি, যেগুলি কোনও রকম ক্ষত চিহ্ন হীন, সেগুলি ভালভাবে ধুয়ে রান্না করার পর খাওয়া নিরাপদ।শিতক মাশরুম, ঔষধের পরিপূরকের মাশরুমগুলি আর হিমায়িত এবং প্রক্রিয়াজাত মাশরুম পণ্যগুলি, যেগুলি তাদের মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখের মধ্যে ভাল থাকে সেগুলি খাওয়া নিরাপদ।মাশরুম খাওয়ার ফলে আপনার সমস্যা হতে পারে বলে যদি আপনার মনে হয়, তবে আপনি হয় সেগুলি খাওয়া বন্ধ করে দিন অথবা খুব অল্প পরিমাণে রান্না করুন।খাওয়ার পর অপেক্ষা করে দেখুন যে কোনও সমস্যা দেখা দেয় কিনা।যদি দেখা দেয় তবে ভবিষ্যতে আর কখনও মাশরুম খাওয়া এড়িয়ে চলুন।

ওষুধি গুণযুক্ত মাশরুম

ওষুধি গুণযুক্ত মাশরুম

যদিও অধিকাংশ নিরাপদ মাশরুমগুলিতে রোগ প্রতিরোধমূলক এবং ক্যান্সার বিরোধী বৈশিষ্ট্যগুলি রয়েছে বলে প্রমাণিত হয়েছে, তবে এক্ষেত্রে বেশ কিছু ওষুধি গুণযুক্ত মাশরুম আছে যেগুলির মধ্যেও রয়েছে আরও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যকর উপকারিতাগুলি।এগুলির মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, হাইপারটেনসিভ বিরোধী গুণাবলীগুলি এবং এর পাশাপাশি লিভারকেসুরক্ষিত রাখা এবং কোলেস্টেরল হ্রাস করার ক্ষমতাগুলিও।বহু ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি ওষধি মাশরুমকে বায়োমেডিকাল বৈশিষ্ট্যগুলির একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসাবে দেখে থাকেন

গর্ভাবস্থায় নিরাপদ নয় এমন ধরণের মাশরুমগুলি

গর্ভাবস্থায় নিরাপদ নয় এমন ধরণের মাশরুমগুলি

যদিও বেশিরভাগ মাশরুমগুলিই সেবন করার জন্য নিরাপদ, তবে আপনার এটিও মনে রাখা প্রয়োজন যে এগুলির মধ্যে কিছু আবার এড়িয়ে চলাও দরকার।এখানে এমন কিছু মাশরুমের কথা উল্লেখ করা হল যেগুলি আপনার খাবারের থালা থেকে দূরে রাখাই সর্বোত্তম।

কাঁচা মাশরুম

কাঁচা মাশরুম

মাশরুমগুলি অপরিহার্যভাবেই বদ হজমের কারণ হয়ে ওঠে যদি সেগুলি কাঁচা খাওয়া হয় আর এর কারণ হিসেবে দায়ী সেগুলির অনমনীয় বা শক্ত কোষ প্রাচীর।সেগুলির পুষ্টি জৈবগুলি মানুষের কাছে উপভোগ্য করে তুলতে, শক্ত কোষ প্রাচীর যুক্ত অধিকাংশ মাশরুমগুলিকেই খাওয়ার আগে রান্না করে নেওয়া প্রয়োজন।রান্না করার দ্বারা মাশরুমে উপস্থিত কার্সিনোজেনিক টক্সিনগুলির কিছু দূর করা যেতে পারে।আর ঠিক এই কারণের জন্যই গর্ভাবস্থায় মাশরুম সেবন করার আগে ভালভাবে রান্না করার পরামর্শ দেওয়ার কথা বিবেচনা করা হয়।

যাদুকরী মাশরুম

যাদুকরী মাশরুম

যাদুকরী মাশরুম এবং সেই সকল বুনো জংলী মাশরুমগুলির একত্রিকরণ সম্ভাব্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।যাদুকরী মাশরুমের মধ্যে সাইলোসাইবিন নামক একটি উপাদান থাকে যা হ্যালুসিনেশন,মাংস পেশীর দুর্বলতা,মাথা ঝিম ঝিম, তন্দ্রাচ্ছন্ন, বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়ার কারণ হয়ে ওঠে।এছাড়াও আবার এগুলি থেকে অ্যাটাক্সিয়াও হয়ে থাকে যেটি হলআহার করার পর প্রায় 6 ঘন্টা পর্যন্ত পেশীর আন্দোলনগুলির স্বেচ্ছাকৃত সমন্বয়ের অভাব দেখা দেয়।বুনো মাশরুম সংগ্রহ ও সেবন করার দ্বারা বিষাক্ত মাশরুম খেয়ে ফেলার ঝুঁকি রয়েছে কারণ এগুলি অনেক সময় ভক্ষণ যোগ্য হিসেবে ভুলও হয়ে যেতে পারে।বিষাক্ত মাশরুম খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনেক এবং তা সামাণ্য গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল অস্বস্তি থেকে এমনকি মৃত্যুতে পর্যন্ত পর্যবসিত হতে পারে।এই সকল বিপদগুলির কারণেই গর্ভাবস্থায় যাদুকরী এবং বুনো এই উভয় প্রকার মাশরুমই আবশ্যিকভাবেই পুরোপুরি এড়িয়ে চলতে হবে।

গর্ভাবস্থায় মাশরুম সেবনের উপকারিতাগুলি

মাশরুমের ব্যাপারে ভাল জিনিসটি হল এই যে, এগুলি দিয়ে খাদ্য প্রস্তুতের সময় খুব কম পরিমাণে ফ্যাট, ক্যালোরি বা শর্করা যুক্ত হওয়া সত্ত্বেও সেগুলির দ্বারা প্রস্তুত খাদ্যগুলির স্বাদ উত্তম হয়।এগুলি হল বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদানের শক্তিঘর এবং গর্ভাবস্থার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এমন উপাদানগুলি এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে থাকে।

  • ভিটামিন B পুষ্টি উপাদানগুলিঃ মাশরুমগুলি হল অনেকগুলি জটিল ভিটামিন বি উপাদানগুলির একটি প্রাকৃতিক উৎস, যেমন রাইবোফ্লাভিন(B2), থিয়ামিন(B1), নিয়াসিন(B3) এবং প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড(B5).এই সকল উপাদানগুলি মা এবং শিশু উভয়ের জন্য বিভিন্ন উপকারিতা বহন করে।স্নায়ুর বিকাশ, স্বাস্থ্যকর ত্বক, ভাল দৃষ্টিশক্তি এবং শক্তিশালী হাড় ও মাংস পেশীর বিকাশের জন্য রাইবোফ্লাভিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।নিয়াসিন কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং মা ও ভ্রূণ উভয়ের হৃদযন্ত্র এবং সংবহন্তন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য ভীষণ মাত্রায় ভাল।থিয়ামিন শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে অবদান রাখে।এছাড়াও এটি আপনার শক্তি বৃদ্ধি করে, এবং গর্ভাবস্থায় হয়ে থাকা একটি সাধারণ সমস্যা অবসাদ কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে।আর প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড আপনার দেহে খাদ্য বিপাকে সহায়তা করার দ্বারা আপনার হজমের সমস্যা রোধ করে।
  • ভিটামিন D পুষ্টি উপাদানঃ মাশরুম হল ভিটামিন D এর প্রাকৃতিক উৎস যা ক্যালসিয়াম শোষণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।এটি হাড় এবং দাঁতের বিকাশে সহায়তা করে।ভিটামিন D এর অভাবযুক্ত গর্ভবতী মহিলারা অবসাদে ভুগতে পারেন, সহজেই ক্লান্তিবোধ করেন, হাড়গুলি দুর্বল হওয়ার প্রবণতা থাকে, পিঠে ব্যথা ভোগ করেন এবং বিষণ্ণতায় ভোগেন।একজন গর্ভবতী মহিলার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় মাশরুম সংযুক্ত করার মাধ্যমে তার দেহে ভিটামিন D এর একটি উৎস সরবরাহ করা হয়ে থাকে যা তাদের এই সকল সমস্যাগুলির সাথে মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে সহায়তা করতে পারে।
  • প্রোটিন এবং ফাইবার বা তন্তুঃ মাশরুম হল শাকাহারীদের জন্য প্রোটিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস।আপনার শিশুর সার্বিক বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য প্রোটিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।এছাড়াও গর্ভের মধ্যে অমরার বিকাশ এবং ভ্রূণের সমর্থন ব্যবস্থার জন্যও আবার প্রোটিন বেশ গুরুত্বপূর্ণ।তাছাড়াও মাশরুমগুলিতে একটি উচ্চ ফাইবার বা তন্তু উপাদান রয়েছে যা অন্ত্রের নিয়মিত গতিগুলিকে উন্নত করেএর মধ্যে রয়েছে অদ্রবণীয় ফাইবার বা তন্তুযা যথাযথ হজমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।এছাড়াও আবার এর মধ্যে থাকে দ্রবণীয় ফাইবার তন্তু যা রক্তে শর্করার শোষণ, রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণ করে
  • আয়রণঃ মাশরুম আয়রণের একটি ভাল উৎস যা গর্ভাবস্থায় মা এবং শিশু উভয়ের স্বাস্থ্যের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।এগুলি মধ্যস্থ আয়রণের পুষ্টিগুণের প্রায় 90% এরও বেশি দেহ দ্বারা সহজেই শোষিত হয়ে যেতে পারে।এটি হিমোগ্লোবিন এবং লোহিত রক্তকণিকার উৎপাদন বৃদ্ধি করে এবং মা ও ভ্রূণ উভয়কেই সুস্থ ও তাদের সম্পূর্ণ সম্ভাবনায় কার্যক্ষম রাখেমায়ের হৃদযন্ত্রে এখন আগের থেকেও বেশি রক্ত সঞ্চারিত হওয়ার অতিরিক্ত দায়িত্ব থাকার কারণে গর্ভাবস্থায় মাশরুম মধ্যস্থ আয়রণের অধিক গুরুত্ব আছে বলে মনে করা হয়।গর্ভাবস্থার জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে গর্ভধারণের বছরগুলিতে বহু মহিলাই রক্তাল্পতায় ভুগে থাকেন।
  • অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ট্রেস বা স্বল্পমাত্রিক মৌল উপাদান গুলিঃ মাশরুমে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং আপনার গর্ভাবস্থায় আপনাকে রোগ মুক্ত এবং স্বাস্থ্যকর রাখতে সহায়তা করে।এছাড়াও মাশরুমে রয়েছে পটাশিয়াম, জিঙ্ক এবং সেলেনিয়াম যেগুলি আবার আপনার শিশুর যথাযথ বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।

মাশরুম সেবনের সময় গৃহীত সাবধানতাগুলি

  • মাশরুমগুলি তাজা কিনে সেবন করা উচিত।সেগুলিকে কাঁচা খাবেন না।
  • সেগুলি ফাটা, ক্ষত দাগ যুক্ত বা থ্যাঁতলানো না হওয়া উচিত এবং যথাযথ ধুয়ে ভালভাবে রান্না করা দরকার।প্রক্রিয়াজাত মাশরুমগুলি তাদের নির্ধারিত মেয়াদের তারিখের মধ্যে ভাল থাকতে থাকতেই ব্যবহার করে নেওয়া উচিত।
  • মাশরুম দিয়ে প্রস্তুত কোনও খাদ্য পদের ব্যাপারে আপনার মনে যদি কোনওরকম সন্দেহের অবকাশ থাকে, তবে একদম সামাণ্য পরিমাণে সেটি গ্রহণ করুন এবং কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন, যদি এক্ষেত্রে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, আর একবারও খাবেন না।যদি অ্যালার্জির লক্ষণগুলি তীব্র আকার ধারণ করে বা উদ্বেগজনক দেখায়, অপেক্ষা না করে আপনার ডাক্তারবাবুকে কল করুন বা দেখাতে যান কিম্বা সময়ের মধ্যে হাসপাতালে যান।
  • একটি খাদ্য পরিপূরক হিসেবে অথবা গর্ভাবস্থাকালীন কোনও সমস্যার মোকাবিলা করার জন্য ওষধি মাশরুমগুলি সেবন করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন এবং আপনার স্বাস্থ্যের অবস্থার দিকে নজর রাখুন।এভাবেই যেকোনও অ্যালার্জি বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াকে শুরুতেই সামাল দেওয়া যেতে পারে
  • কোনও হঠকারী বা বিপজ্জনক খাদ্যগুলি দিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানোর সেরা সময় কখনই গর্ভদশা নয়।গর্ভাবস্থায় যাদুকরী এবং বুনো মাশরুমগুলি সেবন করা এড়িয়ে চলুন।

মাশরুম একজন গর্ভবতী মহিলাকে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করতে পারে।গর্ভাবস্থায় মাশরুম সেবন উপভোগ করুন উপরে বর্ণিত সকল সাবধানতাগুলি অবলম্বনের সাথে এ ব্যাপারে বিবেচ্য বিষয়গুলিকে মাথায় রাখার দ্বারা।