In this Article
একটি টডলারের 13 মাসে তার ক্রমবর্ধমান শারীরিক চাহিদা এবং কার্যকলাপের মাত্রা বৃদ্ধির সাথে সামাল দিতে আদর্শগত ভাবে সর্বোত্তম পুষ্টির প্রয়োজন।এই সময় থকেই সে দুধ খাওয়ার অবস্থান থেকে শক্ত খাবার খাওয়ার অবস্থানে সফল ভাবে স্থানান্তরিত হতে পারে।এই বয়সের বেশীর শিশুদের মধ্যেই খাবার বেছে খাওয়ার প্রবণতা গড়ে ওঠে।তাদের খাওয়ার অভ্যেসের এবং তার সাথে আরও অনির্দেশিত কিছু পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।কিছু কিছু দিন তারা কারণ পূর্বক ভাবেই ভালোভাবে খাচ্ছে বলে মনে হতে পারে যখন আবার অন্য কিছু দিন তারা খাবারের উপর সম্পূর্ণ রূপেই নিরুৎসাহতা প্রকাশ করে থাকে।খাওয়ার একটা নির্দিষ্ট সময়-সীমা নির্ধারণ করা এই অনির্দেশিত পরিবর্তনের ক্ষেত্রে কিছুটা সীমাবদ্ধতা আনতে পারে।এছাড়াও আপনার টডলার পদাধিকারী সন্তানের খাদ্য তালিকায় বিভিন্ন ধরণের খাবারের একত্রিতকরণ তাদের বেছে বেছে খাওয়ার সম্ভাবনাকে দমনে এবং তার দৈনন্দিন পুষ্টির প্রয়োজনীয়্তা পূরণে সাহায্য করে।
13 মাস বয়সী শিশুর পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা
বেশ কিছু অপরিহার্য পুষ্টিকর উপাদান,যেগুলি আপনার 13 মাস বয়সী শিশুর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন সেগুলি হতে পারে-
1. প্রোটিন
আপনার বেড়ে ওঠা টলমলে শিশুর প্রতিদিন প্রায় 13 গ্রাম করে প্রোটিনের প্রয়োজন হতে পারে।প্রোটিন হল দেহ গঠনকারী উপাদান যা পেশী এবং কলার গঠন ও মেরামতে সাহায্য করে।
2. কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা
ছোট শিশুদের জন্য কার্বোহাইড্রেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন যেহেতু এগুলি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যকর বিকাশে অবদান রাখে এবং শারীরিক ক্রিয়াকলাপের জন্য শক্তি সরবরাহ করে।একজন ছোট শিশুর প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ হল প্রায় 130 গ্রাম।
3. ফ্যাট
আপনার শিশু প্রতিদিন 1-2 কাপ হোল মিল্ক এবং সম্পূর্ণ ফ্যাট যুক্ত দুগ্ধজাত পণ্য খাবার খাওয়ার মাধ্যমে তার স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের ডোজ অর্জন করতে পারে তার পেশীর আলোড়ন,কোষের গঠন,রক্ত জমাট বাধা এবং শরীর দ্বারা ভিটামিন ও মিনারেল বা খনিজের শোষণে সমর্থনের জন্য।এছাড়াও ফ্যাট আপনার সন্তানের শরীরে শক্তির সাথে জ্বালানি রূপেও কাজ করে থাকে।
4. ফাইবার বা তন্তু
13 মাস বয়সী শিশুর প্রতিদিন প্রায় 19 গ্রাম মত ফাইবার বা তন্তুর প্রয়োজন হয় যা তার অন্ত্রের ক্রিয়ার উদ্দীপনায় এবং পরিপাক সমস্যা যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে।
5.আয়রণ
এই বয়সের বাচ্চাদের প্রতিদিন প্রায় 7 মিলিগ্রাম করে আয়রণ খাওয়া উচিত।বেশীরভাগ শিশুর মধ্যেই আয়রণের ঘাটতির প্রবণতা থাকে যা তাদের অ্যানিমিয়া হওয়ার কারণ এবং তাদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং বিকাশের ক্ষেত্রেও খারাপ প্রভাব ফেলে।
6. সোডিয়াম
একজন 13 মাস বয়সী শিশুর প্রতিদিন প্রায় 1 গ্রাম(1/2 চা চামচ লবণ) মত সোডিয়ামের প্রয়োজন হতে পারে সঠিক ভাবে পেশী এবং স্নায়ুর কার্যকারিতাকে সহজতর করার জন্য,এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য।
7. জল
আপনার 13 মাস বয়সী টডলারের দৈনিক ভিত্তিতে প্রায় 1.3 লিটার তরলের প্রয়োজন হতে পারে,যার মধ্যে অন্তর্ভূক্ত রয়েছে দুধ,জল,তাজা জুস এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর তরল পানীয় যা তাকে উপযুক্তভাবে হাইড্রেট করে রাখে।
8. ভিটামিন D
এটি শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে যা শিশুদের স্বাস্থ্যকর হাড়ের বিকাশের জন্য কেন্দ্রবিন্দু।13 মাসের একজন উন্নয়ণশীল শিশুর প্রতিদিন ভিটামিন D প্রয়োজন হতে পারে 400 আই ইউ (ইন্টারন্যাশনাল ইউনিট বা আন্তর্জাতিক একক)।
একটি টডলারের তার 13 মাস বয়সে কতটা খাবারের প্রয়োজন?
13 মাস বয়সের প্রতিটা শিশুই পৃথক ধরনের হতে পারে এবং তাদের বিভিন্ন শারীরিক ক্রিয়াকলাপের মাত্রা এবং নিজস্ব নির্দিষ্ট প্রয়োজনীয়তাও থাকতে পারে।ছোট শিশুরা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী যথেষ্ট পরিমাণে খাবার খেয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য পিতা-মাতাদের প্রতিদিনের ভত্তিতে ক্যালোরির গণনার প্রয়োন নেই।সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেটি বিবেচনা করা প্রয়োজন সেটি হল এই যে,বাচ্চাটি সন্তোষজনক ওজন লাভ করছে কিনা এবং অনলস কর্মক্ষম থাকে কিনা।আপনার বাচ্চার প্রতিদিন সুষম এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ব্যাপারটা নিশ্চিত করুন।তার প্রতিদিনের খাবারে এবং জলখাবারের সাথে সবুজ শাক-সবজি,শ্বেতসার বহুল সবজি,ফল,দানাশস্য,প্রোটিন এবং দুগ্ধজাত পণ্যগুলিকে অন্তর্ভূক্ত করুন।প্যাকেজযুক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবারের পরিবর্তে সমগ্র খাবার গুলি বাড়িতে প্রস্তুত করার দিকেই অগ্রসর হন।
বলা হয় যে,প্রতিটা খাবারের গ্রুপ থেকে খাবারের মোট যোগফল একটা শিশুর প্রয়োজন হতে পারে তার প্রতিদিনের প্রয়োজনীয়তার উপর নির্ভর করে।বেশীরভাগ শিশুরই সাধারণত প্রতিদিন প্রয়োজন হয়ে থাকে প্রায় 1000-1400 ক্যালোরি।এছাড়াও প্রতিদিন আপনার শিশুর খাদ্য গ্রহণের সাথে 3-4 চা চামচ স্বাস্থ্যকর তেল যেমন ক্যানোলা তেলের সংযোজন করাও অত্যন্ত জরুরি।
তেরো মাস বয়সী শিশুর জন্য সবচেয়ে সেরা খাদ্য
13 মাসের শিশুর জন্য সবচেয়ে সেরা কিছু খাবার গুলি হল-
1. শাক-সবজি
অল্প বয়স থেকেই আপনার বাচ্চাকে সবজি খাওয়ানোর সাথে পরিচিত করানোটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।শাক-সবজিতে খনিজ,ভিটামিন এবং ফাইবারে পূর্ণ থাকে যা আপনার ছোট্ট মাণিকের স্বাস্থ্যকর বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।আপনি টমেটো,গাজরের মত সবজি গুলিকে হয় কাঁচাই কেটে দিতে পারেন তাদেরকে আঙ্গুলে তুলে নিয়ে খাওয়া খাবার হিসেবে অথবা সহজ উপায়ে সেগুলিকে রান্না করে সুস্বাদু খাদ্য-পদ তৈরী করে তাদের দিতে পারেন।
2. ফল
বিভিন্ন ধরণের ফল আপনার বাচ্চার স্বাস্থ্যে জন্য বিভিন্ন উপকারিতা নিয়ে আসতে পারে।এগুলি শিশুর শরীরের গুরুত্বপূর্ণ কিছু ক্রিয়াকলাপ এবং সেগুলি নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ কিছু অপরিহার্য পুষ্টির দূর্দান্ত উৎস।প্রতিদিন আপনার বাচ্চাকে মরশুমি ফলের একটি বা দুটি করে খাওয়ার জন্য উৎসাহিত করুন।বিকল্প হিসেবে আপনি সহজলভ্য বিভিন্ন ধরণের ফল দিয়ে আপনার সন্তানের জন্য তাকে একটি রঙীন ফলের স্যালাড তৈরী করে দিতে পারেন।
3. দুধ
আপনার সন্তানকে হোল মিল্ক(ফুল ক্রীম দুধ)খেতে দেওয়া শুধুমাত্র তার সুস্থ হাড়ের গঠণকেই নিশ্চিত করে না এটি তার শরীরে প্রয়োজনীয় ফ্যাট এবং ভিটামিন D কেও সরবরাহ করে।মাথায় রাখবেন তাই বলে প্রতিদিন তাকে অতিরিক্ত মাত্রায় দুধ খেতে দেবেন না যেহেতু এটি আপনার বাচ্চার শক্ত খাবার খাওয়াকে প্রভাবিত করতে পারে এবং আয়রণের ঘাটতি হওয়ারও সম্ভাবনা হতে পারে।
4. দই
সাদা দই যা মিষ্টি ছাড়া হয় এবং হোল মিল্ক থেকে তৈরী করার জীবন্ত দৃষ্টান্ত ,সেটি আপনার বাচ্চার জন্য আদর্শ পছন্দ হয়ে উঠতে পারে।যে সকল শিশুরা ল্যাকটোজ অসহিষ্ণু তাদের জন্য এই দই খাওয়া উপকারী হতে পারে এবং তারা এটি থেকেই ক্যালসিয়াম এবং ফ্যাটের সরবরাহ পেয়ে থাকে।এছাড়াও দই পরিপাক ক্রিয়াতেও প্রভাব ফেলে এবং ডায়রিয়ার মত পাচন জনিত বিভিন্ন সাধারণ সমস্যার সমাধানও করতে পারে।
5. বাদাম
আপনার শিশুর খাদ্যের সাথে বাদামের সংযোজন বেশ উপকারী হতে পারে যেহেতু এগুলি হল অ্যান্টি অক্সিডেন্ট,খনিজ,ভিটামিন,স্বাস্থ্যকর ফ্যাট,ফাইবার বা তন্তু এবং প্রোটিনে সমৃদ্ধ শক্তি প্যাক।যদি কোনও ক্ষেত্রে আপনি ভীত হন আপনার বাচ্চার খাবার সময় এগুলির জন্য তার বিষম লেগে যাওয়ার ঝুঁকির সম্ভাবনা থাকে ভেবে তবে সেগুলিকেও গুড়ো করে পাউডার বানিয়ে নিন এবং তার খাবারের সাথে সংযোজন করুন।বাদা্মে আপনার সন্তানের কোনওরকম এলার্জির প্রতিক্রিয়া আছে কিনা তা পরীক্ষা করে নিশ্চিত করুন সেগুলি তাকে খেতে দেওয়ার আগে।
6. চিকেন বা মুরগির মাংস
আপনার শিশুর খাদ্যের সাথে মুরগির মাংসের পরিচয় করানো একটা স্বাস্থ্যকর মাংস পছন্দ হতে পারে।এটি ভিটামিন B কমপ্লেক্স,প্রোটিন,আয়রণ এবং ওমেগা-6 ফ্যাটি অ্যাসিডের ভালো উৎস,যা শরীরের স্ট্যামিনা বাড়াতে এবং স্বাস্থ্যকর হিমোগ্লোবিনের গণনায় সাহায্য করে।
7. লেগিউমস বা কলাই বা শিম্বি জাতীয়
শিম্বি জাতীয় ডাল গুলি যেমন কাড়াইশুঁটি,বীনস,মসূর আপনার বাচ্চাকে প্রোটিন সরবরাহ করতে পারে তার পেশীর গঠনের জন্য,ক্যালসিয়াম সরবরাহ করতে পারে তার হাড়ের গঠনের জন্য,তার স্বাস্থ্যকর হৃৎপিণ্ডের জন্য ম্যাগনেশিয়াম,সুস্থ শক্তি এবং রক্তের জন্য আয়রণ এবং ভালো পরিপাকের জন্য ফাইবার বা তন্তু।আপনি এই শিম্বি জাতীয় ডাল গুলিকে আপনার বাচ্চাকে পরিবেশন করতে পারেন সেগুলিকে সাধারণ ভাবেই সেদ্ধ করে দেওয়ার পর অথবা সেগুলিকে ভাপিয়ে নিয়ে।
8. ডিম
আপনার টলটলায়মান শিশুটি ডিম খাওয়া থেকে অসম্ভব উপকার পেতে পারে যেহেতু ডিম হল আয়রণ,প্রোটিন,ফোলেট,ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড,কোলিন এবং ভিটেমিন A,B 12,D এবং E এর পুষ্টিকর উৎস,যা তার স্বাস্থ্যকর শারীরিক এবং মানসিক বিকাশকে উৎসাহিত করতে পারে।
9. চীজ
টডলারদের জন্য চীজ একটা স্বাস্থ্যকর ও সুষম আহার গঠন করতে পারে যেহেতু এটা প্রোটিন,ক্যালসিয়াম,ভিটামিন A সরবরাহ করে এবং এছাড়াও শরীরের প্রয়োজনীয় ফ্যাট এবং শক্তির চাহিদা পূরণ করে।
10. হোল গ্রেইন বা সম্পূর্ণ শস্য
দানাশস্য যথা ওটস,বার্লি,ব্রাউন রাইস আপনার শিশুর খাদ্যে একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ গঠন করতে পারে যেহেতু সেগুলি সরবরাহ করে বিভিন্ন পুষ্টি যেমন ফাইবার বা তন্তু,প্রোটিন,কার্বোহাইড্রেট এবং তার স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন এবং খনিজের এক সম্ভার।
13 মাস বয়সী শিশুর খাদ্য পরিকল্পনা
একটা 13 মাসের শিশুর জন্য তার সঠিক খাদ্যের সময়সীমা প্রতিষ্ঠা করাটা একটা চ্যালেঞ্জের বিষয় হয়ে উঠতে পারে তাদের খাদ্যাভ্যাসের রূপান্তরের এবং তাদের খাদ্য পছন্দের পরিবর্তনের কারণে।নিচের খাদ্য পরিকল্পনাটি হল কেবল একটা সময়সীমার নমুনা যা বিভিন্ন শিশুর নির্দিষ্ট চাহিদার উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।
13 মাসের শিশুর জন্য খাবারের চার্ট
খাদ্য বিভাগ | প্রত্যহ পরিবেশন | পরিবেশনের পরিমাপ |
শাক-সবজি | 1 | 1 বাটি রান্না করা অথবা সূক্ষ্মভাবে কুঁচানো সবজি |
ফল | 2 | একটা আপেল অথবা কলা অথবা যেকোনো মরশুমি ফল |
দানাশস্য | কমপক্ষে 3 | গোটা গমের একটা রুটি,1/2 কাপ রান্না করা ভাত,1 কাপ দানাশস্য। |
প্রোটিন | 2 | একটা রান্না করা ডিম,1 আউন্স পোল্ট্রির মাংস,1/2 কাপ রান্না করা শিম্বি জাতীয় ডাল |
দুধ | 2 | 1 অথবা 2 কাপ হোল মিল্ক |
দুগ্ধজাত পণ্য | 2 | 2 আউন্স চীজ,1 কাপ দই |
13 মাস বয়সী শিশুর জন্য খাবারের রেসিপি
এখানে 13 মাস বয়সী শিশুর জন্য কিছু সহজ রন্ধন প্রণালী দেওয়া হলঃ
1. ওটমিলের মাফিন
মাফিন খুব সহজ জলখাবারের একটা ধারণা হতে পারে যেহেতু এগুলি সহজেই খাওয়া যায়।
উপকরণ
- 2 টি ডিম
- 1/2 কাপ তেল
- 1/2 কাপ দুধ
- 2/3 কাপ চিনি
- 1 কাপ ময়দা
- 3/4 কাপ ওটমিল
- 1/2 চা চামচ বেকিং সোডা
- 1 চা চামচ বেকিং পাউডার
কীভাবে তৈরী করবেন
- ওভেনটিকে 200 ডিগ্রী সেলসিয়াসে আগে থেকেই গরম করে রাখুন।
- মাফিন ট্রের উপরে তেলের প্রলেপ দিন।
- সকল তরল উপাদান গুলিকে একসাথে ঝাঁকিয়ে নিন।সমস্ত শুকনো উপকরণ গুলি চেলে নিয়ে সেগুলিকে পিষে পেষ্ট বানিয়ে একটা ভেজা মিশ্রণে গড়ে তুলুন।
- মাফিন কাপের মধ্যে ব্যাটারটি ঢেলে নিয়ে 20 মিনিটের জন্য বেক করুন।
2. ডিম ভুনা
আপনার বাচ্চাকে ডিমের ভালো গুণ গুলিকে দেওয়ার এটা একটা সহজ উপায় হতে পারে।
উপকরণ
- একটা ডিম
- 1/4 কাপ দুধ
- মাখন
- নুন
কীভাবে তৈরী করবেন
- নুন দিয়ে ডিমটিকে ভালভাবে ফেটিয়ে নিন।
- চাটুতে মাখন গরম করে তার উপর ডিমের মিশ্রণটি ঢেলে দিন।
- আস্তে আস্তে ভাঁজ করুন,নরম দই কাটার চামচ দিয়ে মিশ্রণটিকে তুলে নিন।
3. ফ্রুটি চিকেন রাইস
মজাদার রাতের খাবারের জন্য আপনি এই সুস্বাদু খাবারটি বানাতে পারেন যা আপনার সন্তানকে আনন্দ দিতে পারে তার গঠনের বৈচিত্রের সাথে।
উপকরণ
1/4 কাপ সেদ্ধ করা চিকেনের ব্রেস্ট(ছোট ছোট করে টুকরো করা)
1 কাপ খুবানি
1/2 কাপ রান্না করা ভাত
কীভাবে তৈরী করবেন
- সমস্ত উপকরণ গুলি একসাথে নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
- গরম অথবা ঠাণ্ডা পরিবেশন করুন।
4.পাস্তা
মেল্টেড চীজের সাথে এই সুস্বাদু পাস্তাটি মধ্যাহ্ণভোজের জন্য আদর্শ ধারণার যোগ্যতা অর্জন করতে পারে।
উপকরণ
- 1 কাপ পাস্তা(সেদ্ধ করা)
- একটা টমেটো(ঘনকাকারে কাটা)
- চীজ(কুড়ানো)
তেল
- কীভাবে তৈরী করবেন
- একটা তাওয়া তে তেল গরম করে তার সাথে পাস্তা এবং চীজ যোগ করুন।
- তাওয়াটি ঢাকা দিয়ে চীজ গলে না যাওয়া পর্যন্ত রান্না করুন।
- উপরে ঘনকাকারে কাটা টমেটোর টুকরো গুলি ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশন করুন।
5. ক্যারোট কয়েন বা গাজরের চাকতি
আপনার বাচ্চা হয়ত এই অসম্ভব লোভনীয় গাজরের কয়েন গুলির প্রতি তাদের লোভ প্রতিহত করতে পারবে না।
উপকরণ
- একটা গাজর(খোসা ছাড়িয়ে চাকতির আকারে কাটা)
- অলিভ অয়েল
- নুন(ইচ্ছে হলে)
কীভাবে তৈরী করবেন
- ওভেনটিকে আগে থেকে 180 ডিগ্রী তে গরম করে রাখুন।
- একটা বেকিং ট্রের উপর গাজরের সমস্ত চাকতি গুলিকে রাখুন।
- নুন ছড়িয়ে দিয়ে 30 মিনিটের জন্য বেক করুন।
খাওয়ানোর পরামর্শ
খাওয়ানোর দরকারী কিছু পরামর্শ হতে পারেঃ
- একটা খাদ্য পরিকল্পনার গঠন আপনার বাচ্চাকে বিভিন্ন খাবারের সাথে পরিচয় ঘটাতে সাহায্য করতে পারে।
- আপনার বাচ্চার জন্য তার খাবারে বেবি ফুডের বা শিশু খাদ্যের তুলনায় বেশী মাত্রায় টেবিলে বসে খাওয়ার শক্ত খাবার গুলিকে অন্তর্ভুক্ত করার কথা মাথায় রাখবেন।
- আপনার বাচ্চাকে নিজে নিজে খাওয়ার জন্য উৎসাহিত করুন।এটা অপরিচ্ছন্ন করতে পারে কিন্তু কীভাবে খেতে হয় বাচ্চারা তা শেখে।
- যখন 13 মাস বয়সী শিশুর জন্য খাদ্য মেনু তৈরীর পরিকল্পনা করবেন তখন চেষ্টা করবেন সকল প্রধান খাদ্য গোষ্ঠীগুলিকে তার খাবারের মধ্যে আবৃত করতে এবং আপনার সৃজনশীলতাকে ব্যবহার করে আপনি যতটা সম্ভব সেগুলির মধ্যে বৈচিত্র আনতে পারেন।
- মিষ্টি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার গুলির মধ্যে যতটা সম্ভব সীমাবদ্ধতা আনুন।আপনি কোনো অনুষ্ঠান উপলক্ষে তাদের সেগুলি দিতে পারেন।
- প্রতিদিনই তার খাবারের সাথে নতুন নতুন খাবারের পরিচয় করা্নোর চেষ্টা করুন যাতে আপনার বাচ্চা বিভিন্ন ধরনের এবং গঠনের খাবারের স্বাদ বিকাশের সুযোগ পায়।
স্বাস্থ্যকর খাদ্য পছন্দ এবং অভ্যাসগুলি বিকাশের ক্ষেত্রে বাবা-মা তাদের বাচ্চাদের জন্য একটি রোল মডেল হতে পারেন।খাওয়ার সময়টিকে সমগ্র পরিবারকে নিয়ে একটা মজার সময় হিসেবে গড়ে তুললে তা আপনার ছোট্ট সোনাকে স্বস্থ্যকর খাবার গুলিকে আরও ভালোভাবে খাওয়ার ক্ষেত্রে প্রেরণা জোগাতে পারে।