বাচ্চারা বেড়ে উঠতে শুরু করার সাথে সাথে,তাদের কি খাওয়ানো যেতে পারে তা খুঁজে বের করতে করতেই বাবা–মায়েরা প্রায়ই এক দ্বন্দের মুখমুখি হন।হতে পারে সে শক্ত খাবার ইতিমধ্যেই খেতে শুরু করে দিয়েছে কিন্তু বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব্যের সাথে সঠিক পুষ্টি বজায় রাখার চ্যালেঞ্জটা তার কাছে একটা কঠিন কাজ মনে হতে পারে।
প্রাতঃরাশ কিম্বা যেকোনো ধরনের খাবারই হোক না কেন আপনার 16 মাস বয়সী টডলারের যে পরিমাণে পুষ্টি পাওয়া প্রয়োজন তার সঠিক অনুপাতেই পাওয়া উচিত।
ছোট শিশুদের বৃদ্ধির গতির হার কমতে দেখা যায় যখন তাদের বয়স হয় 16 মাস।
তাদের পুষ্টির প্রয়োজনীয়তাগুলি বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই একই রকম হলেও, তাদের মোটামুটি প্রায় 1-1.5 kcal এর মধ্যে ক্যালোরি খাওয়ার দরকার হয়।
আপনার 16 মাস বয়সী শিশুর জন্য যখন তার মধ্যাহ্নভোজের জন্য ধারণা গুলিকে একত্রিত করবেন,সেক্ষেত্রে এমন অনেক গুলি খাদ্য উপকরণ আছে যেগুলিকে তার খাদ্য পরিকল্পনার সাথে অন্তর্ভুক্ত করা সেরা পছন্দ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।সেগুলি হল–
পোরিজ হল প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইবার বা তন্তুর মত একাধিক পুষ্টির একটি সম্পূর্ণ প্যাকেজ,যা শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকরই নয়, দিনের বেলায় প্রথমের দিকে বেশ কিছুটা সময় জুড়ে ছোট্ট মাণিককে পরিপূর্ণও করে রাখে।
হ্যাঁ,বিশেষ কিছু মাছের উপকরণে মার্কারি এবং আর্সেনিক থাকে যা সেগুলিকে ক্ষতিকারক করে তোলে আপনার ছোট্ট সোনার জন্য।যাইহোক, হেরিং,ম্যাকারেল এবং স্যালমনের মত মাছ গুলি কিছুটা নিরাপদ এবং যথেষ্ট ওমেগা 3 অ্যাসিড সমৃদ্ধ যা শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য উপকারী।
ডিম হল এমন একটি সহজ খাদ্য উপকরণ যা অসম্ভব শক্তি প্রদান করতে পারে।আপনার বাচ্চার সহ্য হবে এমন যেকোনও ভাবেই আপনি এটি প্রস্তুত করতে পারেন।এগুলির অভ্যন্তরস্থ স্বাস্থ্যকারিতা দূর্দান্ত স্বাদ এবং শক্তি সরবরাহের জন্য প্রস্তুত,যা আদর্শগত ভাবে সারা জীবনের অভ্যাস হওয়া উচিত।(যদিও অর্ধ রান্না করা পদ গুলি এড়িয়ে চলুন যেমন–রোদের পাশে রাখা গরম ডিম,নরম করে সেদ্ধ করা ডিম এবং ডিমের পোঁচ)
প্রাতঃরাশ এবং সন্ধ্যের জলখাবারের জন্য বিনস গুলি খুবই আদর্শ,যেহেতু এগুলি হজম করার ক্ষেত্রে হাল্কা এবং শিশুদের নিত্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন,ফাইবার বা তন্তু এবং আয়রণে যথেষ্ট পরিমাণে পরিপূর্ন।শিম্বি জাতীয় উপকরণ গুলি দিয়ে স্যুপ তৈরী করা খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করাও আরেকটি ভালো উপায়।
যখন সেদ্ধ করা বা ভাঁপানো সবজি তাদেরকে খাওয়ানো একটা ভালো উপায় হিসেবে বিবেচিত ,আপনি সেগুলি দিয়ে সবজির স্টকও বানাতে পারেন তাদের প্রয়োজনীয় অনাক্রম্যতা সরবরাহের জন্য।
মুরগির মাংস কেবলমাত্র প্রোটিনেই সমৃদ্ধ নয়,এগুলি আয়রণেরও বিশাল উৎস যা শিশুদের এই বয়সের জন্য অপরিহার্য। মুরগির মাংসের সাধারণ রেসিপি রান্না করা খুব একটা কঠিণ কাজ নয়।
আপনার ছোট্টটা যদি এখন ফল খাওয়া শুরু না করে থাকে তাহলে এই হল সঠিক সময় তাকে ফল খাওয়ানো শুরু করার।প্লেটে ভর্তি নানা ধরনের ফলের সুবাস এবং গঠন আপনার সন্তানের টেষ্টবাড বা স্বাদ কোরক গঠণে সক্রিয় ভূমিকা নেয়।
নানা ধরনের দুগ্ধজাত উপাদানের মধ্যে লসসি খাবার ব্যাপারে ডাক্তারবাবু এবং পুষ্টিবিশারদ পরামর্শ দিয়ে থাকেন।এটাকে অন্যান্য খাবারের সাথে খাওয়া যেতে পারে তাদের গন্ধকে অটুট রেখেও সাথে সাথে নানা প্রোবায়োটিক শিশুর অন্ত্রে প্রবেশ করে অন্ত্রের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
যদি আপনি এখনও আপনার বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ান তবে ঠিক আছে, না হলে তাকে সম্পূর্ণ ক্রীম যুক্ত দুধ কাপে করে দেওয়া শুরু করুন বোতলে দেবার পরিবর্তে।দুধ পান করা অত্যন্ত জরুরি কারণ এটা তার বৃদ্ধিকে ঠিক রাখে এবং তার পুষ্টি সর্বোচ্চ পর্যায়ে রাখতে সাহায্য করে।
চলে আসা নিয়ম মত আপনার সন্তানকে দানাশস্য চিরাচরিত পদ্ধতিতে রান্না করে দেবার দরকার নেই।এটা নানা ধরণের পদ যেমন রুটি, মাফিন,স্যান্ডউইচ এবং অন্যান্য কিছু থেকে পেতে পারেন।নিশ্চিত করুন যেন প্রতিদিন তার খাবারে নতুনত্ব থাকে।
আপনার 16 মাস বয়সী সন্তানের খাবারের তালিকা দেওয়া হল তাকে খাওয়ানো শুরু করার জন্য,অবশ্যই এটা একটা নমুনা আপনি এটাকে যেমন আছে সেভাবেই বা আপনার জীবনশৈলী অনুযায়ী পরিবর্তিত করতে পারেন।
বার | প্রাতঃরাশ | জলখাবর | মধ্যাহ্নভোজ | বিকালের খাবার | নৈশভোজ |
সোমবার | পাস্তা | ওটসের বিস্কুট | খিচুড়ি | এক গ্লাস দুধ | ধোসা |
মঙ্গলবার | ইডলি | ডিম ভাজা | পোলাও | উপমা | সবজি ও চীজের পরোটা |
বুধবার | ফ্রেঞ্চ টোষ্ট | নরম পাণীয় | পালংশাক ভাত | এক গ্লাস দুধ | ইডলি ভাজা |
বৃহস্পতিবার | আলু মটরের পরোটা | আপেলের টুকরো | ফ্রায়েড রাইস | শাহী তুডদা | ওটসের প্যানকেক |
শুক্রবার | গমের প্যানকেক | স্যুপ | খিচুড়ি | বীটরুটের কাটলেট | বেসনের পরোটা |
শনিবার | উপমা | সবেদার শেক | গাজর ভাত | এক গ্লাস দুধ | বিভিন্ন দানাশস্যের ধোসা |
রবিবার | অঙ্কুরিত মুগ | মাফিন | পোলাও | পনীরের কাটলেট | সেমুই |
যদিও এই খাবারগুলি আপনার 16 মাসের শিশুর জন্য সঠিক খাবার অথবা এমনকি সন্ধ্যার জলখাবারের জন্যও উপযুক্ত,তবুও এগুলি কিছু শারীরিক কার্যাবলী দ্রুত বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এবং আপনার ছোট্ট সোনার জন্য যথেষ্ট পুষ্টিকর হিসেবেও কার্যকরী।
এটি একপ্রকার মুখরোচক ও মজাদার স্বাদের ধোসা,এটি কেবল সুস্বাদুই নয়,এর মজাদার স্বাদের গঠন আপনার বাচ্চাকে এক দারুণ স্বাদের অনুভূতি দেবে।
উপকরণ
কীভাবে বানাবেন
এটির অসাধারণ স্বাদ এবং দারুণ উপায়ে সহজে পেট ভরে যাওয়ার কারণে অনেকের মধ্যেই এটি ভীষণ জনপ্রিয়।
উপকরণ
কীভাবে বানাবেন
এই জনপ্রিয় রেসিপিটি মূলত দক্ষিণ ভারতের যেকোনো অনুষ্ঠানে অবশ্যই করা হয়ে থাকে।এটি আপনার ছোট্ট সোনার জন্যও একটা দূর্দান্ত খাদ্য বিকল্প।
উপকরণ
কীভাবে বানাবেন
সারাদিনের পর যদি আপনি ক্লান্ত হয়ে পড়েন এবং তখনও যদি আপনার ছোট্ট সোনার জন্য রাত্রের কিছু খাবার বানাতে হয় তবে সেক্ষেত্রে ব্যাসনের পরোটা আপনাকে বাঁচাবার উপায়।
উপকরণ
কীভাবে বানাবেন
বিকালের এক অসাধারণ খাবার হল এইটি।আপনার সন্তানকে এই সুস্বাদু বীট রুট রোল খেতে দিয়ে বিস্মিত করুন।
উপকরণ
কীভাবে বানাবেন
চিরাচরিত নৈশভোজের পরিকল্পনা ছাড়াও এখানে রইল কয়েকটি পরামর্শ যা আপনার বাচ্চার খাবার অভিজ্ঞতাকে আরও ভাল করে তুলবে।
প্রচুর সংখ্যায় ভারতীয় খাদ্য রন্ধণপ্রণালী আছে যা আপনার ছোট্ট সোনার খাবার উপযুক্ত।আপনি অবশ্যই নিশ্চিত হয়ে নেবেন যেন সেগুলো খুব বেশী মশলাদার না হয় বা কোনও একটি তীব্র গন্ধ বিশিষ্ট না হয়। আপনি তাকে ডেজার্ট দেবেন নিয়ন্ত্রিত ভাবে।