In this Article
বাচ্চারা বেড়ে উঠতে শুরু করার সাথে সাথে,তাদের কি খাওয়ানো যেতে পারে তা খুঁজে বের করতে করতেই বাবা–মায়েরা প্রায়ই এক দ্বন্দের মুখমুখি হন।হতে পারে সে শক্ত খাবার ইতিমধ্যেই খেতে শুরু করে দিয়েছে কিন্তু বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব্যের সাথে সঠিক পুষ্টি বজায় রাখার চ্যালেঞ্জটা তার কাছে একটা কঠিন কাজ মনে হতে পারে।
16 মাস বয়সী শিশুর পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা
প্রাতঃরাশ কিম্বা যেকোনো ধরনের খাবারই হোক না কেন আপনার 16 মাস বয়সী টডলারের যে পরিমাণে পুষ্টি পাওয়া প্রয়োজন তার সঠিক অনুপাতেই পাওয়া উচিত।
- ফল–ফল শুধুমাত্র ফাইবার বা তন্তুই সরবরাহ করে না এগুলিতে কিছু অপরিহার্য ভিটামিনও থাকে যেগুলি শররী সহজেই শোষণ করে নেয়।বেশ কিছু ফল যেমন কলা,কিউয়ি,আম এবং অন্যান্য আরো কিছু ধরণের ফল তাদেরকে পরিবেশন করার সুপারিশ করা হয়।
- হোল গ্রেইন বা সম্পূর্ণ শস্য–এটি এখনও খাদ্য বিকল্পের একটা অন্যতম অপরিহার্য উপকরণ যা একটি স্বাস্থ্যকর শিশু খাদ্য পরিকল্পনা গঠন করে।এমনকি একটা সাধারণ দানাশস্যের দ্বারা তৈরী কুড়মুড়ে খাবারও একটা শিশুর জন্য কার্যকরী হয়ে উঠতে পারে তাকে যথেষ্ট দানাশস্যের সরবরাহের ক্ষেত্রে।
- ফ্যাট–শক্তি সংরক্ষণ ছাড়াও ফ্যাট আপনার সন্তানকে আসন্ন মাস গুলিতে স্বাস্থ্যকর ও বড় করে তুলতে সাহায্য করে।খাবার তৈরীর সময় অলিভ অয়েল ব্যবহার করুন অথবা খাবারের মধ্যে সংযুক্ত করুন নারকেল এবং অ্যাভোকাডো,এগুলি ভালো পরিমাণে ফ্যাট সরবরাহ করে।
- শাক–সবজি–শক্ত খাবার খাওয়ানোর সাথে তাকে বিভিন্ন ধরনের শাক–সবজি খাওয়ানোও জরুরি ।বিভিন্ন সবুজ শাক পাতার সাথে ব্রকোলি এবং ফুলকপিকে ভাঁপিয়ে নেওয়ার পর তাকে দিন,এর সাথে শস যোগ করলে সেটি অতিরিক্ত মাত্রা পাবে।
- মাংস এবং দিম–এগুলি সস্তা,সহজ এবং আপনার ছোট্ট সোনার জন্য প্রোটিনের সব থেকে সেরা উৎস।সাধারণ একটা ডিম,ছোট ছোট কাটা কয়েক টুকরো মাংস অথবা সামুদ্রিক খাবারের ছোট এক খণ্ড আপনার সোনার খাদ্যে এক মহান সংযোজন হতে পারে।
- আয়রণ–শরীরের মধ্যে আয়রণ শোষিত হয়ে যাওয়ার কারণে আয়রণ সমৃদ্ধ খাবার গুলি ছাড়াও ভিটামিন C সমৃদ্ধ খাবার গুলি খাওয়াও অপরিহার্য। যেকোনো সবুজ শাক সবজি,রেড মিট এবং সাইট্রাস ফ্রুটগুলি এই দুটির একটি দূর্দান্ত সমন্বয়।
- দুগ্ধজাত পণ্য–স্তন দুধ ছাড়ানোর পর বাচ্চাদের সঠিক পুষ্টি এবং শক্তি বজায় রাখার জন্য তাদের খাদ্য তালিকায় দুগ্ধজাত পণ্য অন্তর্ভূক্ত করা আবশ্যক।বিভিন্ন ধরণের চীজ,দই এবং ফুল ক্রীম দুধ এক্ষেত্রে অপরিহার্য।
- বাদাম এবং শিম্বি জাতীয় খাদ্য–রোজের খাদ্য তালিকায় এগুলিকে অন্তর্ভূক্ত করা হল শিশুদের চিবানোর ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করার ভাল উপায়।শণের বীজ থেকে মটরশুটি অথবা এমনকি পিনাট বা চিনা বাদামের মাখন নিয়মিত ভাবে অল্প পরিমাণে ব্যবহার দীর্ঘ সময়ের জন্য বেশ উপকারী হিসেবেই বিবেচিত।
একটি টডলারের তার 16 মাস বয়সে কতটা খাবারের প্রয়োজন
ছোট শিশুদের বৃদ্ধির গতির হার কমতে দেখা যায় যখন তাদের বয়স হয় 16 মাস।
তাদের পুষ্টির প্রয়োজনীয়তাগুলি বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই একই রকম হলেও, তাদের মোটামুটি প্রায় 1-1.5 kcal এর মধ্যে ক্যালোরি খাওয়ার দরকার হয়।
ষোলো মাস বয়সী শিশুর জন্য সবচেয়ে সেরা খাদ্য
আপনার 16 মাস বয়সী শিশুর জন্য যখন তার মধ্যাহ্নভোজের জন্য ধারণা গুলিকে একত্রিত করবেন,সেক্ষেত্রে এমন অনেক গুলি খাদ্য উপকরণ আছে যেগুলিকে তার খাদ্য পরিকল্পনার সাথে অন্তর্ভুক্ত করা সেরা পছন্দ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।সেগুলি হল–
1.পোরিজ বা জাউ বা মন্ড
পোরিজ হল প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইবার বা তন্তুর মত একাধিক পুষ্টির একটি সম্পূর্ণ প্যাকেজ,যা শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকরই নয়, দিনের বেলায় প্রথমের দিকে বেশ কিছুটা সময় জুড়ে ছোট্ট মাণিককে পরিপূর্ণও করে রাখে।
2.সামুদ্রিক খাদ্য
হ্যাঁ,বিশেষ কিছু মাছের উপকরণে মার্কারি এবং আর্সেনিক থাকে যা সেগুলিকে ক্ষতিকারক করে তোলে আপনার ছোট্ট সোনার জন্য।যাইহোক, হেরিং,ম্যাকারেল এবং স্যালমনের মত মাছ গুলি কিছুটা নিরাপদ এবং যথেষ্ট ওমেগা 3 অ্যাসিড সমৃদ্ধ যা শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য উপকারী।
3.ডিম
ডিম হল এমন একটি সহজ খাদ্য উপকরণ যা অসম্ভব শক্তি প্রদান করতে পারে।আপনার বাচ্চার সহ্য হবে এমন যেকোনও ভাবেই আপনি এটি প্রস্তুত করতে পারেন।এগুলির অভ্যন্তরস্থ স্বাস্থ্যকারিতা দূর্দান্ত স্বাদ এবং শক্তি সরবরাহের জন্য প্রস্তুত,যা আদর্শগত ভাবে সারা জীবনের অভ্যাস হওয়া উচিত।(যদিও অর্ধ রান্না করা পদ গুলি এড়িয়ে চলুন যেমন–রোদের পাশে রাখা গরম ডিম,নরম করে সেদ্ধ করা ডিম এবং ডিমের পোঁচ)
4.বিনস
প্রাতঃরাশ এবং সন্ধ্যের জলখাবারের জন্য বিনস গুলি খুবই আদর্শ,যেহেতু এগুলি হজম করার ক্ষেত্রে হাল্কা এবং শিশুদের নিত্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন,ফাইবার বা তন্তু এবং আয়রণে যথেষ্ট পরিমাণে পরিপূর্ন।শিম্বি জাতীয় উপকরণ গুলি দিয়ে স্যুপ তৈরী করা খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করাও আরেকটি ভালো উপায়।
5.শাক–সবজি
যখন সেদ্ধ করা বা ভাঁপানো সবজি তাদেরকে খাওয়ানো একটা ভালো উপায় হিসেবে বিবেচিত ,আপনি সেগুলি দিয়ে সবজির স্টকও বানাতে পারেন তাদের প্রয়োজনীয় অনাক্রম্যতা সরবরাহের জন্য।
6.পোল্ট্রি
মুরগির মাংস কেবলমাত্র প্রোটিনেই সমৃদ্ধ নয়,এগুলি আয়রণেরও বিশাল উৎস যা শিশুদের এই বয়সের জন্য অপরিহার্য। মুরগির মাংসের সাধারণ রেসিপি রান্না করা খুব একটা কঠিণ কাজ নয়।
7.ফল
আপনার ছোট্টটা যদি এখন ফল খাওয়া শুরু না করে থাকে তাহলে এই হল সঠিক সময় তাকে ফল খাওয়ানো শুরু করার।প্লেটে ভর্তি নানা ধরনের ফলের সুবাস এবং গঠন আপনার সন্তানের টেষ্টবাড বা স্বাদ কোরক গঠণে সক্রিয় ভূমিকা নেয়।
8.লসসি
নানা ধরনের দুগ্ধজাত উপাদানের মধ্যে লসসি খাবার ব্যাপারে ডাক্তারবাবু এবং পুষ্টিবিশারদ পরামর্শ দিয়ে থাকেন।এটাকে অন্যান্য খাবারের সাথে খাওয়া যেতে পারে তাদের গন্ধকে অটুট রেখেও সাথে সাথে নানা প্রোবায়োটিক শিশুর অন্ত্রে প্রবেশ করে অন্ত্রের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
9.সম্পূর্ণ দুধ
যদি আপনি এখনও আপনার বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ান তবে ঠিক আছে, না হলে তাকে সম্পূর্ণ ক্রীম যুক্ত দুধ কাপে করে দেওয়া শুরু করুন বোতলে দেবার পরিবর্তে।দুধ পান করা অত্যন্ত জরুরি কারণ এটা তার বৃদ্ধিকে ঠিক রাখে এবং তার পুষ্টি সর্বোচ্চ পর্যায়ে রাখতে সাহায্য করে।
10.হোল গ্রেইন্স বা সম্পূর্ণ দানাশস্য
চলে আসা নিয়ম মত আপনার সন্তানকে দানাশস্য চিরাচরিত পদ্ধতিতে রান্না করে দেবার দরকার নেই।এটা নানা ধরণের পদ যেমন রুটি, মাফিন,স্যান্ডউইচ এবং অন্যান্য কিছু থেকে পেতে পারেন।নিশ্চিত করুন যেন প্রতিদিন তার খাবারে নতুনত্ব থাকে।
16 মাস বয়সী শিশুর খাবারের চার্ট/খাদ্য পরিকল্পনা
আপনার 16 মাস বয়সী সন্তানের খাবারের তালিকা দেওয়া হল তাকে খাওয়ানো শুরু করার জন্য,অবশ্যই এটা একটা নমুনা আপনি এটাকে যেমন আছে সেভাবেই বা আপনার জীবনশৈলী অনুযায়ী পরিবর্তিত করতে পারেন।
-
বার প্রাতঃরাশ জলখাবর মধ্যাহ্নভোজ বিকালের খাবার নৈশভোজ সোমবার পাস্তা ওটসের বিস্কুট খিচুড়ি এক গ্লাস দুধ ধোসা মঙ্গলবার ইডলি ডিম ভাজা পোলাও উপমা সবজি ও চীজের পরোটা বুধবার ফ্রেঞ্চ টোষ্ট নরম পাণীয় পালংশাক ভাত এক গ্লাস দুধ ইডলি ভাজা বৃহস্পতিবার আলু মটরের পরোটা আপেলের টুকরো ফ্রায়েড রাইস শাহী তুডদা ওটসের প্যানকেক শুক্রবার গমের প্যানকেক স্যুপ খিচুড়ি বীটরুটের কাটলেট বেসনের পরোটা শনিবার উপমা সবেদার শেক গাজর ভাত এক গ্লাস দুধ বিভিন্ন দানাশস্যের ধোসা রবিবার অঙ্কুরিত মুগ মাফিন পোলাও পনীরের কাটলেট সেমুই
16 মাস বয়সী শিশুর জন্য খাবারের রেসিপি
যদিও এই খাবারগুলি আপনার 16 মাসের শিশুর জন্য সঠিক খাবার অথবা এমনকি সন্ধ্যার জলখাবারের জন্যও উপযুক্ত,তবুও এগুলি কিছু শারীরিক কার্যাবলী দ্রুত বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এবং আপনার ছোট্ট সোনার জন্য যথেষ্ট পুষ্টিকর হিসেবেও কার্যকরী।
1.মুগ ডালের ধোসা
এটি একপ্রকার মুখরোচক ও মজাদার স্বাদের ধোসা,এটি কেবল সুস্বাদুই নয়,এর মজাদার স্বাদের গঠন আপনার বাচ্চাকে এক দারুণ স্বাদের অনুভূতি দেবে।
উপকরণ
- বাটার দুধ
- হিং
- গরম মশলা
- ধনে গুড়ো
- হলুদ
- নুন
- অঙ্কুরিত মুগের ডাল
- ব্যাসন
কীভাবে বানাবেন
- একটা বাটিতে অঙ্কুরিত ডালগুলি নিয়ে ব্যাসনের সাথে একসাথে মেশান
- নুন ছাড়া বাকি সব মশলাগুলিকে বাটির মধ্যে একসাথে মিশিয়ে নিন।এরপর তার সাথে বাটার দুধ ভালোভাবে মিশিয়ে একটা ঘন ব্যাটার তৈরী করুন।
- 10 মিনিটের জন্য রেখে এটির সাথে নুন যোগ করুন।
- একটা চাটু গরম করে তার উপর ঘিয়ের প্রলেপ দিন এবং তার উপর ব্যাটারটিকে ঢেলে দিয়ে ভালোভাবে রান্না হতে দিন।টোকা দিয়ে দেখে নিন প্রতিটি পাশ সঠিকভাবে রান্না হয়েছে কিনা।
- প্রতিটা পাশ বাদামী বর্ণ হয়ে গেলে চাটনির সাথে পরিবেশন করুন।
2.আলু,কড়াইশুঁটির পরোটা
এটির অসাধারণ স্বাদ এবং দারুণ উপায়ে সহজে পেট ভরে যাওয়ার কারণে অনেকের মধ্যেই এটি ভীষণ জনপ্রিয়।
উপকরণ
- ঘি
- সম্পূর্ণ গমের মাখা আটার দলা
- আনার গুড়ো
- আমচুর
- গোটা ধনে
- সেদ্ধ কড়াইশুঁটি
- গরম মশলা
- ধনে গুড়ো
- নুন
- সেদ্ধ আলু
কীভাবে বানাবেন
- একটা বড় বাটি নিয়ে তার মধ্যে গোটা ধনে,আনার গুড়ো, আমচুর,ধনে গুড়ো, গরম মশলা,নুন এবং সেদ্ধ আলু সব একসাথে নিয়ে ভালোকরে চটকে নিয়ে সব একসাথে মেশান।
- কিছুটা আটার দলা বেলে রুটির আকার করে তার মধ্যে এই মিশ্রণটির পুর ভরে তার উপরে সেদ্ধ কড়াইশুঁটি দিয়ে ভালোকরে চারিদিকটা মুড়ে আটকে নিন।
- পুনরায় এটিকে সঠিক ভাবে বেলে নিন।এরপর চাটু গরম করে তাতে কিছু ঘি দিয়ে পরোটাগুলি ভালোভাবে ভেজে নিন।
- দইয়ের সাথে এগুলি পরিবেশন করুন।
3.পোঙ্গল
এই জনপ্রিয় রেসিপিটি মূলত দক্ষিণ ভারতের যেকোনো অনুষ্ঠানে অবশ্যই করা হয়ে থাকে।এটি আপনার ছোট্ট সোনার জন্যও একটা দূর্দান্ত খাদ্য বিকল্প।
উপকরণ
- কারি পাতা
- আদা
- গোটা জিরা
- ঘি
- মুগ ডাল
- চাল
কীভাবে বানাবেন
- 30 মিনিটের জন্য মুগ ডাল এবং চাল গুলি ভিজিয়ে রাখুন।
- প্রেসার কুকারটিকে গরম হতে দিন এবং তার মধ্যে ঘি গরম করে গোটা জিরের সাথে আদা এবং কারি পাতাগুলি দিয়ে ভালো করে সাঁতলে নিন।
- এর সাথে চাল এবং ডাল মশিয়ে নিয়ে তাতে 4-5 কাপ জল ঢেলে ঢাকা দিয়ে মাঝারি আঁচে 5 টি সিটি দেওয়া পর্যন্ত রান্না করুন।
- রান্না হয়ে গেলে ভাতটি বের করে নিয়ে কারি পাতাগুলি আলাদা করে নিন এবং সবকিছু একসাথে ভালোকরে চটকে নিন।
4.ব্যাসনের পরোটা
সারাদিনের পর যদি আপনি ক্লান্ত হয়ে পড়েন এবং তখনও যদি আপনার ছোট্ট সোনার জন্য রাত্রের কিছু খাবার বানাতে হয় তবে সেক্ষেত্রে ব্যাসনের পরোটা আপনাকে বাঁচাবার উপায়।
উপকরণ
- ঘি
- তেল
- এলাচের দানা
- গরম মশলা
- গোটা ধনে
- ধনে গুড়ো
- নুন
- পিঁয়াজ
- ব্যাসন
কীভাবে বানাবেন
- ঘি এবং তেল বাদ দিয়ে সকল উপকরণগুলি একটা বড় বাটিতে একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
- এর সাথে কিছুটা তেল যোগ করে সবগুলি ভালো করে পিষে নিয়ে একটা দলা তৈরী করুন।
- রোজের ব্যবহারের মত কিছুটা আটার দলা বেলে নিয়ে তার মধ্যে এই ব্যাসনের মিশ্রণটির পুর ভরে দিন।
- এবার আবার এটিকে বেলে পরোটার আকার দিন এবং কিছুটা ঘি দিয়ে চাটুতে ভেজে নিন।আরো দূর্দান্ত স্বাদ করার জন্য এর সাথে মাখন এবং চাটনিকেও জুড়ে দিন।
5.বীট রুটের রোল
বিকালের এক অসাধারণ খাবার হল এইটি।আপনার সন্তানকে এই সুস্বাদু বীট রুট রোল খেতে দিয়ে বিস্মিত করুন।
উপকরণ
- তেল
- রুটি
- রাওয়া
- লেবুর রস
- চাট মশালা
- গরম মশালা
- নুন
- গোটা সরষে
- জিরে
- পিঁয়াজ
- গাজর
- বীট রুট
- সেদ্ধ আলু
কীভাবে বানাবেন
- একটা প্যান নিন এবং তাতে তেল দিন, এবার তাতে গোটা সরষে, জিরে এবং পেঁয়াজ দিয়ে ভাজুন।
- এবার একটা বাটিতে গাজর বীট রুট, এবং আলু মশলা আর তার সাথে পেঁয়াজ দিয়ে ভাল করে মেশান
- ভেজা রুটির টুকরো যোগ করুন এবং ভালোভাবে মিশিয়ে রোল করুন তারপরে একটা প্লেটে বা রাওয়াতে দিয়ে পুরোপুরি ঢাকা দিন।
- এরপর এই রোল টিকে গরম তেলে ভাজুন এবং কেচাপের সাথে পরিবেশন করুন।
খাওয়ানোর পরামর্শ
চিরাচরিত নৈশভোজের পরিকল্পনা ছাড়াও এখানে রইল কয়েকটি পরামর্শ যা আপনার বাচ্চার খাবার অভিজ্ঞতাকে আরও ভাল করে তুলবে।
- যে খাবারের পদ গুলো আপনার বাচ্চা প্রত্যাখান করেছে সেগুলোকে নতুনভাবে বানান
- খাবারগুলোকে আকর্ষকভাবে পরিবেশন করুন যাতে আপনার বাচ্চা সেগুলোকে খেতে চায়।
- খাবার প্লেটটিকে নানা রঙিন খাবার দিয়ে সাজিয়ে তুলুন যা দেখতে আকর্ষনীয় হয়।
- সুস্বাদু খাবারের সাথে আপনার সন্তান যে খাবারটা পছন্দ করে না সেটাকেও একসাথে দিন।
- অল্প করে খেতে দিন অনেকটা একসাথে দিলে নষ্ট করবে।
- এটা নিশ্চিত করবেন যেন আপনার সন্তান প্রতিবার খাবার পরে যথেষ্ট পরিমাণে জল পান করে।
প্রচুর সংখ্যায় ভারতীয় খাদ্য রন্ধণপ্রণালী আছে যা আপনার ছোট্ট সোনার খাবার উপযুক্ত।আপনি অবশ্যই নিশ্চিত হয়ে নেবেন যেন সেগুলো খুব বেশী মশলাদার না হয় বা কোনও একটি তীব্র গন্ধ বিশিষ্ট না হয়। আপনি তাকে ডেজার্ট দেবেন নিয়ন্ত্রিত ভাবে।