In this Article
11 সপ্তাহ হল সম্পূর্ণ 3 মাস সম্পন্ন হতে 1 সপ্তাহ লাজুক হয়ে পড়া অর্থাৎ তিন মাস সম্পন্ন হতে আরো এক সপ্তাহ বাকি থাকা।এটা পুরোপুরি আপনার বাচ্চার ও তার সাথে আপনারও কৃতিত্ব ।এই সময় থেকেই অনেক আত্মীয় স্বজন,বন্ধু বান্ধব ও পরিবারের সদস্যদের মুখে বলতে শোনা যাবে যে আপনার বাচ্চাটি হয় আপনার মত অথবা আপনার স্বামীর মত দেখতে,যেহেতু এই সময় থেকেই তাদের মুখের আদল স্পষ্টরূপে বোঝা যেতে শুরু করবে।এটা বেশ বিস্ময়কর একটা সময়।
11 সপ্তাহ বয়সী শিশুর বিকাশ
জন্মলগ্ন থেকে জীবন যাত্রার তিন মাস পূর্ণ হওয়ার কিনারায় পৌঁছোনো থেকে আপনার বাচ্চা আরো অনেকটা ভালোভাবে বেড়ে উঠতে থাকবে।এই সময় থেকে একটা 11 সপ্তাহ বয়সের শিশুর ওজন তার জন্মের সময় থেকে ½ কিলোগ্রামের বেশি বেড়ে যায় এবং আপনি এটিও লক্ষ্য করতে পারবেন যে সে অনেক আরামদায়ক ভাবে ঘুমাতে শুরু করে তার দোলনার পরিবর্তে সাধারণ খাটেই।
বেশীর ভাগ শিশু এই সময় থেকে তাদের অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলিতে শক্তি পেতে শুরু করে এবং তাদের মাংসল গালগুলো আরো বেশী নিটোল হয়ে ওঠে যা তাদের আরো বেশী আদুরে ও আরাধ্য করে তোলে।তার পেটের উপর ভর দিয়ে তাকে উপুড় করে শুয়ে রাখার সময় সে তার হাতের উপর চাপ দিয়ে নিজের দেহটাকে সামান্য উপরের দিকে ঠেলতে চেষ্টা করে।কোনো বস্তুকে হাতের মুঠোয় ধরার জন্য সেটার কাছে পৌঁছোনোর চেষ্টা চালাতে থাকে,যদিও তার হাত ও চোখের সমন্বয়ের বিকাশ পুরোপুরি সম্পন্ন হওয়া তখনও অনেকটাই বাকী থাকে।শব্দ এবং স্থানের উপলব্ধি করার ক্ষমতা তাদের আরো বেশী তীক্ষ্ণ হয়ে উঠবে এবং সেটিকে আরো মিশ্র আকার দেওয়া যেতে পারে বাজানোর বাঁশি অথবা ঝুমঝুমি ব্যবহারের মাধ্যমে।দরজার গোড়া থেকে আপনার বাচ্চাকে ডাকলে যদি সে আপনার গলার আওয়াজ শুনতে পায় ও ইতিবাচক সাড়া দেয় তবে এই প্রক্রিয়াটা আপনার বাচ্চার শ্রবণ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কার্যকরী হয়ে উঠবে।
এগারো সপ্তাহ বয়সী শিশুর মাইলস্টোনগুলি
এই সময় দেহের উপরিভাগের শক্তি বৃদ্ধির ফলে যখন সে তার পেটের উপর ভর দিয়ে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকে তখন আপনার শিশু তার হাত গুলি ব্যবহারের মাধ্যমে যথা সম্ভব নিজেই নিজেকে অবলম্বন দিতে চেষ্টা করা শুরু করতে পারে।কখন থেকে সে হামাগুড়ি দেওয়া শুরু করতে পারবে সেটা বুঝতে পারার জন্য এটাই খুব ভালো একটা সংকেত হয়ে উঠতে পারে।তাদের বিছানায় শুয়ে থাকার সময় যদি তাদের সামনে উপর থেকে অথবা তাদের দোলনার উপরের রড থেকে কিছু খেলনা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় সে দীর্ঘ সময় ধরে সেটা নিয়েই ব্যস্ত থাকবে এবং চেষ্টা করবে সেগুলোকে তার হাতের মুঠোয় ধরার।
যে সকল বস্তুগুলো আপনার বাচ্চার জন্য ক্ষতিকারক সেগুলোকে তার দৃষ্টির নাগালের বাইরে রাখাটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।আপনি আপনার বাচ্চার দোলনার মধ্যে এমন কিছু এলোমেলোভাবে দেখতে পাবেন যা খুব বেশী দিন আগেও ঘটেনি,এবং অবাক হয়ে যাবেন ভেবে যে,সে কীভাবে ওই বস্তুগুলো তার হাতের নাগালে পেল।কোনো ময়লা বস্তু আপনার বাচ্চার সামনে এমনকি কয়েক মুহূর্তের জন্যও রাখা বন্ধ করুন কারণ সেগুলো সে তৎক্ষনাৎ হাতে তুলে নিয়ে মুখে পুরে দিতে পারে।এটা বাচ্চাদের ক্ষেত্রে পুরোপুরি স্বাভাবিক যেহেতু তারা প্রতিটা বস্তুকে প্রথমেই স্পর্শের মাধ্যমে সেটা আবিষ্কার করার চেষ্টা করে ও পরক্ষণেই সেগুলোকে চিবোবার চেষ্টা করতে থাকে।এটা তার শক্ত খাবার চিবিয়ে খাওয়ার জন্য মাংসপেশীর প্রয়োজনীয় শক্তির বিকাশেও সাহায্য করে।
খাওয়ানো
তিন মাস প্রায় পরিপূরণের সময় অন্যান্য বাচ্চাদের মত সবসময়ে অসন্তুষ্ট হয়ে ওঠা এবং বিভিন্ন সময়ে যেকোনো মুহূর্তে খিদে পেয়ে যাওয়া এগুলি আপনার বাচ্চার বন্ধ হয়ে যেতে পারে।সে হয়ে উঠতে পারে এমন একজন যার প্রয়োজন হতে পারে কোনো কিছু চোষার অথবা সবসময় অন্য কোনো বস্তু এবং একবার খাওয়ার চক্র সম্পূর্ণ করার পর সে কিছুটা বিরক্তিকর কান্না কেঁদে উঠতে পারে। পুনরায় বলা ভালো, এতে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই যেহেতু এই সময় থেকে প্রতিটা বাচ্চার আচার আচরণের প্রবণতা ভিন্ন প্রকৃতির হয়ে ওঠে।এই সব ক্ষেত্রে জৈবিক লক্ষণগুলো লক্ষ্য করা গুরুত্বপূর্ণ, এবং ওজন বৃদ্ধি হল সেগুলোর মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য একটা বিষয়।যদি এই বিষয়গুলো ঠিক থাকে তবে বাকী সমস্ত কিছুই ঠিক থাকবে।কিছু বাবা–মা আবার তাদের সন্তানের পেট ভরাবার জন্য তাদের নতুন কিছু হালকা ধরণের শক্ত খাবারের সাথে পরিচয় করানো পছন্দ করেন। এটা খুব বেশী প্রয়োগ করার চেষ্টা করবেন না যেহেতু এই সময়ের মধ্যে আপনার সন্তানের পাকস্থলীটি এখনও শক্ত খাবার হজম করার মত যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে ওঠে না এবং চিকিৎসাতেও জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে এলার্জির ক্ষেত্রে।যদি আপনার স্তন পর্যাপ্ত দুধ সরবরাহ করতে অসমর্থ হয় তবে বিকল্প হিসাবে আপনার বাচ্চাকে ফরমূলা দুধ খাওয়ানোর কথাই সবসময়ে বলা হয়ে থাকে।
ঘুমানো
11 সপ্তাহের একটা বাচ্চার ঘুমের লক্ষণ অনেক বেশী স্পষ্ট হয় এবং সেগুলোকে সহজেই চিহ্নিত করা যেতে পারে। যদি আপনার বাচ্চা ক্লান্ত হয়ে পড়ে তবে সে হাই তুলতে শুরু করে অথবা কোনো কিছুর দিকে আর একভাবে বেশীক্ষণ তাকিয়ে থাকতে পারে না এবং তার চোখ গুলো লালও হয়ে যায়।এই ক্লান্তি খুব বেশী বেড়ে গেলে তাদের খিটখিটে হয়ে যাওয়ার কারণ হয়ে উঠতে পারে,সেই কারণে তাদের ঘুম পাড়িয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ ঠিক যেই মুহূর্তে আপনি তার ঘুমের লক্ষণগুলো লক্ষ্য করবেন।
বয়সের এই সময়ে যখন তারা সহজেই পুরোপুরি নিজে থেকে ঘুমিয়ে পড়তে সক্ষম হবে সেই পর্বে একটা নির্দিষ্ট সময় জুড়ে আপনার বাচ্চার বিকাশ হতে শুরু করবে।এই সকল আচার আচরণগুলোই হল তাদের ঘুমের সংকেত, তাই সঠিক সময়ে সঠিকভাবে তাদের ঘুম পাড়িয়ে দেওয়াই সবচেয়ে ভালো।যদি কোনো ক্ষেত্রে তার ঘুমের সময়টা বাদ পড়ে যায়,আপনার বাচ্চা পুরো সময়টা জুড়ে বিরক্তির সাথে জেগে থাকবে। ভাগ্যবশত,আপনার সন্তান রাত ও দিনের মধ্যে পার্থক্যটা বুঝতে পারা শুরু করতে পারে,এবং রাতের বেলায় কিছুটা বেশী সময় ঘুমিয়ে পড়তে পারে।এটা আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী আপনাকে ঘুমাতে সাহায্য করবে।
যদি আপনার বাচ্চা নিজে নিজে ঘুমিয়ে পড়ে তবে সে আবার ½-1 ঘন্টার মধ্যে জেগেও উঠতে পারে অথবা আরো বেশী সময়ের মধ্যে কিন্তু তখনো সমানে তারা ঢুলতে থাকে।এই সব ক্ষেত্রে তাদের সামান্য দোলা দিন অথবা পিঠে আস্তে করে চাপড়ে দিতে থাকুন যাতে সে পুনরায় ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে এবং কোনোরকম ব্যাঘাত না ঘটিয়েই সে তখন থেকে টানা ঘুম চালিয়ে যেতে পারে।
আচার আচরণ
পূর্ববর্তী সকল শোরগোল,হাসি এবং ঘোৎ ঘোৎ শব্দগুলো আরো বেড়ে উঠতে থাকে এবং আপনার বাচ্চা দৃঢ়তার সাথে প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করে।সে এখন থেকে পিক-আ–বু খেলার ধারণাটাও বুঝতে পারবে এবং অবশেষে যখন আপনার মুখটা দেখতে পাবে তখন সে হাসির উদ্ঘাটনও করতে পারবে।গান শোনানো অথবা তাদের কাছে বাচ্চাদের কবিতা পাঠ করে শোনানোটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ শব্দের এই উচ্চারণগুলো তারা এই সময় থেকে তাদের স্মৃতিতে মনে রাখতে শুরু করবে যা তাদের পরবর্তী কালে পুনরায় বলা হবে শেখানোর কৌশল হিসেবে।শিক্ষাগত অভিজ্ঞতা অনুসারে অনুকরণ করা অথবা কবিতার মাঝের থেকে যেকোনো সহজ শব্দ যেমন ‘বু‘ অথবা ‘আ‘ এগুলো পুনরায় উচ্চারণ করা হল এই খেলাটাকে আরো মজাদার ও উত্তেজনাপূর্ণ করে তোলার সহজ উপায়।
সময়ানুযায়ী যেহেতু সে যোগাযোগের জন্য উত্তেজিত ও আগ্রহী হয়ে উঠতে পারে,আপনার বাচ্চাকে তাই অন্যান্য ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমেই তাকে নিজেকে ব্যস্ত রাখানোর জন্য চেষ্টা করুন।তাদের মন হল কল্পনা আর কৌতুহলে ভরা খেলার মাঠ স্বরূপ এবং কে জানে যখন তারা খেলনা নিয়ে খেলায় ব্যস্ত থাকে তাদের মনের ভিতরে কি চলতে থাকে।এই সময় তারা যা করতে চায় সেটা করার অনুমতি দিন।
কান্না
বয়স বাড়ার সাথে আপনার বাচ্চার কান্নার শব্দের তীব্রতা স্বাভাবিক ভাবেই ক্রমশ বাড়তে শুরু করে।তাদের চাহিদাগুলো আরো তীক্ষ্ণ ও সুনির্দিষ্ট হতে শুরু করবে এবং কোনো কিছুর জন্য সে তার সাধ্যমত আপ্রাণ কান্না চালিয়ে যাবে বিভিন্ন ভাবে।প্রায় এই বয়স থেকে আপনার বাচ্চার ব্যাক্তিত্ব আরো বেশী স্পষ্ট হয়ে উঠবে এবং তার আচার আচরণ দেখে আপনি বুঝতে পারবেন যে সে হয় ভীষণ একগুঁয়ে অথবা ভীষণ শান্ত প্রকৃতির হতে শুরু করে।এটা আরো সহজ করে তোলে আপনাকে জানতে যে সে প্রকৃত কি চাইছে।আপনি ভাগ্যবতী হতে পারেন যদি এমন একটা সন্তান পান যাকে সামান্য দোলা দিয়ে বা কোলে তুলে নিয়ে দ্রুত শান্ত করা যায়।আবার দুর্ভাগ্যবশত এমন একটা সন্তানও পেতে পারেন যে কোনো কারণ ছাড়াই অবিরত কেঁদে চলতেই থাকে।
11 সপ্তাহ বয়সী শিশুর যত্নের পরামর্শ
- আপনার সন্তানের বৃদ্ধিপ্রাপ্ত ক্ষুধা নিরারণের জন্য তাকে যথেষ্ট খাবার খাওয়ানো নিশ্চিত করুন।যদি আপনার স্তনে পর্যাপ্ত দুধ উৎপন্ন না হয় তবে সম্পূরক হিসাবে ফরমূলা দুধের ব্যবস্থা রাখুন।
- বাচ্চার রাত্রে ঘুমানোর সময় সবরকম উদ্দীপক বস্তুগুলোকে তার থেকে দূরে সরিয়ে দিন যেগুলি নিয়ে সে খেলা করা শুরু করতে পারে এবং সেই সঙ্গে ঘরের আলোটাও নিভিয়ে দিন।
- আপনার শিশুর বিকাশে সাহায্যের জন্য বিভিন্ন ধরণের শব্দ ও রঙের প্রতি তার আকর্ষণ বাড়ানো নিশ্চিত করুন।
পরীক্ষা নিরীক্ষা এবং টিকাকরণ
যদি একবার আপনার বাচ্চার 8 সপ্তাহ বয়সের মধ্যে প্রয়োজনীয় তার সকল টিকাগুলো যথাযথ ভাবে প্রয়োগ করা হয়ে গিয়ে থাকে তবে বয়সের এই সপ্তাহে আর কোনো টিকা দেওয়ার প্রয়োজন হয় না।
খেলাধূলা এবং অন্যান্য ক্রিয়াকলাপ
এই সময়ের মধ্যে আপনার বাচ্চার কোনো কিছুর গঠন ও রঙ সম্পর্কে ধারণার উন্নতি ঘটে এবং তার ফলে আপনি যে কে সেটা চেনার ক্ষমতাও তার মধ্যে এসে যায়।আপনি তাদের সাথে পিক–আ–বু এর মত কোনো খেলা খেলে অতিরিক্ত মজা সংযোজন করে এই দুটো বিষয়ই পরীক্ষা করতে পারেন।যখন আপনি আপনার বাচ্চাকে নিয়ে পার্কে বেড়াতে যাবেন কিছু উজ্জ্বল সবুজ,হলুদ অথবা লাল রঙের পাতা নিন,এরপর সেগুলোকে বাচ্চার প্যারাম্বুলেটরে বেঁধে দিন এবং তারপর সেগুলোকে তাকে দেখতে দিন।এরপর বড়ো পাতাগুলোর সাহায্যে আপনার চোখ অথবা মুখ লুকিয়ে ফেলে একটা মজাদার অনুভূতির সৃষ্টি করতে পারেন।
এই বয়সে বাচ্চারা গড়াতে পারে না ঠিকই কিন্তু সেটি অর্জনের উদ্দেশ্যে কিছু প্রচেষ্টা করতেই থাকে।প্রথম কোনো স্থান থেকে গড়ানোর অনুভূতিটা কেমন হতে পারে সেটা তাকে অনুভব করানোর জন্য আপনি আপনার বাচ্চাকে সঠিক পথে আস্তে করে ঠেলে দিতে পারেন।একটা নরম কম্বল নিন এবং আপনার বাচ্চাকে তার উপর চিত করে শুয়ে দিন।এরপর এক পাশ থেকে হাততালি দিয়ে শব্দ তৈরী করুন এবং যতক্ষণ না সে সেই শব্দের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে তার মাথা ঘুরিয়ে পাশ ফিরে উলটে যাওয়ার চেষ্টা করে সেটি করতে থাকুন।একবার এটি ঘটলেই আপনি আস্তে করে কম্বলটা সরিয়ে ফেলুন অথবা তাকে সামান্য পরিমাণে ঠেলা দিন ঘুরে যেতে সাহায্য করার জন্য।এই প্রথমবার ঘুরে যাওয়ার সময়টা তার কাছে বেশ অভিজ্ঞতার মুহূর্ত হয়ে ওঠে।যদি সে উত্তেজিত হয়ে আনন্দে আবেগপূর্ণ আওয়াজ বের করতে থাকে,কম্বলটা ব্যবহার করে পুনরায় তাকে উল্টিয়ে চিত করে শুইয়ে দিন।এই প্রক্রিয়াটা বেশ কয়েকবার চালিয়ে যান এবং তার প্রচেষ্টার মুহূর্তে তাকে উৎসাহিত করার জন্য নানারকম আওয়াজ করতে থাকুন।
প্রয়োজনে ডাক্তারের সাথে আলোচনা
অনেক সময়েই আপনার বাচ্চার পেটে গ্যাস হয়ে যেতে পারে প্রয়োজনের অতিরিক্ত দুধ খাওয়ানোর ফলে অথবা আপনার কিছু খাবার খেয়ে ফেলার কারণেও আপনাদের দুজনেরই গ্যাস হতে পারে।কিন্তু আপনার বাচ্চাকে ঢেকুর তোলানোর পরে অথবা তার পেটের গ্যাস বের করে দেওয়ার চেষ্টা করার পরেও যদি বাচ্চা কাঁদতে থাকে এবং তার পেট যন্ত্রণার লক্ষণগুলো মনে হতে পারে তবে এ বিষয়ে জানার জন্য আপনার বাচ্চাকে ডাক্তারবাবুর কাছে নিয়ে যান।
যদি আপনার শিশুর দুধ খাওয়ার চাহিদা আরো বেড়ে ওঠে এবং আপনার স্তন তা সরবরাহ করতে ব্যার্থ হয় তবে সে ক্ষেত্রে আপনার ডাক্তারবাবুর সুপারিশ নিন কোন ফরমূলা দুধ আপনার বাচ্চার জন্য ভালো হতে পারে।
বেশীর ভাগ শিশুরই এই বয়সে যোগাযোগের ক্ষমতা এবং শারীরিক সক্ষমতা বেড়ে ওঠে।যদি আপনার বাচ্চা এই সময়ে কোনোরকম চলমান বস্তু বা শব্দের প্রতি আকৃষ্ট না হয় কিম্বা কোনোরকম প্রতিক্রিয়া না করে থাকে তবে দেরী না করে সব সময় ডাক্তারী পরীক্ষা করানোর প্রস্তাবই অগ্রগণ্য হয়।
আপনার বাচ্চার তিনমাস বৃদ্ধির সাথে আপনি নিজের প্রতিও একটু দৃষ্টি দেওয়া শুরু করবেন এবং চেষ্টা করবেন পুনরায় যোগ ব্যায়াম শুরু করার মাধ্যমে আপনার আগের গঠন ফিরিয়ে আনার।দীর্ঘ সময় জুড়ে সুস্থ থাকা আপনার জন্য উপকারী যদিও তখন আর কোনো সময় থাকে না,আপনার শিশুর পরিচর্যার জন্য তার পিছনে ছোটার কারণে।