শিশুদের দাঁত ওঠা নিয়ে বিভিন্ন পুরাকথা এবং ভ্রান্ত ধারণাগুলি-যেগুলি মা-বাবাদের জানা উচিত

Baby Teething Myths and Misconceptions that Parents Should Know

একটি শিশুর বৃদ্ধি এবং বিকাশ কীভাবে ঘটে এবং তার যত্নের উন্নতির সাথে একটা ভালভাবে বোঝাপড়ার ক্ষেত্রে এক বন্ধুর পথ ধরে ক্রমশ ওঠা নামার মধ্য দিয়ে বিজ্ঞান সমানে এগিয়ে চলেছে।তবে এক্ষেত্রে এখনও আরও অনেক কুসসংস্কার রয়ে গেছে যেগুলি চিরাচরিত ভাবনাগুলি থেকে ক্রম ধারায় চলে আসছে,যেগুলি শিশুর উন্নতি সম্পর্কে পিতা-মাতা এবং আত্মীয়স্বজনদেরকে ক্রমশই চিন্তান্বিত ও উদ্বিগ্ন করে তোলে।এক্ষেত্রে প্রচলিতগুলির মধ্যে একটি হল জ্বর এবং দাঁত ওঠার গল্প কাহিনীটি, যেটিও অন্যান্যগুলির পাশাপাশিই একটি শিশুর দাঁত ওঠার ক্ষেত্রে একটি অস্বাভাবিক দিককে এটি ফুটিয়ে তোলে বলে মনে করা হয়ে থাকে।এই সকল পুরাকথাগুলি এবং বাস্তবের মধ্যে প্রভেদগুলিকে বুঝতে পারাটা এই অবস্থাটিকে আরও ভালভাবে সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে সহায্য করে তুলতে পারে।

শিশুর দাঁত সংক্রান্ত পুরাকথা এবং ভ্রান্ত ধারণাগুলি

একটি শিশুর উন্নয়নশীল জীবনচক্রে বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি মাইল ফলক হল তার দাঁত ওঠা।আমরা এখানে একত্রিত করেছি এ সংক্রান্ত এক গুচ্ছ গল্প কথা এবং তার পিছনে থাকা প্রকৃত বাস্তব তথ্যগুলি,যেগুলি আপনাকে সহায়তা করতে পারে আপনার ছোট্টটির সাথে এ ব্যাপারে কি হয়ে চলেছে সে সম্পর্কে ভালভাবে অবগত হতে।

1. পুরাকথা বা প্রচলিত ধারণা

আপনার ছোট্টটির জন্য ফ্লুরাইড সমন্বিত টুথপেস্টগুলি ব্যবহার করা আপনার একদম উচিত নয়,কারণ এগুলি তার নতু দাঁতের জন্য বেশ বিপজ্জনক হয়ে থাকতে পারে।

প্রকৃত সত্য

হ্যাঁ,আপনার ছোট্টটির মুখের ভিতরে যাকিছুই প্রবেশ করানো হয়ে থাকে সেগুলি সবই সে হয়ত গিলে ফেলতে পারে,আর এটিই আপনাকে চিন্তিত করে তুলতে পারে তার টুথপেস্ট খেয়ে ফেলার ব্যাপারটি সম্পর্কেও।এই ব্যাপারটির খুব সহজভাবেই সমাধান করা যেতে পারে তার দাঁত মাজিয়ে পরিষ্কার করার সময় খুব সামাণ্য পরিমাণে টুথপেস্ট ব্যবহার করার মাধ্যমে।দাঁতে কোনওরকম গভীর ক্ষত বা গহ্বর সৃষ্টি হওয়া থেকে বাচ্চার নতুন দাঁতকে রক্ষা করতে ফ্লুরাইড সমন্বিত টুথপেস্টের ব্যবহার খুবই জরুরী।

2. পুরাকথা বা প্রচলিত ধারণা

শিশুর দন্তোগম প্রক্রিয়াটি হওয়ার সময় যদি সেটির সূত্রপাত তার উপরের দাঁত ওঠা দিয়ে হয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে তার মামার দুর্ভাগ্য হয়ে থাকে,যা এমনকি তার প্রাণের ক্ষেত্রেও হুমকি স্বরূপ হয়ে থাকতে পারে।

এটি একগুচ্ছ উপায়ে প্রতিরোধ করা যেতে পারে।তার মধ্যে জড়িত কিছু হল,ভাইয়ের সাথে দেখা করার জন্য মা তার বাপের বাড়িটিতে সমগ্র পথটিই হেঁটে গমন করবেন। আবার কিছু অন্যান্য পরিবারের সদস্যরা শিশুর দাঁত স্পর্শ করার ক্ষেত্রে তামার কয়েন ব্যবহার করা পছন্দ করে থাকেন।

প্রকৃত সত্য

যতটাও শুনতে এটা হাস্যকর লাগে ততটাই এটি বেশ প্রচলিত একটি গল্পকথা,বিশেষ করে দেশের উত্তর অঞ্চলের দিকে এটি বহুল প্রচলিত একটি প্রবাদ।এমনকি তার থেকেও আরও উপহাসের বিষয়টি হল এই গল্পকথা বা অভিসম্পাতটি প্রতিরোধ করা যেতে পারার উপায়সমূহ।এটা বোঝাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে মাড়ি বা চোয়াল থেকে দন্তোগমনের ব্যাপারটি হল ঠিক ততটাই ক্ষুদ্র যতটা একটা দাঁত ছোট হয়ে থাকে,যা কোনওভাবেই কোনও ব্যক্তির উপর যথেচ্ছভাবে প্রভাব ফেলতে পারে না।

3. পুরাকথা বা প্রচলিত ধারণা

সদ্য হাঁটতে শেখা ছোট বাচ্চাদের দাঁত মাজানো শুরু করাটা মোটেই ভাল নয়। দাঁতগুলি ব্রাশ করনো শুরু করার আগে তাদের আরও বেশ কিছুটা বড় হতে দেওয়া উচিত।তার আগে অবধি তাদের কোনও এ ধরণের অতিরিক্ত যত্নের প্রয়োজন হয় না।

প্রকৃত সত্য

আপনার সন্তানের মাড়িটি হয়ত সামাণ্য নমনীয় এবং সংবেদনশীল হয়ে থাকতে পারে কিন্তু মাড়ি থেকে দাঁতগুলি বের হওয়ার সময় তার দাঁতের জন্য সবরকম যত্নই সঠিক সময় মত পাওয়া প্রয়োজন।মাড়ি থেকে তার দাঁত উঠতে দেখতে পাওয়ার মুহূর্তেই তার পরিচর্যার জন্য আপনার হাতের আঙ্গুলে সামাণ্য টুথপেস্ট নিয়ে তা দিয়ে তার মাড়িগুলিকে ডলে ডলে মালিশ করে দেওয়ার পাশাপাশি তার দাঁতগুলিও পরিষ্কার করে দেওয়াটাও গুরুত্বপূর্ণ।

পুরাকথা বা প্রচলিত ধারণা

4. পুরাকথা বা প্রচলিত ধারণা

দাঁত ওঠার প্রক্রিয়াটিতে যন্ত্রণা হওয়াটা মোটেই ভাল লক্ষণ নয় এবং এটিকে লাঘব করা যেতে পারে শিশুর প্রথম দাঁতটি দেখা দেওয়া মাত্রই দেবতাকে একটি গৃহপালিত মোরগকে বলি দান করার মাধ্যমে।

কিছু অঞ্চলের লোকেরা শিশুর মুখে তার প্রথম দাঁত উঠতে দেখামাত্রই তৎক্ষণাৎ তার গালে চড় মারায় বিশ্বাস করেন।আবার অনেকে এও মানেন যে,একটি গাধাকে আবর্তন করতে করতে তাকে চুম্বন করার দ্বারাও শিশুর দাঁত ওঠার যন্ত্রণাটিকে সেই পশুটির মধ্যে স্থানান্তরিত করা যায়,অথবা তার শয্যার উপরে একটি ডিমকে ঝুলিয়ে রেখেও সেটি করা যেতে পারে বলে তাদের ধারণা।

প্রকৃত সত্য

দাঁত ওঠার ব্যথা সংক্রান্ত এই সকল গল্পপকথাগুলির প্রতিরোধের উপায়গুলিও একের পর এক অদ্ভুত ধরণের হতে শুরু করে।সেগুলি কেবল অযৌক্তিকই নয়,সেগুলির মধ্যে কিছু আবার এমনকি শিশুটির ক্ষতিও করতে পারে এবং তাকে বা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের আহত হওয়ার মত ঝুঁকিতে ফেলতে পারে এবং মারাত্মক ক্ষতির কারণও হয়ে উঠতে পারে। তাই আপনার শিশুটিকে শান্ত করে তুলতে ও তার ব্যথা প্রশমনের ক্ষেত্রে দাঁত ওঠার জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুত বিস্কুট,খেলনাগুলি ব্যবহার করা হল এ ক্ষেত্রে আরও বেশি ভাল বিকল্প।

5. পুরাকথা বা প্রচলিত ধারণা

যখন আমাদের দাঁতের সমস্যা হয় কেবল তখনই আমাদের ডাক্তার দেখনো্র প্রয়োজন।শিশুরা তিন বছরের বেশি বয়স না হওয়া পর্যন্ত তাদের দাঁতের ডাক্তার দেখানোর প্রয়োজন নেই।শিশুদের দাঁতের ডাক্তারকে প্রথমবারের মত দেখানোর জন্য অপেক্ষা করতে হতে পারে তাদের সমস্ত দাঁতগুলি ওঠা পর্যন্ত অথবা তাদের পার্মানেন্ট টিথ বা স্থায়ী দাঁতগুলি বের হওয়া পর্যন্ত।

প্রকৃত সত্য

প্রচলিত জনপ্রিয় মতামতের বিপরীতে,একজন দন্ত চিকিৎসকের ভূমিকা উচ্চ মাত্রায় সুপারিশ করা হয় সেই সময়ে যে মুহূর্তে আপনি আপনার সোনার মুখের মধ্যে তার প্রথম দাঁতটি ওঠা পর্যবেক্ষণ করে থাকেন।প্রথম দাঁতটি বেরোনো শিশুর ভবিষ্যতে দাঁতের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে একটা ভাল লক্ষণ হিসেবে দেখা দিতে পারে এবং পরবর্তীতে কোনওরকম দাঁতের সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা সে ব্যাপারে আপনার দন্ত চিকিৎসককে বেশ ভালভাবে মাথা ঘামানোর কাজের ভারটিও দিতে পারে।

6. পুরাকথা বা প্রচলিত ধারণা

একটি শিশুর বয়স আট মাস বা তার বেশি হলেই কেবল দাঁত উঠতে দেখা যাওয়া উচিত।যদি কোনও ক্ষেত্রে কোনও শিশু এক বা দুটি দাঁতের সাথেই জন্মগ্রহণ করে থাকে,সেক্ষেত্রে তা কোনও অশুভ সঙ্কেতকেই সূচিত করে এবং সে নিজেকেও একটি দুর্ভাগা বা শয়তান হিসেবে চিহ্নিত করে বলে মনে করা হয়ে থাকে।আর পারিপার্শ্বিক সকলের তার প্রতি এই ধারণা গজিয়ে ওঠে যে সে হল এক প্রকার রক্তচোষা পিশাচ অথবা কোনও একটি দৈত্য,যার দাঁতটি অবিলম্বে টেনে তুলে ফেলে দেওয়া উচিত একজন খারাপ ব্যক্তি হয়ে ওঠা থেকে তাকে রুখতে।

প্রকৃত সত্য

উপরে বর্ণিত যেকোনও গল্পকথাগুলির …সম্ভবত তার থেকেও বেশির মতই এটিও কেবল একটি উপহাসের বিষয় মাত্র যার অন্তরালে কুসংস্কারের এই অন্ধকার দিকগুলি কেবল মনকে আঘাতই করে চলে!যদিও গর্ভে থাকাকালীন শিশুর দাঁতের উপস্থির সঠিক কারণ বর্ণনের কোনও চূড়ান্ত প্রমাণ নেই,তবে অনুমান করা হয় যে,এটি হয়ে থাকে হরমোনজনিত কারণে,বিশেষ ধরণের বৃদ্ধি উদ্দীপক পদার্থের প্রকাশ ঘটার কারণহেতু।যদি কোন দাঁত খুব আলগা ভাবে ঝুলতে থাকে তবে কোনোরকম জটিলতা শুরু হবার আগেই আপনার ডাক্তারবাবু যে সেটিকে তুলে দেবেন একথা বলাই বাহুল্য।

পুরাকথা বা প্রচলিত ধারণা

7. পুরাকথা বা প্রচলিত ধারণা

এরকম একটা চালু ধারণা আছে যদি কোনো বাচ্চার দাঁত বেশ কিছুদিন আগেই উঠে যায় তাহলে তার খেলার সাথীর জন্য তার ভাইবোন এক বছর বা তার কাছাকাছি সময়েই জন্মাবে।

প্রকৃত ঘটনা

বেশ কিছু শিশুর দাঁত বেরিয়ে আসে তাদের 6 মাস বয়সেই আপনা থেকে।এর সাথে কোনো মহিলার গর্ভবতী হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।প্রত্যেকেই জানেন একজন মহিলা কীভাবে গর্ভবতী হন এবং এর সাথে দাঁত বের হওয়ার কোনো যোগাযোগ নেই।

8. পুরাকথা বা প্রচলিত ধারণা

যদি কোনো শিশুর দাঁতে গর্ত দেখা দেয় তাহলে সেটা ভর্তি করার কোনো দরকার নেই কারণ সেটা যেভাবেই হোক পড়ে যাবে।

প্রকৃত ঘটনা

যদি দাঁতটি জীবনের পরবর্তী পর্যায়ে গিয়ে পড়ে,তাহলে ক্যাভিটি বা গর্তটির জন্য সংক্রমণ হয়ে যাবে এবং পরবর্তীকালে শিশুটি তীব্র দাঁত যন্ত্রণায় ভুগবে।তাই দাঁতটি ফিলিং বা ভর্তি করা অত্যন্ত জরূরী এবং এটা করতে যত দেরী হবে দাঁতের ডাক্তারবাবুর ততই সেটিকে সামাল দিতে অসুবিধার মুখে পড়বেন।

9. পুরাকথা বা প্রচলিত ধারণা

দাঁত ওঠার সাথে সর্বদাই জ্বর যেন হাত ধরাধরি করে আসে যা শিশুর জন্য খুবই যন্ত্রণাময় হয়ে ওঠে এবং সঠিক ভাবে তখনই তার ওষুধ দেওয়া প্রয়োজন।

প্রকৃত ঘটনা

অবশ্যই,এক্ষেত্রে দাঁত ওঠার সাথে কিছু উপপসর্গ দেখা দেয়,যেমন ঘুমের ব্যাঘাত,যন্ত্রণা এবং দেহের তাপমাত্রার সামাণ্য বৃদ্ধি।তবে দেহের তাপমাত্রার পরিবর্তনটি খুব যৎসামান্যই হয়ে থাকে, যাকে জ্বর হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে না।যদি এক্ষেত্রে আপনার বাচ্চার জ্বর হয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে এটি সম্ভবত অন্য কোনও সংক্রমণ বা রোগের লক্ষণরেই ইঙ্গিত দেয় যার জন্য আপনার ডাক্তারবাবুর হস্তক্ষেপের প্রয়োজন আছে।প্রকৃত সত্য

10. পুরাকথা বা প্রচলিত ধারণা

মুরগির মাংসের কিম্বা অন্য কোনও পশুর হাড়ের পাশাপাশি দাঁত ব্যথা নিরাময়কারী কিছু পুঁতি বা বিডসগুলি শিশুকে চিবাতে দেওয়ার জন্য ব্যবহার করলে তা দাঁত ওঠার যন্ত্রণা হ্রাস করে এবং তার সাথে দাঁতকে সুরক্ষিত রাখে।

প্রকৃত ঘটনা

যদিও মাড়িগুলিতে একসাথে চাপ দিলে তা দাঁত ওঠার যন্ত্রণাকে লাঘব করে থাকে,তবে মাংসের কোনও হাড় জাতীয় পণ্য অথবা অন্যান্য ভেষজ পুঁতিগুলি কড়াকড়িভাবে এড়িয়ে চলাই উচিত,কারণ সেগুলিতে উপস্থিত রাসায়নিকগুলি এবং অন্যান্য উপাদানগুলি শিশুর জন্য মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে।এগুলির পরিবর্তে বরং দাঁত ওঠার জন্য ঘরে বিশেষভাবে তৈরী বিস্কুটগুলি ব্যবহার করতে পারেন।

শিশুর দাঁত ওঠা সম্পর্কে প্রচলিত ভারতীয় বিভিন্ন গল্পকথা এবং অলীক কল্পনাগুলি পড়ার ক্ষেত্রে বেশ চিত্তবিনোদনকারী হয়ে উঠতে পারে।তবে এগুলিকে কখনই গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত নয় এবং বাস্তব জীবনে সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে তা বাস্তবভাবেই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।বাচ্চাদের দাঁত ওঠা হল একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া এবং প্রতিটি শিশুই সেক্ষেত্রে তার নিজ ভাবে তাতে স্বতন্ত্র প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে থাকে।যাইহোক,তবে এটি আবার সময়ের সাথে সাথে প্রতিটি দাঁত ওঠার সাথে জড়িত যন্ত্রণা এবং অন্যান্য উপসর্গগুলির ক্ষেত্রে বেশ কিছুটা চ্যালেঞ্জেরও হয়ে উঠতে পারে। দাঁত ওঠার বিভিন্ন পর্যায়গুলি সম্পর্কে অবহিত থাকুন,যাতে সেগুলির কোনও একটিও দেখা দেওয়ার সাথে সাথেই সেটি মোকাবিলা করার জন্য এর সকল কৌশল এবং পরামর্শগুলির সাথে আপনি একদম প্রস্তুত থাকতে পারেন।এই কার্যে আপনা্র সাহায্যের জন্য, শিশুর দাঁত ওঠার ক্ষেত্রে ব্যবহারকারী সরঞ্জামটি হাতের নাগালে রাখলে তা আপনার কাজে আসবে!কোন বয়সে কোন দাঁতের প্রকাশ ঘটে থাকে তা ভালভাবে বোঝার জন্য প্রদত্ত চিত্রের বিভিন্ন অংশে কেবল ক্লিক করুন।আপনি আবার আপনার সন্তানের কোন দাঁতের পর কোন দাঁত কোন দিনে উঠছে সে সকল দিনপঞ্জীর একটি নথিও রাখতে পারেন অথবা শিশুর দাঁত ওঠা সংক্রান্ত আরও নিবন্ধের খোঁজ পেতে মাউস নামক যন্ত্রাংশটির মাধ্যমে স্ক্রল করতে পারেন।