17 মাস বয়সী শিশুর খাদ্য-ধারণা,চার্ট বা তালিকা এবং রন্ধন প্রণালী গুলি

17 মাস বয়সী শিশুর খাদ্য-ধারণা,চার্ট বা তালিকা এবং রন্ধন প্রণালী গুলি

একজন টডলার পদাধিকারী বাচ্চাকে খাওয়ানো মোটেই সহজ কাজ নয়।আপনার টলটলায়মান শিশুটি 17 মাসে পড়ার সাথে, সে তার দুর্বার ক্রোধ ও বিরক্তি প্রকাশ করতে শুরু করবে এবং তাকে খাওয়ানো আপনার কাছে একটা চ্যালেঞ্জের বিষয় হয়ে উঠবে।যদি আপনি আপনার 17 মাসের টলমল করে হাঁটতে পারা শিশুটিকে কি খাওয়াবেন এই ভেবে এখনও অনবরত বিস্মিত হয়ে ওঠেন, তবে আর ভয় পাওয়ার প্রয়োজন নেই। এই পরিস্থিতিতে আপনি একা নন,সকল নতুন মায়েরাই তাদের জীবনে এই পরিস্থিতি উপলব্ধি করেন, তাদের সন্তানের বেড়ে ওঠার সাথে।একটা ছোট বাচ্চার যত্ন নেওয়া খুব সহজ কাজ নয়,কিন্তু আপনি ধীরে ধীরে তার যত্ন নিতে শিখে যাবেন।এদিকে,এখানে বেশ কিছু কৌশল এবং মজাদার কিছু খাদ্যপদের রেসিপি উল্লেখ করা হল যেগুলি আপনার স্বপক্ষে টেবিলে রূপান্তর করতে পারেন এবং আপনার ছোট্ট সোনার স্বাস্থ্য সর্বোত্তম মাত্রায় নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

17 মাস বয়সী শিশুর পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা

জলখাবারের কিছু দূর্দান্ত ধারণাগুলিকে একত্রিত করার সময়,বাবা-মায়েদের মনে রাখা প্রয়োজন যে তাদের 17 মাসের বাচ্চার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুলি তাদের সঠিক ভাবে পাওয়া উচিত। এখানে দেওয়া হল আপনার সন্তানের 17 মাস বয়েসে তার কি কি প্রয়োজন-

  • কার্বোহাইড্রেট

কার্বোহাইড্রেট আপনার বাচ্চার জন্য সারাদিন ধরে তার ক্রিয়াকলাপগুলিকে অব্যহত রাখতে সাহায্য করে।এটি শরীরে শক্তির জোগান দেওয়া ছাড়াও এটি শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশের উন্নতি ঘটায়।একটি টলটলায়মান শিশুর প্রতিদিন প্রায় 135 গ্রাম করে কার্বোহাইড্রেট খাওয়া উচিত।

  • প্রোটিন

শিশুর জন্য অন্য অপরিহার্য প্রয়োজনীয়তাগুলির মধ্যে প্রোটিন হল অন্যতম।যে সকল টলটলায়মান ছোট শিশুরা কেবল নিরামিষ আহার গ্রহণ করে তারা পর্যাপ্ত প্রোটিন নাও পেতে পারে।অতএব ,আপনার নিশ্চিত করা প্রয়োজন আপনার শিশুর প্রোটিন খাওয়ার ব্যাপারে কোনও রকম আপোস না করা।

  • আয়রণ

বাচ্চা একবার দুধ খাওয়া ছেড়ে দিলে তার আয়রণের ব্যবহারে প্রভাব পড়তে পারে। যখন একটা বাচ্চা স্তনদুধ পান করে সে সেই স্তন দুধ থেকেই যথেষ্ট আয়রণ পায়,কিন্তু কিন্তু পরবর্তীকালে তার এটি আপোস করতে হতে পারে এবং তার পরিণামে,এটা শিশুর বৃদ্ধির উপর প্রভাব ফেলতে পারে।সুতরাং,যখন একটি শিশুর 17 মাস বা তার বেশী বয়স হবে, তার খাদ্যে আয়রণ সমৃদ্ধ খাবারগুলিকে আপনার অন্তর্ভূক্ত করা উচিত।এই বয়সে প্রায় 7 মিলিগ্রাম আয়রণ গ্রহণের প্রয়োজন।

  • সোডিয়াম

প্রাথমিক ভাবে সোডিয়াম খুব কমই অপরিহার্য হয় কারণ আমাদের ব্যবহৃত বেশীর ভাগ নুনের মধ্যে এবং অন্যান্য খাদ্য উপকরণগুলির মধ্যে আমাদের প্রয়োজনীয় পরিমাণেই নুন উপস্থিত থাকে।যে সকল পরিবার খুব অনন্য প্রকৃতির খাদ্যতালিকাগত প্যাটার্ন অনুসরণ করেন তাদের খাদ্য পছন্দে সোডিয়ামের উপস্থিতি নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

  • ক্যালোরি

আপনার বাচ্চার খিদে আগের মত অত বেশী নাও পেতে পারে,কিন্তু এক্ষেত্রে তাদের সারা দিন ধরে কার্যক্ষম থাকার জন্য প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত ক্যালোরি না পাওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যেতে পারে।দৈনিক ভিত্তিতে 1000-1400 হারে ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণ রাখা হল তাদের সাস্থ্যকর রাখার চমৎকার উপায়।

  • খাদ্যতালিকাগত ফাইবার বা তন্তু

বেশীর ভাগ বাবা-মায়েরাই ভেবে বেড়ান যে কোন খাদ্য-পদ বা সবজিগুলি একটি শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণে ফাইবার বা তন্তু সরবরাহ করবে।যখানে গোটা গমের দ্বারা প্রস্তুত অসংখ্য খাদ্যপদ আছে,সেখানে কিছু সাধারণ ফল যেগুলি প্রাকৃতিক ভাবে তন্তু সমৃদ্ধ, সেগুলিকে বেছে নেওয়া আপনার খাদ্যে সমতা বজায় রাখার একটা সহজ উপায় হয়ে উঠতে পারে।

  • জল

আপনি আপনার ছোট্ট সোনাকে জল খাওয়ানোর সঠিক একটা ট্র‍্যাকের মধ্যে রাখতে ব্যর্থ হতে পারেন,যেহেতু সে সারা বাড়ি জুড়ে ছুটে বেড়ায়।কিন্তু আপনি এটা হালকাভাবে নেবেন না।দিনের বেলায় আপনার বাচ্চার পর্যাপ্ত জল খাওয়ার ব্যাপারটাকে নিশ্চিত করুন।

একটি টডলারের তার 17মাস বয়সে কতটা খাবারের প্রয়োজন?

শিশুর আকার,ওজন,মাইলস্টোনগুলি এবং অন্যান্য আরও অনেকগুলি উপাদানের উপর ভিত্তি করে তার খাদ্যগ্রহণের প্রয়োজনীয়তা নির্ভর করে।কিছু শিশু অন্যদের তুলনায় বেশী কার্যক্ষম হতে পারে এবং তাদের বেশী পরিমাণে খাদ্যের প্রয়োজন হতে পারে।যাই হোক,সাধারণত দৈনিক ভিত্তিতে তাদের প্রয়োজন হতে পারে প্রায় 1-1.2 কিলোক্যালোরির কাছাকাছি।

সতেরো মাস বয়সী শিশুর জন্য সবচেয়ে সেরা খাদ্য

যদিও আপনি আপনার সন্তানের জন্য মধ্যাহ্ন ভোজের বেশ কিছু একগুচ্ছ ধারণাগুলিকে একত্রিত করে থাকেন,নিম্নোলিখিত খাদ্য উপাদানগুলির মধ্যে বাচ্চার জন্য প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত সন্তুষ্টিজনক পুষ্টি উপাদানগুলি সঠিক মাত্রায় আছে হিসেবেই পরিচিত।

1.ডিম

ডিম
ডিম হল সেরা বহুমুখী বিকল্প যেটি আপনি দিনের যেকোনো সময়ে ব্যবহার করতে পারেন।প্রোটিন এবং কম কোলেস্টেরলের সঠিক সামঞ্জস্য এটিকে সমগ্র পরিবারের জন্যই আদর্শ করে তুলতে পারে।

2.দুধ

একটা ছোট বাচ্চার জীবনে দুধের অন্তর্ভূক্তকরণ অপরিবর্তনীয়, এটি স্তনদুধ অথবা ডেয়ারি থেকে ফুল ক্রীম মিল্ক হতে পারে।যদি আপনার সন্তান ল্যাকটোজ অসহিষ্ণু হয়,আপনি বিকল্প হিসেবে তাকে সয়া দুধে পরিবর্তন করে নিয়ে যেতে পারেন।শুধুমাত্র সেটি আপনার শিশুর প্রয়োজনীয় সকল পুষ্টিকর উপাদানগুলি সুরক্ষিত রাখা সুনিশ্চিত করুন।

3.অন্যান্য দুগ্ধজাত পণ্য

শিশুর বিকাশের জন্য দুধ যখন অপরিহার্য, তখন এটি থেকে প্রাপ্ত অন্যান্য পণ্যগুলিও ঠিক ততটাই গুরুত্বপূর্ণ।লসসি প্রোবায়োটিক সরবরাহ করে, চীজ প্রোটিন সরবরাহ করে আর মাখন কেবল সকল খাবার গুলিকে তাদের আগের স্বাদের থেকেও আরও একটু বেশী সুস্বাদু করে তোলে।সুতরাং,আপনার সন্তানের খাদ্যে দুগ্ধজাত পণ্যগুলিকে সংযুক্ত করুন।

4.সামুদ্রিক খাদ্য

বেশীর ভাগ বাবা-মায়েরাই তাদের 17 মাসের বাচ্চা র জন্য সামুদ্রিক খাবারগুলিকে নিরাপদ খাদ্য রূপে গণ্য করেন না,এবং সেটা খুব ভুল কিছু নয়।সোর্ড ফিশ বা তরোয়াল মাছ এবং সেল-ফিশ বা খোলাওয়ালা মাছের মত কিছু ধরণের মাছ কঠোরভাবে এড়িয়ে চলা উচিত।নিরাপদ মাছ খাওয়ানো একটি শিশুকে স্বাস্থ্যকর অনুপাতে DHA এবং ওমেগা 3 এর মত অতিরিক্ত উপাদানগুলি অসম্ভব পরিমাণে সরবরাহ করে।

5.মাংস

ভারী ধরণের মাংসের পদগুলি যেমন টার্কি,স্টেক,মটন এগুলি বাচ্চাকে দেওয়া এড়িয়ে চলুন।এগুলির পরিবর্তে পোল্ট্রি জাতীয় মাসংসের পদের সাথে তাদের সংযুক্ত করুন যেহেতু এগুলি সহজ পাচ্য এবং শিশুদের জন্য ভালো পরিমাণে প্রোটিন সরবরাহ করে। গ্রিল করা মাংস যেগুলি তাজা এবং জৈব সেগুলি এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর পছন্দ হয়ে ওঠে।

6.বাদাম

যদিও বাদাম শিশুদের জন্য অত্যন্ত উপকারী, কিন্তু তবুও তাদেরকে এগুলি খেতে দেওয়া শুরু করার আগে দেখে নেওয়া অপরিহার্য যে এগুলিতে তাদের কোনও এলার্জির প্রতিক্রিয়া আছে কিনা।যদি আপনার সন্তানের এগুলিতে কোন এলার্জি না থাকে তবে কিছু পরিমাণে আমণ্ড এবং আখরোটকে ভালোভাবে কুঁচিয়ে নিয়ে তাদের খাবারের সাথে নিয়মিত দিতে পারেন।

বাদাম

7.ফল

যেকোনও বাণিজ্যিকভাবে উপলব্ধ বাজার চলতি রস বা জুসের তুলনায় তাজা এবং জৈব ফলগুলিকে পছন্দ করা সর্বদা সঠিক সিদ্ধান্ত রূপে বিবেচিত। শিশুর প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ধরণের ভিটামিনগুলিকে সাইট্রাস ফ্রুট সরবরাহ করে থাকে,যখন অ্যাভোকাডোর মত কিছু ফল একবার পরিবেশনের মধ্যেই ভালো অনুপাতে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট সরবরাহ করে।

8.শাক-সবজি

এই বয়সের ছোট বাচ্চাদের খাওয়ার জন্য প্রায় সবরকমের সবজিই নিরাপদ।যদি আপনার সন্তান তার রাগ ও বদমেজাজ নিক্ষেপ করতে থাকে এবং সে তার সবজিগুলিকে খেতে প্রত্যাখ্যান করে, তার খাদ্যে সামান্য সৃজনশীলতা আনুন।আপনি সবজিগুলিকে ভালোভাবে কুঁচিয়ে নিয়ে সেগুলিকে কিছুটা ভাপিয়ে তাদের পরিবেশন করুন।আপনি আবার তাদেরকে সবজি দিয়ে তরকারি বানিয়েও খেতে দিতে পারেন।

9.দানাশস্য

সাগু প্রোটিন এবং আয়রণে সমৃদ্ধ হওয়ায় প্রায়ই এটি একটি চিত্তাকর্ষক পছন্দ হয়ে ওঠে,যেটি অবশ্যই চেষ্টা করা উচিত।অনুরূপভাবে, মিলেট এবং ভাত ও শিশুর খাবারে নিয়মিত অন্তর্ভূক্ত করা উচিত।

10.তেল

যদি ও তেল কোনো রকম ভাবেই আলাদা কোনো খাদ্য সামগ্রী নয়,তবুও খাবার তৈরীতে স্বাস্থ্যকর তেল লাগে যা আপনার বাচ্চার প্রয়োজনীয় ফ্যাট এবং পুষ্টির চাহিদা মেটায়।যখন কোনো স্ন্যাক্স জাতীয় খাবার বানাবেন তখন অলিভ অয়েল ব্যবহার করুন।

17 মাস বয়সী শিশুর খাবারের চার্ট/খাদ্য পরিকল্পনা

দিন প্রাতঃরাশ জলখাবার মধ্যাহ্ণভোজ জলখাবার নৈশভোজ
সোমবার ধোসা এবং দুধ তরমুজের টুকরো পোলাও এবং বীনস কলার পানীয় কাল ডালের সাথে লাল চালের ভাত
মঙ্গলবার কলা পেঁপে খিচুড়ি দুধ এবং কর্নফ্লেক্স স্প্যাগোটি
বুধবার উপমা আঙ্গুর কুচানো রুটি,ঘি,গাজর এবং বীনস গমের বিষ্কুট চাটনির সাথে মেথির পরোটা
বৃহস্পতিবার মটর পোহা এবং জুস কলার টুকরো ব্রাউন রাঈস এবং ডাল সবজির কাবাব এবং দুধ টমাটো স্যুপ দিয়ে পাস্তা
শুক্রবার সবজির স্যান্ড উইচ এবং জুস ব্লুবেরীর পানীয় সবজি মধু এবং দারুচিনিদিয়ে তৈরী পুডিং পালং পনীর দিয়ে রুটি
শনিবার সেমই স্ট্রবেরীর টুকরো সম্বর এর সাথে লেবু ভাত লসসি নানা সবজি
রবিবার আলু পরোটা দই এর সাথে আপেলের টুকরো ভাত এবং স্যালাড এর সাথে ছোলা গাজর এবং শসা রুটি এবং কারী

17 মাস বয়সী শিশুর জন্য খাবারের রেসিপি

যখন অন্যান্য অনেক খাদ্য বিকল্পগুলির মধ্যে রাত্রের নৈশভোজের ধারণাটা আসা সহজ হতে পারে,তখন সেক্ষেত্রে জলখাবার বানানোটা কিছুটা মুশকিলের হয়ে উঠতে পারে এবং কয়েক সপ্তাহ পরে সেগুলির আবার পুনরাবৃত্তিও ঘটতে পারে।এখানে কিছু মজাদার জলখাবারের রেসিপি দেওয়া হল যেগুলি আপনি আপনার আদরের মাণিকটির জন্য তৈরী করার চেষ্টা করতে পারেন।

1.অ্যাভোকাডোর সাথে টোস্ট

শিশুদের জন্য ফ্যাট অপরিহার্য এবং এই রেসিপির মাধ্যমে তার খাবারের সাথে অ্যাভোকাডোর সংযোজন তাকে সঠিক মাত্রায় ফ্যাট পাওয়াকে নিশ্চিত করে।সুতরাং আপনার সন্তানের জন্য এই সুস্বাদু রেসিপিটি বানানোর চেষ্টা করুন।

অ্যাভোকাডোর সাথে টোস্ট

উপকরণ

  • নুন
  • মরিচ
  • চীজ
  • গোটা গমের আটার পাউরুটি
  • কলা
  • অ্যাভোকাডো

কীভাবে বানাবেন

  1. একটা অ্যাভোকাডো নিয়ে তার বীজ ছাড়িয়ে নিন।একটা বাটিতে ফলটিকে ভালোভাবে চটকে সেটিকে একটা ক্রীমের মত পেষ্ট বানান
  2. স্বাদ বাড়ানোর জন্য এর সাথে কিছুটা নুন এবং মরিচ যোগ করুন।
  3. পাউরুটির স্লাইসগুলিকে টোস্ট করে নিয়ে একটা প্লেটের উপরে সাজিয়ে রাখুন।এবার চটকানো অ্যাভোকাডোর মিশ্রণটিকে রুটির স্লাইসগুলির উপরে ছড়িয়ে দিন।এর উপর কলার টুকরো গুলি যোগ করুন এবং তার উপরে কিছুটা চীজ কুড়িয়ে দিয়ে দিন।

2.কলা ওটমিল

প্রাতঃরাশের সময় হল একদম সঠিক সময় যা একটি শিশুর সবচেয়ে বেশী পুষ্টি পাওয়াকে নিশ্চিত করে।এই রেসিপিটি একবার খাওয়ার মাধ্যমেই যথেষ্ট ফাইবার বা তন্তু সরবরাহ করে, এবং তার পাশাপাশি আপনার বাচ্চাকে দীর্ঘসময় জুড়ে পরিতৃপ্ত রাখে।

কলা ওটমিল

উপকরণ

  • দারুচিনি
  • কলা,কুঁচি করে কাটা
  • আমণ্ড দুধ
  • জল
  • ওটস

কীভাবে বানাবেন

  1. একটা কড়াইয়ে ওটসটিকে রান্না করুন।সেটির সাথে জল না আমণ্ড দুধই ব্যবহার করবেন সেটা আপনার উপর নির্ভর করছে।অনবরত ওটস-কে নাড়িয়ে যান যাতে সেটি সঠিক ভাবে রান্না হয়।
  2. ওটসটি নরম হয়ে গেলে স্বাদ বাড়ানোর জন্য তার সাথে দারুচিনি গুড়ো যোগ করুন।
  3. আগুন নিভিয়ে এটিকে ঠাণ্ডা হতে দিন।
  4. এরপর এটিকে একটা বাটির মধ্যে স্থানান্তরিত করুন এবং কয়েকটি কলার টুকরো মিশিয়ে নিন,আপনার ডিশ প্রস্তুত।

3.ভূমধ্যসাগরীয় স্যালাড

ছোট শিশুরা স্যালাড খাওয়ার উপর খুব বেশী উৎসাহ দেখায় না কিন্তু যদি আপনি সেটিকে চীজ দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে সাজিয়ে দেন, সে অবশ্যই সেটা খাবে।আপনার বাচ্চার জন্য স্যালাডের এই রেসিপিটি বানানোর চেষ্টা করুন।

ভূমধ্যসাগরীয় স্যালাড

উপকরণ

 

  • চীজ
  • কালোমরিচ
  • নুন
  • ধনে
  • কালো জলপাই
  • টমেটো
  • ঘন্টা মরিচ
  • পিঁয়াজ
  • ভিনিগার
  • অলিভ অয়েল
  • কুইনোয়া রান্না করা

কীভাবে বানাবেন

  1. সবজিগুলিকে ঘনকাকারে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে সেগুলিকে একটা বাটির মধ্যে রাখুন।

2.একটা কড়াই নিয়ে তার মধ্যে অলিভ অয়েল দিন।এবার তার মধ্যে পিঁয়াজ, ঘন্টা মরিচ,টমেটো এবং ধনে সব একসাথে দিয়ে সাঁতলে নিন।

3.এই সবজিগুলিকে রান্না করা কুইনোয়ার সাথে একটা বড় বাটিতে যোগ করুন এবং চীজ দিয়ে সাজিয়ে নিন।

4.সুস্বাদু রিসোটো

যখন স্বাদে হালকা ও পুষ্টিতে ভরপুর খাবারের খোঁজ করবেন এটিকে পছন্দের তালিকায় আনতে পারেন।

সুস্বাদু রিসোটো

উপকরণ

  • চীজ
  • লেবুর রস
  • মাখন
  • ঠান্ডা করে জমানো কড়াইশুঁটি
  • গাজর
  • সবজির স্টক
  • চাল
  • অলিভ অয়েল
  • পিঁয়াজকলি

কীভাবে বানাবেন

  1. একটা কড়াইয়ে মাখন নিয়ে তার সাথে পিঁয়াজকলিগুলি যোগ করে সাঁতলে নিন নরম না হওয়া পর্যন্ত।
  2. কড়াইশুঁটি আর চাল ভালো করে মিশিয়ে রান্না করে নিন।এরপর সবজির স্টকটি তার মধ্যে ঢেলে নাড়তে থাকুন পুরপুরি শুষে যাওয়া পর্যন্ত। চাল নরম না হওয়া পর্যন্ত আরও স্টক যোগ করতে থাকুন।কড়াইটা একটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন।
  3. ভাতটা রান্না হয়ে গেলে তার উপরে চীজ কুড়িয়ে দিয়ে তাজা তাজা পরিবেশন করুন।

5.কুমড়োর কাথ্ব

এটাকে বল আপনার জলখাবারের স্বাদই বাড়ায় না এর পাশাপাশি এটি ভিটামিন A এর এক চমৎকার উৎস।

কুমড়োর কাথ্ব

উপকরণ

  • লেবু
  • মরিচ
  • নুন
  • কুমড়ো, ক্যানজাত

কীভাবে বানাবেন

  1. কুমড়োর পিউরি বানিয়ে তার সাথে নুন এবং মরিচ যোগ করুন।
  2. আপনি এর সাথে কয়েক ফোঁটা লেবুর রসও মেশাতে পারেন।
  3. পাচনে সহায়ককারী কিছু কুকির সাথে এবং বিভিন্ন ফলের সাথে এটিকে পরিবেশন করুন।

খাওয়ানোর পরামর্শ

আপনার টলটলায়মানকে খাওয়ানোটা খুব একটা শক্ত কাজ হয়ে উঠবে না যদি আপনি নিচের পরামর্শ গুলো মনে রাখেন।

  • আপনার বাচ্চাকে প্লাস্টিকের তৈরী কাঁটা চামচ নিজে নিজেই ব্যবহার করতে দিন।
  • যতে আপনার সন্তান শান্ত ভাবে খাবার খায় তার জন্য বিচক্ষণতার সাথে খাবারের সময় গুলো নির্ধারণ করুন।
  • খাবার শেষ করার থেকেও খাবারের বিভিন্নতার ওপর বেশী গুরুত্ব দিন।
  • সব সময়ের খাবারেই সামজ্ঞস্য বজায় রাখুন।
  • কোনো নতুন পদ যোগ করার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
  • নিশ্চিত হন যেন আপনার সন্তান প্রতিবার খাবার পর অবশ্যই পর্যাপ্ত জলপান করে।
  • নানা রঙের বাটি ব্যবহার করুন যাতে সেটা দেখতে আকর্ষণীয় হয়।
  • যখন আপনার বাচ্চাকে খাবার এবং ফল দেবেন সেগুলোকে ছোটো ছোটো টুকরো করে দেবেন।
  • আপনার নজরদারি ছাড়া আপনার সন্তান যেন না খায়।
  • আপনি কখনি আপনার সন্তানকে বকাবকি করবেন না যদি সে কোনো অপছন্দের খাবার থুতু দিয়ে বের করে দেয়।

মূল খাবার গুলোই হল আপনার সন্তানের পরিপোষনের মূল স্তম্ভ তবুও স্ন্যাক্স জাতীয় খাবার অনেক সময় কাজ দেয়।তাকে যদি নানা বৈচিত্রময় খবার দেওয়া হয় তাহলে দেখবেন আপনার অজান্তেই সে সেই সব খাদ্য খাওয়া শুরু করে দিয়েছে যা একসময় সে অপছন্দ করত।